ইউজার লগইন
যুদ্ধাপরাধ ও বিচার
জ্বেগে উঠো বাংলাদেশ, প্রতিরোধের এইতো সময় - দাবি একটাই সব রাজাকারের ফাঁসি চাই।
প্রিয় বাংলাদেশ জ্বেগে উঠো, প্রতিরোধের এখনই সঠিক সময়। এখন যদি আমরা না জাগি ভবিষৎ প্রজন্ম আমাদের ক্ষমা করবেনা। যেখানে জামাত সেখানে প্রতিরোধ। ছাত্র, শিক্ষক, ব্যাবসায়ী, চাকরিজীবি, দিনমজুর, কৃষক, রিক্সাওয়ালা, ফেরিওয়ালা, আবাল বৃদ্ব বণিতা জেগে উঠুন। বিষ দাঁত এখনই উপড়ে না ফেললে মাতৃভূমি আমাদেরকে ক্ষমা করবেনা।
একজন ছিনতাইকারি ধরা পড়ার পর যেমন করে গনরোষের শিকার হয়, যেমন করে রাস্তায় থাকা সব মানুষ ওই ছিনতাইকারিকে গণপিঠুনি দিতে কার্পণ্য করেনা এর থেকেও ভয়ংকর ভাবে জেগে উঠুন। শুধু মাত্র আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দিকে থাকিয়ে না থেকে যার যার অবস্থান থেকে প্রতিরোধের এইতো সময়। যেখানে জামাতশিবির ভাংচুর, বিশৃঙ্খলা করতে চাইবে সেখানেই প্রতিরোধ। যেখানে এই অপঃশক্তি বিশৃঙ্খলা করতে চাইবে সেখোনেই প্রতিরোধে এগিয়ে আসুন ছাত্র, শিক্ষক, চাকুরে, দোকানদার, ফেরিওয়ালা, রিক্সাওয়ালা সবাই মিলে ঘিরে ফেলুন পালানোর পথ পাবেনা। আসুন আমরা যে যার অবস্থান থেকে এই মূহুর্ত থেকে প্রতিরোধ করি। আর আমরা নিরব পথচারীর মতো দাঁড়িয়ে থেকে এই কুলাঙ্গারদের বিশৃঙ্খলা সহ্য করবনা।
দাবি একটাই সব রাজাকারের ফাঁসি চাই।
চলরে মনা শাহবাগে
আমরা চেয়েছি ঢেউ লাগুক
আমরা চেয়েছি বাঙালি জাগুক।
ঢেউ এসেছে, জোয়ার উঠেছে
চলরে মনা শাহবাগে।
একদফা এক দাবী
যুদ্ধাপরাধীর চাই ফাঁসী।
রাখাল রাজা দেখে যাও
আজো আমরা ঘুমাই নাই
শহীদ মাতা ভেবো না
ফাঁসীর দাবী ছাড়ি নাই।
আজ আমরা এক হয়েছি
সুর বেঁধেছি এক
যুদ্ধাপরাধীর চাই ফাঁসী
কথা হয়েছে অনেক।
পাকির দালাল, ভারতের দালাল
রুশ, চিনা কতই না দেখেছি
এবার মোরা কসম কেটেছি
বাংলাদেশী দালাল হলাম
হলাম বাংলা মায়ের কেনা গোলাম।
আমরা চেয়েছি ঢেউ লাগুক
এই ঢেউয়ে ভেসে যাবে যুদ্ধাপরাধী
আমরা চেয়েছি জোয়ার উঠুক
এই জোয়ারে ভেসে যাবে ধর্মব্যবসায়ী।
একদফা এক দাবী
যুদ্ধাপরাধীর চাই ফাঁসী।
চলরে মনা শাহবাগে
দাবী আদায় করতে হবে।
মন খারাপের দিন
আমার মেয়ে মাত্রই দশে পা দিলো। তাকে আমি সজ্ঞানে কখনো সেভাবে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে গল্প করিনি। একটা বিরাট কারণ প্রবাসীনি হওয়ায়। আর মায়ের কাছে সন্তান সবসময় ছোট থাকে। মনে হতো এতো ভয়াবহ ঘটনা বাচ্চার মনে খারাপ প্রভাব ফেলবে, আর একটু বড় হোক সে, তারপর জানবে সব। কিন্তু যা হয়, বাসায় আলোচনা শুনে শুনে, খালা – মামা, গুগল থেকে সে জানে, ৭১ এ পাকিস্তানীরা বাংলাদেশের সাথে “অনেক খারাপ” করেছিলো। মানুষ মেরে ফেলেছিলো, তাই পাকিস্তানীরা বাংলাদেশের বন্ধু নয়, আমরা কখনো কোন কাজে পাকিস্তানকে সমর্থন করতে পারি না, এটা কখনো আর সম্ভব নয়। যেহেতু এটা সে জানেই, তাকে আমি “আমার বন্ধু রাশেদ” সিনেমাটা বেশ কয়েকবার দেখতে দিয়েছিলাম। আমার মনে হয় আমাদের বাচ্চাদের ধারাবাহিকভাবে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বলার এর থেকে সুন্দর উপায় আর হয় না। মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যারকে আমি অনেক কারণেই অসম্ভব শ্রদ্ধা করি, তারমধ্যে এটিও একটি কারণ।
প্রতিবাদে উত্তাল শাহবাগ ০৫/০২/২০১৩
সকালে অফিসে যাইনাই, ভাবছিলাম মিরপুরের কসাই রাজাকার কাদের মোল্লার ফাঁসির রায়টা টিভিতে শুনেই একবারে বের হবো। কিন্তু কি থেকে কি হয়ে গেলো... কিচ্ছু বুঝতে পারলাম না... সকাল সাড়ে এগারোটার দিকে আম্মুর সাথে খানিক্ষণ তর্কও করলাম, ফাঁসি ছাড়া অন্য কোনো রায় কেন হবে না সেইটা নিয়া... কিন্তু যখন রায় শুনলাম, তখন হতাশা-ক্ষোভ-রাগ সবগুলা একবারে ঝাঁপায়া পড়ল...
ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ দেখতেছিলাম ফেসবুকে, এর ভিতরেই হঠাত দেখলাম আজকেই এই হঠকারী রায়ের প্রতিবাদে শাহবাগে সমাবেশ। কিছু না ভাইবাই রওনা দিলাম।
জমায়েত দেখে শুধু একটা শব্দই মুখে আসছে
অভূতপূর্ব
সবাই যতটা স্বতস্ফুর্ত ভাবে যোগ দিছে এই সমাবেশে...
আর বেশী কিছু না বইলা কিছু ছবি শেয়ার করি...
যুদ্ধাপরাধের বিচারের আজকের রায়.. হতাশা :(
যুদ্ধাপরাধের বিচারের দায় আমরা বয়ে বেরাচ্ছি অনেক দিন। দীর্ঘ ৪১ বছর পর ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ তারিখে ১৬ কোটি মানুষের আকাঙ্খা'র প্রথম রায় পায় বাংলার জনগন। বাংলাদশের স্বাধীনতা যুদ্ধের চার দশক পর সেই যুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আবুল কালাম আযাদ ওরফে বাচ্চু রাজাকারের ফাঁসির আদেশ হয়েছে। হাসি কান্নায় উদ্বেলিত বাংলার মানুষ... চার দশক ধরে বয়ে বেড়ানো এ দায়... আমরা ভুল রাজনীতির কারণে বয়ে বেরাচ্ছিলাম... প্রথম রায়ের পর স্বাভাবিক ভাবেই আমাদের দৃষ্টি কেন্দ্রভূত হয় বাকি বিচারের। আজ কাদের মোল্লার অপকর্মের বিচারের রায় ঘোষনা হয়। আমরা মর্মামহত ... সত্যি মর্মাহত..
এক নজরে আজকের বিচারের রায়:
১ম অভিযোগ :
তিনি একাত্তরের ৫ এপ্রিল মিরপুর বাঙলা কলেজের ছাত্র পল্লবকে গুলি করে হত্যার নির্দেশ দেন
রায়: ১৫ বছর কারাদণ্ড
২য় অভিযোগ :
একাত্তরের ২৭ মার্চ তিনি সহযোগীদের নিয়ে কবি মেহেরুননিসা, তাঁর মা এবং দুই ভাইকে মিরপুর ৬ নম্বর সেকশনের বাসায় গিয়ে হত্যা করেন
রায়: ১৫ বছর কারাদণ্ড
৩য় অভিযোগ :
দায়শোধ
রক্তে যাদের হাত রাঙ্গা আর
বিবেক অকালমৃত,
সব অধিকার কাড়ায় যাদের অকর্ম
স্বীকৃত,
হয়নি যাদের অন্যায়বোধ, অপরাধেও
সায়,
দোষ স্বীকারের প্রহসন আর ক্ষমাও
যদি চায়-
হয় না ক্ষমা জীবন নেয়ার,
হয় না ক্ষমা ক্রোধের,
হয় না ক্ষমা আঘাত হানা আর
আসুরিক বোধের,
হয় না ক্ষমা চোখের জলের,
লজ্জা অপমানের,
হয় না ক্ষমা দম্ভ মুখোশ
কিংবা কোন ভানের,
হয় না ক্ষমা অসহায়ের
সহায়খানি কাড়ার,
হয় না ক্ষমা মনের পশু
বাইরে এনে ছাড়ার,
হয় না ক্ষমা অধিকারে অন্যায্য
কোন্ দাবী,
হয় না ক্ষমা হয় না ক্ষমা হয়
না ক্ষমা; ভাবি-
দিন যত যাক বছর ফুরাক এক
বিচারক আছে
সব অপরাধ গর্হিত আর ঘৃণার
যে তাঁর কাছে
তাঁর কলমে আসবে যেদিন শেষ
বিচারের রায়
সব জানোয়ার নিপাত যাবে,
কাটবে মনের দায়!!
আঁটকে থাকা কাঁটা
আমাদের দেশ সংস্কৃতি এবং সাহিত্যে বেশ সমৃদ্ধই বলা যেতে পারে। বক্তার সংখ্যার হিসেবে বিশ্বে ৭ নম্বর অবস্থানে রয়েছে আমাদের ভাষা। ৫২ এর ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এ জাতী তার মুখের ভাষা হিসেবে ধরে রেখেছে এ ভাষাকে। এজন্য অবশ্য ইউনেস্কো থেকে আমরা একটি দিনের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিও আদায় করে নিয়েছি। আমাদের এই ভাষায় কিছু বললে এনকার্টার আনুমানিক হিসেব অনুযায়ী অন্তত বিশ্বের বিশ কোটি মানুষ তা বুঝতে পারার কথা। আর যারা লিখাপড়া জানেন তারাতো বাংলায় কিছু লিখলে পড়তে পারার কথা। এটা আমাদের ভাষার লেখকদের বেশ উৎসাহ যুগিয়েছে। এটা অবশ্যই একটা ভাল দিক। তবে একথাও সত্য যে ব্লগিং এর একটা বিশার ভূমিকা আছে নবীন লেখকদের সাহস যোগানোর পেছনে।
বাচ্চুতো গেছে এবার সাইদী...
অন্ধকারে ছিলাম আমি, আমার দেশ... এই অন্ধকার ছিল ৩০ লক্ষ শহীদের হত্যার বিচার না করার অন্ধকার... এই অন্ধকার ছিল ২ লক্ষ সম্ভ্রম হারা মা বোনের গলা ফাটানো আর্তনাদের ফলে নেমে আসা অন্ধকার... এই অন্ধকার ছিল রাজাকার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার অন্ধকার... এই অন্ধকার ছিল রাজাকারদের স্মৃতিসৌধে ফুল নিয়ে যাওয়ায় নেমে আসা অন্ধকার, গাড়িতে করে দেশের পতাকা বয়ে বেড়ানোর অন্ধকার... এই অন্ধকার ছিল ৭১ এর পরবর্তী হত্যাকারীদের,
ধর্ষণকারীদের নিজের কাপরের নিছে আলো জ্বালিয়ে আশ্রয় দেওয়ার ফলে নেমে আসা অন্ধকার...
পাঁচ পাঁচটি পার্সেন্ট কতটুকু হেলা করা যায়?
ওরা পাঁচ পারসেন্ট ওরা গিরগিটি, বর্ণচোরা
গিরগিটি যখন অজগরের সওয়ার
তখন চিন্তা করতই হয়।
ওরা আল্লাহ বেচে খায়, ধর্ম দিয়ে মানুষ চিনে
দাঙ্গার প্রয়োজনে ওরা মসজিদ ভাঙে;
ধার্মিককে কোরআন হাতে নিয়ে দেখাতে হয় না,
দুষ্কৃতিকারীর ছলের অভাব হয় না;
তোমরা ওদের হেলা করতে পার আমি পারি না।
একথা আমি ভুলি নাই--
তারাই ক্ষমতায় ছিল যারা স্বাধীনতার শত্রু।
দেশ জুড়ে সিরিজ বোমা হামলা আমি ভুলি নাই,
বাংলাভাইকে আমি ভুলি নাই,
২১শে আগস্ট, রমনার বটমূল
কোনটাই আমি ভুলি নাই।
ভুলি নাই হাটহাজারি,
ভুলি নাই আহাজারি রামুতে সাতক্ষীরায়।
ভুলি নাই শৈবাল সাহা পার্থের মায়ের কান্না,
ভুলি নাই ভোলা যায়ও না।
এসব অজগর ও তাদের সওয়ারির মিলিত ফল।
ওদের স্ট্রং ইকোনমি আমি দেখেছি,
ওদের সাংগঠনিক শক্তি আমি দেখেছি। আমি চট্টলাবাসী।
দেখেছি তারা বিশ্বাস নিয়ে খেলে
কি করে মানুষকে উন্মত্ত করে তোলে।
ইকোনমিস্ট-আমার দেশের অপপ্রচারণা : ষড়যন্ত্রের নতুন ফ্রন্ট (প্রসঙ্গ: ICT হ্যাকিং)
বাংলাদেশের চলমান আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল শুরু থেকেই নানা ধরণের শত্রুর মোকাবেলা করে কাজ করছে। দেশে এবং বিদেশে, মিডিয়ায় অথবা আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ফোরামে বিরামহীনভাবে চলছে অপপ্রচারণা, ট্রাইবুনালের ইমেজ ধ্বংস করার চেষ্টা, ট্রাইবুনালের কাজকে ব্যাহত করার অপচেষ্টা। আমরা দেখেছি বহির্বিশ্বে টবি ক্যাডম্যানের মতো লোকেরা কীভাবে ট্রাইবুনাল সম্পর্কে মিথ্যাচার করে বেড়িয়েছে, দেখেছি আলি আলগামদির মতো মিডিয়াবাজেরা সৌদি আরব সহ বিভিন্ন দেশের পত্র-পত্রিকায় বাংলাদেশ এবং ট্রাইবুনাল সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা ছড়িয়েছে, এমনকী বাংলাদেশ সরকারকে নানা ভাবে প্রচ্ছন্ন হুমকি দেয়ার নিদর্শনও মিলেছে। ইতিহাসের সবচেয়ে নৃশংস গণহত্যাগুলোর একটির খলনায়কদের বিচারের আওতায় আনার এই দীর্ঘ প্রতীক্ষিত প্রক্রিয়াটিকে ক্ষতিগ্রস্থ করার পৃথিবীর প্রতিটি অঞ্চলে অর্থ বিনিয়োগ করা হয়েছে। সুদূর তুরস্কের একটি রাজনৈতিক দল সাদেত পার্টির উদ্যোগে ইস্তাম্বুলে গোলাম আযম সহ এসব অপরাধের দায়ে আটক ব্যক্তির মুক্তির দায়ে সমাবেশ হয়েছে। এই প্রক্রিয়ায় সর্বশেষ সংযোজন লন্ডন থেকে প্রকাশিত পত্রিকা দি ইকোনমিস্ট, এবং তাদের ল্যাজ ধরে ধরে বাংলাদেশের
উদ্ভট উটের পিঠে চলেছে স্বদেশ
১৯৪৭-এ বিতর্কিত দ্বিজাতি তত্ত্বের আলোকে দেশ ভাগ, ’৫২-এর স্বাধীনতার আন্দোলন, ’৬২-এর শিক্ষা আন্দোলন, ’৬৬-এর ছয় দফা আন্দোলন, ’৬৯-এর গণ অভ্যুত্থান, ‘৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা লাভ, '৯০-এ স্বৈরাচার পতন--এত রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশ, আজ কোথায়, কোন অবস্থায় আছে ! কেমন আছে আমার দেশ, দেশের মানুষ, আমার মাতৃভূমি, আমার প্রিয় জন্মভূমি, আমার স্বাধীনতা? এ বিজয়ের মাসে পরাজিত রাজাকার আর তাদের বংশধররা কার বা কাদের সহযোগিতায় ’৭১-এর মানবতাবিরোধী, কুখ্যাত রাজাকারদের মুক্তির জন্য আন্দোলন করে, দেশ ব্যাপী হরতাল করে ? কোথা থেকে তারা এত সাহস পায়? পৃথিবীর কোন দেশ ধর্মীয় জাতি সত্ত্বার কারণে বিভাজিত হয়নি, শুধু ভারত ছাড়া; কোন দেশে স্বাধীনতার যুদ্ধে পরাজিতরা মাথা তোলে কোনদিন দাঁড়াতে পারেনি; শুধু বাংলাদেশ ছাড়া।
জয় বাংলা বাংলার জয়......।।
আজ শুক্রবার... জুম্মার দিন... সকল ধর্মপ্রাণ মুসলমান আজকের এই দিনে নামাজ পরে থাকেন... শুনেছি শুক্রবারে নামাজের নাকি অনেক ফজিলত... আল্লাহ গুনাহ মাফ করেন, দোয়া কবুল করেন...
আমি আল্লাহর গোনাহগার বান্দা... নামাজ পরিনা বললেই চলে... কিন্তু এর জন্য খারাপ ও লাগে... আমি জানি আমি শাস্তি পাব... কিন্তু নামাজ না পরে, রোজা না রেখে এই পাপ আমি নিজের সাথে করেছি... অন্য কারো ক্ষতি তোঁ হয়নি এতে... আমি আল্লাহর কাছে গোনাহগার অন্য কারো কাছে নয়... আল্লাহ চাইলেই আমাদের মাফ করে দিতে পারেন...
কিন্তু আমি যদি আজকে খুন করি, ধর্ষণ করি, নির্বিচারে আগুন লাগিয়ে মানুষ পুড়ি তাহলে এই পাপ আমি করলাম সবার সাথে... অন্য মানুষের এতে ক্ষতি হল... সুতরাং এই গোনাহ এর মাফ নেই যতক্ষণ না আমি তাদের কাছে মাফ না চাচ্ছি যাদের ক্ষতি আমি করেছি... মাফ পাওয়া হয়তবা সম্ভব যদি আমি ৮-১০ জন এর সাথে এই পাপ করে থাকি...
জামায়াতের মুখ ও মুখোশ!
ধর্মটা জামায়াতের মুখোশ। ধর্মের সিঁড়িকে ব্যবহার করে অর্থ ও ক্ষমতার প্রাসাদে আরোহন যে তাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য তা আবার প্রমাণ করলো তারা। মুখোশ খুলে আবার নিজের প্রকৃত রূপ দেখালো জামায়াত। এ নিয়ে না লিখে থাকতে পারলাম না, তাই কিবোর্ড পিষতে বসলাম।
এবার জামায়াতের মুখ ও মুখোশের কথায় আসি। আজকেই একটি অনলাইন সংবাদমাধ্যম বলেছে, 'নিবন্ধন বাঁচাতে অবশেষে নিজেদের দলীয় গঠনতন্ত্রে ব্যাপক সংশোধন এনেছে স্বাধীনতাযুদ্ধে বিরোধীতাকারী ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। নতুন সংশোধনীর মাধ্যমে দলটি গঠনতন্ত্র থেকে আল্লাহ প্রদত্ত ও রসুল প্রদর্শিত ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থার কথা বাদ দিয়ে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থার কথা বলেছে।'
মুক্তিযুদ্ধ এবং অতপরঃ
ঝিক্-ঝিক্...ঝিক্-ঝিক্...করে ট্রেন চলছে দৃশ্যমান গতিতে, আর আমার জীবন চলছে অদৃশ্যমান গতিতে। যে গতির গতিময়তা কখনো আমি উপলব্ধি করি না--করতে পারি না। ট্রেনের কামড়ায় বসে আধবোজা চোখে অনুপম সেনের ‘কল্পনা’ উপন্যাসের নায়কের নিজের মতামত পড়ছি। লেখকের প্রতিটি কথা সমুদ্রের ঢেউ এর মতো আন্দোলিত করে আমার মনে। জীবনের অনেক মিল রয়েছে স্বকল্প আর আমার ব্যর্থময় জীবনের প্রতিটি ধাপে ধাপে। ছত্রিশ বছরের জীবনে আজো বিয়ে করিনি। নীড়হারা পাখি সব হারিয়ে ক্লান্ত মনে যেমন করে ভাবে, তেমনি ভাবতে ভাবতে হঠাৎ শরীরটা ঝাকুনি দিয়ে উঠলো। ট্রেন থামছে কোন এক অচেনা ষ্টেশনে। জায়গাটির নাম মনে নেই। ট্রেন থামার সাথে সাথেই আরো তিন জন মানুষ একই কামড়ায় উঠল। তিন জনের মধ্যে একজন ৪০/৪৫ বছর বয়স্ক পুরুষ, এক জন ৩০/৩২ বছর বয়স্ক স্ত্রীলোক, আরেক জন ১০/১১ বছরের বালিকা।
তৃষ্ণা
তৃষ্ণা আরো প্রবল হয়ে ওঠে ,
পানের পর পান চলতে থাকে ,
পানের পর পান অবিরত,
কাপের পর কাপ ,
উষ্ণ হাহাকার ,
গলবিল বেয়ে পাকস্থলি ,
সব ছারখার করে ,
শীতল হয় হৃতপিন্ড ।
তবু আবার ,
প্রাণের তৃষ্ণা জাগে ,
প্রাণের তৃষ্ণা প্রবল হয় ,
প্রবল থেকে প্রবলতর হয় ,
জেগে ওঠে রক্তের মোচড় ,
বাড়তে থাকে হৃদস্পন্দন ,
নীলাভ হতাশা নির্বিঘ্নে বেয়ে চলে ,
রক্তের সাথে মিলে মিশে চলে ,
ধমনী থেকে ধমনীতে ,
হৃদয় থেকে হৃদয়ে ,
হৃতপিন্ড উষ্ণ হয়ে ওঠে ,
উষ্ণতা বাড়তে থাকে ,
বাড়তে থাকে অদৃশ্য ক্ষত ,
হৃদয়ের ক্ষত ।
পানের বস্তু সুপেয় না হতে পারে ,
তবু তৃষ্ণা জাগে ,
পানের তৃষ্ণা ,
তৃষ্ণা আরো প্রবল হয়ে ওঠে ,
পানের পর পান চলতে থাকে ।
কিন্তু প্রাণের তৃষ্ণা
প্রবল থেকে প্রবলতম হয় ,
প্রাণের তৃষ্ণা মেটেনা কোনো কালে ।