উপন্যাস : অচল পয়সার জবানবন্দি (৩)
৩.
আমাদের গ্যারাজটা’কে আমার আজীবন অদ্ভুত লেগেছে। আজও লাগে। আমার ধারণা আমৃত্যূ তাই লাগবে। ৯১-৯২ সালের দিকে ডাকসু নির্বাচন কেন্দ্রীক একটা খুন হয়ে যাওয়ার পর এই গ্যারাজটায় ছেলে-পিলে সব আসা বন্ধ করে দিয়েছিলো। প্রায় দশ বছর পর; আমার যখন বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ঘুরঘুর করার এ্যমেচার লেভেল অতিক্রান্ত হয়েছে; তখন সুব্রত, তোয়াব আর আমি একদিন একটি নির্ভুল স্টিক হাতে ঢুকে পড়লাম সেখানে। বহুদিন পর বোধহয় গ্যারাজের বাতাসে গাঁজার ধোঁয়া উড়লো। সেই থেকে আখড়াটি চালু আছে। মান্না দে’র ‘একই সে বাগানে আজ এসেছে নুতন কুঁড়ি, শুধু সেই সেদিনের মালি নেই’ কথাটাকে সত্য করে দিয়ে টিকে আছে আজ বহু বছর ধরে।
এখনো সেখানে গেলে কাউকে না কাউকে পাওয়া যাবে। কেননা একেকটা সিস্টেম দাঁড় করাতে যেমন প্রচুর সময় লাগে, তেমনি একবার একটা সিস্টেম দাঁড়িয়ে গেলে সেটাকে শুইয়ে দিতেও সময় কম লাগে না। আসলে কোনো সিস্টেমই তার পূর্ণ মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে বন্ধ হয়ে যেতে চায় না। গ্যারাজটার মেয়াদ সম্ভবত আরো অনেক দিন বাকী আছে।
অলিদেরকে পেছনে বসিয়ে রেখে সেদিকে সাইকেল ছোটালাম। পকেটে আছে পুরোনো ডিলারের দু’শ টাকা দামের ‘মাল’। স্বাধীনতা স্তম্ভের পিচ্ছিল মার্বেল পাথরের ওপর দিয়ে যাওয়ার সময় মনে মনে ভাবছিলাম, এখন কি করা যায়?
জীবনটা আসলে অচিন্ত্যনীয় রকমের অদ্ভুত একটা জিনিস। কখনো ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ, কখনো নিস্তরঙ্গ, কখনো উত্তাল, কখনো নিমীলিত; এর কোনো ঠিক-ঠিকানা নেই। কখনো-সখনো এমন দিন যায় যে ‘কি করবো’ ভাবার সময়টুকুও পাই না। আবার কখনো ‘কি করবো’ ভাবতে ভাবতেই সূর্য একটা পাক খেয়ে নেয় তার জায়গায় দাঁড়িয়ে।
মনে পড়লো আমাকে এক সময় সকাল নাগাদ ঘুম থেকে উঠে যেতে হতো। সেই ওঠা থেকে শুরু করে রাতে আবার ঘুমুতে যাওয়া ইস্তক নানা রকমের আয়োজনে কেটে যেতো দীর্ঘ দিবস, দীর্ঘ রজনী, দীর্ঘ বরষ-মাস। আজকাল বোধহয় আরো কারে ভালোবেসেছি। তাই আর পুরোনো সে সময়ের কাছে আর ফিরে যাই না। নাহলে কি আর ‘এখন কি করবো’ সে কথা আমাকে চিন্তা করতে হয়?
সেই সকাল-সন্ধ্যা এক করে দেয়া দিনগুলোতে বাসা থেকে বেরিয়ে আমাকে সর্বপ্রথম যে কাজটা করতে হতো, তা হচ্ছে ‘মালে’র সন্ধানে যাওয়া। সেটার সন্ধান পেতে পেতেই খিঁলগাও রেলগেটের ঢাল বেয়ে রাজধানীর একটা নিচু এলাকা থেকে উঠে আসতো একজন জম্বি। তাকে নিয়ে পার্কের কাছাকাছি পৌঁছুতেই টের পেতাম আরো একজন পার্কে বসে আছে। আমাদের জন্য। একজন বদ্ধ উন্মাদ। আমি, সেই জম্বি আর অপেক্ষমান বদ্ধ উন্মাদ- এই তিনে মিলে শুরু করে দিতাম রেলগাড়ি-রেলগাড়ি খেলা।
এই খেলাটার কোনো সংজ্ঞা নেই। আমরা কোনো কারণ ছাড়াই একে বলতাম রেলগাড়ি-রেলগাড়ি খেলা। বাঁশি থাকতো উন্মাদটার পকেটে। ওর নাম আসিফ। ও তখন চারুকলায় ভর্তির জন্য কোচিং করতো। কোচিং-এর ছবি আঁকাআকিগুলো হতো পার্কের সবুজ ঘাসের ওপর বসে বসেই। কোচিং-এর সামান্য সময়টুকু ছাড়া সন্ধ্যা পর্যন্ত আমরা একসঙ্গে আড্ডা, মারামারি, আনন্দ আর স্বপ্নরোপণ করে করে কাটিয়ে দিতাম।
সে দিনগুলো আস্তে আস্তে কালের গর্ভে হারিয়ে গেছে। সেই জম্বি’টা এখন মানুষে রূপান্তরিত হয়েছে। অনেক আর্থ-সামাজিক দায়বদ্ধতা তাকে নদীর পানির মতো গড়িয়ে নিয়ে ফেলেছে অনেক দূরে। আজকাল হাতে হাত রেখেও একসুরে গান গাইতে পারি না। এ সফলতা সময়ের। সময় সবকিছু’কে প্রয়োজন অনুসারে পরিবর্তন করে দেয়।
আসিফের মধ্যে একটা স্পার্ক ছিলো। যেটা নানা ঘাটের ঘোলা জল খেয়ে খেয়ে প্রায় নিভে গেছে এখন। তবে ও যে একটা সুপ্ত আগ্নেয়গিরি সেটা আমি জানি। ছেলেটা নারায়ণগঞ্জে ভর্তি হয়েছিলো, ফাইন আর্টস্ পড়বে বলে। সেখানে হোস্টেলে থাকতো। আঁকাআকির হাত ভালো ছিলো বলে, সবাই ওকে চোখে চোখে রাখতো। সাবাস-বাহবা ইত্যাদি দিতো। আর এতেই ঘটে গেল যাবতীয় সমস্যা। একদল ছেলে-মেয়ে দাঁড়িয়ে গেল তার বিরোধী পক্ষ হয়ে। কলেজের টিচারেরাও তাকে নিয়ে দুই দলে ভাগ হয়ে বাক-বিতণ্ডা শুরু করে দিলো।
আগুনে ঘি হয়ে পড়েছিলো একদিন ও আর পি.ডিগ্রী’র একটা মেয়ের একসঙ্গে রাতে হোস্টেলে না ফেরার ঘটনাটা। ছোট কলেজের ততোধিক ছোট হোস্টেলটায় ঘটনার বৃত্তান্ত দ্রুত রটে গিয়েছিলো। পরদিন প্রিন্সিপাল ওকে ডেকে তিরস্কার করে এবং এহেন অনাচারে জড়িত থাকার অপরাধে কলেজ ছেড়ে চলে যেতে বলে। ও স্বীকার করেছিলো পি.ডিগ্রী’র মেয়েটিকে সে'ই রাতে নিজের কাছে নিয়ে রেখেছিলো। পাগলটা ফিচেল তো, তাই মজা নেয়ার এ সুযোগ হাতছাড়া করে নি। শিক্ষক-শিক্ষার্থী প্রত্যেকের করা তোড়জোড় দেখে, মনে মনে ভীষণ একচোট হেসেছিলো ও।
আসলে আগের দিন রাতে আমরা তিনজন একসঙ্গেই ছিলাম। পার্কে। সারা বিকেল আড্ডা পেটানোর পর রাতে ওরা দু’জন কমলাপুর রেল স্টেশনে যায় সেখান থেকে ট্রেন ধরে নারায়ণগঞ্জ চলে যাওয়ার উদ্দেশ্যে। স্টেশন পর্যন্ত গিয়েও শেষতক কলেজে আর যায় নি। আমি একা পার্কে থেকে গিয়েছিলাম বলে আমাকে সঙ্গ দিতে ওরা আবার চলে এসেছিলো পার্কে।
আমরা রাতভর নারকেলের ছোবড়া পুড়িয়ে গোল গোল অগ্নিগোলক বানিয়েছি। তামাকপাতা মেশানো সিন্ধি গাঁজা প্রেমতক্তি’র ওপরে রেখে রতন কাটারী দিয়ে কেটে কেটে বাঁশিতে ভরেছি। তার ওপর অগ্নিগোলক চাপিয়ে সজোরে টেনে ধোঁয়া বের করেছি। বের করে সেসব ধোঁয়া মিশিয়ে দিয়েছি পার্কের বাতাসে।
তারপর তিনজন উঁচু কংক্রীটের টিলাগুলোর ওপর শুয়ে রাতের নিস্তব্ধ আকাশ দেখতে দেখতে শাপশাপান্ত করেছি শাহবাগ মোড় দিয়ে যাতায়াত করা শব্দ উৎপাদক যানবাহনগুলোকে। কারণ তাদের কর্কশ হর্ণের শব্দ মৌতাতে বিঘ্ন ঘটাচ্ছিলো বারংবার। রাত তিনটায় ক্ষিদে পেয়ে গেলো। হেঁটে হেঁটে চানখাঁর পুল গেলাম। মিতালী’র আগে ছোট্ট যে মিষ্টির দোকানটা; সেখানে ঢুকে তেল ছাড়া পরোটা, কিয়ৎক্ষণ পূর্বে চিনিরা সিরায় ডোবানো কালোজাম আর বুটের ডাল দিয়ে ক্ষুণ্নিবৃত্তি করলাম। হাঁটতে পথে কার্জনে ঢুকে এপি’র সামনে বসে বসে হেঁড়ে গলায় গান গাইলাম ভোরের আযান দেয়ার আগ পর্যন্ত। মনের আনন্দে। সে সময় এমনকি মামারাও কেউ দেখতে আসে নি ছেলেপিলে কি করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন্ জায়গাটায় কোন্ সময় গিয়ে বসে থাকলে স্বর্গসুখ লাভ হয়, সেটা আমার চেয়ে ভালো কেউ বলতে পারবে না। প্রতিটি বর্গইঞ্চি মেপেছি তো, তাই জানি।
পরদিন সকালে নারায়ণগঞ্জ চলে যায় ওরা দু’জনেই। গিয়ে সারাদিনের ঝামেলা সেরে সন্ধ্যায় আসিফ আবারো একই রেলস্টেশনের ‘শহরতলী’ নামের একই প্ল্যাটফর্ম পার হয়ে পা রেখেছিলো রাজধানীতে। আর আমি দিনভর ব্যস্ত ছিলাম অফিসের এ্যসাইনমেন্টে। সারা সন্ধ্যায় বন্ধু আমাকে জানায় নি তার সংকটের কথা। আমিও জানতে চাইনি কিছুই। কারণ কিছু জানতে চাওয়ার কথা ছিলো না। একটা বিষয় সম্পর্কে কিছুমাত্র না জানলে, সেটা বেশ ভালোই। অল্প-স্বল্প বা পুরোপুরি জানলেই যত ঝামেলা।
যথারীতি সেদিন সন্ধ্যা পার করলাম। তারপরের দিন কাটালাম। মাস পার হলো। আমি বিষয়টা আর জানতে পারলাম না। একদিন আসিফ ফোন করে জানালো, সে বাড়ি চলে গেছে। আমি জানতে চাই নি, কেন চলে গেছে। ধারণা করে নিয়েছিলাম; কলেজ ছুটি বোধহয়, তাই বাড়িতে গিয়ে স্বাস্থ্য পুনরুদ্ধার প্রকল্প হাতে নিয়েছে।
ছয় মাস পর থেকে আমার মন খচ খচ করতে শুরু করলো। ততদিনে জেনে গেছি, আমার বিশেষ এ বন্ধুটি ‘ব্রেক অভ স্টাডি’ নামক ফাঁদে আটকে পড়েছে। প্রথমেই সন্দেহ করলাম, যাই ঘটুক না কেন, ব্যটার নিজেরও এখানে ‘ফল্ট’ আছে। পরে খোঁজখবর নিয়ে দেখলাম, আসলেও তাই। লেখাপড়ায় যতিচিহ্ন বসানোর প্রথম সুযোগটি কাজে লাগিয়েই মর্দ লঞ্চযোগে নিজের উৎপত্তিস্থল দণিবঙ্গের একটি সুপ্রসিদ্ধ জেলায় গিয়ে ঠাঁই নিয়েছে।
আমি প্রথম প্রথম ক’দিন ওকে প্রচুর ধমকাধমকি করলাম। বললাম, ‘প্রিন্সিপালরে ম্যানেজ করা কোনো সমস্যা হবে না। তুই চলে আয়।’ কিন্তু কে শোনে কার কথা। ও তখন দিনানিপাত করছে ফুরফুরে অবস্থায়। বাড়িতে কৃষিকাজ করে। মাছ-মুরগী-হাঁস পালে। নিজেদের মাছে ঘের আছে। সেই ঘেরের মধ্যে আছে একটা টং ঘর। পাহারা দেয়ার জন্য। সেখানে নৌকা নিয়ে যায়। গিয়ে গোল হয়ে বসে গাঁজা খায়। একদম চিন্তুামুক্ত স্বাধীন জীবন।
সে সময় ওকে ফোন করলে, সে আমাকে বিভিন্ন স্বরচিত কবিতা শোনানোর চেষ্টা করতো। আর ফোন না করলে সে কবিতাগুলো আমাকে টেক্সট্ করে দিতো। আস্তে আস্তে কুঞ্চিত হয়ে আসলো যোগাযোগ। আমিও বিবর্তনের প্রবল স্রোতে ভেসে ভেসে সরে গেলাম অনেক দূর। মনের ভেতর থেকে গেলো কেবলই কিছু সুখস্মৃতি। আমাদের সারিয়াকান্দিতে প্রমত্তা যুমনার বুকে নৌকায় করে ঘুরে বেড়ানো সে দিনগুলোর কথা। নদীতে কংক্রীটের বড় বড় চাঁই ফেলে দেয়া হয়েছে কঠিন বাঁধ। নদীও তুখোড়। সেই কংক্রীটের চাঁই পর্যন্ত নড়িয়ে দেয় সুযোগ পেলেই। মাতাল বাঁধের ধারে ছিলো বিরাট এক অশ্বথ গাছ। কংক্রীটের চাঁইয়ের ফাঁক দিয়েই যার প্রকান্ড কান্ড উঠে গিয়ে হেলে পড়েছে নদীর ওপর। ডালগুলো একেকটা ছড়িয়ে আছে সবকিছুকে খড়কুটোর মতো ভাসিয়ে নিয়ে স্রোতের উপর পর্যন্ত। ডাল থেকে যেকোন ভাবে একবার নিচে পড়ে গেলেই খেল খতম। প্রথম হ্যাঁচকাতেই চলে যেতে হবে নদীর মাইলখানেক গহীনে। সেরকম দুই ঝুঁকিপূর্ণ ডালে গিয়ে বসার পর, আমাদের দু’জনের শুরু হলো হাতাহাতি। কে কোন্ ডালে বসবে তাই নিয়ে। হাতাহাতির সময় মনে হচ্ছিলো, মরলে তো বন্ধুর হাতেই মরবো। অসুবিধা কি? অথচ তাও বন্ধুর জন্য নিজের দাবি একচুল ছাড়ছিলাম না!
আমার পুরোনো বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হওয়ার দিনটিতে, গ্যারাজে পা দিয়ে প্রথম যে ছেলেটার চোখে চোখ পড়লো সে ছিলো আসিফ। কত বছর পর কে জানে। দেখে মেজাজ খিঁচড়ে গেল। এতো সাক্ষাৎ স্ত্রী’র ভাই। এত দিন পর ঢাকা এসেছে। এসে কোনো ফোন করা নাই। কবে এসেছে, কোথায় উঠেছে জানানো নাই। সোজা একেবারে গ্যারাজেই এসে বসে পড়েছে। কিভাবে জানলো, আমি আজ এখানে আসবো? এখানে তো প্রতিদিন আমি আসি না। প্রতিদিন আমার ‘কি করবো’ ভেবে ভেবে সময়ও পার হয় না। তাও এখানেই কেন এসে বসে আছে হারামজাদাটা? ইচ্ছে হলো সাইকেলের সামনের চাকাটা ওর গাএর ওপর তুলে দিই। কিন্তু দিলাম না। ছোট্ট করে শুধু ওর উদ্দেশ্যে একটি শব্দ ছুঁড়ে দিলাম, শুয়োর।
তবে ওকে আসলে ছুঁড়েদেয়া লাগতো হায়েনা শব্দটা। কেননা এরপরে সে তার ট্রেডমার্ক হায়েনা হাসি দিয়ে হাল ছেড়ে দেয়ার একটা ভঙ্গি করলো। এর মানে কি নিজেই হাল ছেড়ে দিলো, নাকি আমাকে হাল ছেড়ে দিতে বললো- আমি ঠিক বুঝতে পারলাম না। এ নিয়ে ভাবা বন্ধ করে, দু’বন্ধু দীর্ঘদিন পর পাশাপাশি বসলাম। শেক হ্যান্ড করলাম। তারপরের সিস্টেমগুলো আগেই বলেছি। সে সিস্টেমগুলোর ভেতর দিয়ে পার হলাম। আমাদের সঙ্গে আরো বেশ ক’জন ছিলো। সবাই মিলে সেদিন দুপুরে কিছুক্ষণ উপভোগ্য সময় পার করলাম।
(চলবে)
---
কেন জানি ঘটনার চাইতে গাঁজার গন্ধ বেশী পাইতেছি লেখাটা জুইড়া
পান না একটু। সমস্যা কি ভাইজান?
ঘটনাও যদি না থাকে একটা উপন্যাসে, তাতেই বা কি আসে যায় বলেন?
সমস্যা কই নাই তো। তয় গাঁজার গন্ধ বেশী পাইলে আমার টানতে ইচ্ছা হয়
এইটা তো দেহি বিরাট সমস্যা। গন্ধ পর্যন্তই থাইকেন গো, টানাটানির ইচ্ছার দিকে আর আউগায়েন্নাহ্। ছুডুকালে একটা গান শুনসিলাম,
তলোয়ার যুদ্ধ করে জিহাদ হবে না,
নফসের জিহাদ আসল জিহাদ
তা তো জানো না...
খাইছে!!
আপ্নে তো পুরা আধ্যাত্মিক লাইনে চইলা গেলেন 
ভালো লাগছে। চলতে থাকুক। পুরা উপন্যাসটাই যেন পড়তে পারি।
আমি তো পুরোটাই দেবো। বাকীটা আপ্টু য়ু হানি
কি কি বই কিনলেন?
আমি তো আপনের কাছ থেকে বই পাবো বলে কিছু কিনতেসি না।
আপনে বলসেন যখন-যেটা চাবো, তখন-সেটাই দিবেন।
আসিফের নম্বরটা মুবাইল করেন তো। উনারে কমপ্লেন দিমু আপনার নামে। আমারে কত পরোমিজ কল্লেন নদীর মাছ খাওয়াবেন, এইটা -সেইটা। কিসের কি! মাছে ঘের পাহারা দেওয়া বন্দুকে দুস্থ মেধাবী প্রবাসী ছাত্রের রিকুয়েস্ট ফরোয়ার্ড করা হইলো। আমার বিশ্বাস উনি আবদার ফালাইতে পারব না। আমি আর দুস্ত যামু। আপনি চাইলে নামনাই বাটপারটারে নিয়া যাইতে পারেন। তবে প্লিজ অন্য রিকশায়।
আরে আমি না সেদিন আপনারে সুনামগঞ্জ যাওয়ার প্রস্তাব দিলাম? আপনেই তো রাজি হইলেন্না।
আসিপগো বাড়ি দুস্তর গ্রামে। আমারে ছাড়া যাইতে পারবেন্না। কিন্তু নাম্নাই'রে বাটপার বললে হবে না। তাইলে আপনের লগে খেলুম না। সে আমার বন্ধু। তাকে আদর করতে হবে।
আমরা রাতভর নারকেলের ছোবড়া পুড়িয়ে গোল গোল অগ্নিগোলক বানিয়েছি। তামাকপাতা মেশানো সিন্ধি গাঁজা প্রেমতক্তি’র ওপরে রেখে রতন কাটারী দিয়ে কেটে কেটে বাঁশিতে ভরেছি। তার ওপর অগ্নিগোলক চাপিয়ে সজোরে টেনে ধোঁয়া বের করেছি। বের করে সেসব ধোঁয়া মিশিয়ে দিয়েছি পার্কের বাতাসে। গাছেরা হয়তো কার্বন ডাই অক্সাইড মনে করে সেসব ধোঁয়ার কিছু কিছু ভলিউম গ্রহণ করে নিয়েছিলো। অসাধারণ লেখার হাত...
বন্ধুর জন্যই কেবল বিশাল আত্মত্যাগ করা সম্ভব! আমি জানি।
ওই মিয়া, অসাধারণ লেখার হাত কার? আমার না আপনার? আপনের কাছে তো আমি নস্যি মাত্র।
উপন্যাসের পটভূমি কত বছরের পুরোনো তা নিয়ে সংকটে আছি।
ঠিক ঠাহর করতে পারছিনা।
পুরোনো, বহুত পুরোনো বুঝলেন। তা আছেন-টাছেন কিরাম আপনে?
এমন অবুজ গাছগুলারে ধোঁকা দিলেন!?
==================
প্রথমেই মাথায় এলো সত্যিই স্ত্রীর ভাই! পরে মাথায় ঢুকলো ** পিইইপ্!!
আমার মাথাটা আবার টিউব লাইট তো!!
=================
চলুক মীর দা......তুক্কু, মীর মামু
ঐটা একটা ভুল লাইন ছিলো। এডিট করে ফেলে দিয়েছি। আপনারা কেউ ধরতে পারেন নি।
সত্যি সময় অনকে িকছু শেখায়
আরে এইটা কারে দেখতেসি আমার ব্লগে??
এবং
-ও বটে!
আমার ব্লগে সম্ভবত এটাই আপনার প্রথম মন্তব্য জানেন তো সাগরিকাদি'?
মন্তব্য করুন