জামায়াত-শিবিরের প্রতিষ্ঠান: আসুন চিনে রাখি ও বয়কট করি
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা সরকারের রাজনৈতিক ও নৈতিক দায়িত্ব। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে অনেক তরুণ ভোটারকে আকৃষ্ট করে ক্ষমতায় এসেছে। মাঝে অনেকেই এ নিয়ে হতাশ ছিলেন। এখন বিষয়টি আবার আলোচনার কেন্দ্রে চলে এসেছে। আমরা আবার আশায় বুক বেঁধেছি।
আশা করছি সরকার তার নিজের কাজটি করবেন। সাধারণ নাগরিক হিসেবে আমাদের কাজ সরকারকে প্রতিশ্রুতির কথা মনে করিয়ে দেওয়া, চাপ অব্যাহত রাখা। একইসঙ্গে সাধারণ এবং সচেতন নাগরিক হিসেবে আমাদের আরও একটি দায়িত্ব আছে। আমাদের চারপাশে নানা ভাবে বেড়ে উঠছে জামায়াত-শিবিরের অসংখ্য প্রতিষ্ঠান। আপনার গলির মোড়ের যে ছোট্ট মুদি দোকানটি, সেটি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে জামাতীদের অর্থে পরিচালিত। সংগ্রাম এসব দোকানে আপনি অবশ্যই পাবেন। আপনি কি বাসার কাছে বলে এই দোকানটির উপরই ভরসা করেন। নিজের অজান্তেই কে মৌলবাদী ও স্বাধীনতা বিরোধীতের হৃষ্টপুষ্ট হতে দিচ্ছেন না? টাকা আয় করে তারা কি কেবল সংসার চালায়, নাকি আরও বড় কোনো নাশকতা বা পরিকল্পনায় শক্তি সঞ্চয় করে। আপনার ভাই বা সন্তান কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাচ্ছে। কি শিখছে সেখানে। একবার খোঁজ নিয়ে দেখেছেন?
মৌলবাদীদের অর্থনীতি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। অধ্যাপক আবুল বারকাত এ নিয়ে ২০০৫ সালে একটি গবেষণা করেছিলেন। বিষয় ছিল: মৌলবাদের রাজনৈতিক-অর্থনীতি। সেখানে তিনি বলেছেন,
মৌলবাদীদের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির হার সাড়ে ৭ থেকে ৯ ভাগ। তারা প্রতি বছর প্রায় ৩০০ কোটি টাকা ব্যয় করে শুধু রাজনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনা করতে। এর মধ্যে, জঙ্গি কর্মকান্ড ছাড়াও সাংগঠনিক কর্মকান্ড পরিচালনা ব্যয়, রাজনৈতিক কর্মীদের বেতন, জনসভা আয়োজন ও অস্ত্র প্রশিক্ষণ।
তাদের ১ হাজার ৫শ কোটি টাকা মুনাফার ২৭ শতাংশ আসে বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে যার মধ্যে রয়েছে, ব্যাংক, বীমা ও লিজিং কোম্পানি। ২০ দশমিক ৮ শতাংশ আসে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা থেকে, ১০ দশমিক ৮ ভাগ আসে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান থেকে। ১০ দশমিক ৪ ভাগ আসে ওষুধ শিল্প ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারসহ স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান থেকে। ৯.২ শতাংশ আসে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে। ৮.৩ শতাংশ আসে রিয়েল এস্টেট ব্যবসা থেকে। যোগাযোগ ব্যবসা থেকে আসে ৭.৫ শতাংশ এবং তথ্য প্রযুক্তি ও সংবাদ মাধ্যম থেকে আসে ৫.৮ শতাংশ।
তাহলে আমাদের দায়িত্ব কি? আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে জামায়াত শিবিরের ব্যবসায়ীক ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে বয়কট করা, যাতে এসব প্রতিষ্ঠান আরও ফুলে ফেঁপে বড় হতে না পারে।
১. ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড: এটিই জামায়াতের সবচেয়ে বড় এবং লাভজনক সংগঠন। ধর্মের নাম ব্যবহার করে ব্যবসা করে তারা। এই ব্যাংকটির মূল কাজ হচ্ছে জামাত-শিবির যারা করে তাদের ঋণসহ নানা ধরণের আর্থিক সুবিধা দেওয়া। এখানে যারা চাকরি করেন তারাও পরীক্ষিত জামায়াত কর্মী।
তাহলে আসুন দেখি ইসলামি ব্যাংক কারা চালায়। ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান এখন অধ্যাপক আবু নাসের মোহাম্মদ আবদুজ জাহের। । একাত্তরের ঘাতক দালাল কে কোথায় বইটিতে আছে ৭১-এ তার ভূমিকার বিবরণ।
এই লোকটি একজন কুখ্যাত রাজাকার-আলবদর। ৭১ সে ছিল আল বদর হাইকমান্ডের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। সে ছিল চট্টগ্রাম জেলা প্রধান।
এই ব্যাংকের আরেক পরিচালক ছিলেন মোহাম্মদ ইউনুস। এখন মৃত। সেও ছিল আল বদর হাইকমান্ড-এর একজন সদস্য। সে আবার জামাতের মজলিসে সূরার সদস্য ছিল। আরেক পরিচালক ছিল মীর কাশেম আলী। মীর কাশেম আলী প্রথমে চট্টগ্রাম জেলা প্রধান। পরে আল বদর হাই কমান্ডের তিন নম্বর সদস্য হিসাবে স্থান লাভ করে। আর তার স্থানে আসে আবু নাসের মোহাম্মদ আবদুজ জাহের। মীর কাশেম আলী নয়া দিগন্ত পত্রিকা ও টেলিভিশনের চেয়ারম্যান। সেও একসময় মহানগর জামায়াতের আমীর ছিল। বলা যায় মীর কাশেম আলি জামায়াতের অর্থ ভান্ডার ও রক্ষক।
২. ইবনে সিনা ট্রাস্ট- জামাতের ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান। এখান থেকে আয়ের বড় অংশ আসে। এই ট্রাস্টের নামে আছে ইবনে সিনা হাসপাতাল, ইবনে সিনা ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ইবনে সিনা ফার্মাসহ ৬টি প্রতিষ্ঠান। কর্মীদের লালন-পালন করার আরেকটি বড় উদ্যোগ এই ট্রাস্ট। ট্রাষ্টিদের নামগুলো জেনে নেই-
01. Mr. Advocate Mujibur Rahman, Chairman
02. Commodore (Retd.) Md. Ataur Rahman, Member, Ex-chairman TCB
03. Dr. Shamsuddin Ahmed, Member, Professor, International University of Technology
04. Mr. Shah Abdul Hannan, Member, Ex. Secretary. Govt. of Bangladesh
05. Mr. A.N.M.A. Zaher, Member Finance, Chairman, Islami Bank
06. Mr. Mir Quasem Ali, Member Administration
07. Prof. Chowdhury Mahmood Hasan, Member, Professor. Dhaka University.
08. Prof. A.K.M. Sadrul Islam, Member, Professor, International University of Technology.
09. Mr. Nazir Ahmed, Member, Ex-Chairman, Islami Bank
10. Mr. Kazi Harun Al Rashid, Member, Ex-Chairman, Islami Bank
৩. দৈনিক নয়া দিগন্ত, দিগন্ত টেলিভিশন ও সংগ্রাম: তাদের দলীয় পত্রিকা ও টেলিভিশণ মাধ্যম। এর মাধ্যমে তারা সাধারণ মানুষের মধ্যে যেতে চাচ্ছে। বিশেষ করে সংগ্রামের কোনো ধরণের জনপ্রিয়তা বা গ্রহনযোগ্যতা না থাকায় তারা নয়া দিগন্ত পত্রিকা বের করে এবং দিগন্ত টেলিভিশন চালু করে।
৪. বেসরকারি শিক্ষা বিশ্ববিদ্যালয়: জামায়াতের অনেকগুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে। যেমন চট্টগ্রামের ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি, ঢাকার মানারত বিশ্ববিদ্যালয়, সাঈদীর বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। এর বাইরে আরও অনেক বিশ্ববিদ্যালয় আছে, যেগুলোর মুল বা সিংহভাগ মালিক জামাতীরা। যেমন, নর্দান ইউনিভার্সিটি ও ইষ্টার্ণ ইউনিভার্সিটি।
৫. কোচিং সেন্টার: বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য ‘ফোকাস’, মেডিকেলে ভর্তির জন্য ‘রেটিনা’, ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তির জন্য ‘কনক্রিট’, ‘কনসেপ্ট’ ও ‘এক্সিলেন্ট’ কোচিং সেন্টারগুলো মূলত জামায়াত-শিবিরের বিভিন্ন ফাউন্ডেশনের নামে প্রতিষ্ঠিত ও পরিচালিত। এসব কোচিং সেন্টার আবার প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গেও জড়িত।
৬. ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান: মীর কাশেম আলরি কেয়ারি গ্রুপ রিয়েল এস্টেটের সঙ্গে জড়িত। সেন্টমার্টিন যেতে যে কেয়ারি সিন্দবাদ নামের ফেরি জাহাজ আছে, সেটিও মীর কাশেম আলীর।
আবুল কাশেম হায়দার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিবিরের নেতা ছিলেন। তার ইয়ুথ গ্রুপ থেকে তৈরি হতো ভার্জিন ড্রিংকস। মেট্রো শপিং সেন্টারের মালিকও জামাতী।
রিয়েল এস্টেট মিশন গ্রুপও জামাতীদের।
এখানে সব নাম দেওয়া গেলো না। এটি আপডেট করা যেতে পারে। আপনারাও বলতে পারেন এরকম আরও নাম।
(বলে রাখা ভাল, বহু আগে সামুতে অন্য নামে এরকম একটি পোস্ট দিয়েছিলাম। এটি সেই পোস্টের সম্প্রসারণ। আরও নতুন তথ্য দেওয়া হয়েছে।)
বান্ধায়া রাখনের মতো একটা পোস্ট দিছেন। জামাত শিবিরকে সামাজিক এবং আর্থিকভাবে একঘরে করার সময় এসেছে।
শেয়ার দিতেছি
আপনার আরও নাম জানা থাকলে যোগ করেন।
sabik socheton hote hobe...eta eka karo dayetto na...jamat din din sakshali hocche...eta kichutai ar bar te dea jabe na..era dhormo k bormo hisabe use kore tara tader kaj kore cholche..ar sorkar nirbikar....1 bar amak khomota daw..dekho ami ki kori..Se amar Vi, bon jai hok na keno tar nistar nai.....
তথ্যবহুল পোস্ট ......... অনেক কিছুই জানতামনা
মাসুম ভাইকে ধন্যবাদ
আপনিও জানলে তথ্য দিন
বস প্রথমে অসাধারণ একটা পোস্টের জন্য অভিবাদন। ফেসবুকে শেয়ার করছি। এইবার কিছু তথ্য যোগ করি :
সাকসেস নামে একটা কোচিং সেন্টার আছে শিবিরের। পাশাপাশি গ্রীন ইউনিভার্সিটি নামে একটা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় আছে যাদের ক্যাম্পাস আগে ছিলো ফার্মগেট এখন বোধহয় মীরপুর। মেডিনোভার বিরুদ্ধেও অভিযোগ এইখানে জামাতি ছাড়া রিক্রুট হয় না।
এগুলো সম্পর্কে জানি আর এসব প্রতিষ্ঠানের সাথে কোন লেন দেন ও নাই আমার। তবে আরো খোঁজ নেয়া লাগবে এর বাইরে আর কি কি প্রতিষ্ঠান আছে তাদের।
আমার ধারনা আরো অনেক প্রতিষ্ঠান হয়েছে গত জোট সরকারের আমলে , যা এখনও আমাদের ধরা ছোয়ার বাইরে।
আমারও ধারণা এরকম অনেক প্রতিষ্ঠান আছে। ওরা অর্থনিতিকে অনেক গুরুত্ব দেয়। আর বিদেশ থেকে একসময প্রচুর অর্থও পেয়েছে।
আরো আপডেট দিয়েন মাসুম ভাই ......... উপকারী পোষ্ট।
সবাই আপডেট দেন, তাহলে আরও বেশি তথ্য জানা যাবে।
আরো অনেক প্রতিষ্টান আছে!লিস্টি করে শেষ করা যাবে না!
চেষ্টা চলুক
বাস সার্ভিসের মধ্যে সালসাবিল, আবাবিল, অনাবিল নাকি জামাতের...
দুলাভাইয়ের দেখি আমাগো এলাকার বেবাক বাস সার্ভিসের নাম মুখস্ত! কি দুলাভাই, আজকাল করেন কি!
ভাই, এই সিরিয়াস পোষ্টে কি ফান না করলে নয় !!
সাঈদ ভাই, সরি।
দারুন পোস্ট.।.।
কিছু সপিং মল এবং মার্কেট মনে হয় আছে তাদের।
বিষেশ করে জামাত-শিবিরের প্রকাশিত বইগুলো মার্কেট থেকে ব্যান করতে হব। মওদুদীর, সাঈদীর, আরো যত জঙ্গী উস্কানীমূলক বই আছে।
গুড জব। প্রিয়তে।
নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান> ইসলামিক ফাইন্যান্স এন্ড ইনভেস্টম্যান্ট লিমিটেড।
ইন্সুরেন্স কোম্পানী> ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স কো. লি., ইসলামী ইন্সুরেন্স কো. লি.
হাসপাতাল> ইসলামী ব্যাংক হসপিটাল
আপাতত এইগুলাই মনে আসছে পরে আরো যোগ করবো।
আহা, এইগুলার কথা লিখতে ভুলে গেছিলাম। আপনাকে ধইন্যা।
সবার আগে ইসলামী ব্যাংক কে আটকানো দরকার। এই ব্যাংক ভন্ডামী করে বিপুল জনপ্রিয়তা পেয়েছে। আমজনতা এখানে টাকা রাখে কিন্ত লোন পায় স্রেফ জামাতীরা। এভাবে করে জামাতীদের রুট লেভেলে ক্ষু্দ্র ব্যবসা থেকে শুরু করে বড় শিল্পও দাড়িয়ে যাচ্ছে। এই ব্যাংকের সার্ভিস অনেক খারাপ। কিন্তু এদের অনেক শাখা। এমন সব জায়গায় শাখা, যেখানে হয়ত সোনালী পুবালী অগ্রনী ছাড়া আর কিছু নাই, তাই এরা একচেটিয়া ব্যবসা করে। আমাদের শহরেও তাই ছিল কদিন আগেও। এখন প্রাইম ব্যংক আমাদের শহরে আসায় এরা প্রচুর কাষ্টমার হারিয়েছে।
ইবনে সিনা, ইসলামী ব্যংক হসপিটালকে বয়কট করা কঠিন কাজ। মানুষ যখন অসুস্থ হয় তখন আত্মীয় স্বজনদের মাথায় একটাই চিন্তা থাকে, সুচিকিতসা। তাই দেখা যায় যাদের স্কয়ার, এপেলো তে যাবার মত ওত পয়সা নেই, কিন্তু প্রাইভেটে যাবার মত পয়সা আছে, তারা ইবনে সিনা, ইসলামীতেই যান,কেননা এরা রোগীদের ঝামেলা করে না, চিকিতসা ভাল, এই টেষ্ট সেই টেষ্ট নিয়ে টাকাও খসায় না। এইসব হসপিটালের বিজনেস আটকাতে হলে এই মানের কটা বেসরকারী হাসপাতাল বিকল্প রাখতে হবে।
ওদের ধাপগুলো দেখেন। শুরু ব্যাংক দিয়ে। আর এর উপর ভিত্তি করে ওরা সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে স্বাস্থ্য ও শিক্ষাকে। কারণ এর মাধ্যমে সহজে মানুষের মধ্যে যাওয়া যায়।
you are wrong

বাংলাদেশ ব্যাংকের পাশে ইসলামী ব্যাংকের নামে বিশাল জায়গা পড়ে আছে, সেখানে ইসলামী ব্যাংকের গাড়ী গুলো পার্ক করে রাখে।
আমার অফিসের কাজে কিছুদিন , প্রায় ৯ মাস বাংলাদেশে ব্যাংকে গিয়ে কাজ করতে হয়েছে । তখন দেখেছি তাদের এই জমি। সেখানেই দেখি বাংলাদেশ সাহিত্য কেন্দ্র নামে ২ টা ভ্রাম্যমান লাইব্রেরীর গাড়ী রাখা।
পরে অন্য একদিন বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে বের হতেই দেখি ঐ ভ্রাম্যমান লাইব্রেরী সামনে দিয়ে যাচ্ছে, খুব ভালো করে খেয়াল করলাম এবং নিশ্চিন্ত হলাম এইটা জামাতি গো লাইব্রেরী।
আসুন এই লাইব্রেরী কেও প্রতিরোধ করি । হাতের কাছে পাইলে এই লাইব্রেরী ভাঙ্গা সওয়াবের কাজ।
বলেন কি!!! বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের অনুকরণে এরা বাংলাদেশ সাহিত্য কেন্দ্র নাম দিয়ে মোবাইল লাইব্রেরী চালু করেছে? নাকি বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের গাড়িই দেখেছেন?
না ভাই , বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র না । ঐখানে ভ্রাম্যমান লাইব্রেরী দেখে তো অবাক হইছিলাম প্রথমে , আমিও ভাবছিলাম বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের গাড়ী কী না ।
তাই পরে খুটিয়ে খুটিয়ে দেখেছি। মতিঝিল গেলে আপনারাও দেখতে পারবেন - বাংলাদেশ সাহিত্য কেন্দ্র নামে ভ্রাম্যমান পাইব্রেরী।
মতিউর রহমান মল্লিক আর সাইমুম সিরিজ দিয়ে ভর্তি করা গাড়ী নিশ্চই। এইশপ ছাইপাস গিলিয়ে মানুষের ব্রেইন ওয়াশ করার তালে আছে।
বাংলাদেশ সাহিত্য কেন্দ্র?? এইটা তো জানতাম না। ধন্যবাদ তথ্যটা দেওয়ার জন্য।
কিশোর কন্ঠ নামে একটা শিশু কিশোর পত্রিকা বের করত এরা জানতাম। এই পত্রিকার মাধ্যমে অনেকের মাথা খেয়েছে। আমার নিজের দুই সহপাঠী বন্ধু কিশোরকন্ঠ পড়ে পড়ে, এর বিক্রী করার এজেন্ট হয়ে পড়ে শিবির এ ঢুকে আস্তে আস্তে থানা সেক্রেটারী হয়ে গেছে। কি রকম ভয়ংকর প্রডাকশন প্রসেস। রুট লেভেল থেকেই আটকাতে হবে। না হলে সর্বনাস!
এই সময়টা সবচেয়ে খারাপ। এই সময়ে অনেকেই শিবিরের খপ্পরে পড়ে। এ কারণেই সচেতনতা বাড়াতে হবে।
আমার ইসলামী ব্যাংক এ একটা একাউন্ট আছে। আর টাকা পাঠালেও ইসলামী ব্যাংক এ পাঠাতে হয়। কারন দ্রুত টাকা পৌছানোর আর কোন উপায় নেই। সোনালী ব্যাংক বা জনতা ব্যাংক এ টাকা পাঠালে টাকা উঠাতে ঘুষ লাগে।
আসল কথা হলো পাবলিক কে যদি এই সব থেকে সরাতে হয় তাইলে এই টাইপের সার্ভিসের নতুন কোন কিছু চালু করতে হবে। তা ছারা আর কোন উপায় নেই পাবলিককে এই সব সার্ভিস থেকে বিরত রাখার।
পরিস্থিতি মনে অনেক পাল্টে গেছে। আপনি ট্রাই করেন। সোনালী বা জনতার কে ঘুষ চায় নামটা খালি দিয়েন। দেখেন কি হয়
নাজিরুল ভাই, পরিস্থিতি আসলেই পাল্টেছে। হুন্ডির সেই যুগ এখন আর নাই। বিদেশ থেকে টাকা লেনদেনে এখন সবচেয়ে স্লো মনে হয় ইসলামী ব্যাংক। সবচেয়ে কম খরচে সবচেয়ে দ্রুত সোনালী ব্যাংকে হয়। আর যদি কেউ মানিগ্রাম বা ওয়েষ্টার্ন ইউনিয়নে পাঠায় তাহলে তো বেসরকারী অন্য ব্যাংক গুলো আরও দ্রুত করে। তবে ব্যাংক লিংকে টাকা পাঠালে যতই চাপাচাপি করেন টাকা প্রথমে সোনালী ব্যাংকের লোকাল ব্রান্চে আসবে।
মোদ্দা কথা ইসলামী ব্যাংকের কোন যুক্তি নাই।
ইসলামী ব্যাংকের কাষ্টমার সার্ভিসের মত জঘন্য সার্ভিস কোথাও নাই। এই ব্যাংক প্রতিদিন আর কাষ্টমার হারাচ্ছে। হারাবে।
মানিগ্রাম ভাঙ্গাইতে গেছিলাম একবার ইসলামী ব্যাঙ্কে। অদ্ভুত অভিজ্ঞতা, এত নন প্রফেশনাল এটিচুড তাদের কিভাবে ব্যবসা করে সেটাই বুঝলাম না
অত্যন্ত প্রয়োজনীয় পোষ্ট। ফেসবুকে শেয়ার করলাম। আরো প্রতিষ্ঠানের নাম দেবার চেষ্টা করছি এই পোষ্টে।
জামাতের সবচেয়ে বড় অবকাঠামোগত বিনিয়োগ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং হাসপাতাল। কিন্ডারগার্টেন থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কোচিং সেন্টারে ভরপুর। এই দুই ধরনের প্রতিষ্ঠান প্রচুর বিদেশী সাহায্য পেয়ে থাকে। এবং এই প্রতিষ্ঠানগুলো দিয়ে এরা সরকারকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিতে পারে। হিযবুত তাহরীরের লোকবলের যোগান ও এখান থেকে হয়ে থাকে। তাছাড়া অন্যন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে তো আছেই। ইদানীং যুক্ত হয়েছে রিয়েল স্টেট বিজনেস। এই খাতেও বড় বিনিয়োগ আছে।
এইটা ডাইরেক্ট প্রিয়তে, বস...
নিজে অন্তত বন্ধ করি এদের সাথে লেনদেন, পরে বাকীদের....অনেক ধন্যবাদ।
কিভাবে আটকাবেন?
)
১। রেটিনা ছাড়া মেডিক্যাল কোচিং কেউ ভাবতে পারেনা! এখন ছাত্রলীগ দিয়ে রেটিনা মানের কোচিং শুরু করা দরকার। ফোকাসের মত একটাও লাগবে। ঢাকা মেডিক্যালের ছাত্রলীগ আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগকে অবিলম্বে কোচিং সেবা শুরু করার আহবান জানাচ্ছি। (পারবেতো ওরা? আমার টেনশন হয় .... তবু ওরাই ভরসা এই জাতির
২। সুদ হারাম। সুদের কাছে যেতেও মানা করা হয়েছে। ইসলামী শরিয়াহ অনুযায়ী ব্যাঙ্ক ব্যাবস্থা সারাবিশ্বে অনেক দেশে চালু হয়েছে। বাংলাদেশে শুরু করেছে ইসলামী ব্যাঙ্ক। কিভাবে তাদের আটকাবেন? অবিলম্বে দেশের প্রধান প্রধান অর্থনীতিবীদ, যেমন আবুল বারাকাত, দেবপ্রিয় ভট্যাচার্য, ওনাদেরকে ইসলামী অর্থনীতির উপর বেইস করে ব্যাঙ্ক শুরু করতে বলেন।
এস আর্লি এস পসিবল।
৩। ইসলামী ব্যাঙ্ক হসপিটালে, ইবনে সিনাতে খুব কম খরচে উন্নত সেবা দেয় দেখে মধ্যবিত্ত , নিম্নমধ্যবিত্ত রা যাচ্ছে। এখন আওয়ামী লীগ কে যেটা করতে হবে, তাদেরচেও কম খরচে তাদের চেও উন্নত সেবা দিয়ে আট দশ টা হাসপাতাল চালু করতে হবে। সেখানে ভালো ব্যাবহার দিয়ে রোগীদের আকৃষ্ট করতে হবে (টাফ জব, আই নো ... )... অপারেশন টেবিলে দা , কিরিচ আবার যেন উঠে না যায়, ওগুলো লুকিয়ে রাখলেই বেটার!
৪। স্থানীয় মুদী দোকান গুলোর ব্যাপারে বেশী কিছু করার দরকার নেই। জাস্ট সদলবলে যুবলীগকে বলেন ভেঙ্গে দিয়ে আসতে। ল্যাঠা চুকে গেলো ! সেখানে জনকন্ঠ আর প্রথম আলোর স্টল বসিয়ে দিলেই হলো!
৫। কেয়ারী সিনবাদের ব্যাপারে সমাধানঃ লোক ভাড়া করতে হবে। যে একদিন গভীর রাতে ফুটা করে দিয়ে আসবে জাহাজটা। পরদিন কয়েকশ যাত্রী নিয়ে কেয়ারী সিনবাদ নাফ নদীতে ডুবে যাবে !!! অনেক অনেক মানুষ মারা গেলে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা যাবে। মানুষ ভয়ের চোটে আর যাবেনা! কয়েকশ মানুষের মৃত্যুর বিনিময়েও যদি জামাতিদের আটকানো যায়, মন্দ কি??? কিছু পেতে কিছুতো দিতে হয়!
৬। দিগন্ত টেলিভিশন আর পেপারঃ ওদের আটকানোর জন্য একটাই উপায়। বাকি চ্যানেল গুলোকে আরো আকর্ষনীয় আর খোলামেলা হতে হবে। প্রেসেন্টার দের আরো আকর্ষনীয় ভাবে উপস্থাপন করা যেতে পারে। নাচ গানের অনুষ্ঠান বাড়ানো যেতে পারে। লাইকঃ ধুম তা না না!
আরো বেশী বেশী সুন্দরী প্রতযোগিতার আয়োজন করলে, স্টাইল এন্ড ফ্যাশান বিষয়ক প্রোগ্রাম বাড়ালে, মিলা বা তিশমাদের সারাক্ষন পর্দায় দেখালে মানুষ দিগন্ত টিভি ওপেন করার সময় পাবেনা !!!! সিরিয়ালের সংখ্যাও বাড়াতেই হবে!
৭। ওদের পত্রিকা যাতে কিশোরদের হাতে না যায়, সে জন্য ভোগ এর মত জোস জোস ম্যাগাযিন বের করতে হবে! সেগুলোর কিশোর সংস্করণ ও থাকবে! ব্যাস। আর কি লাগে? কে পড়বে তখন ওদের ছাইপাশ ম্যাগাযিন গুলো!??? কেউ না !!! কেউ না !!!
কোনটা কি বাদ পড়ে গেল??? বাদ পরে গেলে আওয়ায দেন। সমাধান আমাদের হাতেই , কেবল বাস্তবায়নের জন্য অপেক্ষা ... ...
সব কিছু ছাত্রলীগ/যুবলীগের হাতে ছাড়বেন ক্যান? এই দেশটা তো আমাদের সবার। আপনি কিছু উদ্যোগ নেন.. আমি কিছু নেই.. এইভাবে সাধারণ মানুষের হাত ধরে প্রতিরোধটা তৈরী হোক
২। সুদ হারাম। সুদের কাছে যেতেও মানা করা হয়েছে। ইসলামী শরিয়াহ অনুযায়ী ব্যাঙ্ক ব্যাবস্থা সারাবিশ্বে অনেক দেশে চালু হয়েছে। বাংলাদেশে শুরু করেছে ইসলামী ব্যাঙ্ক। কিভাবে তাদের আটকাবেন? অবিলম্বে দেশের প্রধান প্রধান অর্থনীতিবীদ, যেমন আবুল বারাকাত, দেবপ্রিয় ভট্যাচার্য, ওনাদেরকে ইসলামী অর্থনীতির উপর বেইস করে ব্যাঙ্ক শুরু করতে বলেন
--------------------------------
ব্যাংক চালু করা অর্থনীতিবিদ দের কাজ না । আর আপনি যাদের নাম উল্লেখ করেছেন তারা ইসলামী ইকনমিক্সের নীতিতে বিশ্বাস ও করেন না ।
টুটুল, উপরের কমেন্ট খেয়াল করে দেখো উনি কি কি উদ্যোগ নিতে বলছে।ছাত্রলীগ/ যুবলীগকে দিয়ে অরাজকতা তৈরীর কথাই বললেন।প্রতিরোধ গড়তে বলেন নি ।
সমসাময়ীক ঘটনায় সে বিরক্ত... সেই খেদ থেকেই এই কমেন্টসের উৎপত্তি...
হুমম। হতে পারে।
জয়িতাপু , স্যরি বলতে হচ্ছে , কিন্তু ঘটনা হোলো অনেকের কাছেই জামায়াতের বিরুদ্ধে কিছু বলা মানেই আপনি ছাত্রলীগের গুন্ডামি চান । ইভেন বাকশাল ।
এই চিন্তাধারাটাও কম ভয়ংকর না !
পর্যবেক্ষন সঠিক ।
এখন না হয় নানা কারণে রাষ্ট্র এদের নিষ্ক্রিয় করতে সচেষ্ট হয়েছে। শেষ কি হবে জানি না। কিন্তু এসব ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান রাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতা পেয়েছে। বিএনপি ক্ষমতায় থাকলে পৃষ্ঠপোষকতা বহুগুন বাড়ে। আবার ধরেন, ইসলামি ব্যাংককে লাভজনক করে দিয়ে গেছেন লুৎফর রহমান সরকার। তিনি আবার গত আওয়ামী লীগের সময় গভর্ণর হয়েছিলেন। সুতরাং হতাশ কেউ হলে তাকে দোষ দেওয়া যায় না।
একমত। সিনিক্যাল কথাবার্তা।
আপ্নের ১।, ৩।, ৪। এর ব্যাফারেঃ- কেনো সব কিছুতেই ছাত্রলীগের দুর্গন্ধ যোগ করতে চান বুঝলাম না???
আপ্নার ২। নং পয়েন্টের প্রেক্ষিতে এক্টু জান্তে মন্চাইলো যে ইসলামী ব্যাংক যে শরীয়া ভিত্তিক ব্যাংকিং বেবোস্থা চালু কর্ছে সেডিতে কি কুনু লুক কুনুদিন লসের মুখ দেখছে? নাকি ইসলামি ব্যাংকের কুনু প্রজেক্টেই লস হৈনা?
আপ্নার ৫। নং পয়েন্টের ব্যাফারে এক্টাই কতা মনে আস্লো- জাম্তিগো মানসিকতা ভালো না। হেরা নিজের নাক্কাইটা পরের যাত্রা ভঙ্গ কর্তেও পিছপা হয় না মোনায়।
আপ্নার ৬। নং পয়েন্টের ব্যাফারে এক্টু এ্যডাইতে মন্ছাইলো। আমি সেদিন চ্যানেল ব্রাউজ কর্তে কর্তে দিগন্ত টিভিত আইসা এক্টুক্ষনের্লিগা থাম্ছিলাম, রান্নার অনুষ্টাং হৈতেছিলো। প্রেজেন্টার দেহি সোৎসাহে হিজাব ইত্যাদি লাগায়া প্রেজেন্ট কর্তেছে আর রান্ধুনি দেহি পেট-পিঠ-চুল (সরি এইভাবে কওনের লিগা) দেহায়া রান্তেছে। অহন কন্দেহি আপ্নেগো মিডিয়ার ভিত্রেই ডাবল স্ট্যান্ডার্ড চৌখে পড়ে (হ, আমার চোহে এডি ডাবল স্ট্যান্ডার্ডৈ), তৈলে আপ্নেগো দলের ভিত্রে কেরাম ডাবল স্ট্যান্ডার্ডে ভর্পুর রৈছে?
আপ্নার ৭। নং পয়েন্টের ব্যাফারেঃ- ভোগ শিশু-কিশোর সুলভ পত্রিকা না। সো ঐটার্তুলনা কেন্দিলেন বুজ্তার্লাম্না। নাকি কিশোর্কন্টে ভোগ-এর লাহান কিন্চিত কন্টেন্ট থাকে?
)।
আপ্নে তুলনায় রিডার্স ডাইজেস্ট আন্তার্তেন, নিদেন পক্ষে দেশের রহস্য পত্রিকার কথাও কৈতার্তেন (যদিও এটার মান পৈড়া গেছে
এসব এলোমেলো কথার কোনো জবাব হয় না।@সোহায়লা রিদওয়ান
মাসুম ভাই,
প্রথমে আপনার কাছে ক্ষমা চাই। আমার ধারা কোন সিরিয়াস আলোচনা হয় না। আমি পারি না। আমার হাসি এসে যায়! ১৫টা দেশ ঘুরে এসেছি (সরি, উল্লেখ করার জন্য), দেখার মনে হয় অনেক বাকী!
আমার কাছে মনে হয়, আমাদের বর্তমান সরকার বিশাল কমেডী করছে। নিজদের পরিবর্তন না করে, নিজেরা শুদ্দ না হয়ে, নিজেরা ভাল পথে না হেটে - বিশাল ভন্ডামোর মাঝে আছে।
(অনেক কিছু বলার ছিলো, টাইপিং ভাল না এবং সময়ও নাই - গুমটুম ভাবনার মাঝেও আছি, ওয়াইফ/ ছেলে মেয়েদের কথাও মনে পড়ে! তবে সত্য সাময়িক ভাবে লুকানো যায়, চিরদিনের জন্য নয়। সব কিছুরই জবাব আছে।)
আমাদের মনে রাখা উচিত, আমাদের এ আচরন চলে যাবে পরবর্তি প্রজন্মের কাছে। আমরা উদার হবো ততটুকু যতটুকু দৃষ্টিনন্দন! (উদারতার মাপকাঠি হলো - বিবেক, এর ভিন্নতা এক এক জনের কাছে এক এক রকম কিন্তু রাষ্ট্রের বিবেকের মাপ কাঠি! এটার একটা সুনিদিষ্ট পরিমাপ থাকা উচিত আর তা তৈরী করার দায়িত যে ক্ষমতায় থাকে তার! আমরা ভোট দিয়ে যাদের সরকারে পাঠাই।)
ভাইয়া আমার একটা কমেন্ট ভুলে আপনারটাতে জবাব হিসেবে আসছে।স্যরি।মাসুম ভাই কমেন্টা মুছে দেন।
স্টুপিড।
এ ধরনের ফাউল কমেন্ট এবিতে আর দেখিনাই।আমি পোস্ট প্রিয়তে রাখছি।আর এই কমেন্টের সব লাইনের জবাব আমি একটা পোস্ট লেখেই দিব।আমি জীবনে কিশোর কন্ঠ পড়িনি।আমি কি ভোগ ও পড়িনি।আমি কি স্পয়েল হয়ে গেছি???
স্টুপিড।
এ ধরনের ফাউল কমেন্ট এবিতে আর দেখিনাই।আমি পোস্ট প্রিয়তে রাখছি।আর এই কমেন্টের সব লাইনের জবাব আমি একটা পোস্ট লেখেই দিব।আমি জীবনে কিশোর কন্ঠ পড়িনি।আমি কি ভোগ ও পড়িনি।আমি কি স্পয়েল হয়ে গেছি???
নীড় সন্ধানীর মন্তব্যটা খেয়াল করবার মতো, জামায়াতের বিনিয়োগের ক্ষেত্রের বিস্তৃতি সামাজিক উপযোগিতা খাতে, হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা সেবাগ্রহন বন্ধ করে দেওয়া কিংবা জামায়াত পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি না হওয়ার সিদ্ধান্ত আদৌ কোনো শুভ ফল বয়ে আনবে?
পাড়ার মোড়ের মুদি দোকানটা জামায়াতের অর্থায়নে পরিচালিত হচ্ছে- সেখান থেকে সওদা পাতি কেনা বন্ধ করে দিলাম, রাস্তায় যে সিগারেটের দোকান, সেটাও জামায়াতের অর্থায়নে পরিচালিত হচ্ছে- সেটা থেকেও সিগারেট কেনা বন্ধ করে দিলাম-
পরবর্তি গন্তব্য কি আমাদের? মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের অনুমোদন ছাড়া যেসব দোকান চলছে সেখান থেকে জিনিষপত্র খরিদ করা বন্ধ করে দেওয়া?
ঘাতক দালা নির্মূল কমিটি, মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ এবং বাংলাদেশ সরকারের মুক্তিযোদ্ধা কল্যান পরিষদের সবুজ সার্টিফিকেট সমেত পরিচালিত দোকান কিংবা তাদের সনদ ছাড়া যারা ব্যবসা করছে সবাইকে জামায়াত সন্দেহে বয়কট করা? বিষয়টা কি পাগলামির পর্যায়ে চলে যাচ্ছে না? পরিশুদ্ধতাবাদি ঝোঁক উন্মত্ততা এবং সামাজিক বয়কটের মতো রাজনৈতিক বিভাজনটুকু উস্কে দেওয়ার আগুণে বাতাস আর ঘি সরবরাহ করছে এইসব রোমান্টিক পরিকল্পনা এবং আমার মনে হচ্ছে অতিরিক্ত আবেগী এইসব আচরণ দ্বিধা বিভক্ত করবার পন্থাটাকেই শক্তিশালী করতেছে।
আপনি অনেকগুলো প্রতিষ্ঠানের তালিকা দিয়েছেন, অনুসন্ধান করে আরও কিছু প্রতিষ্ঠান হয়তো বের করা সম্ভব, এর পরবর্তী গন্তব্য হলো সস্তিকাচিহ্ন সমেত একদা ইউরোপের ইহুদিদের ঘেটোতে বন্দী রাখা হতো আর তাদের বিশেষ পরিচয়পত্রের মাধ্যমে জিনিষপত্র ক্রয় করতো হতো- সেই পথেই আমরা অগ্রসর হচ্ছি। হিটলারকে গালি দিয়ে হিটলারের পদাঙ্ক অনুসরণের এই অন্ধ মোহকে আমি সমর্থন করতে পারছি না।
তবে আপনারা চালিয়ে যান, আমি মজা দেখি বসে বসে।
কিছু কিছু সংশোধন রয়েছে:
সংশোধনী ১: আমরা ভবিষ্যতে মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের সবুজ সার্টিফিকেট না দেখে কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সেবা গ্রহন করবো না- আমাদের ভবিষ্যত গন্তব্য কি এটাই?
সংশোধনী ২: চিহ্নিত জামায়াত শিবিরকে বয়কট করবার প্রক্রিয়াটিতে আমরা কতদুর অগ্রসর হবো? তাদের জন্য আলাদা পরিচয়পত্র আলাদা ছাঁটের কাপড় এবং আলাদা বাসস্থান নির্মাণ? যাদের সন্দেহ হবে তাদের জামায়াতমনস্ক সনদ দিয়ে তাদের বয়কট করে ফেলা? ১৯৭২ এর পূনারাবৃত্তি চাইছি আমরা? আমরা পুনরায় ১৯৪০ এর জার্মান, পোল্যান্ড আর জার্মানঅধিকৃত দেশের পরিস্থিতিকে পুণনির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছি? আমরা হিটলারকে এত ভালোবাসি, আমরা বর্ণাশ্রমকে এত ভালোবাসি এবং নিজেদের সভ্য হিসেবে পরিচিত করতে চাই- বিষয়টা কি সম্পূর্ণ ভিন্ন দুটো পরস্পরের বীপরিত দিকে যাওয়া রাস্তাকে একই গন্তব্যাভিমুখী ধরে নেওয়ার মতো হয়ে গেলো না?
আপনি কি বুঝাতে চাইলেন , আমি ক্লীয়ার না। আমারই অক্ষমতা হয়তো।
জামাত শিবির কে মোকাবেলা মানে এই নয় যে ছাত্রলীগ কে দিয়ে , আওয়ামী ঘরানা লোক দিয়ে সব ছেয়ে ফেলতে হবে।
আপনার মূল বক্তব্য এইটাই... বাকিটা পেচ্ছাপেছি করলেন এবং হুদাই।
আপনার কথার লাইন বাই লাইন উত্তর দেয়া যায়। তাতে শুধু সময়ক্ষেপনই হবে। এর বাইরে আসলে কিছু ঘটবে না।
পোষ্টের মূল মর্ম হলো জামাত-শিবির পরিচালিত প্রতিষ্ঠানগুলো চিনে রাখা। আমরা যারা হাড়ে হাড়ে চিনি তাদের জন্য লেখা না।
বরং যারা নেহায়েত মাসুম, যেমন জামাত-শিবির ঘেন্না করেন কিন্তু জানেন না জামাতের প্রতিষ্ঠানের তৈরী চানাচুর দিয়ে ঝালমুড়ি খেয়ে যাচ্ছেন প্রতি বিকেলবেলা। তাদের জন্য লেখা।
যারা জাতীয় বৃহৎ ঐক্যের স্বার্থে একাত্তরের গন্ডগোলকে ভুলে যেতে চান এই লেখা তাদের জন্য নয়।
জামাতী প্রতিষ্ঠান চিনে রাখা দরকার আরো একটা কারনে। এরা বাংলাদেশে ইসলামী বিপ্লব আমদানী করতে চায় এই প্রতিষ্ঠানের অর্থ দিয়ে। হিযবুত কিংবা জেএমবি তাদেরই খালতো, তালতো ভাই বেরাদার। এরা সবাই 'বাংলা হবে তালেবান'-এর স্বপ্নদ্রষ্টা।
হ ।
ইনটিমেট হাউজিং নামে একটা ডেভলাপার আর রিয়ের স্টেট কোম্পানী আছে। অফিস ধানমন্ডিতে। প্রজেক্ট আছে, পুরো ঢাকা শহর জুড়েই। এছাড়া মিরপুরে ইনটিমেট হাউজিং করছে, এনআরবি বোটানিক্যাল গার্ডেন সিটি। এটা জামাতিদের।
সিলেটে মোটামুটি সব ব্যবসা প্রতিষ্টান আর অনেক খবরের কাগজই ওদের। এমনকি ওদের মতাদর্শ ও পত্রিকার কর্মীরা প্রেসক্লাবও দখল করে বসে আছে।
সিলেটে সোনারগাঁ হাউজিং, লালমাটিয়া হাউজিং, সিলভার ভিলেজ হাউজিং, ওয়ান সিটি, আল হামরা শপিং সিটি, আবাসন সিটি- এগুলো জামাতিদের।
এছাড়া অনেক বড় বড় বিপনীবিতানও তাদের। এগুলোর মধ্যে টেইক এন পে ও অপরূপা উল্লেখযোগ্য।
হাসপাতাল- ওমেন্স মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, ইবনে সিনা হাসপাতাল, মহানগর হাসপাতাল, মা মণি হাসপাতাল।
স্কুল কলেজ- শাহজালাল জামেয়া ইসলামিয়া স্কুল ও কলেজ, জালালাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, সিলেট সায়েন্স কলেজ ।
জটিল একটা পোষ্ট। কিছু আগেই জানতাম। তবে এতসব প্রতিষ্ঠানের নাম জানতাম না। মাসুম ভাই কে ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য। আমরা সবাই যদি এদের বয়কট করি তাহলেই এরা এভাবে প্রভাব বিস্তার করতে পারবে না। জামায়াতকে সমূলে উপড়ে ফেলার চেষ্টা তো সবাইকেই করতে হবে।
এভাবে কি সম্ভব আদৌ মাসুম ভাই ? কম্পিটিশন দিয়েই কেবল এদের বাজার থেকে বের করা যাবে মনে হয় ।
হ । গতকাল ডাক্টার আমাকে প্রেসক্রাইব করেন ইবনে সিনার ড্রপ কিন্তু আমি একই জেনেরিক ড্রপ কিনেছি এরিস্টোফার্মার । কিন্তু যদি বিকল্প না থাকে ?
মানিক ভাই , সমস্যাটাই এজায়গাতে । কারণ , এদের মধ্যে নিজেদের আইডিওলজি (তা সে আসলে যাই হোক না কেন ) -- র প্রতি একাগ্রতা যে পরিমাণ তার কিছুটাও আমাদের মধ্যে নাই । বিকল্প তৈরি করে এদের বাজার থেকে বের করবে সেই পরিমাণ প্রশাসনিক , প্রাতিষ্ঠানিক এবং ব্যক্তিগত উদ্যোগ কোথায় !
আমার পরিচিত কিছু ছেলে ( সেকেন্ড থার্ড ইয়ারে থাকতে বেশ ভালো সম্পর্কও ছিলো ) , হঠাৎ ইউনিভার্সিটির শেষ দিকে এসে বছর খানেক আগে শুনি শিবির করে । পরে জানলাম , যেকোনো উপায়ে একটা সেকেন্ড ক্লাস থাকলেই এদের চাকরি মাস্ট । অনেকের হয়েও গেছে অলরেডি --- চাকরির বাজার যা , তাতে এ রকম সুযোগ হাতছাড়া করার কোনো কারণ তো নাই একটা নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানের ।
এগুলো আপনার জানা জিনিস , তবু বললাম । আমার চোখের সামনে দেখা । আমি ওদের খারাপ ভাবতে পারি না !
বিকল্প বাজার তৈরির প্রাথমিক দায়িত্ব সরকারের ই নিতে হবে , এগুলো পারসোনাল পর্যায়ে বিক্ষিপ্তভাবে সম্ভব না !
প্রাসঙ্গিক বিবেচনায় অর্থনীতিবিদ ড. আবুল বারাকাত সাহেবের গবেষনামুলক প্রবন্ধ "মৌলবাদের রাজনৈতিক - অর্থনীতি" এর পিডিএফ ফাইল দিলাম ।
বিকল্প না দাঁড় করাতে পারলে বয়কট কাজে আসবে না। পেটে ভাত না থাকলে সবকিছুই ধুসর হয়ে যায়।
বিডি ফুডের চানাচুর,আচার, সস-কেচাপ সহ বেশ চমৎকার কিছু আইটেম জনপ্রিয়। এই বিডিফুড জামাতী জানার পর কেনা বন্ধ করে দিয়েছি। বিডিফুডের লন্ডনে হেরোইন ধরা পড়ার মামলাটা এখনো চলছে কিনা জানি না।
আগে যা ঘটেছে সেটা নিয়ে তো আর কিছু করার নাই , ভবিষ্যতে আর ওইসব প্রতিস্টানে আর যাব না ভাবলেই চলে..................তবে বিকল্প কিছুও গড়ে তুলতে হবে।
বিডি ফুডস ও শুনছিলাম জামাতিগো.................সুন্দর পোস্টের জন্য পোস্টদাতাকে অনেক ধন্যবাদ.......
লিস্টে যা যা দেখলাম, তার সবগুলোরই যথেষ্ট পরিমান বিকল্প আমাদের দেশে আছে। দেশের অনেকগুলো ব্যাংকে এখন ইসলামী ব্যাংকিং অপশন আছে যাদের সার্ভিস ইসলামী ব্যাংকের চেয়ে অনেক অনেক ভালো, ইবনে-সিনা/ইসলামী-ব্যাংক-হাসপাতালের সমমানের চিকিৎসা কম খরচে দিচ্ছে এমন হাসপাতালও সম্ভবতঃ আছে (এই মুহূর্তে হলি ফ্যামিলি/বারডেমের কথা মনে আসছে), তবে চিকিৎসাটা কুব সেনসিটিভ বিষয় বলে মানুষ হয়তো অনিবার্য কারণে ইবনেসিনা/ই ব্যা হাসপাতালের সেবা নেবে, যাক মানা গেলো। কিন্তু বাকী যেসব খাত, সব খাতে মানে ও মূল্যে জামাতী প্রতিষ্ঠানগুলোকে অনেক দূরে ফেলে রাখছে এমন প্রতিষ্ঠান দেশে কম না।
কাজেই এই ক্যাম্পেইনটাকে খুবই জরূরী মনে করি; আমার ধারনা এখান থেকে কেউ যদি এমন ধারনা পেয়ে থাকেন যে কালই পাড়ার ইসলামী ব্যাংকের শাখায় মারধোর/ভাঙচুর করতে হবে -- তাহলে লেখকের প্রচেষ্টাটা আপনি বুঝতে পারেননি।
এই তথ্যগুলো সচেতনতা তৈরীর জন্য, যেমন ধরুন, আপনি বিডি ফুডের চানাচুর না কিনে অন্য কোম্পানীর চানাচুর কিনলেন।
আরেকটা পয়েন্ট খুব জরূরী আমাদের দেশে, যেটা বর্তমান রাজনৈতিক বলয়ের লোকদের দিয়ে কখনই সম্ভব না। একটা ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান একটা রাজনৈতিক দলকে চাঁদা দিটে পারবে ঠিক আছে, কিন্তু সেটাকে এমন কিছু নীতিমালা দিয়ে আবদ্ধ রাখতে হবে যাতে কখনই রাজনৈতিক দলটি ক্ষমতায় গেলে ঐ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে কোন সুবিধা না দিতে পারে, এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও রাজনৈতিক কোন প্রভাব তৈরী করতে না পারে। তবে বর্তমানের লোভী কুকুরের মতো রাজনীতিবিদরা নিজের পকেটের স্বার্থেই এমন কোন আইন করবেননা।
Bangladesh Islami University (বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয) গোপীবাগ, ঢাকা.
ও Green University Bangladesh (গ্রীন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ) রোকেয়া সরণী, ঢাকা.
প্রথমটা কি ভয়াবহ একবার ঘুরে দেখে আসতে পারেন. মেয়েদের জন্য সতর্ক বাণী- পর্দা না করে গেলে ঢুকতে পারবেন না; অতিথি হিসেবেও না.
মাসুম ভাইয়ের সামুর পোস্টটাও পড়েছিলাম। যে কারণে লেখাটা পরিচিত পরিচিত লাগছিলো। নতুন তথ্যের জন্য তাঁকে অজস্র ধন্যবাদ। এই পোস্ট নিয়ে বেশি কিই বা বলা যায়। প্রতিটি দাঁড়ি-কমার সঙ্গে একমত। তবে মন্তব্যগুলো কিছু টামন খারাপ করিয়ে দিচ্ছে। আমরা জাতি হিসেবে কবে শক্ত হবো? কবে দোনোমোনো-দোনোমোনো মনোভাব থেকে বের হতে পারবো, আমি জানি না। এই না জানা আমাকে অন্তরাল থেকে পোড়ায়। তবে পোড়ালেও তাতে ততটা কষ্ট হয় না, যতটা খারাপ লাগে কোনো প্রতিক্রিয়াশীল মন্তব্য দেখলে। সেটা দেখতে পেয়েছি। আমার আপত্তির জায়গাটুকু পরিস্কার করে যাই..
@ সোহায়লা রিদওয়ান, আপনার মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া (মহাজ্ঞানী স্যার আইজ্যাক নিউটন বলেছেন, প্রতিটি ক্রিয়ার একটি সমান ও একটি বিপরীত প্রতিক্রিয়া থাকে)
আপনি প্রথমে রেটিনার কথা বলেছেন। আমি বুঝি না আমাদের দেশের ছেলে-পিলেরা কি এতই মূর্খ হয়ে উঠেছে রেটিনা ছাড়া তাদের চলে না? কোচিং ছাড়া, নোটবই ছাড়া তাদের চলে না? আপনি রেটিনা-ফোকাসের বিকল্প কোচিং সেন্টার তৈরী করতে বলেছেন। আমি পুরো বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ভর্তির ব্যপারে যে কোন রকম কোচিং-ই বন্ধ করে দিতে বলতে চাই।
আপনি কি বলেন, এরপর থেকে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছেলে ভর্তি হওয়া বন্ধ হয়ে যাবে? যদি কোচিং ছাড়া আমাদের ছেলেরা বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে পড়ার যোগ্যতা অর্জন করতে ব্যর্থ হয়, তবে আমাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় ক'বছর ছাত্রভর্তি বন্ধ রাখাই ভালো হবে।
আর আমার প্রত্যক্ষ পর্যবেক্ষণ থেকে জানি, কোচিং বন্ধ করে দিলে সেটা আমাদের ছেলেদের জন্য এমন কোন সমস্যা হবে না। যা কিছু সমস্যা, তা ভোগাবে ব্যবসায়ীদেরকে। সেটা ওই ব্যবসায়ীরাই বুঝুক। তারা বিভিন্ন নাঁকিকান্না কাঁদতে পারে। দেশের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে আতংকিত হয়ে পড়তে পারে। আমি তাতে গা করি না।
স্বার্থপরের মতো এটা কেন বললাম? ব্যবসায়ীরা যখন আমাদের ছেলেগুলোকে কোচিং নামক সিস্টেমের ভেতরে জড়িয়ে ফেলতে দ্বিধা করে না, তখন আমি কে তাদের অনুকম্পা দেখাবার? ওরা কোচিং-এর পক্ষে যুক্তি বলে, প্রচারণা চালায়, ছাত্রদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য প্রাণপাত করে -এগুলো কি বাঙালি জাতিকে শিক্ষিত করে তোলার মহান ব্রত থেকে উৎসারিত না কি ব্যবসায়িক মুনাফার জন্য, সেটা ভেবে দেখতে হবে।
আপনি ব্যাংকের কথা বলতে গিয়ে কি বলেছেন বুঝি নি। বাংলাদেশে এখনো কোনো সর্বজনগ্রাহ্য অর্থনীতিবিদ/ বুদ্ধিজীবী ইসলামী অর্থনীতি চালু করতে বলে নি। যদি বলেন, সর্বজনগ্রাহ্যের সংজ্ঞা কি তবে বলবো, কোন সংজ্ঞা নেই। তবুও আমরা সর্বজনগ্রাহ্য ও সর্বজনঅগ্রাহ্যদের চিনি। ব্যাকিং ব্যবস্থায় বিশ্ব এখন অনেক অনেক দূর এগিয়ে গেছে। বাংলাদেশেও তার ছোঁয়া যে একেবারে লাগে নি, তা বলবো না। তাই ইসলামী ব্যাংক আরো অনেক দিন অনায়াসে রাজত্ব চালাবে, এমনটি কিন্তু নিশ্চিন্তমনে ভাবার সুযোগ নেই।
মিডিয়া সম্পর্কে যা বললেন সেগুলোর উত্তর দিতে যাওয়া অনুচিত। দিগন্ত মিডিয়াকে পেছনে ফেলতে বাকি চ্যানেল গুলোকে আরো আকর্ষনীয় আর খোলামেলা হতে হবে। প্রেসেন্টার দের আরো আকর্ষনীয় ভাবে উপস্থাপন করা যেতে পারে .. .. ..মিলা বা তিশমাদের সারাক্ষন পর্দায় দেখালে মানুষ দিগন্ত টিভি ওপেন করার সময় পাবেনা !!!! সিরিয়ালের সংখ্যাও বাড়াতেই হবে!
বুঝলাম না!!! কেন? মানুষ দিগন্ততে কি দেখবে বলতে চান? কিভাবে বোরকার গিঁট বাঁধতে হয় আর রাতে শোয়ার আগে কোন সূরা তিনবার পড়ে হাততালি দিলে জ্বিন আর শয়তান দূরে থাকে, সেসব?
না কি আপনি যে ক্ষেত্রগুলোয় উন্নতির তাগিদ দিলেন দিগন্ত কি এই ক্ষেত্রগুলোতে অপরাজেয় অবস্থানে পৌছে গেছে? যদি না যায় তাহলে অন্য গণমাধ্যমগুলোকে কেন তাদের এসব অনুষ্ঠান এবং অনুষ্ঠান পরিবেশনরীতির মানোন্নয়ন করতে হবে?
আর যদি বলতে চান, গণমাধ্যম দু'টির সেবা সম্পর্কে তাহলে আমারো দু'টি কথা আছে। আপনি নিউজ পেপারের কন্টেন্ট এ্যানালাইসিস করতে জানেন? আশা করি অবশ্যই জানেন। দয়া করে দিগন্ত পত্রিকার যে কোন একদিনের কন্টেন্ট এ্যানালাইসিস করে দেখান, যে ওই পত্রিকাটায় প্রথমালো, সমকাল, কালের কণ্ঠ এইসব পত্রিকার চেয়ে উন্নতমানের সেবা উপাদান রয়েছে। যেটা পাঠক/ ভোক্তাশ্রেণী চায়।
সেবা উপাদান কি জানেন নিশ্চই? উদ্দেশ্য প্রণোদিত নয় এমন সংবাদ, সঠিক তথ্য, সুচিন্তিত বিজ্ঞাপন আর রুচিশীল পাঠকবান্ধব লেখার মান। আসুন বসে হিসেব করি, দিগন্তের চেয়ে বেশি উদ্দেশ্য প্রণোদিত সংবাদ কি উল্লিখিত পত্রিকাগুলো দেয়? অন্য তিনটের কোন ক্ষেত্রে দিগন্ত কি উল্লিখিতদের চেয়ে এগিয়ে? দয়া করে ব্যতিক্রমকে উদাহরণ হিসেবে দেখিয়ে নিজেকে দুর্বল প্রমাণ করবেন না।
চাইলে টিভি চ্যানেলগুলো সম্পর্কেও বলতে পারেন? বাঙালি টিভি সংস্কৃতির উৎপত্তি, ক্রমবিকাশ এবং পথচলার বিষয়টাও কিন্তু মাথায় রাখবেন? বিশ্ব টিভি সংস্কৃতি কিভাবে দিনে দিনে বদলেছে সেদিকে খেয়াল করতে পারেন। তারপরে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন অগ্রযাত্রায় সামিল হবেন না পশ্চাৎগামিতায় নিমজ্জিত থাকবেন।
পাড়া-মহল্লার দোকান সম্পর্কে বলি, ওগুলো যারা চালান তারা কিন্তু আপনারই দীর্ঘ-দীর্ঘদিনের প্রতিবেশী। ঠিক আপনি যেমন একটা সংসারের সঙ্গে জড়িয়ে আছেন আষ্টে-পৃষ্টে, ওরাও তেমনি। আপনার ভালো-মন্দ'র ওপর যেমন অন্য অনেকের ভালো-মন্দ নির্ভর করে, ওদের ওপরও।
তাই যদি দেখেন কোথাও যুবলীগ, হাম্বালীগ যে কেউ এই অল্প আয়ের ক্ষুদ্র মানুষটির জীবিকায় আঘাত হানতে উদ্যত হয়েছে, আমার অনুরোধ আপনার যতটুকু শক্তি আছে তাই দিয়ে তার প্রতিবাদ জানান। জামাতি অর্থনীতির বড় বড় খাতগুলোকে অলাভজনক করে দিতে পারলে, এই ছোট ছোট খাতগুলোকে নিয়ে মাথা ঘামানোর কোন কারণই থাকবে না। জামাতি মুদী দোকানদারদের আরেকটা পরিচয় আছে। সে আপনার মতোই আরেকজন গরীব মানুষ। যার পেটে লাথি দিলে ওস্তাদ অবশ্যই নারাজ হবেন।
কিশোরকণ্ঠ সম্পর্কে কি বললেন বোধগম্য হলো না। ভোগ ম্যাগাজিনের সঙ্গে এর তুলনা কেন? বাংলাদেশে টইটম্বুর নামে একটা পত্রিকা আছে দেখেছেন? আমার ব্যক্তিগত অভিমত হচ্ছে সেটা কিশোরকণ্ঠের চেয়ে অনেক বেশি সৃষ্টিশীল। বাদ দিই সৃষ্টিশীলতার কথা। দুষ্ট গরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল ভালো। আর কিশোরকণ্ঠের চেয়ে দেশের কোন পত্রিকা না থাকাই ভালো। যে গণমাধ্যম উঠতি শিশু-কিশোরদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের ধান্দায় টিকে আছে, সে গণমাধ্যম সম্পর্কে অনেক ভাবার আছে।
সবশেষে বলবো, আপনার যুক্তিগুলো যতটা না যৌক্তিক তারচে' বেশি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। দেশে কি ছাত্রলীগ-যুবলীগ-হাম্বালীগ করেছে এমন কেউ ডাক্তারি করে না? করে। আমি কিন্তু কোনদিন শুনিনি কোন ডাক্তার তার অপারেশন টেবিলে দা-চাকু নিয়ে রোগীর ওপর চড়াও হয়েছে। মেডিক্যালে লীগের চেলা-চামুন্ডারা গন্ডগোল করে, কিন্তু কোন ডাক্তার তার চেম্বারে রোগীর ওপর আপনার বর্ণিত আচরণ করে না। সে লীগই হোক, বিম্পিই হোক আর ছাগুই হোক। আপনি সবকিছুর দায় ওই এক পক্ষের ওপর চাপাতে গিয়ে যে অনবদ্য ঘৃণার তোড়ে ভাসতে শুরু করেছিলেন, সেখান থেকে ঐ লাইনটা হয়তো হয়তো নিজে নিজে বেরিয়ে গেছিলো। আপনি আটকাতে পারেন নি। এখান থেকেই মূলত আমার খটকা লাগা শুরু।
টুটুল ভাই বলেছেন, "সমসাময়ীক ঘটনায় সে বিরক্ত... সেই খেদ থেকেই এই কমেন্টসের উৎপত্তি..."। তারা কথায় আমার আস্থা আছে।
আবার বলছি, দয়া করে এটাকে ব্যক্তিগত আক্রমণ ভেবে নেবেন না। আপনি নিশ্চই কমেন্টখানা টাইপ করার সময়ই জানতেন, এর প্রতিক্রিয়া আসতেই পারে।
---
মাসুম ভাইকে বলি, তিনি একজন অর্থনীতিবিদ হয়েও কেন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে যেতে চাচ্ছেন! অবকাঠামো নিশ্চই দোষী নয়, দোষী এদের চালকেরা। এ প্রতিষ্ঠানগুলো যাতে দেশের ও দশের সত্যিকারের উপকারে আসতে পারে সে ব্যাবস্থা করা দরকার। তবে সেটি অবশ্যই অত্যন্ত সাবধানতার সঙ্গে পরিকল্পিত উপায়ে করতে হবে। এ ব্যপারে তাঁর মতো জানা-বুঝা লোকদের অবশ্যই করণীয় আছে। অন্তত আমাদের বলে তো দিতে পারেন, কিভাবে কি করা যায়।
কমেন্ট ৩৩ এবং সাপোর্টিং কমেন্ট ৩৪, ৩৭ দেখে চিন্তিত হলাম।
বয়কট সংস্কৃতিতে আমার খুব বেশি আস্থা নাই। ইবনে সিনা'তে অনেক পরীক্ষা করাইতে টাকা কম লাগে। তাইলে আমি ক্যানো সেইটারে বাদ দিমু? জামায়াতের একটা লোক ব্যবসা করতাছে তার পণ্য আমি ব্যবহার না করলে নিজের মনের খায়েশ মিটবো...মনে হইবো অনেক বড় বিদ্রোহ করতেছি। কাজের কাজ কিচ্ছু হইবো না। ইসলামী ব্যাংকিং'এ আমার আস্থা নাই আমি অনৈসলামিক ব্যাংকিং'এই থাকতে চাই...কিন্তু ইসলামী ব্যাংক জামায়াত বইলা তারে বর্জন করুম আরেকটা অজামায়াত বইলা তাতে নির্ভর করুম এইটা আমার কাছে হঠকারী লাগে। রাষ্ট্রীয় ভাবে এইসব জামায়াতিগো বিচার করনের দাবী তুললে হয়তো আমি আছি, কিন্তু বয়কটরে একান্তই হারমোনিয়াম পার্টির কর্মপদ্ধতি লাগে...
রাষ্ট্র তার নিজের কাজটি করুক। আমি যার যার জায়গা থেকে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে। সেটা শুনতে যেমনই লাগুক। এমনকি হারমোনিয়াম পার্টি হলেও সমস্যা নাই।
হারমোনিয়াম পার্টি!!!
ঠিক না মাসুম ভাই।
গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট।
মন্তব্যগুলো ভাবনা উদ্রেককারী।
ব্যক্তিগতভাবে আমি চরমপন্থার বিপক্ষে। আমার মতে চরমপন্থা চরমতর পন্থার জন্ম দেয়।
এরচেয়ে দুটো ঘটনার কথা বলতে পারি। একটা কারো ব্লগ পড়ে জেনেছি। বন্ধুদের আপ্যায়নের উদ্দেশ্যে ম্যাকারনি পরিবেশিত হলে একজন খেতে অস্বীকার করে। কারন পাকিস্তানী জিনিস তিনি খাবেন না।
অন্যটি ব্যক্তিগত। কলেজে পড়া অবস্থায় নির্বাচনী প্রচারণায় আসা শিবিরের প্রার্থীর সঙ্গে হাত মেলাতে অস্বীকার করেছিল এক বন্ধু।
সামাজিক প্রতিরোধের নামে ব্যক্তিগত প্রতিশোধের উৎস হয়ে ওঠার সম্ভাবনা সৃষ্টি করার চেয়ে ব্যক্তিগত প্রতিরোধ অনেক বেশি কার্যকর।
মন্তব্যটা ভাল লেগেছে।
খুব সহজ করে বললে, আমার মনে হয় না, কোন যোগ্য বিকল্প না হওয়া পর্যন্ত এভাবে প্রতিরোধ করা যাবে। আর, তার আগ পর্যন্ত এদের বাদ দেওয়ার প্রচেষ্টা অনেকটা নিজের কাছেই একটা সান্ত্বনা দেবার মত। আর কিছু না।
তারপরও এটা ঠিক, এদের হাতে জেনে-শুনে কেন অর্থ তুলে দেব? তাই আসুন, এদের বর্জন করি।
চমৎকার পোস্টের জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
বনফুল মিষ্টির দোকান বাদ গেছে। আর জানা মতে লাইসিয়াম কিন্ডারগার্টেন জামাতীদের। কাঁটাবন মসজিদ সংলগ্ন সমস্ত দোকান।
বর্জনের ব্যাপারটা কিছু মনতব্যে তেনা প্যাচানো দেখলাম । মাসুম ভাইয়ের আহ্বানকে নিছক আবেগীয় মানতে আমার আপত্তি আছে । প্রশ্নটা দেশপ্রেম ও আদর্শের ।
সুতরাং মৌলবাদী প্রতিষ্ঠানের সেবাগ্রহন বা প্রকাশনায় কন্ট্রিবিউট করে প্রকারন্তরে মৌলবাদের অর্থনীতির বিকাশে অবদান রাখা হয় । আমরা মৌলবাদি অর্থনীতির বিকাশ চাই না তাই বয়কট ।
বিকল্প নেই বলে কি মৌলবাদে আস্থা রাখতে হবে ! তাদের বিকাশে সাহায্য করতে হবে !!
মুক্তিযোদ্ধা রহমতুল্লাহর সামনে বিকল্প ছিল কিন্তু-
চিনে রাখলাম ... বয়কট চলবে
~
আমার কাছে আরো ভাল সমধান আছে।we can just stop religion based politics only by amending the constitution.তাহলে এভাবে সমাজে আর ঘ্রিনা ছরাতে হবে না। মোড়ের মুদি দোকানদারকে জেয়ে আর মারতে হবে না আশাকরি।
যুবক
পিঙ্ক সিটি জেনোভেলী (হাউজিং)
তাকাফুল ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স
গ্রীন লাইন বাস সার্ভিস।
জামাত মেম্বারদের জন্য স্পেশাল ডিসকাউন্টও আছে।
এই পোস্ট পর্যবেক্ষনে রাখিনাই, অসুস্থ্য খুব, আর মনে হইসে এগুলা সবাই জানি। নতুন করে রিভাইস দেবার কিছু নাই। এরকম আরো পোস্ট আসা দরকার, যেমন যে যেই দল ঘৃনা করবে, সে সেই পার্টিওয়ালাদের প্রতিষ্ঠান বয়কট করবে। আওয়ামী লীগের হাসপাতাল, কোচিং সেন্টার, চ্যানেল , নিউযপেপার , রিয়েল এস্টেট কোম্পানীর তালিকাটা কারো কাছে থাকলে পোস্ট দিয়েন। বি এন পি আর জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠানের তালিকাও লাগবে।
সব আলাদা আলাদা প্রতিষ্ঠান লিস্টেড থাকবে। দরকার মত বয়কট করবে। আমার মতে এটা খুবই ভালো বুদ্ধি! (আমার মাথায় আবার বেশী বুদ্ধিতো)
অনেকেই অনেক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। আমার মন্তব্যে, পদার্থবিজ্ঞানের ছাত্রীতো, প্রতিক্রিয়া আশাই করি।
সবচেয়ে প্রথমেঃ হ্যা আমি ভীষণ ভীষণ বিরক্ত হয়ে এই কমেন্ট টা করেছি। আবারো বলছিঃ ভীষন রকম বিরক্ত।
এই দেশটায় সমস্যার পর সমস্যা , কয়জন সমাধানে আগায় আসে? আসেনা! উলটো সমস্যা আরো তৈরী করতে চায়! মাহাথির বাইশ বছরে মালয়েসিয়াকে নিয়ে গেসে বাইশশো বছর সামনে। গত চল্লিশ বছরে আমরা পিছাইসি চারশ বছর! আমাদের তবু কেন লজ্জা হয়না????
কাউকে অপছন্দ হলে তাকে এভয়েড করেন। দেশে একটা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা কি যেন তেন কথা ??? লাখ লাখ বেকারের দেশে কোন মুখে প্রতিষ্ঠান বয়কটের কথা বলেন ????
জামাতীদের ধরে ধরে গুলি করে মারেন। কিন্তু পাড়ার মুদী দোকানদারের দোকান নিয়ে কথা বলার আগে নিজের চেহারা আয়নায় দেখে নিজেকে জিজ্ঞেশ করেনঃ ওই লোকটার পরিবার কিভাবে চলে ?
কিছু কমেন্টকারী অমুক এর জিনিশ কিনিনা, তমুকের জিনিশ কিনা বলছেন। ওই প্রতিষ্ঠানের টপ কয়েকজন হতে পারে ওই মনা, কিন্তু শত শত শ্রমিক , কর্মচারী কাজ করে! যাদের আদতে কোন পার্টি প্রীতি নেই। সংসার চলে তাদের ওই চাকরীতে।
ব্লগে বসে বসে কিংবা চায়ের আড্ডায় বড় বড় কথা বলে দেশ উদ্ধার হয়? সুবিধাবঞ্চিত কয়জনের অন্নের ব্যাবস্থা করেছি আপনারা বা আমরা ???
আইডিওলজী বেঁচে ভাত খেতে পারবেনা যাদের আমরা উঠে আসতে দেইনা, দারিদ্রসীমার নিচে বসবাস কারো জনগোষ্ঠি নিয়ে না ভেবে মহত সাজি আর দেশপ্রেমিক সাজি জামাতীদের নিয়ে ভেবে! শেইম অন মি যে এসব নিয়ে আমিও চিন্তা করি!
নদীভাঙ্গা মানুষগুলো যখন দিনের পর দিন চাল ভিজিয়ে একবেলা খেয়ে থাকে তখনো আমরা ব্যাস্ত কে মৌলবাদী আর কে যৌগবাদী তা নিয়ে!!!! আমরা কোনদিন উন্নত হবো ???? কোনদিন না ! কোন দিন না !
আপনি তাদের আইডিওলজীকে বাধা দেবেন তারচেয়ে উন্নত আইডিওলজী দিয়ে !!!! বরং সেটা নিয়ে মাথা ঘামাক সুশীল সমাজ!! আমি রেটিনা ফোকাসে কোচিং করিনাই। ইচ্ছে হয়নাই। কিন্তু কেউ করতে চাইলে তাকে মানাও করিনাই। কারণ , অসংখ্য গরীব ঘরের ছেলেরা সেখানে ক্লাস নিয়ে ডাইনিং চার্জ দেয়।
ভয়াবহ খারাপ অবস্থা দেশের চিকিতসা ব্যাবস্থার। পর্যাপ্ত কম খরচের হাসপাতাল নাই। কোন মুখে বলি , ওইটা বন্ধ করে দেন ??????
অনেক কথা লিখার ইচ্ছে ছিল, হাত কাঁপতেসে, লিখতে পারলামনা। শুধু এটাই বলিঃ বাস্তববাদী হন। দেশের অবস্থা চিন্তা করেন। রুট লেভেলের মানুষের কাছে যান। ব্যাপ্টিস্ট মিশন মিরপুরে অন্ধ মেয়েদের স্কুল চালায়। আমি সেখানে কাজ করতে যাই। কে যেন একবার বললোঃ হায় হায় ওরাতো খৃষ্টান বানায় ফেলবে!!! আমি রেগে গেসিলাম! তোমরা কোথায় ধর্মপ্রান মুসলিমরা ?????? একটা অন্ধ মেয়েদের স্কুল বানায় তারপর কথা বলতে আইসো! তার আগে কিছু বলার কোন অধিকার নাই!
সেইম কনসেপ্ট, কোন ভালো কাজকে নষ্ট করবার আগে দশবার ভাবেন, আপনি কি ওইটার রিপ্লেসমেন্ট তৈরী করেছেন? নইলে আমরা যে আরো আরো গরীব হয়ে যাবো!
বোন , আপনার কথাগুলো পড়লাম, কয়েকবারই পড়লাম, পড়ে কিছু প্রশ্ন মাথায় এলো।
১। অনেকে হুন্ডি ব্যবসা করে , হুন্ডির সাথেও অনেকে জড়িত , আপনার কথা অনুযায়ী এটাকেও তাহলে বৈধতা দিতে হয় কারন এখানেও জীবিকা জড়িত।
২। কালোবাজারী করেও অনেকে জীবিকা নির্বাহ করছে তাই বলে কালোবাজারী কি ভালো?
৩। যে প্রতিষ্ঠানের টাকা ব্যয় হয় জঙ্গীদের কাজে জীবিকা-চাকরীর দোহাই দিয়ে তাকে জায়েজ করা কতটা বাস্তবসম্মত?
৪। পাড়ার মুদি দোকানদার হয়তো কোন দোষ করে নাই , কিন্তু দেশে অনেক এনজিও আছে যারা এরকম দোকানদার দের কে ঋন দেয়, জামাত যদি পৃষ্ঠপোষকতা না করে এরা মারা যাবেনা। বরং এদের প্রয়োজনটাকেই ব্ল্যাকমেইল করেই জামাত এগুচ্ছে জঙ্গীবাদের দিকে।
৫। যারা দেশের আইন মানেনা , দেশের মুক্তিযুদ্ধ কে স্বীকৃতি দেয় না তারা যাই করুক , সেটাই অন্যায়। একজন খুনীকে খুন করার পরে নামাজ রোজা আদায় করার কারণে কি তার ফাঁসি মাফ করে দিবেন ?
৬। তাদের ব্যাংকে আমার আপনার মতো অনেক সাধারণ মানুষ টাকা রাখে কিন্তু লোন পায় জামাতের নেতা কর্মী । জামাতের নেতার রিকমান্ড ছাড়া লোন দেয় না , এটা কি জানেন ? জেনে শুনেও এটা সাপোর্ট করেন? আমার আপনার টাকা দিয়ে তারা জঙ্গীকে প্রশ্রয় দিচ্ছে ।
৭। দেশে অনেক সরকারী প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়েছে লোকসানের কারণে , তখনো অনেকে সাধারনের চাকরী চলে গেছে , আর এসব প্রতিষ্ঠান বন্ধ করলে সাধারনের না , জামাত নাম ধারী একদল জঙ্গীর চাকরী যাবে, যদিও প্রতিষ্ঠান বন্ধ না করেও অন্য ভাবে এটা ম্যানেজ করা যায়।
৮। আপনি কি জেনে শুনে আপনার সন্তান কে খারাপ কোন ছেলে/মেয়ের সাথে মিশতে দিবেন ? যদি মিশতে না দেন , সেটাও এক প্রকার বয়কট না তাকে ? খারাপ কে ?
@ সাঈদ ভাইঃ
১, ২,৩ । কালোবাজারী, হুন্ডীর সাথে ব্যাঙ্ক , হাসপাতাল, স্কুল কলেজের মত প্রতিষ্ঠান মিলিয়ে ফেললে আর আলোচনা কি সম্ভব? সম্ভব না। প্রাসঙ্গিক উদাহরণ হলোনা।
জীবিকার তাগিদে এথিকলেস হতে হবে, তা কে বললো? কিন্তু যেসব লিস্ট করা হচ্ছে, কোনটাই আনএথিক্যাল না !! আমি যুক্তিগুলো মানতে পারলাম না।
বাকি গুলোর ব্যাপারেঃ দেশের এন জি ও দের ব্যাপারে আর কথা না বলি। যারা জামাত থেকে ঋন নিয়েছে, বুঝতে হবে কোন এন জি ও তাদের পাত্তা দেয়নি। বিশা---ল দরিদ্র জনগোষ্ঠিদের নিয়ে কিছু এন জি ও ব্যাবসা করে, তাতেই খুশী হয়ে যাবার কিছু হয়নাই।
যারা অলরেডী দোকান চালাচ্ছে, আমার আপনার রাইট নাই তাদের দোকান নিয়ে কথা বলার। বরং নতুন করে না করার জন্য মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সম্বলিত গান কবিতা শোনাতে পারি আমরা বস্তিতে বস্তিতে গিয়ে, কিংবা দরিদ্র মানুষগুলো যাদের এখনো কোন রোযগারের ব্যাবস্থা হয়নি , তাদের না হয় চেতনা জাগ্রত করি গান কবিতা নাটক আবৃত্তির মাধ্যমে!!! তাইলে তারা এনজিওদের সাহায্য না পেলেও দরকারে না খেয়ে মারা যাবে। তাদের সংসার ভাংবে। (আজকে দেখি একটা ছবি পোস্ট দেবো), মেয়ের না হয় বিয়ে হলোনা। তাতে কি? মুক্তিযুদ্ধের চেতনাইতো ছিল এটা , তাইনা ?!
স্বাধীনতা বিরোধিতা নিয়ে কোন দ্বিমত নাই কিন্তু জঙ্গীবাদ নিয়ে কথা তুললে, স্যরি আমি একমত নই। এটা প্রুভড না। তাদের পলিটিক্সের বয়স যা, এদ্দিনে বহুত জঙ্গীবাদ হয়ে যেত! আওয়ামী লীগ কিংবা বি এন পির জন্ম নেয়া লাগতোনা। বরং বিশ্বব্যাপী প্রপাগান্ডা এবং ষড়যন্ত্র এবং কিছু মস্তিষ্ক বিকৃত লোকের সৃষ্টি জঙ্গীবাদ। সুতোরাং আমি মনে করিনা রেটিনায় কেউ কোচিং করলে সে জঙ্গীদের মদত দেয়। হাস্যকর। ইবনে সিনায় ভর্তী হলে সে জঙ্গীদের পৃষ্ঠপোষকতা করে, এর চে উইয়ার্ড কথা আর হয়না। ইবনে সিনা হইসে মে বি ৩০ বছরের উপরে। জঙ্গীবাদ তো গত সরকারের আমলেই শুরু হইলো।
যাইহোক, আমার কথা একটাই .। .। এটা ওয়ে না! এটা ঘৃনা করারও কোন ওয়ে না। ব্রেইন স্টর্মিং করেন ব্যাপক ভাবে সবাই। সুস্থ্য রাস্তা বের করেন। আবারো বলছি, তাদেরচে বেটার আইডিওলজী বের করে তাদের ঘায়েল করেন। সেই বেটার আইডিওলজীর ধারক তখন আমরা সবাই হবো। ইনশাল্লাহ।
(সুন্দর ভাবে কথা গুলো না লিখতে পারার জন্য ক্ষমা চাইছি, বেশ অসুস্থ্য, কথা গুছাতে পারছিনা। )
সোহায়লা রিদওয়ান@ আপনি লিখেছেন যে আপনি থুবই অসুস্থ্য। সেটা আপনার মন্তব্য পড়েই বেশ বুঝতি পারছি।
জঙ্গীবাদ নিয়ে আপনি লিখেছেন,
এই লাইনটি পড়ার পর আপনার মন্তব্য পড়া, আলোচনায় যাওয়া, যুক্তিতর্কে লিপ্ত হওয়া বা আপনাকে বুঝানোর বা আমার ভুল শুধরাবার (যদি থাকে) কোনো ধরণের আগ্রহ বা ইচ্ছা হচ্ছে না।
ভাল থাকেন।
ছাগু কিংবা ছাগীদের একটা কমন ট্রেন্ড খেয়াল করছেন বস? যুদ্ধাপরাধী কিংবা জামাত শিবিরের প্রতিরোধমূলক পোস্ট পড়লেই তাগো মনে পইড়া যায় যে দেশের উন্নয়ন হইতেছে না, তখন মালয়েশিয়ার মতো উদাহরণ আসে। আর আমরা যারা গত দেড় যুগ ধইরা রাস্তায় আন্দোলন করতেছি, ব্লগে লেখালেখি করতেছি, আমরা জানি পায়ে বিষফোড়া নিয়া হাটা যায় না সামনে। আগে সেটার চিকিৎসা তারপর সামনে আগানো। এই দেশের স্বাধীনতা আসছে যেইসব মূলনীতির উপর সেগুলো নিয়াই আমাদের আগাইতে হবে, সেগুলো থমকাইয়া দিছিলো যারা, তাদের নির্মূলের মাধ্যমেই তা সম্ভব। ছাগু কিংবা ছাগীদের একটা ফর্মুলা দিতে কন কিভাবে জামাতরে রাইখা দেশটারে মালয়েশিয়ার মতো করা যাইবো। আমরা বন্ধুরেও দেখি ছাগখোয়াড় বানাইতে চায় এইডি, দৌড়ের উপর রাখা দরকার।
জঙ্গীবাদ কথাটা নতুন ভাবে এসেছে , আপনি কি জানেন জামাতের লক্ষ্য যে "জিহাদ" ? তারা এখজন ভদ্রতার মুখোশ পড়ে আছে বলে জিহাদ কথাটা সামনে আনেনা কিন্তু এই জিহাদী জোশেই তারা ৭১ এ অকাম করেছে এই জিহাদী জোশেই তারা রাজনীতি করছে।
জামাতের সাথে জঙ্গী কানেকশন আছে , এটা তো স্বীকার করেন ? জঙ্গী দের এই আস্ফালন তো একদিনে হয় নাই, ধীরে ধীরে হয়েছে।
হ্যা , আমি মানছি কালোবাজারী , হুন্ডির সাথে হাসপাতাল, ব্যাংক কে গুলানো ঠিক হয় নাই কিন্তু এই ব্যবসার লাভের টাকা দিয়ে যখন জঙ্গীদের কে পৃষ্টোপোষকতা করা হয় তখন সেটা যে কাজই করুক না কেন , তা হুন্ডি বা কালোবাজারী থেকে আলাদা কিছু নয়।
মানুষ কে সাহায্য করার যেতেই পারে কিন্তু তাই বলে তাকে জামাতের দিকে নিয়ে যেতে হবে, এটা কোন যুক্তি? আর যখন জামাত থাকবে না , তখন কি গরীবদের সাহায্য আর কেউ করবেনা ? মানুষ তার নিজের প্রয়োজনেই পথ বেছে নেয়।
আপনি একমত নাও হতে পারেন জঙ্গীবাদের ব্যাপারে , সেটা আপনার ব্যক্তিগত ব্যাপার কিন্তু এটাকে উড়িয়ে দিতে পারেন না কিংবা মার্কিন প্রপাগান্ডা বলে এড়িয়ে যেতে পারেন না। পাকিস্তানে প্রতিদিন যে এত মানুষ মরছে সেটা কে কি বলবেন ?
আপনি কি চান দেশেও তাই হোক ইসলামের নামে ? আপনি কি চান দেশে তালেবান টাইপ কোন শাষন ব্যবস্থা চালু হোক ? তালেবান কে কি আপনি মার্কিন প্রপাগান্ডা বলবেন ? বাংলা ভাই কে কি বলবেন মিডিয়ার সৃষ্টি ? পত্রিকায় যে রিপোর্ট আসে জ়ে এম বি'র বই জামাত ছাপিয়ে দেয় , এটাকেও মিথ্যা বলবেন ?
দুঃখিত , আপনার সাথে তর্ক করতে আর ভালো লাগছে না।
বিকৃত মস্তিষ্কের লোক বলতে বাংলা ভাই কিংবা শায়খ কিংবা এখন যারা ধরা পড়ছে তাদেরি বুঝিয়েছি। এতো তর্ক করার আসলে দরকার আমারো ছিলোনা। আমি শুধু মাত্র একটা ব্যাপার ই অনেক কথা দিয়ে বোঝাতে চেয়েছি। সমাধান এ পথে না, প্রতিষ্ঠানে অনেক অনেক সাধারণ মানুষ ও কাজ করে। তাদের পেটে লাথি মারার ব্যাবস্থা সমাধান না। বিকল্প চিন্তা করেন। এভাবে হয়না যুদ্ধ (আমার মতে)।
আমি দেশে তালিবান চাইবো কেন? এতো সহজ? মেয়ে হিসেবে যেই পরিমান কাজ আমি করি, তালিবান হইলেতো সবার আগে আমাকেই মেরে ফেলবে! আমাকে কাফির আখ্যা দিবে। এমনকি জামাত এর লোকজন ও আমাকে বেহায়া নারী বলে অন্তরীণ করতে পারে! পাকিস্তান একটা গন কেইস দেশ, আমরা আলহামদুলিল্লাহ তাদের মত না। এই দেশে এতোটা মূর্খতা বা জাতিগত সমস্যা নেই। শিক্ষার হার কম, কিন্তু ধর্ম নিয়ে এতো বারাবারি আমরা বেশিরভাগ মানুষ অপছন্দ ই করি।
যাইহোক, আমি আমার মতামত জানালাম। অন্যমতের প্রতি যথেষ্ট শ্রদ্ধা পোষন করেই।
@ শওকত মাসুমঃ বুঝতে পেরেছে খোঁচা দিলেন মানসিক অসুস্থ্যতা পয়েন্ট করে। নাহ, সেটা সুস্থ্যই আছে। হাইডোজ এন্টিবায়োটিকের সাইড ইফেক্ট হলো পাল্পিটিশন। সেটার কথা বলেছি।
ভালো থেকেন।
সমস্যা হলো, প্রতিটি জামায়াত নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের আমার মস্তিস্ক বিকৃত বলেই মনে হয়। মানুষের জন্য আমার সহানুভূতি আছে, জানোয়ার ধরণের মানুষের প্রতি না। জামাতীদের আমার মানুষ মনে হয় না।
ভাল থাকেন।
@শওকত মাসুম, আপনার প্রতি যথেষ্ট সম্মানের দৃষ্টি বজায় রেখেই বলতে চাই যে, এর আগের কমেন্টে যে পয়েন্ট অভ ভিউতে আপনি সোহায়লা রিদওয়ানের মস্তিষ্কের সুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন, সেই একই পয়েন্ট অভ ভিউ থেকে আপনার এই কমেন্টকে ঘিরে আপনার প্রতি একই প্রশ্ন তোলা সম্ভব। প্রতিটি জামায়াত কর্মীকে মস্তিষ্ক বিকৃত- অমানুষ- জানোয়ার বলে (কিংবা মনে করে) হয়তো বা মানসিক তৃপ্তি পাওয়া সম্ভব, কিন্তু যে ছেলেটি আমার-আপনারও পরে এদেশে জন্মেছে এবং এখন জামায়াত করছে, তাকে এক ঝটকায় নর্দমায় ফেলে দিতে অন্ততঃ আমি রাজি নই। আমি বিশ্বাস করি যে, আপনি যে কথাটি বলেছেন, তা এদেশে স্বাধীনতার ক্রান্তিলগ্নে জামায়াতের ঘৃন্য ভূমিকা এবং আপনার হৃদয় উৎসারিত দেশপ্রেম হতেই উদ্ভূত। কিন্তু, এই অতি আবেগের ঢলে আমাদের যে কাছা খুলে যাওয়ার যোগাড় হচ্ছে, সেদিকে লক্ষ্য করেছেন কি?
যে তরুণ/তরুণীটি সরল বিশ্বাসে জামায়াতের আদর্শের অনুগামী হয়েছে, তাদের প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছে, ঋন নিচ্ছে কিংবা তাদের প্রোডাক্ট ব্যবহার করছে তাকে আপনি অমানুষ/জানোয়ার বলে ফেলে দেয়ার অধিকার রাখেন না, আমরা কেউ রাখি না। কারন, আমি/আমরা তাকে একটা ভাল আদর্শ, একটা ভাল চাকরি, একটা সহজ ঋন কিংবা একটা বিকল্প প্রোডাক্ট দিতে পারি নি।
সোহায়লার কথা বলার ভঙ্গি আমারো পছন্দ হয়নি(তাঁকে এমন করে কখনো মন্তব্য করতে দেখি নি, শারিরীক অসুস্থতার কারনে হতে পারে!), কিন্তু তাঁর মূল ভাষ্যের প্রতি আমিও একমত। বিকল্প পথ তৈরী না করে ঢালাও বয়কট কোন সমাধান হতে পারে না।
একটা সহজ উদাহরণ দিই। আজকের এই যে জঙ্গীবাদের মূল হোতা হিসেবে আমরা যাদের সামনে দেখি মোটামুটি তারা সকলেই সমাজের উঁচুতলার মানুষ। কিন্তু, জঙ্গীবাদের নামে যারা মাঠে-ময়দানে বোমাবাজি করে বেড়ায়, অন্যকে মারে এবং নিজেরা কাতারে কাতারে মরে তারা সবাই দেখবেন সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মাদ্রাসা ছাত্র, যাদের প্রতি আমরা নাক সিঁটকে বলি, "কোরআন খতম আর মুর্গী জবাই ছাড়া এরা কোন কাজেরই না!" স্বীকার করি আর নাই করি, এই বয়কট আর উপেক্ষা হতে উদ্ভূত ক্ষোভই ধর্মীয় জঙ্গীবাদের আকারে বের হয়ে আসে।
আরো একটা ব্যাপার লক্ষ্য করুন। এই লেখা হতেই আমরা দেখলাম, জামায়াতের এইসব প্রতিষ্ঠানগুলো এখন বেশ ভালো অবস্থায় দাঁড়িয়ে গিয়েছে এবং তাদের নিজেদের কমিউনিটিটাও এতটা গোষ্ঠীবদ্ধ যে, শুধুমাত্র বয়কট করে এদের প্রতি আমাদের বিতৃষ্ণাটুকু হয়ত প্রকাশ করা যাবে, কিন্তু এদের আইডিওলজিকে নির্মূল করা যাবে না। বরং এই যে এখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হচ্ছে তার মধ্য দিয়ে এরা বিতর্কিত নেতামুক্ত হয়ে ক'দিন পর ঠিকই পরিশুদ্ধ হয়ে বেরিয়ে আসবে।
এজন্য আমি মনে করি, সঠিক ধর্মীয় মূল্যবোধের প্রসার, জামায়াতের আইডিওলজির ফাঁকফোকর বের করা এবং দেশপ্রেমনির্ভর বিকল্প আইডিওলজির উন্মেষের মাধ্যমে গনসচেতনতা সৃষ্টি ছাড়া জামায়াতকে প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়।
কোন কথায় কেউ আঘাত পেয়ে থাকলে দুঃখিত।
মানুষ আগে দু'মুঠো ভাত খেয়ে বাঁচতে চায়;তারপর সে মূল্যবোধ নিয়ে ভাবে।
সরল বিশ্বাসে না জেনে শুনেই তারা জামাতী আদর্শের অনুগামী। আপনে যেরকম সাধু সন্ত হিসাবে টাগোরে দেখাইতে চাইতেছেন বাস্তবতা ভিন্ন। আপনের কথানুযায়ী একাত্তুরে যারা বদর বাহিনীতে যোগ দিয়া রাইফেল নিয়া ভারতীয় দালাদের মারছে জবাই করছে তারাও সরল বিশ্বাসী আদর্শবাদি।
@ তায়েফ আহমেদ, আপনার প্রতি যথেষ্ট সম্মানের দৃষ্টি বজায় রেখেই বলতে চাই যে, এর আগের কমেন্টে যে পয়েন্ট অভ ভিউতে আপনি শওকত মাসুমকে নিয়ে প্রশ্ন তুললেন, সেই একই পয়েন্ট অভ ভিউ থেকে আপনার এই কমেন্টকে ঘিরে আপনার প্রতি একই প্রশ্ন তৈরী হয়। একটু খেয়াল করেন, আমাদের এমন পুতু পুতু আচরনের জন্যই জামাতের আজকের অবস্থান। কেউ বলবে সেইখানে অনেকের রুটি রুজি, আবার কেউ বলবে এত বছর পর আবার এইসব নিয়ে কথা বলে জাতীকে বিভাজনে ফেলে দেয়া হচ্ছে। আল্টিমেটলী আমরা কি দেখি? জামাতের উত্থান।
একজন দরিদ্র মানুষকে অনুরোধ করলাম একটা ঘড়ে আগুন লাগিয়ে দিতে, তাহলে তাকে একটা চাকরি দিবো। সে সরল বিশ্বাসে কাজটা করলো। তাকে আপনি কি বলবেন?
আর সোহায়লা রেদোয়ানের ৩টা কমেন্টস ভাল করে পড়েন। আপনি কি ব্লগ জীবনে সন্ধ্যা বাতি/আস্ত মেয়ে কে পেয়েছিলেন? তার কোন ছায়া দেখা যায়? আস্ত মেয়ের কথার শুরুটা এমনি ছিল। "কে তাদের খাওয়া দেবে? কে তার মেয়ের বিবাহ দেবে? পড়ার মুদি দোকানদার গারিব, তাই তার বিকল্প অন্ন সংস্থান না করে তাকে আমরা কিছু বলতে পারি না, ইত্যাদি ইত্যাদি।" আল্টিমেট রেজাল্ট কি দেখলাম? কিছু সহানুভূতিশীল মানুষের ছত্রছায়ায় জামাতের বেড়ে ওঠা।
ইদানিং কালের প্রতিদিনের পত্রিকা পড়লে তার প্রমান পেয়ে যাবেন নিশ্চয়। হুদাই থিউরি/এথিকস কপচাইয়া ফয়দা নাই। এইটা অনেক হইছে। এখন সময় প্রতিরোধের। নায়তো কিছুদিন পর শুনতে হবে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় কিছু বিপথগামী বাঙালী ভুল করছে, তাদের ক্ষমা করে দিয়ে হিংসা বিদ্বেষ ভুলে একসাথে মিলেমিশে থাকি।
আমি এতটা উদার কোন সময় ছিলাম। আমার একটাই পক্ষ। স্বাধীনতার। এর বিরোধোতিকারী সবাই আমার বিপক্ষ। এই অবস্থানে আমার কোন পুতু পুতু ভাব নাই। বুঝিনা ১৯৭১ এ কিছু পশু যে আমাদের দেশে গনহত্যা করছে সেইটা মনে থাকলে এইসব প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সাফাই গাই কিভাবে?
শওকত মাসুম এর মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় আমি আমার মন্তব্যটুকু করেছিলাম। কিন্তু,
- একথার পরে এ নিয়ে আর কথা না বাড়ানোই ভাল মনে করছি। আর
- এ কথার উত্তরে এ বলতে চাই, জামায়াতের উদ্দেশ্যের মহত্ত্ব নিয়ে যদি আমাদের ঐক্যমতই থাকত, তাহলে এই পোষ্টের কোন দরকারই ছিল না। আমরা সবাই জামায়াতে শামিল হয়ে যেতাম!
এইবার জনাব অরিত্রকে বলি।
শরীরের একটা ছোট্ট ফোঁড়া হয়তো আমরা নিজে নিজেই কেটে ফেলতে পারি, ডাক্তারের দরকার হয় না। কিন্তু, একটা টিউমারকেও যদি এভাবে কাটতে যাই, তাকে আপনি গাধামি ছাড়া আর কী বলবেন? '৭১ পরবর্তী সময়ে যে বিষফোঁড়াকে কেটে ফেলা এক হাতের চুটকির বিষয় ছিল, '৭৫, '৮৬, '৯১, '০১ এর পথ বেয়ে সেটি এখন বিরাটাকায় টিউমারের অবস্থায় দাঁড়িয়েছে, হাতুড়ে ব্যবস্থায় এর চিকিৎসা সম্ভব নয়- আমি এ কথাটিই বলতে চাইছি। '৯২ গনআদালত চলাকালে মানুষ যতটা জামায়াতবিরোধী অবস্থানে ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল তা এর আগে-পরে কখনোই হয় নি। অথচ, সঠিক পরিকল্পনার অভাবে কেবল গা জোয়ারী চলার কারনে সেটি শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয়েছিল। অতীত ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয়া দরকার আর অতীত বলতে শুধু '৭১ বোঝায় না!
ঢালাও বয়কট প্রতিরোধের উত্তম উপায় নয়।
সোহায়ালা রিদওয়ানের মন্তব্যের ব্যাপারে আমার ভাল না লাগাটা আমি আগেও জানিয়েছি, তাঁকে ডিফেন্ড করি নি। আর সক্রিয় ব্লগিঙের প্রায় তিন বছর শেষে এসে আপনাকে এই নিশ্চয়তাটুকু দিতে পারি যে, শুধুমাত্র আস্তমেয়ে/সন্ধ্যাবাতিই নয় বরং আরো অনেক ব্লগীয় দ্বিচারীতাই আমি দেখেছি। সে সব কথা তুলে এখন কোন ফায়দা নেই।
আপনার কথাটা ঠিক বুঝি নাই। একদল শুয়োরকে শুয়োর ডাকায় আপনি দুঃখ পেয়ে আর কথা বাড়াতে চাচ্ছেন না ?
বুঝেন নি নাকি বুঝতে চান নি- জানি না।

শওকত মাসুম জামায়াতের সবাইকে অমানুষ-জানোয়ার বলেছেন; আমি ভিন্নমত পোষন করেছি এবং সে মতের পক্ষে আমার মত করে যুক্তি দেয়ার চেষ্টা করেছি। তিনি এ সব কথা শুনতে চান নি এবং ঐ দলভুক্ত সবাইকে শুয়োর বলেছেন। তার অর্থ দাঁড়ালো এই যে, তিনি তাঁর মতের উপরে অটল থাকতে ইচ্ছুক এবং আমার বক্তব্য পাত্তা দিতে অনিচ্ছুক। এমতাবস্থায়, কথা না বাড়ানোটাই যুক্তিযুক্ত মনে হয়েছে। এর মধ্যে যদি আপনি অন্য কিছু আবিষ্কার করতে চান, তাহলে ৪১ নং কমেন্টে একলব্যের পুনর্জন্ম-এর কথাটিকেই
একটু ঘুরিয়ে বলি?
সবাই আপনার কথার সাথে একমত হবে- এমনটা ভাবা নির্বুদ্ধিতা আর সবাইকে আপনার কথার সাথে একমত হতেই হবে- এমন ভাবাটা ফ্যাসিজম। এবার কি বোঝাতে সক্ষম হয়েছি??
তায়েফ ব্যক্তিগত এক্টা প্রশ্ন করি, কিছু মনে কৈরেন্না
এটা কি সত্য 
লোকমুখে আপনার সরাসরি শিবির সংশ্লিষ্টতার কথা শুনি
জনসমক্ষে ব্যক্তিগত প্রশ্ন করে আবার ক্ষমা চেয়ে নেয়াটা কেমন যেন ঠেকে!!!


যাক। পুরানো সহব্লগার- করেই যখন ফেলেছেন.........।
'লোকমুখে'!! 'সরাসরি সংশ্লিষ্টতা'!! নিজেকে সেলিব্রেটি বলে মনে হচ্ছে।
ভার্সিটি লাইফে আমার রুমমেট এবং বন্ধুটি শিবিরের নেতা ছিল, সেই সুবাদে শিবিরের ছেলেদের সাথে ঘনিষ্ঠতাও ছিল। এর নাম যদি সরাসরি সংশ্লিষ্টতা হয়, তাহলে আপনার শোনা কথাটি সত্য। এই কারনে আপনি আমাকে নিদেনপক্ষে ছাগবান্ধব ট্যাগিঙ করতেই পারেন।
(সামহ্যোয়ারে দুই-একজন সে চেষ্টা করেছিলেন)
অবশ্য, আমি পাশ করে বের হয়েছি চার বছর হতে চললো কিংবা ছাত্রইউনিয়ন আর ছাত্রলীগের সভাপতিদের সাথে আমার দহরম মহরমের কথা বিস্তারিত বলে সাফাই গাইতে পারি। দরকার দেখতেছি না।

এক্ষণে অরিন্দম কহিলা বিষাদে! তাইতো কই আপনে জামাতীদের প্রতি এরম মায়াকান্না করতাছেন ক্যান?
আপনে তো দেখি তাইলে বিশাল হ্যাডম ওয়ালা লোক । যাগ্গা .. সোজা কথা হইলো জামাত রে আপনে ঠিক খারাপ কইতে রাজি না , তাই তো ?
জামায়াতকে ভালো মনে করলে তো বহুতদিন আগেই সেখানে যোগ দিয়ে বেহেস্তের টিকেটটা কনফার্ম করে নিতাম।


এখানে মায়াকান্নার ব্যাপারটা পরিষ্কার হলো না!
মগবাজারি পেমেন্টের কথা কী কী শুনি- ঐটা দিয়ে ভালোই রোজগার পাতি হোত।
আমার তিন বছরের ব্লগিং জীবনে এমন কখনো ঘটে নি!
জামায়াতের সবগুলো মানুষই খারাপ না- শুধুমাত্র এই একটা কথা বলতে গিয়ে শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে পৌঁছালাম!
নাকি কোন ব্যাপারে ভিন্নমত পোষন করাই যাবে না!? ভালো লাগল না!
ভালো থাকেন।
আহারে কি দুঃখ !
আপনে বার বার তিন বছর ধৈরা ব্লগিং করি... তিন বছর ধৈরা ব্লগিং করি ম্যাৎকার কইরা কি বুঝাইতে চাইতাছেন বুঝলাম না।
তয় একটা জিনিস খেয়াল করলাম, বহুৎ আগে দেখতাম (তিন বছর মধ্যেকার কথাই কইতাছি আসলে) লাউয়া-উটুল শুকরছানাগুলা কমেন্ট মাইরা লেঞ্জা গুটাইয়া দৌড় দিতো.... আবার অনেকখন বাদে গর্তের থিকা মুখ বাইর কইরা লাদি ছাইরা আবার দৌড় দিতো।
ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ভালৌ বিনোদন দিতাছে
জামাত শিবিরের ক্ষেত্রে এবং তাদের পক্ষে যারা সাফাই গায় তাদের ক্ষেত্রে আমার ব্যবহার্টা এক্টু কেরাম্জেনৈ
কিন্তু নিচেতো কোনো এক অতিথি বলতেছেন পুরাই অন্য কথা? কেম্নে কি???
এখন তো স্বীকার করবো বইলা মনে হয় না। পুলিশ ধইরা যেরম ডিম ডলা দিতাছে। এগিলির(জামাতি) সাহস কোনোকালেই ছিলনা। ওগো বাপেরা পাকিদের শেল্টারে আকাম করছে। বিএনপি আমলে ওগো ঘারে চইরা ঘি মাখন খাইছে। কিন্তু এখন যখন মাইরের উপরে আছে সেই পাটা আছে নাকি যে কইব হে জামাতি। ইনায় বিনায়া ভালো কথা কইয়া সহানুভূতি লইতে চাইব।
রায়হান ভাই, বাদ্দেন... আম্রা ফ্যামিলী লৈয়া টানাটানি না করি...
আমি জামাতিগো কথা কইছি।
হ , কথা ঠিকাছে
@তায়েফ, দুয়েকটা ব্যতিক্রম বাদে সাধারণত প্রকৃত ছাগবান্ধবদেরকেই ছাগবান্ধব বলা হয়ে থাকে। পাশের বাড়িতে পোলাও কোর্মা রান্না হইলে যেমন না দেইখা গন্ধে গন্ধে বলে দেয়া যায়, এই ব্যাপারটাও তেমন।
সামু'তে আপনাকে ছাল-ওঠা (প্রাগৈতিহাসিক) ছাগুদের পোস্টে 'আপু, আপু সহমত' ধরনের মন্তব্য করতে দেখে বলেছিলাম যে আপনি জামাত-সমর্থক, ব্লগে ছাগবান্ধব।
এখন আপনার কোমলানুভূতি-মাখা পোস্টগুলো, যেগুলো ভালো লেগেছিলো আর কমেন্ট করেছিলাম, সেই গুলোকে উদ্দেশ্যপূর্ণ,এবং ভণ্ডাচরণ বলে মনে হচ্ছে।
====
@মাসুম ভাই, পোস্টে তো সিসিবি'তেই কমেন্ট করেছি। ওখানে না থাকলেও এরকম পোস্টে অল টাইম কোন না কোন জামাত-মনা'র দেখা পাই। সেইটার ব্যত্যয়
ঘটলো না এবারও!
- ছন্নছাড়ার পেন্সিল
হাই ডোজ এন্টিবায়োটি প্যালপিটিশন করে? কোন হাকিমে বলেছে? হাইডোজ আবার কি?
ডোজ ঠিক বা বেঠিক হয়।এটা নির্ধারন করবে আপনার ডাক্তার। একেবারেই অর্বাচীনের মতো উক্তি।
অন্য বিষয়ে আপনি কি বলছেন আর একবার চিন্তা করেন।
আমি গতোবার কেয়ারীর জাহাজ বর্জন করেছিলাম সেন্ট মার্টিন যাওয়ার সময়
পুরো লেখাটা পড়ে মনে হচ্ছে, ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজের কথা সেভাবে হাইলাইটেড হয়নি।এই প্রতিষ্ঠান টি থেকে জামাত অনেক আয় করে। পড়ালেখার মান ভাল না হলেও দিন-দিন ছাত্র সংখ্যা বেড়েই চলছে, কারণ ভর্তি হতে ভাল একাডেমিক রেজাল্ট লাগে না।
লেখক কে অনেক ধন্যবাদ, এমন একটা লেখার জন্য। অনেক কিছুই হয়ত এড়িয়ে চলা যাবে, তবে বাস্তবতার খাতিরে সব কিছু সম্ভব নয়।এর জন্য প্রয়োজন ভাল বিকল্প যা আমাদের এখনও নেই।যেমন, ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের কথা বলা যায়। সেখানে প্রচুর হিন্দু রোগীও ভর্তি হয়।এমন কি ঘোর জামাত-শিবির বিরোধী রোগীও। বিশেষ করে শরীরের প্রাইভেট অংশের অপারেশন করাতে।কারণ, রোগী চাইলে তারা প্রসবঘর, ওটি তে যতটা সম্ভব কম পুরুষ রাখে।
যে কোন মানুষ তার ধর্মমতে চলতে চাইতে পারে,সেই ব্যাবস্থাও আমাদের করতে হবে।
জামাত-শিবির কে ঘ্রেণা করা যেমন ইসলাম কে ঘ্রেণা করা নয়, তেমনি ইসলামমতে চলতে চাওয়া টাও জামাত-শিবির সমর্থন নয়।
সময় এসেছে আমাদের ধার্মিক আর জংগিবাদের পার্থক্য বোঝার।
সর্বপরি, আমাদের সচেতন হতে হবে অবশ্যই। আমরা চাইনা-আমাদের প্রিয় দেশটা পাকিস্তান বা আফগানিস্তান হয়ে যাক।
ভাই অতিথি,
সুন্দর কথা বলছেন। এ ঘোর পেছে পড়ে আমাদের অনেক কিছু করা হচ্ছে না। ভাললোক/ নানা প্রকার বুদ্দিমান গুলো চিপায় আটকা পড়ে আছে। এক রোখা/ জেদী/ বেয়াদপ লোক গুলো সামনে চলে আসছে বার বার। জাতি এ হায়নাদের কবলে পড়ে হচ্ছে আরো নিঃস্ব, অসহায়, দরিদ্র।
গুল্লি পোষ্ট মাসুম ভাই। প্রিয়তে রাখলাম।
গুল্লি পোষ্ট মাসুম ভাই। প্রিয়তে রাখলাম এফবি তে শেয়ার দিলাম
পিয়ালের একটা কথা খুব বলতে ইচ্ছা করছে্ আর সেটি হচ্ছে শুয়োরের সাথে সহাবস্থান সম্ভব না। কিছু করার নাই, জামাতীদের আমার এইরকমই মনে হয়।
একটি গরীব কর্মীকে সহায়তা করা বা দেশের মানুষকে কম মূল্যে সেবা দেওয়ার মহান দায়িত্ব নিয়ে জামাতীরা এসব প্রতিষ্ঠান তৈরি করেছে যারা মনে করেন আমি তাদের দলে নই। তাদের পরিকল্পনা অনেক দূরের। আমি সেই দূরের পরিকল্পনা সম্বন্ধে সতর্ক করে দিতে চাই। আর এটাই এই পোষ্টের উদ্দেশ্য। শুরুতে সে কথা কিছু বলেছি, মাণিক ভাই আরও বিস্তারিত বলতে চেষ্টা করেছেন। কাউকে হেয় বা আঘাত করার উদ্দেশ্য না। তবে জামাতীরা যদি কেউ আঘাত পেয়ে থাকেন. তাহলে আমি মহাখুশী।
মন্তব্য পড়ে দুঃখিত হলাম। আবার সুখীতও হলাম। তর্কের ক্যচাক্যচি কখনোই ভালো লাগে না। এতে অজান্তে অনেক কাছের মানুষও দূরে সরে যায়। তাই কয়েকটা সোজা কথা বলি। শুনতে একটু কড়কড়ে লাগতে পারে, কিন্তু কড়া লাগবে না বলেই মনে হয়,
১. জামায়াতের আদর্শিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে। এর সব অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন নিষিদ্ধ করতে হবে।
২. কিশোরকণ্ঠ পত্রিকার আগাপাশতলা ঝেড়ে নতুনভাবে প্রকাশ করতে হবে। সেটা সরকারী-বেসরকারী যেকোন ভাবে হতে পারে।
৩. গ্রাম ও দুর্গমাঞ্চলে ইসলামের নামে যেকোন ধরনের অপতৎপরতা বন্ধ করতে হবে। এজন্য ইসলামের নামে যারা তৎপরতা চালান, তাদেরকে সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে সরকারকে সমর্থন দিতে হবে। সরকার তাদের তৎপরতা খতিয়ে দেখবে, সন্দেহজনক কিছু হলে তার বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেবে। সরকারের কার্যক্রম তদারকে থাকবে গণমাধ্যম, প্রগতিশীল কমিউনিটি এবং সচেতন নাগরিক। সব্বাই যার যার ক্ষমতা অনুযায়ী এই কাজে অংশ নিতে হবে।
৪. বড় বড় জামাতী অর্থকরী প্রতিষ্ঠান, যে পয়েন্টটা এই পোস্টের খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা অংশ; সেগুলোর বিরুদ্ধে কি করা যায় সেটা অর্থনীতি সংশ্লিষ্টদের আরো ভেবে দেখার অনুরোধ করছি। আমরা অবকাঠামোগুলো চাই, কিন্তু সেখানে জামাতী হস্তক্ষেপ চাই না। আমার বিশ্বাস চাইলে এ সমস্যার সমাধান বের করা সম্ভব।
৫. ছোট ছোট জামাতী অর্থকরী প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর যেন কোনো গোত্রের কোপানল না নেমে আসে সেটা গভীর যত্নের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করতে হবে।
৬. জামাতী অপকর্মের সঠিক দলিল সাধারণ মানুষদের জন্য প্রকাশ করতে হবে। আমি নিশ্চিত জানি, বাংলা ব্লগগুলো এক্ষেত্রে পথিকৃৎ ভূমিকা পালন করতে পারবে। সেই সঙ্গে বিগত সময়গুলোয় জামাতের বিরুদ্ধে দেশে যেসব তদন্ত হয়েছে সেগুলোর প্রতিবেদন প্রকাশ করতে হবে। আদালতের রায়গুলোও আমরা দেখতে চাই। এসব থেকে সত্য ও সঠিক ইতিহাস বের করে সেটাকে সংকলন আকারে প্রকাশ করা যায়।
আসলে এমন একটা কাজ করতে চাই যাতে কফিনের ভেতরে মরা ঢুকিয়ে শেষ পেরেক ঠুকে সমাধিস্থ করে দিতে পারি। শেষকৃত্য অনুষ্ঠানেও কোন সংকীর্ণতা থাকবে না। কেননা ওরা যাই হোক, আমরা মানুষ।
জামাতীদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বর্জন করে প্রতিবাদ জানানো টা হবে, " তুমি দুষ্টু, তাই তোমার সাথে ভাত খাবো না" এই টাইপ প্রতিবাদ। জামাতকে রুখতে হলে আগে ওদের স্ট্রেংথ অ্যাকনোলেজ করতে হবে। সবাই বুঝতেছে যে, জামাত বসে বসে তলোয়ারে শান দিচ্ছে, বাঙালী জাতির কল্লা কাটার জন্য, এখন ' ভাত খাবো না" টাইপ অভিমান দেখাবেন, না সেই তলোয়ার ঠেকানোর জন্য প্রস্ততি নিবেন, সেটা চিন্তা করেন।
জামাতীরা ধর্মকে মেরুদন্ড হিসেবে ব্যাবহার করে একটা দানব তৈরি করছে। উলটে সাধারন মানুষ ( এইটা একটা ভুল কথা, একত্রিত নয় বলেই সাধারন, একীভূত জনগনের যে বিশাল শক্তি সেটার ভয়েই জামাত এতদিন মাথা তুলে নাই।) এর মাঝে দেশপ্রেমকে মেরুদন্ড ধরে বিশাল একটা সত্তা (ভাল দানব বলা যায়) তৈরি করতে হবে। সুবিধা যে শুধুমাত্র সংখ্যাধিক্যের কারনে এই সত্তা বেশি শক্তিশালী হবে। এবং এর জন্য বিশাল অর্থায়নেরও প্রয়োজন নাই। কেবল দরকার সচেতনতা।
আপনার সন্তান, ভাই বোন , বন্ধু সবার মাঝে দেশের জন্য মায়া, ভালোবাসার চর্চা করুন। কেউ উলটো পালটা কিছু বলে ঝামটে দিন।
এতে দু'টা লাভ। কখনো জামাত কিছু করবার চেষ্টা করলে একসাথে রুখে দাড়াবার মানুষের অভাব হবে না। দুই, এই ভয়েই জামাত কখনো কিছু করতে সাহস পাবে না। একেবারে নির্মূল করা না গেলেও তাদেরকে শিকলে আটকে রাখা যাবে।
আমরা নিজেরাই নিজেদের শক্তিকে উপলব্ধি করি না।
দারুন পোস্ট মাসুম ভাই ।
জামাত-শিবির োন্দাইতে কোন যুক্তি লাগে না। যে সমস্থ আবাল এখানে ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চার মত ফালপার্তাছে ফ্রিতে সেই আবালগুলার োন্দে আইক্কাওয়ালা বাঁশ দেয়া হোক।
@ সোহায়লা রিদওয়ান -
আপনের কাছে এই পোস্ট অসুস্থ লাগলে তফাতে যান , জামাত-শিবির শুয়োরের বাচ্চাদের যারা সহানুভূতির চোখে দেখে তাগোরে আমি কুত্তার বাচ্চা বইল্যা গন্য করি। কোন সমস্যা ?
সমস্যা তো মনে হয়। কথা বার্তা তো রাজাকার্নি আস্তমাইয়া টাইপ। জামাতিগো খারাপ কইলে জাগো খাউজানি উঠে বুঝতে হইব সেগিলি জামাতি গো ইয়ে লেহনকারি।
এবিতেও কি মগবাজারী পেইড ছানাপোনা রিক্রুট হইয়া গেছে তাইছে !
এই কথাটা ফার্স্টে কইতে গিয়াও কই নাই। এবি'তে ঐ অসুস্থ পরিবেশ দেখতে চাই না। বিমা'কে উত্তম জাঝা। তবে টুটুল ভাইয়ের কথাটাও মাথায় রাখা দর্কার।
খুউব খিয়াল কইরা...
কাচ্চি বিরিয়ানীর গন্ধ পাইতেছি

তায়েফ আহমাদ সাহেব যে এত লেকচার দিতাছেন, লোকে কি জানে যে আপনে এককালে শিবিরের কত বড় নেতা আছিলেন?!!
শিবিরের নেতা ছিল বলেই কোনো বিষয়ে কথা বলতে পারবে না এরকম কোনো আইন আছে বলেতো জানি না। বাংলাদেশ সংবিধানেও নাই আর আমরা বন্ধুর নীতিমালায়ও নাই। তাহলে এইবার আপনি আমাকে একটু বলেন এই কমেন্টের উদ্দেশ্য কি? কমেন্ট রিপোর্ট করার অপশন কি আমি জানি না। আর অতিথি কমেন্ট হলেতো আরো কথা নাই। তবে এইটা সরাসরি ব্যক্তি আক্রমন দোষে দুষ্ট কমেন্ট। আশা করি মডারেটররা এটার যত্ন নিবেন।
কথা বাড়ালেই কথা বাড়ে। তায়েফ সাহেব এক সময়ে চট্টগ্রাম বি আই টি তে ছাত্র শিবিরের টপ লেভেলের নেতা ছিলেন। (পোস্টটা মনে পর্তেছেনা) যে কারণে আইজকা আরাম আয়েশে চাকরি কর্তেছেন। উনি জামাতরে পছন্দ করেন কি করেন না এটা একটা ভ্রান্ত ধারমা। আপ্নেরা একটু কষ্ট কইরা শিবিরের ফেসবুকে ঘুরান দিলে অনার সুরুত মোবারকের দেখা পাইবেন।
তায়েফ সম্পর্কে কি শুধু এইটুকু তথ্যই জানেন? নাকি আরো কিছু জানেন? ও কোথায় কি চাকরী করে সেইটা জানা থাকলে অন্তত এই কথা বলতেন না যে শিবিরের টপ লেভেলের নেতা ছিল বইলা আরাম আয়েশের চাকুরী করতেছে। যাই হোক আমি বলে দিই। চট্টগ্রামের ল্যান্ডফোন কোম্পানী এস,এ, টেল এ চাকরী করছে, তা প্রায় বছর দুয়েক হলো। লিখিত পরীক্ষায় প্রথম হয়েছিল। তাই কোনো তদবীর আসলে লাগেনি। এটা সাফাই দেয়ার জন্য বলছি না। আপনার কথাটার জবাব দিলাম শুধু।
আমার মাত্র দুইটা ব্যাংক একাউন্ট। ইসলামী ধারার কোনো ব্যাংকে না। টিভি দেখি শুধু খেলার চ্যানেল আর মাঝে মাঝে সময় পেলে মুভি চ্যানেল। ইস্ট ওয়েস্ট এ এম,বি,এ করতেছি। এটা জামাতী ব্যবস্থাপনা দায়ে দুষ্ট কিনা জানা নাই। যদি হয়, এইখানে কন্টিনিউ করার ব্যাপারে আবার ভাবব। জীবনে একবারই শূধু কোচিং করছিলাম, সানরাইজে। অল্প কয়েকদিনই ক্লাস করছি। ভাল্লাগে না। খুব বোরিং। এখন মাঝে মাঝে যখন অন্য এসি বাস গুলাতে সিট পাই না বাধ্য হয়ে গ্রীণ লাইনে যাই।
সচেতন অবচেতন যাই হোক , জামাতী সম্প্রিক্ত ঐসব প্রতিষ্ঠান গুলা এড়ায় চলার একটা ব্যাপার আপনা আপনিই হয়তো আইসা পড়ে। সব মিলায় পোষ্টের সাথে আংশিক সহমত, ৭১ নম্বরে ভাস্কর দার পয়েন্টে পুরাই সহমত।
আমার নানার বাড়ি হইল চকরিয়াতে। ঐদিকের বেশিরভাগ এলাকাতেই রাজনৈতিক মতাদর্শে জামাতী চিন্তা ধারার মানুষ অনেক বেশি। এই ধারাতেই আমার নানার গুষ্ঠির প্রায় সবাই জামাতী চিন্তা ধারায় বিশ্বাসী। আমার মামাদের কারো জন্মই ৭১ কিংবা এর আগে না। অতএব, এরা কেউই যুদ্ধ অপরাধী নয়, কিংবা এর সাথে সংশিষ্ট নয়। তারপরেও ওদের এভাবে ঐ সংগঠনের সাথে জড়িয়ে পড়ার পেছনে কারন কি সেটা খুজে বের করতে গিয়ে দেখলাম খুবই করুন একটা কাহিনী। যাদের চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার এই এলাকা গুলো সম্পর্কে কিছুটা ধারনা আছে তারা হয়তো জানেন এই দিককার মানুষজন খুব বেশি ধর্ম পরায়ন অথবা ধর্মভিরু। আর এদের মধ্যে অনেকেই খুব সহজে জামাতী অথবা সমমনাদের সস্তা ধর্মীয় খোলশে আটকা পড়ে যায়। সবচেয়ে অবাক করা ব্যাপার হলো আমি আমার নানীকে দেখতাম উনি বেশ খুশি তার ছেলেদের ছাত্র শিবির করায়। কারন এতে তার ছেলেরা ৫ ওয়াক্ত নামায পড়ছে। অনেকবার নানীর সাথে এটা নিয়ে কথা বলতে গিয়েছি। উনি আসলে কিছুই বোঝেন না জামাত কি? ছাত্র শিবির কি। ওনার কথা একটাই ছেলেরা নামায পড়ছে। সব কিছু দেখে মাঝে মাঝে আমার অনেক রাগ লাগলেও আমি অনেকটা মেনেই নিয়েছি আসলে এতে আমার মামাদের তেমন কোন দোষ নেই। ওরা খুব সহজ সরল গ্রামের মানুষ। অনেক কষ্ট করে জীবন চালায়। সারাজীবন পড়াশুনা করেছে লজিং থেকে। একজন এখন দেশের বাইরে। খুব যে ভাল আছে তা না। আরেকজন খুব ছোটখাট একটা চাকরী করছে। এমন না এটা শিবির করার কারনে পাওয়া চাকুরী। নিজের স্বল্প যোগ্যতায় পাওয়া খুব ছোট একটা চাকুরী। আরেকজন সেও চাকুরী করছে একি রকম। ছাত্রশিবির কিন্ত জামাত মতাদর্শ থেকে ওরা কিন্ত কিছুই পায়নি কখনো। তারপরো ওরা ঐ মতাদর্শের অনুসারী, কারন ওরাই শুধু মাত্র ৫ ওয়াক্ত নামাযের জন্য আহবান করে। সাঈদী তখন সক্রিয় রাজনীতীতে আসেননি। তখন একবার আমার মামাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম দেলোয়ার হোসেন সাঈদী মানুষটা কেমন? মামা সাথে সাথে সাঈদীকে অনুকরন করে তার ওয়াজ মাহফিলের কিছু অংশ শুনিয়ে দিলেন। শুনতে আমারো ভালোই লাগলো। এখন মামারা সাঈদীকে আগের মতন পছন্দ করে না। কারন তার লোভী চেহারার সামান্যটা হলেও তারা বুঝতে পেরেছে। যাই হোক এত কথা বলার একটাই কারন। আমার কি আমার মামাদেরকে ঘৃণা করা উচিত? আমার কখনো সেরকম কিছু মনে হয়নি। ঘৃণা কখনোই কোনো সমাধান না। পুরা বাংলাদেশে জামাতী আর ছাত্র শিবিরের মোট সংখ্যাটাকে বিবেচনা করলে দেখা যাবে আমার মামাদের মতন মানুষের সংখ্যাটা নিতান্তই কম না। আমার নানীর মতন কিছু না বুঝেই পাচ ওয়াক্ত নামায পড়ার জন্য ছেলের শিবির করাকে মেনে নেয়া মায়ের সংখ্যাও বোধ করি কম না। এটাও আমাদের মনে রাখতে হবে। তবে একটা সত্যি কথা, আমি সবসময় বিশ্বাস করি। জামাতীদের ভিত্তিটা খুব শক্ত নয়। একদিন না একদিন এই খোলশটা ভেঙে পড়বেই। আমি আমার মামাদের মধ্যে পরিবর্তন দেখছি। হ্যা সেটা অনেক ধীর গতিতে হচ্ছে, কিন্ত হচ্ছে সেটাই সত্যি। আমার বিবেক বুদ্ধি বলে আমি আমার মামাদেরকে মেরে ফেলব না, তাদের কথা বলার সুযোগ দেব। তাদের কে তাদের চিন্তা ধারার সমস্যাটা বুঝতে সাহায্য করব। ওদেরকে সময় দেব। এটাই আমার স্টাইল।
আমার মায়ের আপন ভাই বলেই শুধু নয়, এই ব্যাপারটা আমি সবসময় মেনে চলার চেষ্টা করে এসেছি। আমার অনেক স্কুলবন্ধু কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে ছাত্রশিবিরের সাথে জড়িয়ে পড়েছে। ওদের সাথে প্রায়ই আমার নানান বিষয়ে তর্ক বিতর্ক হয়।কথা কাটাকাটি হয়। যুক্তি তর্ক দিয়েই কথা বলি সবসময়। চেষ্টা করি যুক্তি দিয়ে ওদেরকে আমার পয়েন্ট এনে আটকে ফেলার। কারন আমি জানি এরাও কোনো না কোনো ভাবে আমার মামাদের মতই প্রভাবিত। আর একটা বয়সে ভেতরে কোনো একটা কিছু গেঁথে গেলেই সেটা হুট করে তাড়ানো যায় না। অনেকেই আমার এই স্টাইলের বিরোধীতা করে। বেশিরভাগ মানুষ দেখেছি ধরে ধরে মেরে ফেল টাইপ প্রতিক্রিয়া দেখায়। তবে আমি আমার স্টাইলে বিশ্বাসী এখনো। কারন আমার বেশ কয়েকটা বন্ধুকেই দেখেছি আস্তে আস্তে সরে এসেছে, বুঝতে শিখেছে। সব কিছুর জন্য সময় লাগে। আমাদের কে বুঝতে হবে কোনটা আসলে বিষদাত। উপড়ে ফেলতে হবে। আর কোনটা ঘষামাজা করে সুন্দর করতে হবে। যাই হোক অনেক কথা বললাম। এত কথা বলার কোনো ইচ্ছে ছিল না। স্বয়ং মডূর অনুরোধে কমেন্ট করতে আসা। নয়তো এই পোষ্টে হয়তো অন্য সব পোষ্টের মতন একটার বেশি কমেন্ট করাই হতো না।
আমার বন্ধু ব্লগের কাছে প্রত্যাশাটা আরো একটু বেশি। এখানে সামুর মতন বিরক্তিকর ব্যক্তি আক্রমন আশা করি না। সবাই নিজ নিজ মতাদর্শে থেকেই মুক্ত বুদ্ধির চর্চা করুক না। ক্ষতি কোথায়। কারো কথা পছন্দ না হলে যুক্তি তর্ক দিয়েই সেটার বিরোধীতা করা উচিত। যুক্তির ধার দিয়ে না ঘেষে ব্যক্তি আক্রমন করে তর্ক জেতার ব্যাপারটা খুব বিরক্তিকর লাগে। অন্তত একটা জামাতীমনা কেউ যুক্তি তর্ক দিয়ে কোনো কথা নিজের পক্ষে নিয়ে যেতে পারে এটা আমার বিশ্বাস হয় না। অনেক দেখেছি। কেউ পারেনা। সামুতে কোনো এক্সপেকটেশন নাই বলে এটা এক্সপেক্ট করি না যুক্তি দিয়ে আলোচনা হবে। বরং দুইটা গালি দিয়ে কথা বার্তাকে মারামারি পর্যায়ে নিয়ে যাবে এটাই স্বাভাবিক। এবিতে এমন কিছু আশা করি না।পোষ্টের কিছু কমেন্ট বিরক্তিকর লাগছে। আর প্রিয় কিছু মানুষের এই পোষ্টের কিছু কমেন্টও ভালো লাগে নাই। এবিতে আরেকটু সহনশীল আর নমনীয় পরিবেশ আশা করি। ব্লগটা যেন কোনো ভাবে আমরা বন্ধু থেকে আমরা আমরাই বন্ধু হয়ে না যায়।
এবিতে ছাগু চাই না। বন্ধুবেশী ছাগুর কোনো দরকার নাই আমাদের।
পিয়াল ভাইয়ের সাথে একমত। ছাগবন্ধুর দরকার নাই আমাদের। জামাতী মতাদর্শের মুক্তবুদ্ধির চর্চায় আমি বিশ্বাসী না। জামাতী কোলে নিয়া ঝুলাঝুলি আপনেরা করেন। আমি এই জীবনে পারুমনা।
এবিতে জামাতী না থাকলেই পরিবেশ ভালো থাকবে। জামাতি আসলেই পরিবেশ নষ্ট হয়।
তাহলে সেটা নীতিমালায় অন্তর্ভুক্ত করেন। কোনো যুদ্ধ অপরাধী, অথবা তাদের পরিবার পরিজন, তাদের সমর্থক, তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল, জামায়েত ইসলামী বাংলাদেশ এর সদস্য কিংবা এর তথাকথিত ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবিরের কর্মী অথবা অনুসারী কিংবা এদের সাথে যগাযোগ রক্ষাকারী কেউ আমরা বন্ধুতে যেন না আসে। যদি নাই চান তাহলে আইন করে চাইবেন না। তাহলে কেউ আসতে পারবে না কিংবা আসবেও না। আইনে ফাঁক ফোঁকর রেখে চাইনা চাইনা প্রপাগন্ডা বিরক্তিকর। আর এই নীতিমালাটাও বদলে ফেলেন।
ঙ. সমালোচনার সুস্থ দিকটিকে সবসময়ই উৎসাহ দিবে আমরা বন্ধু। পারস্পরিক পিঠ চাপড়ানোর চেয়ে বন্ধুরাই বন্ধুদের গঠনমূলক সমালোচক হয়ে উঠবে, এটাই প্রত্যাশা করে আমরা বন্ধু।
@ আহমেদ রাকিব, থাকলে এমনেই থাকতে হইবো নইলে ফোট ।
এই নীতিমালা মানুষ এবং বাঙালীর জন্য, ছাগু এবং পাকিস্তানপন্থীদের জন্য না
এই বাক্যটাই নীতিমালার শেষে অন্তর্ভুক্ত করেন। পছন্দ হইছে।
ছাগু আবার বন্ধু হয় কেমনে !
ছাগু তো োন্দানোর জিনিস,,, এবিতে ছাগু দিখলে োগার হাড্ডি ছুটানো হবে সোজা কথা।
মুক্তবুদ্ধির চর্চা শব্দটা নিয়া আমার একটু আপত্তি তৈরী হইলো। জামায়াতি বা অন্য যে কোনো ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলের বক্তব্য থাকলে কিন্তু আর মুক্তবুদ্ধির চর্চা সম্ভব না...কারণ ধর্ম বিশ্বাস নির্ভর একটা মতবাদ, ধর্মে পরবর্তীতে অনেকরম যূক্তি আরোপ করা হইলেও আসলে মুক্তবুদ্ধি'র সাথে অদৃষ্টবাদের এই সাংঘর্ষিক অবস্থানটাই সত্য। আমি নিজে অনেকসময়েই সহাবস্থানমূলক আলোচনায় বিশ্বাসী। একজন জামায়াতি যদি তার ধর্মীয় গোড়ামি দিয়া বিশ্লেষণ করতে চায়, ধর্মের নামে ব্যবসা করতে চায় তার সাথে তর্ক করতে আমার অনাগ্রহ নাই, তার অনুসারির সাথেও তর্ক করতে আমার ক্লান্তি লাগে না। কিন্তু এইটা মুক্তবুদ্ধির প্রয়োজন বইলা জায়েজ করাটা কিন্তু বিপজ্জনক।
ঠিক। পুরা সহমত। আমার কমেন্টের মুক্তবুদ্ধির চর্চা শব্দটা উইথড্র করলাম। মুক্তবুদ্ধির চর্চায় আসলে ওদের সাথে কোনো আলোচনা না। তবে কোনো বিষয়ে ওদের মতামত শুনতে আমার অনাগ্রহ নাই। এইটাই আমার কথা। ধন্যবাদ ভাষ্কর দা। গুছায় বলতে পারি নাই যেটা বলতে চাইছি। আপনে টু দ্যা পয়েন্টে নিয়া আসছেন কথাটা।
এবিতে শহীদ জননী জাহানারা ইমামের স্মরণে ব্যানার হয়, ছাগুনেতারা তাঁকে জাহান্নামের ইমাম বলে সম্বোধন করে। জামাতের কুকীর্তির কথা আসলে ছাত্রলীগ টেনে আনা হয়। মুক্তবুদ্ধির তর্ক সবার দ্বারা হয় না, সবার সঙ্গে করাও সম্ভব না। কুবিশ্বাস অথবা কুতর্কের জন্য যে যার প্রাপ্য পেয়ে যায়; নীতিমালার ঘোষণাতেই হোক, অথবা সহব্লগারের প্রতিক্রিয়াতেই হোক।
হ ।
ছাগু মাংস কিনলাম কাইল $৮.৯৯ কেজি
পোষ্টের কমেনট অনেক জায়গায় ইবনে সিনার কথা আসল তাদের সেবার নমুনা
বুঝতে নিচের পোষ্ট খানি দেখলেই চলবে
http://prothom-aloblog.com/posts/3/102901
শুধু নিজেই বর্জন নয়, অন্যদেরকেও বর্জনে উৎসাহিত করতে হবে। আমি অনেক আগে থেকেই এ কাজটি করে আসছি এবং অনেক ক্ষেত্রে সফলও হয়েছি। আমি নিজে একটা ব্যাংকে চাকুরী করি, আমি আমার শাখা থেকে একজন গ্রাহককেও ইসলামী ব্যাংক কর্তৃক মোটিভেট করে নিতে দিইনি। উল্টো ওদের অনেক গ্রাহককে নিজের গ্রাহক হিসেবে নিয়ে এসেছি।
আমি যদিও বেসরকারী ব্যাংকে চাকরী করি, বর্তমানে সরকারী ব্যাংকগুলোর গ্রাহকসেবা মন্দ নয়। সরকারী ব্যাংকগুলোর প্রধান যে সমস্যা তা হল বয়সী স্টাফগণ কাজে স্লথ এবং টু-পাইস কামানোর ধান্ধা। নতুন ইয়ং অফিসাররা যোগ দেয়ায় এসব সমস্যার অনেক সমাধান হয়েছে। আর ২-৩ বছর পর পূরাণো স্টাফ একেবারেই কমে আসবে, তখন বর্তমানের অনেক সমস্যার সমাধান হবে।
ইসলামী ব্যাংককে হটাতে পারলে ওদের প্রধান উৎসেই বিঘ্ন ঘটবে। ইসলামী ব্যাংক বর্জন অনেকটা শুরুও হয়ে গিয়েছে। ২০০৯ সালে ইসলামী ব্যাংকের প্রবৃদ্ধি প্রায় সকল বেসরকারী ব্যাংকের চেয়েই কম। অনেক বেসরকারী ব্যাংক বর্তমানে এস.এম.ই নিয়ে এসেছে। সরকারী ব্যাংকগুলো এস.এম.ই চালু করলে ওরা মার খাবে।
ওদের অনেক প্রোগ্রাম রয়েছে যার মধ্যে একেবারেই বিনাসুদে লোন দেয়া একটি। এগুলো গ্রামে দেয়া হয়। এর মাধ্যমে ওরা জামায়াত সদস্য সংগ্রহ করে। সম্ভবত এ লোন দেয়া হয় বিদেশী সাহায্য দিয়ে। এটা বন্ধ করার দায়িত্ব সরকারের। কারণ বিদেশ থেকেতো সাহায্য নিতে পারে সরকার, কোন প্রতিষ্ঠান নয়। প্রতিষ্ঠান নিলেও সেটা সরকারী থ্রুতেই আসতে হয়। অবৈধ পথেও এ টাকা আসতে পারে, এর তদন্ত দরকার।
জামাতিদের এখনও বড় একটা অর্থ আসে বিদেশে যারা প্রাক্তন ছাত্রশিবিররা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে তাদের মাধ্যমে...এরা সবাই দেশে নানা ভাবে বিনিয়োগ করে এবং অবধারিত ভাবেই সব শিবির কর্মী....দুঃখের বিষয় হলো বিএনপি এবং আওয়ামী লীগের সব নেতাই ক্লাসের লেখা পড়া না করা মাস্তান...শিবির ছেলে পেলেরা যেটা না..এরা ঠিকই নিজেদের ক্যারিয়ারে পৌছে গেছে বা যাচ্ছে....বাকী দুই দলের মত টেন্ডারের ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে পড়ে থাকে নি....এই অর্থনৈতিক এবং শিক্ষায় এগিয়ে থাকা এই শিবির প্রজন্মকে ডিফেন্ড করার মত কি নেতা/সদস্য তৈরি করতে পারবে বাকী দুই দল?
ইসলামী ব্যাংক বন্ধ কইরা দিলে দেশের এক টেকার ক্ষতিটা কই সেইটা একটু কেউ যদি বিশ্লেষন কইরা কইতোভালো লাগতো... আমি অর্থনীতির কেউ না তয় সাধারণ চোখে কোনো সমস্যা হইবো বইলা মনে হয় না... আব্বা আম্মারে তো সোনালী, রুপালী ব্যাংকে আরামসে টাকাপয়সা রাখতে দেখছি, আমার চাইর বছরের চাকরী জীবন এক ব্যাংক এশিয়া দিয়া পার কইরা দিলাম, দেশে ব্যাঙের ছাতার মতো এতো এতো ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংকে ব্যাংকিং না করলে ধর্ম নষ্ট হয়ে যাবে, হারাম সুদ খাইতে হবে এমন তো কিছু না, ইসলামী ব্যাংকে টাকা হালাল উপায়ে বাড়বে, অন্য ব্যাংকে হারাম উপায় এমনটাও তো না... তো খামাখা জঙ্গীবান্ধব একটা ব্যাংক টিকায়া রাখার কি দরকার বুঝি না, আমার চাইরপাশে কাউরে কোনোদিন ইসলামী ব্যাংকে যাইতে দেখি নাই, এইটাতে আসলে কারা যায় কে জানে....
ইবনে সিনারও একই কথা, খরচ কম বেশী এগুলা একটা ভাঁওতা বইলা মনে হয় (অবশ্য আমি নিজে এইটা সারাজীবন এড়ায়া চলছি)...আমাদের চিকিৎসা ব্যবস্থাটা এমন, আপনি না বুঝে শুনে যেইখানেই যান না কেনো খরচ এদিক ওদিক হবেই... কেউ কি বলতে পারবেন একটা চেষ্ট এক্সরে করাইতে ল্যাব এইডে কত নেয় আর ইবনে সীনায় কত নেয়...২৫% কম নেয় বইলা যে দাবী করে সেইটার ভিত্তি কতটুকু....
কলেজ পেরোবার পরে একদিন চমেকের সামনে তখনকার কলেজের শিবিরের সাবেক হেড মোর্শেদ ভাই এর লগে দেখা হইছিলো... এই কথা সেই কথার পরে জিগায় কই কোচিং করো, আমি কই সানরাইজে... বলে হায় হায় রেটিনাতে না ঢুইকা ঐখানে গেছো কেন... সাহস কইরা বইলা বসলাম, আমার চাইর হাজার টেকা দিয়া আর্মস কিনা কেউ মুহুরীর মাথায় গুলি করুক এইটা আমি চাই নাই... সেই লোক তার পরেও একটা হাসি দিছে.... আমি ঘুইরা চইলা আইলাম... অধ্যাপক গোপাল কৃষ্ণ মুহুরীর খুলি ফাঁক করা মৃতদেহ দূর থেকে হলেও দেখার দূর্ভাগ্য হয়েছিলো, পরে পেপারে দেখেছি এইট মার্ডার আর ঐ ঘটনা মিলে যারা গ্রেপ্তার হয়েছিলো তাদের কেউ কেউ আমাদের কলেজে নিয়মিত আড্ডা দিতো (যদিও পরে শিবির তাগো চিনতে অস্বীকার করছে)...
জামাত শিবিরের এইটাই পলিসি, মানুষে দূর্বল দিকটায় হামলা করে.... গরীব গ্রাম থেকে আসা পোলাপাইনদের টার্গেট করে... কাইয়ুম স্যারের কাছে কোচিং করার সময় একটা ছেলের সাথে পরিচয় হইছিলো কক্সবাজারের... বাপের সেকেন্ড বিয়ায় ছোটো ভাই রে নিয়া রাগ কইরা ঘর ছাড়ছে... চকবাজারে একটা চিপা রুমে কি কষ্ট করে থাকতো ছেলে দুইটা, কি হাস্যমুখী দুইটা ভাই... এই ছেলেটারে শিবির ভুলায় ভালায় কই যে নিয়া গেলো, আর খোঁজ পাইলাম না.... অদ্ভুত একটা কথা নামাজ রোজার কথা বলে দেখে শিবিরে মানুষজন যায়, নামাজ রোজা হইলো মুসলমানের বেসিক, এইটা তো এমনিতেই করতে হইবো, দল করতে বলছে তাই করতাছি -- এমনে তো আর নামাজ পড়ার কথা বলা হয় নাই...
গরিব মানুষ খাবে কি, আগে একটা অলটারনেট কইরা তারপরে শিবির খেদান, এইসব নাকি কান্নার কোনো বেইল নাই.... সৌদি কোটি কোটি টেকার অনুদানে মার্বেল বসানো মসজিদ আছে এমন গ্রামে একটা ঘরেও প্রপার স্যানিটেশন নাই এমনটা দেখছিলাম এক ট্যুরে যাওয়ার পথে... শান শওকতটা কমিয়ে দিলে, মার্বেল আর ইয়া বড় গম্বুজ না বানায়া ঐ টেকা দিয়া শখানেক স্যানিটারী পায়খানা বানাইলে মানুষের সেবা অনেক বেশী হইতো তাই না... জামাত শিবির দেশে কয় টাকার উপকার করছে নি:স্বার্থভাবে সেইটা কেউ দেখাক...
স্যরি লম্বা কমেন্ট এর জন্য.... পুরো পোষ্টের কমেন্ট পইড়া মেজাজ খারাপ হইয়া গেলো...যা মনে আসে তাই লিখলাম... সোজা কথা হইলো জামাত শিবির রে সামাজিকভাবে বয়কটের কোনো বিকল্প নাই.....
আমার এখন পর্যন্ত ওদের কোনো সার্ভিসকেই এমন মনে হয় নাই যে ঐটা ছাড়া চলা যাবে না। এইটা এভোয়েড করা তেমন কঠিন কোনো কাজ না। আর তোমার একটা কথা কোট করি।
জামাত শিবিরের এইটাই পলিসি, মানুষে দূর্বল দিকটায় হামলা করে.... গরীব গ্রাম থেকে আসা পোলাপাইনদের টার্গেট করে... কাইয়ুম স্যারের কাছে কোচিং করার সময় একটা ছেলের সাথে পরিচয় হইছিলো কক্সবাজারের... বাপের সেকেন্ড বিয়ায় ছোটো ভাই রে নিয়া রাগ কইরা ঘর ছাড়ছে... চকবাজারে একটা চিপা রুমে কি কষ্ট করে থাকতো ছেলে দুইটা, কি হাস্যমুখী দুইটা ভাই... এই ছেলেটারে শিবির ভুলায় ভালায় কই যে নিয়া গেলো, আর খোঁজ পাইলাম না.... অদ্ভুত একটা কথা নামাজ রোজার কথা বলে দেখে শিবিরে মানুষজন যায়, নামাজ রোজা হইলো মুসলমানের বেসিক, এইটা তো এমনিতেই করতে হইবো, দল করতে বলছে তাই করতাছি -- এমনে তো আর নামাজ পড়ার কথা বলা হয় নাই...
এই প্যারাটা খুব বেশি সত্য। এরকম অনেক অনেক ঘটনা আমি দেখছি। এইটা ভাঙার দায়িত্ব কিন্ত আমরা কোনো ভাবেই এড়াইতে পারি না। যারা যায় তারা সবাই জাইনা শুইনা বুইঝা যায় এইটা আমি ঠিক মানতে পারি না। এইটা কথাটা আমার সবসময়ই মনে হয়। জানি না আমার মনে হওয়াটা ভুল কিনা।
রোহানের মন্তব্যের জন্য বিশাল অভিবাদন।
সহমত জানানোর পাশাপাশি এটুকুই বলতে পারি, ধর্মপালনের জন্য যদি কারো নিজধর্মের আবির্ভাবের ১৪০০ বছর পরের পাকিস্তান বা বাংলাদেশের কোন রাজনৈতিক দলের (তাও ঘাতকদালালপরিপুষ্ট) অজুহাত প্রয়োজন হয়, তবে তার ধর্মবোধের জন্য করুণা।
এবিতে রোহানের অ্যাকাউন্টটির পোস্টশূন্যতা ঘোচানোর দাবী জানিয়ে গেলাম।
১০০% সহমত ।
হমম আপু আপনার সাথে একমত। তবে এটা মাথায় রাখাটা আমি সবসময় প্রয়োজনীয় বোধ করি, সব মানুষের চিন্তা ভাবনার ক্ষমতা একি রকম হবে না। এটা চেয়েও লাভ নেই। সম্ভব না। এমন কিছু মানুষ থাকবেই। এটা এভোয়েড করার কোনো সুযোগ আছে বলে আমার মনে হয় না। যারা এদিক থেকে দুর্বল কিংবা পিছিয়ে তাদেরকে করুণার পাশাপাশি সুযোগ থাকলে সাহায্য করা উচিত। এবং এটা আমাদেরই দায়িত্ব বলে আমি মনে করি। আমি আমার ব্যক্তিগত একটা উদাহরন দিয়ে এই কথাটাই বলার চেষ্টা করেছি। অন্য কোনো কিছু মিন করে কোনো কথা বলি নাই। আশা করি এটা নিয়ে কোনো ভুল বোঝাবুঝি হবে না।
সেইটাই... ধর্ম পালনের জন্য দল করতে হবে এইটা কোনো লজিকই না...আর এই দলগুলা যতোই ইসলামের কথা বলুক, ইসলামী শাসন ব্যবস্থা আর এদের কথাবার্তার মাঝে অনেক ফারাক...
জামাত শিবির এমন কিছু সংবেদনশীল জায়গা নিয়ে কাজ করে যে এদের বুঝিয়ে শুনিয়ে লাইনে আনা কঠিন... পুতুপুতু আচরণে কিংবা সুশীল কথার প্রয়োগের সময় আর আছে কিনা সেইটা একটা চিন্তার বিষয়... কলেজে থাকতে কিংবা চিটাগাং এ অনেকগুলো বছর কাটানোয় শিবিরের পোলাপাইন কম দেখি নাই... পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়াটাই সব কিছু না, এই পোলাপাইনদের মাঝে এথিকস জিনিসটা খুব কম, লজিক বইলা কিছু নাই বললেই চলে... এদের আর কি বলবেন, আমাদের সাধারণ মানুষদের মাঝেই নানা কনফিউশন, ধর্মের বেসিকগুলো নিয়েই এরা নানা ভয় ভীতিতে থাকে, গ্রাম পর্যায়ের ছোটো ছোটো মজিদরাই লালসালু দেখায়া কত লাভে আছে, আর এরা তো রাষ্ট্র পর্যায়ের একটা দল... এসব নিয়া বোঝানো সোঝানোর জায়গাটা আসলেই রিস্কি, সমূলে নির্মূল করাটাই দেশের জন্য উত্তম, অন্তত আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মটাকে একটা ভালো কিছু দিতে হলে এইটার বিকল্প নাই...
নুশেরাপু, সময়টা ভালো যাইতাছে না... এর জন্য ব্লগে আসা হয় না... লেখারও মন নাই...
মাসুম ভাই, বেজন্মা গুলারে জানোয়ার বইলেন না-জানোয়ারা কষ্ট পাবে।
আরো কয়েকটা নাম যোগ করে দিলাম
BD FOODS
MY ONE TV
MUSLIM AID-UK
এই খবর কই পাইলেন?????
জামাত শিবিরের সব চিনে ভয়কট করার সিদ্ধান্ত খুব ভালো,
কিন্তু আওয়ামী এবং বিএনপি'র সবাই এবং সব কি খুব ভালো ??
৭১ এ রাজাকার যা করছিলো এখন তাই করতেছে লীগ...
শিবির সন্ত্রাসী, সন্দেহ নাই, ছাত্রদল এবং বিএনপি কম খায় নাই কিন্তু এখন লীগ কি করতেছে ?? রাস্তায় রাস্তায় মানুষ পিটায়ে মারতেছে...
দেশীয় পিএসটিন বন্ধ করে ওয়ারিদকে দিছে, যা এখন ভারতীয় এয়ারটেল...আরো অনেক কথাই বলা যায়...
বেশি কথা বলতেও পারি না, সাথে সাথে রাজাকার বানায়ে দেয়...আজব দেশ !!!
আপনি রাজাকার ছাগুর মত কথা বলবেন আর আপনাকে লোকে মুক্তিযোদ্ধা বলবে সেরকম আশা করাটা কি বোকামি নয়?
এখানে যারাই জামাতীদের প্রতিরোধের কথা বললে আ'লীগকে টেনে আনে তারা নিঃসন্দেহে শিবিরের সমর্থক, এ ব্যাপারে কারো সন্দেহ থাকা উচিৎ না। ইনফ্যাক্ট, ছাগু চিহ্নিত করার সবচেয়ে কার্য্যকর উপায় হচ্ছে এটাই।
এই বিডি ফুডসই না মাদক চোরাচালানের সাথে জড়িত ছিল? পরে বিএনপি সরকার এদেরকে ছেড়ে দিছিল। আহা মাদক চোরাচালান করে ইসলাম কায়েম করার সিস্টেমটা খারাপ না।
ফেবু'তে শেয়ার করলাম।
এতোদিন বাদে এই পুষ্ট আমার চোখে পড়লো! মাসুম ভাই, অনুরোধ থাকলো এরকমের পোষ্ট আরো বেশি বেশি দেবার! আপাততঃ প্রিয় রাখলাম, সময় নিয়ে পড়বো। কেবল হালকা চোখ বুলাইছি। রোহানভাইয়ের বলা একটা লাইনে চোখ আঁটকে গেলো..' জামাত-শিবিরদের সামাজিক ভাবে বয়কট ভিন্ন কোনো বিকল্প নাই' পুরা সহমত। ভিন্নমত নিয়েও এক সাথে থাকা সম্ভব, কিন্তু আর্দশ ভিন্ন হলে সেটা কখনোই সম্ভব না। জামাত-শিবিরদের' লড়কে লেংগে পাকিস্তান' আদর্শের সাথে আমাদের কখনোই সহাবস্হান সম্ভব নয়। তাই এদের কোণঠাঁসা করতে আমাদের সবার সচেতনতা অবশ্যই প্রয়োজন। ব্যাপক ধন্যবাদ মিয়াভাই।
ঘটনা তাইলে এই ? ... এই লেখা আরো আগে নতুনদের সামনে আসা উচিত ছিলো তাহলে অনেক নতুন ব্লগাররা ছাগবান্ধবদের সাথে মিশে ভুল পথে পা বাড়াতো না
সবাই তো বড় জিনিসটা বলেন নাই মিস করে গেছেন, এখন তো বিএনপি নামক দলটাও জামাতীদের দখলে ।
দ্রুত উত্থানশীল আরেকটা জামাতী ব্যবসায়ী গ্রুপ, তানশীর গ্রুপ, জুবায়ের আহমেদ নামের প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিবিরনেতা এই গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, সম্প্রতি শ্রেষ্ঠ তরুণ উদ্যোক্তা হিসেবে বর্তমান সরকারের কাছ থেকেই পুরস্কার পেয়েছে, এবং বর্তমান সরকারের তরুণ এক ব্যারিস্টার এমপি এর লিগ্যাল অ্যাডভাইজার। এই গ্রুপের অধীনে আছে তানশীর প্রপার্টিজ, নামের রিয়েল এস্টেট, বাংলা টাচ নামের ইন্টেরিয়র ডিজাইন হাউজ, তাবশীরুল ইসলাম এডুকেশন ফাউন্ডেশন এবং তানশীর সিটি নামের মোট চারটি প্রতিষ্ঠান। বাদ পড়ে গেছে পিংক সিটি এবং পিংক ফুড এন্ড বেভারেজের কথাও, জামাতীরা ভালই জাঁকিয়ে বসেছে।
খুব ভাল লিখেছেন । সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে আজ তারা প্রবেশ করেছে ।
গ্রিন লাইন বাস সার্ভিস ..জামাতি এটা জানতাম না।
নাম টা নিয়ে আমার সন্দেহ ছিল।
কারন গ্রিন লাইন বলতে আমি যা জানি তা হল ইসরাইল ও এর প্রতিবেশী দেশ এর সীমানা এই লাইন দ্বারা চিহ্নিত করা হয়।
ভাই এটা কি বোমা ফাটাইলেন ।
ভাল তবে একটা সোজা কথা বলি বিশেষ করে শিক্ষা খাত নিয়েঃ জাশি অনেক কিছুই করেছে আর আপ্নারা কি করছেন ????
কয়টা ভাল ভর্তী কোচিং সেন্টার খুলেছেন আপনার । পারেন না ওদের মত । অনেক গুলিই এসেছে বাটা মানের দিক দিয়ে তারা ওদের সাথে কোন পর্যায়ে পরে তা ভুক্তভোগিরাই জানে । আমি নিজের কথাই বলি মেডিকেলে চান্স নিতে ঐ রেটিনা ছাড়া ভাল মানের পেলাম না । আমি শুধু জানি আমাকে আমার টার্গেট পুরন করতে হবে । আর তার জন্য আমি যে কারো সাহায্য নিতে প্রস্তুত । কে কোন দলের সেটা দেখা আমার কাজ না । আমি শুধু এটুকু জানি কে লিগ্যালি আমাকে সাহায্য করতে পারে আমি তার কাছেই যাব । আমি জানিনা আপনি কি করতেন , তবে এটাযে বেশির ভাল মানুষেই করে তা বলার অপেক্ষা রাখে না ।
যেহেতু আমি নিজে কোচিং করেছি তাই যাস্ট এটুকু বলতে চাই তা হলঃ
আমার জীবনের কয়েকটা বাস্বব আভীজ্ঞতা হলঃ
আমার এক বন্ধু আছে লীগ নেতা যে কিনা আমার সাথেই ঐ রেটিনাতেই কোচিং করেছে । আর তার বাবার টাকা আসে কিন্তু ঐ ইসলামী ব্যাংকেই ।
শুধু ছাত্রলীগ না অনেক প্রগতিশীল বন্ধুরাও জাশি নিয়ে অনেক কিছু বলে তবে রেটিনার কথা শুনলে চুপ মারে ।
বাকি বিষয়ে কিছু বলার নাই
সোহায়লা রিদওয়ান-এর কথা কি আপনারা ভেবেছেন কোনধরনের হতাশা থেকে বলা? ভেবে থাকলে ভুল ভেবেছেন। তাকে বেশ ভালোমতোই চিনি- তিনি জামাত-শিবিরের একনিষ্ঠ সমর্থক। তার এই আপাত-সার্কাস্টিক পোস্টটা আসলে প্রচ্ছন্ন জামাতেরই প্রচারণা- কেন এগুলি ব্যবহার করতে হবে।
onek gulo lekhai porlam.amar mone hoese amra ekhono point theke dure shore jaini.tobe beshi torko korte gele point theke dure shore jaoar shomvabona beshi.tai amar mone hoy ki kora uchit ei nie niche kichu likhchi.
1.dekhun jegula onoitik babosha like retina coaching..bondho kora hok.er sathe shomosto coaching center e bondho kora hok.eta shomvob.
2.islami bank er khetre apnara onno bank gulo k amon vabe protijogitay nie ashun jeno ei bank tikte na pare.ba manush kom jay.
3.kishor moner mogoj dholai jate na hoy e bishoye grame gonje bivinno onushthan kore shotorko kora jete pare.ajonno obosso shara desh jure chatro shongothoner choto choto shakha dorkar.janina eita kora shomvob kina.
4.biporite onek akorshonio shishu kishor shogothon khola jete pare.
5.hospital bondho korar moto nirbuddhita duita nai.ami bolbo biporite aro adhunik man er hospital baran.jamat er against a j party ache tader onek lok ache jader hospital deoar moto taka poisar ovab nai.
6.amar shobche important point: doya kore shibir shomorthon kore kintu rajakar noy esob manusher dokan theke kroy bikroy bondho korben na...se ekjon shadharon manush...tar khoti houa mane tar poribar er khoti...jamat er khoti noy...borong take jamat shomporke onutshahito korun.jukti die.jor khatie noy.
7.jamat k keno shomorthon kora uchit noy a bepar a jukti gulo ak jaygay kore ekta website khola dorkar.
8.tara j j vabe manush er kache agonor cheshta korche biporit dolguloro uchit nijera taka poisa na mere shevabe agonor cheshta kora.
9.ashob korar daitto vuleo chatrolig ba chatrodol k dite deoa jabe na.karon tara ki korche ta doinondin paper a dekhle paoa jay.
10.shadharon chatro shomaj,shushil baktira,kichu buddhijibi apnara agie ashun...amra ekta shustho poribesh chai.osustho poribesh noy.
shobaike porar jonno dhonnobad.ami kauke force korini.apnar jedol khushi sedol korte paren.kintu shibir ba jamaat kora akjon bangali abong akjon muslim hisebe apnar uchit noy.
Tanshir Properties..... Pink City is also jamatee organization
আসলে শিবির-জামাত যে কথাগুলো বলে মানুষ কনভিন্স করে, দলে ভিড়ায়-সেই কথাগুলো/ চিন্তাধারার বিপরীত কথা/চিন্তা মানুষকে বুঝাতে পারালেই উপরোক্ত সমস্যা থেকে মুক্তি আসবে। অর্থাৎ মুক্তবুদ্ধির চেতনার বিকাশ ছাড়া কিছুই সম্ভব নয়। এ ক্ষেত্রে ভোটের রাজনীতির সুবিধা আদায়ে ধর্মীয় টুলস ব্যবহার বন্ধের বিকল্প নাই। দায়িত্বটা অনেক বড় এবং সেক্রিফাইসের। প্রগতিশীল ছাত্র/সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো পারে মাঠ পর্যায়ে এই কার্যক্রমকে সংগঠিত করতে। নয়তো মিছিলের আস্ফালন বিবৃতিতে, তারপর ব্লগে সংকুচিত হতে হতে গুমরে মরবে। ঘুরে দাঁড়াও বাংলাদেশ।
রাজশাহীতে ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজ এন্ড হসপিটাল ও জামাতের
কাজের পোস্ট
সরকারের তরুণ এক এমপি ভারতীয় এয়ারটেল বর্জন করতে বলেছন, কারন এয়ারটেল সরকারকে ট্যাক্স দেয় না। আমাকে আমার ফ্রেন্ডরা এয়ারটেল বাদ দিতে বলছে। আমি তাদের বলেছি এয়ারটেল এর থেকে ভাল কোন অপশন যদি দিতে পার তবে অবশ্যই বাদ দিব!!
আপনাদের ও বলছি জামাতী দের প্রতিষ্ঠান এর থেকে ভাল কোন অপশন পেলে অবশ্যই বাদ দিব!! এখন আপনিই বুঝেন আমাদের রুট আ যত বাস চলে সবই দেখি জামাতী, আপনিই বলেন, আমি কি বাস এ চড়া বন্ধ করে দিব? আমি বাসায় আসব কি করে? ট্যাক্সি চেপে? এটা কি সম্ভব? ছোটো উদাহরণ টাই দিলাম এখানে।
ভাই আমি এক ছাত্র মানুষ। মাস চালাতে হিমশিম খেতে হয়।
এখানে নিশ্চয়ই আমি আমার ব্যাটার অপশন টাই বাছাই করব, তাই না?
ইসলামি ব্যাংক বাংলাদেশ লিঃ জামাতের বড় দোসর
দুনিয়া ঘোরে টাকার পিছে । একসময় উগ্রবাদীরা ব্যাংক ডাকাতি করতো আর আমাদের উগ্রবাদী ছাগুরা এতোই ধুরন্ধর, যে তারা নিজেরাই একটা ব্যাংক দিয়ে ফেলেছে, আর সেটা দিয়ে দেদার মাল কামাচ্ছে , সুবিধা নিচ্ছে।
ইসলামে সুদ হারাম, এই বিশ্বাসে বিশ্বাসী সাধারন মানুষের কাছ থেকে বিনা সুদে টাকা জমা রাখে।
আর ঐ টাকা থেকে ঋণ নিয়ে জামাত নেতা-কর্মীরা বাড়ি বানায়, ব্যবসা করে। ধর্ম ব্যবসার নতুন ডাইমেনশন !!
মার্চ ২০১২'র আর্থিক প্রতিবেদনে http://www.islamibankbd.com/upload_dir/annualreport/FINANCIAL%20REPORT,%20MARCH-%202012.pdf দেখুন ওদের 41,713,968,479 টাকা আছে চলতি হিসাবে। মানে ৪,১৭১ কোটি টাকা ! জী, চার হাজার একশত একাত্তর কোটি টাকা। অন্য হিসাবের কথা বাদই দিলাম।
মিরপুর-এ এ রকম ঋণ নিয়ে করা এক জামাত কর্মীর বাড়ির ছাদে দেখেছি এক বিশাল মেস/গেস্ট হাউস, যাতে জামাতের কর্মীরা এসে রাত কাটায়, ঢাকায় দলের কোন কর্মসূচী থাকলে। ৩০-৪০ জন ফ্লোরিং করে সহজেই থাকতে পারবে, এমনভাবে বানানো। পুলিশ এলে টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে ফেলে বাড়িওয়ালা জামাত কর্মী।
নিত্য পণ্যের মুল্যের ঊর্ধ্বগতিতে ছাগুদের যোগসাজশ থাকাটা খুবই স্বাভাবিক। দ্রব্যমুল্য বৃদ্ধি পেলে আমজনতা সরকারের ওপর বিরক্ত হবে, আর যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে বাধা পড়বে ।
এই ষড়যন্ত্রে ইসলামী ব্যাংক লিঃ-এর ভুমিকা রাখার সুযোগ আছে। বিশেষ করে আমদানি নির্ভর নিত্যপণ্যের ক্ষেত্রে। আমদানির ঋণপত্র (লেটার অফ ক্রেডিট) খোলা এবং আমদানি পরবর্তী অর্থায়ন (LIM: Loan against imported merchandise, LTR: Loan against trust receipt) -এ কারসাজি করে আমদানিতে দেরি করলে অথবা আমদানিকৃত পণ্য গুদামে বেশীদিন রেখে দিলে বাজারে অস্থিরতা দেখা দেয়।
অনেকেরই জানা আছে এই খাতে ইসলামী ব্যাংক লিঃ-এর বিপুল বিনিয়োগ রয়েছে। কাজেই কেঁচো খুঁড়লে হয়তো অজগর বেরিয়ে আসবে।
এদের সাধারন ব্যাংকিং সার্ভিস কতটা খারাপ, সেটা অনেকেই বলেছে।
জামাতের রুকন পর্যায়ের নেতার সুপারিশ ছাড়া এই ব্যাংক-এ নিয়োগ পাওয়া সম্ভব নয়। লিখিত পরীক্ষায় পাশ করলেও সুপারিশ লাগে। আর মিসাক নামে একটা কোচিং সেন্টার আছে এই লিখিত পরীক্ষার জন্য, যেটা ছাগুরা চালায় ।
দেশে ইসলামী ব্যাংক একটি নয়, অনেক হয়েছে। সময় এসেছে ওদের প্রতিরোধ / বর্জন করার।
ইসলামি ব্যাংক বাংলাদেশ লিঃ ছাড়াও সম্পূর্ণ ইসলামী শরিয়া সম্মত ব্যাংক ৬টি ঃ
যেসব ব্যাংকের ইসলামী ব্যাংকিং শাখা রয়েছে ঃ
ছাগুদের খুব ভালো করে গদাম দিতে চাইলে ইসলামি ব্যাংক বাংলাদেশ লিঃ কে বর্জন করুন
পেটে টান পড়লে, এইসব মুনাফিকদের ভোঁ দৌড় দেখতে বেশী সময় লাগবে না।
দরকারী পোষ্ট!!
Tobe keo jodi tader baktigoto akrosh theke ba just shondeho kore kono prothisthaner barota bajiye phelen sheita ki thik hobe???
ভাই আপনাকে ধন্যবাদ। আরও কিছু বাকি আছে ঃযেমন গ্রিন লাইন বাস সার্ভিস , বনফুল িমষ্টি। এছাড়া তৃণ মুল পর্যায়ে আছে মসজিদ ভিত্তিক বিশেষ পাঠদান ব্যবস্থা ।
আমি Northern University Bangladesh এর একজন ছাত্র। আমিও সকল রাজাকারের ফাঁসি চাই।
কিন্তু আমি এই ব্লগের লেখক শওকত মাসুম এর কাছে জানতে চাই আমার মত যারা এই ভার্সিটি তে পড়ালেখা করছে। তারাও কি আপনার মতে শিবির কর্মী?
আর হ্যাঁ বয়কট করুন ভাল কথা, কিন্তু এইখানে প্রায় ১০,০০০ ছাত্র-ছাত্রী আছে, তাদের কথা কি আপনি এই ব্লগ লেখার আগে চিন্তা করেছেন, যে আপনার এই ব্লগের কারনে কতটা ক্ষতি হতে পারে এইসব ছাত্র-ছাত্রীদের।
@শওকত মাসুম, আপনার উত্তরের আশায় থাকলাম।
এত কিছুর পরেও শালারা এইবার উল্টা সরকারী-বেসরকারী ব্যাংকগুলার মাঝে সর্বোচ্চ প্রফিট করছে!!! এত দিন ছিলো বেসরকারীতে ফার্ষ্ট..এখনতো সব মিলিয়ে ফার্ষ্ট!! ১৮০০ কোটি টাকা লাভ করছে.। কাহিনি কি?
ভাই, শিবিরের লোকজন তো কাজ করে খায়, ছাত্রলীগের ছেলেদের মত টেন্ডারবাজি করেনা। শিবিরের কারও বিরুদ্বে কোন আর্থিক কেলেংকারীর ও অভিযোগ নাই।
হুম রফিউর, ঠিক কেইছেন, শিবিরের পোলাপাইনের কাম সরাদিন ফেসবুকে ফেক আইডি খোলা, ভুয়া খবর ফটোশপ কইরা শেয়ার দেয়া, আর ইসলামী ব্যাংকের যাকাতের টেকায় খাউন। ফেইসবুকে বােরকেল্লায় যাইব, ওই ছেড়ি তর উড়না গলায় না বুকে দে পেইজে গিয়া এডমিনগো গোলমানি করতে করতেই কখন যে সকাল হইয়া যাইব টেরই পাইত না। আর জামাত শিবির তো টেন্ডার বাজি করে না, কিডা কয়, জামাত শিবির ইসলাম নিয়া ব্যাবসা করে। ওরা মুনাফেক, ওরা ভন্ডের দল, অপপ্রচারে বিশ্বাসী। আর সময় নাই, প্রজন্ম জাগছে, ভাল না লাগলে বাংলা ছাড়েন, কিন্তু জাতি কোনদিন বিশ্বাসঘাতকদের ক্ষমা করবে না।
Ababil bus service
Adarsa Kutir
Adarsha Shiksa Parishad
Ad-din Hospital
Adhunik Prakashani
Agro Industrial Trust
Ahle Hadith Library and Information Centre
Ahona literary magazine
Al Aamin
Al Amin Academy
Al-Arafah Islami Bank
Al-falah Printing Press
Al-faruk Islamic Foundation
Al-faruk Society
Al Forkan Foundations
Al Hamra Shopping Center
Al Haramain Islamic Foundation
Al-hera Kindergarten
Al-hera Sahitya Parishad
Al-hera literary magazine
Al Insan Foundation
Al Insan-Sunni Somitee
Al Mudaraba Foundation Ltd
Al Maghrib Eye Hospital
Al Manar Audio Visual
Al Markajul Islami
Al Mazid Society
Alpona Publication
Al Quran Publication
Al Shibir literary magazine
Anabil bus service
Anushilan publication house
Anushilan Sahitya Parishad
Anzumane Ittehad Bangladesh
Anya Diganta magazine
Asian University of Bangladesh
Association of Muslim Welfare
Association of Muslim Welfare Agencies in Bangladesh
Associate of Muslim Welfare Association
Association for Welfare of Human Services
Azan publication house
Baitush Sharf Foundation Ltd
Bangladesh Islami University (Pvt)
Bangladesh Krishi Kollan Somitee
Bangladesh Mashjid Mission
Bangladesh Mashjid Somaj
Bangladesh Sangskritik Kendra
Bangla Sahitya Parishad
Bangla Sahitya Parishad literary magazine
Baraka General Hospital Ltd
BD Foods
Benevolent Trust
Biopharma Laboratories Limited
Biparit Uccharan
Biswas Builders
Bonoful Sweets & Co
Bunon literary magazine
Centre for Development Dialogue
Center for Human Rights
Center for National Culture
Catrakatha literary magazine
Chattar Sahitya Parishad
Chotora literary magazine
Churulia literary magazine
Concept coaching
Concrete coaching
Coral Reef Properties Ltd
Current News publication
Dabanal Academy
Daily Amardesh
Daily Naya Diganto
Daily Sangram
Dakticket literary magazine
Darul Ihsan Trust
Darul Ofta
Darus Salam Society
Dhaka Community Hospital
Dholeshori Multipurpose Co- Operative Society
Diganta publication house
Diganta Media Corporation
Diganto Television
Eastern University
Exilant coaching
Faisal Investment Foundation
Fareast Islami Bank
Fareast Islami Life Insurance
Farrukh Parishad
Farrukh Parishad literary magazine
Focus coaching centre
Fuad Al Khatib Foundation
Ghuri literary magazine
Ghurni literary magazine
Gonit Foundation publication house
Green Line Paribahan
Green University of Bangladesh
Heritage Skyline, Cox’s Bazar
Hotel Coral Reef
IBN Sina Diagnostic & Imaging Center
IBN Sina Medical College & Hospital
IBN Sina Pharmaceuticals Industries Ltd
IBN Sina Trust
Index coaching center
Institute of Islamic Front
Institute of Islamic Higher Learning Society
Intentional Islamic Relief Organization
International Islamic University Chittagong
Intimate Housing
Ishtikutum literary magazine
Ishtikutum publication house
Islahul Muslimin
Ishrahul Muslimin,
Ishra Islamic Foundation
Islahul Muslimin
Islami Bank Community Hospital
Islami Bank Crafts & Fashion
Islami Bank & Foundation
Islami Bank Hospital
Islami Bank Institute of Technology
Islami Bank International School and College
Islami Bank Medical College
Islami Bank Physiotherapy and Disabled Rehabilitation Centre
Islamic Aid Somitee
Islamic Finance & Investment Limited
Islamic Relief Agency
Islami Insurance Bangladesh Limited
Islami Pre-Cadet School
Islami Sahitya Parishad
Justice Concern
Kabi Abu Jafar Obaidullah Sahitya Sangsad
Kabi Sangsad Bangladesh
Kanamachi Sahitya Parishad
Kanamachi literary magazine
Keari Holdings
Keari Sindbad ship transportation service
Keari Tours & Services Ltd
King Faisal Institute
Kishor Kalam Sahitya Parishad
Kishor Katha literary magazine
Kishor Kontho Foundation
Kishor Kontho magazine
Kishor Kontho Publication
Kuwait Charitable Trust
Kuwait Islamic Agency
Latai Farrukh Parishad
Lyceum Kindergarten
Madina Publications
Manarat International School & College
Manarat International University
Manarat Trust
Mastul Sahitya Sangsad
Maududi Research Academy
Medinova Medical Services
Metro Shopping Mall
Misson Developers
Mizan Publications
Manorom
Moghbazar literary magazine
Moulana Development Company Ltd
Muslim Aid Bangladesh
Mrittika literary magazine
Mrittika Academy
Nandan literary magazine
Nibo literary magazine
Nobankar publication house
Northern University,
Notun Kolom literary magazine
Omeca coaching centre
Optimum- DUET admission coaching
Paltan Sahitya Parishad
Panjeri Prakashani
Panjeri bus service
PBS book shop
Performing Arts Center
Pink City,
Phulkoli publication house
Phulkuri Sahitya Parishad
Phulkuri Publication
Phulkuri literary magazine
Prabaho, admission coaching
Prasad Paradise Ltd
Priti Prokashan
Proffesor's publication
Radium- Khulna University admission coaching
Rabeta-tauhid Trust
Rabita Al Alam Al Islami
Rahman Heritage
Railgach literary magazine
Renaissance coaching
Retina coaching
Revival of Islamic Heritage Society
Sahityakal publication house
Sahitya Samachar literary magazine
Sahityashilpo publication house
Saimum Shilpa Goshthi
Saj Prokashan
Salsabil bus service
Sammilita Sahitya-sangskritik Sangsad
Sangram Sahitya Parishad
Sangskar literary magazine
Sathia-Bangla Parishad,
Satyer Alo literary magazine
Saudia bus service
Servants of Suffering Humanity International
Shaheed Malek Foundation
Shekor literary magazine
Shilon literary magazine
Shilpakon literary magazine
Shilpakon publication house
Siddikia Publications
Silver Village Housing
Spondon literary magazine
Spondon Audio Visual
Spondon Sahitya Parishad
Sonar Bangla literary magazine
Sonarbangladesh.com blog
Sonargaon Housing
Sourav publication house
Southeast University
Success coaching
Swadesh Sanskritik Parishad
Takaful Islami Life Insurance Company Ltd
T.K. Group of Industries
Unique bus services
Ucchas Sahitya Sangsad
Utsa literary magazine
Utsanga Srijan Chintan
Weekly Sonar Bangla
দয়া করিয়া এই লিঙ্কটা একটু পড়ুনঃ
http://projonmoblog.com/muktijoddha-2013/5937.html
ধন্যবাদ
মন্তব্য করুন