ইউজার লগইন
স্মৃতিচারণ
যাপিত জীবনের গল্প-৪
ছোট বেলাতেই সব কিছুতেই সহজে হার মেনে নেয়ার একটা প্রবণতা ছিলো। যে কোনো কারণেই হোক, যা কিছুই ঘটুক খুব সহজেই হার মেনে নিতাম। হয়তো কোনো ভেজালে যেতে চাইতাম না বলেই অথবা খুব ক্ষীণ শক্তির অধিকারী ছিলাম বলেই।
কিংবা কখনো কোন কারণে মনে হয়নি আমার জিততেই হবে। কোন কিছুতে জেতার চেষ্টাও করিনি কখনো।
খুব ভালো ছাত্র যে কখনোই ছিলাম না সে ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। কিংবা ভালো ছাত্র হবার চেষ্টা কখনো করিনি। কখনো ক্লাসে প্রথম হওয়া ও তাই কোনোদিন হয়ে উঠেনি। তবে বই পড়ার প্রতি আমার ছিলো প্রচন্ড ঝোঁক। সেটা নিজের পাঠ্য বইয়ের প্রতি নয়, বড় বোনদের বাংলা কিংবা ইংরেজী বইয়ের গল্পগুলোর প্রতি। ওই বইয়ের গল্প পড়েই বিকেলের সময়টুকু কাটিয়ে দিতাম ।
ভবিষ্যত বলা কঠিন , তবুও সব বাবা মা নিশ্চয় তার সন্তানকে নিয়ে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম স্বপ্নটাই দেখে ।
অনুতপ্ত
তখন মগবাজার মোড় থেকে সূর্যসেন হল পর্যন্ত রিক্সা ভাড়া ছিল ২টাকা। মাসের শেষে খরচের টাকা আনতে বাসায় গেলাম। ্বন্ধুদের মধুর ক্যান্টিনে অপেক্ষা করতে বলে আমি বাসায় রওনা দিলাম। ২ টাকাই ছিল, তাই নিশ্চিন্তে ভাড়া জিজ্ঞেস না করেই রিক্সায় চেপে বাসার সামনে এসে ২ টাকা বের করে দিলাম। রিক্সাওয়ালা আরো ৫০ পয়সা চাইলো। এমনিতে পকেটে আর কোন ফুটা পয়সাও ছিল না তার উপর ভাড়া বেশি চাওয়াতে মাথা বিগড়ে গেলো। ঠাস করে একটা চড় দিয়ে আমি বাসায় ঢুকে গেলাম। একটু পর বাইরে হৈ চৈ শুনে বারান্দা দিয়ে উঁকি মেরে দেখি ২০/৩০ জন মানুষ, সবাই রিক্সাওয়ালা খুব চিৎকার করে আমাকে বের হতে বলতেসে।ঢাকা বিস্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের দল বেঁধে ঘুরা টগবগে ভয় ডরহীন যুবকের মনে বিশাল ভীতি জন্মালো এই ভেবে যে বাসা থেকে কেমন করে বের হব, বের হলেই তো পিটিয়ে ভর্তা বানিয়ে দিবে।
বুয়েটের বাপ(পর্ব-৪)
চিফ ইঞ্জিনিয়ারগন কাজে যোগদানের নোটিশ পাবার পার চিফ ইঞ্জিনিয়ারিং স্ট্যাটাস কয়েকদিনের মাঝেই তিরোহিত হতে লাগল। আমাদের ক্যাডেট কলেজ বা ইংরেজী মাধ্যমে পড়ুয়া বন্ধুরা তেমন সমস্যায় না পড়লেও আমরা যারা বাংলা মাধ্যমে পড়াশুনা করেছি, তাদের কাছে সব কিছু যেন এভারেষ্টে আরোহণের চেয়েও কঠিন হয়ে দেখা দিল। কার কাছে জানি শুনেছিলাম মরাকে আরও মার, আমাদের মান্যবর স্যারেরা যেন তারই প্রতিযোগিতায় নামলেন। এস, এস,সি ও এইচ এস সি তে যে সব বিষয় গুলো বাংলায় পানির মত সহজ ও অত্যন্ত মজা করে পড়েছি, স্যারদের ইংরেজীর কচকচানিতে তাই যেন ইস্পাত কঠিন দৃঢ় হয়ে সামনে উপস্থিত হলো যা আমাদের/আমার খুপড়িতে ঢুকছিল না। ইংরেজী জানার যে দৌড় ছিল তাতে এক লাইন পড়তে কতবার ডিকশনারি খুলতে হতো হিসেবে নেই। আমার বন্ধুরা সবাই এমন ছিলে তা কিন্তু বলছি না।
হারানো সেই দিনের কথা
যেই দিন চলে যায় পরে সেটাই অনেক মধুর মনে হয়। মনে হয় যদি ফিরে পেতাম সেই দিনগুলি।
আজকাল্কার কান্ডকলাপ আমার কাছে মনে হয় যেন বাস্তব কিছু নয়। যেন কোন হীরক রাজার গল্প টাইপ মুভি দেখছি হলে বসে। ভাল লাগেনা। যেহেতু আমিও একজন সচেতন নাগরিক তাই মনে কষ্ট পাই। দূর দেশে বসে অন লাইন আর টি,ভি'র বদৌলতে দেশের সব খবর পেয়ে যাই সাথে সাথেই।
বিশ্বাস হতে চায়না, মন মানেনা, তবুও জানি এটাই সত্যি।
তাই বসে বসে ভাবি, ইস যদি এখনকার দিন গুলি আগের মত হত!
মানুষ মানুষকে কুপিয়ে মারতো না, অনেক মিত্থ্যাচার ছিলনা, পারস্পরিক সন্মানবোধ অনেকটাই বজায় ছিল। ধর্ম নিয়ে কোন বাড়াবাড়ি ছিল না। ধার করা কোন সংস্কৃতি নয় বরং আমাদের নিজেদের যা আছে তাই নিয়ে খুশি থাকা।
দেশ একটাই, জাতিও একটা। কিছুটা মত বিভেদ থাকবেই, কিন্তু তাই বলে স্বপক্ষে আর বিপক্ষে বলে জাতিকে দুই ভাগে ভাগ করে দিয়ে কি আনন্দ, বুঝি না।
আচ্ছা, আমরা আসোলে কবে মানুষ হব, কেউ বলতে পারেন?
বুয়েটের বাপ(পর্ব-৩)
আমরা যখন রুয়েটে ভর্তি হই তখন ছেলেদের জন্য ১নং (শহীদ শহিদুল ইসলাম) হল, ২নং (শহীদ আব্দুল হামিদ) হল, মেইন হোস্টেল( শহীদ লেঃ সেলিম) নামে তিনটি হল ছিল। মেয়েদের জন্য তখন কোন আলাদা হল ছিল না। মেয়েরা একটি শিক্ষক কোয়ার্টারে থাকত। আমরা যখন রুয়েটে ৮৫ সিরিজে ভর্তি হই তখন এটা ছিল রাজশাহী ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, ১৯৮৬ সালে তা বি, আই, টি, রাজশাহী ( বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি, রাজশাহী) এবং ২০০৩ সালে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বা রুয়েট নামে পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হয়।
বুয়েটের বাপ(পর্ব-২)
বুয়েটের বাপের কাহানি বলার আগে চল দেখি আমাদের ফ্যামিলি গেট টুগেদারের কি হল। এক এক করে চঞ্চল, প্রিন্স, জহির, লেবু, মিজান (ঠাকুর মিজান), জামিল, আফজল মামু বউ বাচ্চাসহ আগে যারা ছিলাম তাদের সাথে এসে হাজির হল। আমার বাচ্চাদের পরদিন পরীক্ষা থাকায় মেরিট ব্যাচেলর হিসেবে উপস্থিত হলাম। না হয়ে উপায় ছিল না, কারন আমি যে হোষ্টের খাতায় নাম লিখিয়েছি। তবে এমন হতভাগা আমি শুধু একা না, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টর ইকবাল ও মুহিত কাকুর ভাতিজা শুভ কিবরিয়াও আমার মত একাকি এসে আমার মনবল বাড়িয়ে দিলেন। মাস্টর ইকবাল আমাকে সুযোগ পেলেই বাঁশ দিতে ছাড়েন না, তারপরও কেন জানি ও না আসলে আমার কাছে যে কোন গেট টুগেদার পানসে পানসে লাগে।
মা দিবস উপলক্ষ্যে: মায়ের অভিমান
একটা চিঠি। সে অনেকদিন আগের কথা; আমার বয়স পাঁচ কি ছয় হবে। হারিয়ে যাওয়া স্মৃতির ঐ সময়টা খুব একটা কারো মনে থাকার কথা নয়। পরবর্তীতে মা আবার সেই স্মৃতিটা গল্পের মত বলেছিল এবং কেঁদেছিল, যখন আমি পড়তে পারি। পদ্মা বিধৌত উর্বর মাটির সন্তান আমি এবং আমার পূর্ব পুরুষ। এ নদীকে কেন্দ্র করে এর কাছাকাছি শরীয়তপুর, চাঁদপুর ও বিক্রমপুর-এ হাজার বছর ধরে আমাদের পিতৃগণ ও মাতৃগণের বসবাস। ১৯৪৭এর পরে এবং ১৯৭১ এর পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সময়ে আমাদের মাতৃ ও পিতৃকূলের অধিকাংশ সদস্য ভবিষ্যতের কথা ভেবে ক্রমান্বয়ে ভারতে চলে যায়। আমার মা বাদে দাদু তার পুরো পরিবার নিয়ে নদীয়ায় চলে যায়। চিরতরে মা-বাবা হারানোর মত করে মা টানা পাঁচ-সাত কেঁদেছিল।
আমার স্বপ্নপূরণ- আমার ছোট্ট রিয়াসা !
মানুষ মাত্রই স্বপ্ন দেখে, আমি সব সময়ই চাইতাম- আমাদের একটা মেয়ে হবে। সে হাসবে, খেলবে, সারা ঘরময় ছুটে বেড়াবে! একসময় আমার সেই স্বপ্ন সত্যি হল। আমার মেয়ে এখন সারাক্ষণই ঘরকে মাতিয়ে রাখে। সারা ঘরময় ওর ছুটে বেড়ানো, পাকা পাকা কথা বলা, দুষ্টুমি, মান-অভিমান আমাদেরকে এক ভিন্ন আবেশে জড়িয়ে রাখে, ও চুপ করে থাকলেই বরং ভাল লাগে না !
চশমা ভূত এবং ডিকশনারির গল্প
ক্লাস এইটে থাকতে আমার একবার শখ হল ইংরেজি ডিকশনারী মুখস্থ করে ফেলব|শখটা মাথায় ঢুকিয়ে দিয়েছিল হুমায়ুন আহমেদ| তাঁর দুই দুয়ারী উপন্যাসে মি.জুন নামের একটা চরিত্র ছিল, যে চরিত্রটি ডিকশনারী মুখস্থ করে ফেলেছিল মাত্র কয়েকদিনে|
আমি আবার বায়ুগ্রস্থ লোক| একবার মাথায় কোন খেয়াল চাপলে সেটা করতে জান দিয়ে দিই|
সেদিন থেকে নাওয়া খাওয়া মাথায় তুলে পড়ে গেলাম অক্সফোর্ড ডিকশনারীর পকেট এডিশন| ক্লাসের বইয়ের ফাঁকে লুকিয়ে লুকিয়ে পড়তাম, শেষ বিকেলের ফুরিয়ে আসা রোদে চোখ কুঁচকে পড়তাম, ভাত খাওয়ার সময়ও পড়তাম|
আব্বু দেখে প্রচন্ড বকা দিত| সে কোন ভাবেই মেনে নিতে পারেনি যে আমি ডিকশনারী মুখস্থ করার মতো এতটা অপ্রয়োজনীয় কাজে মগজ খাটাব|
যে স্যারের কাছে ইংরেজি পড়তাম, তিনিও বিষয়টা জেনে আমাকে নিরুৎসাহিত করেন| বলেন যে, ডিকশনারীতে যে সকল শব্দ আছে তার বেশিরভাগই ইউজলেস| তার কথা আসলেই ঠিক ছিল, এতদিনে সেটা ভালই বুঝতে পেরেছি| কিন্তু সেই কৈশোরের সময়টায় কে আমাকে থামায়? এখন যৌবন যার, ডিকশনারী মুখস্থ করার সময় তার|
এই কাজটায় পূর্ণ সমর্থন দিয়েছিল এবং অনেক সহযোগিতা করেছিল আমার বাল্যবন্ধু ফাহাদ|
স্মৃতিতে অম্লান – অন্য রকম জোছনা !
নাগরিক জীবনে নানা ব্যাস্ততার মাঝে ফেলে আসা দিনগুলোর কিছু কিছু স্মৃতি কখনো কখনো মনকে আন্দোলিত করে। আমরা অনেকেই হয়ত এগুলো ভেবে মাঝে মাঝে নস্টালজিক হয়ে যাই।
আমাদের কাজিনদের একটা বড় গ্রুপ ছিল। প্রতি বছরই পরীক্ষা শেষ হলে সাবই মিলে একসাথে গ্রামে বেড়াতে যেতাম। কমপক্ষে পনের দিন গ্রামে থাকা হত, সবাই মিলে বেশ মজা করতাম। ফাইনাল পরীক্ষা শেষ, গ্রামে বেড়াতে গেছি।
একদিন সন্ধ্যার পর আমরা ঠিক করলাম রাতে খেঁজুরের রসের পায়েস খাব। নানাদের খেঁজুর গাছ তখনও কাটা শুরু করেনি, তাই মামাত ভাই শ্যামলকে নিয়ে খেঁজুরের রসের সন্ধানে নেমে পরলাম। ও বলল নদীর ওপাড়ে ওর বন্ধুদের বাড়ি থেকে রস পাওয়া যাবে তবে রাত একটু বেশি না হলে হাঁড়িতে তেমন রস জমে না। আমরা ঠিক করলাম রাত দশটার পরেই যাব, তবুও খেঁজুরের রসের পায়েস খাওয়া চাই।
ফালতু, পুরাই ফালতু!
সাহাইয্য চাইঃ সুপ্রিয় ব্লগারস, আপনারা কেউ কি টেলিটক ফ্ল্যাশ মডেমের মডেল জানেন? কেউ জানলে আমাকে একটু কষ্ট করে জানান, ইহা জানা আমার জন্য অতীব জরুরী। আপনারা যদি দয়া করিয়া আমাকে জানান তাহলে আমার অতিশয় উপকার হয় এবং আপনাদের প্রতি চিরকৃতজ্ঞ ও ঋণী থাকিব। আশা করি পোস্টের শুরুতে আপনারা অধমের এই অবাঞ্ছিত প্রসঙ্গকে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখিবেন। আসলে শুধু এইটুকু সাহায্যের জন্য ছোট্ট করে পোস্ট দিয়ে ব্লগের মুল্যবান পাতা নষ্ট করতে ইচ্ছা করল না, তাই মূল পোস্টের আগে ছোট্ট করে সাহায্যটুকু চেয়ে নিলাম। আশা করি আপনারা অত্যাচারটুকু সহ্য করে নেবেন।(অবশ্য আমার পোস্ট মানেই অত্যাচার, খালি আজাইরা প্যাঁচাল পাইরা আপনাদের দামী সময় নষ্ট, হে, হে...)।
হোম, সুইট হোম!
বাড়ি এসেছি তিন দিন হয়ে গেছে, অথচ একদিন থাকার কথা ছিল। বাড়ির মায়া ছাড়াতে পারি না, তাই এখনো নগরজীবনে ফেরা হয়ে উঠেনি। গ্রামের মধুর আলস্য চুটিয়ে উপভোগ করছি। এই তিনদিন আড্ডা, ঘোরা আর খেলা নিয়েই আছি। শুক্রবার রাতে এসেই চরম একটা ঘুম দিলাম। আহা! এই ঘুমের জন্যই তো বারবার বাড়ি আসা। এত আরাম বাড়ি ছাড়া আর কই পাব। আমার মনে হয় জীবনে যারা গ্রামে যায়নি তাদের চেয়ে দুর্ভাগা আর কেউ নেই। অনেক ছেলে-মেয়েই আছে যারা বাংলাদেশে থাকে অথচ জীবনে কখনো গ্রামে যায়নি-কথাটা অনেকের কাছে অবিশ্বাস্য লাগলেও এটি কিন্তু মোটেও অবিশ্বাস্য না। আমি নিজে এমন বেশ কিছু ছেলে-মেয়ে দেখেছি যারা জানেনা ধানগাছ দেখতে কেমন, তাদের ধারণা ধানগাছের কাঠ দিয়ে তক্তা বানানো হয়।এদেরকে দেখলে হাসি পায়, গ্রাম সম্পর্কে এদের চিন্তা-ভাবনা শুনে আতংকিত হই ভবিষ্যত প্রজন্ম গ্রাম চিনবে তো? এদের নিয়ে দেশের সংস্কৃতিকর্মীদের চিন্তা করা উচিত, তাদের উচিত দেশের গ্রামীণ সংস্কৃতিকে আরো বেশি করে মানুষের সামনে তুলে ধরা।
আবোল তাবোল
২০১০। এস এস সি পরীক্ষা শেষ, হাতে অফুরন্ত অবসর। আগে কখনো এত বড় ছুটি পাইনি, তাই পুরো দিশাহারা অবস্থা। সবেমাত্র কৈশোর পার করার উপক্রম করছি, কি হয়ে গেনুরে ভাব নিয়ে চলি। কি করে সময় কাটাব তার একটা রুটিন করে ফেললাম-বই পড়া, আড্ডা দেওয়া, তুমুল খেলাধুলা আর সব বন্ধুদের বাড়িতে বেড়ানো। কিন্তু দেখা গেল, আমরা কেউই রুটিন ঠিক রাখতে পারছি না। রুটিনের প্রথম কাজটি বাদে বাকি কাজগুলো প্রায় হচ্ছিলই না, তাই স্বাভাবিকভাবেই প্রথম কাজ, বই নিয়ে ডুবে রইলাম। একসময় দেখা গেল বাড়ীর সব বই-ই পড়ে ফেলেছি! বেহেশতী জেওর থেকে শুরু করে শরৎ রচনাবলী, পাক সার জমিন সাদ বাদ-বাড়িতে যত বই ছিল তার সবগুলোই আমার হাতে অত্যাচারিত হয়েছে।