ইউজার লগইন
মুক্তিযুদ্ধ
৬ ডিসেম্বর
খুশীর হাওয়া বইছে
আজ বিজয়ের দিনে ।
নাচো হে বীরগঞ্জবাসী
তোমাদের মনও প্রাণও খুলে ।
আজ কেন আছো গো তোমরা,
হয়ে মুখ গোমড়া ।
এই আনন্দমুখরও দিনে ।
ঐ গাছে দিকে আখিঁ
খুলে দেখ চেয়ে....
কোকিলও ডাকছে খুশিরও দিনে ।
something....just try...,
আজকে উত্তরবঙ্গের দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জের পাক হানাদার মুক্ত দিবস ।দিনটি খুব ভাল ভাবে উদ্দযাপিত হচ্ছে । এই দিনে পেয়েছে মুক্তি পাক হানাদারদের থেকে, সদ্য বীরগঞ্জবাসী ।
মুক্তিযুদ্ধ- আমাদের গৌরব আমাদের অহংকার
শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা আর সকল আহত মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি লাখো সালাম ও শ্রদ্ধা।
পশ্চিম পাকিস্তানের জুলুম-শোষণ আর অত্যাচার এতটাই বেড়ে গিয়েছিল যে পূর্ব পাকিস্তানের সাধারণ মানুষের অতিস্ঠ না হওয়ার কোন উপায় ছিল না জনগণের মধ্যে যদিও আগে থেকেই ধারনা ছিল যেকোন মুহূর্তে দেশে যুদ্ধ শুরু হবে কিন্তু সবাই ছিল ঘোষণার অপেক্ষায়। অবশেষে ৭ই মার্চের বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণের মধ্য দিয়ে শুরু হল আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ।
৭১ এর ভয়াল মার্চ, পাকবাহিনীরা ছড়িয়ে পড়েছে গোটা পূর্ব পাকিস্তানের সর্বত্র। । নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর আমরা ছিনিয়েছিলাম মহান বিজয়। অর্জিত হয়েছে একটি স্বাধীন দেশ নাম তার বাংলাদেশ। আমাদের সপ্নের দেশ লাল সবুজের বাংলাদেশ
মার্চ আর ডিসেম্বর মাস আসলেই মুক্তিযুদ্ধের কথা বেশি মনে পড়ে কারন বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসের পাতায় এই দু মাসের তাৎপর্য অনেক।
কিছুটা ভাবনার খোড়াক...
সোবাহান সাহেব, তার স্ত্রী, দুই কন্যা, অবিবাহিত এক শ্যালক, ভাড়াটিয়া বিপত্নীক ভদ্রলোক এবং তার দুই সন্তান, আর ঘরের দুজন কাজের লোক নিয়ে একটি পাগলাটে পরিবার। যে সমাজে ঘরে বিবাহযোগ্যতো দূরের কথা, কন্যা সন্তান থাকলে সে পরিবারের পুত্র সন্তানের বয়স যাই হোক আগে মেয়ের বিয়ে দিতে হবে তার পরেই ছেলের বিয়ে এবং কন্যা সন্তান মানেই যেন এক ধরণের দায়, এমন মতবাদের সমাজে বড় মেয়ে রেখে ছোট মেয়ের বিয়ে দেয়ার মত দৃষ্টান্ত স্থাপণ করে এই পরিবার তাও আবার নব্বইয়ের দশকে। এই সমাজে পুরুষদের যতই বয়স হোক না কেন বিয়ের বাজারে তারা সব সময়ই দামী। অপরদিকে মেয়েদের বয়স বিশ পার হলেই সমাজে তথা আত্মীয় স্বজনদের মাঝে শুরু হয় কানা ঘুষা। কিন্তু এই পরিবার ব্যতিক্রম, তারা এমনটি ভাবেন না।
প্রজন্ম সংলাপ : পর্ব ১ | বিষয় – ‘ইতিহাস বিকৃতি’

প্রজন্ম সংলাপের এই পর্বে আলোকপাত করা হচ্ছে সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে আলোচিত বিষয় – বাংলাদেশের ইতিহাস – মূলত মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের বিকৃত উপস্থাপনা। যদিও সাবেক মন্ত্রী এবং মুক্তিযুদ্ধের সহ প্রধান সেনাপতি এ কে খন্দকারের লিখিত সাম্প্রতিক বই ‘১৯৭১: ভেতরে বাইরে’ নিয়ে বিভিন্ন মহলে ক্ষোভ, হতাশা আর বিশ্ময় দেখা দিয়েছে, ইতিহাসের এই বিকৃতি, বঙ্গবন্ধু এবং মুক্তিযুদ্ধকে কলঙ্কিত বা হেয় করবার এই প্রচেষ্টা নতুন কিছু নয়। এ বিষয়ে কথা বলা হয়েছে দুই প্রজন্মের দুই শিক্ষাবিদ, গবেষক এবং রাজনৈতিক ভাষ্যকারের সাথে।
প্রজন্ম সংলাপ: পর্ব ১: খন্ড-১
গল্পঃ পাঁচ পুরুষের ভিটা
১ম পর্বঃ রমজানের হাঁটযাত্রী
‘রোজাদাররা ওঠো--, সেহরীর সময় অইছে...।’ দিঘলী বাজারের পাহাড়াদারদের চিৎকারে, দরজা বা দোকানের ঝাপের আওয়াজে, কারো না ওঠে উপায় নেই। যারা রোজা রাখার নিয়ত করত, তারা ওঠে সেহেরী খেয়ে নামাজ পড়ত, তারপর আবার ঘুমাত। কেউ ঘুম ঘুম চোখে কোন রকম খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ত, আর যাদের রোজা রাখার নিয়ত নাই, তারা উঠে, বিরক্ত হয়ে আবার ঘুমিয়ে পড়ত।
ভিনদেশকে সমর্থনের নামে সার্বভৌমত্বের অপমান: প্রতিরোধ এখনই
আমরা চেয়েছিলাম এই বাংলার আকাশে চাঁদতারা নয়; বরং লাল-সবুজের একটি পতাকা মাথা উঁচু করে উড়বে। এই পতাকাটির জন্য আমরা বছরের পর বছর ধরে সংগ্রাম করেছি। অবশেষে ৩০ লাখ শহীদের রক্ত আর ৪ লাখ মা-বোনের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের বিনিময়ে লাল সবুজের এই পতাকাটি আমাদের হয়েছে। পৃথিবীর ইতিহাসে একটি পতাকার জন্য এমন চরম মূল্য দেয়ার নজির দ্বিতীয়টি নেই।
একজন কারিগর
বাংলার আনাচে কানাচে ছড়িয়ে রয়েছে হাজারো ইতিহাস। এক সাগর পরিমাণ রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এই স্বাধীনতার ইতিহাস। সবার নাম হয়তো লিখা নেই ইতিহাসের পাতায়, তবুও কি তাদের অবদান অস্বীকার করা যায়?
দেখছিলাম, টেলিফিল্ম "কারিগর"। আর্টফিল্ম বলে শুরুর দিকে বেশ ধীরগতির কারণে একটু বিরক্ত লাগছিলো। তবুও, ধৈর্য্য নিয়ে বসে থাকি মূল কাহিনীর অপেক্ষায়। মূলকাহিনী খুব বেশী কিছুনা আবার অনেক কিছু। একগ্রামে ছিলেন একজন "ওস্তাকার" যাকে সবাই "কারিগর" বলে ডাকতো। গ্রামের ছেলেদের খৎনা করানো ছিল তার পারিবারিক পেশা। তাই, বাচ্চা ছেলেরা তাকে দূর থেকে দেখলে ছুটে পালাতো ভয়ে, পরিবারের বয়স্করা দেখলে শ্রদ্ধা করতো আর খৎনা হয়ে গেছে এমন ছেলেরা দেখলে সালাম দিত।
শহীদ বুদ্ধিজীবিদের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি - পর্ব এক
জহির রায়হান
বিখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা এবং লেখক জহির রায়হান ১৯শে আগষ্ট ১৯৩৫ সালে ফেনী জেলার একটি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৫০ সালে আমিরাবাদ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মেট্রিকুলেশন পাশ করে ঢাকা কলেজে ভর্তি হন যেখান থেকে তিনি পরবর্তীতে আই এস সি পাস করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রী অর্জন করেন।
প্রথম জীবনে তিনি কমিউনিস্টদের আন্দোলনের প্রতি ঝুঁকে পড়েন। পরবর্তীতে যখন কমিউনিস্টদের রাজনীতি নিষিদ্ধ হয় তিনি তখন আত্মগোপনে চলে যাওয়া নেতাদের বার্তাবাহক হিসেবে কাজ করতেন। মজার তথ্য হলো তার নামের শেষাংশ "রায়হান" আত্মগোপনে যাওয়া নেতাদের দেয়া। জহির রায়হানের প্রকৃত নাম জহিরুল্লাহ।
একাত্তরের বিদেশী বন্ধুগণঃ আমাদের দুঃসময়ের সূর্যসারথি (পর্ব-১৫)
মার্শাল জোসিপ ব্রজ টিটো, সাবেক যুগোস্লাভিয়া
সাবেক যুগোস্লাভিয়ার অবিসংবাদিত নেতা হিসেবে পরিচিত ব্যক্তিত্ব মার্শাল জোসিপ ব্রজ টিটো ১৮৯২ সালের ৭ মে জন্মগ্রহন করেন। তিনি একাধারে তিনি যুগোস্লাভিয়ার প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি ছিলেন। ১৯৪৫ থেকে মৃত্যু-পূর্ব পর্যন্ত দুর্দণ্ড প্রতাপে দেশ পরিচালনা করেন। কমিউনিস্ট নামীয় রাজনৈতিক দলের তিনি সদস্য ছিলেন। তাঁর অন্যতম কৃতিত্ব হচ্ছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের বলয়ে অবস্থান করে যুগোস্লাভিয়া সমাজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র গঠন করা। পরবর্তীতে জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনে নেতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়া। যুগোস্লাভিয়ার বিবাদমান বিভিন্ন জাতি-গোষ্ঠীকে একত্রিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। কিন্তু তাঁর মৃত্যুর এক দশকের মধ্যে তা গৃহযুদ্ধের রূপান্তরিত হয়ে দেশটি ভেঙ্গে যায়।
একাত্তরের অশ্রু, এক
আমাদের স্বীকার করতেই হবে, আমরা মাঝখানে একটা দীর্ঘ সময় পার করে এসেছি, যে সময়টাই মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও চেতনার চর্চা অনেকটা সংকুচিত ছিল, একটি নির্দিষ্ট গন্ডির মধ্যে ছিল। পুরো ব্যাপারটাতে চলে এসেছিল ট্যাবুভাব; যেন অন্যায় কিছু করছি, সবকিছুতে ছিল লুকোচুরি।
'একাত্তরের অশ্রু' মূলত বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ পাঠাগার ও গবেষণা কেন্দ্রের একটি প্রকল্প। মুক্তিযুদ্ধের নানান কষ্টের ঘটনা, বীরত্বের ঘটনা, ইতিহাসের নানান ঘটনা সংক্ষিপ্ত আকারে কিশোর-কিশোরীদের জন্য উপস্থাপনই এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য।
পাঠক মাত্রেই প্রশ্ন করতে পারেন, সংক্ষিপ্ত আকারে কেন? উত্তরটা এভাবে দেবো, ব্যস্ত জীবনের নানান জটিলতার ভীড়ে মানুষ দীর্ঘ রচনা পড়তে ক্লান্ত বোধ করে। আর পাঠক যদি হন কিশোর বয়সের কেউ, তাহলে তো কথায় নেই...দীর্ঘ রচনা, কঠিন আবেগী শব্দ কিশোরদের স্পর্শ করে কম।
সবশেষে এটুকুই বলব, এই ক্ষুদ্র প্রয়াসের একমাত্র লক্ষ্য কিশোর-কিশোরী ও তরুণদের মাঝে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও চেতনা চর্চার আলো পৌঁছে দেয়া।
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও চেতনা চর্চার আলো বাঙলার সব ঘরে ছড়িয়ে পড়ুক।
ধর্মের আলোকে(!!!) স্বাধীনতার বিরোধিতা, যুদ্ধাপরাধীদের পুনর্বাসন ও ধর্মীয় জঙ্গিপনাঃ
তাত্ত্বিক বিশ্লেষণে স্বাধীনতার বিরোধিতা, যুদ্ধাপরাধীদের পুনর্বাসন ও ধর্মীয় জঙ্গি-পনা তিনটি একেবারেই আলাদা বিষয়। এই বিষয়গুলির উদ্দেশ্য সময়কাল ভেদে পার্থক্য হলেও রাজনৈতিক বিচারের এক। বিশেষ করে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক বাস্তবতায় বিষয় তিনটির আন্ত-সম্পর্ক দ্রুততার সহিত স্পষ্ট হয়ে উঠছে। যদিও সাধারণ জনগণের মননে এই তিনটি বিষয়ের আন্ত-সম্পর্কটি এখনো তেমন জায়গা করে নেয়নি, তবে বিষয় তিনটির অতি উচ্চমাত্রার আন্ত-প্রতিক্রিয়াশীলতা দেশের রাজনীতিতে ক্ষমতায় পালা বদলের হাতিয়ার হয়ে উঠছে। অন্যান্য সামাজিক সমস্যা গুলিকে ছাপিয়ে সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক ইস্যু হিসাবে স্থান করে নিয়েছে। আর রাজনৈতিক ক্ষমতা কেন্দ্রিক এই ইস্যুগুলির বাণিজ্যিক নিউক্লিয়াস হিসাবে ব্যবহ্রত হচ্ছে ধর্ম।
একাত্তরের বিদেশী বন্ধুগণঃ আমাদের দুঃসময়ের সূর্যসারথি (পর্ব-১৪)
জ্যোতি বসু
কমরেড জ্যোতি বসু শুধু ভারতে নয় এই উপমহাদেশের একটি উজ্জ্বল নক্ষত্র। ভারতের মার্কসবাদী কমিউনিস্ট পার্টির এই নেতা ১৯১৪ সালের ৮ই জুলাই কলকাতার হ্যারিসন রোডের একটি শিক্ষিত উচ্চবিত্ত পরিবারে জন্ম জন্মগ্রহন করেন। তার বাবা নিশিকান্ত বসু ছিলেন একজন চিকিৎসক। ইংরেজী সাহিত্যে অনার্স শেষে বিলাত থেকে ব্যরিস্টার হয়ে দেশে ফিরে ব্যরিস্টারী না করে যোগ দিলেন কমিউনিস্ট পার্টিতে। মানুষের প্রতি তাঁর কর্তব্যবোধ, রাজনৈতিক দূরদর্শিতা ও বর্নাঢ্য কর্মজীবন তাঁকে এক অনন্য স্থানে অধিষ্ঠিত করেছে।
মুক্তিযুদ্ধে আদিবাসীদের ভূমিকা
একাত্তর বা মুক্তি সংগ্রামে বাঙালিদের অংশ গ্রহণের পাশা-পাশি এদেশের আদিবাসীরাও অংশগ্রহণ করে। এদেশে পঁয়তাল্লিশটি আদিবাসী সম্প্রদায় রয়েছে। অত্যাচার-নির্যাতনের দিক থেকেও আদিবাসীদের উপর অত্যাচারের মাত্রা কোন অংশে কম ছিল না। কিন্তু রাষ্ট্র, রাজনীতি ও সামাজিক প্রতিবন্ধকতার কারণে বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামের ইতিহাসে আদিবাসীদের অবদান সবসময় অবহেলিত। বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামে আদিবাসী নারী-পুরুষ প্রত্যক্ষভাবে মুক্তিসংগ্রামে অংশ নেয়। কিন্তু পরিতাপের বিয়ষ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে আদিবাসীদের অবদান সে রূপভাবে স্থান পায় নি। এতো বছরেও সম্মান মেলে নি সেই সব লড়াকু সৈনিকদের।