বিয়ে কেন করছ না!!!
গত মঙ্গলবারের প্রথম আলো পত্রিকার নকশায় " এখনো বিয়ে করছ না কেন" শিরোনামে একটা লেখা ছেপেছিলো। পত্রিকার পাতা উল্টাতে উল্টাতে লেখাটা চোখে পড়েছে, পড়েছি। পড়ার পর কোনই পতিক্রিয়া হয়নি মনে। কারণ এসব প্রশ্ন আর পরিস্থিতিতে সয়ে গেছি কবেই! ঠিক তার পরদিন ফেসবুকে দেখলাম লীনাপা লিখেছেন যে, সেদিনের প্রথম আলো পত্রিকারই বিনোদন পাতায় অভিনেত্রী ফারাহ রুমার সাথে 'কথোপকথন' - এ জানতে চাওয়া হয়েছে তিনি কেন বিয়ে করছেন না? পড়লাম সেই 'কথোপকথন'। ফারাহ রুমা বলেছেন বিয়ে করবেন। মা-বোনকে নিয়ে থাকেন, বাবা নেই, দায়িত্ব তাঁর। রিপোর্টার আবার জানতে চাইলেন, 'কিন্তু বিয়ে করতে বাধা কোথায়?' লীনাপা লিখেছিলেন যে য, পত্রিকায় আগের দিন একটা ফিচার ছাপা হলো এই বিষয় নিয়ে , পরদিন সেই পত্রিকার রিপার্টোরই এমন প্রশ্ন করে বিব্রত করছেন একজনকে। তাহলে নিজেদের পত্রিকা যদি পড়েও থাকেন তবু তা থেকে কোন শিক্ষা নেননি সেই রিপোর্টার। এই স্ট্যাটাসে অনেকেই নানা কমেন্ট করেছেন। আমিও বললাম যে, এসব প্রশ্ন করতে কমবেশী সবাই আনন্দ পায়, সেই অভিজ্ঞতা জীবনে বহু সঞ্চয় করেছি। লীনাপা বললেন, লিখে ফেল। লিখবো ভেবে বসেও আসলেও যত কথা ভাবছি সত্যি সব লিখা যায় না।
ছেলেদের বেলায় অভিজ্ঞতাটা কেমন আমি জানিনা। তবে আমার নিজের ঝুলিতে যে অভিজ্ঞতা জমা হয়েছে তা বোধ করি কম-বেশী সব মেয়ের বেলায়ই একই ধরনের হবে। কয়েকবছর ধরে দেখেছি যেখানেই যাই প্রশ্ন করে,
-বিয়ে করেছ/ বিয়ে হয়েছে?
- না।
- কেন?তোমার বাবা-মা ছেলে দেখছেন না?
-দেখছেন। / করব, যাক কিছুদিন।/ পছন্দমত পাচ্ছেন না।
-এত খুঁজলে হয়? এখনও কেন বিয়ে কর না? এখনই তো সময়। দেরী হয়ে যাচ্ছে। বাচ্চা কাচ্চা নিতে হবে তো। আর সব কিছুর তো একটা সময়/ বয়স আছে।
-হুম, তা তো ঠিক। দেখি, করব।
ঘুরে ফিরে সেই একই কথা। সবজায়গায় সবাই বলে। খুব আধুনিক মনের পরিচয় দেয় যে মানুষগুলি তারাও বলে, তারা আরও বেশি বলে। বেশী প্রশ্ন করে। যদি তাদের প্রশ্নের উত্তরে কোনরকম বলা যায় যে নিজের পছন্দ আছে তাহলে তো প্রশ্ন আর উপদেশের সংখ্যা বাড়তেই থাকবে। যেমন ধরেন প্রশ্ন করলো কেউ -
-পছন্দ আছে নিজের?
-হুম, আছে।
-ছেলে কি করে? কি বলে ছেলে? বিয়ে কেন করছে না? আর কত অপেক্ষা করিয়ে রাখবে? দেখো বুঝে শুনে। আজকালকার ছেলেদের বিশ্বাস নেই।
-হুম। না, সে ওরকম না। গুছিয়ে নিক একটু।
যদি বলা হয় ছেলে বাইরে থাকে, দেশে আসলে তারপর বিয়ে।
- কোথায় থাকে? কতদিন ধরে থাকে? কি করে? আসে না কেন? কতদিন রাখবে এভাবে। ফিরে আসলেই হয়। বিদেশি ছেলেদের বিশ্বাস কি!
একটা মেয়ে যদি কারও অপেক্ষায় থাকে সবসময় এসব কথা শুনে তার বিশ্বাস তো একটু হলেও দোদুল্যমান হবেই। সে তার সম্পর্ক নিয়ে একটু হলেও অনিরাপদ বোধ করবে।
প্রথম আলোর সেই ফিচারে মেনাবিজ্ঞানী বলেছেন কেউ বিয়ে কেন করছো না জানতে চাইলে বিনয়ের সাথে সত্যি কথাটাই বলা উচিত। কিন্তু সব সত্যি কথা কি আসলেই বলা যায়? যখন কেউ বিয়ে করে না তখন নিশ্চয়ই সেখানে কোন কারণ থাকে। কেউ হয়ত কোন একটা কিছু প্ল্যান করে থাকেন। কেউ হয়ত সময় নিচ্ছেন নিজেকে গোছানোর, কেউ হয়ত অপেক্ষাই করছেন কারো জন্য।খুব কাছের আত্নীয়রা / বন্ধুরা বলতেই পারেন যে বিয়ে কেন করনা,করা উচিত। যাকে প্রশ্ন করা হয় তার উত্তর যাই হোক সেখানেই তো থামা উচিত কারণ বিষয়টা তার খুবই ব্যক্তিগত। অথচ এসব বিব্রতকর প্রশ্ন করে করে একটা মানুষের মন কে কতটা আঘাত করা হয় প্রতিনিয়ত সেটা হয়ত হাজার প্রশ্ন যারা করেন, কটূক্তি যারা করেন তারা বোঝেন ই না অথবা বুঝতেই চান না। বরং খুশী হন বিব্রত করতে পেরে। তাদের খুশী হওয়াটা দেখতে হয় যেকোন সামাজিক অনুষ্ঠানে গেলে, কারও বাসায় বেড়াতে গেলে, বন্ধুদের কোন গেট টুগেদারে গেলে। ধীরে ধীরে সেই মানুষটার মানসিক একটা যন্ত্রণা বাড়তে থাকে, এড়িয়ে চলার প্রবণতা তৈরী হয়। মনের জোর থাকলে হয়ত এসব কিছুই একসময় ওভারকাম করা যায়। সবাই তো পারে না। আমি এমন অনেককে দেখেছি যারা একসময় নিজের মধ্যে গুটিয়ে যায়। আমি নিজেই বিরক্ত হয়ে আত্নীয়দের অনুষ্ঠানগুলোতে যাওয়া ছেড়ে দিয়েছি। আর এখনও কেউ প্রশ্ন করলে মনে যা আসে বলতে থাকি। তবু মাঝে মাঝে কারও কারও কথা/ আচরণে মন এতটাই দুর্বল হয়ে যায় যে মনে হয় দৌড়ে চলে যাই কোথাও। আমাদের দেশের মানুষগুলোর মানসিকতা সত্যি বদলানো দরকার। একটা মেয়ের একা থাকাকে তাঁর বন্ধুরাও কেউ কেউ কখনো কখনো বাঁকা চোখে দেখে। কেউ কেউ কখনো ঢিল ছুঁড়ে দেখে পাত্রটা বাজে কিনা। বিয়ে করে যারা একা থাকে অথবা স্বামীর কাছ থেকে দূরে থাকে তাদের পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ। বাঁকা চোখ, বাঁকা চাহনি আর তীর্যক কথার তীরে বিদ্ধ হতে হয় প্রতিনিয়ত ঘরে, বাইরে। আর এসব কথা, পরিস্থিতি দৃঢ় বিশ্বাসকেও টলিয়ে দেয়। ভেতরটা কেউ দেখেনা, কেউ জানে না। এসব কঠিন পরিস্থিতিও যখন পার করতে হয় তখন কতটা মানসিক শক্তি আর ধরে রাখা যায় সবসময়!!!!
চারপাশের মানুষগুলোর সত্যিকারের বন্ধু হয়ে উঠা উচিত, নেতিবাচক ভুমিকা ফেলে যদি ইতিবাচক ভুমিকা তারা রাখে তাহলে এই সমস্যাগুলি নিয়ে ফিচার হওয়ার দরকার পরবে না। এমনকি সমস্যা হিসেবেই বিবেচিত হবে না কারো চোখে, মনে।
ঠিক বলেছেন। আমারেও সবাই খালি জগায়
(
আপনাকে সবাই খালি জাগায়? কেন? বেশী ঘুমায়া থাকা তো ভালু কথা না
অনেকদিন ভাল মন্দ খাই না
কেন? প্রেসার সমস্যা যায়নি এখনো? আহারে! এত আছে তবু খান না আর কত মানুষ যে নাই বলে খায় না!
বিয়া শাদি আল্লাহর নেয়ামত। নেয়ামত না পাইলে কিছ্ছু করার নাই।
অনেক দিন পরে পোষ্টাইলেন থ্যাঙ্কু
আপনি এলেনতো ! "অনেক দিনের পরে যেন বিষটি এল" । আমিতো এখন আর লিখতে পাইনা, তবু এ বি রোজই খুলি আর যাদের লেখা ভাল লাগতো তাদের খুজি । আপনাকে অনেক দিন দেখিনা । আরো অনেককে মিস করি । এইযে লীনা'র কথা বললেন, উনিতো এখন আর এ বি'তে লিখেনই না । জানিনা আমার উপর রাগ করে কিনা । কবির চউধুরীকে নিয়ে তার একটি লেখায় মতামত দিয়েছিলাম, অনুরোধ করেছিলাম উনার [কবির চউ'র] '৭১ এর একাউনটটা একটু খুলে দেখতে । জবাব দেননি- মনে হয় রাগ করেছিলেন । এ বি তে আমার ১ম লেখা পড়ে খুবই সহায়ক উপদেশ দিয়েছিলেন । মিস করি তাকেও ।
আপনার এ লেখায় কোন মনতব্য দিচছিনা । আমাদের সামাজিক ব্যবসথায় ছেলেতে-মে্যেতে ফারাক টেনে রেখেছে । ছেলেদের তেমন বিবরত হবার কারণ দেখছিনা আমি ।
ধন্যবাদ ! ভাল থাকুন , লিখুন আমাদের জন্য ।
আপনার উপর কেন রাগ থাকবে? আর ছেলেদের বিব্রত হওয়ার কারণ আছে তো বলা হয়নি। আপনি আলাদা করে ছেলেদের কথা কেন বলেন?
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
দুইন্যায় শেষ বিবাহ করছিল বিমা। তারপর আর বিয়া খাইলাম না। আফসুস।
ঘটকালি তো করতে পারেন। সেটা তো করেন না!
হ
অনেকদিন কব্জিডুবাইয়া রেজালা খাই না .... শেষ বার বিয়া খাইছিলাম নিজেরটা তয় সেইখানে কব্জিডুবাইতে পারি নাই ক্যামেরার যন্ত্রনায়
আমি অবশ্য এই প্রশ্নের মুখোমুখি হতে শুরু করেছি। তবে আমি উত্তর দিতে শুরু করছি "একটা সত্যিকারের পরী আইনা দেন, তাইলে করমু, না পারলে একটা মারমেইড"। তখন কিছুটা ঠান্ডা হয়। তয় আইজো পুরা ধন্ধের মইদ্ধ্যে পড়ি নাই।
বুঝপেন, বুঝপেন। বড় হইলে বুঝপেন কত আটায় কয়টা রুটির টুরকা হয়।
আসলেইতো!
বিয়ে কেনো করছেন না?

আমার তিনি জানেন
কিছু কিছু বিষয়ে দেখা যায় ব্যক্তি বা পরিবারের মাথাব্যথা নেই কিন্তু চারপাশের মানুষ মাথায় বাড়ি দিয়ে দিয়ে মাথার খুলি উড়িয়ে দেবার অবস্থা করে দেয়। সমাজের এই পেইনের কারণে বাধ্য হয়ে বিয়ে করেছে এমন মানুষের সংখ্যা এ যুগে কম না।
ঠিকই বলেছেন
আছেন কেমন?
ভেরি গুড আছি।
এই ধরনের ব্যাপক চাপ এক সময় ফেস করছি

একটা সময় এমন হইছিলো যে, আত্মিয়স্বজনের বাসায় যাওয়া ... বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যাওয়া ছেড়ে দিতে হইছিল
ব্যাপার্না
কিন্তু তুমি বিয়ে কেন করছ না!!!
কত কথা শুঞ্ছি
... শোধ করতে হপে না
সাঈদ বিয়ে করে না ক্যান?
শুভ বিয়ে করে না ক্যান?
জেবীন বিয়ে করে না ক্যান?
মানুষ বিয়ে করে না ক্যান?
নারু বিয়ে করে না ক্যান?
আমি কেন বিয়ে করছি না সেটা আমার জামাইকে জিগাও।
আর বাকীদের জন্য তুমি, মাসুম ভাই, মেসবাহ ভাই জামাই/ বউ খুঁজ।
বাফুরে লিস্ট থেকে বাদ দিলা কেন?
তুমি কেন বিয়ে করেছ ?
রশীদা আপুর কথাই ঠিক।
এইসব লোকরে ভরা মজলিসে মুখের উপর ছেঁচতে হয়। সেই ছেঁচার জ্বালা তাদের আর কখনো জুড়ায় না। তারই চোটে তারাও আর কোনোদিন সামনে আসে না। একদম পরীক্ষিত ফর্মূলা জয়িতা'পু। ট্রাই করে দেখতে পারেন। বিফলে মূল্য ফেরত।
ছেঁচলে তো আপনাকে মোটামুটি সবার কোণঠাসা তো করবেই, লোকজনের কাছে গল্পের জুড়ি উজাড় করে দিবে।
একটা সমস্যা হল -
আমাদের সমাজে কারও বিয়ের বয়স হলে তার চেনা জানা মানুষজনকেও কিন্তু এই প্রশ্ন গুলির সম্মুখীন হতে হয়।
কবে বিয়ে দিচ্ছেন/করাচ্ছেন? এখনও কিছুই করছেন না কেন? ইত্যাদি ইত্যাদি।
একটু ভেবে দেখবেন।
ভেবে আর কি দেখব? আমার বাবার সাথে আমার সম্পর্ক একটু হলেও শীতল হয়েছে এসব কারণেই। মানুষের যন্ত্রণায় ব্যক্তিজীবন অতিষ্ট হয়ে যায়। কেউ কিন্তু তোমার উপকার করতে আসবে না, বিপদে পাশে দাঁড়াতে আসবে না কিন্তু গায়ে যত প্রকারে হুল ফুটোনো যায় সেটা করতে এতটুকু কার্পণ্যবোধ করে না লোকজন।
আপনার কাছের মানুষজন কিন্তু তখনই আপনাকে এই যণ্ত্রনা দিবে
যখন তারা তাদের কাছের মানুষজনের কাছ থেকে এই যণ্ত্রনাটা পেতে পেতে অতিষ্ঠ হয়ে যাবে।
এইভাবে ভাবলে তো হপে না।
একসময় পাবলিকের প্রশ্নের ঠেলায় অবস্থা কাহিল ছিলো। বুঝতাম পাবলিক আমাকে নিয়ে অনেক চিন্তিত, অনেক টেনশন করে। বিয়ে করছি, সো এখন আমার পালা। আমাকে এখন তাদেরমত সামাজিক দায়বদ্ধতা দেখাতে হপে না?
টুটুল ভাইয়ের সাথে সহমত। আমাকে পাবলিক জ্বালিয়েছে, আম্মো জ্বালাবো।
সে আমলে যে সব প্রশ্ন বা কমেন্ট শুনতাম:
১। কি বিয়ে শাদি করবে নাকি মনসুরুল আমিন হবে (এক অকৃতদার সিনিয়ার কলিগ এর উদাহরন)?
২। দেরি করলে রুমা ম্যাডামের সাথে বিয়ে হতে পারে (এক অবিবাহিতা সিনিয়ার কলিগ)! : ফান করে।
৩। সমস্যা কি? তোমার দিক থেকে মিলছে না, নাকি মেয়েরাই.....।
৪। কি? অনেক মালদার পাট্টির ধান্ধায় আছো নাকি?
৫। বেশি বাইছো না বুঝছো! সব একি! (অভিজ্ঞদের চোখ টিপি সহ কমেন্ট)
যাইক সে দুঃসময় শেষ।
তবে বিয়ে করে ফেললেই আপনার প্রতি পাবলিকের দরদ কমে যাবে তা ভাববেন না। এরপর শুরু হবে "কবে বাচ্চা নিচ্ছো?"
বাচ্চা নিতে দেরী হলে, ঘনিষ্ঠ হবার ভাব ধরে বা সিমপ্যাথিটিক ভাব নিয়ে, "সমস্যাটা কার? তোমার/আপনার? নাকি ভাবীর?" "ডাক্তার দেখাচ্ছেন? কাকে?"
বাচ্চা হলেও বাচবেন না, শুরু হবে,
-বাচ্চার মনে হয় গ্রোথ কম?
-ওর ওজন দেখি অনেক কম!
-এখনও হামাগুড়ি দেয়া শিখে নাই?
-দাত উঠেছে?, না উঠলে, "এখনও উঠে নাই? ডাক্তার দেখিয়েছেন?"
-কথা বলে? বাবা-মা বলে?
এই প্রত্যেকটা প্রশ্নের সাথে থাকবে নিজের বা নিজে আত্মীয়ের কোন সুপারকিডের উদাহরন, কত তাড়াতাড়ি সে হামাগুড়ি দিয়েছে, বা তার দাত উঠেছে, বা কথা বলছে....।
এই দরদী প্রশ্নগুলো চলতেই থাকবে, চলতেই থাকবে, চলতেই থাকবে..সাইকেল পূরন হবে সেই সন্তানের বিয়ে নিয়ে প্রশ্ন দিয়ে।
আবার এইসব প্রশ্নে নির্লিপ্ত থাকাও সম্ভব না। মনোবিজ্ঞাণীরা যে সমাধান দিয়েছে সেটাও আপনাকে বাচাবে না এইটা আমি নিশ্চিত। সো সমাধান কি? একটাই। পাল্টা প্রশ্ন করেন। অফেন্স ইজ দ্যা বেষ্ট ডিফেন্স। যে এসব প্রশ্ন করে তার নাক-কান-চুল-দাত-পোশাক-পরিবার যে কোন কিছু নিয়ে পাল্টা দরদী প্রশ্ন করা শুরু করেন। স্যাটিসফেকশন গ্যারান্টিড। সে ভাগবে, খুব বেশি হলে আড়ালে-আবডালে আপনাকে বেয়াদব বলবে এই যা!
অাপনার কমেন্ট পড়ে হাসব না কাদব বুঝতেছি না । গান মনে পড়ছে ..... জীবন মানে যন্ত্রণা, নয়তো ফুলের বিছানা..... লোকজন এত্ত আজাইরা কেন? উকুন বাছলেই পারে!!

মনোবিজ্ঞানীদের সমাধান যে বাচাতে পারবে সেটা আগেই বুঝছি ।
পরে পাইছিলেন মালদার পার্টি ?
বাচ্চার স্ঙগী বাড়াচ্ছেন না কেন ?
বিয়ে কেন করলাম !!
তাইতো! কেন করলেন? কি পবলেম আপনার?
যা হোক। এখন তাইলে কেমন আছেন? সব সমস্যা, প্রশ্নের বাড়াবাড়ি থেকে মুক্তি তো!
তোমার লেখাটা প্রথম আলোতে আশা দরকার ছিল। অনেক বেশি বাস্তবমুখী
বিয়ে হওয়ার পর বুঝবা ব্যক্তিগত প্রশ্ন কাহাকে বলে কতো প্রকার। স্বামী আদর করে কিনা, হাত খরচ দেয় কিনা ইত্যাদি প্রভৃতি কতো পদের প্রশ্ন আসবে সামনে
কি যে বলেন তাতাপু! আমি যা লিখি সেটা আপনারা পড়ে কমেন্ট করেন সেটাই তো কত কি!
আদরের কথা কি যেন কইলেন! শরমের কথা!
ইয়ে মানে আপনার স্বামী আপনাকে আদর করে তো! ব্যাগ খরচ দেয় তো!
ভাই, চমৎকার লিখছেন
আপনার লেখা পড়ে বড় ভাল লাগলো
হায়রে জেবন বিয়া করবে কি করবেনা সেইটা নিয়াও মহা ক্যাঁচাল।

লেখা চমৎকার হইছে।
জীবনটাই ক্যাচালময়
মাইনসের কোনো কাম নাই ?
না থাকলে পিয়াজ কাটুক...
নাইলে মোজা ধুইতে কও...
হ, প্রথম আলোর ডেইলি বিনোদন পাতার দশা এক্কেবারে যা-তা
বিনোদন সাংবাদিক হওয়াটাই মনে হয় সবচেয়ে সোজা কাম... যত্তসব !
কাউকে কিচু বলা ছেড়ে দিয়েছি দাদাভাই। কোনদিন সব খারাপ লাগা চলে যাবে হয়ত। কত আর খারাপ লাগবে বলেন!
আর বিনো্দন সাংবাদিকরা আছে বলেই তো আমরা বিনোদিত হতে পারি
বিয়া মাইনষে করে?!!!!!
তয় বিয়া কারা করে? বিয়া যারা করে---সেই ইয়ে গুলাই অন্য মাইনষেরে ত্যাক্ত করে
" তুমি বিয়ে করছ না কেন?"
বিয়া করলে তো আমিও মাইনষেরে ত্যক্ত করুম আর মাইনষে আমারে বকপে
সত্য বলে দিন, বিয়ে করছো না কেন?!! ...
সুন্দর করে মিষ্টি হাসি দিয়া বলবা - "হায়াৎ-মৌত-বিয়ে আল্লাহ'র হাতে! আল্লাহ'র হুকুম হয় নাই এখনও, কি আর করা!"
আছে নাকি এর চেয়ে সত্য কথা?
আমি তো উল্টো কথা শুনি এখানে। ''কেন এত তাড়াতাড়ি বিয়ে করলা? এক্সপিরিয়েন্স কেমন? এত তাড়াতাড়ি বিয়ে করাতে সমস্যায় পড়তে হয়েছে কিনা? কেন আরও কিছুদিন অপেক্ষা করলা না?
আমাকে এখন রেগুলার শুনতে হয় তোমরা বাবু নিচ্ছ না কেন, বিয়ের তো অনেকদিন হয়ে গেল, আরে বাবা, বাচ্ছা তো গাছে ধরে যে চাইলেই আমার কোলে এসে পড়বে। তখন আমি আমার স্টাইলে তাদেরকে কথার জালে ছিন্নভিন্ন করি এবং হাসি, মনে মনে বলি, আবুল, এইবার দেখ মজা!!
এই পোস্টটা পড়ে আমার বিয়ে-অনুভূতিতে আঘাত লেগেছে!
কিসের আঘাত লাগলো? পুতার বাড়ি খাইছ? তাইলে তো শেষ ! আহা !
বিয়ে করে পাগলে ার ঘাস কহায় ছাগলে
মন্তব্য করুন