ইউজার লগইন
রম্যরচনা
শাদা ময়লা রঙিলা পালে আউলা বাতাস খেলে
বিনোদন যে সবসময় সহজলভ্য নয়, তা যখন নিজেকে আয়নায় দেখি খুব টের পাই। বিনোদনের অভাবে এ শহরের ছেলে-শিশু-কিশোর বা অন্যরা সবাই কেমন নেতিয়ে পড়েছে। তাদের মাজায় জোর নেই। জিন্সের প্যন্ট মাজা বেয়ে নেমে আসতে চায়। একহাতে তাই টানতে টানতে ওরা পথ হাঁটে। ওদের অনিশ্চিত পথহাঁটা স্বউদ্যোগে আমার জন্য বেশ খানিকটা দুশ্চিন্তা বয়ে নিয়ে আসে। কারণ, আমি জানি বিনোদনশূন্যতা মানুষকে মাদক ও অবদমনের পথে ধাবিত করে। যা থেকে কোনো ফলপ্রসূ উৎপাদন সম্ভব নয়।
আমরা বন্ধুর প্রোডাক্ট বাই প্রোডাক্ট নিয়ে চিন্তা ভাবনা (আপডেটেড)
সারাদিনে দুটো জায়গায় থাকি আমি চরম কমফোর্ট নিয়ে। বাড়িতে আমার নিজের ইজি চেয়ারে ঠ্যাং লম্বা করে বসে কোলে ল্যাপটপ নিয়ে ফেসবুকে টুকুর টুকুর আর এবিতে কুটুর কুটুর। ফেসবুকের উন্নয়ন সাধনে আমার অবদানেরতো শেষ নাই সবাই জানেন। এখন ভাবলাম এবির জন্য কি করা যায়। এবি ভর্তি আবিয়াইত্তা পোলাপান, খালি ম্যাসেজ দেয় ইনবক্সে, আপু ডাচ যোগাড় করে দেন, আলুই খাই তবুও খাই। বিমার বিয়েতো দেখা যায় আগুনে ঘৃতের কাজ করেছে। কেউ কেউ মনের দুঃখে ফেসবুকে নিজের খোমার ছবি সরাইয়া দিয়া, মোমবাত্তির ছবি লাগাইয়া শোক পালন করতেছে। আমার ফেসবুকের ইনবক্স তাদের দুঃখে কষ্ট উথলাইয়া উথলাইয়া উঠছে আর ঠারে ঠোরে আমারে বড় হওয়ার দায়িত্ব কর্তব্যে সম্পর্কে জ্ঞান দিচ্ছে। ভাবছি বড় বড় ব্যবসায়ীরা মূল ব্যবসার সাথে কিছু সাইড ব্যবসা রাখেন, প্রোডাক্ট বাই প্রোডাক্ট। টেক্সটাইল মিলের মালিকরা আস্তে আস্তে গার্মেন্টস খুলেন, এরপর খুলেন নিজের শোরুম আর তারপর নিজের মার্কে
ছেলের গায়ে হলুদে গাইবার মতো একটা গান...
ছেলের গায়ে হলুদে গাইবার মতো একটা গান বানিয়েছি আমি। বন্ধুরা শুনবেন নাকি? গানটি এখানে আছে। আমি দেখতে পাচ্ছি আপনারা পঁচা ডিম, আলু ছুঁড়ার জন্য তৈরী। পালাই রে বাবা।
বন্ধুরা আর পঁচা ডিম মাইরেন না, আমার আরেকটা গান আছে, সেইটাও একটু শুইনেন এখান থেকে। আমি বরং অফ্ যাই পুরা শীতটা...
রম্যকবিতা: ওকে মিসেস চার্মিং লেডী, ওকে
এবি'তে কবিতা জাতীয় লেখা পোস্ট করাটা কিছুটা বিপদের বটে। যেমন এই পোস্টটাই, লেখার পর প্রিভিউ দিয়ে দেখি মাথা থেকে হাঁটু পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে, খালি দুই পায়ের পাতা ঢেকে আছে। এ বিষয়ে আগেও আলোচনা হয়েছে। এখানে জুড়ে দিলাম টেকনিক্যল কারণে।
---
সুন্দরী নিজেকে তুমি যতই কালো ভাবো
তোমার চেয়ে বেশি সুন্দর
কাউকে কি আর পাবো?
যাক সে কথা,
শুনি কি খবর তোমার
দিন-কাল যাচ্ছে কেমন
কাটছে কেমন তার?
---
আরে তুমি, বিষয়টা কি এতগুলা দিন পর
কোথা থেকে উদয় হলে
ওহে পিশাচ নর।
চলে তো খুবই গিয়েছিলে
লাগবে না আর বলে
এখন হঠাৎ কেমন করে
আমায় ফোন দিলে?
---
উরিব্বাবা, বিষম তোমার রাগ
এর কাছেতেই হার মেনেছে
আমার অনুরাগ।
বললাম না, যাক সে কথা
ওতে কি লাভ বলো?
আমিও আছি, তুমিও আছ
জীবনটাতো গেল।
---
এই কথাটা ঠিক
আছি কিন্তু বেঁচেই দু'জন
যাই নি মোটেও মরে।
তোমার সঙ্গে হয়তো কখনো
নতুন বছরে কি ভাবছেন ?
নতুন শতাব্দীর দশম বছরটিকে ঝেঁটিয়ে বিদায় করে দিয়ে এসেছে নতুন বছর। সবার মনে এখন নতুন ভাব, চোখে নতুন খোয়াব। তাই...মানুষ কি ভাবছে নতুন বছরে ? বছরের প্রথম দিনে মনে এই প্রশ্নের উদয় হতেই বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের অনুভূতি জানতে ইচ্ছে হলো। ‘চ্যারিটি বিগেইনস এট হোম’-এই প্রবাদ বাক্যের অনুসরণে প্রথমে জানতে চাইলাম নিজের স্ত্রীর প্রতিক্রিয়া। ‘নতুন বছরে কি ভাবছো ?’ আমার এই প্রশ্নের উত্তরে প্রথমে একটু থমকে যান তিনি। তারপর... সরাসরি আমার চোখের দিকে তাকিয়ে বলেন, ‘সত্যি কথা বলবো ? ‘হ্যাঁ নি:সংকোচে বলতে পার’। আমি অভয় দেই। ‘ভাবছি তোমাকে কিভাবে সাইজ করা যায়’। ‘তার মানে ?’ ভড়কে গিয়ে প্রশ্ন করি। ‘ইদানীং তুমি কেমন জানি বদলে যাচ্ছ, আগের মতো আমাকে আর ভালোবাসো না। গত ঈদে একটা ভালো শাড়ীও দাওনি, ইদানীং আবার বড্ড রাত করে বাসায় ফির, বাসায় এসে আবার কম্পিউটার নিয়ে বসে পড়ো...। আচ্ছা তুমি আমাকে কি মনে করো বলতো !
”তোমার ব্লগ এতো হিট কেন?”
আমি বলছি না চুপচাপ ব্লগ পড়ে গেলেই চলবে, আমি চাই
কেউ একজন আমার পোস্টে মন্তব্য দিক
শুধু পোস্টের হিট বাড়াবার জন্য
বার বার রিফ্রেশ করতে করতে মাউস প্যাডটা নষ্ট
আমি বলছি না কেবল মন্তব্য দিলেই হবে, আমি চাই
কেউ একটা প্লাস দিক। আমি সিঙ্গেল নিকে
কাউকে মন্তব্য করার জন্য বলছি না।
আমি জানি এই ইন্টারনেটের যুগ
ব্লগারদের মুক্তি দিয়েছে মাত্র একটি নিকে ব্লগানোর দায় থেকে
আমি চাই কেউ একজন জিজ্ঞেস করুক, আমার কাউকে ’ট্যাগিং’ করা লাগবে কিনা
ক্যাচাল পোস্টকে উস্কে দিতে আরো একটা
রিভার্স গেম লাগবে কিনা
ছোটখাট খোঁচাখুঁচি, লাল বাটনে টিপ আমি নিজেও করে নিতে পারি
আমি বলছি না আমাকেই লগইন করতে হবে, আমি চাই
কেউ একজন কমন নিকের পাসওয়ার্ড দিয়ে ব্লগে
লগইন করুক, কেউ আমাকে তাদের ’মালটি নিক’ -টাও দিক
আস্তিক-নাস্তিক সঙ্গী না হোক, কেউ অন্তত আমাকে
জিজ্ঞেস করুক, ”তোমার ব্লগ এত হিট কেন?”
রোগ-সুন্দর
ভূমিকা: ভাইরাল, জ্বর-গলা ব্যথা-চোখ লাল-জ্বিভ বিস্বাদ! তবে এসব যন্ত্রণা সহ্য করেও যখন দেখি সোমবার দুপুরে; অফিসের থাবড়ানি ভোগ না করে, মেডিকাল লিভের দৌলতে ঘরে বসে মন দিয়ে ভি সি ডি’তে আইস এজ দেখছি, তখন দিল সুপার খুশ হয়ে যায়। সাবাস ভাইরাল, উইকেন্ডটাকে পাস কাটিয়ে ঠিক রবিবার রাত থেকে গায়ে টেম্পরেচার। কি টাইমিং মাইরি। নাহ, শুধু সেলস টার্গেটি নয়, জীবনে ভগবানও আছেন। বিকেলে বউ সলিড ঝাল ফুচকা নিয়ে আসবে, তাতে নাকি জ্বিভের টেস্ট-বাড’রা জেগে উঠবে। এই বডি টেম্পরেচার আর দু দিন টানতে পারলেই হল, বিষ্যুদ-শুক্কুর অফিসে টুকি মেরেই ফের উইকেণ্ড, ক্লাস সিচুয়েশন!
অতএব কনক্লুশান?, রোগ-ভোগ মানে যে হামেশাই টেনশন-দুশ্চিন্তা-কষ্ট তা নয়। প্রাসঙ্গিক দুটি কেস:
1। জনডিস
উইকিএডাল্টসলিকস: দি বাংলাদেশ ভার্সন
একসময় ব্লগটা ভাল ছিল। মন খুইলা কথা কইতাম। এখন কেমন যেন সুশীল সুশীল লাগে। আমার এই সুশীল ব্লগ ভাল লাগে না। সুতরাং যারা আমার সাথে একমত না তারা এই পোস্টে ঢুইকেন না।
১.
অবশেষে আমগাছ হইল জাতীয় গাছ। আমার তো মনে হয় জাতীয় গাছ বাঁশ হইলেই বেশি মানাইতো। মন্ত্রীসভার বৈঠকে অবশ্য বাঁশের সাথে কোনো রকম প্রতিযোগিতা ছাড়াই আম গাছ জাতীয় গাছের স্বীকৃতি পাইছে। এই তথ্য সবারই জানা। কিন্তু ঘটনার এখানেই শেষ না। আরও আছে।
সঙ্গীতের বাস্তব প্রয়োগ
শচীনদেব বর্মনের গান কেমন লাগে আপনার? তার “ডাকাতিয়া বাঁশী” শুনেছেন? গানটা আমি শুনেছি অনেকবার, কখনো অনেক ভাল লেগেছে, আবার কখনওবা তেমন একটা আবেদন সৃষ্টি করতে পারেনি । মনের খেয়াল, কখন কোনটা ভাল লাগবে তা মনই ভাল বলতে পারে । তা’ছাড়া, যে জিনিষটাকে আমরা যেখানে যেমনভাবে দেখতে অভ্যস্ত, অথবা ইচ্ছুক তেমনভাবে দেখা পেলে ভাল লাগাটা উপচে ওঠে । তবে অন্য রকম কি আর হয় না ! তাও হয় । আশা করি আপনারাও শুনেছেন এ বিখ্যাত গানটি । তবে, দেখেছেন কখনও এ গানের অপরূপ বাস্তব প্রয়োগ? না, আমিও দেখিনি, তবে বাস্তব প্রয়োগের চমকপ্রদ এক কাহিনী শুনেছি । যদিও সময় ও সুযোগ থাকা সত্ত্বেও দেখবার সৌভাগ্য (?) হয়নি ।
বন্ধুদের জন্য
এ পর্যন্ত আসতে আমার মাথার ঘাম পায়ে না পড়লেও গায়ে পড়েছে । ঝুনো নারকেল ভাঙতে যে কষ্ট তার চেয়ে বেশী কষ্ট পাকা মাথায় কম্পিউটার ঢুকানো । পুত্র, কন্যা, পুত্রবধু সবার কাছে সহায়তা নিয়ে তবেই ব্লকে লিখবার সুযোগ হলো । ব্লগে ঢুকতে যেয়ে মাথা গেছে ব্লক হয়ে । যা কিছু মাথায় ছিল তা এখন সব হ্যাং হয়ে জট পাকিয়ে গেছে । এ জট খুলবে সহজে এমনটি ভাববার অবকাশ নেই । নিয়েছিলাম রম্যরচনার উদ্যোগ, গেল সব ভন্ডুল হয়ে । চব্বিশ ঘন্টা যাকে থাকতে হয় উদ্বেগ নিয়ে - তার গভীর আলোচনায় গেলে কি চলে ? পুত্র বুলবুলের মৃত্যুশোক ভুলতে কাজী নজরূল হাস্যরসাত্বক পুস্তক রচনা করেছিলেন । হ্যাং হওয়া মগজ থেকে সে বইএর নাম বের হচ্ছেনা কিছুতেই । আজ থাক, কেবল তো শুরু - "আমরা বন্ধু", কাজেই বন্ধুর এ ব্যার্থতা অন্তত প্রথমবারের মত উপেক্ষা করা যায় ।
নাসিরুদ্দিন হোজ্জার কৌতুক
ছোটবেলায় যখন স্কুলে পড়ি মামার কাছ থেকে কিছু বই উপহার পাই। একটা ছিল নাসিরুদ্দিন হোজ্জার কৌতুকের সংকলন। নাম ভিন দেশি এক বীরবল। লেখক সম্ভবত মোহাম্মদ নাসির আলী। প্রায় শ খানেক নাসিরউদ্দিন হোজ্জার কৌতুক ছিল বইটাতে। হাস্যরসের আকর এই বইটার কৌতুক খুবই প্রিয় ছিল আমার। বলা যায় একদম গুণমুগ্ধ ছিলাম হোজ্জার। সেই মুগ্ধতা আমার এখনো তেমনই আছে। হোজ্জা আমার অলটাইম ফেভারিট।
তুরস্কের দার্শনিক, জ্ঞানী, বুদ্ধিমান (কখনও কখনও বোকা) ও প্রচন্ড রসবোধে পরিপূর্ণ হোজ্জার কৌতুক সারা দুনিয়ায় জনপ্রিয়। ইউনেস্কো ১৯৯৬-১৯৯৭ সালকে আন্তর্জাতিক নাসিরুদ্দিন দিবস হিসাবে ঘোষণা করে।
আফসোস, সেই ভিন দেশি এক বীরবল বইটা হারিয়ে গেছে। সেই কবে পড়েছি কিন্তু এখনো বেশ কয়েকটা মনে করতে পারি। তার কয়েকটা কৌতুক এখানে দিলাম।
অভিযোগ নাই
বারো রকম ছাগু - একটি গবেষণা ধর্মী পোষ্ট।
বাংলা ব্লগ ইতিহাসে "ছাগু" সম্প্রদায় একটি বিশাল স্থান লইয়া রহিয়াছে। ইহাদের বংশবৃদ্ধি যাহাতে না হয় , সেইজন্য অনেক উদ্যোগ লওয়া হইয়াছে পূর্বে । সকলের সেই উদ্যোগ ব্যর্থ করিয়া ইহারা শুধু বংশবৃদ্ধিই করে নাই , ইহাদের রকমভেদ বাহির হইয়াছে ।
অধূনা বাংলা ব্লগ গবেষণা করিয়া বারো রকমের ছাগু সম্প্রদায় চিহ্নিত হইয়াছে। সেই গবেষণা খানি আজ আপনাদের সম্মুখে পেশ করিয়া আমি নিজেকে বড়ই কৃতার্থ মনে করিতেছি।
বিদ্যুত না থাকিবার ফজিলত সমূহঃ
ঘটনে-অঘটনে চট্টলা
১.
চট্টলার প্রথম ভ্রমণটারে অঘটন বলা যায়...নাকি ঘটন?
আমি আর মামুর ব্যাটা এক সন্ধ্যায় বসে আজাইরা ঝিমাচ্ছিলাম। হঠাৎ মনে হলো,- চল চট্টগ্রাম যাই, ভাবীরে নিয়া আসি। ভাবী পড়তেন চট্টগ্রাম ইউনিতে, ভাইয়ের পোস্টিং ঢাকায়। বৃহস্পতিবারের দিকে ভাবী ঢাকায় আসতো। তো আমরা ভাবলাম যে আমরাই গিয়ে নিয়ে আসি। মধ্যে দিয়ে চট্টলা ঘুরা হয়ে যাবে। মাথায় প্ল্যান আসার দশ মিনিটের মাথায় ফাইনাল করে ফেললাম। এবার যার বৌকে আনতে যাব, তার কাছে গেলাম। ভাই বললো, "ভাবীরে আনতে যাবি যা, আমারে জিগায়া তো প্ল্যান করস নাই!" আমাদের সামনে গা-ছাড়া ভাব ধরছে আর কি! হু কেয়ারস! রাতের বাসে চড়ে বসলাম, সূর্য উঠতে না উঠতেই চট্টলা।
চকলেটের জন্য কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ
আইজকা বিকাল বেলায় নগরীর জিইসি মোড়ের কাছেই কিছু পরিচিত-অপরিচিত মানুষ(সাকূল্যে সাড়ে তের জন) সহ বইসা কিছু চকলেট খাইছি আর কিছু পকেটে কইরা চামে বাসায় নিয়া আইছি।
আল্লাগো, এই রকম আরো চকলেট খাইতাম, মন চায়...
খুব মজা লাগ্ছে।
শুজুর আলহাম্দুলিল্লাহ্...
কর্তৃপক্ষের জয় হোক....।
পোষ্ট শ্যাষ....।