ইউজার লগইন
রম্যরচনা
বন্ধুত্বের জয় হউক
আহসান হাবিব
হাসনাবাদ আর্মি ক্যাম্প
৩১/৫/২০২১
বন্ধুত্বের জয় হউক//
বন্ধু তপন ভারসেটাইল গুনের অধিকারী। তাই রুয়েট ৮৫ সিরিজের বন্ধুরা আদর করে নাম দিয়েছি তপোবন।
সবাই এই গ্রুপে বন্ধু হলেও, কেউ হয়ে গেছে মামা, কেউ বড় ভাই, কেউ শালা কেউ দুলভাই এ এক আজব গ্রুপ।
কারো নামই মনে হয় আর অক্ষত থাকবে না। এই ভয়ে ইতিমধ্যে অনেকের চোখ ও নাকের পানি বইতে আরম্ভ করেছে।।
এদিকে ভুল বাটনে চাপ পড়ে মালেক মামার গ্রুপ থেকে নাম ডেলিট হয়ে গেছে,আর তাতেই ঘটেছে বিপত্তি। মালেক মামার নামে শোকজ থেকে আরম্ভ করে আরো কতকিছু।
মালেক মামা গ্রুপ থেকে চলে গেলে আমাদের সকলেরই ক্ষতি। মালেক মামার আশুলিয়ায় বাগান বাড়ির আম, জাম,কাঠাল সাবাড় করতে একটু সমষ্যাই হবে। তাই অত্তসব।
আমি ছাপোষা মানুষ থাকি নিরিবিলি। টুকটাক লিখি। ভাবলাম মালেক মামার পক্ষে কিছু লিখি।
আকাশ বাবুর রাগের কারনে (প্রথম পর্ব)
আকাশ বাবুর রাগের কারনে (প্রথম পর্ব)
বিকেলে আকাশ বাবু হঠাত ভীষন রেগে গেল। এমনই রেগে গেলেন, যে চিল্লাচিল্লি হাত পা ছুড়াছুড়ি করতে আরম্ভ করলেন। সামনে যাকে পাচ্ছেন তাকেই তুলোধুনো করছেন । তারই জেড়ে গাছপালা পত্রপল্লবের দোলাদুলি, শুকনা পাতা, ছেড়া কাগজের টুকড়া, পাকপাখালি, ঘড়ের বাইরের মানুষের আরম্ভ হল ছুটাছূটি। কোথায় গেলে আকাশ বাবুর এই সংহার মূর্তি থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
সুন্দরী মেয়ে সুবর্ণ এক্সপ্রেস তিনটার সময় ঢাকা থেকে চিটাগাং যাবার জন্য বের হয়েছিল। কিসের চিটাগাং যাওয়া, আকাশ বাবুর মেজাজ দেখে সেই যে পণ্ডিত মশাইয়ের দেশ ব্রাহ্মণ বাড়িয়ার ছোট পণ্ডিতের ঢেড়ায় আশ্রয় নিয়েছে, কখন বাবুর রাগ পড়বে আর কখন বের হবে, ভবিতব্যই জানেন।
দিনপঞ্জিকা
ক্ষমা চেয়ে নিলাম।কাল লিখা প্রকাশ করার পরও কোন অজ্ঞাত কারনে সরিয়ে নিয়েছিলাম।তার জন্য ক্ষমা করবেন।
গুরুজন, আমার ছোট,বড় ভাই,বোন সবাই মাফ করবেন। এই ধরনের লিখার জন্য। ছোট ভাই হিসাবে মাফ করবেন।
আমার সিগারেট খাওয়ার কথা যখন বাসায়
জানলো,তখন আম্মার যে হাউ কাউ,
এখনো সেটা থামেনি, এবং আমার ধুমপানের অভ্যাশ
নিয়ে তার কান্ডকলাপ জোড়া লাগিয়ে একটা বেশ
বই লেখা যায়।
যাই হোক, সেটা অন্য আলাপ, এখন বাবার কথা।
বাবার রিএকশন কিছু ছিলো না। তবে সে বোধ হয়
একটু কষ্ট পাইছিল।
আমাকে একদিন বললো, "রৌদ , যে সিগারেটই
খাও, ভালোটা খাবে। কমদামী না "
তখন মেজাজা খারাপ হইছিল খুব।
আম্মা বিড়ি খাওয়ার কথা জানার পর আমার
অর্থনৈতিক অবস্থার যে ধ্বস নামছিল,
তা থেকে আজো পরিপুর্ণভাবে উঠতে পারি নাই।
তারপর আরেকদিন সে কিঞ্চিত বিরক্ত হয়েই
গুজব রিলোডেড
জব একটি অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ শব্দ। ইহার আগে পিছে কিছু লাগাইলেই ভয়াবহ আকার ধারন করে।
যেমন ধরেন জব এর আগে যদি ব্লো লাগায়া দেই তাইলে পুরাই ১৮+ ব্যাপার ঘইটা যাইবেক।
আবার যদি আগে আ লাগায় দেই তাইলে সবাই অবাক হইযাবে।
আবার যদি গু আজমের গু কে আগে লাগায়া দেই তাইলে অবস্থা তো আরো ভয়াবহ! এতই ভয়াবহ যে এই গুজব এ গজব আইসা পরতারে। ওইত্তেরি, গ লাগাইলেও দেখি ঘটনা ঘইট্যা যায়!!!!
এইবার ভিন্ন কথায় আসি। মাঠেঘাটে বিভিন্ন সময় শিয়াল, কুত্তায় হাইগা দেয়। ওই গু মাঠের মাঝে একলা পইরা থাকে। কিছু অতি উতসাহি জব লেস মানুষ বেহুদা মাঠেঘাটে ঘুরাঘুরির সময় ওই গু কে পায়ে করে লোকালয়ে নিয়ে আসে। আর লোকালয়ে গু ছড়ানোকে নিজের জব মনে করে। আর ঠিক তখনই গুজবের সৃষ্টি হয়।
যাউকগা অতশত কতা কইয়া লাভ নাই। শুনলাম গুজব শোনা যাইতাছে। ব্যাচেলর গো নাকি ঢাকায় বাড়িভাড়া নিয়ে থাকতে দিবে না? এইডা নিয়ে নাকি আবার সবাই টেনশন ও করিচ্ছে? ক্যামনে কি রে মমিনুল হক? তুই বিয়া করস নাই বইলা কি ঢাহায় থাকতি পারবি না?
রাজনীতিবিদ বিশুদ্ধকরণ প্রকল্প
অবশেষে নোমান মামা দিব্যজ্ঞান লাভ করলেন। জ্ঞানলাভের জন্য বনে-বাদাড়ে ঘুরতে হয়নি, বিশেষ গাছের নিচেও বসতে হয়নি_ দেশপ্রেমের দীক্ষাটুকুই যথেষ্ট। দিব্যজ্ঞানালোকের সঠিক প্রয়োগে সিদ্ধান্তে উপনীত হলেন_দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠায় রাজনীতি নয়, রাজনীতিবিদদেরই সংস্কার আবশ্যক! রাজনীতিবিদ পরিশুদ্ধ হলে আপনাআপনি রাজনীতিও মূলধারায় ফিরবে!
রাজনীতিবিদ বিশুদ্ধকরণ প্রকল্প হাতে নিয়ে কোমরে গামছা বেঁধে নামলেন মামা। প্রথমে দড়িই বাঁধতে চেয়েছেন। গামছায় রাজনীতির গন্ধ আছে।
দড়ি না পাওয়ায় আক্ষরিক অর্থেই গামছা বাঁধলেন! জনসেবামূলক কাজে মেরুদণ্ড সোজা রাখা জরুরি। মেরুদণ্ডের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক কোমরের!
নিজ এলাকায় পরিপূর্ণ সংস্কারের পরই বাংলাদেশের সব অঞ্চলে নজর দিতে হবে। প্রথমে তিনি সাক্ষাতের চেষ্টা করলেন আওয়ামী লীগের স্থানীয় এমপির সঙ্গে। এমপি দুরস্ত, তার পিয়নের নাগাল পেতে গলদঘর্ম হতে হয়েছে টানা ৪ মাস! অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে ১১ মাস পর পাওয়া গেল এমপি সাহেবকে। যারপরনাই বিরক্ত তিনি_'কী ব্যাপার, অসময়ে ডিসটার্ব করছেন কেন?'
মামা হাসিমুখে বললেন, 'স্যার, সময়মতোই এসেছিলাম। আপনার দেখা না পাওয়ায় ...!'
হরতাল
ঠাডাভাঙ্গা নিউজ !!!
আকাশে আজ দিবাকর রাত্রে হরতালের চাঁদ
দেখা গিয়েছে,
হরতাল মোবারক
দেশ আবারো মেতে থাকবে হরতালের আনন্দে,
হরতাল উপলক্ষে বিশেষ আকর্ষণীয়
আয়োজন
:>→
রাস্তার
মোড়ে মোড়ে চলবে ডিজে পার্টি উইত
বিরানি মিক্স এন্ড ছিড়া কাঁথার নেতাদের
রকিং ও চিকি ছিকি ভাষন।
তাছাড়া রজনী কান্তের পিকেটার
ফ্যানরা লুঙ্গী ড্যান্সের পাশাপাশি ককটেল
ড্যান্সের করে পিকিটিং চালাবে, তাদের
উৎসাহ দিতে ড্যান্সে অনন্ত জলিল ও
বর্ষা থাকবে।
আর এই গণতন্ত্রিক উৎসবকে সামজিক
উৎসবে ছড়িয়ে দেয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন
হরতাল আহবায়করা
আশাকরি, এই হরতালের আনন্দে চারদিন
ডুবে থাকবে সারা দেশ
সবাইকে আবারও হরতাল মোবারক
হিপ হিপ হুররে
অবদমন
"এমন সুন্দর মেয়েটাকে এইভাবে কেউ মারে" কান্না শুনে পাশের মসজিদ থেকে হেঁটে এসে মৌলভিসাহেব বললেন : বাবা, কাউকে মুখে মারতে হয় না, মুখটা আল্লাহ নিজের হাতে তৈরি করেন।" ঘাড়গোঁজ করে দাঁড়িয়ে থাকা পুরুষের রোষ তখনও কাটে নি, হাতের কঞ্চি এলোমেলো পাশের পুঁইলতার উপর চালিয়ে মাথানিচু করে ঘরের দাওয়ায় গিয়ে বসে।
নূতন বউ গো মারিস না গো
ফারলু (বি.এ) করল বিয়ে
পঞ্চাশে।
বউটি পুঁটি বয়েস ঊনিশ
(কাঞ্চা সে)।
বাসর রাতে ধুসর দাঁতে
পান খেয়ে,
বউকে বশের চৌকা রসের
গান গেয়ে;
ফারলু ভাবে যাবেই যাবে
পার পেয়ে।
ফোকলা বরাত! কাটল সে রাত
মার খেয়ে।
থাবড়া খেয়ে ফারলু (বি.এ)
গাল খোটে;
‘নূতন বউ গো মারিস না গো’-
বোল ফোটে।
‘টুনটুনিরে অফ যা ওরে
আজ রাতে;
কাল সকালে যাস গে চলে
বজরাতে’।
মিষ্টি পুঁটি চালায় লাঠি
তার পিঠে;
মারের চোটে ফুটল পিঠে
কালসিটে।
কাঞ্চা পুঁটি বলল উঠি
(চালাক সে),
‘খামোশ বুড়া করব খোঁড়া
তালাক দে’।
হেঁচকি তুলে ফারলু বলে,
‘এক তালাক’।
‘কাবিন নামার ছ’ লাখ টাকার
চেকটা লেখ্’।
পুঁটির মুখে খাতির দেখে,
চেক লেখা!
চোখের ভুলে, নাকের জলে
মুচলেকা।
পদব্রজে চন্দ্র ভ্রমণ
ইহকাল ধরে চন্দ্রে যাত্রা করিবার রাস্তা খুঁজিয়া বেড়াইতেছি। উহু, ভাগ্যদেবীর কোনরকম কৃপাদৃষ্টি এই অভাগার দিকে পড়ে নাই। আমার অদ্যকালের সমস্ত সাধনাই সাড় হইল। কোন রূপ সুফল কিম্বা কুফলের পাপড়ি হৃদয় মেলিয়া সাড়া দিলনা। ইহা কি হইল? ভগ্নহৃদয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরি। বাল্যকাল হইতেই চন্দ্র অভিসারের বিরাট দৈত্যাকার স্বপ্ন লালন করিয়া লালিত হইয়াছি। আমার এই দৈত্যাকার স্বপ্ন বুঝি এই বার মুখ থুবড়াইয়া পড়িয়া দন্ত মুখ এক করিয়া ফেলিল। স্বপ্নের দৈত্যের দন্ত মুখ যথাস্থলে রাখিবার লক্ষে অন্য কসরৎ অবলম্বন আবশ্যক। অন্যমনস্কে ফুলার রোড পদতলে পেষণ করিতেছি। কিন্তক পদ বাবাজীদের যেন আর কথা শুনিবার জো নাই। সেই পূর্বান্ন লগ্ন হইতে হাটিয়া বেড়াইতেছে উহারা। যেন সামনে আগাইতে লজ্জা পাইতেছে। কোন মহৎ উপায় অবলম্বন করা কিঞ্চিৎ জরুরি। কি করা যায়? হঠাৎ রিকশার টুং টাং শব্দ যেন আমার দেহ মনকে আন্দোলিত করিয়া ফেলিল। উহার এক রাশ সুখানুভতি আমাকে ঝঁকিয়া ধরিল। চকিতেই মাথায় খেলিয়া গেল, হায় হায়… চন্দ্রের সাথে মর্ত্যের যদি ডাইরেক্ট কানেকশান রাস্তা তৈয়ার করা যায়! কি আনন্দ, কি আনন্দ! আমার দুনিয়া বসন্ত বাতাসে পরিপূর্ণ হইয়া গেল। আহা, মধু, মধু!
গায়েবি বুক
ফেসবুকে এখন গায়েবি বুকে(নগরীতে) পরিনত হয়েছে। সর্বত্র চলছে গায়েবি ফুউউউউউ।
আজ অমুক সেলিব্রেটির আইডি গায়েব তো কাল তমুক সেলিব্রেটির স্ট্যাটাস। আর পরশু আরেকজনের ফটো।
এভাবেই চলছে আইডি , স্ট্যাটাস আর ফটোর গুম।
এইতো গতকাল গুম হওয়া একটি আইডি পুনরুদ্ধার করা গেছে। এরপর তার কাছথেকে আমরা জানতে পেরেছি যে তাকে নাকি কতিপয় ছাগল খাওয়ার চেষ্টা করেছিলো।
এই কথা শুনে জনৈক মহাপুরুষ বলেছেন, “ আসলেই ছাগলে কি না খায় ?”
ছাগু সর্দার অবশ্য এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন, “ এই গায়েবের সাথে ছাগু সম্প্রদায়ের কোনো সম্পৃক্ততা নেই, ইহা শফি সাহেবের ফুউউউউ এর কারসাজি।”
আবেগঘন কন্ঠে তিনি আরও বলেন, “আমরা ছাগু, আমরা কাঁঠাল পাতা খাই; আর মাঝেমাঝে বাঁশের কেল্লায় গিয়ে বাঁশপাতা খাই, কিন্তু আমরা আইডি খাই না। ”
তাদের এই কথা শুনে প্রতিবাদী কন্ঠে সরকার সাহেব বলেন, “ আপনারা জানেন ছাগলে সবই খায়, আর তারই ধারাবাহিকতায় ছাগুরা বিভিন্ন চেতনাধারীদের আইডি খেয়ে দিচ্ছে।”
হেলিকপ্টার
হেলিকপ্টার :
হেলিকপ্টার একটি রহস্যময় যান। ইহা ব্যাবহার করিয়া খুবই স্বল্প সময়ে একস্থান থেকে অন্য স্থানে যাতায়াত করা যায়। ইহার ব্যাবহার বাংলাদেশে বহুবিধ।
মুল্য :
একটি ব্যাটারী চালিত হেলিকপ্টারের মূল্য ১৫০০ - ২০০০ টাকা। ইহাকে অতি সহজেই রিমোট কন্ট্রোল ব্যাবস্থার সাহায্যে শূন্যে ওড়ানো যায়। তবে একটি সত্যিকারের হেলিকপ্টারের মূল্য অনেক। ইহা ক্রয়করা সকলের পক্ষে সম্ভব নহে।
ব্যাবহার :
ইহা ব্যাবহার করিয়া সাধারনত আইন শৃঙ্খলা বাহিনী শূন্যে থেকে পরিস্থিতি অবলোকন করে। তবে মাঝে মাঝে বড় অপরাধী বহনের ক্ষেত্রেও হেলিকপ্টারের ব্যাবহার পরিলক্ষিত হয়। তবে এই সকল কাজে ইহার ব্যাবহার অনেকেরই অপছন্দ; তাহারা হেলিকপ্টারের যত্রতত্র ব্যাবহারকে জামাই আদর বলিয়া থাকে।
যাতায়াত খরচ:
যেহেতু হেলিকপ্টার খুবই আরামদায়ক বাহন তাই ইহার যাতায়াত খরচ ও অত্যাধিক। সাধারনত জামাইগন ইহাতে চাপিয়া শশুর বাড়ি যায়। যেমন আমাদের সুপারস্টার এ জে অর্থাত অনন্ত জলিল। উনি ইহাতে চড়িয়া তাহার শশুর বাড়ি বেড়াইতে গিয়েছিলেন। তিনি একজন সি আই পি তাই তিনি এই খরচ বহনে সক্ষম।
শাহাবাজ সাহেবের ঘটকালি
শাহাবাজ সাহেব আমার নতুন সহকর্মী।মাসখানেক আগে আমাদের সাথে জয়েন্ট করেছেন।নিস্পাপ চেহারার দারুণ স্মার্ট একটাছেলে।মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এম এস করা ছাত্র।কথায় কথায় হাসেন।কর্ম জীবনে নতুন হলেও একদুপুরে জানতে পারলাম তিনি বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী।এই বয়সে তিনি সাত-সাতটি বিয়ের ঘটকালি করেছেন।অথাৎ তিনি একজন সফল(?)ঘটক।শুনে টাসকি খেয়ে গেলাম।এই ছেলে বলে কী?আমি এই বুড়ো বয়সে একটা ঘটকালি করতে গিয়ে কত নাকানি-চুবানি খাচ্ছি।আর শাহাবাজ সাহেব কিনা সাত-সাতটা ঘটনা ঘটিয়ে ফেলেছেন(কোন এক বিখ্যাত দার্শনিক বলেছেন যিনি ঘটনা ঘটান তিনি হলেন ঘটক !)সব বিয়েতে তিনি খেয়ে-ধেয়ে তৃপ্তির ঢেঁকুর তুললেও বিপপ্তি ঘটল ৫ম বিয়েতে।সেবার পাত্রী ছিল শাহাবাজ সাহেবের বন্ধুর ছোট বোন।বন্ধুমানে একেবারে ঘনিষ্ট বন্ধু।স্কুল থেকে ভার্সিটি এক সাথে পড়ালেখা ।এক সাথে নাওয়া খাওয়া।একেবারে হরিহর আত্মা।দু’জনের বাড়ীও একই এলাকায়।উল্লেখ্য উনার বন্ধুটি ছিলেন হিন্দু ধর্মালম্বী।ঘটক সাহেব একদিন যথারীতি প্রস্তাব নিয়ে পাত্রীর বাড়ীতে হাজির হলেন।পাত্রও বেশ ভাল।একেবারে উপযুক্ত পাত্রীর উপযুক্ত পাত্র।সবাই খুশী।এদিকে ঘটক সাহেব এবং পাত্রীর পরিবা
একদিন নিমন্ত্রনের দিনে, একদিন না চাইতেই পাওয়ার দিনে...
নিমন্ত্রণ খেতে গেলাম। গৃহস্থ ম্যাডাম বললেন, "ঠিক আছে? আরো লাগবে? লাগলে আরো দিব। কি দিব নাকি আরো?"
আমার তো পেটের অবস্থা খারাপ, বহু কষ্টে বললাম, "না ম্যাডাম, এমনিতেই বায়ুর ঊর্ধচাপ তার উপর এত এত সুস্বাদু খাবারের চাপ সহ্য করা দায়। যদি বেঁচে যায় কিছু তবে প্যাকেট করে দেন। ছুটির দিনে খাওয়া যাবে।"
হাসলে ম্যাডামকে বড় করুণাময়ী মাতৃদেবী মনে হয়। দাঁতের মাঝখানে রোনালদোর মত সামান্য ফাঁক আছে। কোমল স্বরে বললেন, "এখনই তো বাবা খাওয়ার সময়। আরো নাও আরো নাও" এই বলেই একরকম জোর করেই পাতে ঢেলে দিলেন।
মায়ের কাছ থেকে শুনেছি খাবার নষ্ট করা ঠিক না। গরিব মানুষ, তাই নষ্ট করা সাঁজেও না। নিজেকেই গলাধকরণ করতে হল। পেট ভর্তি, নড়া চড়া করার উপায় নেই। ম্যাডামকে তাই একটু জিরোনোর আর্জি জানালাম। ম্যাডাম বললেন, "আমার ছেলে দুইটা তো বিদেশে। তুমি ওদের রুমে বিশ্রাম নিতে পার। সাবধান ওখানে কিন্তু পার্থ আছে। ও কথা বলার সময় কেবল শুনে যাবে।" ভাবলাম এ আর এমন কী! শুনে গেলাম আর কি, এই ভেবে গেলাম বিশ্রাম নিতে।
এনাএনাদ্দার অতীন্দ্রীয় প্রতুত্তরাধুনিক কাইব্য
ভুমিকাটাঃ-
আইচ্ছা, পিরে আসার্পর আবার্ফের চৈলাগেস্লাম। শাবাগে ডাক দিসিলো যেডি এরাইতে পারিনাই। হাজার্হৌক, দেশের্ডাক এরানি যায়না। পৈলা পৈলা পতিদিং গেসি, এক্সপ্তা পরেত্থে যাউয়া কোমাইয়া দিসি। প্যাটের্ধান্দায় থাক্তে হৈলে এট্টুহিসাব কর্তেই হৈ। যাউজ্ঞা এলা, যা কৈতেসিলাম- শাবাগের আন্দুলুন আমার্ভিত্রে জোশাইনা দিসিলো। কিন্তুক রিসেং কামকার্বারে হাল্কিশ ঝাস্পা হৈয়া যাইতেচি আর্কি। অবৈশ্য আমার্ঝাস্পা হোউয়ায় আস্লে কিছু যায়াসে না। ত্য হাচা কৈতেছি বেলুঙ্গের কতা হুনলেই কেরাম কন্ডম কন্ডম চিন্তা মাতায় হান্দায় যায়, কিকর্মু? মনৈ পাপ। আমি হ্লায় সুবিদাবাদির *ট, হেল্লিগা আমার্কতায় কান্দিয়েন্না। পোলাপাইনে কস্ট কর্তেছে অবৈশ্যৈ সফল হৈবো। যত দুয়া কালামজানি পর্তেছি সবার্সাফল্যের লাইগ্যা।
আইজারা আবার্ফের হাজির্হৈসি আরেআরেক্কান প্রতুত্তরাধুনিক কাইব্য হাতেরাঙ্গুলের ডঘায় লৈয়া। আপ্নেগোর খিদ্মতে প্যাশকর্তেচি এইবেলা
এনাএনাদ্দার অতীন্দ্রীয় প্রতুত্তরাধুনিক কাইব্য
আম্রার পুতলা আম্রারে কয় মেও
তুম্রার পুতলা কেম্মে চুম্মা দেও
তুমার চৌক্ষে যকন রাকি চৌক্ষ
পাংখা মেইল্ল্যা উইরা যায়গা দুক্ষ
একখান ইমেইলের আত্মকাহিনী
এক পরিবার প্রবাসে থাকে। আর সকল প্রবাসীদের মতো তাদেরও দেশে টুকটাক খরচ লেগে থাকে বিধায় কিছু টাকা মাঝে সাঝে তারা দেশে পাঠান। কিছুদিন পর পর আবার খোঁজ নেন কতো টাকা আছে কিংবা আর কি লাগবে টাইপ ইত্যাদি প্রভৃতি। আজকালের মর্ডান ইস্মার্ট যুগানুযায়ী তারা ইমেইলের মাধ্যমে সকলের সাথে যোগাযোগ করেন। একদিন প্রবাসী কর্তা কোন কারণে তার শালা শালীকে ইমেইল দিলেন, কতো টাকা আছে, কিছু খরচ করতে হবে, দরকার জিজ্ঞেস করে।
শালী বললো, টাকাতো নাই, খরচ হয়ে গেছে
দুলাভাই বললো, কি খরচ?
শালী বললো, আপার জন্যে শাড়ি কিনেছি
দুলাভাই বললো, টাকাগুলো সব জলে গেলো।
শালী দুলাভাইকে সান্ত্বনা দেয়ার জন্যে বললে, জলে কেনো যাবে দুলাভাই? আপা প্রথমে শাড়ি পড়বে পড়ুক, তারপর আপনি শাড়ি কেটে একটা লম্বা পাঞ্জাবী বানাবেন। পাঞ্জাবী পড়া হয়ে গেলে ফতুয়া বানাবেন। ফতুয়া হয়ে গেলে টিশার্ট। টিশার্ট এর পর টুপি তারপর রুমাল। রুমাল ক্ষয়ে গেলে সেটা পুড়িয়ে ছাই করে দাঁত মাজবেন।
দুলাভাই বললো, এইতো আইছো লাইনে, দাঁত মেজে কুলি করতে হবে না? তখনতো কুলি করলে পয়সা আমার জলেই গেলো, নাকি?