ইউজার লগইন
যুদ্ধাপরাধ ও বিচার
৪ এপ্রিল, জাগরণ মঞ্চের ডাক এসেছে
গত কিছুদিন ধরেই হতাশা ঘিরে ধরেছে আমাকে! বেশ কিছু কারনে ক্ষোভ জমেছে মনে! না পাওয়ার ভয় গুলোকে এতোদিন ইগ্নোর করছিলাম তবে গত কয়েকদিন সেই ভয় গুলোই সামনে এসে দাড়াচ্ছে বার বার! হ্যা, এই সব কিছুই শাহবাগ, প্রজন্ম চত্তর কে ঘিরে! ভাবছিলাম কি হবে শাহবাগ গিয়ে? এই আন্দোলনের সাথে থেকে? কেনো নিজের সময় নষ্ট করে যাচ্ছি ওখানে? যারা বিরোধীতা করছে কেনো তাদের সাথে লড়াই করে যাচ্ছি অনলাইনে? কেনো আজ আমার সব কিছুতেই শাহবাগ?
সব কয়টি প্রশ্নের উত্তর আমার কাছে স্পষ্ট! এই বাংলাদেশ যারা গড়ে দিয়ে গেছেন তারা একটি চেতনা বাস্তবায়ন করতে চেয়েছিলেন এবং আমি সেই চেতনা গুলোকেই বাস্তবায়ন করতে চাই! তাদের বিসর্জন গুলো বৃথা যেতে দিবোনা আমি! আমি তাদের অসমাপ্ত কাজ গুলো করার জন্য একটু ভাগিদারী হইতে চাই! হ্যা, পাওয়ার যায়গাটুকু হয়তো খুব সামান্য, তাই বলে কি আমি পিছু হাটবো? নাহ, আমি পিছু হটছিনা! আমি লড়াই করে যাবো! আমি আছি শাহবাগে!
লাল সবুজের মাঝের হলুদ মানচিত্র
খুব সাধারণ একজন ব্লগার, হয়তো ব্লগার হিসেবে খুব কম মানুষের কাছেই পরিচিত, তবুও আজ মনের কিছু অব্যক্ত কথা আর চেপে রাখতে না পেরে কি-বোর্ড নিয়ে বসে পড়ি।
গত চারদিন, খুব বেশি অনিচ্ছা স্বত্তে অনলাইন থেকে দূরে ছিলাম। না, আমি দূরে ছিলাম না। কৌশলে চোখ রাখছিলাম কিছু পুরোন বন্ধুর উপর। হ্যাঁ। কারণ, তারা বার বার আমার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করার পূর্বে বলছিলো তারা নাকি চায় যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কিন্তু তা হতে হবে স্বচ্ছ নিরপেক্ষ। আমি তাদের কথায় দ্বিধান্বিত ছিলাম না মোটেই, কিন্তু তাদের জন্য করুণা হচ্ছিলো আমার খুব। কেন? কারণ তারা তাই করছিলো যা তাদের দ্বারা করাতে চাচ্ছে তাদের পরিচালকবৃন্দ তথা জামায়াত-শিবির।
খুব ছোট বেলার এক বন্ধুর সাথে আমার সম্পর্ক ছিন্ন হয়েছে যা এর আগের পোস্টে উল্লেখ করার কারণে কিংবা ব্যক্তিগত পরিচয় থাকার কারণে জানেন অনেকেই। আজ কি তার কথা বলবো? হ্যাঁ কিছুটা তবে আজ শুধু তার কথায় বলবো না।
গণজাগরণ মঞ্চের নতুন কর্মসূচী ও আমার ভাবনা
গণজাগরণ মঞ্চ থেকে নতুন কর্মসূচী ঘোষনা করা হয়েছে! বিচার ও জামাত শিবির নিষিদ্ধের দাবী নিয়ে আগামী ৩১ মার্চ যাচ্ছি জাতীয় সংসদে এবং ৪ এপ্রিল যাচ্ছি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে! মিছিল করে, স্লোগান দিয়ে যাবো আমরা! এই কর্মসূচীর প্রতি আমার সমর্থন আছে!
আমি কখনই জাগরণ মঞ্চের কোন কর্মসূচীকে ছোট করে দেখার সাহস করি নাই! বরং মনে হইসে, মঞ্চের কর্মসূচী গুলোর সাথে থাকতে হবে আমাকে এবং সবাইকে! কর্মসূচী গুলোর মূল শক্তিটা আসলে এইখানেই, মানে জনগনই মূল শক্তি! এই শক্তিই পারে আমাদের দাবী গুলো পূরণ করাতে!
গোয়িং ব্লাক আউট: বার্থ থ্রু জেনোসাইড [অন্ধকারে নিমজ্জন অত:পর একটি রক্তস্নাত জন্ম]
২৫শে মার্চ, ১৯৭১- রাতের আঁধারে নেমে আসে হিংস্র হানাদারবাহিনী। ঘটে ইতিহাসের জঘণ্যতম গনহত্যা। আমরা স্মরণ করতে চাই সেই সকল শহীদদের। আমাদের হৃদয়ের গভীর থেকে তাদের প্রতি আমাদের সম্মান জানাতে চাই।
মনে করিয়ে দিন বিশ্বকে, সেই গনহত্যার কথা, যা আজও আমরা ভুলি নি। মনে করিয়ে দিন সেই জেনোসাইডের কথা, যার জন্য আজও ক্ষমাপ্রার্থনা করে নি পাকিস্তান আমাদের কাছে।
২৫শে মার্চ আমরা ৫ মিনিট ব্লাকআউট করবো। ঘরের সকল আলো নিভিয়ে দেব। নিজেদের প্রোফাইল পিকচার কালো করে দেব। সামনে থাকা কম্পিউটার/ল্যাপটপ বন্ধ করে দেব। ৫টি মিনিট কাটাবো আমরা অন্ধকারে, শহীদদের প্রতি সম্মানার্থে।
ব্ল্যাক আউট হয়ে যাক বাংলাদেশ। ১৯৭১ এর সেই কালো রাত- ২৫শে মার্চের স্মরণে।
গোয়িং ব্লাক আউট: বার্থ থ্রু জেনোসাইড
ফেইসবুক ইভেন্ট লিঙ্কঃ https://www.facebook.com/events/111707482353513/
তারিখ: ২৫শে মার্চ
বাংলাদেশ সময়: রাত ১১.৫৫ - ১২.০০
সাথে থাকুন। আমরাই আপনারা, আপনারাই আমরা।
একটি দুঃস্বপ্নের রাত এবং আজকের প্রেক্ষাপট
কোন কোন জাতির ইতিহাসে এমন কিছু সময় থাকে যা হাজার বছরেও হারিয়ে যায় না। একটি জাতি যুগ যুগ ধরে আগলে রাখে সেই গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস। বাঙালি জাতির ইতিহাস তেমনি এক গৌরবগাঁথা, দীর্ঘ নয় মাস ধরে অনেক ত্যাগে রচিত এক মহাকাব্যিক অমরগাঁথা। আমাদের মুক্তিযুদ্ধ। বিশ্ব মানচিত্রে নতুন দেশ হিসেবে নাম লেখাতে গিয়ে হারাতে হয়েছে অনেক তাজা প্রাণ। কেউ কেউ হারিয়েছেন তাঁদের জীবনের আরও মূল্যবান কিছু। এই হারানোর সূচনা হয়েছিল আজ থেকে বিয়াল্লিশ বছর আগের এক রাতে।
একটি রাত। হয়ত কারো কারো জীবনের মধুর রাত কিংবা কোন কোন পরিবারে আপনজনদের নিয়ে আনন্দমুখর রাত! কত স্বপ্ন নিয়েই মানুষ রাতে ঘুমাতে যায়, রাত পোহালেই দেখবে একটি সুন্দর সকা। কিন্তু কখনো কখনো সেই স্বপ্নের রাতই হয়ে ওঠে দুঃস্বপ্নের; বিভীষিকাময়য়। তেমনি একটি রাত- ২৫শে মার্চ, ১৯৭১। আজ থেকে বিয়াল্লিশ বছর আগে বাংলার ইতিহাসের ভয়ঙ্করতম একটি রাত, যা আমাদের কাছে আজও কালোরাত হিসেবে পরিচিত। কি ঘটেছিল সেদিন তা আজ আর কারো অজানা ন।
শাহবাগ এর কথিত 'নাস্তিকতা' এবং ‘সত্যব্যবসায়ীদের’ যুথবদ্ধতা
সত্যের বিপরীতে প্রতিক্রিয়াশীল শক্তির ধর্মাশ্রিত মিথ্যাচার এবং ধর্মের মতলবী ব্যবহার নতুন নয়; পৃথিবীর ইতিহাসে এ পদ্ধতি পুনপৌনিকভাবে ব্যবহার করেছে অপশক্তিসমূহ। মৌলবাদীশক্তি। প্রতিক্রিয়াশীল সাম্প্রদায়িক শক্তি। সামরিক শক্তি। এমনকি গণতন্ত্রের লেবাসে অগণতান্ত্রিক শক্তি। বুদ্ধিজীবিতার ছলে বুদ্ধির বিকিকিনিতে অভ্যস্ত পেশাদার বুদ্ধিজীবীমহলও। সুতরাং মতাদর্শিক লড়াইয়ে টিকতে না পারার ভয় ও শংকায় আকন্ঠ নিমিজ্জিত হয়ে কাউকে বা কোন একটি গোষ্ঠীকে ‘নাস্তিক’ বিধর্মী’ হিসেবে আখ্যায়িক করা একটি পুরনো প্রতিক্রিয়াশীল কৌশল। খ্রীস্টেরও জন্মের প্রায় চারশ’ বছর আগে, খ্রীস্টপূর্ব ৩৯৯ সালে এ কৌশলটি ব্যবহার করেছিল সে সময়ের প্রতিক্রিয়াশীল শক্তি। সক্রেটিস এর বিরুদ্ধে। সে সময় একই অভিযোগে সক্রেটিসকে অভিযুক্ত করা হয়েছিল। বলা হয়েছিল সক্রেটিস নাস্তিক। সক্রেটিস ধর্মে বিশ্বাস করেন না। সক্রেটিসের চিন্তা, যৌক্তিকতা আর

আস্তিক, নাস্তিক এবং ছাগু
্বেশ দীর্ঘ সময় ধরে ব্লগে লেখা হয়ে উঠেনি । লেখার মতো কোনো বিষয় ছিলো না এমন নয়। তবুও লেখা হয়নি। আমি বরাবরই "ব্যাক ব্যাঞ্ছার" ছিলাম। ব্লগ লেখাতে ও তার ব্যতিক্রম নই। যখন ই কোনো লেখা লিখবো বলে স্থির করি তার আগেই তা নিয়ে ব্লগের পাতা ভর্তি হয়ে যায়।। ওই সব লেখা পড়ার পর আর নিজের লেখা হয়ে উঠেনা। আস্তিকতা, নাস্তিকতা কিংবা ছাগু এটাও খুব পুরোনো বিষয় , তবুও আজ লিখতে হচ্ছে এইটা নিয়ে। আশা করি লেখাটা আমি সবাইকে বুঝাতে পারবো । আমার বুঝিয়ে বলার ক্ষমতা কম । তাই যারা পড়বেন তাদের বলছি। পড়ার সময় একটু ধৈর্য্য নিয়ে পড়বেন।
বর্তমানের প্রচলিত তিনটা শব্দ আস্তিক, নাস্তিক এবং ছাগু। সমমনা ব্যতীত অন্য কারো কাছ থেকে এই উপাধি গুলোর কোনোটা না পেয়ে থাকলে বুঝতে হবে আপনি কথা কম বলেন। আর যদি বলে থাকেন , তাহলে এতোদিনে যে কোনো একটা পেয়ে গেছেন । অবশ্য আস্তিক উপাধিতে কেউ গালি দেয়না। তবে আস্তিক শব্দটা নাস্তিক এর বিপরীত হিসেবে মুখে মুখে চলে এসেছে। তাই আস্তিক শব্দটা নিয়ে কিছু বলার নাই।
ভাষাচিত্র-০১১ : সাধারণ মানুষের সংলাপ
স্থানীয় বাজারের একটি চায়ের দোকানে বসেছি চা খেতে। চায়ের অর্ডার দিলাম। দোকানের ২০ ইঞ্চি কালার টিভিতে একটি বেসরকারী চ্যানেলে চলছে প্রজন্ম চত্বরের সরাসরি সম্প্রচার। ব্লগার ও অনলাইন এক্টিভিটিস্ট ফোরামের আহবায়ক ইমরান এইচ সরকার ঘোষনা করছেন- একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগের বিচারে ফাঁসির রায় হওয়া রাজাকার দেলোয়ার হোসেন সাইদী ও অন্যান্য রাজাকারের ফাঁসি কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরে যাবোনা। আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।.. সম্ভবত ক্যাবল কানেকশানে কোনো ত্রুটির কারনে সম্প্রচারে বিঘ্ন ঘটলো।
দোকানের সামনের বেঞ্চিতে বসে টিভি দেখছিলেন ৭/৮ জন মধ্যবয়স্ক লোক আর একজন প্রবীন। প্রবীন লোকটিকে আমি চিনি। তিনি সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন মানে সরাসরি অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করেননি। মুক্তিযোদ্ধাদেরকে নানা প্রয়োজনীয় জিনিস সরবরাহ করতেন। তারা কথা বলছেন টিভির খবরটি নিয়েই..
(আঞ্চলিক বাংলায় বলা তাদের সংলাপগুলো আঞ্চলিক ভাষাতেই প্রকাশ করলাম)
মধ্যবয়স্ক ক: এইগুলা তো দেহি ভালাই সুবিদা পাইয়া লইছে..
মধ্যবয়স্ক খ: সুবিদা ত পাইবোই। তিনবেলা বালা বালা খাওন পাইতাছে।
সতেরো কোটি জানোয়ারের দেশ ?
দাঁড়িটুপি মানেই জামাত না, তাহলে শোলাকিয়ার পীর শাহবাগে গিয়ে সংহতি জানাতেন না
আবার দাঁড়িটুপি মানেই ফেরেশতা না, তাহলে নিজামী, সাঈদী, গোয়াজম, মুজাহিদ এরা সবাই ফেরেশতার কাতারে পড়তো
ইসলাম মানেই যেমন জামাত না, তেমনি জামাত মানেই ইসলাম না
ইসলামের সমালোচনা করা মাত্রই সে জানোয়ার না, তার জীবনের অন্য অনেক মূল্যবোধ থাকতে পারে যাকে শ্রদ্ধা করা যায়
ইসলামকে ভালোবাসা মাত্রই সে অটোম্যাটিকালি মহামানব না, তার জীবনের অনেক মূল্যবোধ থাকতে পারে যেটা ঘৃণিত
ইসলাম পৃথিবীর একমাত্র ধর্ম না, ইসলাম শুধুমাত্র তার অনুসারীদের কাছে শ্রেষ্ঠ ধর্ম
ইসলাম বাংলাদেশেরও একমাত্র ধর্ম না, ইসলাম শুধুমাত্র বাংলাদেশের অনেকগুলো ধর্মের মধ্যে একটা ধর্ম
ধর্মবিশ্বাস কারো জন্য কাজ করে, ধর্মবিশ্বাস কারো জন্য কাজ করেনা। এইজন্য অটোম্যাটিকালি কেউ কারো থেকে উচ্চস্তরের বা নিম্নস্তরের হয়ে যায়না
ধর্মবিশ্বাস এক হলেও তাকে মাথায় তুলে নাচার কিছু নেই, আবার ধর্মবিশ্বাস ভিন্ন হলেই তার বাড়িতে আগুন দেয়ার বা তাকে ধর্ষণ করার কিছু নেই
সাঈদীর মামলার রায় ও বীরঙ্গনাদের প্রতি ইতিহাসের দায়
ব্লগারদের অনেকেই হয়তো ২০০৯ সালে ব্লগে প্রকাশিত 'একাত্তরে নারীর বিরুদ্ধে অপরাধ' শীর্ষক আমার লেখাটি পড়েছেন। সেই সময় থেকেই আমি একাত্তরের কিছুটা অনালোচিত এই অধ্যায়টি নিয়ে গবেষণা করে যাচ্ছি। এ সম্পর্কিত কোন বই, জার্নাল, গবেষণাপত্র, নিবন্ধ যখনই কোথাও পেয়েছি তা সংগ্রহ করার চেষ্টা করেছি। সাঈদীর মামলার বিচার প্রক্রিয়ার দিকে বেশ কয়েকটি কারণে আমার আলাদা মনোযোগ ছিল। সাঈদীর মামলা এমন একটি মামলা, যেখানে ধর্ষণের অভিযোগ ছিল, ধর্ষণের জন্য অপহরণ করে আটক রাখার অভিযোগ ছিল, জোরপূর্বক গর্ভধারণে (forced pregnancy) বাধ্য করার অভিযোগ ছিল, এমনকি জেনোসাইডাল রেপ অর্থাৎ গণহত্যাসম্পর্কিত ধর্ষণের অভিযোগও ছিল। এই অভিযোগগুলোতে সাঈদীর কী দণ্ড হয় তাই দেখার অপেক্ষায় ছিলাম। ২৮ ফেব্রুয়ারির ১২০ পৃষ্ঠার রায়ে ৮ ও ১০ নম্বর অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ ফাঁসির মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার আদেশ প্রদান করেছে। দুইটি অভিযোগই হত্যাকাণ্ড সম্পর্কিত। ৮ নম্বর অভিযোগে ইব্রাহিম কুট্টিকে হত্যার অভিযোগ আনা হয় সাঈদীর বিরুদ্ধে। ১০ নম্বর অভিযোগে বিসাবালি হত্যার অভিযোগ আনা হয় সাঈদীর বিরুদ্ধে। দুটি অভিযোগেই রাষ্ট্রপক্ষ প্রত্যক্ষ স্
পক্ষ নিলে রক্ষা নাই
গত কিছুদিন আগে ঢাকা থেকে সিলেট আসার পথে বাসে একটা নাটক দেখলাম, প্রথমে নাটকের প্রতি আমার মনযোগ ছিলোনা কিন্তু যখন দেখলাম নাটকটি মুক্তিযুদ্ব ভিত্তিক তখন আগ্রহ নিয়ে নাটকটির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দেখলাম। নাটকের কাহিনী ছিলো এমন-
২৮শে ফেব্রুয়ারী ২০১৩
সকাল থেকে বসে ছিলাম দুরুদুরু বুকে। ৫ই ফেব্রুয়ারী কি আবার ফিরে আসছে আমাদের বাংলায়? আবার কি ফুঁসে উঠবে সবাই? নাকি হতাশা নিয়ে ফিরে যাবো ঘরে, পরাজিত কুকুরের মত মাথা নীচু করে...
সময় কাটে, বুকের ধুক ধুক শব্দ বাড়তেই থাকে। এমন অপেক্ষা করি নি কখনো। যদিও সকল লজিকাল পথ গিয়ে একটা পথেই মিলছিলো, তবুও চিরদিনের পেসিমিস্ট মন মাথা চাড়া দেয়। যদি কোনো কম্প্রোমাইজ করা হয়, যদি আমাদের আবেগ নিয়ে আবার খেলা হয়...
বাসায় টিকতে না পেরে ছুটে যাই অফিসে, একটা দু'টো ছোট কাজ সেরে নিষ্পলক তাকিয়ে থাকি ফেসবুকে। একটু পরে পরেই রিফ্রেশ দেই পেজ, অপেক্ষার প্রহর দীর্ঘতর হ'তে থাকে। অস্থিরতা বেড়েই চলে...
অফিসও অসহ্য লাগতে থাকে। শাহবাগ হাতছানি দিয়ে ডাকতে থাকে। অফিস থেকে শাহবাগে চলে যাই। শাহবাগ যেতে যেত মনে পড়ে ৫ তারিখের কথা। সে সময়ের হতাশা, তার পরে সেই হতাশা থেকে আশার সঞ্চার। তবুও মনের আশঙ্কা কমে না। যদি কোন খেলা চলে...
শাহবাগে গিয়ে একে একে দেখা হয় অনেকের সাথেই। সবাই শংকিত, সবার মনেই কি হয় কি হয় ভাব...
দায়শোধ [৪র্থ পর্ব]
রায়গুলো সে হয়েই আছে কবে,
কালকে বুঝি সেই ঘোষনাই হবে,
লক্ষ মানুষ যাচ্ছে দিয়ে রায়,
প্রাপ্য যা যার, পায়-ই যেন পায়!
চুপটি যারা, কোটির ভিড়ে থেকে,
নিজের মত, যাচ্ছে কেবল দেখে,
ওদের চাওয়াও মিশছে একই রেখায়,
আসবে বুঝি বিচারপতির লেখায়!
অন্যায় যে করল জেনে বুঝে
মাস ঘুরে যাক বছর পেরোক শত,
তার অপরাধ হয় না ক্ষমা কোন,
শুকোয় না আর দগদগে সেই ক্ষত!
ইতিহাসের মলাটবাঁধা পাতায়
অন্যায়েরা শব্দ হয়ে বাঁচে,
অপরাধীর ফাঁস পরাবে বলে
আঁচ হয়ে যায় আইনে গড়া ছাঁচে!!
ছোট্ট একটি অনুরোধ
চিঠিটা তার পকেটে ছিল,
ছেঁড়া আর রক্তে ভেজা।
সময়কালটা ঠিক মনে নেই, আমার ফেলে আসা বালক বেলার কোন এক সময় প্রথম পড়েছিলাম কবিতাটি। অসম্ভব প্রিয় একটা কবিতা। আর এই লাইন দু’টি সেই সময় থেকেই মনে গেঁথে যায় গভীরভাবে। ছোট দু’টি লাইন কিন্তু কি বিশাল ব্যাপ্তি! লাইন দু’টির কথা ভাবলেই নিমেষেই মনে ভেসে ওঠে কবিতাটি আর সেইসাথে একাত্তরের দৃশ্যপট! ছেলের জন্য মায়ের অধীর প্রতীক্ষা, কবে ফিরবে খোকা!
একাত্তরে অনেক খোকাই আর ফেরেনি! অনেক মা ই চোখের জলে বুক ভাসিয়েছেন বাকীটা জীবন। তারপর, সেই শূন্য বুকেই হয়ত বেশীর ভাগ মা ই চলে গেছেন আজ অন্য ভুবনে। তাদের ত্যাগের বিনিময়ে আজ আমরা এই স্বাধীন বাংলায় বুক ভরে নিঃশ্বাস নিতে পারছি। কিন্তু আমরা তাদের কি দিয়েছি?
যাদের কারণে জাতি হারিয়েছে তাদের সূর্য সন্তানদের, জাতিকে যারা মেধাশূন্য করার নীল নকশায় মেতেছিল, আজ তাদের বিচারের প্রশ্নে অনেক মানুষকেই দেখি দ্বিধান্বিত! খুব খারাপ লাগে, মনে প্রশ্ন জাগে এরা কি এ দেশের মানুষ? দেশের জন্য এদের মনে কি কোন ভালবাসা নেই? কি করে এরা এই ঘৃণ্য পশুদের পক্ষে কথা বলে!
প্রজন্মের যুদ্ধ - গর্জে ওঠা শানিত কণ্ঠস্বর!
সময়ের অভাবে ব্লগে লেখা কমে গেছে অনেক, তার উপর শাহবাগ কিছুটা সময় কেড়ে নেওয়াতে লেখা আরও হয়ে ওঠে না। প্রজন্ম চত্বরের অভিজ্ঞতার কথাগুলো লেখা হয়নি এতদিনেও। লিখতে গেলে মনে হত এ তো সবারই জানা কথা! এই সময়ে সবাই কম বেশী শাহবগের বাসিন্দা, মানুষজন দেখি নিয়মিত লেখে। বেশীর ভাগই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, জামাত শিবির নিষিদ্ধকরন, প্রজন্ম চত্বর নিয়েই লেখা! পড়তে পড়তে মনে হয় আমার না লেখা কথাগুলো তো লোকজন লিখে ফেলেছে, আমি আর কি লিখবো! তবুও আজ মনে হল নিজের কিছু অনুভূতির কথা অন্তত লিখে রাখি।