রৌদ চশমা'এর ব্লগ
ফেরা
বালিশে মাথা রেখে যারা ঘুমিয়ে আছে
তারা ঘুমিয়ে থাকে;
কাল ভোরে জাগাবার জন্য।
যে-সব ধূসর হাসি, গল্প, প্রেম, মধুরেখা
পৃথিবীর
পাথরে কঙ্কালে অন্ধকারে মিশেছিলো
ধীরে-ধীরে জেগে ওঠে তারা।
.
সচরাচর ভোরে ওঠার সুযোগ কম হয় আমার...
তাইমোহভঙ্গ সকালটায় হারমোনিয়াম
বাজিয়ে যেমেয়েটা নেক্সটফ্লোরে গলা
সাধে সাত সকালে, তার বিষাদীকণ্ঠ খুব
একটা শুনতে পাই না।তক্ষকডাকা একটা রাত
রবীন্দ্রনাথের গল্পগুচ্ছেরপাতা ওল্টাতে
ওল্টাতে ঘাড়বাঁকা করে কখন অদ্ভুতভাবে
ঘুমিয়ে পড়েছি, টেরপাইনি। জানালার কাঁচ
ভেঙে দেয়ার মতো বৃষ্টিযখন ঘুম ভাঙালো
বাইরে তখন ধূসরধ্রুব ভোর প্রায়....
.
এল্যার্ম এর কর্কশ ধ্বণি শুনে যখন চোখ দুটো
খুললাম তখন ঘড়ির কাটায় ঠিক ভোর পাঁচটা!
সচরাচর ভোরে ওঠা আমার কাছে বাহুল্য মাত্রই
বলা চলে! সচরাচর আমার ভোর হয় সূর্যি যখন
অগ্নিঝড়া চোখে মধ্যগগণে তীব্র অভিশাপ
দিতে থাকে আর সেই অভিশাপের ফল এক
ভ্যাট দেব না,গুলি কর
৬ টাকা নিয়ে বের হয়েছিলাম। ক্লাস ৯:৩০ এ। বাস ভাড়া ৭
টাকা, রিক্সা ভাড়া ৩০। সকালের কড়া রোদে ৪৫ মিনিট
হেটে মাথা ব্যাথা শুরু হয়ে গিয়েছিলো। ঢাকায় সাধারনত
কেউ সাপ্লাই পানি খায়না। সেদিন টেপের পানিই
খেয়েছিলাম। বাকি দিনের কথা বলা বাহুল্য। গায়ে দিতাম
এডিডাসের টি শার্ট, প্রবাসী বোনের কল্যানে।
বাবার প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা প্রায় অর্ধেক শেষ।
প্রতিদিন হিসাব করতাম আর কত সেমিস্টার লাগবে, কত
টাকা লাগবে। স্ট্যাটিস্টিকসে পেলাম "ডি+"। মাথায় হাত।
রিটেক করতে গেলে আরো ১২ হাজার টাকার মামলা। এক
সাবজেক্টেই সি জি পি এ নেমে গেল। উপায় নেই। করা
যাবেনা রিটেক।
অনেক রাত কেটেছে সস্তা মেসের বুয়ার রান্না খেতে না
পেরে উপোস থাকা।
২০১০ হঠাৎ ৪% ভ্যাটের নোটিস, নেমে গেলাম বড় ভাইদের
সাথে, বড় ভাইরা মার খেলেন, জেল খাটলেন, সাসপেন্ড
হলেন। আমরা মিছিলের পিছনে থেকে কোনমতে লাঠিচার্জ
সুখ বেচি
মধ্যবিত্ত মানসিকতা বা মিডলক্লাস সেন্টিমেন্ট
বিষয়টা আমার ভালো লাগে।
খুব সাজানো গোছানো, পরিপাটি সংসারে একটু
একটু করে অর্জিত আনন্দগুলো কমই থাকে
সাধারণত;
রোজ ৫০-৬০ টাকা জমিয়ে ফেরিওয়ালার কাছ
থেকে কেনা সস্তা চায়ের কাপে যে জুটি সন্ধ্যার
চা পর্বে নিজেদের ছোট্ট ছোট্ট সুখ খুঁজে নেয়,
প্রায় মধ্যরাত পেরোনো একাকী ডিনারে দামি
রেস্তোরাঁর চেক-ইন ছাড়া আপনি সে সুখের
কাছাকাছিও কখনও যেতে পারবেন না।
কাঁচঘেরা শো-রুমের ফার্নিচার দেখে দীর্ঘশ্বাস
লুকোনো বেকার ছেলেটা যখন ছোট্ট চাকরির
সামান্য বেতনে আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপের
মতো বাসায় নতুন একটা আলমারি নিয়ে আসে,
চোখের কোণে চিকচিক করা জলে তার প্রিয়তমার
সুখটুকু একান্তই মধ্যবিত্তের!
হাইক্লাস এপার্টমেন্টের এলুমিনিয়াম কোটেড
গ্লাসের জানালায় সে সুখ ধাক্কা খেয়ে ফিরে
যায়!
যে বাচ্চাটা মোমবাতি নেভানো, কেক-কাটা
নাড়ির টান
ক্লাস শুরু হওয়ার পর থেকে গ্রামের বাড়ি যায় নি।বাড়ি থেকে ফোন আসছে "বাবু কবে আসবি"?তারাতারি চলে আয়। আম সব পেঁকে গেছে,লিচু গুলো বাদুড়ে খাচ্ছে,জাম গুলো রং হওয়ার আগেই বদমাইশ ছেলেপিলে পেড়ে নিয়ে যাচ্ছে, ৪ টা কাঁঠাল চুরি হয়ে গেছে!আরো কতশত অভিযোগ!
কাউকে কিছু না বলে হুট করে ভোর সাড়ে ছটায় চোখ দুটো দুহাতে কচলাতে কচলাতে কমলাপুর হাজির!
হ্যাঁ, বাড়ি যাচ্ছি নাড়ির টানে।তোমাদের এই ইট কাঠ, ধুলোবালির আর মিথ্যে কথার শহর ছেড়ে যাচ্ছি বুনোফুল আর কর্দমাক্ত মাটির ঘ্রাণ নেব বলে।খোলামাঠ আর মেঘ রৌদ্দুর আকাশটা দেখিয়ে বলব "এই দেখ আকাশটা আমার"
তোমাদের এই সুড়কি আর চুনাপাথরের শহরে সব কিছুই কেমন জানি মেকি মেকি লাগে এবং আকাশটাও।বাড়ি যাচ্ছি ট্রেনে চেপে! বাড়ি যাওয়া উপলক্ষে মনে
হয় মেঘ গুলো খুশি হয়েছে!ট্রেনের গতির সাথে
পাল্লা দিয়ে ছুটে চলেছে পিছু পিছু!
দিনলিপি (পোকা সমাচার)
আমার রুমটা এমন একটা রুম যে রুমের ভিতর বসে থাকলে
বাহিরে রাত নাকি দিন তাহা বুঝা গবেষণা মূলক কাজ!বহুত ভাবনা
চিন্তা করে ডিসিশন নিতে হয় বাহিরে কি এখন রাত নাকি মধ্য
দুপুর!
দুইটা জানালা আছে!এখন আবধি বুঝে পাই নাই জানালা দুইটার
কাম কি!মাইনকার চিপার মত দুই বিল্ডিং এর মাঝে জানালা!জানালা
দুইটা দিয়া না আসে এক ফোটা বাতাস,না আসে এক ফোটা
রৌদ!তবে মাঝে মাঝে দু এক ফোটা বৃষ্টির জল আসে!
কেম্নে আসে তাহা বুঝা আমার কম্য নহে!
যেহেতু আমি পাক্কায় ঘুমাই!(লালন অনেক জোর করছে
খাট কিনতে!বেচারার পাক্কায় ঘুমাইতে ভাল লাগে না! :3)
সেহেতু আমার ঘরে পোকামাকড়ের অভাব নাই!
কি নাই ঘরে!তেলাপোকা, বিছা,বিচ্ছু,কেঁচো,
পিঁপড়ার আস্তানা!প্রত্যেক দিনই তাদের কেউ না
কেউ পক্ষাঘাতে মারা যায়! কখনো বা ঝাড়ুর আঘাতে!!
তবে এরা ভদ্র স্বভাবের!কামড়ায় নাহ! চলে যাচ্ছে দিন
তাদের সাথে করেই.....
বিশ্বাসের গালি
জন্মের পর থেকে যে সকল গালি গুলি শুনে বড় হয়েছি তার মধ্যে ৯৮ শতাংশ মা বোন রিলেটেড। যেমন - মাগির পুত,মাদার চোদ,তোর মায়েরে চুদি,ব্যাশ্বার মাইয়া,*নকি মাগি,নডির ছেড়ি,শালীর পুত,তোর বইনরে চুদি.... আরো কত কি....
হ্যাঁ, লিখতে হাত কাঁপলেও লিখাতে হবেই।আমাকে নোংরা কিংবা যাই ভাবুন না কেন তাতে আমার কিছু যায় আসে না।
জন্মের পর থেকে আমরা ধরেই নিয়েছি সকল খারাপ কিছুর মূলে রয়েছে আমার মা বোনরা।আমাদের চুতিয়া সুশীল সমাজ আমাদের তাই শিক্ষা দিয়েছে এবং তা আমরা মেনেও নিয়েছি।কেউ যদি আমাকে গালি দেয় "তুই একটা ব্যাশ্যার পুত" তার মানে দাড়ায় আমার মা ব্যাশ্যা এবং এটা আমরা মেনেও নিয়েছি। জগতের সকল খারাপ আমাদের মা এবং বোন এটা অলিখিত ভাবে মেনে নিয়েছি।
You Paid For It
# They changed the venue for their own advantage.
# They doubtedly appointed the stupid jokers as umpires.
# They evidently staged the Match.
# They drew the result-scatch long before it was to be held.
# They do not have gutts to face the fair challange.
.
and yet, they call themselves WORLD CHAMPION ... !
FUNNY !
Isn't it ?
মাহমুদুল্লারে দুইবার চোখ পিট পিট করেই আউট দিয়ে
দিলো ! কোন জুমিং নাই, বেনিফিট অব ডাউট নাই !
আজব ... ! ! ! বিশ্বকাপটারেও এরা IPL-এর মতো হালাল
জুয়া-সার্কাসের আসর বানাইতে নামছে।
Shameless circus from so-called ICC (Indian Cricket
Council) !
India,the cup is yours cz you "paid" for it...
বুলেট ফর মাই ভ্যালেন্টাইন
Over the top, over the top! Right now, it's killing time!
Over the top, over the top! The only way out is to die!
God has spoken through his conscience!
As I scream, aim and fire! The death toll grows higher!
(Bullet For My Valentine- Scream Aim Fire)
ভ্যালেন্টাইন। বুলেট ফর মাই ভ্যালেন্টাইন। লাল গোলাপ অথবা সাদা।উহু,ভুলেগেছি সেই কবেই।আমার এই বৃদ্ধ আর ছোট মস্তিষ্ক এত কিছু মনে রাখতে পারে না।তবে সেটা লাল গোলাপই ছিল মনে পরে আবছা আবছা।
শুরুটা সেই ক্লাস ওয়ান থেকে।টিফিনে ডালপুরি থেকে শুরু।প্রতিদিন টিফিনে ডালপুরি খাওয়ানোটা তোর অভ্যাসে পরিণত হয়ে গিয়েছিল।কতদিন ক্লাসের খাতা করে দিয়েছিস হিসেব করলে দু চারটা মহাভারত লিখে ফেলা যেত।স্কুল শেষে হাতে হাত রেখে বাড়ি ফেরা।পিচ্চি কালটা কতই না ভাল ছিল!
প্রিয়তমেষু - ২
"এই বরফপথ, এই কঠিন রাত ,
তোমার পুরোনো অজুহাত...
এই আলোর নিচে কাঁপতে থাকা
ছায়ার শিকড় ছিঁড়তে চাই!
এই উল্কাপাত, এই বিশ্রী রাত,
আচমকা এই গোপন আঁতাত...
সব ধ্বংস হওয়ার আগেই আমি
তোমার চোখে ভিজতে চাই!
আর কেউ তোমার ভাষাতে,
সমুদ্রের ভালোবাসাতে
ফিরিয়ে নিয়ে গেলো তোমায়,
আহত ঝিনুক সৈকতে।
আর চিরাচরিত জীর্ণতায়,
আবার প্রেমের তীক্ষ্ণতায়....
সব রেকর্ড করা থাকবে তোমার
অন্তর্বর্তী শূণ্যতায় !!
যদি এক মুহূর্তের জন্যেও আমায় চাও,
সেটাই সত্যি ....
যদি এক মুহূর্তের জন্যেও আমায় চাও,
সেটাই সত্যি!!"
প্রিয়তমেষু ,
ভালো আছো তো? আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখে লাভ নেই
অবশ্য। ওই নামে এখানে কেউ থাকে না। তুমি বরং দুপুরের
খটখটে রোদের কাছে চিঠি লিখতে পারতে।
অথবা .. তুলসী তলে জ্বালানো সাঁঝবাতির কাছে।
ডাকপিয়নদের আলসেমির কল্যাণে মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েই নাহয়
পৌঁছে যেতো আমার কাছে!
কবি
আমি সচরাচর এমন লিখি না।কাজেই আমার ভুল হলে কবি সমাজ আমায় ক্ষমা করবেন।
প্রথম আলো'র জীবনানন্দ দাশের নামে নামকরন করে প্রতি বছর সেরা কবিদের পুরষ্কার দেয়।হা,এটা ভাল কথা।কিন্তু পুরষ্কার দেয়ার নামে কোন যৌনবাসনাকারী কে পুরষ্কার দেয়ার মানে কি হতে পারে??
কোন ব্যাক্তিগত প্রতিষ্ঠান কাকে কিসের
জন্য পুরষ্কার দেবে তা নিয়ে কিছু বলার
নেই।
তবে
''বিশুদ্ধ কবি জীবনানন্দের'' নামে প্রবর্তন
করা পুরষ্কার কোন কুৎসিত মানসিকতার যৌন
উন্মাদকে দেওয়াতে অবশ্যই আপত্তি আছে।এটা প্রথম আলোর সম্পাদক মতির মানসিক বিকৃতি প্রকাশ করে। সাইদ জামিলের মত মানসিক বিকৃতি ওয়ালা মানুষ কি ভাবে এই পুরষ্কার পায়?
মানুষের জানা দরকার, কাকে এই পুরুষ্কার দেয়া হয়েছে,
কেন দেয়া হয়েছে।
তিনি যে কবিতার পান্ডুলিপির জন্য পুরুষ্কার পেয়েছেন,
তাতে একটি কবিতার নাম 'কিলুর মগজ',
যা প্রথমা প্রকাশনী থেকে ছাপা হবে। নীচে সেই
প্রিয়তমেষু
পুরোনো বইয়ের পাতার
ভাঁজে উঁইপোকাকে ফাঁকি দিয়ে
বেঁচে থাকা একটা-দু'টো কালচে হলুদ কাগজে কিছু
বাক্সবন্দি স্মৃতিরা আনন্দেই দিন কাটাচ্ছিলো।
আচমকাই আমার অবাঞ্ছিত আগমনে তাদের
বিরক্তির যথেষ্ট কারণ ছিল।
তবু নির্লজ্জের মতো বেশ কিছুক্ষণ সেই অনাঘ্রাত
বুনোফুলের ঘ্রাণ নিতে ঐ কয়েকটা পাতায় ঠায়
দাঁড়িয়ে থাকা, অযৌক্তিক মনে হলো না আমার
কেন জানি।
আমি বরাবরই স্বার্থপরের দলে ছিলাম। সম্প্রদান
কারকের ব্যাকরণ বোঝার
বাড়াবাড়িতে যাইনি বলেই হয়তো ভালোবাসার
ভাষ্কর্যে দেবার মতো যথেষ্ট সম্মানজনক নৈবেদ্য
ছিলো না আমার কাছে।
প্রাপ্তিযোগ বলতে যা কিছু ছিল, তার আস্ফালন
নেহায়েতই ঐ অচল আধুলির মতো! ভিক্ষুকের কাছেও
মূল্যছাড় চলে তার!
আমার তবু অতোটুকুনই যক্ষের ধন, ওতেই আমার
সবটা অহংকার!
প্রিয়তমেষু,
তুমি আমার কাছে শীতের রাতের উষ্ণতার
মতো তীব্র আকাঙ্খিত ছিলে না কখনোই!
ক্যাপ্টেন হায়দার
রুমীর মৃত্যুর পরের ঘটনা। একদিন কয়েকজন
সহকর্মী নিয়ে জাহানারা ইমামের বাসায় এসে হাজির হলেন
ক্যাপ্টেন হায়দার্। জাহানারা ইমাম তখন স্বামী আর
ছেলে হারিয়ে শোকার্ত অবস্থায়। কোথাও
সমবেদনা জানাবে তা না। ক্যাপ্টেন হায়দার করে বসলেন
অন্য কাজ। জাহানারা ইমাম কে বললেন,
- আমার একজন বডিগার্ড দরকার্।
আমি কি জামী কে কিছুদিনের জন্য আমার
কাছে রাখতে পারি
বুঝতে হবে ,ক্যাপ্টেম হায়দার বলে কথা। কনভেনশাল
ওয়েতে শোক জ্ঞ্যাপনের আনুষ্ঠানিকতা তার সাথে যায়না।
বরং উল্টো এক কথায় প্রিয়জন হারানো বাড়িতে নতুন এক
বিশ্বাস ফিরিয়ে আনলেন।
এমনি ক্যারিজম্যাটিক ছিলেন হায়দার
মেলাঘরের প্রশিক্ষনে প্রথম দিন যখন ১৮-১৯ বছরের
সদ্য কৌশোর পেরোনো আপাত
বাচ্চা ছেলেগুলো কে দেখে আর্মির অন্যরা মুখ
টিপে হাসছিল।
খালেদ মোশাররফ এনে দাড় করিয়ে দিলেন
পাকিস্তান আর্মির স্পেশাল কমান্ডো ব্যাটিলিয়নের ক্যাপ্টেন
আগুন পাখি এবং স্বপ্ন
আজকাল স্বপ্ন দেখাটা অভ্যাস হয়ে গেছে।দেখতে না চাইলেও জোর করে স্বপ্ন দেখায় চোখ জোড়া।বিছানায় শুলেই স্বপ্ন দেখি।পাবলিক বাসে বসে স্বপ্ন দেখি।জেগে থেকে স্বপ্ন দেখি।দেখতে চাই না,তবু দেখি.....
শুয়ে থেকেই আকাশ ছোঁয়া যায়, স্বপ্নগুলোর কালার
প্রিন্ট-আউট নেয়া যায়, তারপর
সেগুলো দুমড়ে মুচড়ে ছুঁড়ে ফেলা যায় বাস্তবতার
ওয়েইস্ট বক্সের পাকস্থলীতে।
শুয়ে থেকেই আকাশ দেখা যায়। মাথার ওপর হাহাকার,পায়ের
পাতায় অবসন্নতা।
আকাশ ছুঁই শুয়ে থেকেই।বাস্তবতা নাড়া দেয়।ঘরে ১৮ বছরের ছেলে।বেকার।কোথাও চান্স হয় নি।স্বপ্ন গুলো কালার প্রিন্ট আউট থেকে সাদাকালো হতে সময় নেয় না মোটেও। উ হু,সাদাকালো না।ধূসর। মরুভূমির মরিচীকার মতন।এক পা এগুলেই ভাবি এই তো আর কিছুদূর। বৃদ্ধ, ক্লান্ত,পরিশ্রান্ত দেহটাকে টেনে নিয়ে যাই স্বপ্নের কাছে।গন্তব্যে আবিষ্কার করি সবই মিছে,প্রতারণা। আর কিছু দূর.....
দিনপঞ্জিকা
ক্ষমা চেয়ে নিলাম।কাল লিখা প্রকাশ করার পরও কোন অজ্ঞাত কারনে সরিয়ে নিয়েছিলাম।তার জন্য ক্ষমা করবেন।
গুরুজন, আমার ছোট,বড় ভাই,বোন সবাই মাফ করবেন। এই ধরনের লিখার জন্য। ছোট ভাই হিসাবে মাফ করবেন।
আমার সিগারেট খাওয়ার কথা যখন বাসায়
জানলো,তখন আম্মার যে হাউ কাউ,
এখনো সেটা থামেনি, এবং আমার ধুমপানের অভ্যাশ
নিয়ে তার কান্ডকলাপ জোড়া লাগিয়ে একটা বেশ
বই লেখা যায়।
যাই হোক, সেটা অন্য আলাপ, এখন বাবার কথা।
বাবার রিএকশন কিছু ছিলো না। তবে সে বোধ হয়
একটু কষ্ট পাইছিল।
আমাকে একদিন বললো, "রৌদ , যে সিগারেটই
খাও, ভালোটা খাবে। কমদামী না "
তখন মেজাজা খারাপ হইছিল খুব।
আম্মা বিড়ি খাওয়ার কথা জানার পর আমার
অর্থনৈতিক অবস্থার যে ধ্বস নামছিল,
তা থেকে আজো পরিপুর্ণভাবে উঠতে পারি নাই।
তারপর আরেকদিন সে কিঞ্চিত বিরক্ত হয়েই
দিন শেষে আমি ইকারাস
ইকারাসের গল্পটা খুব সাধারণ।
সে আর তার বাবা ডেডেলাস একটা গোলোকধাঁধাঁ
থেকে পালাতে চেয়েছিলো। ডেডেলাসই তৈরি
করেছিলেন সেই মেইজ। পালাবার একমাত্র উপায়
বিশাল আকাশ। মোম গলিয়ে তাতে পালক জোড়া
দিয়ে দুই জোড়া পাখা বানিয়েছিলেন। এক জোড়া
তাঁর নিজের জন্য। আরেকটা ইকারাসের।
ওড়ার আগে ডেডেলাস বারবার ইকারাসকে
সাবধান করে দিয়েছিলেন " বাবা উড়বি, কিন্তু
সুর্যের কাছে যাবি না। মোম গলে যাবে।"
প্রথমে তাতে সায় দিলেও,নভশ্চারী ইকারাসের
শিঘ্রই তা বিস্মৃত হয়। এবং আনন্দে আত্মহারা সে
"আরো উঁচুতে যাবো। আমি স্বর্গ ছোঁব" এমন
কল্পনায় নতুন উদ্দ্যমে উড়তে থাকে। নিচে তার
বাবা চিৎকার করে বলেন " বাবা, আর উপরে যাস
নে, আর উঁচুতে উঠিস নে, মারা যাবি!"
কে শোনে কার কথা। যৌবনমদে মাতাল ইকারাস
আরো আরো আরো আকাশে যায়।
সুয্যিমামা তার বেজায় ইগো আর প্রানশক্তি
দেখে হিংসাই করে বসে বোধ হয়। সুর্য কী আর