তবুও আঁখিজলে হলুদ স্বপ্ন
শুনেছি কেউ কারো পিছু নিলে ভিকটিম বিষয়টি বুঝতে পারে এবং বুঝেও না বোঝার ভান করে থাকে।কেউ কোনদিন আমার পিছু নিয়েছিল কিনা মনে করতে পারছিনা,তবে এই মুহূর্তে যে কেউ আমার পিছু নিয়েছে সেটা বুঝতে পারছি।লোকটা বেশ লম্বা,পেছনে না ঘুরেও সেটা বোঝা যাচ্ছে।এখন পড়ন্ত দুপুর,সূর্য পশ্চিম আকাশে ঢলে পড়তে শুরু করেছে,আর আমি হাঁটছি পূর্ব দিকে।আমাকে ফলো করা লোকটা নিজেকে অনেক দূরে সরিয়ে রাখার চেষ্টা করলেও একটু পর পর আমার পাশে তার ছায়া এসে পড়ছে।পরক্ষণেই সীমাহীন ব্যস্ততায় ছায়াটি নিজেকে সরিয়ে নিচ্ছে।
আমি এখন মহাখালী-গুলশান লিঙ্ক রোডে।আমার ফলোয়ারের অস্তিত্ব বেশ কিছুক্ষণ হল টের পাচ্ছিনা।এই সুযোগে ওয়্যারলেস ব্রীজ পাড় হয়ে ডানের গলিতে ঢুকে পড়লাম।গলির মুখে একটা নার্সারি।সেই নার্সারির সংগ্রহশালা ভেতরেও অনেকখানি জায়গা দখল করে রেখেছে।এই গলিতে আগে কখনো এসেছি বলে মনে হয়না।গলির একপাশে লেক আর অন্যপাশে উঁচু দেয়াল।লেকের পাড়ে সারি সারি গাছ,অক্সিজেনের পর্যাপ্ততা আছে।গলিতে লোকজন নেই বললেই চলে।আমি পেছনে ঘুরে দেখলাম কেউ আসছে কিনা,কেউ নেই।আমি নির্জন গলির পথ ধরে এগুতে থাকলাম।গলির শেষ প্রান্ত খোলা আছে কিনা জানিনা।না থাকলেও কোন সমস্যা নেই,শেষ প্রান্তে গিয়ে আবার ফিরে আসা যাবে।হাঁটাহাঁটি করাই যার কাজ,তার কাছে এটা কোন ব্যাপার না।তাছাড়া আমার ফলোয়ার সাহেব যদি আমার অপেক্ষায় গলির মুখে দাঁড়িয়েও থাকেন,তারও বিরক্ত হয়ে চলে যাবার কথা।
কিছুদূর এগিয়ে একজন চা ওয়ালাকে দেখলাম বিরস মুখে এক ফ্লাস্ক চা আর কয়েক প্যাকেট সিগারেট নিয়ে বসে আছে।আমি একটা সিগারেট কিনে ধরালাম।লোকটি এমনভাবে তাকিয়ে রইল যেন আমি তাকে বিরক্ত করেছি।আমি সিগারেট টানতে টানতে এগুচ্ছি।হঠাৎ পেছন থেকে একজন ক্লান্ত স্বরে বলল,‘এক্সকিউস মি ব্রাদার!আপনি কি একটু আপনার ডানপাশে ঘুরে তাকাবেন?’
আমি ডানপাশে না তাকয়ে পেছনে তাকালাম।২৪-২৫ বছরের একজন যুবক দাঁড়িয়ে আছে।বেশ লম্বা,সুঠাম দেহ।চুল মিলিটারি স্টাইলে কাটা।পরনে হালকা সবুজ শার্টে তাকে বড়ই বেমানান লাগছে।এর কারণ তার প্যান্টের গাঢ় নীল রঙ।আমার সন্দেহ লোকটি মিলিটারি সদস্য।এই ধরনের লোকদের ইনফরমাল পোশাক সেন্স কম থাকে।তাছাড়া লোকটির চেহারায় একটা রবোটিক ভাব আছে।লোকটি আবার বলল,‘ব্রাদার কি গাছে লাগানো কাগজটি পড়ে দেখেছেন?’
আমি এবার লেকের পাড়ের গাছের দিকে তাকালাম।লেমিনেটিং করা কাগজে সেখানে লেখা,
“এই রাস্তায় সাইকেল চালানো নিষেদ,
ধূমপান করা নিষেদ,
গাছে হাত দিবেন না।
-আদেশক্রমে কত্রীপক্ষ।”
আমি কত্রীপক্ষের আদেশ অগ্রাহ্য করে সিগারেটে লম্বা টান দিয়ে সামনে এগুতে থাকলাম।লোকটি আমার পিছে পিছে আসতে লাগলেন।আমার আচরণে উনার ক্ষিপ্ত হবার কথা,কিন্তু তিনি অত্যন্ত নম্রভাবে বললেন,‘আপনি কি বুঝতে পারছেন আপনি কর্তৃপক্ষের আদেশ অমান্য করছেন?’
আমি গম্ভির গলায় বললাম,‘কর্তৃপক্ষের আদেশে ব্যাকারণের ভুল আছে।সুতরাং ইহা জনসাধারণের কাছে বোধগম্য না।’
‘আপনি বিনা কারণে কথা ঘোরাচ্ছেন’
‘কাজটা আপনি করছেন।দয়া করে ঝেড়ে কাশুন’
‘মানে?’
‘গত কয়েক ঘণ্টা যাবৎ আপনি আমাকে ফলো করছেন।এর কারণটা কি জানতে পারি?’
লোকটি দাঁড়িয়ে পড়ল,তার সাথে আমিও।ওনার চেহারার বিস্মিত ভাবটা আলাদা করা যাচ্ছে।প্রকৃতির হাজারটা আনন্দের একটি হল বিস্মিত মানুষের মুখদর্শন।আমি সেই আনন্দ উপভোগ করতে লাগলাম।
লোকটি ঝেড়ে কাশতে শুরু করল।তবে কথাগুলো আমার বিশ্বাস হল না।
‘রাতভর আপনার পথে পথে হাঁটাহাঁটি করা সন্দেহজনক।তাই আমাকে রাখাহয়েছে আপনার সম্পর্কে জানার জন্য।গত কয়েকদিন ধরেই আমি আপনার পিছে পিছে ঘুরছি এবং আপনার অদ্ভুত কর্মকাণ্ড দেখে বিরক্ত হচ্ছি।দেশের অবস্থা ভালোনা,জঙ্গী বাহিনীতে গিজগিজ করছে।এই অবস্থায় আমাকে আপনার মত একজন কুলাঙ্গারের পিছে পিছে ঘুরতে হচ্ছে।’
‘আপনি কোন ফোর্স থেকে এসেছেন?’
আমার প্রশ্ন শুনে লোকটি থতমত খেয়ে গেলেন,তবে আগের মত বিস্মিত হলেন না।
‘ডিজিএফআই’
‘আপনার আই ডি কার্ড টা কি একটু দেখতে পারি?’
লোকটি মনে হল এবার একটু রেগে গেলেন,তবে চেহারায় তা প্রকাশ করলেন না।আমি উত্তরের অপেক্ষা না করেই বললাম,‘আপনিই তো বললেন দেশে জঙ্গী বাহিনী গিজগিজ করছে।আপনি যদি তাদেরই একজন হন?ডিজিএফআই পরিচয় দিয়ে আমার পকেটে রিমোট কন্ট্রোল ছোট্ট নিউক্লিয়ার বোমা ঢুকিয়ে দেবেন,তারপর আমাকে ফলো করতে থাকবেন।আমি আনমনা মানুষ,কিছুই টের পাবোনা।গভির রাতে কোনদিন প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের আশেপাশে গেলেই রিমোটের লাল বাটনে চাপ দেবেন।আমার সাথে প্রধানমন্ত্রীও উড়ে যাবেন,সাথে ঢাকা শহরের অর্ধেকটা।’
‘আপনি আমার সাথে রসিকতা করছেন।আমি রসিকতা পছন্দ করিনা।’
‘দুঃখিত,আর করবনা।’
‘আচ্ছা,আপনার নামটা কি জানতে পারি?’
‘আপনি আমার সম্পর্কে অনেক তথ্য জোগাড় করেছেন।এর মধ্যে আমার নামটা জোগাড় হয়নি সেটা বিশ্বাস করতে পারলাম না।’
‘আসলে নামটা বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়নি,তাই আপনার মুখেই শুনতে চাচ্ছিলাম।’
‘আমার নাম হিমালয়,সংক্ষেপে হিমু ডাকতে পারেন।’
লোকটি উদাস ভঙ্গিতে আকাশের দিকে তাকিয়ে বললেন,‘আমি সোলায়মান।’
তাকে অবাক করে দিয়ে আমি বললাম,‘কাজী মোহাম্মদ সোলায়মান।’
সোলায়মান সাহেবের বিস্ময় সীমা ছাড়িয়ে গেল।আমি আপন মনে বললাম,‘আপনার নামের মত আপনার চুলগুলোও যদি বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুলের মত হত!’
নির্জন রাস্তায় আমরা নীরবে হাঁটছি।কর্তৃপক্ষের আদেশ অমান্য করে সোলায়মান সাহেব সিগারেট ধরিয়েছেন।গলির শেষপ্রান্ত দেখা যাচ্ছে।সেখানে গাঢ় নীল রঙের পাজেরো দাঁড়ানো,এই রঙের পাজেরো অনেকদিন দেখিনা।আমি সোলায়মান সাহেবকে বললাম,‘ডিজিএফআই এর ইলাবরেশনটা আপনার জানা আছে?’
সোলায়মান সাহেব চুপ করে রইলেন।ইলাবরেশনটা তিনি জানেন বলে মনে হচ্ছেনা।
আমাকে গাড়িতে তুলে দিয়ে সোলায়মান সাহেব আবার গলির ভেতর ঢুকে পড়লেন।এই গলির সন্দেহজনক পথচারীদের গাঢ় নীল রঙের পাজেরোতে তুলে দেয়াই মনেহয় তার কাজ।
গাড়িতে এসি চলছে,আমি সিটে গা এলিয়ে বসে পড়লাম।চিন্তা করছি এখন একটা সিগারেট খেতে পারলে খুব ভাল হত,ঠিক তখনই ড্রাইভারের সিটে বসে থাকা লোকটা বলল,‘আপনার পাশে সিগারেট আর লাইটার আছে,চাইলে ধরাতে পারেন।’
লক্ষ্য করলাম লোকটা সেনাবাহিনীর পোশাক পরা,ঘারের র্যাঙ্ক ব্যাচ আর পোশাকের রঙ বলে দিচ্ছে ইনি সদ্য কমিশনপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন।তার মুখে বিরক্তির ছাপ।সোলায়মান সাহেব বিদায় নেয়ার সময় তাকে স্যালুট দেননি বলে তিনি রেগে আছেন,চিন্তা করছেন এই লোকটাকে কী শাস্তি দেয়া যায়।নতুন জয়েন করা অফিসারদের মধ্যে এই প্রবণতাটা বেশি,তারা নিম্নপদস্থদের স্যালুট পাবার জন্য মুখিয়ে থাকে।তাছাড়া একজন অফিসার হয়েও তাকে একটা রাস্তার লোককে নিয়ে গাড়ি চালাতে হচ্ছে এটাও তার বিরক্তির কারণ হতে পারে।
আমি সিগারেট ধরিয়ে বললাম,‘ফাহিম সাহেব,আমার জানা মতে ডিজিএফআই এর কাজ আপনাদের নিজেদের মধ্যে স্পাইগিরি করা।সাধারণ মানুষ বা সন্ত্রাসীদের সন্দেহ করার কাজ র্যাব,পুলিশ বা ডিবির।আমি কি ঠিক বলেছি?’
ক্যাপ্টেন ফাহিম এতে বেশ বিরক্ত হলেন,তার নামের আগে পদবী উল্লেখ করা হয়নি।কাজটা অবশ্য আমি ইচ্ছা করেই করেছি।তিনি চেহারার বিরক্তি কাটানোর চেষ্টা না করেই বললেন,‘বেশি জ্ঞান কপচাবেন না,জ্ঞানী মানুষ আমার পছন্দ না।’
গাড়ি নিকেতন দুই নম্বর গেট দিয়ে বের হয়ে হাতিরঝিলে ঢুকে পড়ল,আমি হাতিরঝিলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে করতে ঘুমিয়ে পড়লাম।
আমার সামনের টেবিলে এক প্যাকেট সিগারেট আর একটা জিপ্পো রাখা।জিপ্পোর গায়ে লেখা ‘SMOKING KILLS’,অথচ সিগারেটের প্যাকেটের গায়ে লেখা 'ধূমপানের কারণে স্ট্রোক হয়' দেয়ালে উচ্চপদস্থ নৌ কর্মকর্তার ছবি।তাঁর সামনেও একই ব্র্যান্ডের প্যাকেট রাখা।এই প্যাকেটে লেখা 'ধূমপান মৃত্যু ঘটায়', কি আশ্চর্য!
ছবির নৌ কর্মকর্তা আমার সামনে বসা,ছবির সাথে তাঁর আসল চেহারার তেমন কোন মিল খুঁজে পেলাম না।তবে তিনি যে নৌ বাহিনীর লোক সেটা বোঝা যাচ্ছে তাঁর শার্টের বুক পকেটে আঁকা অ্যাংকর দেখে।মিনিট পাঁচেক হল তিনি আমার সামনে এসে বসেছেন,এখনও একটা কথাও বলেননি।বাহিনীর লোকদের মধ্যে সবাইকে পর্যবেক্ষণ করার অভ্যাস আছে।কিন্তু তিনি আমার দিকে একবারও তাকাননি, তিনি তাকিয়ে আছেন অন্য দিকে।
‘হিমু সাহেব,আমার সামনে সিগারেট ধরাতে সংকোচবোধ করবেন না। চা খাবেন?’
‘জ্বি,খাব।’
‘তারপর,আপনার হাঁটাহাঁটি কেমন চলছে?’
‘ভালোই চলছিল,তবে আপনাদের অত্যাচারে আজ সকাল থেকে তেমন হাঁটা হয়নি। রাতের মধ্যে ছাড়া পেলে পুষিয়ে নেয়া যাবে।’
‘আপনাকে বিরক্ত করার জন্য আমি দুঃখিত। আপনাকে যে এখানে আমার ব্যাক্তিগত প্রয়োজনে নিয়ে আসা হয়েছে সেটা কি বুঝতে পারছেন?’
‘জ্বি,পারছি’
‘আপনার তা বোঝার কথা না।কিভাবে বুঝলেন জানতে পারি?’
‘আপনি চাইলে আপনাকে বোঝাতে পারি।তবে...’
‘তবে কি?’
‘আপনার বড় ছেলে ক্যাপ্টেন ফাহিম আমাকে বেশি জ্ঞান কপচাতে মানা করেছেন। জ্ঞানী মানুষ তার পছন্দ না।আমার ধারণা এই অপছন্দের ব্যাপারটা উনি আপনার কাছ থেকে পেয়েছেন।’
‘হুম। আপনি তাহলে নিজেকে অনেক জ্ঞানী মনে করেন?’
‘সবসময় মনে করিনা,তবে এখন মনে করছি।’
নৌ কর্মকর্তা কিছু বলতে গিয়ে থেমে গেলেন।আমার সামনে দুইটা সিঙ্গারা আর এক কাপ চা দেয়া হল। আমি একটা সিগারেট ধরিয়ে চায়ের কাপে চুমুক দিলাম।
‘চায়ে চিনি ঠিক আছে?’
‘জ্বি,ঠিক আছে।’
‘আমার ছোট ছেলে ফিরোজ,গত চার মাস ধরে ওকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা। শুনেছি গভির রাতে ও রাস্তায় হাঁটাহাঁটি করে।দিনের বেলা ওকে আর পাওয়া যায়না। আপনার সাথেও নাকি ওকে দেখা গেছে।’
‘আমার কাজ ওনাকে খুঁজে বের করা?’
‘ঠিক ধরেছেন।’
‘আপনার কি মনে হয়না কাজটা আমার চেয়ে আপনার করা সহজ?’
‘হিমু সাহব,আমার নিজের চোখের পানির লাইসেন্স আমার কাছে নেই।কিন্তু অন্যের চোখের পানি দেখার লাইসেন্সটা ঠিকই আছে।আপনি কি বুঝতে পারছেন আমি কত বড় ঝামেলার মধ্যে আছি?’
‘জ্বি,বুঝতে পারছি।’
‘আপনি কি আমার ওয়াইফের সাথে একটু কথা বলবেন?’
‘ওনাকে বলবেন রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়তে,সকাল সকাল উঠতে হবে।’
‘কত রাত যে ও ঘুমায় না!’
‘আজ ঘুমাবেন’
‘আপনি চাইলে এখন আসতে পারেন।যেখানে যেতে চান,আমার বড় ছেলে আপনাকে নামিয়ে দেবে।’
‘স্যার,আপনার ছেলেকে খুঁজে দেয়ার বিনিময়ে আমি কিছু আশা করতে পারি?’
‘আমার ছেলে ফিরে আসলেই সেটা দেখব।’
‘সোলায়মান সাহেবের মা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।উনার চিকিৎসার জন্য মোটা অংকের টাকা দরকার। কথাটা সোলায়মান সাহেব কাউকে বলতে পারছেন না।’
‘মিস্টার হিমালয়,সোলায়মান কথাটা কাউকে বলতে পারছেনা,অথচ আপনাকে বলল?’
‘প্রত্যেকটা মানুষের যাবতীয় দুশ্চিন্তার কথা তার চোখে লেখা থাকে।এই লেখা সবাই পড়তে পারেনা,কেউ কেউ পারে।’
‘আপনার ধারণা এই লেখা আপনি পড়তে পারেন?’
‘জ্বি’
উত্তরা থেকে পরীবাগ যাওয়ার পথে ক্যাপ্টেন ফাহিমের সাথে আমার কোন কথা হল না।আমি গাড়ির কালো জানালা দিয়ে পূর্ণিমা উপভোগ করতে থাকলাম,সুযোগটা ভবিষ্যতে আর নাও পেতে পারি।গাড়ি থেকে নামার সময় ফাহিম সাহেব আমাকে সিগারেটের প্যাকেটটা দিয়ে দিলেন। উনি গাঢ় সবুজ রঙের একটা পাঞ্জাবী পরেছেন,গলায় সোনার চেইন।ওনাকে ঠিক ফিরোজের মত লাগছে। তবে ফিরোজের এই পাঞ্জাবীতে সেদিন রক্তের দাগটা ছিলনা।
আমি জ্যোৎস্না সিক্ত পথে নেমে পড়লাম, জানিনা এই বৃষ্টিতে নিজেকে কতক্ষণ সিক্ত করতে পারব।
ভালতো হিমু লেখা শুরু করুন। হিমু সিরিজ। ভাল লিখেছেন।
আমার অসাধারণ ভাল লেগেছে, কীপ ইট আপ
ধন্যবাদ সবাইকে।।
হিমু সিরিজ লেখার যোগ্যতা কি সবার থাকে??এই ক্ষুদ্র যোগ্যতায় যা হয়েছে আর কি!!
মন্তব্য করুন