ইউজার লগইন

শওকত মাসুম'এর ব্লগ

এক রাষ্ট্রদূতের করুণ কাহিনী

--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
8652567-young-depressed-man-cartoon.jpg
--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
বাংলাদেশের সাহস বেড়ে গেছে। একটি শক্তিশালী দেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বিটলামি শুরু করছে দিপুমনির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। রাষ্ট্রদূতটি সম্প্রতি দায়িত্ব নিয়ে এসেছেন বাংলাদেশে। তিনি এসেই বক্তৃতা দিয়ে বেড়াচ্ছেন, নানা ধরণের কথা বার্তা বলছেন। সারাদিন ছুটে বেড়াচ্ছেন। কিন্তু বাসায় গিয়ে শান্তি নাই। ঘরে বউ নাই। কারণ বাংলাদেশ বাংলাদেশ বার বার তাঁর ভিসার আবেদন প্রত্যাখ্যান করছে।

সৈয়দ আবুল হোসেনের জন্য পুরো দেশের অপমান হলো

abul1.jpg
স্বপ্নের পদ্মা সেতু দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে। আর এ জন্য মূলত দায়ী মাত্র একজন ব্যক্তি। আর তিনি হলেন সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন। তাঁর কারণেই বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতু প্রকল্পে অর্থায়ন প্রথমে স্থগিত করে রাখে, আর সর্বশেষ বাতিলই করে দিয়েছে দাতা সংস্থাটি।
সৈয়দ আবুল হোসেনের দায়িত্ব ছিল পদ্মা সেতু প্রকল্পের বাস্তবায়ন। কিন্তু তিনি করেছেন ঠিক উল্টোটা। ফলে পদ্মা সেতু নির্মাণ যেমন অনিশ্চিত হয়ে গেছে, তার চেয়ে বেশি ভাবমূর্তির সংকটে পড়েছে দেশ। বাংলাদেশ নিয়ে এতোবড় অভিযোগ নিকট ভবিষ্যতে আর কখনো হয়নি। এই ঘটনায় দল হিসাবে আওয়ামী লীগকেও বড় ধরণের ভাবমূর্তির সংকটে পড়তে হল। এর রাজনৈতিক মূল্য আওয়ামী লীগকেই দিতে হবে।

ঢাকা-টু-পাবনা, জর্নি বাই বাস

............................................................................................................................................................................................................................
নতুন বউ সবসময়ই বিভ্রান্তিকর। চেহারা কেমন বুঝা যায় না। সব নতুন বউই দেখতে ভাল। আমার পাশের সিটে নতুন বউ। তাকেও দেখতে ভাল লাগছে। পাশে মেয়েটির নতুন বর।
যাচ্ছিলাম পাবনায়। ৬ ঘন্টার লম্বা রাস্তা। আমার ঠিক পাশের সিটে নতুন এই দম্পতি। মেয়েটি একটা লাল টুকটুকে শাড়ি পড়া। গলায়, কানে, হাতে বড় বড় গহনা। আর বরটির হাতে রেমন্ডের স্যুটের এক কাভার, অতি যত্নে ধরা। আরেক হাতে খাবারের প্যাকেট।
দেখে মনে হচ্ছিল সদ্য হানিমুন ফেরত। এখন বাড়ি ফিরে যাচ্ছে। মনে হল বাস ভ্রমন খারাপ হবে না। আর আমার ঠিক পাশেই বলে না চাইলেও দেখতে হবে তাদের। যদি না বাসের দুলুনিতে ঘুমিয়ে পড়ি। দুলুনিতে ঘুমানোর একটা গল্প বলি।

ডাক্তারের কাছে গেছে রোগি।
-ডাক্তার সাহেব, আমার নতুন বউ পাঠিয়েছে আপনার কাছে
-কি হয়েছে আপনার?
-ডাক্তার সাহেব, আমি প্রতিদিন দুই ঘন্টা ট্রেনে করে কাজে যাই, ফিরিও দুই ঘন্টা ট্রেনে করে।

কথোপকথোন

DSC01341_0.jpg
সময় রাত-১২টা, স্থান-আমার বাসা। আমি, আমার ৬ বছরের ছেলে ও আমার বউ। তারিখ-৯ জুন, ২০১২।
পুরো কথোপকথোনটি আমার মোবাইলে রেকর্ড করা আছে।
........................................................................................................................................................................................................................................................................................................................................................................................................................................................
তোমার কয়টা বেবি হবে-
-পাঁচটা
ছেলে কয়টা, মেয়ে কয়টা?
-ছেলে দুইটা, মেয়ে তিনটা
ওদের মা কে?
-নাম তো এখনও জানি না
কে পালবে বেবিদের?
-একটা আম্মু, একটা বাবা, একটা আমি, আর দুইটা পালবে তাদের মাটা।
তাদের মা দুইটা কেন পালবে?

তিনখানা দুষ্টু সিনেমা

তিনটা দুষ্ট টাইপ সিনেমা। এই পোস্ট উৎসর্গ রায়হান ভাইকে। দুষ্ট কিছু না লিখলে আবার রায়হান ভাই ব্লগে আসে না, পোস্ট দেয় না, মন্তব্যও করে না। আর এই সমস্ত দুষ্ট লুকজন না আসলে ব্লগিং করে মাইনষে?

তিনটি ছবিই যথেষ্ট নাম করা। এর মধ্যে দুটি ফ্রেঞ্চ, আর একটি বাংলা। এর মধ্যে অবশ্যই একটি ক্লাসিক মর্যাদা পাওয়ার মতো সিনেমা, পেয়েছেও।

১. বেলে ডি জুর:
লু্ই বুনুয়েল বিশ্ব চলচ্চিত্র ইতিহাসের অন্যতম সেরা নাম। স্পেনে জন্ম নেওয়া বুনুয়েল কাজ করেছেন, স্পেন, ফ্রান্স, আমেরিকা ও মেক্সিকোতে। বুনুয়েল নিয়ে লিখতে বসলে রীতিমত গবেষণা করতে হবে। বিশ্ব চলচ্চিত্রে তার প্রভাব এতোটাই।
belle de jour 4P G.jpg

দ্য ফ্লাওয়ার্স অব ওয়ার

আচার, আচরণ ও ভদ্রতায় জাপানীদের সুনাম থাকলেও ইতিহাস তাদের বিপক্ষে। বিশেষ করে জাপানী সৈন্যদের কুখ্যাতি বিশ্বব্যাপী। উদাহরণ খুঁজতে খুব বেশি দূরে যেতে হবে না।
দ্বিতীয় সিনো-জাপান যুদ্ধ হয়েছিল ১৯৩৭ সালে। দ্বিতীয় সিনো-জাপানের যুদ্ধে চীনের নানজিংয়ে ভয়াবহ এক গণহত্যা ঘটায় জাপানি সৈন্যরা। জাপানি রাজকীয় সেনাদের হাতে নিহত ও ধর্ষিত হয়েছিল প্রায় ৩ লাখ সাধারণ চীনা নাগরিক। ইতিহাসে এটিকে নানকিং ম্যাসাকার বা রেপ অব নানকিং বলা হয়।
সেই সময়টি নিয়ে সিনেমা। চীনা চলচ্চিত্র ইতিহাসের অন্যতম সেরা পরিচালক ঝ্যাং ইউমু। এটি তার সর্বশেষ চলচ্চিত্র। ‌'দ্য ফ্লাওয়ার্স অব ওয়ার'।
_the_flowers_of_war_ost_2012.jpg

রক্ত ও কাদা ১৯৭১

১.
আমার একজন আত্মীয় কলেজের ছাত্র। সে নাকি সম্প্রতি এক লাখ ২০ হাজার ইয়েন দিয়ে একটি কঙ্কাল কিনেছে গবেষণার কাজে সহায়ক হবে বলে। কথাটা শুনে আমার কেন যেন ভালো লাগছিল না। পরে জানা গেল, কঙ্কালটি এক বাঙালি মহিলার, যেমনটি আমি দুশ্চিন্তা করেছিলাম। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স ছিল ২০ বছরের মতো।
১৯৭১ সালের মার্চ থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রায় নয় মাস বাংলাদেশে পাকিস্তানি সশস্ত্র বাহিনীর হাতে ৩০ লাখ মানুষ প্রাণ হারিয়েছিল। দুই কোটি মানুষ হয়েছিল গৃহহারা। এই ছোট্ট দেশের অধিকাংশ এলাকা পরিণত হয়েছিল ধ্বংসস্তূপে।
আমি আমার দায়িত্বের অংশ হিসেবে ঢাকায় এবং না না জানা এক ছোট্ট গ্রামে মোট ৪০০টি মৃতদেহ যথাস্থানে পৌঁছানোর কাজ করেছিলাম। তাদের উপর নির্মমভাবে হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছিল।

মৃত্যু নিয়ে ৫ সিনেমা

Alejandro González Iñárritu..jpg
মেক্সিকান পরিচালক, জীবনে মাত্র চারটি ছবি করেছেন। আর এই চার ছবি দিয়েই নিজের জাত চিনিয়েছেন তিনি। বলা যায়, নতুন একটি ধারা তৈরি করেছেন। তিনি আলেজান্দ্রো গনজালেস ইনারিতু। চার ছবির তিনটি আবার একই ধারার। বিষয়বস্তু মৃত্যু। ডেথ ট্রিলোজি। সিনেমায় গল্প বলার রীতি একটু আলাদা। একসঙ্গে কয়েকটি ঘটনা এগিয়ে যায়, শেষটি হয় একবিন্দুতে। এর নাম হচ্ছে হাইপার লিঙ্ক সিনেমা। মজার ব্যাপার হলো, হাইপার লিঙ্ক সিনেমার ধারণাটা শুরু করেছিলেন সত্যজিৎ রায়, কাঞ্চনজঙ্ঘা সিনেমা দিয়ে। ইনারিতু প্রথম মেক্সিকান পরিচালক, যিনি প্রথমবার একাডেমির জন্য মনোনয়ন পেয়েছিলেন। আর সেই ছবি হলো, অ্যামোরেস পেররোস, মেক্সিকোর ছবি, ভাষা স্প্যানিস। ডেথ ট্রিলজির প্রথম ছবি। এর পরের ছবিটি তিনি হলিউডে গিয়ে করেন, ২১ গ্রামস। আর ট্রিলজির শেষ ছবি বাবেল। ইনারিতুর শেষ ছবি বিউটিফুল, ট্রিলজির বাইরে।

অ্যামোরেস পেররোস

ব্লগবাকুম

১.
মার্ক যুকারবার্গ তার দীর্ঘদিনের বান্ধবী প্রিসিলা চ্যানকে বিয়ে করলো। তথ্য প্রযুক্তির মানুষ হয়ে চায়নীজ প্রোডাক্ট ঘরে তুললো কেন এইটাই আমার প্রশ্ন।
522237_10100387013598441_140_43926141_1171470040_n_0.jpg
মার্ক জুকরবার্গ বিয়ে করেই ফেসবুকে স্ট্যাটাস পালটাইয়া লিখলো ‌'বিবাহিত'। আর প্রিসিলা কি লিখলো? দুষ্ট লোকেরা বলে, সে লিখছে 'জ্যাকপট'।

২.
কাল ছিল ১৮ দলের অনশন। সেই অনশনের অনেক ছবি তোলা হইছে। একটা ছবি রিলিজ করলে এএফপি।
BANGLADESH-POLITICS-PROTEST-074028.jpg
খুবই নিরীহ একটা ছবি, ছবিটা দেখে মন ভরছে।

৩.

ভূতের ভবিষ্যৎ নিয়ে কথাবার্তা ও বিটলজুস

গত ২৯ এপ্রিলের আনন্দবাজার পত্রিকার প্রধান শিরোনাম দেখে চমকে উঠেছিলাম। আমরা যারা পত্রিকায় কাজ করি তারা সহজে এ ধরণের চমক দিতে পারবো না, সেই সাহস মনে হয় আমরা এখনো অর্জন করিনি। ভারত বা কোলকাতা পেরেছে, কারণ সম্ভবত সিনেমা তাদের জীবর যাপনেরই অংশ।
শিরোনামটা বলি
ভূতেই ভবিষ্যৎ বাঙালির, দেখাল
ব্যতিক্রমী ছবির বেনজির সাফল্য

একটি সিনেমা নিয়েই এতো কথা। আর সিনেমাটার নামও অন্যরকম, ‌'ভূতের ভবিষ্যৎ'।
Bhooter Bhobishyot poster.jpg

লেখকরঙ্গ

চার্লস ডিকেন্স লোকটা অন্য রকম ছিলেন। পত্রিকায় তিনি ধারাবাহিক উপন্যাস লিখতেন। তাঁর উপন্যাসের কিস্তি পড়ার জন্য অধীর আগ্রহে পাঠকেরা অপেক্ষা করতেন। মাস্টার হামফ্রেজ ক্লক নামের একটা সাপ্তাহিকে তাঁর উপন্যাস প্রকাশিত হতো। দি ওল্ড কিউরিসিটি শপ ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ হতে শুরু করে ১৮৪০ সালে। উপন্যাসটি ইংল্যান্ডের গণ্ডি ছাড়িয়ে আমেরিকায়ও তুমুল জনপ্রিয় হতে শুরু করে।
কাহিনি তখন চূড়ান্ত পর্যায়ে। আর মাত্র একটি পর্ব বাকি। সবার আগ্রহ উপন্যাসের নায়িকা নেলের পরিণতি নিয়ে। সে কি বাঁচবে, নাকি মারা যাবে। তখন সাপ্তাহিকটি আমেরিকা যেত জাহাজে করে। জাহাজ যেদিন ভিড়বে, সেদিন ঘাটে হাজার হাজার মানুষের ভিড়। পত্রিকা হাতে পেয়ে পড়ার জন্য সবাই অস্থির। আর সহ্য করতে না পেরে জনতা চিৎকার করে জাহাজের নাবিকদের কাছেই জানতে চাইল, ‘নেল কি মারা গেছে?’

রাজনীতির ব্যাপার-স্যাপার

১.
গল্পটা ফিলিপাইনের স্বৈরশাসক ফার্দিনান্দ মার্কোজকে নিয়ে। পাশের দেশের প্রেসিডেন্ট গেছেন ফিলিপাইন সফরে। সেখানে একান্ত সাক্ষাৎকারে অনেক ব্যক্তিগত প্রসঙ্গেও কথা বলছিলেন তাঁরা। মার্কোজ একসময় জানতে চাইলেন, পাশের দেশের প্রেসিডেন্টের শখ কী। তিনি বললেন, ‘আমাকে নিয়ে আমার দেশের লোকজন অনেক কৌতুক-গল্প বানায়। আমার শখ সেই সব কৌতুক-গল্প সংগ্রহ করা।’ এবার মার্কোজকে তিনি একই প্রশ্ন করলেন। মার্কোজের সোজাসাপটা উত্তর, ‘আমার শখ, যারা আমাকে নিয়ে কৌতুক বানায়, তাদের সংগ্রহ করা।’
মার্কোজ মারা গেছেন সেই ১৯৮৯ সালে। নিন্দিত এই মার্কোজকে নিয়ে অনেক গল্প চালু আছে। তাঁকে কেউ অনুকরণ করছেন বলে স্বীকারও করবেন না। অথচ অনুকরণ করার মানুষের কিন্তু অভাব নেই। বাংলাদেশ নিয়ে আমি কিছু বলছি না। পাশের পশ্চিমবঙ্গের উদারহণই তো দেওয়া যায়। আমাদের মমতা দিদিকে নিয়ে ব্যঙ্গ করায় যাদবপুরের অধ্যাপক অম্বিকেশ মহাপাত্র গ্রেপ্তার হয়েছেন।

২.

‌ভাল বাবা হওয়ার ১০১টি উপায়

১.
আমার বাবাকে আজকাল আমি প্রায়ই স্বপ্নে দেখি। স্বপ্ন দেখে আমার ঘুম ভেঙ্গে যায়। মনে হয় একটু ছুঁয়ে দেখি।
বাবা যখন বেঁচে ছিলেন আমি তাঁকে স্বপ্ন দেখেছি বলে মনে পড়ছে না। তখন বাবাকে প্রচন্ড ভয় পেতাম। বড় বেলায়ও সেই ভয় আমার যায়নি। যাকে ভয় পাই তাকে নিয়ে নিশ্চই স্বপ্ন দেখা যায় না।
তখন মাকে যে প্রচন্ড ভালবাসতাম তা বুঝতাম। বাবাকে ভালবাসার কথা কখনো ভেবেছি বলে মনে পড়ে না। বাবা অফিস করবে, বাসায় ফিরলে আমাদের টিভি বন্ধ করে পড়তে হবে, বেশি শব্দ করা যাবে না, এক রুমে থাকলে অন্য রুমে চলে যেতে হবে-এই আমাদের সম্পর্ক।
এখন বাবা নেই। আমি এখন জানি বাবাকে কতটা ভালবাসতাম। কিন্তু এই কথা বাবাকে আর কখনো বলা হবে না।

২.
‌'আমার বাবা আমাকে পৃথিবীর সেরা উপহারটি দিয়ে গেছিলেন। আর সেটি হলো আমার উপর তাঁর আস্থা ছিল, আমার উপর তিনি বিশ্বাস স্থাপন করেছিলেন।'

৩.
Your children are not your children.

আমার আত্মজীবনী পাঠ

আমার পছন্দ আত্মজীবনী। কিন্তু সব আত্মজীবনী পড়ার মতো নয়। কেউ কেউ নিজেকে এমন উচ্চতায় নিয়ে যান যে, ফেরেসতা বললেও কম বলা হবে। আবার অনেকেই আছেন অকপটে অনেক কিছু লিখেছেন, নিজেকে নিয়ে। সেগুলো পড়তেই আমার আগ্রহ বেশি। রাজনীতিবিদদের আত্মজীবনী পড়লে ঐতিহাসিক অনেক ঘটনা জানা যায়। লেখক-সাহিত্যিকদের আত্মজীবনী মনের অনেকগুলো জানালা খুলে দেয়। আত্মজীবনীর কিছু কিছু অংশ পড়লে মনে হয়, প্রিয়জনদের জানাই।

১.

মরণেরে তুহু মম শ্যাম সমান

জুলমাত খোন্দকার ঘুম থেকে উঠে হকচকিয়ে গেলেন। ঘরে এই সময় কেউ থাকার কথা না। খুব মনে আছে দরজা-জানালা সব বন্ধ করে ঘুমিয়েছিলেন। অথচ দেখলেন বিছানার কোনে একজন বসে আছে। মুখ দেখা যায় না, কালো একটা আলখেল্লা পড়া।
জুলমাত খোন্দকার চিৎকার করে উঠতে চাইলো, কিন্তু মনে হল কেউ একজন গলা চেপে ধরে আছে। ফলে নিজের ফ্যাসফ্যাস গলাই অজানা মনে হলো তার কাছে। ভয়মিশ্রিত কন্ঠে বলে উঠলো-ক্কে ক্কে আপনি?
লোকটি সেভাবেই বসে থেকে কেবল মুখটা জুলমাত খোন্দকারের দিকে ঘুরিয়ে আনলো। মুখটা ভয়াবহ সাদা, কেবল চোখ দুটোই কালো। মোটেই স্বস্তি দেয় না এই মুখ। অমঙ্গলের পরিস্কার ঈঙ্গিত সেখানে।
জুলমাত খোন্দকার আবারো প্রশ্ন করলো-কে আপনি?
লোকটি নির্মোহ ভঙ্গিতে কেবল বললো-আমি মৃত্যু।

criterion seventh seal 420ff.jpg