ইউজার লগইন
স্মৃতিচারণ
বিদায়, হে খেয়ালী জাদুকর..
আজ দুপুরের কড়া রোদ্দুরে একটু বৃষ্টি ভিজে,
অনেক অনেক প্রিয় লেখার একজন লেখক কে চির বিদায় জানিয়ে এলাম।
বলছি, আমাদের হুমায়ূন স্যারের কথা।
৪ দিন হয়েছে মাত্র, স্যার নেই। মনে হচ্ছে বিষাদের দিনলিপিতে স্তদ্ধ সময়ের বোবা সঙ্গী হয়ে গেছে পুরা দেশটা। অনেকেই হয়তো, যে যার মত করে ব্যাস্ত। তবুও অদ্ভুত বিষণ্ণতা ঘেরা অস্থিরতায় ঢেকে আছে একেকটা মন।
কিছুই ভাল লাগছে না। কি কি যেন লেখব বলে ভেবেছিলাম, ভুলে গেছি।
সব দুঃখ হয়তো বলে বোঝানো যায় না, বোঝাতে নেই।
গতকাল সকাল থেকেই লোকে লোকারণ্য শহীদ মিনার চত্বর, স্যার কে শেষ শ্রদ্ধা জানানোর আয়োজন।
আমি যাইনি। বলা ভাল যেতে পারিনি। অথবা, এভাবে তাকে দেখতে যেতে ইচ্ছে করে নি।
এই মানুষটার যে চেহারা তার বই পড়ে পড়ে গড়ে উঠেছে, নয় তাই জমা থাক স্মৃতির করিডোরে।
তার জানাজা পড়ে এসেছি অবশ্য, তার লাখো ভক্তের সাথে দাড়িয়ে একসাথে দোয়া পাঠানো ছাড়া কিছুই তো বাকি ছিল না আর। সেখানেও কিছু মানুষের বক্রোক্তি শুনে আসতে হল, আজব দুনিয়া!
কোথাও কেউ নেই
একদিন আমাদের কুমিল্লার 'যন্ত্রণা' বাসাতে গিয়ে হাজির তিনি। সাথে- বোন, বোনের মেয়ে, নিজের দুই কন্যা নোভা আর বিপাশা, দুইজন প্রকাশক বন্ধু...। ঘন্টা খানেক ছিলেন। তারপর আবার ঢাকায়। সেই প্রথম তাঁর সাথে সরাসরি দেখা। সেটা মনে হয় ৯২ বা ৯৩ সালের কথা। এরপর তাঁর সাথে দেখা হয় আরো কয়েকবার। ধীরে ধীরে মানুষটাকে ভালো লাগতে থাকে। সবসময় নিজেই আসরের মধ্যমনী। সারাক্ষণ কথা চালিয়ে যেতে পারেন। তাঁর 'সেন্স অব হিউমার' এত ভালো যে, কাউকে কখনো বিব্রত হতে হয়নি তাঁর কারনে। রসিকতা কাকে বলে, কত প্রকার- সেটা যারা তাঁর সাথে মেশেনি তারা জানেন না।
ফেলে আসা দিনগুলো
ফেলে আসা দিনগুলো...
(আমরা বন্ধুতে এটাই আমার প্রথম লেখা । যদিও এই এর ছিমছাম আঙিনায় উঁকি ঝুঁকি মেরেছিলাম অনেক আগেই । আমি মূলত পাঠক –ই, লেখালেখির দুরাশা সবার না করাই ভাল । এখানে অনেকের লেখা পড়ি, আনন্দ বেদনায় তাঁদের অজান্তেই তাঁদের সঙ্গী হই । শুধুই পড়ে যাব ভেবে ভেবেই লিখে ফেলা । যা অনেকটাই নিজের সাথে কথোপকথন । পড়ে ভাল মন্দ কিছু বললে আনন্দিত হব, হয়ত হাবিজাবি লিখবও )
হাইস্কুলের নিচের দিকের ক্লাসে পড়ি তখন । এখন আর দিন তারিখ ধরে সঠিক মনে নেই । আমার জগত ছিল আমার ছোট্ট পড়ার ঘরটিকে ঘিরে । অবশ্য কাজের পড়ার চেয়ে অকাজের পড়া হত হাজারগুণ বেশী । অকাজের পড়া মানে ‘আউট বই’ পড়া ।
বলার অপেক্ষা রাখেনা পড়তে হত লুকিয়ে । আশে পাশের সবাই ভাবে মেয়ে যেভাবে পড়াশোনায় মুখ গুজে থাকে সারাদিন, মাশাল্লা না জানি কোন হাতি -ঘোড়া হবে বড় হয়ে ! তাতে আমার বুক ফুলে ফেঁপে উঠলেও মনের ভিতরে পাপভাব রয়েই যায় । আমি ত জানি আমি সারাক্ষণ ওই ঘরের ভিতর কোন কর্মটা করি !
দুঃখবিলাস-১
সময়গুলো বড্ড স্বার্থপর । চলে যাবার পথে সব মলিন করে দিয়ে যায়। কেড়ে নেয় আবেগের কেন্দ্রে থাকা বস্তু বা ব্যক্তিগুলোকেও। যে মানুষটা সবচেয়ে আপন ছিলো , সে ও পর হয়ে যায়। কিংবা যে ভাবতে শিখিয়েছিলো আমি তার সবচেয়ে প্রিয়জন, সময়ের আবর্তে সেই মানুষটাও কেমন বদলে যায়। হয়তো এটাই রীতি। কিন্তু স্বার্থপর সময় কেনো বয়ে নিয়ে যায়না সুন্দর স্মৃতিগুলোও। সকল সম্পর্ক ও ভালোবাসাকে ম্লান করে দিয়ে যায়, কিন্তু কি নিষ্ঠুরভাবে সাজিয়ে রাখে স্মৃতিগুলোকে।কি তরতাজা সেই স্মৃতিগুলো।
মনে হয় এইতো সেদিনই তুমি বলেছিলে, আমি তোমাকে পেয়েছি, আমার আর অন্য কারো প্রয়োজন নেই।
মনে পড়ে তোমার?
তুমিই বলেছিলে আমিই তোমার জীবনে শ্রেষ্ঠ উপহার। আজ তুমিই ভাবছো সেই আমিই তোমার বোঝা!
তুমি চলে যাবে?
যাও।
কিন্তু পারবে কী আমার সব স্মৃতিগুলো মুছে দিতে?
তুমি পারবেনা কিছুই, না পারবে আমার হতে, না পারবে স্মৃতি মুছে দিতে। আর আমি বসে বসে দেখবো সময়ের স্রোতে ভেসে ভেসে তোমার অবগাহন।
তোমায় ভুলে থাকা অসম্ভব নয়, কিন্তু তোমার স্মৃতিগুলো যে সেটা অসম্ভব করে দেয়।
পাগলা হাওয়ার বাদল দিনে
বিকেল পাঁচটায় অফিস থেকে বের হয়ে এলাম। ফার্মগেট এসে মনে হল আজ রিকশা করে বাসায় ফিরলে কেমন হয় ! তেজগাঁও কলেজের সামনে এসে কয়েকটা রিকশাওয়ালাকে জিজ্ঞেস করতে অল্প বয়সী একটি ছেলে মিরপুর যেতে রাজি হওয়ায় উঠে পড়লাম।
আকাশে বেশ মেঘ জমেছে। মানিক মিয়া এভিনিউয়ের মাথায় এসে মনে হল যে কোন মুহূর্তে বৃষ্টি নামবে। রিকশাওয়ালা ছেলেটাকে জিজ্ঞেস করলাম- এই পর্দা আছে ?
ছেলেটা হেসে জবাব দিল- পর্দা নিতে ভুইলা গেছি। হুডটা তুলে দিল। ইতিমধ্যে বড় বড় বৃষ্টির ফোঁটা পড়তে শুরু করল। সংসদ ভবনের মোড়ে আসতেই প্রায় ভিজে গেলাম।
হঠাত মনে হল অর্ধেক ভিজে লাভ নেই আজ পুরা পথটাই বৃষ্টিতে ভিজি ! অনেক দিন তো বৃষ্টিতে ভেজা হয় না ! ছেলেটিকে বললাম- এই, হুডটা নামিয়ে দে, আজ বৃষ্টিতে ভিজবো।
-ছেলেটি হেসে বলল- অসুখ করবে না !
-তুই যে ভিজছিস !
-আমগো তো ভেজার অভ্যাস আছে।
জীবনযাপন
মাঝে মাঝে বাসায় ফিরতে ইচ্ছা করে না, কোনো কারণ ছাড়াই মনটা উদাস হয়ে থাকে, বিশেষ করে একটু রাতে যখন রাস্তায় একা, বিস্তর জ্যাম ঠেলে,বিভিন্ন মানুষের ধাক্কা খেয়ে বাসায় ফিরতে হয়, মনে হয় কি প্রয়োজন এই হুজ্জতি করে বাসা ফেরার, এরচেয়ে বরং কোনো অজানা বাসে চড়ে কোথাও চলে যাই,একটু নির্জন একটু কম ঝঞ্ঝাট যেখানে- কয়েকটা দিন কোলাহলবিহীন কাটিয়ে আসতে পারলে মন্দ হয় না।
বাসা যাওয়ার সিএনজি খুঁজছি, হাতে সিগারেট, বাসটা দেখেই সিগারেট ছুড়ে হুট করেই চলন্ত বাসের হাতল ধরে ঝুলে পরলাম, পাদানিতে একপা আর হাতলে এক হাত, বাকী শরীরটা শূণ্যে ভাসছে, বাসের ড্রাইভার কড়া চোখে তাকিয়ে আছে,কন্ডাকটরও দাঁড়িয়ে আছে, নিজেকে সামলে দুটো পা'ই পাদানিতে রেখে সোজা হয়ে দাঁড়াতে না দাঁড়াতেই ড্রাইভার বললো কই যাইবেন আপনে?
আমি বাসের পাশে লেখা গন্তব্যের নাম দেখে বললাম ধানমন্ডি-
এইটা ধানমন্ডি যাইবো না, যাইবো রায়েরবাগ, না জিগায়া এমন উঠলেন ক্যান?
বাবা, আমার প্রিয় বাবা
ব্লগের প্রথম পাতায় একটি পোস্ট থাকতে আরেকটি পোস্ট দেয়ার ইচ্ছা আসলে ছিল না। বাবা দিবসে আজ বাবার কথা খুব মনে পড়ে গেল, যদিও বাবাকে মনে পড়ার জন্যে কোন বিশেষ দিবসের প্রয়োজন হয় না। লেখাটি শেষ করে তাই মনে হল সবার সাথে সেয়ার করি।
খুব ছেলেবেলায় আমি আমার মাকে হারাই। মা’র চেহারা কেমন ছিল মনে পড়ে না আমার। সবার কাছ থেকে তাঁর সম্পর্কে শুনে শুনে মায়ের একটি ছবি মনে মনে কল্পনা করে নিয়েছিলাম। মা না থাকাতে বাবাই ছিলেন আমার সব, তিনি একাধারে বাবা ও মায়ের দায়িত্ব পালন করতেন। ফুপু, মামা, খালাদের কাছ থেকেও যথেষ্ট আদর যত্ন পেলেও আমি সব সময়ই বাবার আদরের প্রত্যাশী ছিলাম। সৎ মা, সৎ ভাই বোনদের প্রতি তাঁর দায়িত্ব কর্তব্যের কোন কমতি না থাকলেও বাবার ভালবাসা মাপার যদি কোন যন্ত্র থাকতো, তাহলে আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি সবার প্রতি তাঁর ভালবাসার চেয়ে আমার প্রতি ভালবাসার পরিমান অবশ্যই বেশী হত। বাবার কাছে মার তো দূরের কথা, কখনও বকা খেয়েছি বলে আমার মনে পড়ে না।
আমার যত সব বদমায়েসি।
তখন আমি ক্লাস থ্রি তে কি ফোরে পড়ি আমার বড় মামা আমাদের বাড়ী বেড়াতে এসেছেন। মামা কোনো একটা কিছু বলে আমাকে রাগাতে থাকেন। এক পর্যায়ে আমি মামাকে সায়েস্তা করার জন্য হাতে শুকনো মরিচ ভেঙ্গে নিয়ে যাই মামার চোখে ডলে দেয়ার জন্য। কিন্তু কখন যে আমি চোখ চুলকানোর জন্য চোখে হাত দিয়েছি আমি নিজেও জানি না। এবং য়থারিতী যা হবার তাই হলো। মামার বদলে আমার চোখ জ্বলতে শুরু করলো। পরে আমি ঘুমানোর আগ মামা আমাকে কোলে নিয়ে ঘুরে বেড়ান। বার বার চোখে ঠান্ডা পানি দিতে থাকেন।
এর বছর খানিক পরের ঘটনা। নানা আমাদের বাসায় আসেন ডাক্তার দেখাতে। তো পরীক্ষা নিরীক্ষা করার পর নানার হার্টের প্রবলেম ধরা পড়ে। ডাক্তার নানাকে সিগারেট খাইতে মানা করেন। নানা বাসায় এসে বলে ডক্তার ব্যাটা কি যানে। ওই ব্যাটা নিজেই সিগারেট খায় আর আমারে মানা করে। তো নানা তার ধূম্র সলাকাপান চালিয়ে যেতে থাকেন। আমি একদিন নানার একটা সিগারেটের ভিতরে কিছুটা গুড়া মরিচ ঢুকিয়ে দেই। নানা ওই সিগারেট টা টানতে গিয়ে মরিচ বিপত্তিতে পড়েন। তবে এই কাজটা করার পরে নানা কিছুদিন সিগারেট খাওয়া বাদ দেন।
লক্ষ্যহীন জীবন এবং অনিশ্চিত যাত্রা
এক এক মানুষের জীবনে এক এক রকম লক্ষ্য থাকে। কেউ ডাক্তার হতে চায়, কেউ বা ইঞ্জিনিয়ার, কেউ শিক্ষক বা আরও অন্যকিছু। ছোটবেলায় ডাক্তারী পেশাটা আমাকে খুব আকর্ষণ করত, হাসপাতালে কোন অসুস্থ রোগী দেখতে গেলে ভাবতাম, ইস! আমি যদি ডাক্তার হতাম, তাহলে এই রোগীদের কত সেবা করতে পারতাম!
বন্ধু চালতাগাছ ও অন্যদের নিয়ে একটি গল্প
গরমের সময়টা বড় নির্দয় একটা সময়। কোনো কিছু ভালো না লাগার, কোনো কিছুকে ভালো না বাসার এবং কোনো কিছুতে উচ্ছ্বসিত না হওয়ার একটা সময়। ভালো লাগলেও সীমিত আকারে ভালো লাগে। ভালোবাসলেও পরিমিতহারে ভালবাসি। উচ্ছ্বাসটাও বন্দি হয়ে থাকে কোনো এক অদৃশ্য লিমিটের মধ্যে, যেটাকে আমরা কখনোই দেখতে পাই না। অথচ না দেখা এই লিমিট যেন কখনো ক্রস্ না হয়ে যায়, তা নিয়ে জীবনভর উদ্বিগ্ন থাকি।
ববি রায়ের সাথে চলে যেও না- অঞ্জন দত্ত
অঞ্জনের ব্যপারে আমার ভেতরে ভালোলাগা কাজ করে অনেকানেক আগে থেকে। কেন কাজ করে, সেটা জানি না। তোমার জঙলাপাড়ের ঢাকেশ্বরী শাড়ি (মালা) গানটা কত-কতবার শুনেছি? ঠিক নেই। অনেক সময় গানটা চালাই শুধু অনেকদিন পরে অঞ্জনের গলা শোনার জন্যই। এখনো মাঝে মাঝে হাইকোর্ট মাজারের রাস্তা দিয়ে ফেরার সময়, কদম ফোয়ারার জলের ছিটে মুখে-চোখে মাখার সময় গুনগুন করে গেয়ে উঠি- ২৪৪১১৩৯...হ্যালো তুমি শুনতে পাচ্ছো কি?
অন্তর্দহন বা অশ্রুবর্ষণ
জেগে ওঠে পুরানো মোচড়
হৃতপিন্ডে অনাগত ।
বিদগ্ধ দিন শেষে বেড়ে ওঠে
হৃদয়ের আদিম ক্ষত ।
অন্তর্দহনে ছাই গহীনের
বিমূর্ত নন্দনকানন ।
অলখে আঠারো বর্ষার পদচারণ ,
অতঃপর অশ্রুবর্ষণ ।
(c) by Ekanto Ovajon
আবজাব আউলা ঝাউলা পোষ্ট
ম্যালাদিন ব্লগে নিয়মিত না। একটা সময় ছিল ব্লগে একটা দারুণ সময় পার করতাম। দিনের ২৪ ঘন্টার মধ্যে বেশীরভাগ সময় ব্লগেই সময় কাটাতাম। ফোনে, অনলাইনে ব্লগের অনেকের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ হইত। মাঝে মাঝে পাবলিক লাইব্রেরীতে, ছবিরহাটে, চারুকলায় আড্ডা, আড্ডার মাঝে নানা রকমের হাসি-তামাশা, কাছের কিছু ব্লগার বন্ধুদের সাথে ব্যক্তিগত অনুভূতি শেয়ার করা – একটা অন্যরকম ভালোলাগার ব্যাপার ছিল। যদিও সেসব আড্ডায় আমার ভূমিকা ছিল অনেকটা নিরব দর্শকের মতই, কারণ কথা বলতাম খুবই কম, সবার কথা শোনাতেই মনোযোগ ছিল বেশী, তারপরও সবার সাথে নিয়মিত একটা আত্মার টান সবসময়ই অনুভব করতাম। তারই মাঝে কিছু জনহিতকর কাজে সম্পৃক্ত হয়ে নিজেকে ব্লগার ভাবতেও গর্ববোধ করতাম।
একটু আত্নপ্রসাদ...
লেখালেখিটা আসলে আমার ধাতে আসেনা।এই একটা প্রেস্ক্রিপ্সন,দুই একটা রোগীর হিস্ট্রি ওইটুক পর্যন্তই।কিন্তু সেদিনের কথাগুলো আমি না লিখে পারিনি।মাঝমাঝেই লাল খাতাটা খুলে বার করে একপলক দেখি লেখাগুলো।অপ্টু হাতের লেখা,কিন্তু অনুভুতিটা ষোল আনা খাঁটি।
অন্য সব দিনগুলোর মতনই ছিলো।নিজের নিয়মে চরে বেড়ানো নির্মল সকাল,কাঠফাঁটা রৌদ্রের দুপুর,দক্ষিনা বাতাসে ভরপুর হেলে ওঠা সূর্যের বিকেল।কিন্তু কিছুই আমার মনকে স্পর্শ করছিলো না।ঘুর্ণাক্ষরেও টের পাইনি,ওইদিনটি আমার জন্যে এক অন্যরকম দিন।
এ বছরের শুরুর দিকের ঘটনা।প্রচন্ড মানসিক অশান্তিতে ঘুরে বেরাচ্ছি।কোঙ্কিছুতেই থই খুঁজে পাচ্ছিনা।কাউকে বলার নেই,বুঝানোর নেই,শুধু স্বস্তি খুঁজে বেড়ানো।এর জন্যে যা অনাবশ্যক ছিলো তার সবটাই পূর্ণ করে ফেলেছি।শুধু আবশ্যকটাই খাতার শেষ পৃষ্ঠার মতো রয়ে গেছিলো।
বৃষ্টিবিলাস কথকতা..
#
''ভালোবাসি, বৃষ্টিদিন..
চায়ের কাপে আনমনা মেঘ;
চিলতে রোদে সাতরঙা সুখ,
প্রাণের গানে মন রঙ্গিন.. ♥ :)''
এই কটা লাইনই এখন আমার এফবি স্ট্যাটাস।
ওইদিন দেখলাম সচলেও এখন স্ট্যাটাস দেওয়া যায়, একটু হিংসাই লাগলো বলা যায়। ইশ্, আমাদের এখানেও স্ট্যাটাস দেওয়ার ব্যাবস্থা থাকলে কত্ত ভাল হত!
# #
আমার মনে বৃষ্টি লেগে আছে, পরশু রাত থেকেই।
কিছুতেই যাচ্ছে না। মাথার ভেতর মন ভিজিয়ে ক্রমাগত পড়ে যাচ্ছে
টুপটাপ ঝিরঝির আর ঝুম বৃষ্টি।
অসাধারণ একটা বৃষ্টিদিন গেল কাল, আজকের আকাশেও ঘুরেফিরে আসতেছে তার স্মৃতি। কালকের কথা ভেবে ভেবে আজকেও সকালে একটু বৃষ্টি হল। এখনও আকাশে কিছু কিছু মেঘ দৌড়াদৌড়ি করতেছে। মাঝে মাঝে একটু আধটু রোঁদ, আবার ঝিরঝির বৃষ্টি। এই চলছে।