ইউজার লগইন
রম্যরচনা
নাম বিভ্রাট
আমাদের বাসায় এক বুয়া কাজ করত, আমরা ডাকতাম বুবু, মা ডাকত জানেহারের মা বা সুলতানের মা। বিশ বছরেরও বেশি সে কাজ করেছে আমাদের বাসায় (গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ডে নাম ওঠার কথা!)। আমাদের ওপর সমানে খবরদারি করত, আমরা বলতাম মায়ের পিএস। এখন অনেক বয়স তার, তবে মাঝে মধ্যেই বাসায় আসে, আমাদের খোঁজ নেয়, সারাদিন থেকে মায়ের সাথে গল্প করে চলে যায়। এটা ২০০৪ সালের কথা। তখন আমি যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানার বল স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবে নিয়োগ পেয়েছি। খবর পেয়ে সে এসেছে দেখা করতে। আমি বাসায় নেই। মাকে জিজ্ঞেস করছে,
......
আম্মা, ভাই নাকি বিদেশ যাছে? কতি?
আমেরিকা
আমেরিকায় কতি? বুশের বাড়ির কাছে নাখি? বুশকে মাইরতে পাইরবে না? (তার নাতির নাম আবার সাদ্দাম)
এবার আমার ছোট বোন লুম্বিনী বলছে যে,
না, দাদা যাবে ইন্ডিয়ানা, বুশের বাড়ির থেকে অনেক দূরে।
বইমেলা কড়চা – (তিন) মাঠার স্বাদ মালাইয়ে
বইমেলা শেষ হয়ে গেছে। আমাদের মাসুম ভাইয়ের ভাষায় “বইমেলা আর নেই”। বিভিন্ন বিচ্ছিন্ন ঘটনার মধ্যে দিয়ে এই উল্লেখযোগ্য ইভেন্টটি শেষ হয়েছে। দাদাভাই মাঝপথে অভিমান করে কড়চা বন্ধ করে দিলেন, কেউ কেউ “মুরগা” হবার কথা দিয়ে কথা রাখলেন না। কিন্তু এখনের পর্ব হলো শেষ হয়েও হইলো না শেষ পর্ব। জনপ্রিয় কথাসাহ্যিতিকদের লেখার ধরন নিয়ে ছিল আমার এই নাদান কড়চা। হুমায়ূন আহমেদ, ইমদাদুল হক মিলনের পর এবার আর একজন এযুগের জনপ্রিয় লেখক আনিসুল হকের উপন্যাসের প্যটার্ন নিয়ে আজকের কড়চা। প্রথমে অনেক লেখকের লেখার মধ্যেই ভার্সেলাইটি থাকলেও, যে মাত্র তারা জনপ্রিয় হয়ে যান, যে লেখাটির কারণে জনপ্রিয় হয়ে যান, পরে সেই স্টাইলটিকেই আকড়ে ধরে বেশির ভাগ লেখা লিখেন। আনিসুল হকের এ উপন্যাসটির নাম ধরা যাক সাড়ে তিপান্ন।
ইট পাটকেল
আমার ছোটবেলার বন্ধু রাজশাহীর কাজলার পিন্টু পেশায় রিকশাচালক। আমি যখন রাখাল বালক তখন পিন্টু আমার নিত্যসঙ্গী। একসংগে গরু চরানো, বাঁশি বাজানো, পার্কের কদম গাছ থেকে কদম ফুল পাড়া আরো কত না মজার স্মৃতি। যেদিন ওর কাছ থেকে শিস দিয়ে সিনেমার গান গাওয়া রপ্ত করলাম বাবা মার টনক নড়ল... আমি মাদ্রাসা ঘুরে গেলাম স্কুলে আর পিন্টু জীবিকার তাগিদে পা রাখল রিকশার প্যাডেলে। তারপর পেরিয়ে গেল কত বছর... কঠোর জীবন সংগ্রাম তার, কিন্তু... মুখে আমলিন সেই ছোটবেলার নিষ্পাপ হাসি। দেখা হলেই একগাল হেসে জিজ্ঞেস করবে
কেমুন আছেন ইমুন ভাই?
কতদিন বলেছি আরে আমরা তো ছোটবেলার বন্ধু, আপনি বল কেন? এ কথায় দারুন লজ্জিত সে। বলে
কী যে বুলেন? আপনে এখন কত থ বড় ষাঁড়!!! (যথার্থ)
শাহরুখ খান এবং প্রথম আলূর জনগনদ্রোহিতা ... (১৮+)
সকাল বেলা মুরগীর ডাকে ঘুম ভেঙ্গে শাহরুখ খানের।
পাশ ফিরেই গৌরির সাজ সজ্জা বহুল ঘুমন্ত মুখখানি দেখে ইচ্ছে হয় একটা চুমু খাওয়ার । বেড চা এর মতো বেড চুমু। কিন্তু পরক্ষনেই মনে হলো অধিকাংশ চুমুতো বেড-এই হয়। একটা মুচকি হাসির রেখা দেখা গেলো তার মুখে। হঠাৎ তার সকালের নতুন কর্তব্যের কথা মনে পড়ে যেতেই তড়িগড়ি করে উঠে যায় বিছানা থেকে।
অলপ বিদ্যা ভয়ন্কর-২ (উদোর পিণ্ডি বুদোর ঘাড়ে)
উদোর পিণ্ডি বুদোর ঘাড়ে
কয় দিন আগে ফেইস বুকে একটা লিন্ক পেয়েছিলাম। লিন্কটা হল, যে কোন কাজের প্রতি কোন জাতির কি মনোভাব।
আজ সকালের একটা ঘটনায় উপরের গল্পটা মনে এল। বছরে দুবার জাপানিজ পাবলিক স্কুলের বাচ্চাদের ভূমিকম্প হলে, তারা কি করবে, তার উপর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। আজ ছিল সেই দিন। সকালে স্কুলে পৌঁছার পর দেখলাম, স্কুলের প্রধান শিক্ষক, সহকারী প্রধান শিক্ষক প্রত্যেক ক্লাসের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষকগণ হেলমেট পরে রেডী হয়ে আছেন।
বইমেলা কড়চা – (দুই) ঘোলের স্বাদ মাঠায়
দুধের স্বাদ ঘোলে মিটানোর পর বন্ধুরা এতো বেশি উৎসাহ দিয়েছেন যে আর থামতে ইচ্ছে করছে না। এখন ভাবছি ঘোলের স্বাদ মাঠায় উত্তরণ করার চেষ্টা করলে কেমন হয়। ভুল ত্রুটি বা পাঠকের বিরক্তির জন্যে দায়ী অতি উৎসাহপ্রদানকারী বন্ধুরা। আর স্বাদ ভালো হলে বুঝতেই পারছেন সব কৃতিত্ব আমার। আজকে ভাবছি বাংলাদেশের আর একজন লেজেন্ডারী উপন্যাসিক “ইমদাদুল হক মিলনের” ছকটা নিয়ে লিখলে কেমন হয়। একসময় তার উপন্যাসগুলোওতো বেহুঁশের মতো গিলেছি। তবে বহুদিন তার উপন্যাস সেভাবে সিরিয়ালি গিলি নাই। অত্যাধুনিক স্টাইলটা হয়তো জানি না। কিছুদিন আগে একটা অবশ্য অনলাইনে পড়েছি, মনে হলো মূল ছকটা এখনো আগের মতোই রেখেছেন। মনেকরি তার এ উপন্যাসের নাম “সে রাধা আমি হাঁদা”
বইমেলা কড়চা – (এক) দুধের স্বাদ ঘোলে
বইমেলায় যেতে পারি না। কতো প্রিয়জনের নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন হয়, আনন্দিত, গর্বিত মুখখানা ছবিতে দেখি, সামনে থেকে দেখতে পারি না। আনন্দ ভাগাভাগি করতে পারি না, বার্গার, হালিম খেতে পারি না। রোজ পত্রিকা পড়ে, ব্লগ পড়ে, ফেসবুকের স্ট্যাটাস আর নোট পড়ে দুধের স্বাদ ঘোলে মিটাই। পত্রিকার মারফত জানলাম বিশিষ্ট সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ বঙ্গবন্ধুর হত্যার ওপর একটি বই লিখছেন। হঠাৎ তিনি মিসির আলি আর হিমুকে বাদ দিয়ে বঙ্গবন্ধুর ওপর কেন পড়ে গেলেন ভাবতে যেয়ে মনে হল, নিউইয়র্কে শেখ হাসিনার ফুল পেয়ে তিনি হয়তো বিগলিত হয়েছেন। এর প্রতিদান স্বরূপ বঙ্গবন্ধুর হত্যার ওপর একটি উপন্যাস লিখবেন। হয়তো তারপর শেখ হাসিনা কিংবা তার পরিবারকে উৎসর্গ করলেও করতে পারেন।
"LIKE" একটি অন্তর্জাল ভিত্তিক সামাজিক ব্যাধি !!!
নয়া একখান অসুখের প্রাদুর্ভাব দেখা যাইতাছে ইদানিং।
মানুষ যেমন আজকাল আর তার নিজের সামাজিকতার শারীরিক সংযুক্তি অন্তর্জালের মাঝে বদলি করেছে। তেমনি অন্তর্জালের মাঝে দেখা দিয়েছে কিছু রোগের প্রাদুর্ভাব। তার মধ্যে একটি হলো “LIKE” ম্যানিয়া। এই রোগ এখন মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়েছে অন্তর্জালের প্রতিটি কোনায় কোনায়। অন্তর্জালের ফেইস বুক নামক সামাজিক পরিবেশটিতে এর আক্রমন হয়েছে সবচেয়ে বেশী।
একটি খারাপ দিন (২য় পর্ব}
[১ম পর্ব পড়তে হলে ক্লিক করুন এখানে।] অফিস ছুটির পর রিকশা নেয়ার চেষ্টা না করে এবার বাসে উঠি। প্রচন্ড ভীড়ে কে যেন জুতা দিয়ে আমার পা মাড়িয়ে দেয়। সঙ্গে সঙ্গে চেঁচিয়ে উঠি, ‘আমার পা পিষ্ট করেছে কোন পাপিষ্ঠ রে’। কথাটি বলেই সন্দেহভাজন ব্যক্তিটির দিকে তাকাই। ‘এমন মাগুর মাছের মতো কুত কুত কইরা চাইয়া থাইকেন না ভাই, গা শিরশির করে। বাসে উঠলে একটু আধটু লাগবোই, সহ্য না হলে নাইমা ট্যাক্সি ক্যাবে গিয়া উঠেন’। এক নি:শ্বাসে কথা কয়টি বলে দম নেন ভদ্রলোক।
‘ভাই, পকেটে ট্যাক্সি ক্যাবের ভাড়া থাকলে কি আর বাসে উঠে ছাগলের সঙ্গে ঝগড়া করি’ ! আমার নির্লিপ্ত বলার ভঙ্গিতে সারা বাসে হাসির হুল্লোড় পড়ে যায়। একটু পর কন্ডাক্টর এসে ভাড়া চায়। কিন্তু প্যান্টের পেছনের হাত দিয়েই মাথায় যেন বাজ পড়ে আমার। হিপ পকেটে মানিব্যাগটা নেই। বাসে উঠার মুহূর্তেই কেউ...।
একটি খারাপ দিন
ভাগ্য খারাপ হলে যা হয়, সকালে ঘুম থেকে উঠেই বউয়ের পা ধরতে হলো। শুধু পা ধরা হয়, রীতিমতো পায়ে তেলও মালিশ করতে হলো। বউয়ের আপন ছোটভাই, মানে আমার শ্যালক থাকে আবুধাবি। শালা সারাটা রাত ফোন যন্ত্রণা দিয়েছে। রিং হয়, ধরলেই লাইন কেটে যায়। ‘হ্যালো আমি মোতালেব......’। ব্যাস, এটুকু বলেই মোতালেব গায়েব। লাইনে শুধু ঘর ঘর শব্দ। টেলিফোনের এই তামাশা চলে মাঝ রাত পর্যন্ত। আমার শালা মোবাইল ব্যবহার করলেও পয়সা বাঁচানোর জন্য সাধারনত কোম্পানীর ফোন থেকেই আমার ল্যান্ডফোনে ফোন দেয়। শেষ রাতের দিকে চোখটা একটু লেগে এসেছে, এমন সময় কর্কশ শব্দে আবার রিং বেজে উঠে। বউ আমার শয্যা ছেড়ে পড়িমড়ি করে ছুঁটে ফোন ধরতে। কিন্তু তাড়াহুড়ো করে নামতে গিয়ে বেকায়দা ভঙ্গীতে মেঝেতে হুমড়ি খেয়ে পড়ে। অতপর গগনবিদারী আর্তচিৎকার, ‘ও মাগো ,মরে গেলাম....’। তাড়াতাড়ি বিছানা ছেড়ে বউকে মেঝে থেকে টেনে তুলি। তার কর্কশ কন্ঠের অসহ্য চিৎকারে কানে তালা লাগার মতো
ঈদ শপিং বিড়ম্বনা
কেনাকাটা শব্দের আভিধানিক অর্থ যাই হোক না কেন, এর অন্তর্নিহিত ভাবার্থ হলো, ‘কিনতে গিয়ে কাটা পড়া’। অন্তত ঈদ মৌসুমে এ কথাটি ১০০% সত্যি। ঈদের মার্কেটে ঢুকলেই আমার নিজকে বকরি বকরি মনে হয়, আর দোকানীকে মনে হয়, ‘খড়গহস্ত-ধারী এক কসাই’। কোন কিছু কিনতে গেলেই সে ‘মূল্য’ নামক খড়গের এক কোপে আমার ‘সামর্থ্য’ আর ক্রয় ক্ষমতাকে জবাই করে দেবে। এ প্রসঙ্গে নিজের একটি অতি তিক্ত অভিজ্ঞতার বয়ান দিচ্ছি।
তখন সবেমাত্র বিয়ে করেছি। ‘প্রেস্টিজ’ রক্ষার জন্য বিয়েতে হাত খুলে খরচও করেছি। তাই বিয়ের পর পকেট রীতি মতো আউটার স্টেডিয়াম। ধার-দেনা করে চলতে হচ্ছে। এমন সময় ‘মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা’ এর মতো উদয় হলো ঈদ। আমি দু’চোখে তারাবাতি দেখতে শুরু করলাম...। ঈদের চাঁদকে মনে হলেন ‘কাস্তের ফলার মতো বাঁকানো ছুরি’।
রসিক রাজ বকুল ভাই (রম্য গল্প )
বকুল এবং তার বাবা বজলুকে নিয়ে গ্রামের সকলের হাসির অন্ত নাই । দু'জনই বেশ রসিক বলিয়া লোকে তাদের নিয়ে হাসতে বিলম্ব করে না । তারা ও চেষ্টা করে গ্রাম বাসির মনোরঞ্জন করতে। পাড়ায় কার কোন অনুষ্ঠান হলে দু'জনের ডাক সবার আগে পড়িবে । প্রথম দুজন একসাথে নানা অনুষ্ঠানে গেলে ও এখন ব্যাস্ততার কারনে আলাদা ভাবে যায়। তবে দু'ই জন বেশ সাহসি লোক ।
দেশের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে দু'জনের ভালো জ্ঞান আছে। এছাড়া বহিবিশ্ব সম্পর্কে ও তাদের ভাল ধরনা আছে। সেদিন পাড়ায় হাতেম আলীর মেয়ে সখিনার গায়ে হলুদ । সেখানে দাওয়াত পড়িল বকুলের । তার বাবা বজলু তখন পাশের গ্রামে এক বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়েছে।
আমি শখ করে ফটো তুলি । নিজের সদ্য কেনা ডিজিটাল ক্যামেরায়। আফরিন পাশের বাড়ির চাচার মেয়ে , সকালে এসে বলল
টুটুল ভাই আজকে বিকালে কি ফ্রি আছেন ।
মিলনমেলা
আমাদের গৃহে অতি সম্প্রতি এক মিলনমেলার আয়োজন করা হইবে। উপলক্ষ আমার কনিষ্ঠ ভ্রাতার “হ্যাপী বার্থডে”। যারা এখনো বুঝিতে পারেন নাই, মিলনমেলার অর্থ, তাহাদের উদ্দ্যেশ্যে বলি, মিলনমেলার বাংলাদেশী অর্থ হইল “পার্টি”। তবে পার্টি বলিতে গেলেই আপনাদের মাথায় যে পার্টির কথা ভাসিয়া উঠে এ পার্টি সে পার্টি নহে, মানে কোন রাজনৈতিক পার্টি নহে, এ হইল সাধাসিধা মানুষ সমৃদ্ধ সাধাসিধা পার্টি থুক্কু মিলনমেলা।
অনুস্ঠান কবে হইবে তার ঠিক নাই, কে দাওয়াত পাইবে আর কে কে পাইবে না তা নিয়া আমার মা জননীর চিন্তার শেষ নাই। আর যাহারা দাওয়াত পাইবে বলিয়া একেবারে নিশ্চিত তাহারা কোন সৌন্দর্যকেন্দ্র হইতে নিজেদের রঙ করিয়া আসিবেন তাহার চিন্তায় মশগুল।
আমাদের ইস্কুল
(১)
বিয়ে বাড়ী। বেসামাল হৈচৈ।খাওয়া এখনো শুরু হয়নি। দোতালায় কনেকে সাজানো হচ্ছে। কনে সাজবে, বিয়ে পড়ানো হবে তারপর খাওয়া। এটা বরের বাবার হুকুম। আমরা বর যাত্রী। কাজেই বরের বাবার হুকুমের বিপরীতে কউ সচল হ’ল না। এদিকে বর বসে আছে গোমড়া মুখে। বিয়ে করতে এসে এত দুখী থাকতে দেখিনি কাউকে, কখনো। বর থাকবে হাসিখুশি। কনের বান্ধবীরা খুনসুটি করবে আর বর চাপা হাসিতে তাদেরকে প্রলুব্ধ করবে, এটাই বিয়ের চিরচেনা রূপ। কে জানে পুরনো প্রেমিকার কথাই মনে পড়ে গেছে কীনা। উনি বয়সে বড় বলে জিজ্ঞাসা করতেও পারছি না। বরের বন্ধুরা এদিক সেদিক কনের বান্ধবীদের নজরে পড়ার চেষ্টা করে যাচ্ছে। যদিও কোন ফল হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে না। কিছুক্ষণ এদিক সেদিক ঘুরে নিরিবিলি এসে বসেছি দোতলা উঠার সিড়িটার কাছেই।সবে স্কুলে যেতে শুরু করেছে এরকম বাচ্চা কয়েকটা ছেলে-মেয়ে একবার সিড়ি দিয়ে উঠছে একবার নামছে।ফুটফুটে একেকটা। মায়াকাড়া।
একদিন স্বপ্নের দিন---
আসকার আলী। সারা দিন ভিক্ষা করে বেড়ায়। হত দরিদ্র। চৌধুরী সাহেবের সহায়তায় শেষ পর্যন্ত একখানা ঘর পেয়েছিল এরশাদ মামুর গুচ্ছগ্রামে। সেই কৃতজ্ঞতা থেকেই প্রতিদিন সকালে চৌধুরী বাড়ি থেকেই ভিক্ষাটা সে শুরু করে।