অল্পস্বল্প গল্পঃ হজ্ব ২০১৮ (রওজা জেয়ারত)
ছোটকাল থেকেই আল্লাহর বান্দা, রাসূলের উম্মতরা বড় হয়ে উঠি হায়াতুন নবীর রওজা জেয়ারতের ইচ্ছে নিয়ে। ওমরা কিবা হজ্বে যাবার তৌফিক যাদের হয় মসজিদে নববী'তে গিয়ে এই ইচ্ছে পূরনের সৌভাগ্য পান তারা। সাধারনত হজ্বের প্রথমদিকের ফ্লাইটগুলোতে যারা যায় তারা আগে মদিনাতে গিয়ে পরে মক্কাতে যান, এঁনারা বেশিদিন মদিনায় অবস্থান করতে পারেন। আর হজ্বের শেষের দিকে যাওয়া হাজীরা আগে হজ্বের কাজ সমাধা করে পরে মদিনায় যান মাত্র ৯/১০দিনের জন্যে। ভীষন ভিড় থাকে এসময়ে মসজিদে নববী'তে, রওজা জেয়ারত করার সময় প্রচন্ড চাপাচাপি চলে। হজ্বের কালে প্রথমদিকে যারা যান, এই ভিড়টা এড়িয়ে শান্তির সাথে ইচ্ছেমতোন রওজা জেয়ারত করতে পারেন। আল্লাহ আবার কখনো হজ্বে যাবার তৌফিক দিলে আগে মদিনায় যেতে চাই।
আল্লাহ সুবহানাহুতাআলা কোরআন মজিদে বলেছেন - "(ইয়া রাসুল সাঃ) বলুন, তোমরা যদি আল্লাহকে ভালোবাসতে চাও তাহলে আমাকে অনুসরণ করো; তবেই আল্লাহ তোমাদের ভালোবাসবেন। তিনি তোমাদের পাপসমূহ ক্ষমা করে দেবেন। আল্লাহ ক্ষমাশীল দয়ালু।" (সুরা-৩ আল ইমরান, আয়াত: ৩১)।
আর হাদিস শরিফে আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মদ মুস্তাফা সাল্লালাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম বলেছেন - "তোমাদের কেউ প্রকৃত ইমানদার হবে না; যতক্ষণ পর্যন্ত আমি (মুহাম্মদ সাঃ) তার নিকট তার পিতা,পুত্র ও সব প্রিয়মানুষ অপেক্ষা অধিক প্রিয় না হবো।" (বুখারি শরিফ, প্রথম খণ্ড, হাদিস: ১৩ ও ১৪, পৃষ্ঠা: ১৯)।
আল্লাহর হাবিব নবী করিম মুস্তাফা সাল্লালাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম বলেছেন, "যে ব্যক্তি আমার মসজিদে ৪০ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করেছে আর কোনো নামাজ কাজা করেনি, সে মোনাফেকি থেকে মুক্ত হবে এবং দোজখের আজাব থেকে নাজাত পাবে।" (মুসনাদে আহমদ, আত-তারগিব ওয়াত-তারহিব)।
মসজিদে নববী'তে নামাজ পড়লে প্রতি রাকাতে ১০ হাজার, ২৫ হাজার অথবা ৫০ হাজার রাকাতের সওয়াব পাওয়া যায়। মুসলিমদের জন্যে কাবা শরীফের পরেই এটা শ্রেষ্ঠ জায়গা। মক্কাশরিফে নামাজ আদায় করলে নিশ্চিত প্রতি রাকাতে একলাখ রাকাতের সওয়াব পাওয়া যায় আর যখন ইচ্ছে ওমরাহ করার সুযোগ রয়েছে এখানে। মদিনায় নবী করিম (সাঃ)-এর তৈরী করা প্রথম ইবাদতখানা ‘মসজিদে কুবা’তে নিয়ত করে গিয়ে দুই রাকাত নামাজ আদায় করলে এক ওমরাহ'র সওয়াব হয়।
হজ্বের সব কাজ শেষ করে একদিন পরেই বিদায় তাওয়াফ করে নিয়ে মদিনার দিকে রওনা দিতে হয়েছিলো। মক্কার তাপের চেয়ে মদিনাতে গরমের হলকা যেন অনেকটা বেশিই লাগলো। হোটেল থেকে এক রাস্তা পেরিয়ে কিছু দূরেই মসজিদে নববী'র মূলফটক। সাথে থাকা কাফেলার লোকজন আশপাশের দিক চেনাতে চেনাতে দল নিয়ে যাচ্ছিলেন, পরে যেন কারুর পথ ভুল না হয়। মসজিদের গেইট দিয়ে ঢুকেই পায়ের জুতা খুলে হাতে নিয়ে হাটা দিতেই দেখি, প্রতি কদমেই পা যেন ছ্যাঁত করে ছ্যাকা খাচ্ছে! পড়ন্ত বিকেলেও এতোটাই তেতে আছে টাইলসগুলো। আশপাশ খেয়াল করে দেখলাম, উঠোনের অংশটায় জুতা পায়ে দিয়েও চলা যায়, মূল মসজিদে ঢুকতে গেলে খুলে নিলেই হয়। তবে অনেকের কথাই শুনেছি, উনারা মসজিদে তো বটেই, পুরো মদিনার পথে চলতে পায়ে জুতা পরেননি, ওই তপ্তবালি, কংক্রিটের রাস্তা কিবা টাইলস সব পথে খালি পায়ে চলছেন। এটা নবীর প্রতি তাদের শ্রদ্ধা প্রদর্শনের একটা পদ্ধতি, তারা সেটা পূরন করতে পেরেছেন।
প্রথমবার মসজিদে গিয়েই রওজা জেয়ারত করবো, আল্লাহর রাসূলকে দেখবো, এই আকাঙ্ক্ষা থেকেই যাওয়া। যেতে যেতে নামাজের সময় শুরু বলে উঠোনেই নামাজ পড়ে নিয়ে আশপাশ দেখবো বলে উঠে দেখি দল থেকে আব্বা মিসিং। পুরো দলের মধ্যে বয়োবৃদ্ধ, অসুস্থ আর ইতোমধ্যে দল থেকে হারিয়ে যাওয়াতে উনি সুপরিচিত! সবাই নামাজ শেষে রওজাতে যাবেন মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে আছেন, সেই মূহুর্তে এই অবস্থা। একজনের জন্যে এতোগুলো মানুষ দাঁড়িয়ে আছে। নিজে থেকেই বললাম "একাই খুঁজবো, বেশিদূর নিশ্চয়ই যান নাই আব্বা, আপনারা এগিয়ে যান।" তারা যাবার সময় বলে গেলো, নববীতে কেউ হারায় না, পেয়ে যাবেন ইনশাল্লাহ। আম্মাকে হাতে নিয়ে এপাশ ওপাশ তাকাই এতো এতো মানুষের মাঝে আব্বাকে দেখিনা। মক্কাতে যতটা না অস্থির হয়েছিলাম এখানে তাই হয়ে গেলাম। অদ্ভুত অবস্থা, প্রথমে রাগের অভিমান লাগতে লাগলো, সব্বাই রওজাতে যেতে পারলো আব্বার কারনে যেতে পারলাম না, এই লোক কেন যে সবখানেই অস্থিরতায় ফেলে, কেন ভাবে না তার জন্যে বাকি দুইটা মানুষ চিন্তা করবে! রীতিমতো পা দাপায়ে রাগ দেখায়ে হাঁটছি, পাশ থেকে আম্মা , "আল্লাহ ভরসা পেয়ে যাবি, অস্থির হইস না" বলেই যাচ্ছে। বিশাল চত্ত্বরে চলছি আর রীতিমতো কাঁদতেছি, কিছুক্ষন পর আর আব্বা না নিজের উপর রাগ করেই কাঁদতেছি, ভাইবোন আমার উপর ভরসা করে বয়েস্ক দুইটা মানুষকে সাথে দিলো, সেই তাদেরকেই দেখেশুনে রাখতে পারলাম না! কেন পারলাম না, এতো অপদার্থ কেন আমি! আবার মনে মনে মাফ চাইছি, মসজিদে নববী'র উঠানে দাঁড়িয়ে মাটিতে পা দাপায়ে জিদ দেখানোর বেয়াদবি করলাম, যেখানে কিনা অদূরেই শুয়ে আছেন আমার নবী। অসহায় পরিস্থিতিতে পড়েছি বলেই ধৈর্য্য কেন হারায়ে ফেললাম সহজেই। সবাই ঘুরে এলে, দলেবলে হোটেলের দিকে যেতে যেতে আল্লাহকে বলছি, রওজা জেয়ারতেই যখন যেতে পারলাম না তখন এতো আশায় আনলোই বা কেন? আর না যেতে পারার জন্যে আব্বাকেই হারানো লাগলো কেন?
আল্লাহ যা করেন ভালোর জন্যেই করেন, টের পেলাম ফজরের সময়েই। কি যে দারুন ভাবে রওজা জেয়ারত করলাম, ভেবে অবাক হই এখনো। আল্লাহ সবসময়েই আমার জন্যে দারুন কিছু অপেক্ষায় রাখেন, একটু ধৈর্য্য ধরা লাগে যদিও, কিন্তু যাই পাই সেটা অনন্য।
হোটেল গিয়ে দেখি, আব্বা সুন্দর মতোন সাজ দিয়ে খাবারদাবার খেয়ে অপেক্ষা করছেন আমাদের। দল থেকে আলাদা হলেন কেন জিজ্ঞেস করতেই যুক্তি শুনালো, কাফেলার লোকেরা কেন উঠানে নামাজ পড়তে বলল, উনি তাই একা গিয়ে ভেতরে ভালো জায়গায় নামাজ পড়েছেন, আর সবই তো তাঁর চেনা জায়গা, চিন্তার কি আছে! ১৫বছর আগে যা দেখে গেছেন, এরই মধ্যে চারপাশ যে পালটে যেতেই পারে সেটা আর বুঝাতে ইচ্ছে হয় নাই। সহিসালামতে ঘরে আসছেন এতেই আল্লাহর কাছে শোকর জানাই।
রাতে শোবার সময়ে রুমমেটদের থেকে জানলাম, আজ কেবল ওয়াক্তের নামাজ পড়েই ফেরত এসেছে সবাই, মসজিদের ভেতরেই ঢুকে নাই, কাল যাবে রওজা জেয়ারতে।
মসজিদে নববী'তে তাহাজ্জুদের আযান দেয়া হয়, পরে আবার ফজরের আযান দেয়। আগেরদিন মসজিদের চত্ত্বরে গিয়েও ভেতরে ঢুকার সুযোগই পেলাম না, কিন্তু মসজিদে নববী'তে প্রবেশের তৌফিক হলো জুম্মা'রদিনের তাহাজ্জুদের ওয়াক্তে আর প্রথমবারেই রওজা জেয়ারত করতে পারলাম! হজ্বের এই প্রচন্ড ভিড়ের সময়ে কতজনের শুনেছি কতো অপেক্ষার পরে অনেক কষ্ট করে সামান্য সময়ের জন্যে যেতে পেরেছে। সেখানে আল্লাহর রহমতে কি সহজেই না পেয়ে গেছি রওজা'র দেখা। উসমান (আঃ)এর নামানুসারে দেয়া ২৪নাম্বার 'আফফান' গেইট দিয়ে মসজিদে মেয়েদের অংশে সরাসরি যাবার পথ। ফজরের নামাজ শেষ করে আশেপাশের লোকজন থেকে জানতে পারলাম, রওজা জেয়ারতের জন্যে অপেক্ষা করতে হবে। নামাজ শেষে ছেলেদের সরিয়ে মেয়েদের যাবার পথ করা হয় পর্দা দিয়ে, পরে ভাগে ভাগে যেতে হয় রওজার দিকে। এদিকওদিক দেখতে দেখতে এমনিই এগিয়ে যাচ্ছিলাম। একসময় সবাইকে বসে যেতে বলা হলো, কারন কিছু পরেই রওজার দিকে যাবে, খেয়াল করলাম একদম শুরুর দলেই বসে গেছি। সুস্থির হয়ে বসার আগেই রওজার দিকে এগিয়ে যাবার পথ খুলে দিতেই হুড়মুড় করে মানুষজন ছুটা শুরু করলো। ছুটাছুটি করতে হবে কেন বুঝেই উঠতে পারিনি, পরে দেখলাম জায়গা করে নেয়ার তাড়ায় এই কান্ড। রাসূল(সাঃ) কে দেখতে পাবো এতো দুরুদুরু কাঁপছিলাম আর ঘোরের মধ্যে ছিলাম যে, লোকজনের পেছন পেছন কেবল এগিয়ে গেছি, আশপাশের কিছুই খেয়াল করে উঠতে পারিনি, দলেবলে না এলে ফেরতও আসতে পারতাম না। মসজিদের ভেতরেই পর্দা ঘেরা পথে যেতে যেতে একটা খোলা উঠোনের মতন জায়গায় এসে গেছি, সেটা পেরিয়ে যেতেই দেখি হাল্কা সবুজ কার্পেট বিছানো বেহেশতের অংশটুকুতে দাঁড়িয়ে আছি।
রওজা মোবারক এবং তা থেকে পশ্চিম দিকে রাসুলে করিম (সাঃ)-এর মিম্বর পর্যন্ত স্থান হলো ‘রিয়াজুল জান্নাত’ বা ‘বেহেশতের বাগান’। এটি দুনিয়াতে একমাত্র জান্নাতের অংশ। এই জায়গাতে হাল্কা সবুজ রঙের কার্পেট বিছানো আছে, মসজিদের অন্য কোথাও এই কার্পেট দেয়া হয়না। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, "আমার রওজা ও মিম্বরের মধ্যবর্তী স্থানে বেহেশতের একটি বাগিচা বিদ্যমান’ (বুখারি ও মুসলিম)। এখানে প্রবেশ করা মানে জান্নাতে প্রবেশ করা।"
কি মারাত্নক ভিড় যে সেখানে লেগে আছে! গুটিসুটি হয়ে একটা সেজদা দেবেন সেই জায়গাটুকুও পাওয়া যাচ্ছেনা। নিজে একা থাকলে এসব গায়েই মাখতাম না, আম্মা সাথে আছে, তাঁর দিকেও খেয়াল রাখতে হয়েছে। উনাকে নামাজ পড়তে দিয়ে যদ্দুর সম্ভব ঘের দিয়ে দাঁড়ালাম যেন ভিড়ের চাপ না লাগে, ধাক্কা সহ্য করতে না হয় আম্মাকে। পরে নিজে পড়লাম, অনেককেই দু'রাকাত পড়তে না পড়তেই চাপাচাপির চোটে উঠে যেতে হয়েছে। আল্লাহর রহমতে সেই জায়গাতে কারো বড়সড় ধাক্কা ছাড়াই খুব ভালোমতোই কয়েকবার দু'রাকাত করে নামাজ পড়ে ফেলতে পারলাম নির্বিঘ্নেই, আরো পারতাম, কেবল রিয়াজুল জান্নাতে অন্যদের জায়গা দেয়া দরকার, সবাই কষ্ট করে এসেছেন, সেটা ভেবেই উঠে গেছি, আর সামনে গেলে রাসূল(সাঃ) - এর দেখা পাবো সেটাও বড় আকর্ষন এগিয়ে যাবার। ধীরে ধীরে যাবার পর পর্দা ঘেরা পথ শেষ, সেখানে স্বেচ্ছাসেবীরা জানালেন বামদিকেই আছে রাসূল হযরত মুহাম্মদ মুস্তাফা সাল্লালাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম এর রওজা মোবারক আর উনার বামপাশে পর পর আছেন আবুবকর (রাঃ) এবং উমর (রাঃ)এর কবরসমূহ। এই জায়গাটাতে থাকাকালীন সময়ের অনুভূতি নিজের কাছেই নিজে বলতে পারিনা, কতোটুকু শ্রদ্ধা জানাতে পেরেছি কি আদৌ কিছুই পারিনি তাও জানিনা, কেবল একটা ঘোর কাজ করেছে। ফিরে আসার সময়ে আলাদা করে বিদায় জানাইনি, জানতামই তো যে ক'দিন আছি প্রতিদিন আসবো। জানতামই তো না জুম্মা'র সেই ফজরের নামাজের পরে রওজা'র এতো কাছে আসার তৌফিকই হবেনা আর।
মেয়েরা সবসময় জেয়ারতে যেতে পারে না, রওজাতে যাবার তিনটি সুনির্দিষ্ট সময় দেয়া আছে মেয়েদের জন্যে। ফজরের পরে, যোহরের পরে আর এশা'র পরে। এসময় দেশের নামের প্ল্যাকার্ড হাতে সেই ভাষা জানা স্বেচ্ছাসেবীরা এসে, যারা জেয়ারতে যেতে চায় তাদের জড়ো করেন এবং একের পর এক দল নিয়ে রওজার দিকে যান। উঁচুস্বরে কথা না বলতে, ধাক্কাধাক্কি না করতে, রাসূলের প্রতি সম্মান রাখতে, বেশিক্ষন নামাজের জায়গা না আঁকড়ে না রেখে অন্যকে জায়গা দিতে, কোথা থেকে রিয়াজুল জান্নাত শুরু হলো, নির্দিষ্ট জায়গায় গিয়ে কোন পাশে রাসূল(সাঃ) আছেন, আর তার পরে আবু বকর(রাঃ) এবং উমর (রাঃ) এর কবর আছে - ইত্যাদি নানান তথ্য স্বেচ্ছাসেবীরা বারংবার জানিয়ে দিতে থাকেন। এই যে দেশের দল ভাগ করা হয়, তাতে এই সাবকন্টিনেটের দেশগুলোতে মানুষের সংখ্যা বেশি এবং বিচিত্র কারনে লাইনে সবার শেষে রাখা। তাই যারাই যাচ্ছেন, অনেক অনেকক্ষন অপেক্ষায় থাকা লাগছে। আল্লাহর কি মর্জি আম্মাকে হাতে নিয়ে ভুলে অন্যদেশের প্রথমদলের সাথে কোন অপেক্ষা বাদেই, কোন রীতিনীতি না জেনেই চলে গিয়েছিলাম জেয়ারতে। সেই তাহাজ্জুদের সময় থেকে এসে এতো বেলা অব্দি অপেক্ষায় থাকতে বয়েস্কদের কেমন কষ্ট করতে হয়েছে তা বলাইবাহুল্য।
পোষ্ট সংশ্লিষ্ট ছবি দেখতে আগ্রহী ফেসবুকের লিংক দেখতে পারেন। https://www.facebook.com/farhana.jabin/posts/10158811085419099?notif_id=1603983686483382¬if_t=feedback_reaction_generic&ref=notif
(ছবি এড করতে আলসি লাগতেছে , সরি এডমিনভাই)
মন্তব্য করুন