বিপ্লবের ভেতর-বাহির ১
১৯৭২ সালের একদিন। ডিঙ্গি নৌকায় করে কামরাঙ্গির চরের পাশ দিয়ে বুড়িগঙ্গা পাড় হয়ে তারপর যেতে হয় জিঞ্জিরায়। সেখানেই ছোট্ট একটা বাড়ি। এই পার্টির নিজস্ব গোপন শেল্টার। এই শেল্টারে থাকেন চার জন। কমরেড আসাদ, কমরেড মুক্তা, কমরেড শিখা এবং কমরেড টিটো। ভুল হলো, আরো এক সদস্য আছে। সাত-আট মাসের এক শিশু, নাম বাবু। কমরেড মুক্তার ছেলে। সেও জন্মগত ভাবে বিপ্লবী কর্মকান্ডের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েছে। এই পাঁচ জনের সঙ্গে থাকতে চলে এলেন কমরেড আরিফ, তাঁর স্ত্রী রানু এবং দেড় বছরের পুত্র শান্তনু। বিপ্লব করতে এরাও ঘর ছেড়ে গোপন আস্তানায় চলে এসেছেন। কমরেড টিটু তাদের নিয়ে এলো এই শেল্টারে।
ওরা সবাই পূর্ব বাংলা সর্বহারা পার্টির সদস্য। তাদের নেতা সিরাজ সিকদার। সশস্ত্র বিপ্লব তাদের লক্ষ্য, স্বপ্ন শোষানমুক্ত বাংলা প্রতিষ্ঠা। সেই ইতিহাস কমবেশি অনেকেই জানেন। তবে আমাদের আজকের গল্পটি কমরেড মুক্তার। বলে রাখা ভাল, সবগুলোই রাজনৈতিক নাম, ছদ্মনাম। আসল পরিচয় গোপন রাখা পার্টির নির্দেশ। কর্মীদের ব্যক্তিগত পরিচয় জানার বিষয়টিও ছিল পার্টির সাংগঠনিক শৃঙ্খলাবহির্ভূত।
কমরেড মুক্তা সবাইকে দাদা বলে ডাকতো। মুক্তার স্বামী কমরেড ঝিনুক। কমরেড ঝিনুক ঢাকায় থাকে না, খুলনা অঞ্চলে পার্টির কাজ করে। ঝিনুকের সঙ্গে তখন পার্টির মতাদর্শগত দ্বন্দ্ব চলছিল। এ কারণে ঢাকায় আসতো পারতো না সে। ফলে স্ত্রী ও সন্তান থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েই থাকতে হতো কমরেড ঝিনুককে। মনে রাখতে হবে, ‘ব্যক্তিস্বার্থ এমনকি ব্যক্তিগত সুখ-দু:খও বিপ্লবের অধীন’-এটি বিপ্লবের আরেকটি তত্ত্ব। তারপরেও শেল্টারে কমরেড মুক্তা সর্বদা থাকতো মনমরা হয়ে।
কমরেড মাসুদ এসে একদিন জানালেন, বিশেষ সাংগঠনিক শৃঙ্খলাজনিত কারনে মুক্তাকে কয়েকদিনের জন্য অন্য শেল্টারে সরিয়ে নিতে হবে। নতুন সেই শেল্টারটি ঢাকার আগামসি লেনে অবস্থিত। মুক্তাকে নতুন শেল্টারে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব পড়লো আরিফের উপর। তিনি পৌঁছেও দিলেন।
সিরাজ সিকদার ঢাকায় এলে জিঞ্জিরার এই শেল্টারেও উঠতেন। কমরেড আরিফ কমরেড মুক্তাকে নতুন শেল্টারে পৌঁছে দিয়ে ফিরে এসে দেখলেন সিরাজ সিকদার তাঁর মিসেস জাহানারা হাকিমকে নিয়ে চলে এসেছেন। সঙ্গে দুই সন্তান শিখা ও শুভ্র।
এবার আমাদের একটু পেছনে যেতে হবে। সিরাজুল হক সিকদার ছিলেন বুয়েটের ছাত্র। ছিলেন লিয়াকত আলী হল ছাত্র ইউনিয়নের (মেনন গ্রুপ) সভাপতি। তিনি কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতিও হয়েছিলেন। বুয়েট থেকে তিনি পাশ করেন ১৯৬৭ সালে। চীনের রেড গার্ড মুভমেন্টে অনুপ্রাণিত হয়ে কৃষকদের নিয়ে কাজ করার সিদ্ধান্ত নেন সিরাজ সিকদার। কৃষকদের সংগঠিত করতে চলে যান নিজের গ্রাম ফরিদপুরের ডামুড্যায়। সিরাজ সিকদার ছিলেন সুদর্শন। পরিস্কার পরিচ্ছন্ন কাপড় পড়তেন। সানগ্লাস তাঁর প্রিয় ছিল। বেশভুষায় আধুনিক। ফলে তাঁর পক্ষে কৃষকদের বিশ্বাস অর্জন করা শুরুতে কঠিন ছিল। সম্ভবত আস্থা অর্জনের জন্যই সিরাজ সিকদার দ্রুত একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। হটকারিও বলা যায়। আর সেটি হল, হঠাৎ করে তিনি এক দরিদ্র কৃষকের মেয়ে রওশন আরাকে বিয়ে করেন। আর এই রওশন আরাই আমাদের কমরেড মুক্তা। পরে প্রমান হয়েছে সিরাজ সিকদারের এই সিদ্ধান্ত ভুল ছিল। এ জন্য একাধিক জীবন নষ্ট হয়েছে। বিপ্লবেরও ক্ষতি হয়েছিল যথেষ্ট।
সিরাজ আর রওশন আরার দুই সন্তান। বড় মেয়ে শিখা আর ছেলে শুভ্র। এই শিখা আর শুভ্রর মা আমাদের কমরেড মুক্তা। এই বিয়ে টেকেনি। ১৯৭২ সালে বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে। তখন সিরাজ সিকদার পুরোপুরি গোপন রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েছেন। গঠন করেছেন পূর্ব বাংলার সর্বহারা পার্টি।
সিরাজ সিকদার মারা যাওয়ার পর দলের সম্পাদক হয়েছিলেন রইসউদ্দিন আরিফ। তিনি লিখেছেন, এই বিবাহ বিচ্ছেদের সিদ্ধান্তটি এককভাবে সিরাজ সিকদারের ছিল না। পার্টি নেতার ‘নিরাপত্তা’ ও ‘স্ট্যাটাসের’ কথা ভেবে এটি ছিল পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত। দলের বিভিন্ন ইশতেহার পড়লেও এর সত্যতা পাওয়া যায়। একাধিক ইশতেহারে বলা আছে, সিরাজ সিকদার যে জীবন যাপন করেন তা পার্টির সিদ্ধান্ত অনুসারেই। তবে এই বিবাহবিচ্ছেদটি যে পার্টি ও বিপ্লবের জন্য কল্যানকর হয়নি তা পরবর্তী বাস্তব অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে প্রমানিত হয়েছে-লিখেছেন রইসউদ্দিন আরিফ।
তবে খটকা লাগে ‘স্ট্যাটাস’ কথাটার কারণে। প্রলেতারিয়েতদের জন্য কাজ করেছেন সিরাজ সিকদার। যদি তাই হয়, তাহলে একজন দরিদ্র কৃষকের মেয়ের সঙ্গে জীবন যাপন নিয়ে কেন স্ট্যাটাসের প্রশ্ন উঠবে। এর উত্তর পাওয়া যাবে না। কারণ, এ নিয়ে কেউই খুব বেশি কিছু লেখেননি। অল্প কিছু জানা যায় সিরাজ সিকদারের একসময়ে সহযোগি সূর্য রোকনের একটা লেখা থেকে। কমরেড মুক্তা এখন কোথায় আছে জানা নেই। জানা নেই শিখা আর শুভ্র কোথায় আছে তাও।
কমরেড মুক্তার কাহিনী আরও আছে। ‘পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির গৃহীত সিদ্ধান্তটি কমরেড মুক্তা মাথা পেতে মেনে নিয়েছিলেন, প্রথমত, পার্টি ও বিপ্লবের স্বার্থে, দ্বিতীয়ত, নিজের শ্রেনী অবস্থানের কথা বিবেচনা করে। কমরেড মুক্তার দ্বিতীয়বার বিয়ে হয়েছিল কমরেড ঝিনুকের সাথে। কমরেড সিরাজ সিকদার নিজেই এ বিয়ের ব্যবস্থা করেছিলেন’ (আন্ডারগ্রাউন্ড জীবন সমগ্র-রইসউদ্দিন আরিফ)। আবারও খটকা লাগে ‘শ্রেণী অবস্থানের’ কথায়।
সিরাজ সিকদার সিকদার জিঞ্জিরার শেল্টারে আসলেই এখান থেকে অন্য শেল্টারে নিয়ে যাওয়া হতো মুক্তাকে। দেখা হতো না শিখা ও শুভ্রর সঙ্গে। কারণ বলা হত ‘নিরাপত্তা’ ও ‘শৃঙ্খলাজনিত কারণ’। না কি প্রাক্তন স্বামীর সঙ্গে যাতে দেখা না হয় সে কারণেই জিঞ্জিরা শেল্টার থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল মুক্তাকে।
কমরেড মুক্তার কাহিনী কিন্তু এখানেই শেষ নয়। তার জীবনের ট্রাজেডি আরও আছে। সিরাজ সিকদার সরকারি বাহিনীর হাতে মারা যাওয়ার পর দীর্ঘ সময় ধরে দলের মধ্যে নানা ধরণের দ্বন্দ্ব দেখা যায়। খুনোখুনি হয় নিজেদের মধ্যে। এতে মারা যায় দলের অধিকাংশ কেন্দ্রীয় নেতা। এক দল আরেক দলকে খতম করে। মতের মিল না হওয়ায়, সামান্য সন্দেহে মৃত্যুদন্ড দেয়া হয় দলের সদস্যদের। খতম করা হয় অনেককেই। আর এই পথেই খতম করা হয় কমরেড ঝিনুককে। এর পরে মুক্তার জীবনে কি হয়েছে তার কোনো হদিস পাওয়া গেল না।
আগেই বলা হয়েছে, সিরাজ সিকদার ও রওশন আরার বিবাহবিচ্ছেদটি পার্টি ও বিপ্লবের জন্য কল্যাণকর হয়নি। এর অনেক প্রমান পরবর্তীতে দেখা যায়। সে ঘটনায় যাওয়ার আগে আমাদের জানতে হবে সিরাজ সিকদারের দ্বিতীয় বিয়ের কাহিনী। এ কাহিনীও অভিনব, ঘটনাবহুল ও রোমাঞ্চকর। উপন্যাসকেও হার মানায় সে কাহিনী।
সেই কাহিনী পরের পর্বে।
নোট: সিরাজ সিকদার সাচ্চা বিপ্লবী ছিলেন। চীনের সাংস্কৃতিক বিপ্লব আর নকশালবাড়ি আন্দোলনের ঢেউ এখানেও এসে লেগেছিল। সিরাজ সিকদার মুক্তিযুদ্ধেও অংশ নেন। সিরাজ সিকদাররা সত্যিকার শোষনমুক্ত একটা দেশ চেয়েছিলেন। তিনি পারতেন স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে। কিন্তু মানুষকে ভালবেসে সেটা করেননি। তবে সেই বিপ্লব সফল হয়নি। ব্যর্থতার নানা কারণ ছিল। এই লেখা সিরাজ সিকদারের মূল্যায়ন নয়। সফলতা বা ব্যর্থতারও কাহিনী নয়। বরং তাঁকে নিয়ে বিভিন্ন বই ও লেখা পড়ে সেই সময়কার নানা ঘটনার কিছু দিক নিয়ে আলোচনা বলা যায়। কারণ, আমার ধারণা, বিপ্লবীরা ব্যক্তি মানুষকে গুরুত্ব কম দিয়েছে। কিন্তু একটা মানুষের নানা দিক আছে। সেগুলো বিবেচনা করা হলে বিপ্লবের ইতিহাস হয়তো অন্যরকম হতো।
সিরাজ সিকদার নিয়ে লেখালেখি অনেক আছে। আগ্রহীরা মূল্যায়ন জানতে চাইলে সেগুলো পড়তে পারেন।
আশা করি অনেক কিছু জানতে পারবো এই সিরিজ থেকে।
একটু খটকা লেগেছিলো মাঝে, সিরাজ সিকদার-রওশন আরা- কমরেড মুক্তা-শিখা ও শুভ্র বিষয়ে। সেকেন্ড টাইম পড়ে, খটকা কেটে গিয়েছে...
রওশন আরাই যে মুক্তা এটা শুরুতেই বলা থাকলে খটকাটা লাগতো না।
লেইখেন সিরিজটা। দারুন হবে। বইটা এখনো পড়া শুরু করলাম না!
লিখবো এইটা, শেষ করবো
কত অজানা কাহিনী! জানার ব্যপক আগ্রহ থাকলেও ভারী বই পড়তে পারি না । ।এমন সিরিজ হলে তার জন্য গভীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষায় থাকব । সিরিজ যেন চলে, প্লিজ লাগে ।
এসব ভারি বই না। পড়ো, ভাল লাগবে। উপন্যাসের চেয়ে কম না।
prio te nilam.
অপেক্ষায় থাকলাম পরের পর্বের জন্যে
আসবে পরের পর্ব
সিরিজটা দারুন হবে।
আজকাল এবিতে মোটামুটি নিয়মিত আপনার লেখা পাইতে খুব ভাল লাগে।
খুব খুব ভাল থাকেন প্রিয় মাসুম ভাই।
ধন্যবাদ
অপেক্ষা করছি সাগ্রহে । সিরাজ শিকদার খুন হয়েছিলেন রাষ্টীয় সন্ত্রাসে, কোন বিচার হয়নি । সত্যটা আজো ঢাকা পড়ে আছে ইতিহাসের অন্ধ কোঠরে । দেশবসী সত্যটা জানুক, কামনা করি ।ধন্যবাদ !
সিরাজ সিকদারের হত্যার বিচার নিয়ে অনেক লেখালেখি হয়েছে। আমার লেখার বিষয়বস্তু তা নয়
ফাটাফাটি, মাসুমভাই, এটা কিন্তু চালাইতে হবে, তাড়াতাড়ি নতুন পর্ব দেন। খুবই আগ্রহের সাথে পড়ব।
দেবো শিগগিরই
বইটা শুরু করেছি। "কমরেডদের" জীবনকাহিনি, বিপ্লবের গতিপ্রকৃতি সম্পর্কে জানতে আগ্রহী, সাধুবাদ জানাই আপনার উদ্যোগকে। সাথে সাথে নকশালবাড়ি ধরনের গ্রন্থ নিয়েও লিখবেন আশাকরি। দুইবাংলা মিলিয়ে লিখলে লেখাটি পূর্ণতা পাবে।
এতোটা লেখার সময় বা সাহস কোনোটাই নেই। তাই আপাতত একটা থিমের উপর লেখাটা তৈরি করছি।
একটা ইতিহাস হবে...
সবই তো ইতিহাস
অপেক্ষায় আইজুদ্দিন
আইচ্ছা
আশা করি অনেক কিছু জানতে পারবো এই সিরিজ থেকে
অপেক্ষায় থাকলাম পরের পর্বের জন্যে
পরের পর্ব আসবে। চেষ্টা করছি
সিরাজ সিকদার সম্পর্কে আসলে তেমন কিছু জানিনা, আপনার লেখা থেকে জানা যাবে।
পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
আমার লেখা পড়লে পূর্ণাঙ্গ সিরাজ সিকদারকে পাওয়া যাবে না। সে চেষ্টাও আমার নাই। এখানে বিশেষ এক অংশ নিয়ে লিখছি
অপেক্ষা করছি সাগ্রহে। পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
আসবে পরের পর্ব
একটা মানুষকে একদিক থেকে মূল্যায়ন করলে কিছু বোঝা যায় না। একটা মানুষকে কমপক্ষে পাঁচ দিক থেকে বিচার করা উচিত। ব্যক্তিগত, সামাজিক, রাজনৈতিক, দার্শনিক ও স্ববিরোধীক(এইটা নতুন টার্ম বানাইলাম
সিরাজ শিকদারের আরো অজানা অধ্যায় উঠে আসুক। পড়ে চমকিত হই।
আমি একটা দিক নিয়ে লিখছি। নতুন টার্ম পছন্দ হইছে
সিরিজটা পড়ার লাইনে দাড়াই্লাম,
লেখার স্টাইলের কারনেই ইতিহাসের একটা অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ন এই মানুষটা সম্পর্কে আরো জানার আগ্রহ হলো।
আরও জানবা, চোখ রাখো রূপালি পর্দায়
পরে এসে শুরু করলাম। নেক্সট পর্বে গেলাম।
সিরাজ সিকদারকে নিয়ে এ দেশে তেমন কোন ভালো গবেষণা হয়নি। অথচ এটা খুব দরকার ছিলো। এ কারণে যে, সর্বহারা পার্টি যে লাইন এখানে হাজির করেছিলো তা ছিলো মাওবাদী আন্দোলনের প্রথম যুগ-বিশেষত কমিউনিস্ট আন্দোলনে বাংলাদেশীয় পদ্ধতি তিনি খাড়া করতে পেরেছিলেন। যতদূর জানি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক নূরুল আমিন ব্যাপারে সর্বহারা পার্টির উপর তার পিএইচডি থিসিস করেছেন।
কালের কণ্ঠে একটা বিস্তারিত লেখাও আছে যা সিরাজ সিকদারকে বোঝার জন্য গুরুত্বপূর্ণ
http://www.kalerkantho.com/~dailykal/?view=details&archiev=yes&arch_date=31-05-2011&type=gold&data=Bank&pub_no=537&cat_id=3&menu_id=151&news_type_id=1...
এটাই গুরুত্বপূর্ণ
মাসুম ভাইয়ের গদ্য বেশ শক্তিশালী
ধন্যবাদ সাদী
মন্তব্য করুন