ইউজার লগইন

তোমার সঙ্গে আমার অথবা আমার সঙ্গে তোমার আর দেখা হবে না

গল্পটা মীরকে উৎসর্গ করলাম

একবার গোয়ালন্দঘাটে ফেরিতে ওঠার আগে ইলিশ মাছ ও ইলিশের ডিম ভাজা খেয়েছিলাম। তাও ২৫ বছর আগে। ইলিশ মাছের ডিমের সেই স্বাদ আর কখনো পাইনি। সেই গোয়ালন্দঘাট আর নেই, সেই আমিও নেই।
গোয়ালন্দঘাটের কথা খুব মনে পড়লো বরিশাল যেতে। আমাদের ক্যডেট কলেজের রি-ইউনিয়ন। এর আগে কখনো রি-ইউনিয়নে যাওয়া হয়নি, আমাদের ব্যাচের কেউ উদ্যোগ নেয়নি, আর তাই একসঙ্গে যাওয়ার কথা কখনো ভাবাও হয়নি। এবার রফিক ফোনের পর ফোন করে সবাইকে রাজি করালো।
আরিচা ধরে গিয়েছিলাম আমরা চারজন, এক গাড়িতে। রেজার গাড়ি, ওই চালায়। আর আমরা তিনজন, বুলবুল, সাগর ও আমি। ভাবা যায় ২৫ বছর পর আমরা চারজন এক হলাম?
খুব ভোরে আরিচা পার হতে হবে, লক্ষ্য ১১টায় পৌছে কুচকাওয়াজে অংশ নেওয়া। ২৫ বছর পর আবার আমরা পুরোনো ক্যাডেট হতে চেয়েছিলাম। রেজা এখন ব্যাংকে বড় পদে। বুলবুল যুগ্ম সচিব, সাগর বায়িং হাউজের বড় কর্মকর্তা আর আমি দুই পয়সার মূর্খ সাংবাদিক।
২৫ বছর আগে আমরা আমাদের অনেক গোপন কথা জানতাম। স্মৃতিশক্তি আমাদের প্রতারণা করা শুরু করেনি। সেসব কথা উঠতেই আমরা চরম আড্ডার মেজাজে চলে গিয়েছিলাম। পরের ৪টা দিন ধরে অনেক কথা বলেও আমাদের জমানো কথা শেষ করতে পারিনি।
২৫ বছর দীর্ঘ সময়। এর মধ্যে আমরা অনেক বদলে গেছি। আমাদের বয়স বেড়েছে। আমাদের প্রত্যেকের এখন আলাদা জীবন। ২৫ বছর আগে কথা বলতাম আমরা কে কি হবো সে সব নিয়ে, এখন আমরা কথা বলি কী কী পেলাম না তা নিয়ে। দেখা গেল এই তালিকাও বেশ দীর্ঘ।
ফেরার পথে আমরা গৌরনদীতে থামতাম। গৌরনদীর রস মালাই ছিল আমাদের দীর্ঘ পথ চলার সবচেয়ে লোভনীয় খাবার। আবার থামালাম গাড়ি। রেজা মিষ্টি খাওয়া বাদ দিয়েছে। সাগর একটা খেয়ে আর খেলো না। আমি দুটো খেয়ে হতাশ হয়ে রেখে দিলাম। ২৫ বছরে সব কিছুই বদলে যায়।

গৌরনদীতেই ফোনটা পেলাম। দীর্ঘ পথ যাবো আর মা ফোন করবে না তা তো হয় না। ২৫ বছরে এই একটা জিনিষ বদলালো না। ফোন রেখে দেওয়ার আগে মা একটু ইতস্তত করে বললো, তোকে একটা কথা জানানোর আছে।
আমি উৎকন্ঠিত হলাম, খানিকটা ভয়ও পেলাম। মা জানালো, তোর বাতেন চাচা বেশ অসুস্থ্য। সিড়ি দিয়ে পড়ে গেছিলেন। এখন দেখা যাচ্ছে হার্টের অবস্থা বেশ খারাপ। হয়তো বাঁচবেন না।
আমি চুপচাপ শুনলাম। মা ফোন রেখে দেওয়ার আগে বললো, ভাবলাম তোকে খবরটা জানাই।

বিষয়টা বেশ কাকতালীয় বলা যায়। গল্পে এটাকে এক ধরণের টুইস্ট বলবেন হয়তো সবাই। আমি যখন ২৫ বছর আগের জায়গায় যাচ্ছি তখন আমার মা আমাকে আবার ১৫ বছর আগে নিয়ে গেলো। বাতেন চাচার সঙ্গে দেখা হয় না প্রায় ১৫ বছর। আমি ২৫ বছর না ১৫ বছর আগের জায়গায় নিজেকে নিয়ে যাবো বুঝতে পারছিলাম না।

ক্যাডেট কলেজ থেকে ঢাকায় ফিরলাম ৪ দিন পর। অফিসের অনেক কাজ। সময় বের করতে চলে গেল আরও ৩ দিন। বাতেন চাচার কথা ভাবি মাঝে মধ্যেই, কিন্তু যাওয়া হয় না। কখনো মনে হয় যেয়ে হাত ধরে বলি, 'চাচা আপনাকে আমি ক্ষমা করে দিয়েছি। আমার কোনো রাগ নেই।' আসলে এভাবে বলা যায় না।

হাসপাতালে যেয়ে দেখি বাতেন চাচা বিছানায় যেন লেগে আছেন। জ্ঞান আছে, সবাইকে চিনতেও পারছেন। কিন্তু কথা বলতে পারেন না। আমি যখন যাই তখন হাসপাতালে বাতেন চাচার সঙ্গে তাঁর ভাইয়ের ছেলে। ১৫ বছর আগে হয়তো দেখেছি, কিন্তু মনে পড়ছিল না। বাতেন চাচাকে দেখলাম ১৫ বছর পর। চাচাও হয়তো আমাকে আশা করেননি। একটু থমকে গেলেন বলে মনে হলো। ইশারায় কাছে ডাকলেন। পাশে যেতেই হাত বাড়িয়ে দিলেন। আমি হাতটা ধরলাম।
আমি কোনো কথা বলি নি। আমি বলতে পারি, কিন্তু কিছু বলি নি। চাচা কথা বলতে পারছিলেন না। কিন্তু মনে হলো হাত ধরে অনেক কিছু বলতে চান। আমি বাতেন চাচাকে ক্ষমা করার কথা বলতে চেয়েছিলাম। আর মনে হচ্ছিল চাচাই আমার কাছে ক্ষমা চাচ্ছেন।

আমি কেবল হাত ধরে বসে থেকেছি অনেকটা সময়। হাতের ভাষা আমি পড়তে পেরেছি বলেই মনে হয়েছিল। নাকি সবই আমার কল্পনা ছিল সেটি পরে আমি বহু ভেবেছি। বাতেন চাচার এক সিদ্ধান্তে জীবনের অনেক কিছু পালটে গিয়েছিল। চাওয়া ও পাওয়ার মধ্যে বড় ব্যবধান তৈরি করেছিলেন বাতেন চাচা। এটা ভেবে ১৫ বছর পর সান্তনা পেতেই কী আমার এমনটা মনে হয়েছিল। চাচা হয়তো অন্য কিছু বলতে চেয়েছিলেন, আমি ভেবে নিয়েছি আমার কাছে ক্ষমা চাচ্ছেন।

চাচার হাত ধরে যখন বসে আছি, তখন হাসপাতালের কেবিনে আমি আবিস্কার করি নদীয়াকে। বাবার অসুস্থতার খবর পেয়ে কানাডা থেকে নদীয়া এসেছে আগেরদিন। দরজা খুলে নদীয়া ঢুকতেই আমি খানিকটা কেঁপে উঠলাম। ১৫ বছর পর নদীয়াকে দেখলাম আবার। নদীয়ার সঙ্গে দেখা হলে কেমন লাগবে তা নিয়ে আমি অনেক ভেবেছি। অনেক ধরণের কল্পনা ছিল আমার মনে। সেসব কিছুই মিললো না। আমরা কেমন আছো ধরণের মামুলি কিছু কথা বললাম। স্বাস্থ্য একটু ভাল হয়েছে বললাম, নদীয়াও আমাকে একই কথা বললো। আমরা আমাদের ছেলেমেয়েদের নিয়ে দু-একটা কথাও বললাম।
১৫ বছর পর দেখা হলেও আমি অদ্ভুত এক সংকোচে ১৫ মিনিটের বেশি থাকলাম না। চাচার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে বের হয়ে এলাম। পার্থক্য কেবল নদীয়াও আমার সঙ্গে বের হয়ে আসলো। লিফটে ওঠার আগে কেবল নদীয়া জিজ্ঞেস করলো, ‌'কেমন আছো? এতোদিন পর দেখে কেমন লাগলো?'।
আমি ১৫ বছর পরেই থাকলাম, কারণ ১৫ বছর আগে আর ফেরা যায় না।
‌'আমি ভাল আছি এবং দেখে ভাল লাগছে' বলার আগেই লিফটের দরজা বন্ধ হয়ে গেল।

ঘটনার সঙ্গে তারাপদ রায়ের এই কবিতাটা খুব মানিয়ে যায়-

অনেকদিন দেখা হবে না
তারপর একদিন দেখা হবে।
দুজনেই দুজনকে বলবো,
‘অনেকদিন দেখা হয় নি’।
এইভাবে যাবে দিনের পর দিন
বৎসরের পর বৎসর।
তারপর একদিন হয়ত জানা যাবে
বা হয়ত জানা যাবে না,
যে
তোমার সঙ্গে আমার
অথবা
আমার সঙ্গে তোমার
আর দেখা হবে না।

পোস্টটি ১৩ জন ব্লগার পছন্দ করেছেন

লিজা's picture


সত্যিই গল্প এটা?
যাই হোক, গল্প বা বাস্তব, পড়ে একটু মন খারাপ হইল । পৃথিবীতে ভিলেনরা কেন জন্মায়?
ক্যাডেটের কথা আরো একটু থাকতে পারতো । বা নদীয়ার কথা পড়তেছি



। লাকি মীর হুক্কা

শওকত মাসুম's picture


অনেক সত্যি এক সময় গল্প হয়ে যায়। Smile
মানুষ সব সময় ভিলেন হয় না, সময়ও ভিলেন হয়। আবার সময়ই সব ঠিক করে দেয়।

লীনা দিলরুবা's picture


জীবন কখনো কখনো নাটক কে হার মানায়। জীবনের গল্প নিয়েই অবশ্য নাটক, তাই যাহাই জীবন তাহাই নাটক আবার যাহাই নাটক তাহাই জীবন বললে খুব বেশি ভুল হয় না।

গল্প পড়ে মন খারাপ হলো।

লিজার সাথে একমত,

ক্যাডেটের কথা আরো একটু থাকতে পারতো ।

শওকত মাসুম's picture


এটা একটা গল্প লেখার অপচেষ্টা। হঠাৎ মনে হলো লিখে ফেললাম। জীবনের গল্প নিয়েই তো নাটক হয়, আবার যাহাই জীবন তাহাই নাটাক.............. Smile

জ্যোতি's picture


মন খারাপ করা , মন ছুঁয়ে যাওয়া গল্প। ১৫ বছর আগে ফেরা হয়ত যায় না, কিন্তু স্মৃতিগুলো, ভালোবাসা দমকা হাওয়ার মতো এসে ঝাপটা তো দিয়ে যায়।

শওকত মাসুম's picture


জীবনের সব কিছুই মূল্যবান। কিন্তু কোনো কিছুর জন্যই জীবন থেমেও থাকে না। Smile

মাহবুব সুমন's picture


কস্ট লাগলো খুব

শওকত মাসুম's picture


কার জন্য?

মাহবুব সুমন's picture


:সান্তনা:আোনার জন্য Cool

১০

নরাধম's picture


উদাস করে দিলেন মাসুমভাই।

১১

শওকত মাসুম's picture


১৫ বছর দীর্ঘসময়। সময় অনেক কিছু বদলে দেয়।

১২

মীর's picture


গল্পে সাগরও আছে দেখছি। বাহ্ বাহ্। Big smile
থ্যাংক ইউ ভেরী মাচ মাসুম ভাই।

১৩

শওকত মাসুম's picture


এইটা অন্য সাগর Smile
ইউ আর ওয়েলকাম, অলওয়েজ

১৪

শর্মি's picture


খুব ভালো লাগলো। তারাপদ রায়ের কবিতাটা বোনাস পেলাম!

১৫

শওকত মাসুম's picture


কবিতাটা আমার খুবই পছন্দের।

১৬

ভাস্কর's picture


অনেক ভালো লাগলো মাসুম ভাই...

১৭

শওকত মাসুম's picture


অনেক ধইন্যা ভাস্করদা

১৮

তানবীরা's picture


শেষটা মারাত্বক। Puzzled

অনেকের হয়তো এ জীবনেও আর দেখা হবে না Sad

মীরকে কেনো উৎসর্গ করলেন? মীরের সাথে নদীয়ার কি সম্পর্ক? Tongue

১৯

শওকত মাসুম's picture


অনেকেরই হয়তো আসলেই জীবনে দেখা হয় না।
মীরকে উৎসর্গ করলাম কারণ লিখতে গিয়ে মনে হল স্টাইলটা মীরের মতো হয়ে যাচ্ছে তাই। ভাল লিখতে না পারলে যা হয়, অন্যের যা ভাল সেরকম হতে চায়। শেষ পর্যন্ত তাও হয় না। Sad

২০

শর্মি's picture


উৎসর্গ বানানটা মনে হয় ভুল আছে। Stare

২১

শওকত মাসুম's picture


হ, বানান ঠিক মতো শিখলাম না এই জীবনে। আর চাকরির কারণে খালি মনে হয় প্রুফ রিডার তো আছেই।
ঠিক করে দিলাম।

২২

উলটচন্ডাল's picture


চমৎকার

২৩

শওকত মাসুম's picture


ধন্যবাদ

২৪

মেহরাব শাহরিয়ার's picture


কেমন একটা নিঃস্তব্ধতা গ্রাস করে নিল ..

২৫

শওকত মাসুম's picture


জীবনে অনেক কিছু দেখতে হয় অনেকের।

২৬

নাজমুল হুদা's picture


সুন্দর গল্প, বাস্তবতার ধারক ।
আমার নদীয়াদের সাথে আর দেখাই হলোনা । :Cool একদিক দিয়ে ভালোই হয়েছে, তারা যেমন ছিল, এখনও তেমনই আছে আমার মনের মধ্যে । Innocent তাদের চেহারা, কথা-বার্তা সব কিছু সেই আগের মতই আছে ।
ভাগন্তিস
[বানান বা অন্য কোন ত্রুটী আর দেখিয়ে দিতে চাচ্ছিনা, Tired সময় পেলে একবার একটু পড়ে কষ্ট হলেও সংশোধন করে দিন, এত ভালো একটা গল্প পড়তে যেয়ে হোঁচট খেতে ভালো লাগেনা।]
{অঃটঃ আজকের প্রথম পাতার 'ভেতর- - - - -অর্থনীতি' পড়ে ভালো লাগলো খুব।}

২৭

লীনা দিলরুবা's picture


হুদা ভাই, আপনার ত্রুটী বানান টি ত্রুটিমুক্ত নয়। আমরা খেয়াল বসে লিখি বলে বানানে কখনো কখনো ভুল হয়ে যায়।

২৮

নাজমুল হুদা's picture


ধন্যবাদ লীনা ভুল ধরিয়ে দেবার জন্য । আমরা খেয়াল বসে লিখি না বলে খেয়াল বশে বললে অর্থবোধক হতো ।
[মন্তব্যে বানান ভুল পাঠকের উপর তেমন প্রভাব ফেলে না]

২৯

লীনা দিলরুবা's picture


[মন্তব্যে বানান ভুল পাঠকের উপর তেমন প্রভাব ফেলে না]

!!!!! এইটা কি বললেন!

৩০

শওকত মাসুম's picture


যতটা চোখে পড়লো বানান ঠিক করলাম, আর কি ভুল আছে? আছে তো অবশ্যই।

৩১

মীর's picture


লীনা আপু এটা কিন্তু খুব খ্রাপ।

৩২

লীনা দিলরুবা's picture


হ খুব খ্রাপ Smile

৩৩

মীর's picture


ভুল ধরেন কেনু মানুষের?

৩৪

লীনা দিলরুবা's picture


আমি নিজেই ভুল করে শেষ Sad
নয়া গল্প কই? শিক্ষা পাওয়ার গল্পটা দেন।

৩৫

মীর's picture


শিক্ষার পাওয়ার গল্প না? ওয়েটান তাইলে।
একটা গল্প তো মিস্ গেল। কি কোপাল!
মাঝে মাঝে পাজলড্ পাজলড্ লাগে। এমনকি মাথা ব্যাথা করে নাকি সেটাও বুঝতে পারি না। ভোঁতা একটা পেন্সিল যেটার শীষ ওর কাঠের শরীরে প্রায় ঢুকেই গেছে।

৩৬

লীনা দিলরুবা's picture


ধইন্যা মীর।
গল্প মিস কইরেন্না, যেইটা মিস হৈছে সেইটা পরে মনে কৈরা দিয়ে দিয়েন। পাজলড্ পাজলড্ লাগলে সেইটাও গল্পে নিয়া আইসেন Smile

৩৭

মীর's picture


থ্যাংকিউ লীনা আপু। কিন্তু আপনের নতুন লেখাও পাচ্ছি না। এ ব্যপারে কিছু একটা করেন। Smile

৩৮

লীনা দিলরুবা's picture


Smile আমার লেখার ভক্ত পাঠক বড়ই কম, আপ্নেতো পক্ষপাত দেখায় আমার সাধারণ লেখাকে দামী বানায় ফেলেন, ইয়ে মানে লেখুম, সাবজেক্ট পাইতেছিনা, পারিতো আগোছালো কবিতাই লেখতে, কি কি ভাবনায় ওগুলোও উড়ে যাচ্ছে Sad

৩৯

মীর's picture


আমি কখনো কারুর প্রতি পক্ষপাত দেখাই এমন অপবাদ আমার পরম বন্ধুও দিতে পারবে না। আর আপ্নি দিয়ে দিলেন! লীনা আপু, প্রচুর প্রচুর লেখা আমারো লিখতে ইচ্ছে করে। কিন্তু নানা কারণে শেষতক লিখি না। তার মধ্যে অন্যতম পাঁচ কারণ: এক নম্বর কারণ ভয়ংকর আলসেমী, দুই নম্বর- জড়তা (একটা লেখা কে কিভাবে নেয়), তিন- ইমপ্যক্ট (লিখলাম কিন্তু মানুষ ভুল বুঝলো), চার- আবারো আলসেমী, পাঁচ- সময়াভাব (যৎসামান্য)। এগুলো ছাড়াও আরো নানা কারণ আছে। তাছাড়া
নানারকম লেখার ক্ষেত্রে
মনের মাঝে বারণ আছে।
তারই মাঝে তুমি আছো
প্রিয় আমার কলম।
আচ্ছা, খালি দেখি আমার নিজের কথাই বলে যাচ্ছি। ছ্যাহ্ আমি মানুষটাই আসলে টাউট। অগোছালো কবিতা লিখেন, কেননা ওগুলো পাওয়ার প্যাক হয় একেকটা। আর সঙ্গে কিছু গদ্যচর্চা চালান। আপনের গদ্য অসাধারণ। বন্ধুরা কুচক্রী তো, তাই স্বীকার করতে চায় না। আমি খুবই ভালো ছেলে। তাই অকপটে বললুম।

৪০

হাসান রায়হান's picture


ভালো লাগল অনেক।

৪১

শওকত মাসুম's picture


ধইন্যা রায়হান ভাই।

৪২

রাসেল আশরাফ's picture


ভালো লাগলো।

আমারও খুব ইচ্ছা একদিন এইভাবে একজনের সাথে দেখা করার।

৪৩

শওকত মাসুম's picture


দেখা হোক তাহলে একদিন Smile

৪৪

নজরুল ইসলাম's picture


একদিনে আপনার দুইটা লেখা পড়লাম, দুইটাতেই মুগ্ধ...
প্রথমটা প্রথম আলোতে, দ্বিতীয় এইটা...
দারুণ

৪৫

শওকত মাসুম's picture


আপনার তো তাইলে আজ ম্যালা কষ্ট হইছে Smile

৪৬

রায়েহাত শুভ's picture


মন খারাপ করে দিলেন...

৪৭

শওকত মাসুম's picture


আরে, এসব তো গল্প। Smile

৪৮

রায়েহাত শুভ's picture


গল্প হোক আর সত্যি হোক পুরো আবহটাই মন খারাপিয়া...

৪৯

পুতুল's picture


কেন জানি ১টা গান মনে পরতেছে- আমার নিশিথ রাতের বাদল ধারা.

৫০

শওকত মাসুম's picture


গাও তো, শুনি

৫১

আসিফ's picture


মন-খারাপ-করা ভাল লাগল।

৫২

শওকত মাসুম's picture


Smile

৫৩

নাজ's picture


Sad

৫৪

শওকত মাসুম's picture


Smile

৫৫

বিষাক্ত মানুষ's picture


কি লিখলেন এইটা মাসুম ভাই ....... মনটা উদাস হইয়া গেলো। বছর দেড়েক আগে এই লেখাটা দিলে ইউরোপের ব্যবসায়ীরা দুইটা বিয়ার বেশি বেচতে পারতো। Sigh

৫৬

শওকত মাসুম's picture


বিয়ার খায় মাইনষে?

৫৭

আহমাদ মোস্তফা কামাল's picture


Life is Elsewhere...

৫৮

শওকত মাসুম's picture


Smile

৫৯

মেসবাহ য়াযাদ's picture


যতই গল্প কন না ক্যান, বুঝলাম, বাতেন চাচার মাইয়া নদীয়ার লগে আপনের ইটিশ-পিটিশ ছিল। বাতেন চাচায় সেইখানে বাগড়া দিছিল। নদীয়ার বিয়া হৈছিল যেই পোলার লগে, হেয় নদীয়ারে লৈয়া বৈদেশ চইলা গেছে। আপনে ঢাকায় আইসা পড়াশুনা শেষ করলেন। বিয়া করলেন। ২ টা সুইট ছেলে-মেয়ের বাবা হৈলেন। অনেকদিন বাদে নদীয়ার লগে দেখা হৈলো, হাসপাতালে। পুরান কথা মনে পড়লো। স্মৃতির জাবর কাটলেন আমগো লগে। আমরা পাঠকরা নিদারুন কষ্টে কষ্টিত হৈলাম। এই যুগের পোলাপাইনরা উহ-আহ করলো... এই হৈলো ঘটনা !!

৬০

শওকত মাসুম's picture


কী খাইছেন? ডাইল? ভাল কিছু খান মেজবাহ ভাই। Stare

৬১

মেসবাহ য়াযাদ's picture


না, ডাইল খাই নাই। আইজকা নবাবপুর গেছিলাম কিছু ইলেকট্রিক জিনিস কিনতে। দুপুর বেলায় স্টার হোটেলে কাচ্চি বিরিয়ানি খাইছি, আল্লার কসম !!

মন্তব্য করুন

(আপনার প্রদান কৃত তথ্য কখনোই প্রকাশ করা হবেনা অথবা অন্য কোন মাধ্যমে শেয়ার করা হবেনা।)
ইমোটিকন
:):D:bigsmile:;):p:O:|:(:~:((8):steve:J):glasses::party::love:
  • Web page addresses and e-mail addresses turn into links automatically.
  • Allowed HTML tags: <a> <em> <strong> <cite> <code> <ul> <ol> <li> <dl> <dt> <dd> <img> <b> <u> <i> <br /> <p> <blockquote>
  • Lines and paragraphs break automatically.
  • Textual smileys will be replaced with graphical ones.

পোস্ট সাজাতে বাড়তি সুবিধাদি - ফর্মেটিং অপশন।

CAPTCHA
This question is for testing whether you are a human visitor and to prevent automated spam submissions.

বন্ধুর কথা

শওকত মাসুম's picture

নিজের সম্পর্কে

লেখালেখি ছাড়া এই জীবনে আর কিছুই শিখি নাই।