ভাল লাগা ভাবনারা - ৩
এডওয়ার্ড এস্তলিন কামিংস্'কে (১৪/১০/১৮৯৪---০৩/০৯/১৯৬২) বলা হয় বিংশ শতাব্দীর সবচে' প্রসিদ্ধ কবিদের একজন। এটা উইকিপিডিয়ার তথ্য। ই ই কামিংস্ নামে পরিচিতি এ কবির জন্ম যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসচুসেট্স রাজ্যের ক্যামব্রিজ শহরে। তাঁর বেড়ে ওঠা, পড়াশোনা, পরবর্তী জীবন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন এখানে ক্লিক করে।
আজকে একটু এই ভদ্রলোকের 'মে আই ফীল সেইড হি' কবিতাটি নিয়ে কথা বলি। কবিতাটি কামিংস্-এর ১৯৩৫ সালে প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ নো থ্যাংকস্-এ সংকলিত হয়। এর একটা অনুবাদ করেছিলেন হুমায়ুন আজাদ স্যার। অনুবাদটি প্রথমে দেখে নেয়া যাক। বাংলা নামটি হুমায়ুন আজাদেরই দেয়া।
একটুখানি ছুঁই বললো সে
একটুখানি ছুঁই বললো সে
(কেঁপে উঠবোই বললো সে
শুধু একবার বললো সে)
তবে তো মজার বললো সে
(একটু কাছে টানি বললো সে
ঠিক কতোখানি বললো সে
খুব বেশি হবে বললো সে)
কেনো নয় তবে বললো সে
(চলো আসি ঘুরে বললো সে
নয় বেশি দূরে বললো সে
কতোটা বেশি দূর বললো সে
যতোটা তুমি মোর বললো সে)
একটু ঘষি মুখ বললো সে
(কীভাবে পাবে সুখ বললো সে
এভাবে যদি চাও বললো সে)
যদি চুমো খাও বললো সে
একটু দিই ঠেলা বললো সে
(এ যে প্রেমখেলা বললো সে)
যদি ইচ্ছে হয় বললো সে
(আমার লাগছে ভয় বললো সে
এই তো জীবন-মউ বললো সে
তোমার আমি বউ বললো সে
এখনি হুঁ বললো সে)
উহ্ বললো সে
(লাগছে সুখ বেশ বললো সে
এখনি করো না শেষ বললো সে
না না রাত ভ'রে বললো সে)
আস্তে ধীরে ধীরে বললো সে
(হহয়েয়েছে? বললো সে
আআআআ বললো সে)
তুমি স্বর্গীয় বললো সে
তুমি আমার, প্রিয়, বললো সে।
মূলত এ কবিতাটি একটি মেয়ে আর একটা ছেলের কথোপকথন। বাংলা ভাষায় ছেলে আর মেয়েদের জন্য কোনো ভিন্ন সর্বনাম না থাকায়; প্রথম পাঠে কবিতাটির কোন ডায়লগ কার মুখ দিয়ে বের হচ্ছে, সেটা বোঝাটা একটু কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। তবে এটা খুব একটা বড় সমস্যা না। প্রথম দুই প্যারায় তো তেমন কোনো দ্বন্দই তৈরি হয় না, কোনটা কার ডায়লগ সে ব্যপারে।
তবে তৃতীয় প্যারাটায় এসে একটু হোঁচট লাগে।
(চলো আসি ঘুরে বললো সে
নয় বেশি দূরে বললো সে
কতোটা বেশি দূর বললো সে
যতোটা তুমি মোর বললো সে)
এই প্যারাটা একটু গোলমেলে। ই ই কামিংস্ দেখলাম লিখেছেন-
(let's go said he
not too far said she
what's too far said he
where you are said she)
আমার কাছে মনে হলো কবি বলছেন, ছেলেটা ঘুরে আসার প্রস্তাব দিচ্ছে। কিন্তু মেয়েটি বেশি দূরে যেতে নারাজ। ছেলেটা জানতে চাইছে, তোমার বেশিদূরটা কত দূর? মেয়েটি বলছে, যেখানে তোমার মন পৌঁছে গেছে এরই মধ্যে। কিন্তু হুমায়ুন আজাদের অনুবাদে বিষয়টা ধরা দিয়েছে অন্যভাবে। যাক্ প্যারাটাকে গোলমেলে বলছিলাম এ জন্যেই।
এবার আসেন কামিংস্-এর মূল কবিতাটির ওপর এক ঝলক চোখ বুলাই। দূর্দান্ত লেগেছে আমার কাছে। ত্রিশের দশকে পশ্চিমের রক্ষণশীল সাহিত্যিকদের ১২ টা বাজিয়ে ছেড়েছিলো নিশ্চই কবিতাটি। আর এর ভাষাও খুব সহজ। সব মিলিয়ে অসাধারণ এক প্রেমের কবিতা মে আই ফীল সেইড হি।
may i feel said he
may i feel said he
(i'll squeal said she
just once said he)
it's fun said she
(may i touch said he
how much said she
a lot said he)
why not said she
(let's go said he
not too far said she
what's too far said he
where you are said she)
may i stay said he
(which way said she
like this said he
if you kiss said she
may i move said he
is it love said she)
if you're willing said he
(but you're killing said she
but it's life said he
but your wife said she
now said he)
ow said she
(tiptop said he
don't stop said she
oh no said he)
go slow said she
(cccome?said he
ummm said she)
you're divine!said he
(you are mine said she)
---
ভালো লেগেছে।
রাতে আবার পড়বো নিরিবিলি!!
রাতে নিরিবিলি পড়ে কেমন লাগলো জানান।
হুমায়ুন আজাদ তো একটা পরকীয়া সংক্রান্ত কবিতাকে গদগদ প্রেমের কবিতা বানায় ফেলছে দেখি।
'but it's life said he
but your wife said she' - এইটার অনুবাদ
'এই তো জীবন-মউ বললো সে
তোমার আমি বউ বললো সে' - দেইখা ভড়কায়ে গেলাম।
কবিতার মূল অর্থ পাল্টায় দিলে সেইটাকে কি অনুবাদ বলা যায়?
আপনারে ভড়কায় দিতে পাইরা অতিশয় আনন্দিত।
এইখানে ভোটার আইডি কার্ড বানানো হয় না।
ভাল হয়েছে। কিন্তু প্রথমবার পড়ে বুঝতে একটু কষ্ট হয়েছে। তারপর বুঝতে পেরেছি।
ধন্যবাদ ভ্রাতঃ। ঠিক ধরেছেন, প্রথমবারে বুঝতে একটু কষ্ট হয়।
কি কমু বুঝতেছিনা। মাথা চুলকানির ইমোটা আসে না কেন?
ইমো আসলে কি করতেন?
ইমো দিয়া মাথা চুলকাইতো
আহারে উনার একজন মাথা চুলকায় দেয়ার লোকও নাই, নিজের মাথা নিজেরই চুলকাইতে হয়।
ভালো লাগার ভাবনা জিনদাবাদ!
জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ।
মূল কবিতা অসাধারণ লাগলো...
অনুবাদ বিশ্রী লাগলো। গুগল ট্রান্সলেটরে দিলেও অনেক ভালো অনুবাদ আসবে।
ঠিকাছে। আপনে বরং গুগলেরটাই পড়েন শুভ ভাই-
আমি মনে হতে পারে বলেন তিনি
(আমি বলেন করব নালিশ সে
শুধু একবার বলেন)
সেটা মজা বলেন তিনি
(আমি সংক্ষেপে আলোচনা করা যেতে পারে বলেন,
কত বলেন তিনি
অনেক বলেন)
বলেন না কেন সে
(স্বীকার করিবার বলেন,
খুব বেশী দূরে না বলেন তিনি
না কি অতিদূরে বলেন,
যেখানে আপনি তিনি বলেন হয়)
আমি থাকতে পারে বলেন,
(কমনে বলেন তিনি
এই যেমন বলেন,
যদি আপনি চুম্বন বলেন তিনি
আমি স্থানান্তর হতে পারে বলেন,
হয় এটা ভালবাসা বলেন তিনি)
যদি আপনি ইচ্ছুক বলেন,
(কিন্তু আপনি প্রাণনাশ করছি বলেন তিনি
কিন্তু জীবনে বলেন,
কিন্তু আপনার স্ত্রী বলেন তিনি
এখন বলেন)
ow বলেন তিনি
(পরমোত্কৃষ্ট বলেন,
না বন্ধ না বলেন তিনি
উহু কোনো বলেন)
ধীরে চলো বলেন তিনি
(cccome? বলেন,
ummm তিনি বলেন)
আপনি ঐশ্বরিক! বলেন,
(আপনি খনি বলেন তিনি)
রাগ করলেন মীর? রাগ কইরেন্না ম্যান...
হুমায়ুন আজাদের অনুবাদ হওয়াতেই এরকম প্রতিক্রিয়া পাইছেন আমার কাছ থেকে...
আর গুগলের ট্রান্সলেসন? রাতেই পইড়া অনেক্ষণ হাসছি একা একা
পারলে কমেন্ট এডিট কইরা দিতাম 
আরে শুভ ভাই, আপনে ব্যপারটা ধরতে পারেন্নাই
হাহাহাহাহাহাহাহা। চরম হইসে অনুবাদ। শুধু এই অনুবাদে কমেন্ট করার জন্যই লগ ইন হইসি আমি।
খুব ভালো করসেন লগিন হইয়া। আরেকবার কষ্ট করে লগিন হয়ে একটা পুস্ট দিয়া যায়েন। গরীব-দুঃখী ব্লগারের রুহুটা একটু শান্তি পাইবো তাইলে।
আবার আরেকজন টিপসই নিয়া আসছে। কৈলাম না, এইখানে ভোটার আইডি বানানো হয় না?
গুগল ট্রান্সলেশনকে নিজ হাতে বানিয়েছে আল্লাহপাক। দুনিয়ার সব বিনোদন এর পেটে!
ছি এমুন ভাবে বৈলেন্না গো ভাইজান। সময় সময় এই জিনিস আমার অনেক কামে লাগে। তয় কি কামে লাগে কমু না
ওকে। কাজে লাগায়েন কামে লাগায়েন না। কামে লাগাইলে মেলা বিপদ!
কবিতাটা সুন্দর,
তয় কয়েক জায়গায় ভাব বদলে দেওয়ার ব্যাপারটা ভাল্লাগেনাই।
মন্তব্য করুন