শোনা কথায় বইমেলা: শেষ
গত দুই/তিনদিন ধরে এই সিরিজের লেখা প্রকাশ ধীরগতিতে এগুচ্ছে। গতকাল যে পর্বটি প্রকাশিত হলো, সেটি আরও দুইদিন আগেই লেখা হলেও প্রকাশ করতে মন চাচ্ছিল না। লিখতেও ইচ্ছে করে না। কারণ একটাই। সবাই প্রজন্ম চত্বরের আন্দোলন নিয়ে কথা বলছে, লেখালেখি করছে। সে তুলনায় আমি কিছুই করছি না। ঢাকার বাইরে থাকি- সেটা কোনো কারণ হতে পারে না। এখানেও আন্দোলনগুলোর সাথে একাত্ম আছি- কিন্তু তারপরও সব মিলিয়ে মন সায় দেয় না। মানুষের সামনে এমন কিছু কিছু সময় যখন আর সব কাজ বাদ দিয়ে শুধু একটিমাত্র কাজই করতে হয়। এখন সেই কাজটি হচ্ছে শাহবাগ। আর আমি কিনা শাহবাগ বাদ দিয়ে বসে বসে ব্লগ লিখছি!
এই দ্বিধা আর দ্বন্দ্বে কাটলো গত তিন-চারদিন। শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্তটা নিয়েই নিলাম এবং তাই এটা বইমেলা নিয়ে শেষপর্ব। হয়তো এই লেখা প্রকাশ হওয়া আর না হওয়ার মধ্যে ব্লগদুনিয়ার বা শাহবাগ আন্দোলনের কিছু যায় আসবে না। হয়তো আমার দ্বারা এমন কিছুই করা হবে না যাতে ভার্চুয়ালি হলেও এই আন্দোলনে আরেকটু কিছু যোগ করতে পারি। তারপরও যেখানে সবার যাবতীয় কর্মকাণ্ড আন্দোলনটি ঘিরে পরিচালিত, সেখানে এই বিষয়ে লেখালেখি একটু হলেও জানান দেয় যে, আমি আন্দোলনের কাজে সময় কম দিচ্ছি।
যে কথাটি বলেছিলাম আগে একদিন, সেটি দিয়েই তাই শেষ করি- একেকটি মানুষ মানেই একটি বই। সুতরাং শাহবাগের সাথে থাকা মানেই বই নিয়ে থাকা, বইমেলা নিয়ে থাকা। আপাতত মানুষবই নিয়েই থাকি নাহয়!
কাজটা ঠিক করেন নাই। মুক্তিযুদ্ধের সময়ও বিয়ে-শাদী হৈছে। মানুষ সংসার করছে আবার সংগ্রাম-প্রতিরোধও চালাইছে। এইযে, অফিসে বসে আছি, সংসারধর্ম করছি, আবার মনের মধ্যে একটা তেজ নিয়া ফুসতেছি, বইমেলায় যাচ্ছি, বই কিনছি, দুই একবার শাহবাগ ঢুঁ মারতেছি, এইটাই জীবন।
এই সিরিজ না হলে নাই, কিন্তু রোজ যেম্নে লিখতেছিলেন, তেমনি লিখেন।
আপনার কথা ঠিক আছে; কিন্তু একে তো নিজের মধ্যে দ্বিধা আছে যে প্রজন্ম চত্বরের আন্দোলন নিয়া আমার যতোটুকু করার কথা, তার প্রায় কিছুই করতে পারছি না। তারপরও কেউ যদি এসব লেখালেখির কারণে আমার ব্যক্তিগত ডেডিকেশন নিয়ে প্রশ্ন তোলে, তখন সব মিলিয়ে উৎসাহটা আর থাকে না।
সিরিজটা শেষ কইরেন না, শাহবাগের কথাই আসুক, সরাসরি না যান, কিন্তু কত কি জানতে পারছেন, সেই প্রেক্ষিতেই ভাবনাগুলা দিয়েই লেখা দিয়েন
গৌতম দা, কে কি প্রশ্ন তুললো তার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আপনি কি ভাবেন, অনুভব করেন। প্রজন্ম চত্বরে উপস্থিত তো থাকতেন যদি আপনি ঢাকায় থাকতেন। আপনি দূরে থাকলেও আপনার চিন্তা, ভালোবাসা এখানেই আছে। এটাই তো আসল। এটা নিয়েই তো সবাই থাকে সেখানে।
সিরিজ চলুক।
আমার বই নিয়া কিছু না লিখতেই সিরিজ শেষ? এইটা কিছু হইলো?
লেখা শেষ কইরেন না ভাই এখনি। এইটা অনুরোধ না ভাই দাবী!
গৌতমদা... রাজশাহীতে শাশ্বতরা মাঠে আছে... দেইখেন একটু
আর আপনার ডেডিকেশন নিয়ে আমাদের কোন প্রশ্ন নাই
শাহবাগ আন্দোলনে একাট্টা থাকায় ব্লগে হয়তো লোকজনের খরা চলতেছে... চলুক... সব্বাই যার যার এলাকার শাহবাগে থাকুক ... যদি সম্ভব হয়
পরিশেষে
সব কিছুই চলবে... আন্দোলনের জন্য কি পহেলা ফাল্গুন বন্ধ ছিল?
সব কিছুই চলবে... আন্দোলনের জন্য কি পহেলা ফাল্গুন বন্ধ ছিল?
সিদ্ধান্তে সমর্থন জানাইতে পারলাম না।
মন্তব্য করুন