মাধুর্য্যময়
আমার জীবনটা এখন মাধুর্য্যময় । মাঝ রাতে হঠাৎ ঘুম ভাংলো, শুনি বাচ্চার কান্না, দেখি মাধুর্য্য বিছানায় নাই। কি ব্যাপার! কোথায় সে! দেখি ওর বাবা যে দিকে শোয়, সেই পাশের মশারীতে ঝুলছে। তার বাবা কুম্ভকর্ণের মত ঘুমিয়েছে, মেয়ে যে তার গায়ের ওপর দিয়ে পড়ে গেছে সে খবর তার নাই। মেয়ের তারস্বরে কান্না শুনে সে ও ঘুম ভেঙ্গে হতভম্ভের মত বসে রইল। আমি ছুটে যেয়ে মেয়েকে কোলে নিয়ে কান্না থামানোর চেষ্টা করলাম। খুব ভয় পেয়ে গেছে মেয়ে। একটু পর কাঁদতে কাঁদতে আবার ঘুমিয়ে পড়ল। এভাবে সারারাত ঘুম আর হয় না, প্রায় জেগেই থাকি বলা যায়। ঘুমের মাঝেও সারা বিছানা তার বিচরণ। কখন আবার কি ভাবে পড়ে যায় কে জানে? এরকম উৎকন্ঠায় সারারাত ঘুম আর হয় না আর, প্রায় জেগেই থাকি বলা যায়। হয়ত একটু চোখ লেগে গেছে, হঠাৎ টের পাই আমার ঠোটের উপর সজোরে কি যেন এসে পড়ল, ব্যাথায় কুঁকড়ে গেলাম। উহ! মুখের ভেতর লোনা স্বাদ, বুঝলাম রক্ত পড়ছে। চোখ খুলে দেখি ম্যাডামের মাথাটা আমার ঠোটের উপর। বুঝলাম মেয়েটা ঘুমের মাঝেও আমাকে খুঁজতে খুঁজতে এসে আমার ঠোটের উপর শুয়ে পড়েছে। ওর অস্তিত টের পেয়ে আমার ব্যাথা যেন কোথায় হারিয়ে গিয়ে সেখানে জমা হল অনেক ভালো লাগা। ।।
২
সকাল বেলা অফিস যাবার জন্য রেডী হচ্ছি। হঠাৎ শুনি
আম্মু- মা, আম্মু- মা আতো শোও
কাপড় পড়া বাদ দিয়ে আমাকে তার সাথে আবার কিচ্ছুক্ষণ শুতে হয়, কোন না কোন ভাবে তাকে ফাঁকি দিয়ে অফিস যেতে হয়, প্রায় আজকাল আমার অফিস যেতে দেরী হয়।
বাইরে যাওয়ার আগে সাজগোজ করার আর উপায় নাই, তিনি এসে হাজির
আম্মু- মা ইকানে(এখানে) দাও, উম ম ম ম উকানে(ওখানে) দাও, তিত( টিপ) দাও।
লিপগ্লস সে ভাল চেনে, ঠোটটাকে উল্টে সেখানে সেটা লাগাতে বলে। মাঝে মাঝে আমি চালাকি করে লিপগ্লস মুখ না খুলে তার ঠোটে বুলাই, ম্যাডাম আমাকে বলে
আম্মু- মা খুল, আম্মু- মা খুল (মানে খুলে লাগিয়ে দাও)
এভাবে আমার সব কাজ থেকে সারাটাক্ষণ সে আমাকে কেড়ে নেয়, কেড়ে নেয় আমার প্রতিটা মুহূর্ত। , ব্লগে আসতে পারিনা, লেখালিখি তো শিকেয় তুলেছি, অফিস ছাড়া খুব একটা কোথাও যাই না। কিন্তু এত সব ছেড়ে এই নির্বাসিত জীবন খুব একটা খারাপ লাগে না আমার, মনে হয় আমার প্রতিটা ক্ষণ মাধুর্য্যময় ।
৩
তিনি আজকাল অনেক কথা বলতে পারেন। এখানেই যত বিপত্তি, কেউ মুখ দিয়ে কিছু বের করা মাত্রই সে সেটা শিখে ফেলে। আমাকে সে কখনো ডাকে আম্মু আবার হঠাৎ দেখি মা ডাকে। , এই মা ডাক কে তাকে শিখিয়েছে কে জানে ! কখনো মা কখনো আম্মু আবার কখনো দুই ডাক এক সাথে মিলিয়ে ডাকে আম্মু-মা।
একদিন দেখি সে আমাকে বলছে যে আম্মু-মা এটা নিয়াম, আমার বাসার যে মেয়েটি মাধুর্য্যকে রাখে সে আমাকে বললো যে আফনার হাতের এইডাা নিত। ( মানে আমার হাতে যা আছে সেটা সে নেবে) আবার আরেক দিন শুনি বলছে দিয়াম, সে নেওয়া কে নিয়াম বলে দেওয়াকে দিয়াম বলে। আমার বাসার যে মেয়েটি মাধুর্য্যকে রাখে সে মেয়েটা ময়মনশিংহের এর। বুঝতে পারলাম তার কাছ থেকে মাধুর্য্য ময়মনশিংহের ভাষা বেশ ভালই সব রপ্ত করেছে। আবার বলে আম্মু-মা লোশন ঢাইল্যা দাও, এসব শুনে আমার অবস্হাতো কিংকর্তব্য বিমুঢ় !
আরেকদিন সে বারান্দায় দাঁড়িয়েছিল, দুর থেকে তার বাবাকে বাইরে থেকে আসতে দেখলো দেখে খুশিতে আমার কাছে দৌড়ে এসে বললো -
আম্মু মা আম্মু মা বাবা আইতাতে
আমার তো অজ্ঞান হবার জোগাড় বললাম কি ! যে মেয়েটি মাধুর্য্যকে রাখে সে বলে-
ওর বাবা আইতাছে তাই কইতাছে।
আমি চোখের সামনে অন্ধকার দেখলাম। এ সব দেখেশুনে রোজ একবার চাকরী ছাড়তে ইচ্ছে হয়।
৪
মেয়েটা কোলে আসার পর তার নাম নিয়ে নানান জল্পনা, কল্পনা। আমার মনে হয়েছিল এক টুকরো মেঘ আমার কোলে এসে পড়েছে । সেই ভাবনা থেকে প্রথম আমার মনে আসে নামটা হোক মেঘলীনা মাধুর্য্য। আমার সৃষ্টি এই নামটি। আমার নাম লীনা আর লীনার এক টুকরো মেঘ, পুরো নামের মানেটাকে এভাবেও ভাবা যায় যে মেঘে বিলীন হওয়া সৌন্দর্য্য । সেই দিন আমার এটাও মনে হয়েছিল কখনো কোন কবি বা লেখক কি আমার মেয়ের নামটা নিয়ে কোন গল্প বা কবিতা লিখবে, উহ! লিখলে কিন্তু বেশ হত!
একদিন রুমানা বৈশাখী নামে একটা এফ বি বন্ধু আমাকে মেইল করলো-
আপু মেঘলীনা মানে কি?
আমি বললাম মেঘের মাঝে বিলীন-
সে আবার লিখল আমি যদি আপনার মেয়ের নামে একটা উপন্যাস লিখি কোন অসুবিধা আছে?
আমি বললাম কি আর অসুবিধা, আমাকে কিছু রয়েলটি দিয়ে দিও।
সে কিছুক্ষণ পর তার এফ বি স্ট্যাটাসে লিখে দিল আমার নতুন উপন্যাসের নাম মেঘলীনা।
মেঘলীনা নামে উপন্যাসটা এবারের বই মেলায়, ভাবতেও খুব ভাল লাগছে আমার।
সে তার বাবার সাথে রেগুলার মিরাক্কেল দেখে , মিরাক্কেল্লের মিউজিক তার খুব ভাল লাগে, বিটের তালে তালে সেও নাচে, তার বাবা এটা দেখে খুব মজা পায়। মীরের একটা গান আছে ওসাম শালা, আমি জানিনা কেন যেন গানটা শুনলে আমার খুব বিরক্ত লাগে, আমার মেয়ে এই গানটাও শিখে ফেলেছে। কিন্তু মজার ব্যাপার হচ্ছে সে শালাটা না বলে সেখানে সে বলে মামা । মীর যখন গায় ওসাম শালা সাথে সাথে আমার মেয়ে গায় -ওসাম মামা ওসাম মামা। শুনে আমি একটু খুশী হলাম যাক! আমার মেয়ে গালাগালিটা বাদ দিয়ে নিজেই সেখানে একটা সুন্দর শব্দ বসিয়ে দিয়েছে। এভাবেই যেন সে জগতের সব কালোকে সাদা করে নিতে পারে।
আমার লেখালিখি ব্লগিং সব একদম চাঙ্গে, আমি এখন শুধু মেঘলীনা মাধুর্য্যর মা, সে আমাকে কোন কিছুই করতে দেয় না - ফুল টাইম তার অধিকার আদায় করে নেয়। দেখে ভালই লাগে আমার। মেয়ে এখন থেকে নিজের অধিকার আদায় করতে জানে, এদেশে মেয়েদের অধিকার লড়াইয়ে মনে হয় আমার মেয়ে অগ্রণী ভুমিকা রাখবে। ইদানিং সে তার কাজিনদের সাথে খেলাধুলা করার সময় তাদেরকে লিড দেয়, সবাই তার থেকে বয়সে অন্তত ছয়/সাত বছরের বড়, কিন্তু তার ভাবসাবে মনে হয় সে অনেক বড় । দাদার বাড়ি গেলে দাদা-দাদীর শোবার ঘর দখল করে।
সে খুব স্বাধীনচেতা, এক রোখা আর সাবলম্বী। একা খেতে বা একা কিছু করতে খুব পছন্দ করে। আমি তার মাঝে আমার চাওয়ার প্রতিফলন দেখি। তাই আমি চাই এভাবেই সে এগিয়ে যাক, মেয়ে হিসাবে না একজন মানুষ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হোক। অসহায় মানুষের সুখ দুখে মেঘের মত বিলীন করে দিক নিজেকে। গুড়িয়ে দিক সমাজের প্রচলিত নিয়ম। এই অচলায়তন ভেঙ্গে, সব কিছুকে শুভ এবং সুন্দর করে সাজিয়ে তুলুক।
এগিয়ে যাক আমার এক টুকরা মেঘ, ঢেকে দিক আমার যত দুঃখ, কষ্ট, বেদনা। কখনো ছায়া দিক আমাকে প্রখর সূর্য থেকে, বৃষ্টি হয়ে ভিজিয়ে দিক আমার দু-চোখ, মুছিয়ে দিক আমার কান্না
ভীষন মিষ্টি একটা পোস্ট। দারুণ লাগলো পড়তে। অনেক আদর মাধু্র্য্যের জন্য।
তোমাকেও অনেক আদর মাধু্র্য্যের আর তার বাবার পক্ষ থেকে
কিন্তু তুমি এখন ব্লগে কেন? বই মেলায় যাও নি?
নাউজুবিল্লাহ্! এসব কি বলেন!
বইমেলা থেকে আসলাম একটু আগে।
ইসসসসস ! হিংসিত হইলাম। আজ চারদিন গেল আমি একবারো যেতে পারিনি
আপনার পিচ্চিটাকে অনেক আদর।
পিচ্চির মামাকে ধইন্যা পাতা
মেঘ লীনা সুন্দর থাক ! ভাল থাক ! অনেক অনেক আদর তার জন্য ! সব নারীই অন্য সব হওয়া বাদ দিয়ে একদিন শুধু ' মা ' হয়ে যায় এবং এটাই শ্বাশত ! আপনার নবোপলব্দি মোবারক হো !
আপনার এত সুন্দর কমেন্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ
পাকনি বুড়িটার একটা ছবি দেন নাই ক্যান পোস্টে?
এই কারনে আপনারে মাইনাস
অনেক আদর আমাদের লোশন মামার জন্য।
রাসেল তোমার জন্য অনেক চেষ্টা করেও একটা ছবি আপ্লোড ক রতে পারলাম না। আসলে অনেকদিন ব্লগে না আসতে আসতে ভুলে গেছি কি ভাবে আপ্লোড করতে হয়। । শিখাবা নাকি একবার
এইখানে একদম লাস্টে টুটুল ভাইয়ের একটা কমেন্ট আছে ঐ মোতাবেক কাজ করেন। আশাকরি ছবি পোস্ট হয়ে যাবে।
থ্যাঙ্কু ব্রাদার! মনে হয় পেরেছি
ভাগ্নীকে কেমন দেখলা জানাইও 
ভাগ্নী পুরা অসাম মামাদের মতো।
অসাম মামাদের ওসাম ভাগ্নী
এক টুকরো মেঘ অনেক কিউট ! এরকম একটা পুচ্কি থাকলে ব্লোগ তো দুরের আলপ কম্পুতে বসার কথাও মানুষ ভুলে যাবে । অনেক অনেক আদর মেঘলিনাকে ।
পোষ্ট ভালা লাগতাছে
কমেন্টাও জব্বর হইছে
ধন্যবাদ জোনাকি 
আরে বাবা এখন দেখি ফটুকও যুক্ত হয়েছে। এ তো দেখি একটা ছোট ছোট কিউট কিউট বিড়াল ছানা আর এতোক্ষন আপনি আমাদের হুদাই মানুষের গল্প শুনাইতেছেন

তার কপালে লিপিস লাগানো ছবি অতি কুতু কুতু আদুরে।
মেয়ের রাসেল মামার কল্যাণে ফটুকও যুক্ত হয়েছে।,
অবশ্য টুটূল মামার পোষ্ট ও এ জন্য ক্রেডীট পাচ্ছে।।
এ তো দেখি একটা ছোট ছোট কিউট কিউট বিড়াল ছানা আর এতোক্ষন আপনি আমাদের হুদাই মানুষের গল্প শুনাইতেছেন ------ এটা সুপার লাইক করলাম
তার কপালে এখন সারাক্ষণই লিপিস লাগানো থাকে.।।আমার লিপিসগুলার যে হাল কি বলবো!
ওরে বাবা!! এ তো একটা জ্যান্ত পুতুল!! পুরাই লাল টুকটুক মেঘপরী!!
আমার হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসা বাবুনীটার জন্য! এমন একটা পুতুল ঘরে থাকলে বরকেও ভুলে থাকা যায়! ব্লগ তো দূরের কথা
৪ নং ছিবিটা রেখে দিলাম! নিশ্চয় আপত্তি করবেন না
পোস্টে অনেক অনেক স্টার!
মেয়ের খালা ছবিটা রেখে দিলে আমার আপত্তি করার কি আছে?

অনেক অনেক ধন্যবাদ মেয়েকে এত আদর করার জন্য ।। ওর জন্য দোয়া করবেন
অবশ্যই অ-নে-ক দোয়া পরীটার জন্য!
একদম দু'হাত তুলে দোয়া------
মেয়ের খালার জন্যও অ-নে-ক দোয়া
আমার এই মেঘসোনার জন্যেও অনেক অনেক আদর।
তোমার বা আমাদের তো দুইটা মেঘসোনা তাই না !
মেঘসোনাদের খালার জন্যেও অনেক অনেক আদর। 
আমার ভাগ্নীটা... আমার ভাগ্নীটা...
ওসাম মামা! ওসাম মামা!
শুভ মামা! শুভ মামা!
ভীষন মিষ্টি একটা পোস্ট। দারুণ লাগলো পড়তে। অনেক অনেক অনেক অনেক অনেক অনেক অনেক অনেক অনেক অনেক অনেক অনেক অনেক দোয়া আর আদর মাধু্র্য্যের জন্য।
ভীষন মিষ্টি একটা কমেন্ট।
দারুণ লাগলো পড়তে।,
অনেক অনেক অনেক অনেক ভাল থাকবেন 
মাধুর্য্যের জন্মদিনের ছবিগুলো খুব্বি দারুন হয়েছে। কি সুন্দর লাগছে ওরে অইখানে! আর মেয়েতো মাশাল্লাহ ক্যামেরা দেখলেই পোজে দেয়া শুরু করে!!

ওসাম মামা! সব মামুরাই তার কাছে ওসাম! খালারা কি করলো!
মেঘলীনা অর্থটাই সুন্দর!
স্কুলে থাকতে একটা পছন্দের আপুর নাম ছিলো দেবযানী, এর অর্থ কি জানেন নাকি?
মাধুর্য্যের জন্মদিনের পর থেকেই তো তার শরীর আর ভাল থাকে না। ! আর মেয়েতো মাশাল্লাহ খালাদের মত হয়েছে।,
ক্যামেরা দেখলেই পোজে দেয়া শুরু করে! 
মেয়েদের লাইক ক রেনা কেন যেন। !
আস্লেও সব মামুরাই তার কাছে ওসাম! খালারাদের পছন্দ ক রে না
দেবযানীর অর্থ জানি না, দেবযানীর শুনলে কেমন যেন ভুতপেত্নীর কথা মনে হয়
মিষ্টি মিষ্টি মিষ্টি...
েক মাধুর্য্যর লিনা খালা !
েক মাধুর্য্যর লিনা খালা !
েক মাধুর্য্যর লিনা খালা ! 
পিচ্চিটাকে অজস্র আদর, অসংখ্য শুভকামনা।
আপ্নাকেও ধ ন্যবাদ এবং অনেক শুভকামনা।
ওর জানি কত বয়স হল ?
মাশাল্লাহ !
ওর মায়ের মত (!) না হলেই হয়
ওর বয়সে এখন ২০ মাস?
ওর মায়ের মত (!) না হোক তা আমিও চাই। ।। ।সেই সাথে চাই আপনার ছেলে গুলিও যেন আপনার মত না হয়, আপনার মত হলে ওকে আবার ওর মায়ের মত হতে হবে।
ভীষন মিষ্টি একটা পোস্ট। দারুণ লাগলো পড়তে। অনেক আদর মাধু্র্য্যের জন্য।
ধন্যবাদ ভাই,
অনেক অনেক শুভকামনা। 
জোস লাগল।
আপনেরে দেইখ্যাও জোস লাগলো
অনেক আদর থাকলো মা মনির জন্য।
মামনিটাকে অনেক আদর
মাশাল্লাহ, এতো মায়াময়, মিষ্টি, অপূর্ব!
অনেক ধন্যবাদ রশীদা, ওর জন্য দোয়া করবেন
আপু এক নি:শ্বাসে পড়ছিলাম ছোট্ট পরীর দিন লিপি সত্যি চমকৃত করল। বাচ্চাদের আধো বোলটা খুবই মধুর। আর মাধুর্য্যের জন্য অনেক অনেক দোয়া আর ভালবাসা রইল। যা কিছু সুন্দর সব কিছুই মাধূর্য্যের হোক এই দোয়া করি।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই,
ওর জন্য অনেক অনেক দোয়া করবেন,
আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা। 
মেঘপরীকে স্বপ্ন দেখার আবেশ হলো চুরি
মেঘপরীর ওই হাতের বাঁকে স্বপ্ন আঁকা চুড়ি
সুপার লাইক
প্রত্যেকটা বাবা মায়ের সাথে তাদের সন্তানদের সম্পর্ক ইউনিক। মেঘ এরকম মশারিতে ঝুলতো ঢাকায়, তাই আমি এমন করে বুকের ভিতর ঢুকিয়ে ঘুম দিতাম যে, বাসার সবাই ওকে বিছানার নীচে খুঁজে মুর্ছা যেতো, কই গেলো
একটু বড় হলো পরে বুকে ঘুমানো অভ্যাস হয়ে গেলো ওর। তখন আমাকে চিৎ হয়ে ঘুমাতে হতো। আমার বুকে ছোট বালিশ রেখে ঘুমাবে। কখনো কখনো আমি ওকে আস্তে নামিয়ে দিয়ে কাত হলে, বিছানায় পিঠ লাগলেই বুঝতো শয়তান মা ওকে নামিয়ে দিয়েছে। সাথে সাথে আমাকে আবার চিৎ করে ঠাস ঠাস দুটো দিত, তারপর লাফ দিয়ে বুকে উঠে ঘুমাতো। সেই সব দিন গুলো আহা, কেনো যে মেয়েগুলো বড় হয়
মেঘের ভালো নাম তানিশা, আমার নামও মেয়ের মধ্যে ঢুকিয়ে দিয়েছি
নেই নেই আবার দেখো কতো মিল আছে আমাদের সংসারে
মেঘলীনা হলো হ্যালো কিটি ডল। অনেক অনেক আদর রইলো। সুস্থ থাকুক আর মাকে ঠিক এমনি ব্যস্ত রাখুক
ইসসস পড়তে কি মজা লাগলো মেঘের কথা.
এরকম একটা পোষ্ট দাওনা সবাই পড়ি। ।
এই বয়সে মেঘ কি করতো কি বলতো এ সব আর কি ! অপেক্ষায় রইলাম
খুব মিষ্টি মেঘলীনা! মাশাল্লাহ!
অনেক ধন্যবাদ
আপু ইউটিউবে লীনা ফেরদৌস নামের একজনের ভিডিও দেখলাম,উনিও ব্লগে লিখেন,আপনি কি সে?

হা রে ভাই সে আমি
মেঘলীনা মাধুর্য্য'র জন্য অনেক অনেক স্নেহ। চমৎকার পোষ্ট।
মেঘলীনা মাধুর্য্য'র মামাকেও অনেক ধন্যবাদ
মাধু্র্য্য মাধু্র্য্য ছড়ালো--------অনেক বড়ো মনের মানুষ হোক---আর জানি আমি তা হবেই---
অনেক অনেক অনেক ধন্যবাদ নীলাঞ্জনা
মেঘলীনা এত বড় হয় যেন মেঘের মাঝে সে নয়, মেঘই যেন ওর আড়ালে পড়ে হারিয়ে যায়। এত্ত এত্ত আদর আর ভালবাসা আর দোওয়া রইল মামনির জন্যে।
চোখে পানি এসে গেল
মন্তব্য করুন