ইউজার লগইন
মুক্তিযুদ্ধ
আমাদের প্রজন্ম চত্বর
১৯৭১ সাল। ২/৩ বছরের কোলের শিশু। একাত্তরের কথা মনে নেই আমার। ৯০ এর সৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের কথা মনে আছে। সেসময় আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। এরশাদ বিরোধী সেই উত্তাল দিনগুলোতে সরাসরি অংশ নেয়া একজন আমি।
আবার এক আন্দোলন। ২০১৩ সাল। ভাষার মাস। আবারো এক গণজোয়ার। এবারের দাবী- যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি। যুদ্ধাপরাধী, মানবতার শত্রু, খুনি, রাজাকার কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে রায় হলো। সেই রায়- কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন কারাদন্ড! মানিনা সে রায়। কেনো মানবো ? প্রত্যক্ষভাবে মানুষ খুন করা কাদের মোল্লা জেলে যাবে, ভি চিহৃ দেখাবে- আর পত্রিকার পাতায় সে ছবি আমাদের দেখতে হবে ?
আবার এসেছে একাত্তর
১.
জেগেছে জনতা, নিয়েছে দৃপ্ত শপথ
এবার বিচার হবেই হবে- এই ঘৃন্য পশুদের!
আবার এসেছে একাত্তর, এই প্রজন্ম চত্বরে
এবার বিচার হবেই হবে- এই শকুণ-হায়েনাদের!
আর নয় কান্না আর নয় বিলাপ
পড়বে গলায় ফাঁস, নেই যে ওদের মাপ!
২.
এসেছে নতুন দিন, রচিত হয়েছে নতুন ইতিহাস!
রাজপথ আজ তারুন্য নিয়েছে কেড়ে
ঐ দেখ উড়ছে পতাকা, বিজয় নিশ্চিত!
৩.
আমি অপেক্ষায় ছিলাম একটি নতুন দিনের
যেদিন শকুন হায়েনাদের ধারালো নখের আঘাতে
ক্ষত বিক্ষত হবে না আমার মা
যেদিন ওদের তৈরি বলয়ে
শৃঙ্খলিত হবে না আমার বোন!
আমি শকুন হায়েনা মুক্ত মাটিতে নিঃশ্বাস নিতে চাই;
বাংলার মাটিতে এই হায়েনাদের বিচার চাই।
আমি সেই নরপশুদের বিচার চাই
যাদের করণে সন্তানের বুকে
পিতার জন্যে আজও হাহাকার !
আমি আমার সন্তানের জন্যে
শকুন-হায়েনা মুক্ত দেশ চাই।
গত মঙ্গলবার থেকে আজ...
গত মঙ্গলবার বাসায় ছিলাম, ভেবেছিলাম কসাই কাদেরের ফাঁসির রায় শুনে আনন্দিত চিত্তে অফিসে যাবো, সেখান থেকে বইমেলা, এটাসেটা আরো অনেক কিছু...
মন খারাপের দিন
আমার মেয়ে মাত্রই দশে পা দিলো। তাকে আমি সজ্ঞানে কখনো সেভাবে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে গল্প করিনি। একটা বিরাট কারণ প্রবাসীনি হওয়ায়। আর মায়ের কাছে সন্তান সবসময় ছোট থাকে। মনে হতো এতো ভয়াবহ ঘটনা বাচ্চার মনে খারাপ প্রভাব ফেলবে, আর একটু বড় হোক সে, তারপর জানবে সব। কিন্তু যা হয়, বাসায় আলোচনা শুনে শুনে, খালা – মামা, গুগল থেকে সে জানে, ৭১ এ পাকিস্তানীরা বাংলাদেশের সাথে “অনেক খারাপ” করেছিলো। মানুষ মেরে ফেলেছিলো, তাই পাকিস্তানীরা বাংলাদেশের বন্ধু নয়, আমরা কখনো কোন কাজে পাকিস্তানকে সমর্থন করতে পারি না, এটা কখনো আর সম্ভব নয়। যেহেতু এটা সে জানেই, তাকে আমি “আমার বন্ধু রাশেদ” সিনেমাটা বেশ কয়েকবার দেখতে দিয়েছিলাম। আমার মনে হয় আমাদের বাচ্চাদের ধারাবাহিকভাবে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বলার এর থেকে সুন্দর উপায় আর হয় না। মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যারকে আমি অনেক কারণেই অসম্ভব শ্রদ্ধা করি, তারমধ্যে এটিও একটি কারণ।
প্রতিবাদে উত্তাল শাহবাগ ০৫/০২/২০১৩
সকালে অফিসে যাইনাই, ভাবছিলাম মিরপুরের কসাই রাজাকার কাদের মোল্লার ফাঁসির রায়টা টিভিতে শুনেই একবারে বের হবো। কিন্তু কি থেকে কি হয়ে গেলো... কিচ্ছু বুঝতে পারলাম না... সকাল সাড়ে এগারোটার দিকে আম্মুর সাথে খানিক্ষণ তর্কও করলাম, ফাঁসি ছাড়া অন্য কোনো রায় কেন হবে না সেইটা নিয়া... কিন্তু যখন রায় শুনলাম, তখন হতাশা-ক্ষোভ-রাগ সবগুলা একবারে ঝাঁপায়া পড়ল...
ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ দেখতেছিলাম ফেসবুকে, এর ভিতরেই হঠাত দেখলাম আজকেই এই হঠকারী রায়ের প্রতিবাদে শাহবাগে সমাবেশ। কিছু না ভাইবাই রওনা দিলাম।
জমায়েত দেখে শুধু একটা শব্দই মুখে আসছে
অভূতপূর্ব
সবাই যতটা স্বতস্ফুর্ত ভাবে যোগ দিছে এই সমাবেশে...
আর বেশী কিছু না বইলা কিছু ছবি শেয়ার করি...
কি হয়েছিলো সে রাতের পরে
শশাংক সাহেবের বই থেকে জানা যায়, সেদিনের সেই গোপন মিটিং এর পরে সর্বাধিক গোপনীয়তায় আরো দুইবার, বঙ্গবন্ধু, মানিক মিয়া এবং তিনি গোপনে দেখা করেছিলেন, যার উদ্দেশ্য ছিলো বাংলাদেশের নেতৃবৃন্দের ভারতের কাছ থেকে চাওয়া সম্পর্কে আরো ভালো ধারণা নেয়া।
বড়দিন ১৯৬২ - যে রাতের কথা অজানা অনেকেরই
যেভাবে বিকৃত হয়েছে ১৯৭৫ এর ১৫ই আগষ্টের পরে আমাদের ইতিহাস, তাতে ২৫শে মার্চ মধ্যরাত্রিতে বঙ্গবন্ধুর বেতারে ভেসে আসা সেই বাণীগুলোর আগ পর্যন্ত কিংবা ৭ই মার্চের আগ পর্যন্ত অনেকেই মনে করি স্বয়ং বঙ্গবন্ধুও নাকি চেয়েছিলেন স্বায়ত্ত শাসন। দোষ আমাদের নয়, ঠিক এভাবেই প্রচার করা হয়েছে দীর্ঘ দুই দশকেরও বেশী সময় ধরে। আজ জানবো জাতির এই মহান নেতা কত আগেই মনস্থির করে ফেলেছিলেন স্বাধীন রাষ্ট্রের, কত আগেই তিনি স্বপ্ন দেখেছিলেন স্বাধীন বাংলার তার অন্যতম এক ঘটনা।
রাঁঙিয়ে দাও লাল সবুজে
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস কম বেশী সকলেরই জানা, আমরা জানি ১৯৭১ সালে একটা যুদ্ধ হয়েছিলো আর সেই যুদ্ধে বাঙ্গালী জাতি পরাজিত করেছিলো ততকালীন পশ্চিম পাকিস্তানকে, আর ছিনিয়ে এনেছিলো লাল সবুজের পতাকা।
আজ আর সেই কথা বলবো না, আজ বলবো অন্য এক বিজয়ের কথা।
ইকোনমিস্ট-আমার দেশের অপপ্রচারণা : ষড়যন্ত্রের নতুন ফ্রন্ট (প্রসঙ্গ: ICT হ্যাকিং)
বাংলাদেশের চলমান আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল শুরু থেকেই নানা ধরণের শত্রুর মোকাবেলা করে কাজ করছে। দেশে এবং বিদেশে, মিডিয়ায় অথবা আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ফোরামে বিরামহীনভাবে চলছে অপপ্রচারণা, ট্রাইবুনালের ইমেজ ধ্বংস করার চেষ্টা, ট্রাইবুনালের কাজকে ব্যাহত করার অপচেষ্টা। আমরা দেখেছি বহির্বিশ্বে টবি ক্যাডম্যানের মতো লোকেরা কীভাবে ট্রাইবুনাল সম্পর্কে মিথ্যাচার করে বেড়িয়েছে, দেখেছি আলি আলগামদির মতো মিডিয়াবাজেরা সৌদি আরব সহ বিভিন্ন দেশের পত্র-পত্রিকায় বাংলাদেশ এবং ট্রাইবুনাল সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা ছড়িয়েছে, এমনকী বাংলাদেশ সরকারকে নানা ভাবে প্রচ্ছন্ন হুমকি দেয়ার নিদর্শনও মিলেছে। ইতিহাসের সবচেয়ে নৃশংস গণহত্যাগুলোর একটির খলনায়কদের বিচারের আওতায় আনার এই দীর্ঘ প্রতীক্ষিত প্রক্রিয়াটিকে ক্ষতিগ্রস্থ করার পৃথিবীর প্রতিটি অঞ্চলে অর্থ বিনিয়োগ করা হয়েছে। সুদূর তুরস্কের একটি রাজনৈতিক দল সাদেত পার্টির উদ্যোগে ইস্তাম্বুলে গোলাম আযম সহ এসব অপরাধের দায়ে আটক ব্যক্তির মুক্তির দায়ে সমাবেশ হয়েছে। এই প্রক্রিয়ায় সর্বশেষ সংযোজন লন্ডন থেকে প্রকাশিত পত্রিকা দি ইকোনমিস্ট, এবং তাদের ল্যাজ ধরে ধরে বাংলাদেশের
উদ্ভট উটের পিঠে চলেছে স্বদেশ
১৯৪৭-এ বিতর্কিত দ্বিজাতি তত্ত্বের আলোকে দেশ ভাগ, ’৫২-এর স্বাধীনতার আন্দোলন, ’৬২-এর শিক্ষা আন্দোলন, ’৬৬-এর ছয় দফা আন্দোলন, ’৬৯-এর গণ অভ্যুত্থান, ‘৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা লাভ, '৯০-এ স্বৈরাচার পতন--এত রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশ, আজ কোথায়, কোন অবস্থায় আছে ! কেমন আছে আমার দেশ, দেশের মানুষ, আমার মাতৃভূমি, আমার প্রিয় জন্মভূমি, আমার স্বাধীনতা? এ বিজয়ের মাসে পরাজিত রাজাকার আর তাদের বংশধররা কার বা কাদের সহযোগিতায় ’৭১-এর মানবতাবিরোধী, কুখ্যাত রাজাকারদের মুক্তির জন্য আন্দোলন করে, দেশ ব্যাপী হরতাল করে ? কোথা থেকে তারা এত সাহস পায়? পৃথিবীর কোন দেশ ধর্মীয় জাতি সত্ত্বার কারণে বিভাজিত হয়নি, শুধু ভারত ছাড়া; কোন দেশে স্বাধীনতার যুদ্ধে পরাজিতরা মাথা তোলে কোনদিন দাঁড়াতে পারেনি; শুধু বাংলাদেশ ছাড়া।
জামায়াতের মুখ ও মুখোশ!
ধর্মটা জামায়াতের মুখোশ। ধর্মের সিঁড়িকে ব্যবহার করে অর্থ ও ক্ষমতার প্রাসাদে আরোহন যে তাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য তা আবার প্রমাণ করলো তারা। মুখোশ খুলে আবার নিজের প্রকৃত রূপ দেখালো জামায়াত। এ নিয়ে না লিখে থাকতে পারলাম না, তাই কিবোর্ড পিষতে বসলাম।
এবার জামায়াতের মুখ ও মুখোশের কথায় আসি। আজকেই একটি অনলাইন সংবাদমাধ্যম বলেছে, 'নিবন্ধন বাঁচাতে অবশেষে নিজেদের দলীয় গঠনতন্ত্রে ব্যাপক সংশোধন এনেছে স্বাধীনতাযুদ্ধে বিরোধীতাকারী ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। নতুন সংশোধনীর মাধ্যমে দলটি গঠনতন্ত্র থেকে আল্লাহ প্রদত্ত ও রসুল প্রদর্শিত ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থার কথা বাদ দিয়ে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থার কথা বলেছে।'
মুক্তিযুদ্ধ এবং অতপরঃ
ঝিক্-ঝিক্...ঝিক্-ঝিক্...করে ট্রেন চলছে দৃশ্যমান গতিতে, আর আমার জীবন চলছে অদৃশ্যমান গতিতে। যে গতির গতিময়তা কখনো আমি উপলব্ধি করি না--করতে পারি না। ট্রেনের কামড়ায় বসে আধবোজা চোখে অনুপম সেনের ‘কল্পনা’ উপন্যাসের নায়কের নিজের মতামত পড়ছি। লেখকের প্রতিটি কথা সমুদ্রের ঢেউ এর মতো আন্দোলিত করে আমার মনে। জীবনের অনেক মিল রয়েছে স্বকল্প আর আমার ব্যর্থময় জীবনের প্রতিটি ধাপে ধাপে। ছত্রিশ বছরের জীবনে আজো বিয়ে করিনি। নীড়হারা পাখি সব হারিয়ে ক্লান্ত মনে যেমন করে ভাবে, তেমনি ভাবতে ভাবতে হঠাৎ শরীরটা ঝাকুনি দিয়ে উঠলো। ট্রেন থামছে কোন এক অচেনা ষ্টেশনে। জায়গাটির নাম মনে নেই। ট্রেন থামার সাথে সাথেই আরো তিন জন মানুষ একই কামড়ায় উঠল। তিন জনের মধ্যে একজন ৪০/৪৫ বছর বয়স্ক পুরুষ, এক জন ৩০/৩২ বছর বয়স্ক স্ত্রীলোক, আরেক জন ১০/১১ বছরের বালিকা।
তৃষ্ণা
তৃষ্ণা আরো প্রবল হয়ে ওঠে ,
পানের পর পান চলতে থাকে ,
পানের পর পান অবিরত,
কাপের পর কাপ ,
উষ্ণ হাহাকার ,
গলবিল বেয়ে পাকস্থলি ,
সব ছারখার করে ,
শীতল হয় হৃতপিন্ড ।
তবু আবার ,
প্রাণের তৃষ্ণা জাগে ,
প্রাণের তৃষ্ণা প্রবল হয় ,
প্রবল থেকে প্রবলতর হয় ,
জেগে ওঠে রক্তের মোচড় ,
বাড়তে থাকে হৃদস্পন্দন ,
নীলাভ হতাশা নির্বিঘ্নে বেয়ে চলে ,
রক্তের সাথে মিলে মিশে চলে ,
ধমনী থেকে ধমনীতে ,
হৃদয় থেকে হৃদয়ে ,
হৃতপিন্ড উষ্ণ হয়ে ওঠে ,
উষ্ণতা বাড়তে থাকে ,
বাড়তে থাকে অদৃশ্য ক্ষত ,
হৃদয়ের ক্ষত ।
পানের বস্তু সুপেয় না হতে পারে ,
তবু তৃষ্ণা জাগে ,
পানের তৃষ্ণা ,
তৃষ্ণা আরো প্রবল হয়ে ওঠে ,
পানের পর পান চলতে থাকে ।
কিন্তু প্রাণের তৃষ্ণা
প্রবল থেকে প্রবলতম হয় ,
প্রাণের তৃষ্ণা মেটেনা কোনো কালে ।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (ICT) বিষয়ক বৈশ্বিক অধিবেশন
নেদারল্যান্ডস-এর হেগ শহরে গত ২১ নভেম্বর রোম সংবিধি-এর আওতাধীন ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্ট (আইসিসি)-এর রাষ্ট্রপক্ষসমূহের সম্মেলনের (Assembly of States Parties) অংশ হিসেবে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল (আইসিটি)-এর ওপর বিশেষ একটি অধিবেশন আয়োজিত হয়। মূলত দেশীয় আইনের প্রক্রিয়ায় দেশীয় ট্রাইবুনালে আন্তর্জাতিক অপরাধের বিচারের উদাহরণ হিসেবেই আইসিটি বিষয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এই আগ্রহ। এখানে উল্লেখ্য, রোম সংবিধি কেবল এ-ধরনের দেশীয় বিচারের উদ্যোগের অনুমোদনই করে না, উৎসাহিতও করে। রোমভিত্তিক সংগঠন “নো পিস উইদাউট জাস্টিস (NPWJ)”-এর উদ্যোগে আয়োজিত এই বিশেষ অধিবেশনে আইসিটি-র বিচার প্রক্রিয়া এবং এর সহায়ক কর্মকাণ্ডের সাথে সংশ্লিষ্ট আমন্ত্রিত পক্ষসমূহের মধ্যে নির্ধারিত বক্তা হিসেবে প্যানেলে উপস্থিত ছিলেন প্রসিকিউশনের প্রতিনিধি এডভোকেট সাইফুল ইসলাম তারেক, আসামী পক্ষের নিযুক্ত আন্তর্জাতিক প্রতিনিধি ব্যারিস্টার টোবি ক্যাডম্যান, ইংল্যান্ড এবং ওয়েলস বার কাউন্সিল মানবাধিকার কমিটির প্রতিনিধি মিস সোনা জলি, আন্তর্জাতিক অপরাধ আইন বিশেষজ্ঞ ড.
ফিরে দেখা ৭১ - পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ (পর্ব - ১)
[প্রথমেই বলে নিচ্ছি এই সিরিজটা প্রায় পাঁচ বছর পূর্বে অন্য একটি ব্লগে দিয়েছিলাম, তবে এবার আরো বেশী তথ্য হাতে নিয়ে শুরু করলাম, তাই বেশ কিছু পর্বে খুব বেশি মিল থাকলেও পুরো সিরিজটা হুবুহু মিলবে না। নতুন অনেক তথ্য যোগ করার আশা রাখছি।]
পাকিস্তান শাসনামল (১৯৪৭ - ১৯৭১)
পাকিস্তান মুলত এমন একটি দেশ ছিলো যার দুই খন্ডের মানুষে মানুষে শুধুমাত্র ধর্ম ছাড়া আর কোনই মিল ছিল না। হাজার মাইলের দুরত্ত ছারাও তাদের মধ্যে ছিল অনেক অমিল। সংস্কৃতি, ভাষা, আচার-আচরন এমনকি অর্থনৈতিক ব্যবধান।
পূর্ব পাকিস্তানের জনগনের সাধীনতা আন্দোলনের সুত্রপাত মুলত ১৯৫২ এর ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়েই। পাকিস্থানিরা সেদিন আমাদের মুখের ভাষা কেড়ে কিতে ছেয়েছিল যা এই অঞ্চলের মানুষ মেনে নেয়নি। ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারী পৃথিবীতে প্রথম কোন জাতি ভাষার জন্য প্রাণ দিয়েছিল।
[In 2001, UNESCO declared 21 February as International mother language day]