বিশেষ ভাবে এই দিনটি পালন করার কি বিশেষ কোন প্রয়োজন আছে !
আজ নারী দিবস। সারা বিশ্ব বিশেষভাবে পালন করছে এই দিনটি। ।। এদিনে নারীদের জন্য বিশেষ অনুষ্ঠান, বিশেষ স্বীকৃতি, সব কিছুতেই বিশেষ আয়োজন থাকে। এমনকি টিভির আ্যড গুলিতেও বিশেষভাবে নারীর অবদান সম্পর্কে ভাল ভাল কথা বলা হয়। খুব অবাক লাগে এই বিশেষ ভাবে নারী দিবস পালনের ঘটা দেখে, এর মানে কি ? আমরা যারা নারী তারাও প্রবল উৎসাহ আর উদ্দিপনায় নারী দিবস পালন করি, খুব গর্বিত থাকি আজ আমাদের নারীত্বের স্বীকৃতি দিবস। কিন্ত হে বিশ্বের নারী- আপনারা কি কখনও ভেবেছেন, বিশেষ ভাবে এই দিনটি পালন করার কি বিশেষ কোন দরকার আছে? প্রায় ১০০ বছর ধরে নারীদের অধিকার আদায়ের জন্য এই দিনটি বিশেষভাবে পালন করা হচ্ছে। কিন্ত কথা হল নারীর অধিকার কে দেবে- পুরুষ? পুরুষ কেন একজন নারীকে তার অধিকার দেবে? নারীওতো পুরুষের মতই একজন মানুষ, তাহলে পুরুষদের কাছ থেকে কেন স্বীকৃতি বা অধিকার পেতে হবে? কোন পুরুষ কি কখনও তার অধিকার নারীদের কাছে চেয়েছে?
আসলে দোষটা আমাদের- মানে নারীদের । আমরা নিজেরা নিজেরদের মর্যাদা সম্পর্কে যথেষ্ট সজাগ নই। আমারা পুরুষের উপর নির্ভর হতে পছন্দ করি, পুরুষদের কাছ থেকে স্বীকৃতি পেতে চাই। আমরা আমাদের নিজেদেরকে দূর্বল ভাবি। কিন্ত একটু চিন্তা করে দেখেন -এই যে নির্ভরশীলতা সেটা কি আমাদের মর্যদা বাড়াচ্ছে ? নাকি আমরাই আমাদের মর্যাদা কমাচ্ছি। আমার কাছে বিশেষ ভাবে আমাদের জন্য একটি দিন পালনের মানে হল - আমরা নারী, আমরা অবলা, আমাদেরত অন্তঃপুরে থাকার কথা , হেঁশেলে সারাদিন ঘেমে নেয়ে কাটানোর কথা এবং আমাদের কষ্ট ও আমাদের পরিশ্রমের কোন মুল্য পাবার কথাও নয়, তবুও তোমরা যে আমাদের বাইরে আসার অনুমতি দিয়েছ, আমাদের কাজের স্বীকৃতি দিয়েছ এবং আমাদের জন্য যে একটা বিশেষ দিবস বেধে দিয়েছো, যে দিনে ঘটা করে তোমরা পালন করবে আমার কাজের স্বীকৃতি বা আমার অধিকার আদায়ের কর্মসুচি, তোমারা আমার কাজের স্বীকৃতি স্বরুপ আমায় সম্বর্ধনা দেবে , ফুলেল শুভেচ্ছাবানীতে আমায় সিক্ত করবে– এজন্য আমরা তোমাদের কাছে কৃতজ্ঞ। আমাদের এই একদিনের স্বীকৃতি স্বরুপ আমি সারা বছর নিজেকে নারী হিসাবে গর্বিত আর আনন্দিত বোধ করব।
ভাবতেও খুব অবাক লাগে আমরা নারীরা এখনো আমাদের নিজেদের মর্যাদা সম্পর্কে সজাগ নই। আমরা এখনো কারো না কারো উপর নির্ভরশীল। শৈশব থেকে শুরু করে বিয়ের আগ পর্যন্ত বাবা বা ভাইয়ের ঘাড়ে, বিয়ের পরে স্বামীর এবং শেষ বয়সে ছেলের ঘাড়ে। আমরা কখনই ভাবি না আমরাও মানুষ, একজন পুরুষের মত আমাদের ও আছে হাত পা , জ্ঞান, বুদ্ধি, সবই আছে। শুধু হয়ত শারিরিক ভাবে আমরা পুরুষের চেয়ে কিছুটা দূর্বল, এছাড়া সবই সমান। আমরা কেন তাহলে আরেকজনের উপর নির্ভরশীল হব? কেন নিজের আত্নমর্যাদা সম্পর্কে সচেতন হব না। ।
বিশ্বের নারী আন্দোলনের প্রায় ১০০ বছর কেটে যাচ্ছে, এখনো কি সেই আন্দোলনের সিকি ভাগ আদায় হয়েছে? তবে আর আন্দোলন কেন? অধিকার চাওয়াই বা কেন? আর কাদের কাছেই বা চাওয়া? আসুন এবার আমরা নিজেরাই জাগি, অনেক বছরতো অবুঝ আর অবলা হয়ে কাটালাম । নারী আর পুরুষের বৈশম্য বাদ দিয়ে নিজেদের মানুষ হিসাবে নিজেরাই স্বীকৃতি দেই। আমারা নারী – বি্ধাতার অনবদ্য সৃষ্টি। আমাদের মাঝে পুরুষের জন্ম, আমাদের ঘিরেই পুরুষের জীবন। তবে আমারা কেন আমাদের স্বীকৃতি চাই পুরুষের কাছে। কিসের স্বীকৃতি চাই? মাতৃত্বের স্বীকৃতি, জীবন সঙ্গীনির স্বীকৃতি, কন্যা সন্তানের স্বীকৃতি ? সমাজে আমাদের যে অবদান সেটা সবাই জানে বা বোঝে। নারী ছাড়া কখনো একটা সুস্হ-সুন্দর-সুখের জীবন হতে পারেনা। যুগে যুগে নারী্ পুরুষের পরিপুরক, নারীর অবদান ছাড়া কখনই সংসার ,সমাজ বা পৃথিবী সামনের দিকে এগিয়ে যেত না । তাই আমি মনে করিনা আলদা ভাবে আমাদের কোন স্বীকৃতির প্রয়োজন আছে ।
পুরুষতো কখনও তাদের কাজের জন্য আমাদের স্বীকৃতি চায় না বা তার অধিকার চায় না। তবে আমাদের কেন এই চাওয়া ? আমারা কি এভাবে অধিকার চেয়ে চেয়ে আমাদের নিজেদের দুর্বল করে উপস্হাপন করছি না? যদি কখনও পুরুষ তাদের কাজের স্বীকৃতি স্বরুপ একটি বিশেষ দিবস পালন করে, তবেই না হয় আমরা তখন নারী দিবস পালন করব। আসুন আমরা সচেতন হই, নিজের অধিকার নিজেরকে দিতে শিখি। কারও দেওয়া স্বীকৃতি আশায় পিছিয়ে না থেকে সামনের দিকে এগিয়ে যাই পুরুষের পাশাপাশি। আত্মনির্ভরশীল হই। যতদিন না আমরা আত্মনির্ভরশীল হব ততদিন নিজেদের সম্মান, অধিকার বা মানুষ হিসাবে আমার স্বীকৃতি কিছুই আমরা পাব না, তার পরিবর্তে শুধু ঘটা করে নারী দিবস পালন করে – ঘটা করে নিজেদের দূর্বলতা আর আত্মমর্যাদা কে ক্ষুন্ন করতে পারব। .
লেখাটার সাথে সহমত...
অনেক ধন্যবাদ ব্রো
অসাধারণ ও পরিষ্কার ভাবনা । এমনই চাই । পুরুষরা নারীদের শত্রু নয় । প্রত্যেকে প্রত্যেকের পরিপূরক । পুরুষবাদী সমাজ ব্যবস্খায় আমরা ভূল শিক্ষিত, আর গটি কয়েক নারী নেত্রী/এনজিওর কল্যাণে পুরুষ ক্রমাগত নারীর শত্রু হচ্ছে । আমাদের শিক্ষা ব্যাবস্থার পরিবর্তন দরকার এ বিষয়ে । সেটা প্রথম শুরু হতে হবে নিজের ঘর থেকেই । লীনাকে ধন্যবাদ ।
সেটা প্রথম শুরু হতে হবে নিজের চিন্তা ভাবনা মানে নিজের মন মানষিকতার পরিবর্তন থেকেই । ।।, আপ্নাকেও ধন্যবাদ ।
অশেষ ধন্যবাদ। আমি ব্যক্তিগতভাবে কখনোই এই দিবস মানি না। বিশেষ করে ঐ কথাটার জন্য, অধিকার চাওয়া কার কাছে? মানুষ হিসেবে অধিকার তো আমার আয়ত্বেই আছে। প্রয়োজন সঠিক ব্যবহার ও প্রয়োগের। ভাবতে ভালো লাগছে, আমরা যারা এক সাথে আছি তাদের চিন্তা-চেতনায় মিল আছে। আপনাকে ধন্যবাদ এই পোস্টের জন্য। (আমার কষ্ট কমিয়ে দিলেন বটে, ভাবছিলাম ঠিক এমনই একটি লেখা পোস্ট করবো.. ....)
আমার জন্য এটা দারুণ কমেন্ট । চিন্তা-চেতনায় মিল কিন্তু খুব কম হয় । অনেক ধন্যবাদ আপু।
পড়লাম। বুঝলাম। মানলাম
যাক লীনা দেখে ভালো লাগলো যে তুমিও আমার মতো ভাবছো। সবচেয়ে বিরকত লাগে যখন মেয়েরা শুভেচছা জানায়। বিশ্ব পশু দিবসের মতো তাদের জন্যও একটা আলাদা দিবস আছে এই খুশিতে তারা বাকবাকুম। যারা নিজেদের মরযাদা বুঝে না, তারা অধিকার কি বুঝবে?!
তোমার মতো ভাবি বলেইতো আমরা বন্ধু তোমরা আমার পাশে আছ বলেইতো মনে হয় বাকিদের ঘুম থেকে জাগাতে পারব
নারী দিবসের সার্থকতা থাকে তখনই যখন দিবসকে কেন্দ্র করে সারাবছরই দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয়গুলো চর্চা করা হয়। নাহলে সেটা মশকরা হয়ে যায়।
নারী দিবসে কাউকে শুভেচ্ছা জানালে বা দুএকটা কথা বললে যদি কোনো নারী বা পুরুষ নারীকে মানুষ হিসেবে ভাবতে শেখে, তাহলে শুভেচ্ছা বা এ নিয়ে দুএকটা কথা বলতে রাজি আছি। ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা বলে- আমাদের অবস্থান আমরা যে তিমিরে ছিলাম, সেখান থেকে হয়তো একটু এগিয়েছি, কিন্তু সেটা কোনো দিবসের কল্যাণে নয়।।
লেখার সাথে মোটাদাগে সহমত
লেখার সাথে মোটাদাগে সহমত থাকায় তোমারে মোটা কইরা ধইন্যা
হক কথা।
লীনা আপু, আপনার এই লেখাটার সাথে আমি সম্পূর্ণ একমত নই। দু'টি কারনে।
১। পুরুষদের কাছ থেকেই স্বীকৃতি/অধিকার পেতে হবে এমনটা ভাবার মতন যুক্তিযুক্ত সময় এটা নয়।
নারীরা সব করতে পারেন এটা আমরা সকলেই স্বীকার করি কারন এটাই সত্যি। কিন্তু আর্থ-সামাজিক কারনে এবং ভুল ধর্মীয় ব্যাখ্যার শিকার হয়ে নারীরা দীর্ঘদিন পুরুষতান্ত্রিক পরিবেশে দুঃসহ জীবনযাপন করে এসেছেন, এটাকে অস্বীকার করার কোন উপায় নেই।
আমার নানী যা পেয়েছেন (তাঁর ভাষ্য অনুসারে) আমার মা পেয়েছেন তার থেকেও বেশী, আমার বোন পাবে তার থেকেও বেশী। কারন তাঁরা অধিকার সচেতন হয়ে উঠছেন প্রজন্ম প্রজন্মান্তরে। আপনার এবং আরো অনেকের বেলাতেই এই সমীকরণটি মিলে যায়।
অথচ সবার জন্যে ঘটনাটি কিন্তু এক নয়। এখনো নিষ্পেষিত অবস্থায় অনেক নারী রয়েছেন। তাঁদের অধিকারসচেতন হয়ে ওঠা প্রয়োজন। আর এই জন্যে প্রয়োজন প্ল্যাটফরম। এরকম নয় যে "পুরুষ"রাই হবে নারীদের সেই প্ল্যাটফরম। একজন সফল নারীই হতে পারেন উন্নতজীবন প্রত্যাশী আরেকজন নারীর জন্যে রোল মডেল।
কাজেই আপনি পুরুষের কাছে অধিকার চাচ্ছেন না। তারা কী ভাবলো তাতেও আপনার কিছু যায় আসে না। আপনি আপনার মতন করে সমাজের একজন অবহেলিত নারীর জীবনকে সাজিয়ে তোলার বিষয়ে তাকে সাহায্য করুন।
এমনটাই নারীদের প্রতি নারীদিবসের মর্মবাণী বলে মনে করতে আমি পছন্দ করি।
২। দিবস উদযাপনের প্রয়োজন আছে। আমি আবারো আমার পরিবার থেকেই উদাহরণ দেই। আমাদের পরিবারের প্রতিটা নারী-সদস্য নিজ নিজ ক্ষেত্রে সুপ্রতিষ্ঠিত, কিংবা হবার পথ যাত্রী। অধিকার, হেন তেন নিয়ে কারো কোন মাথা ব্যথা নেই কেন না, এগুলো চিন্তা করার প্রয়োজনই কোনদিন পড়ে নি। আমাকে যেমন করে বড় করা হয়েছে, আমার বোনটিকেও সেইভাবেই বড় করা হয়েছে। অধিকারের প্রশ্ন নেই। কারন আমরা সমান সমান।
সব পরিবারে কিন্তু এই অবস্থা নেই। প্রতিদিনের এই প্র্যাকটিস দেখিয়ে সচেতন পরিবারগুলোর পক্ষে অসচেতন পরিবারগুলোকে সাহায্য করা সম্ভব নয়।
একটি দিবস থাকলে সেই দিন মিথস্ক্রিয়াটা হবার সুযোগ পাওয়া যায়। এতে উন্নতি ছাড়া অবনতি হবার কোন কারন আমি দেখি না।
আনন্দের সাথে একমত। সকাল থেকে এটাই বলতে চেয়েছিলাম কিন্তু মাথায় ঘিলু কম থাকায় এইভাবে গোছাতে পারছিলাম না।
ধন্যবাদ আনন্দ।
আমি মনে মনে ভাবতিসিলাম যে আমার বক্তব্যে অন্তত রাসেল ভাইয়া সহমত দেবেন। কেন ভাবতিসিলাম তা জানি না।
ঘিলু কম? মিসা কথা কন মিয়া।
আনন্দ
রাসেল সত্য কথা কয় মিয়া।
রাসেল আসরাফ,
আসলেও আপ্নার মাথায় ঘিলু কম থাকায় আপ্নি আমার লেখাটি ঠিক বুঝতে পারেন নি, সেই জন্যই আনন্দের সাথে একমত। হয়েছেন
আপনাকে অনেক ধ ন্যবাদ এই বিশ্লেষনধর্মী আলোচনার জন্য।, আমি আপনার সাথে কিছু কিছু বিষয়ে সহমত । আর্থ-সামাজিক কারনে এবং ভুল ধর্মীয় ব্যাখ্যার শিকার হয়ে নারীরা দীর্ঘদিন পুরুষতান্ত্রিক পরিবেশে দুঃসহ জীবনযাপন করে এসেছেন, এটা আমাদের নারীদের চিন্তা চেতনার অজ্ঞতার জন্যই হয়েছে
আমি আসলে এখানে একটা কথাই স্পষ্ট করে বলতে চেয়েছি যে আমরা নারীরা নিজেরাই সচেতন নই, আমরা সচেতন হলে আর আমাদের নিয়ে দিবস পালন করা লাগতো না। ।
আনন্দ
আপনি এই কথাটা বড় চমৎকার বলেছেন-
" অথচ সবার জন্যে ঘটনাটি কিন্তু এক নয়। এখনো নিষ্পেষিত অবস্থায় অনেক নারী রয়েছেন। তাঁদের অধিকারসচেতন হয়ে ওঠা প্রয়োজন। আর এই জন্যে প্রয়োজন প্ল্যাটফরম। এরকম নয় যে "পুরুষ"রাই হবে নারীদের সেই প্ল্যাটফরম। একজন সফল নারীই হতে পারেন উন্নতজীবন প্রত্যাশী আরেকজন নারীর জন্যে রোল মডেল। "
কিন্তু এর জন্য কি কোন দিবস পালনের প্রয়োজন আছে? সচেতনতার জন্য অন্যতম একটা ভালো কাজ হতে পারে নারী উন্নয়ন। , সেটা তো সারা বছর করা যায় তাই না।, ঘটা করে একদিন এ সব রোল মডেলদের হাইলাইট করে কি লাভ ! সারা বছর এদের নিয়ে ভাবুন না। ।
আপনি যেমন মনে করেন যে দিবসের দরকার নেই, আমি তেমনি মনে করি যে দিবসের দরকার আছে। বাবা দিবস, মা দিবস, ভালোবাসা দিবস, নারী দিবস, বিজয়দিবস, বেগম রোকেয়া দিবস, শোক দিবস --- সবেরই প্রয়োজন আছে।
রোল মডেলদেরকে হাইলাইট না করলে কিভাবে হবে আপু? তাঁরা তো কম-বেশী কিছু না কিছু করেই রোল-মডেল হয়েছেন। হাইলাইটিং টা না দেখে তাঁদের অবদানটাকে দেখছেন না কেন?
আপনার কথার সাথে আমি সম্পুর্ণ এক মত, দিবস পালন করে আমরা মানুষকে সচেতন করে তুলতে পারব। কিন্ত আমার ক্ষোভটা হল দিবস পালন করবেন কাদের জন্য এবং কেন? নারীদের সচেতন করার জন্যইতো? কিন্ত এই আমরা নারীরা যদি নিজেদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন না হই , কিভাবে আত্মমর্যাদা বাড়বে সে বিষয়ে সজাগ না হই তবে ওই দিবস পালন এক ধরণের celebration এর মত হয়ে যাবে। ।
রোল মডেলদেরকে হাইলাইট নিয়ে ামার কোন সমস্যা নাই, তবে সারা বছর এদেরকে হাইলাইটিং না করে একদিন এদের নিয়ে মাতামাতির দরকার কি
নারীরা তাদের ব্যক্তিগত স্বত্তা নিয়ে সজাগ হয়। সেটাই ল লেখার মুল উদ্দেশ্য ছিল। । আমাদের দেশের নারীরা নিজেদের নিয়ে একেবারেই সজাগ নয়, কন র কিমি। একটা জীবন কাটিয়ে দিটে পারলেই খুশী। । সাজগোজ, খোশগল্প আর বাচ্চাকাচ্চা ছাড়াও যে অনেক কিছু করার আছে সেটা তাদের বোধগম্য হয় না।
যতই সময় যাবে
ভাবনাগুলো পাল্টে যাবে নিশ্চয়ই।
নারী/পুরুষ হওয়ার থেকে মানুষ হওযাটাই জরুরী।
খাঁটি কথা বলেছেন- নারী/পুরুষ হওয়ার থেকে মানুষ হওযাটাই জরুরী। । এটাই আমরা নারীরা বুঝিনা
এখন হইতো সেভাবে প্রয়োজন নেই।তবে, এই দিবসের সূচনাকালে এর প্রয়োজন ছিল বলেই মনে হয়।
দিবস পালনে করে লাভ নাই। সুচনা কালেও দিবস পালনে কেঊ সচেতন হয়েছে বলে আমার মনে হয় না। আমরা মেয়েরা আমাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন নই। আমরা আসলে কারো অধিনস্ত থাকতে চাই। আমরা চিন্তা করি সারাজীবন একজন পুরুষ আমাদের দায়ভার বহন করবে। আমরা আমাদের নিজেরদের জন্যই এত পিছিয়ে আছি।
লীনা আপা, আপনার লেখা আমি আগ্রহ নিয়ে ফলো করি, কিন্তু এই লেখাটার সাথে তীব্রভাবে দ্বিমত পোষন করছি। দিবসের গুরুত্ব আছে, এটা শুধু একদিনের গর্ব করার জন্য না, বরং এই দিবসে সকলে একসাথে হয়ে নারীকে মূল্যায়ন করাটা ভীষন দরকার, এবং সারা বছর বা সারা জীবন তা অব্যাহত রাখাও দরকার। আপত্তি থাকলে যেকোন দিবসে নিয়েই থাকা উচিত, সেটা বিজয় দিবস, মে দিবস, আন্তর্জাতিক ভাষা দিবস, বা কারো জন্মদিবস হোক না কেন। আমরা তো প্রতিদিনই স্বাধীন, তাইলে আর স্বাধীনতা দিবসই বা কেন?
ভেবে দেখুন, রাস্তায় বের হলে একটা মেয়ের গায়ে ধাক্কা দিতে বাধেনা পুরুষের, অথবা বাধেনা প্রেম প্রত্যাখ্যাত হলে এসিড ছুঁড়ে মুখ ক্ষতবিক্ষত করে দিতে, অথবা চাকরিক্ষেত্রে "উনি তো বুকের ভাঁজ দেখায়ে প্রমোশন পাইসেন" বলে নারীর যোগ্যতাকে শুধু শারিরিক পর্যায়ে নিয়ে আসতে। কেন করতে পারে পুরুষ এই কাজগুলো, নারী পারেননা? কারন পুরুষ মনে করেন নারী তার থেকে ছোট, দুর্বল, এবং তাকে হেয় করা সম্ভব। নারীও তাইই মনে করেন। আমি আমার পরিচিত অনেককে বলতে শুনেছি, মেয়েকে যে কাপড় পড়াইসে ছেলেরা তো কথা বলবেই। যেন আমার মেয়ে কি কাপড় পরবে না পরবে সেটা নির্ধারন করবে গলির মোড়ের ফাইজু। কখনো বলতে উল্টাটা বলতে শুনেছেন? ছেলেদের কাপড় বিষয়ক? মনেহয় না।
দিবসের মাধ্যমে যদি ১০ জনেরও সচেতনতা তৈরী হয়ে তাও খারাপ না।
নারী অধিকার দিবসের প্রয়োজনীয়তার আলোচনা শেষ পর্যন্ত নারীর শরীরের নিরাপত্তা বলয়ের বাইরে যেতে পারছে না, যৌনাঙ্গের আশেপাশে ঘুরতে থাকা এইসব দিবসে নারীর শরীরে নারীর অধিকার বিষয়টিই মুখ্য।
একটি নির্দিষ্ট সমাজে এক ধরণের পোশাক সংস্কৃতি বিদ্যমান এবং সমাজের গড়পরতা মানুষ যারা এত বেশী হাল ফ্যাশনের নয়, তারা নিজেরা যেমন অন্য কোনো পোশাক সংস্কৃতি অনুসরণ করে না, আশা করে তার আশেপাশের সবাই ঠিক সেই পোশাক সংস্কৃতিই অনুসরণ করবে।
আকাশ সংস্কৃতির যুগে অবশ্য পোশাক সংস্কৃতিতে তেমন একরৈখিকতা নেই, কর্পোরেট সংস্কৃতির প্রভাবে নারীর কর্মক্ষেত্রের পোশাক আর ঘরোয়া পোশাকের ভেতরে এক ধরণের ব্যবধান তৈরি হয়েছে, কিন্তু প্রতিটি সমাজেই পরিস্থিতির ভিন্নতা অনুসারে পোশাক বাছাইয়ের প্রচলন আছে, বাংলাদেশে হয়তো এখনও পোশাক সংস্কৃতিতে সে বিবর্তন আসে নি যে জিন্স টি শার্টে মানুষ অভ্যস্ত হয়ে উঠবে। ছেলেদের ট্রাউজার-টিশার্ট এখন চোখসওয়া হয়েছে শহরে, কিন্তু পোশাক সংস্কৃতিতে অভ্যস্ততা আনতে একটি বিশেষ দিবস পালন করবার যৌক্তিকতা কতটুকু?
শরীর ছোঁয়াছুয়ির বিষয়ে কি পুরুষের অভ্যস্ততা আছে , মানে ভীড় বাসে অন্য পুরুষের চাপ খেতে কি পুরুষের আনন্দ হয়? কিংবা ভীড় রাস্তায় কোনো নারীর ধাক্কা খেলে কি পুরুষ আনন্দিত হয়? যৌনাঙ্গ শরীরের যে অংশটুকুতে আছে সেখানে থাকাটাই বাঞ্ছনীয়, আপনি যদি সেটাকে সমস্ত শরীরে নিয়ে চলে আসেন, ভাবনায় যদি মনে হয় অনাকাঙ্খিত প্রতিটি ছোঁয়াই আদতে আপনার যৌনস্পর্শ্বকাতর স্থান ছোঁয়ার ব্যাকুলতা, সমস্যাটা আপনার মননে, আপনার মননও সেক্ষেত্রে পরিশীলিত হওয়া প্রয়োজন। বাংলাদেশের রাস্তায় শরীরে স্পর্শ্ব মানেই যৌননির্যাতন, অন্য কোনো দেশে, অন্য কোনো শহরে সেটা ভীড়ের চাপে হঠাৎ লেগে যাওয়া ধাক্কা মানসিকতা এক ধরণের স্বেচ্ছা নির্বাচন, সেখানে বাংলাদেশের পুরুষদের যৌনকাতর এবং অন্য কোনো দেশের পুরুষদের যৌনব্রহ্মচারী ভাববার মানসিকতাও হতে পারে।
আপনি আপনার মাথা থেকে সতীত্ব, বিশুদ্ধতা, এই সব বোধ ঝাড়তে পারছেন না, আপনি সেইসব বিশুদ্ধতা বজায় রেখে চাইছেন নারী অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে?
যদিও সকল শাররীক নির্যাতনই যৌন নির্যাতনের মর্যাদা পাচ্ছে না এরপরও কর্মক্ষেত্রে যৌনহয়রানি বিষয়টা নারীরা উল্লেখ করতে পারে। অফিসে একজন বস যদি তার অধস্তন পুরুষ কর্মচারীকে থাপ্পর মারে তাহলে সেটা নিছক অপমান কিন্তু সেটা কোনো নারী কর্মচারীকে করলে যৌননির্যাতন- এই যে নির্বাচনমূলক মানসিকতা এটাতে নারী অধিকারের চেয়ে যৌনকাতর বিচারবিবেচনা বেশী প্রাধান্য পায়। আপনি যদি গৃহকর্মী নির্যাতনকে যৌননিপীড়নের অবস্থানে না দেখেন কিংবা তা ভাবতে না পারেন তাহলে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি একই সাথে শ্রেণীসচেতন, আপনি বেশ সংকীর্ণ এক ধরণের মানসিকতা নিয়ে নারীর অধিকার বিষয়ে নিজের ভাবনাটা দেখছেন।
ধন্যবাদ রাসেল
তোমার অনেক ক থার যুক্তি আছে আবার এও ঠিক যে পুরুষরা মেয়েদের শুধুই একটি নজরে দেখতেই পছন্দ করে। সুযোগ সন্ধানী পুরুষ যেখানেই যে ভাবে সুযোগ পাক না কেন তারা মেয়েদেরকে যৌনহয়রানি করে তাকে মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত করতে চায় যেন মেয়েটি এ সমাজে মাথা চাড়া দিয়ে জেগে উঠতে না পারে । কিন্তু মেয়েদের উচিত তাদের মন মানসিকতা পালটানো। এ সব যৌনহয়রানি গায়ে না মেখে আত্নমর্যাদা নিয়ে এগিয়ে চলা। , মেয়েরা এ সব গায়ে মাখে দেখেই বা নিরবে সহ্য করে দেখেই যুগে যুগে মেয়েরা পুরুষের যৌনহয়রানির শিকার। ।
আমাদের দেশের অধিকাংশ নারীরা এখনও কিছু ভাবে না, তারা জেগে ঘুমায়। তাই তারা এতবেশি নির্যাতিত , অবহেলিত । একজন নারী নির্যাতিত হ্য় কারণ সে পুরুষের উপর নির্ভরশীল। আত্মনির্ভরশীল হলে আর নারীদের এই নির্যাতনের শিকার হতে হবে না। নিজেদের অধিকার নিজেরাই প্রতিষ্ঠা করতে পারবে।, সর্বাপরি মানুষ হিসাবে স্বিকৃতি পাবে
শর্মি এই লেখাটার সাথে তীব্রভাবে দ্বিমত পোষন করতেই পারো কিন্তু তুমি একটা মেয়ে হয়ে যদি এরকম ভাব সেটা সত্যি দুঃখজনক ।
দিবস পালন নিয়ে আমার অসুবিধা নাই। দিবস পালনের ভালো দিক আছে, কিন্তু শুধু নারী দিবস পালনে আমার দ্বিমত আছে । পুরুষ দিবস পালন হয় না তাহলে শুধু নারী দিবস পালন হবে কেন?
একজন নারী পুরুষের উপর নির্ভরশীল তাই তার আর নিজেকে নিয়ে সচেতনতা বাড়েনা। এই দিনটি পালন করা হয় নারীর মাঝে সেই সচেতনতা বাড়াতে,
নিজেদের অধিকার নিজেদেরই নিয়ে নিতে হবে এটা যারা না বোঝে, তাদের কি আর দিবস পালন করে সেই সচেতনতা বাড়ানো যাবে।!
আপনি বাইরে বেরুলে অনেক কথাই আপনাকে শুনতে হবে, কারণ আমাদের এই পুরুষতান্ত্রীক সমাজে তারা অনেক পেছনে পড়ে গেছে , পুরুষ তাদের এইভাবেই দেখতে চায়।।। তার মানে এই নয় যে এই পুরুষতান্ত্রীক সমাজকে সচেতন করার জন্য বিশেষভাবে আপনাকে একটা দিন পালন করতে হবে।। ।
আমরা যতদিন না নিজের পায়ে দাড়াবো আর নিজেদেরকে দুর্বল না ভাববো ততদিন কোন সচেতনতায় কাজ হবে না, দিবস পালন করে শুধু নিজেকে ছোট করা হয় আর কিছু হয় না
”তিনি পুরুষ” কিংবা ”এটা পুরুষতান্ত্রীক সমাজ” এই কথাগুলো বলে প্রথমেই একটা সুবিধা নেওয়ার প্রশ্ন চলে আসে। এক্ষেত্রে “ মানুষ ”নামক শব্দচয়নে পুরু বিষয়টাকেই একটা কেমোফ্লেজ দেওয়ারও চেষ্টা আছে। লক্ষ্য করুন, আমাকে ”পুরুষ” বলেই যেনবা অন্যজন নারী হয়ে যাচ্ছেন। তেমনি “নারী” বলে হয়ে যাচ্ছেন পুরুষ। কর্মসুবাদে নারী অধিকার নিয়ে প্রচুর কাজ করার সুযোগ হয়েছে এবং তফাৎ টাও আমার কাছে স্পষ্ট। আমি নারী দিবসের সাথেই আছি, আছি অন্যান্য দিবসেও নারীদের সাথেই যথাযথ ভাগাভাগিতে। আছি, প্রয়োজনে হাঁটু পানিতে নেমে গলা পানিতে নিমজ্জমান (পিছিয়ে পড়া নারীদের জন্য বলছি) কাউকে তুলে আনতে। কিংবা গলা পানিতে থেকে কারো বাড়িয়ে দেযা হাত ধরে উঠে আসতে। এই বিষয়গুলো আসলে অনেকটা নারী দিবসের মতই প্রতীকি। শুধু অনুরোধ, পুরুষদের নিয়ে দ্রুত কিছু বলে ফেলাটা খুব অন্যায়। যে প্রশ্নটা আমি সবসময় করি, ‘”আমরা যারা নারী অধিকার নিয়ে কাজ করি বা নারীর ক্ষমতায়ন এর লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রশিক্ষন প্রদান করি, তারা নিজেরা কতটুকু দক্ষ বা নিরপেক্ষ ? “” “আমাদের ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক জীবনের অভিজ্ঞতা কি প্রশিক্ষণ প্রদানে কোন প্রভাব ফেলে না? “ আমরা কি কিছু ভুল শিখাচ্ছি?“।গ্রামের পিছিয়ে পড়া মেয়েরা অনেক কিছুর বিবেচনাতেই আমাদের অনুসরন করেন। সামাজিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় সবকিছুতেই, এমনকি ভাবনা চিন্তায় পরিবর্তন কি জরুরী নয়? অমার অভিজ্ঞতা বলে, এই যায়গাটাতে হাত দেওয়ার প্রয়োজন আছে। কমলা ভাসিনের জেন্ডার অথবা নারীর ক্ষমতায়নের সংগা শুধু পড়লেই বা পড়ালেই এর ব্যবহার নিশ্চিত হয় না , এগুলো নিজের ব্যক্তিগত জীবনে প্রয়োগেরও প্রয়োজন আছে।
একটা ঘটনা বলছি ( অভিজ্ঞতা থেকে), ”কোন এক জেলায় পারিবারিক নির্যাতন বিষয়ক একটা অভিযোগ বক্স খোলা হয়েছিল বছর দুয়েক আগে, উদ্দেশ্য ছিল ঘরে ঘরে যে সমস্ত নির্যাতন হয় তার একটা প্রাথমিক ধারনা পাওয়া, দিনশেষে দেখা গেল যত অভিযোগ এসেছে তার ৮০ ভাগ যুক্তিসংগত অভিযোগ করেছে পুরুষেরা। যথারীতি উদ্যোক্তাদের চোখ কপালে এবং নারী অধিকার নিয়ে কাজ করা ঐ সংগঠনটি এখন সক্রিয়ভাবেই ভাবছে একটা ”পুরুষ সেল” খোলার জন্য”।
কাউকে কাউকে বলতে দেখেছি বিশেষতঃ নারীদের , ”পুরুষ আর মানুষ বোধয় আলাদা প্রজাতি।, হয়তো কেউ নারী বলেই এই কথাটা সহজে বলতে পারছেন। রুমানার ঘটনাটা যদি উল্টে যেত (যদি সে তার স্বামীর নাক কামড়ে দিত!),তাহলে নিশ্চয়ই নারীরা নারী বলেই তাকে সমর্থন দিতেন না। খুব বেশীদিন আগের কথা নয়, পত্রিকায় পড়েছিলাম, স্ত্রী তার প্রেমিকের সাথে ষড়যন্ত্র করে নিজের বাচ্চাকে মেরে ফেলেছিল। কি ভয়াবহ!!
আসলে যেকোন পরিবর্তন শুরুই হয় ঘর থেকে। আসুন অমরা সবাই হয়ে উঠি প্রতিবাদী সকল সুস্থতা ও সত্যের পক্ষে।
ভাল থাকবেন।
(এখানে উল্লেখিত কোন কিছুই ব্যক্তিগত আক্রমন নয়)
আমাদের ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক জীবনের অভিজ্ঞতা কি প্রশিক্ষণ প্রদানে কোন প্রভাব ফেলে না? “ আমরা কি কিছু ভুল শিখাচ্ছি ----- আমাদের ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক শিক্ষা গোড়া থেকেই ভুল
আমরা নারীরা যদি নিজেদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন না হই , কিভাবে আত্মমর্যাদা বাড়বে সে বিষয়ে সজাগ না হই তবে যে কোন পরিবর্তনে কোন কাজ হবে না।, নারীরা তাদের ব্যক্তিগত স্বত্তা নিয়ে সজাগ না হলে শুধু দিবস পালনে লাভ হবে না
আপনার সাথে আমিও বলি আসুন অমরা সবাই হয়ে উঠি প্রতিবাদী সকল সুস্থতা ও সত্যের পক্ষে।।
যে কোন "দিবস" কেন পালন করা হয়, আমার মনে হয় সেইটা আমরা বুঝে উঠতে পারছি না...
~
দিবস পালন নিয়ে আমার কোন অসুবিধা নাই। । দিবস পালনের ভালো দিক আছে, কিন্তূ শুধু নারী দিবস পালনে আমার দ্বিমত আছে ।।
শুধু নারী দিবস পালন কেন পুরূষদের জন্য একটা দিবস পালন হোক তবে
অন্ততঃ ৬০টি দেশে "আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস" পালন করা হয় প্রতি বছর ১৯শে নভেম্বর।
~
বাহ ! অদ্ভুত কথা শুনালেন শুনে খুব ভাল লাগল
তা সেদিন কি কি হয়, মানে কিভাবে দিনটি পালিত হয়
এমন দিন নিশ্চই আসবে যেদিন এসব দিবসের প্রয়োজন হবে না
এখনো নেই মাসুম ভাই, এই দিবসের কোন প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না ।
মন্তব্য করুন