ফেরা
বালিশে মাথা রেখে যারা ঘুমিয়ে আছে
তারা ঘুমিয়ে থাকে;
কাল ভোরে জাগাবার জন্য।
যে-সব ধূসর হাসি, গল্প, প্রেম, মধুরেখা
পৃথিবীর
পাথরে কঙ্কালে অন্ধকারে মিশেছিলো
ধীরে-ধীরে জেগে ওঠে তারা।
.
সচরাচর ভোরে ওঠার সুযোগ কম হয় আমার...
তাইমোহভঙ্গ সকালটায় হারমোনিয়াম
বাজিয়ে যেমেয়েটা নেক্সটফ্লোরে গলা
সাধে সাত সকালে, তার বিষাদীকণ্ঠ খুব
একটা শুনতে পাই না।তক্ষকডাকা একটা রাত
রবীন্দ্রনাথের গল্পগুচ্ছেরপাতা ওল্টাতে
ওল্টাতে ঘাড়বাঁকা করে কখন অদ্ভুতভাবে
ঘুমিয়ে পড়েছি, টেরপাইনি। জানালার কাঁচ
ভেঙে দেয়ার মতো বৃষ্টিযখন ঘুম ভাঙালো
বাইরে তখন ধূসরধ্রুব ভোর প্রায়....
.
এল্যার্ম এর কর্কশ ধ্বণি শুনে যখন চোখ দুটো
খুললাম তখন ঘড়ির কাটায় ঠিক ভোর পাঁচটা!
সচরাচর ভোরে ওঠা আমার কাছে বাহুল্য মাত্রই
বলা চলে! সচরাচর আমার ভোর হয় সূর্যি যখন
অগ্নিঝড়া চোখে মধ্যগগণে তীব্র অভিশাপ
দিতে থাকে আর সেই অভিশাপের ফল এক
চিলতে রোদ জানালার সমস্ত প্রতিবন্ধকতা
ভেদ করে মুখে এসে পরে ঠিক তখন ই! তাই
ভোরের রং কি তা আমার ধারনা না থাকাই
বিস্ময়ের খোরাক যোগাবে নাহ!
.
কম্বল ছেড়ে "ঘনাদা" সমগ্রের উপর থেকে চশমা
চোখে যখন বারান্দায় পা রাখলাম তখনো
জানতাম না যে ভোর পাঁচটায় ও জোছনার
দেখা পাব! স্মৃতির পাতা আর স্মরণ শক্তির
মধ্যে লেগে যাওয়া যুদ্ধটা থামানোর জন্যই
মুঠোফোনের ভার্চুয়াল দিন পঞ্জিকা জানিয়ে
দিলো দু দিন আগে "পূর্ণিমা " বিদেয় নিয়েছে!
.
একগুচ্ছ মন খারাপ আর চিরচেনা সেই স্নিকার
আর হুডি পরে যখন রাস্তায় বেড়িয়েছি ট্রেন
ধরব বলে তখন ভোরের ঘোর কেটে দিয়ে একদল
চড়ুইয়ের দল জানিয়ে দিল "শুক্লপক্ষ আর
পঞ্চমীর চাঁদ, আধারের নিকট জমা থাকুক
আমার শত জনমের অভিমান"
মন্তব্য করুন