হেফাজতে ইসলাম
১.
হেফাজতে ইসলাম কি ফরহাদ মজহার/শফিক রেহমানদের ব্রেইনচাইল্ড? হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।।
তারা এদের খানা-পিনা, ওজুর পানির বন্দোবস্ত করার জন্য সরকারকে উপদেশ দিয়েছেন।।
দেশের "তৌহিদি জনতা" ফ্রন্ট এতদিন দুইটা বিষয়ের অভাবে ভুগছিলো:
(১) অরাজনৈতিক চেহারার প্লাটফর্ম (জামাত বা ঐক্যজোট তাদের মূল অবলম্বন ছিলো)
(২)পশ বা সুশীল ইমেজ
(এরা শ'খানেক লোক এক হয়ে মিছিল করলেও সেটা কেন জানি জঙ্গি হয়ে পড়ে। জ্বালাও-পোড়াও, ধরো-মারো ছাড়া এরা আন্দোলন করতে পারেনা। অপনেন্ট ফ্রন্টের মিডিয়া তো আর ছাড় দেবেনা, তাইনা?)
হেফাজতে ইসলাম আপাতদৃষ্টিতে এই দুটো সংকট কাটিয়ে দাঁড়িয়ে গেছে। যদিও শুরুতে তারা ৩১৩ জনের বদর স্কোয়াডের নামে খুব লম্ফঝম্ফ করেছিলো, এখন ওটা নিয়ে টুঁ শব্দও করছেনা। তারা জঙ্গি ইমেজকে ওভাররাইড করে "শান্তিপ্রিয়" হিসাবে আবির্ভুত হতে প্রাণপণ।
যা ভেবে অবাক হই, এই আইডিয়া এতদিন তৌহিদি জনতার মাথায় আসেনাই কেন?
সম্ভবত বার্ডস-আই-ভিউ থেকে না দেখলে অনেক সময় আসল দূর্বলতাগুলো চোখে পড়েনা।। নাস্তিক মজহার/রেহমানকে সেজন্য হলেও তাদের দরকার ছিলো।
২.
হেফাজতে ইসলামকে ঘাঁটাতে চাচ্ছেনা সরকার। তাদের অবস্থান স্পষ্ট, নো মোর ঝামেলা। তাছাড়া ব্যবসায়ীদেরও চাপ আছে; আফটার অল, নির্বাচনে টাকা লাগে।।
মজার ব্যাপার হলো, হেফাজতের কাছে সরকারের এই নতজানু অবস্থান দেখে বিএনপি-জামাতের খুশির সীমা নেই। তারা ভাবছে, হেফাজতের কাঁধে ভর করে আর একটু নাড়া দিলেই সরকার পতন হয়ে যাবে।
কিন্তু আমার ধারনা, ৬ তারিখের লংমার্চের পর হেফাজত কার্যতঃ নিষ্ক্রিয় হোয়ে যাবে
মূল কারণ, এরপর তারা কি করবে?
সরকার সম্ভবত ডিভাইড-এন্ড-কনকোয়ার পদ্ধতি এ্যাপ্লাই করবে বা করেছে, মুফতি শফির যে দু-চার-দশ-পনেরো জন হাত রয়েছেন, তাদের কয়েকজনকে এর মধ্যেই কব্জা করে ফেলার কথা।
লংমার্চ পরবর্তী কর্মসুচী নিয়ে হেফাজতের মাথাদের মধ্যে মতানৈক্য হবে, ঝামেলা হবে, এটা মোটামুটি আঁচ করা যায়।।
৩.
সমস্যা একটাই, লংমার্চে খুনোখুনি হলে। বিশেষ করে পুলিশের গুলিতে মানুষ মারা গেলে।
জামাতের আন্দোলনে শ'দেড়েক মানুষ মেরে সরকার পার পেয়ে গেছে শুধু মিডিয়ার নিরন্তর সহযোগিতা আর জামাতের তান্ডবকে সম্বল করে (সাধারন ক্ষেত্রে, পুলিশ বাহিনী দিনে দুপুরে ওপেন ফায়ার করে শ'খানেক, কেন বিশজন মানুষ মারলেও সরকারের ক্ষমতায় টিকে থাকার কথা না)
হেফাজতের বেলা সম্ভবত সেভাবে মানুষ মারাটা কঠিন হবে।
হেফাজতের সাথে থাকা বিএনপি-জামাত এইসব সমীকরণ ভালোই বুঝে। তারা চাইবে পুলিশকে চরমভাবে উস্কানি দিতে, যাতে গুলি ছুঁড়ে।, দুচারজন মরে।
গত কয়েকমাসে ওপেনফায়ারে মজা পেয়ে যাওয়া পুলিশবাহিনি এক্ষেত্রে কতটুকু সংযমের পরিচয় দিতে পারে, সেটাই সম্ভবত নিকট ভবিষ্যতে দেখার বিষয়গুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড়
সম্ভবত বার্ডস-আই-ভিউ থেকে না দেখলে অনেক সময় আসল দূর্বলতাগুলো চোখে পড়েনা।। নাস্তিক মজহার/রেহমানকে সেজন্য হলেও তাদের দরকার ছিলো।
সম্ভবত সরকার হেফাজতকে ভালো ভাবেই হ্যান্ডেল করছে। এখন সরকারের প্রধান কাজ হলো হেফাজতকে দলীয় করা
... সরকার যেই চাল্লু... এটাতেও বেশীদিন লাগবে বলে মনে হয় না
তবে মে পর্যন্ত সরকার একটু সাবধানেই থাকবে বলে মনে হয়
ওহ ভালো কথা... হেফাজত কিন্তু সরকারের কথা রাখছে
.. খিয়াল কৈরা
যেইভাবে পুলিশ মরতেছে তার চাইতে দুই চাইরটা হেফাজতই মরুক পুলিশের গুলিতে
মন্তব্য করুন