দুর্ভোগ আর লাশ নিভর্র রাজনীতি
গত ১১ অক্টোবর, সিরাজগঞ্জের সায়দাবাদে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জনসভাস্থলের কাছে গতকাল দুর্ঘটনায় বিএনপি'র ৫ কর্মী ট্রেনের চাকায় কাটা পড়ে নিহত হয়। এ ঘটনায় জন্য খালেদা দায়ী করলেন সরকারকে। সরকার নাকি, ইচ্ছেকৃত ভাবে এদুর্ঘটনা ঘটিয়েছে। পুলিশের ট্রাক হলে না হয়, অভিযোগটি মানা যেত। ট্রেন চলেছে তার নিজস্ব পথ দিয়ে, চালক তো আর সমাবেশ স্থলের উপর ট্রেনটি উঠিয়ে দেয়নি। বরং তার দলীয় কর্মীরাই বাধা সৃষ্টির জন্য রেল লাইনের উপর জড়ো হয়েছিল। তার পরও চালক ট্রেনটি থামিয়েছিল। সবাই জানে, একটি ট্রেন হঠাৎ করে থামানো যায় না। তাই খালেদার মতো একজন বিজ্ঞ নেত্রীর মুখে এধরনের অভিযোগ সত্যি হাস্যকর।
দলের চেয়ে দেশ বড় যে দলের শ্লোগান, সেই দলের নেত্রী দেখলেন, দলের বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীদের দ্বারা কোটি কোটি টাকার সম্পদ অগ্নিসংযোগ আর ভাঙচুর। যাত্রীদের মালামাল লুট, মহিলা ও শিশুদের লাঞ্চিত করার ঘটনা। দেশনেত্রী কি একটিবারের জন্য ভেবেছিলেন, দুর পথের শত শত যাত্রীর অসহায়ত্বের কথা।
জনগণের দুর্ভোগ আর লাশ নিভর্র রাজনীতি থেকে আমরা কি বেরিয়ে আসতে পারবো না?
-মমিনুল ইসলাম লিটন।
১৩-১০-১০
খালেদা জিয়া বিজ্ঞ নেত্রী!!
সিরাজগঞ্জ থেকে হেমায়েতপুর বেশী দুর না...
হ ... খা-লেদা কয় হাছিণার দোষ ।
আজকে শুনি হাছিণা কয় যমুনা রিসোর্টে বইসা খা-লেদা এই আকামটা ঘটাইছে।
আর ভোদাই থাইকেন না , এইবার একটু চালাক হন ভায়েরা আমার ... আসেন আমরা হয় খা-লেদা অথবা হাছিণার কথায় নাচি।
লেখকদের কাছে সামান্য একটু অভিযোগ আছে কারন লেখাটি অসম্পূর্ন। তাড়াহুড়ো ছিলো কি? আপনি শুধু এক পক্ষকে নিয়ে লিখেছেন অপর পক্ষ কি বলছেন তা কিন্তু লিখেননি। সেটাও আসা দরকার, কারন তুলসীপাতা কেউ নন।
বাস দুর্ঘটনার কথাটাও আসা দরকার ছিল। একটা বাস তুলতে তিন দিন লাগলো, দেশের টেকনোলোজীর অবস্থা ভাবলে গা শিউরিয়ে ওঠে। একটা ভূমিকম্প হলে কি হবে কে জানে?
লেখাটার আয়তন আরো বাড়তে পারতো। রাজনৈতিক নেতাদের বক্তব্যে কোনো নূতনত্ব নেই। আদি এবং অকৃত্রিম!
ট্রেনে কাটা পড়েছে মানুষ, ট্রেনে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে, স্বজনদের আকুলি-বিকুলি কান্না, বাতাসে হাহাকার...এসব উঠে আসতে পারতো লেখায়।
লিটন, মনে হলো খুব তাড়াহুড়ো করে লিখেছেন। আরো বড় লেখা, বেশি বেশি লিখুন।
রশীদা আফরোজ- ধন্যবাদ আপনার সুচিন্তিত মতামতের জন্য। চুপচাপ স্বভাবের মানুষ ভাই, লেখাতেও এর প্রভাব স্পষ্ট, কি করবো বলুন।
ট্রেন নিয়া দুই নেত্রীর জ্ঞান দেইখা ব্যাক্কল হইয়া যাওয়ার দশা
লিটন ,আপনার মতো অরাজনৈতিক লোক রাজনীতি নিয়ে মাথা ঘামাচেছন দেখে ভাল লাগলো।তবে মূদ্রার ওপর পিঠের কথা কিন্তু আপনি বলেননি। আপনার কাছে এমন একপেশে মন্তব্য আশা করিনা....।তানবীরা....খুব ভাল বলেছেন আপনি।রশীদা...তাড়াহুড়োর কারণে নয়,ওনি আসলে দলপ্রীতির উর্ধ্বে উঠতে পারেননি...।বিষাক্ত মানুষ,খুব সুন্দর মন্তব্য করেছেন।
ঈশান মাহমুদ, সত্যেকে অনেক সময় একপেশেই হয়। আর যাদের বাড়ীর দেয়ালে স্বাধীনতার ঘোষক জিয়া মার্কা ছবি শোভা পায় – তাদের কাছে এমন মনে হবেই। ঈশান অতিথি নয়,এখানে ঢুকে পড়ুন স্থায়ী ভাবে।
লিটন,আমার বাড়ীর দেয়ালে কার ছবি থাকবে না থাকবে…সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবো আমি, এ ব্যপারে অন্য কারো মাথাব্যথা থাকা ঠিকনা।সব কিছু চলে গেছে ‘নষ্টদের দখলে’।অন্তত…আমার বাড়ীর দেয়ালটা আমার দখলে থাকুক।
এই লেখাটা একপাক্ষিক হয়ে গিয়েছে।
সাগরে নিম্নচাপ হলেও এখন দুই নেত্রী একে অন্যকে দায়ী করবেন
রাজনীতি নিয়ে আলোচনা ভালা পাইনা ভাইটি। যে দেশের রাজৈনিক নেতা-নেত্রীরা, দায়িত্ব-কতর্ব্যের সাথে রাজনীতি মিশাইয়া ঘুটা দেয় সেদেশে এহেন ঘটনা কী খুবই আচানক কিছু?

শুধু সাধারণ জনগণের দুর্ভোগের কথা জেনে দুঃখপাই- কষ্ট পাই, কারণ আমরা সেই শ্রেণীভুক্ত। এতো লোকে মান অভিমান করে 'অমুক ছেড়ে দিলাম, তমুক মুখো আর জীবনেও হবোনা' কইতারেন। আমাদের রাজনৈতিক নেতারা এরাম ছ্যাচ্চোড় রাগে অভিমানে এইটাও কইতারেন না
@লিটন:আমার বাড়ীর দেয়ালে কার ছবি থাকবে না থাকবে…সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবো আমি, এ ব্যপারে অন্য কারো মাথাব্যথা থাকা ঠিকনা।সব কিছু চলে গেছে ‘নষ্টদের দখলে’।অন্তত…আমার বাড়ীর দেয়ালটা আমার দখলে থাকুক।
ঈশান এদেশের কেউই নিরপেক্ষ অবস্থান থেকে কথা বলে না। কেউ সত্য কেউবা মিথ্যা, কেউ আলো কেউ অন্ধকারের পক্ষ নিয়ে কথা বলে। আপনিতো এদেরই একজন।
মন্তব্য করুন