কতদিন টিকে থাকবে দৈনিক পত্রিকা
কথাটা এরকম-প্রিন্ট মিডিয়া সূর্যের মতো, এটি সবসময়ই পূর্বে উঠে আর পশ্চিমে অস্ত যায়। বিশ্বাস করুণ কথাটা সত্য। পশ্চিমে প্রিন্ট মিডিয়া বা দৈনিক পত্রিকার বড়ই দুরাবস্থা। বিক্রি কমেছে, বিজ্ঞাপনও কমছে। মানুষ দৈনিক পত্রিকা কম পড়ছে। ফলে এখন বড় প্রশ্ন হচ্ছে দৈনিক পত্রিকা আর কতদিন টিকে থাকবে?
অনেক বছর পর লন্ডনে গিয়ে প্রিন্ট মিডিয়ার দুরাবস্থা খানিকটা নিজেই দেখলাম। সকালে আন্ডারগ্রাউন্ড স্টেশনে যাওয়ার পথে বিনামূল্যে পাওয়া যায় মেট্রো, আর সন্ধ্যায় ইভিনিং স্টান্ডার্ড। কারণ এখন আর অনেকেই কিনে দৈনিক পত্রিকা পড়তে চান না। বিজ্ঞাপনই ভরসা। দৈকি পত্রিকার বড়ই দুর্দশা পশ্চিমে।
অথচ দৈনিক পত্রিকার সাংবাদিকদের রিপোর্টের কারণে যুক্তরাষ্ট্রে নিক্সন সরকারের পতন ঘটেছিল। ওয়াশিংটন পোস্ট সেই রিপোর্ট করে প্রিন্ট মিডিয়াকে অন্য এক উ”চতায় নিয়ে গিয়েছিল। এর পরে এবং আগেও অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার কারণে সারা বিশ্বে অনেক ওলট পালট হয়েছে, পরিবর্তন হয়েছে অনেক কিছুর। প্রশ্ন উঠেছে, সব কিছুই কী বন্ধ হয়ে যাবে।
অন্যতম প্রভাবশালী পত্রিকা ওয়াশিংটন পোস্ট বিক্রি হয়ে হয়ে গেছে। টানা সাত বছর ধরে আয় কমে যাওয়ার পর ২৫ কোটি ডলারে বিক্রি করে দেয়া হয় ওয়াশিংটন পোস্ট। আমাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বিজোস কিনে নিয়েছেন পত্রিকাটি। তিনি কী পারবেন পশ্চিমে প্রিন্ট মিডিয়াকে উজ্জীবিত করতে। আশাবাদীর সংখ্যা কিন্তু খুব বেশী নয়।
সেই ২০০৯ সালে টাইম ম্যাগাজিনে পত্রিকাটির ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ওয়াল্টার আইস্যাকশন লিখেছিলেন আলোচিত একটা নিবন্ধ। শিরোনাম ছিল, ‘হাউ টু সেভ ইয়োর নিউজ পেপার’। সেখানে তিনি দৈনিক পত্রিকার ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কার কথা বলেছিলেন। বেশকিছু প্রস্তাবও দিয়েছিলেন। যদিও পরবর্তীতে বেশ কিছু প্রস্তাব মেনে নিলেও তা খুব বেশি কাজে লাগেনি। যেমন, তিনি বলেছিলেন দৈনিক পত্রিকাগুলোর উচিৎ নয় ইন্টারনেটে বিনামূল্যে পত্রিকা পড়তে দেয়া। এই সুপারিশ মেনে অনেক পত্রিকাই অর্থের বিনিময়ে অনলাইন গ্রাহক ব্যবস্থা চালু করেছিলেন। কিন্তু এতে আয় তো বড়েইনি, বরং গ্রাহক কমে গিয়েছিল। নিউ ইয়র্ক টাইমস-এর মতো পত্রিকা এই উদ্যোগ নিয়ে দুবার ব্যর্থ হয়। অবশেষে সম্প্রতি তৃতীয় দফায় সফল হয়েছে তারা। ২০টি পর্যন্ত নিউজ পড়া যাবে বিনামূল্যে, এরপর পড়তে চাইলেই অর্থ দিতে হবে-এই পদ্ধতিতে সফল হয়েছে নিউ ইয়র্ক টাইমস। পশ্চিমা বড় পত্রিকার মধ্যে লাভজনক এখন এই নিউ ইয়র্ক টাইমস, সাময়িকী ইকনমিস্ট (দৈনিক পত্রিকা নয়) এবং হেরাল্ড ট্রিবিউনের মতো প্রভাবশালী কিছু পত্রিকা। গার্ডিয়ান ব্রিটিশ মিডিয়ার যথেষ্ট প্রভাবশালী হলেও আদতে এখন একটি লোকসানী প্রতিষ্ঠান।
নিউ ইয়র্ক টাইমস বা ইকনমিস্টের সাফল্যের আরেকটি কারণ আছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখন বিশ্বের মোড়ল। সারা বিশ্বের মানুষ জানতে চায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কি ভাবছে। এ কারণে নিউইয়র্কের বাইরে পত্রিকাটির বড় পাঠকগোষ্ঠী রয়েছে। ইকনমিস্ট-এরও বড় কর্পোরেট পাঠক রয়েছে।
সামগ্রিক পরিস্থিতির কারণে কয়েক বছর ধরেই বিতর্কটি বেশ ভাল ভাবেই চলছে। আর তা হচ্ছে কতদিন টিকে থাকবে এই প্রিন্ট মিডিয়া। যুক্তরাষ্ট্রের সাংবাদিকতার অধ্যাপক ফিলিপ মেয়ার ‘ভ্যানিশিং নিউজপেপার’ নামে একটা বই লিখেছিলেন। সেখানে তিনি বলেছিলেন, ২০৪৩ সালের শুরুটাই হচ্ছে সেই সময়, যখন যুক্তরাষ্ট্রে দৈনিক পত্রিকার আনুষ্ঠানিক মৃত্যু ঘটবে। পাঠক শেষ দৈনিক পত্রিকাটি হাতে নিয়ে পড়বে।
পশ্চিমে নিউজ পত্রিকার করুণ চেহারার একটি পরিসংখ্যান দেয়া যেতে পারে। সর্বশেষ ২০১২ সালের পরিসংখ্যান হাতে রয়েছে। ২০১২ সালে আগের বছরের তুলনায় সারা বিশ্বে দৈনিক পত্রিকার বিক্রি কমেছে, দশমিক ৯ শতাংশ। এর মধ্যে উত্তর আমেরিকায় কমেছে ৬.৬%, পশ্চিম ইউরোপে ৫.৩%, পূর্ব ইউরোপে ৮.২% এবং ১.৪% কমেছে মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকায়।
গত পাঁচ বছরের হিসাবটিও ভয়ংকর। গত ৫ বছরে উত্তর আমেরিকায় দৈনিক পত্রিকার বিক্রি কমেছে কমেছে ১৩%, দক্ষিন আমেরিকায় ০.৮%, পশ্চিম ইউরোপে ২৪.৮% এবং পূর্ব ইউরোপে কমেছে ২৭.৪%।
প্রশ্ন হচ্ছে, উন্নত বিশ্ব থেকে দৈনিক পত্রিকাকে কে সরিয়ে দিচ্ছে? একটা কথা সবাই মানেন, টেলিভিশন মিডিয়া সেভাবে দৈনিক পত্রিকার প্রতিদ্বন্দী হয়ে উঠতে পারেনি। যদিও শুরুতে এ নিয়ে যথেষ্ট আশঙ্কা ছিল। বরং বলা যায়, টেলিভিশন সংবাদের শিরোনামটি বলার কারণে, সংবাদের ক্ষুধা বাড়িয়ে দেয়। ফলে টেলিভিশনে সংবাদ চলে আসায় প্রিন্ট মিডিয়ার বড় কোনো ক্ষতি কোথাও হয়নি। এমনকি বাংলাদেশেও নয়।
তাহলে প্রতিদ্বন্দ্বী কে-ইন্টারনেট। সঠিকভাবে বলা যায়, ডিজিটাল মিডিয়া। মানুষ এখন পত্রিকা হাতে নিয়ে পড়তে চায় না। পড়ে ইন্টারনেট ব্যবহার করে। এক সময় পড়তো পিসিতে, এরপর মোবাইল, আর এখন ট্যাবলেটে। শুরু হয়েছিল ৯০ এর দশকেই। যখন ইন্টারনেট ছড়িয়ে পড়লো বিশ্বব্যাপী। উন্নত দেশগুলোতে এখন তাদের মোট জনসংখ্যার প্রায় ১০০ শতাংশই ইন্টারনেট ব্যবহার করে। ফলে সংবাদ তারা দ্রুত পেয়ে যায়। একটা দৈনিক পত্রিকা হাতে নেওয়ার সময় তাদের নেই। বিজ্ঞাপন আয়ের একটি বড় অংশ থাকে ক্লাসিফাইড বিজ্ঞাপন। কিন্তু উন্নত দেশগুলোতে এখন পত্রিকায় কোনো ক্লাসিফাইড বিজ্ঞাপন ছাপা হয় না। এ ধরণের বিজ্ঞাপন এখন অনলাইনে চলে গেছে। এতে আয়ে ধস নেমেছে দৈনিক পত্রিকাগুলোর।
ফেসবুক, টুইটার, ব্লগ-এসব কারণেও দৈনিক পত্রিকার প্রতি আগ্রহ হারিয়েছে অনেক পাঠক। সিটিজেন জার্নালিজম জনপ্রিয় হচ্ছে। যে কোনো সংবাদ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর কারণে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। বলা যায়, সংবাদের প্রয়োজন ফুরিয়ে যায়নি, কিন্তু সংবাদ পড়া ও জানার মাধ্যম পালটে যাচ্ছে। এ কারণে উন্নত বিশ্বের অনেক পত্রিকা এখন সপ্তাহে তিন দিন বের হয়। কেউ কেউ কাগজ বাদ দিয়ে কেবল ইন্টারনেটে চলে গেছে। কেউ কেউ একেবারেই বন্ধ হয়ে গেছে। যারা টিকে আছেন, সবারই লক্ষ্য খরচ কমানো। অর্থাৎ সংবাদ টিকে থাকবে, কিন্তু মাধ্যম হিসাবে দৈনিক পত্রিকা হয়তো এক সময় টিকে থাকবে না। সংবাদ তখন পাওয়া যাবে হাতের মুঠোয়, মোবাইলে, ট্যাবলেটে।
শুরুর কথাটা তাহলে আবার মনে করিয়ে দিয়ে আলোচনার নতুন একটি দিক উম্মোচন করা যেতে পারে। আশার কথাই বরং বলি। এমন নয় যে, সারাবিশ্বেই দৈনিক পত্রিকার বিক্রি কমে গেছে। উলটো চিত্রও আছে। ২০১২ সালের পরিসংখ্যান বলছে, ২০১২ সালে এশিয়ায় দৈনিক পত্রিকার সার্কুলেশন বেড়েছে ১.২%, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে ৩.৫% এবং ল্যাতিন আমেরিকায় বেড়েছে ০.১%। আর যদি গত ৫ বছরের পরিসংখ্যান নেই তাহলেও ভাল চিত্রটি পাওয়া যাবে। যেমন, এসময় এশিয়ায় সার্কুলেশন বেড়েছে ৯.৮%, মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকায় ১০.৫% এবং অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে বেড়েছে ১%। এশিয়ার মধ্যে আবার সবচেয়ে ভাল অবস্থানে আছে দক্ষিণ এশিয়া। এখানে ছাপা হওয়া দৈনিক পত্রিকার সার্কুলেশন বাড়ছে। মনে করা হচ্ছে এই বৃদ্ধি পাওয়াটা আরও কয়েকবছর ধরেই থাকবে। সুতরাং দক্ষিণ এশিয়ার জন্য আসলে আপাতত ভয়ের কিছু নেই।
বলা যায় এটা হচ্ছে প্রযুক্তি থেকে পিছিয়ে থাকার সুফল। দক্ষিণ এশিয়ায় এখনও ইন্টারনেট সবার কাছে পৌঁছায়নি। সংবাদ পাওয়ার বড় ভরসা এখনও দৈনিক পত্রিকা। মানুষের আয় বাড়ছে। শিক্ষিতের হার বাড়ছে। এতে পত্রিকার সার্কুলেশনও বাড়ছে। ভারতের চিত্রটি একটু অন্যরকম। সেখানে আঞ্চলিক পত্রিকার সার্কুলেশন বাড়ছে সবচেয়ে বেশি। বাংলাদেশের চিত্রটি আরেকটু ভিন্ন। এখানে কম দামের পত্রিকার সার্কুলেশন বাড়ছে তুলনামূলক বেশি হারে। দেশের অর্থনীতির চিত্রের সঙ্গে এর একটি যোগসূত্র হয়তো আছে।
তবে দক্ষিণ এশিয়ার জন্য একেবারেই চিন্তার কিছু নেই তা কিন্তু নয়। প্রিন্ট মিডিয়া নিয়ে দুশ্চিন্তা এখানেও আছে। কারণ ইন্টারনেটের প্রসার বাড়ছে। তবে ট্যাবলেটের প্রসার বাড়ার কারণে পরিস্থিতি খানিকটা পালটে গেছে। মানুষ আগে মোবাইলের ছোট স্ক্রিনে সংবাদ দেখতেন। ফলে সামান্য অংশই পড়তেন তারা। হয়তো শিরোনাম বা প্রথম অংশটুকুই পড়া হতো। কিন্তু সারা বিশ্বে এখন ট্যাবলেটের বিক্রি বাড়ছে। এর দামও কমে আসছে। স্ক্রিন বড় হয়েছে। এতে সংবাদ পড়ার আগ্রহ বেড়ে যাচ্ছে। গবেষণায় বলা হচ্ছে, এ কারণে বড় আয়তনের, অনুসন্ধানী বা গভীর বিশ্লেষণী রিপোর্ট পড়ার সেই পুরোনো দিন আবার ফিরে আসছে।
এ থেকে নতুন একটি ধারণাও তৈরি হয়েছে। গত আগস্টে দিল্লীতে এ নিয়েই একটি সম্মেলন হয়ে গেল। ইন্টারন্যাশনাল নিউজ মিডিয়া অ্যাসোসিয়েশন বা ইনমার ৭ম দক্ষিন এশীয় সম্মেলনের মূল বিষয় ছিল এটি। সেখানে বলা হল নতুন ধারণাটির কথা। আর সেটি হল প্রিন্ট+ডিজিটাল। কেবল প্রিন্ট সংস্করণ দিয়ে এখন টিকে থাকা আর যাবে না। একই সঙ্গে ডিজিটাল সংস্করণও থাকতে হবে। যাতে পাঠকরা পছন্দের মাধ্যমটি বেছে নিতে পারে। আর এ জন্য থাকতে হবে একটি সমন্বিত নিউজ রুম।
বাংলাদেশে সবগুলো পত্রিকারই এখন অনলাইন সংস্করণ আছে। কিন্তু দুই-একটি উদাহরণ বাদ দিলে অনলাইন সংস্করণ কেবল রাখতে হয় বলে রেখে দেওয়া আছে। বলা হচ্ছে, নতুন পরিস্থিতিতে দুটোই সমান গুরুত্বপূর্ণ হতে হবে। অর্থাৎ প্রিন্ট+ডিজিটাল। এ পথেই যেতে হবে দেশের গণমাধ্যমকে। আর তা হলেই টিকে থাকবে সংবাদপত্র।
(নিজের ব্যক্তিগত ব্লগে এই বিষয়টি নিয়ে একটা লেখার এক অংশ লিখে রেখেছিলাম। এর মধ্যে প্রেসক্লাব চাইলো তাদের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর জন্য একটা লেখা। এরপরই লেখাটা পুরো তৈরি করলাম। আজ এবির জন্মদিন, ভাবলাম এদিনটিতে আমার নামে কিছু একটা থাকুক)
পড়লাম মন দিয়ে। কি বলব, বাস্তবতা যে দিকে নিয়ে যাবে সেদিকেইতো যেতে হবে সবাইকে। তবে আমাদের দেশে এই পত্রিকা বন্ধ হতেও বেশি দেরি নাই। এখনই প্রতিদিনের কাগজের খবরকে পুরাতন মনে হয় ।
শুভ জন্মদিন এবি।
আগেই পড়ছি, লাইনগুলো চেনা চেনা লাগছে কেমন জানি!
দারুণ!
আনকেল জেনারেশান থাকা অবধি টেনশান নিয়েন না বড়ভাই। ততোদিন করে খাইতে পারবেন। পরের চিনতা পরে
এবির জন্মদিনে এবির বাবা চাচাদেরকে অনেক অনেক শুভেচছা
পরে কমেন্ট করমু
ইদানিংকালে যেমন প্রথমপাতার অর্ধেক জুড়েই বিজ্ঞাপন থাকে খবরের জায়গায়, বিরক্তিকর লাগে।
পত্রিকা হাতে নিয়ে পড়ার আমেজ আলাদা । সেটা টিকে থাকুক ।
আপনি এত কিছু কেমনে জানেন!!
যতই অনলাইনে পড়ি, পত্রিকাটা হাতে নিয়ে পড়ার মজাটা অন্যরকম!
সহমত।
দক্ষিণ এশিয়ায় সার্কুলেশন বাড়ছে শুনে স্বস্তি পেলুম। মাসুম ভাইয়ের চাকরিটা তাহলে টিকে গেল।
আমি প্রিন্ট পত্রিকা হাতে নেই তো শুধু বিজ্ঞাপণ দেখার জন্য
আমি বহুদিন যাবত প্রিন্ট সংবাদপত্র বিমুখ। এর একটা ইন্টারনেট, সুনির্দিষ্ট করে বললে সোশ্যাল মিডিয়া। ফেসবুক বা ব্লগের মতো জিনিসগুলো সংবাদপত্রের চেয়ে তথ্য বৈচিত্রে ভরপুর। তবে অন্যতম কারণ হলো প্রিন্টেড পত্রিকা অতিরিক্ত বিজ্ঞাপন লোভী। বিজ্ঞাপনের আড়ালে সংবাদ অপাংক্তেয় হয়ে থাকে। আমার বিরক্তির সুত্রপাত এখান থেকেই। আমার মতো লোকদের পত্রিকার দিকে টানতে হলে বহুত খাটনি করতে হবে।
প্রিন্ট সংবাদপত্র পড়ে মাইনসে?
~
প্রিন্টকে টিকিয়ে রাখার জন্য টিকা দিতে হবে। কি টিকা বাইর করা যায় ভাবতেসি।
মন্তব্য করুন