ইউজার লগইন
শিক্ষা
খাল ড্রোগো হাইপোথিসিস
১.
গবেষণার সাথে কি মানুষের সাইকোলজিক্যাল যোগাযোগ থাকতে পারে? যেমন, একটা মানুষ হয়তো জানেই না যে সে মূলত গবেষক হয়ে জন্মেছে, কিন্তু কাজেকর্মে নানাসময় গবেষকদের মতো আচরণের প্রমাণ রেখে গেছে। গবেষণা বিষয়টা আসলে কি? কোথায় গবেষণার ধারণা প্রথমবার জন্ম নেয়? এইসব প্রশ্ন মাথায় আজকাল ঘুরপাক খায়। আর প্রথম বরফপাতের অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে যেতে জীবনের না পাওয়াগুলো ভেবে দীর্ঘশ্বাস ফেলতে থাকা সিচুয়েশনটার কথা মনে পড়ে।
আসলে বরফপাতের মধ্যেই সমস্যা আছে। বরফের মধ্যে হাঁটতে থাকলে মনের কোন সেন্সরটা যে কোন কারণে অন আর অফ হয়, সেটা বোঝা সহজসাধ্য নয়। যে কারণে মনের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখাটাও জটিল হয়ে দাঁড়ায়। পিংক ফ্লয়েড শোনার সময়ের মতো উল্টাপাল্টা জিনিস মনে পড়ে। অন্ধকার ঘরে। আর একটা হয়তো মারিয়ুয়ানার সাথে।
২.
আদুরে বাবুর রিডিং অ্যাপস, শিশুদের জন্য ডিজিটাল শিক্ষাউপকরণ ও তার সম্ভাব্য অভিঘাত বিষয়ে একটি সতর্ক প্রতিক্রিয়া
র্যানসমওয়্যার ও সচেতনতা শর্টকাটে
কম্পিউটার কি?
কম্পিউটার হল দুনিয়ার সবচেয়ে বোকা জিনিষ। আপনি যেইভাবে বলবেন ঠিক সেইভাবে কাজ করবে।
হাল আমলের নতুন সাড়া জাগানো কম্পিউটার থ্রেট হল র্যানসমওয়্যার। ভাইরাস, ওয়ার্ম, এ্যাডওয়্যার, ম্যালওয়্যার, রূটকিট ফেলে এখন আমরা র্যানসমওয়্যারের যুগে। আগে মানুষ বিনোদনের জন্য ভাইরাস লিখে ছেড়ে দিত এরপর মজা দেখত। কিছু হ্যাকার টাকা পয়সার ছোট বড় চুরি চামারী করে। আর কিছু হ্যাকার ডিফেন্স ইনফরমেশন সংগ্রহ করে। এটা হয় বিভিন্ন দেশের সরকারী যোগসাজসে। মানুষ বাড়ার সাথে সাথে এখন মানুষের চাহিদা বেড়ে গেছে অনেক গুন সেই সাথে বেড়েছে টেকনোলজির পরিধি। ব্যাঙ্ক একাউন্ট হ্যাক করা এখন বেশ কষ্ট সাধ্য আর ধরা পড়ার সুযোগ অনেক বেশী। তাই আবিষ্কার হয়েছে র্যানসমওয়্যারের।
এখন প্রশ্ন হল এটা কি জিনিষ আর কাজ করে কিভাবে?
হোয়াইট সান্টা আর ব্ল্যাক পিটের গল্পটি
উত্তর আমেরিকার সান্টা ক্লজের ওলন্দাজ রূপটি হলো ‘সিন্ট নিকোলাস’ বা ‘সিন্টারক্লাশ’। যদিও আজকাল আমেরিকার দখলে সান্টা ক্লজ কিন্তু সান্টা ক্লজের আদি দাবিদার কিন্তু ওলন্দাজরা। বলা হয়ে থাকে, আমেরিকার স্বাধীনতা যুদ্ধের সমসাময়িক কাল থেকে, নিউ ইয়র্কের ওলন্দাজ কলোনিতে (নিউ আমর্স্টাডামে) বসবাসকারী অভিবাসী ওলন্দাজ নাগরিকরা সেখানে এই রীতিটির পালন পুনরায় শুরু করেছিলেন। আজকের এই আনন্দময় রীতিটির পেছনের গল্পটিই এখানে বলব। কেমন করে সান্টা সব বাচ্চাদের আপন হলো।
ভ্যাট দেব না,গুলি কর
৬ টাকা নিয়ে বের হয়েছিলাম। ক্লাস ৯:৩০ এ। বাস ভাড়া ৭
টাকা, রিক্সা ভাড়া ৩০। সকালের কড়া রোদে ৪৫ মিনিট
হেটে মাথা ব্যাথা শুরু হয়ে গিয়েছিলো। ঢাকায় সাধারনত
কেউ সাপ্লাই পানি খায়না। সেদিন টেপের পানিই
খেয়েছিলাম। বাকি দিনের কথা বলা বাহুল্য। গায়ে দিতাম
এডিডাসের টি শার্ট, প্রবাসী বোনের কল্যানে।
বাবার প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা প্রায় অর্ধেক শেষ।
প্রতিদিন হিসাব করতাম আর কত সেমিস্টার লাগবে, কত
টাকা লাগবে। স্ট্যাটিস্টিকসে পেলাম "ডি+"। মাথায় হাত।
রিটেক করতে গেলে আরো ১২ হাজার টাকার মামলা। এক
সাবজেক্টেই সি জি পি এ নেমে গেল। উপায় নেই। করা
যাবেনা রিটেক।
অনেক রাত কেটেছে সস্তা মেসের বুয়ার রান্না খেতে না
পেরে উপোস থাকা।
২০১০ হঠাৎ ৪% ভ্যাটের নোটিস, নেমে গেলাম বড় ভাইদের
সাথে, বড় ভাইরা মার খেলেন, জেল খাটলেন, সাসপেন্ড
হলেন। আমরা মিছিলের পিছনে থেকে কোনমতে লাঠিচার্জ
বিষয়- ধর্মের ভিত্তিতে হল বরাদ্ধ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন হলে (একাত্তর হল) সকল ধর্মের ছেলেরা সিট পাবে এমন একটি সংবাদ দেখি। এই প্রসঙ্গে অনেকে আনন্দিত সেই সাথে ধর্মের ভিত্তিতে হল প্রদান করা উচিত কী অনুচিত না নিয়ে অনেকে মতামত দিয়েছেন। অমুসলিম ছেলেদের জন্য জগন্নাথ হল। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধর্মের ভিত্তিতে হল আলাদা হওয়ায় স্বাভাবিকভাবে বিষয়টি চোখে লাগে। তবে বাস্তবতার কারণে ধর্মের ভিত্তিতে হল বরাদ্ধের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া যাচ্ছে না! একাত্তর হলের বিষয়ে সবার সাথে আমিও আনন্দিত। তবে বাস্তবতার কারণে অমুসলিমদের জন্য আলাদা হল এখনো জরুরী। কেন জরুরী তা আলোচনা করা জরুরী।
ইংরেজির প্রতি ভালোবাসা, বাংলার সাথে প্রেম!
আমি জানি, যারা এই মুহূর্তে এটা পড়তে আসলেন, ভাবছেন এই বুঝি ইংরেজি-বাংলার ক্লাস শুরু হয়ে গেলো! না, এই কথা বলতে আসিনি, বলতে চাচ্ছি আমাদের অনেকেই আছেন যারা জীবনের (মূলত ছাত্র জীবনের) এমন কিছু কাল পার করে এসেছি যখন মুখস্ত করা মনে রেখে পরীক্ষায় খাতা ভরে দিয়ে পাশ করার চিন্তায় ছিলাম অনেকটা সময়েই। আমিও এর বাইরে ছিলাম না কোনোভাবেই।
নবম শ্রেণী*তে থাকতে আমি এমনি ছিলাম। দশম শ্রেণি থেকেই আমার পরিবর্তন হতে থাকে, যার ফলশ্রুতিতে আমার বাংলা আর ইংরেজির প্রতি প্রেম-ভালোবাসার জন্ম হয়, আর সেই প্রেম এখনো অটুট রয়েছে আমার সবটা জুড়ে।
*(ঐসময় বানান টা ঈ-কার দিয়ে লেখা হলেও বর্তমানে কিন্তু ই-কার দেয়া হয়)
তার পরেও অনেক কিছুর প্রেমে পড়লেও এই ভাষা দুটোর প্রেম-ভালোবাসা থেকে বের হতে পারি নি, তাই এই প্রায়-বুড়ো বয়সেও অফিসে বসে কাজের ফাকে লিখছি বাংলা ব্লগ (এখানে প্রথম লেখা) আর যাচাই করছি নিজের ইংরেজি শব্দ জ্ঞান।
মেডিক্যাল শিক্ষা ব্যবস্থা -১
আমি চীনে থ্রী গরজেস মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে এমবিবিএস পড়ছি । এখানকার শিক্ষা ব্যাবস্থা আর বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার ভিন্নতা রয়েছে ।
বাংলাদেশের মেডিক্যালে প্রফ আইটেম কার্ড এক্সাম রয়েছে চীনে তা নেই । এখানে প্রফ নেই টার্ম ফাইনাল রয়েছে , আইটেম নেই কিন্তু লেকচার কুইজ রয়েছে। বাংলাদেশে এনাটমি বায়োকেমিস্ট্রি ফিজিওলজি এক সাথে পড়ায় । কিন্তু চীনে সিলেবাসটা অন্যরকম । আমাদের আগে বায়োকেমিস্ট্রি পড়ায় তারপর ফিজিলজি । এর পিছে একটা কারন রয়েছে তাহলো বায়োকেমিস্ট্রি এর সাথে ফিজিওলজি খুব বেশি কানেক্ট। তাই এরা আগে বায়োকেমিস্ট্রি পড়ায় যাতে ফিজিলজি ভাল করে বুঝতে পারে। বাংলাদেশে এনাটমি ,হিসটলজি , এম্ব্রায়লজি একটা বিষয় হিসেবে পড়ায় । কিন্তু এখানে ৩টাই আলাদা করে পড়ায় আলাদা বিভাগ করা। এখানে পিঁপিঁটি + বই পড়ায় । আজকে এতটুকু । পরবর্তী পোস্টে আরও জানানো হবে
এসএসসি নিয়ে কিছু ভাবনা... এবং বাস্তবতা
দু দিন আগেই এসএসসির পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। পত্রিকায় পড়লাম পরীক্ষায় পাশ করা এক ছাত্রীর মা বলছে "সাফল্যের পেছনে কৃতিত্ব স্কুলের নয়, আমাদের"। বিষয়টা অনেকেই কিন্তু গুরুত্ব দিয়ে দেখে নাই। হাজার হাজার এপ্লাসের ভীড়ে এই সংবাদটা অনেকেরই চোখে পরে নাই।
আমার বাচ্চাটা (ঋহান) মাত্র স্কুলে যাওয়া শুরু করছে। এই শুরুতেই কিছু বিষয় আমি দেখেছি। সামনে হয়তো আরো অনেক কিছু দেখতে হবে। সে মানসিক প্রস্তুতি নিয়েই ঋহানকে নিয়ে আমরা মাঠে নেমেছি। স্কুল শুরুর এই সময়টাতেই আমরা যা দেখেছি...
১. ভালো স্কুলে ভর্তির জন্য দুই বছরের কোচিং করতে হবে (ওই স্কুলের নির্ধারিত কোচিং সেন্টারে);
২. ভর্তি পরীক্ষায় না টিকলে পরের বছর বয়স কমিয়ে আবার পরীক্ষা দেয়ার জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে;
৩. পরীক্ষায় যদি চান্সও পায় ভর্তির সময় ডোনেশন নামের এককালীন টাকা দিতে হবে;
গ্রন্থালোচনাঃ আমি বীরাঙ্গনা বলছি ঃ নীলিমা ইব্রাহিম
যুদ্ধের সবচেয়ে বড় শিকার হয় নারী ও শিশু। আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধও এর ব্যতিক্রম কিছু নয়। বহুদিন ধরে পড়তে চাওয়া নীলিমা ইব্রাহিমের লেখা “আমি বীরাঙ্গনা বলছি” বইটি পড়ে শেষ করলাম। খুব সহজ ভাষায় সাতটি মেয়ের বীরত্বের কাহিনী এতে লেখা আছে। একশো ষাট পৃষ্ঠার এই বইটি পড়তে খুব বেশী সময় লাগার কথা নয়। কিন্তু আমার অনেক সময় লেগেছে। আমি পাঁচ দিনে সাত জনের গল্প পড়লাম কারণ আমি হজম করতে পারতাম না। অনেকক্ষণ ধরে ভাবতে হয়, থমকে থাকতে হয়। কীসের মধ্যে দিয়ে গেছেন তাঁরা। কিছু লিখবো না লিখবো না ভেবেও শেষ পর্যন্ত লিখছি। তাদের নাম-পরিচয়, পুর্নবাসন, তাদের সংগ্রাম নিয়ে, তথ্য উপাত্ত ভিত্তিক পূর্নাঙ্গ কোন বই আছে কীনা, তাও জানা নেই। আমি বাংলাদেশের অনেক মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক সিনেমা দেখেছি কিন্তু শুধু তাদের ওপর করা অত্যাচার এবং যুদ্ধ পরবর্তী তাদের মানসিক কষ্টের ওপর কারো কোন কাজ দেখেছি বলে মনে করতে পারছি না। তাদের পুর্নবাসনের কার্যক
গ্রন্থালোচনাঃ বোবাকাহিনী
ক্রীসমাসের ছুটিতে কিছুটা কাউচ পটেটো হয়ে বাইরের তুষারপাত দেখেছি আর হাতে ছিলো গরমা গরম সবুজ চায়ের সাথে পড়া না পড়া কয়েকটি বই আর কিছু দুর্দান্ত সিনেমা। ছোটবেলা থেকে পল্লীকবি জসীমউদ্দিনের কবিতা পড়েছি তবে সেগুলো বেশীরভাগই টেক্সট বইয়ে। সহজ সরল জীবন কথা, গ্রামীন রুপ এই তার লেখার প্রধান উপজীব্য বলে ধারনা ছিলো। নিজেদের শহুরে জীবনের সাথে অনেক সময় রিলেট করতে পারিনি বলে বেশীর ভাগ সময় আগের যুগে গ্রামে এমন হতো এই মনোভাব নিয়ে পড়ে গেছি।
আমার বাড়ি যাইও ভোমর, বসতে দেব পিঁড়ে,
জলপান যে করতে দেব শালি ধানের চিঁড়ে।
শালি ধানের চিঁড়ে দেব, বিন্নি ধানের খই,
বাড়ির গাছের কবরী কলা গামছা বাঁধা দই।
কিংবা
আসমানীরে দেখতে যদি তোমরা সবে চাও,
রহিমদ্দির ছোট্ট বাড়ি রসুলপুরে যাও।
বাড়ি তো নয় পাখির বাসা ভেন্না পাতার ছানি,
একটুখানি বৃষ্টি হলেই গড়িয়ে পড়ে পানি।
একটুখানি হাওয়া দিলেই ঘর নড়বড় করে,
মাই লিটল ম্যাজিশিয়ান ও পিএসসি সার্টিফিকেট
আমার ছোট্ট মেয়েটির নাম জারা সুপ্রীতি। এখনো চোখের সামনে দেখতে পাই ওর জন্মদিন বা জন্মমুহূর্ত। দেখি ওর টলমলে পায়ে প্রথম হাঁটার দৃশ্য। প্রথম প্রথম কথার অস্ফুট উচ্চারণ, পুরো একটি শব্দ বলতে পারত না ও, প্রত্যেক শব্দের প্রথম অক্ষর উচ্চারণ করে নিজের মনের কথা বোঝাতে পেরেছে এমন ভঙ্গি করে সবার দিকে তাকিয়ে বোদ্ধার মতো ওর ঝাকড়া চুলের মাথা দোলাত। যেমন কোককে বলত “কো” বা পাপাকে “পা”, তেমনি বোনকে দিদি বলা শেখানোর চেষ্টায় সে শুধু “দি” বলে নিজের দায়িত্ব শেষ করত। এখন ও পূর্ণাঙ্গ শব্দ উচ্চারণ করলেও বোনকে সেই আগের মতোই “ দি” বলে ডাকে।
জারা এই বছর পিএসসি পরীক্ষা দেবে। লম্বায় সে আমাকে ছুঁয়ে ফেলেছে। আমি ওকে বুকে জড়িয়ে যখন বলি, কেমন লম্বা হয়ে যাচ্ছিস বলতো?
জারা বলে, ভালো তো, তোমাকে আর মাথা নিচু করে কথা বলতে হবে না। মাথা উঁচু করে কথা বলবে এখন থেকে।
মান সম্পন্ন শিক্ষা- ৩
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরীর সুবাদে গত কয়েক বছর ধরে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্রদের সান্নিধ্যে আসার সুযোগ হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় এর মানের দিক দিয়ে এই সকল বিশ্ববিদ্যালয় কে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসাবে ই ধরা হয় না। এর বেশ কিছু কারন আছে।যেমন – ১। প্রতিষ্ঠানের স্থাপন (দেখার মতো কোন স্থাপনা নেই), ২। শিক্ষার মান, ৩। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান (টাকা দিয়ে সনদ বেচা হয়), ৪। ল্যব নেই, ক্লাশ রুম নেই, মাঠ নেই।
মান সম্পন্ন শিক্ষা- ২
পূর্বের লিখা মান সম্পন্ন শিক্ষা ১ এর মন্তব্যে দুইটি বিষয় উঠে এসেছে, ১। শিক্ষা ক্ষেত্রে রাজনীতি ২। সমাধান।
১। মানুষ মাত্র ই রাজনৈতিক। রাজনীতি মানে ই দেশের ক্ষমতা দখল না। শিক্ষায় রাজনীতির সংস্রব রোধ করা গেলে ও, শিক্ষা ক্ষেত্রে রাজনীতি দূর করা সম্ভব হবে না। কোথাও হয় নি। এই দেশে ও হবে না।
২। সমাধান কি?
-সমাধান অনেক সহজ। বর্তমান পরীক্ষা পদ্ধতি বাতিল কর এবং নতুন পরীক্ষা পদ্ধতি গ্রহন কর।
আজ আমি এই দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তর ই দিব।-
------------------------------------------------------------------------------------------------
মান সম্পন্ন শিক্ষা
কিছুদিন যাবত আমরা জাতিগত ভাবে খুব উদ্বিগ্ন সময় কাটাচ্ছি । বিশেষ করে যখন ই কোন জাতীয় পরীক্ষা সামনে আসছে তখন ই যার বাসায় পরীক্ষার্থী আছে তিনি যেমন চিন্তিত সময় কাটাচ্ছেন, তেমনি আমরা যারা প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাঠ অনেক বছর হয় পার করে এসেছি তারা ও বেশ চিন্তিত। বিশাল উত্তেজনায় সময় কাটছে পরীক্ষার পূর্বের রাত গুলো। অনেকটা ক্রিকেট খেলার মতো, এক বলে ছয় রান। হয় ছক্কা নয় হেরে গেল। প্রশ্ন পত্র ফাঁস হল বলে হল বলে করতে করতে ফাঁস হওয়া প্রশ্ন হাতে পৌছাল কি পৌছাম না, তা নিয়ে বিশাল উত্তেজনা। সময় মতো হাতে এসে পড়লো তো ছক্কা মানে "Five", নয়তো ফেইল অথবা কোন রকম পাশ নম্বর। যার বাসায় পরীক্ষার্থী আছে, তারা চিন্তিত আবার দুই ভাবেঃ
১। প্রশ্ন পত্র হাতে এসে পৌঁছাবে তো?
২। সবাই প্রশ্ন আগে পেয়ে যাবে, আমার বাচ্চা তো ভাল পরীক্ষা দিয়ে ও তুলনামূলক ভাবে খারাপ করবে