আমরা লজ্জা পাই !!!
'কক্ষে ঢুকেই পিছন থেকে হামলা চালায় ও। চুলের মুঠি ধরে দুই চোখে আঙুল ঢুকিয়ে দেয়। কামড়ে নাক-মুখ ক্ষত-বিক্ষত করে। রক্তে পুরো শরীর ভরে যায়। এক পর্যায়ে মেঝেতে পিছলে পড়ি নিজের রক্তের উপর।' কথাটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক 'রুমানা মনজুরে'র। দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠের একজন শিক্ষিকার যদি এই অবস্থা হয়, তাহলে সমগ্র দেশের চিত্রটা আসলে কি?
ভাবতে অবাক লাগে আমরা এত সুন্দর সভ্য সমাজের মানুষ! যে সভ্য সমাজে একবিংশ শতাব্দিতে এসেও আমাদেরকে মৌলিক শিক্ষাগুলো গলধঃকরণ করতে হয়। সারাদিন রাত ভেবে ভেবে অনেক বড় মাপের মানুষ হয়েও ভুলে যায় আমাদের নৈতিকতাকে। বা, কি চমত্কার! যেন সিংহের মত আমি পুরুষ, নারীদের চোঁখ উপড়ে নিতে পারি। এটাই মনে আসল নৈতিকতা!
আমাদের দেশের মানুষের প্রায় ৬০ ভাগ মানুষ যদি শুধুমাত্র সাক্ষর করতে পারে, তাহলে সেটিকে তো আমরা শিক্ষিত সমাজ বলতে পারিনা। তবুও এই সমাজ ব্যবস্থাকে নিয়েই আমাদের বসবাস। তাই বলেতো আমরা আর পশু হয়ে যেতে পারিনা। এইসব মানুষগুলোকে গড়ে তোলার দায়িত্বটুকু তো আমাদের উপরেই। কিন্তু যখন শুনতে পায় 'বুয়েট' এর একজন প্রকৌশলী তার স্ত্রীর চোঁখ উপড়ে নিতে চেয়েছেন, কামড় দিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে দিয়েছেন তার মুখমন্ডলটিকে, ভাবতে আর বাকি থাকেনা আমরা সেই পশুর দলেই। বুয়েট কি তাহলে এই শিক্ষাটিও দিয়েছে তাকে!
প্রচন্ড লজ্জা হয় আমাদের, শুধু হাসান সাঈদের মতো মানুষের জন্য। ভাবনায় থাকা শতশত কথা গুলো ফ্যাকাসে হয়ে যায়। শত আশা বুকে নিয়ে খুব গর্ব করে বলতে পারিনা আমরা পুরুষ! আমরা লজ্জা পাই!
এ রকন ঘটনা কি আগে শুনেন নাই ?
শুনেছি, দেখেছিও। তারপরও আমাদেরকে কেন বার বার এরকম ঘটনাগুলো শুনতে হয়? কেন একজন পুরুষের জন্য সব পুরুষ সমাজটায় খারাপ হয়ে যায়?
manusher monushotto shikhanor kono shikha prothisthan nai. Egulu manush shikhe tar poribar and environment thake. Ashun amra oishob noradhom der thutu dai.
"Onek kosto korao banglai likhte parlam na. Kao ki bole diben banglai kivabe likhbo?"
ধন্যবাদ
এখনো আমাদের লজ্জা অবশিষ্ট আছে?
হুমম...
আজকাল লজ্জা পাওয়া, বিস্মিত হওয়াও ভুলে গেছি।
ভালই করেছেন
কিছুই বলার নাই।
আমি ঘটনার পেছনের ঘটনা যানতে চাই। কেও কি শেয়ার করবেন (যদি আপনি জানেন)।
ঘটনার পিছনে যতই ঘটনা থাকুন, সেই জন্য আমরা কোন নারীর চোখ নষ্ট করে দিতে পারিনা। একটি নারীর ব্যবহার যদি ভাল না লাগে তার জন্যতো আইন আছে।
অনেকদিন পর সুশীল সমাজ লেখার মতন সেই রকম একটা বিষয় পেয়েছে
মন্তব্য করুন