গল্প: তুমি আমার কাছে তুমি যা বলবা তাই (পর্ব-৬)
টাঙুয়ার হাওড় ভ্রমণ শেষে সুনামগঞ্জ থেকে ঢাকা ফেরার সন্ধ্যায় ছিল সুজনের ছেলে জাইমের জন্মদিনের পার্টি। রাত ১১টা পর্যন্ত এন্তার খাওয়া-দাওয়া আর আড্ডাবাজি হয়েছিল সেদিন। তারপর রাত ১২ টার বাসে করে আমরা রওনা দিই ঢাকার উদ্দেশ্যে।
সেই বাসটার মৌলভীবাজার আর হবিগঞ্জ হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপর দিয়ে ঢাকায় আসার কথা ছিল। পথে হবিগঞ্জে আধাঘন্টা খাওয়া-দাওয়ার জন্য থামা হয়। আগের রাতে ভরপেট খানাপিনার পরও সুজন আইসক্রীম বক্স ভরে কেক আর মিষ্টি দিয়ে দিয়েছিল। তাই দিয়ে রাতে দুজনের বেশ হয়ে গিয়েছিল আমাদের। ব্রেকের সময় হোটেলে ঢুকে তাই শুধু ফ্রেশ হয়েই বের হয়ে আসি দুজন। মুক্ত বাতাসে দাঁড়িয়ে একটা ধুম্রশলাকায় অগ্নিসংযোগ করি আমি। মিসিসিপি তাই দেখে কপট রাগ করে। সারাদিন কেন এত সিগারেট খাই জানতে চেয়ে অভিযোগের দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে থাকে। সে সময় তার চোখে একরাশ মায়া ছাড়া আর কিছু দেখি না আমি।
ঘটনাটি পথিমধ্যে আমাকে ভাবায় অনেকটা। অল্প কিছু মাসে যে মেয়েটির প্রেমে হাঁটু-কোমড় ভেঙেই পড়েছি- তাতে কোন সন্দেহ নেই। প্রথম থেকে সব ভাবতে বসি। মেয়েটি তখন গভীর ঘুমে মগ্ন। মেয়েটির সঙ্গে আমার যোগাযোগ হয় বছর খানেক আগে। যোগাযোগের আগে আমার জীবনটা ছিল অন্যরকম। সকালে ঘুম থেকে ঘড়ি ধরে ছয়টার সময় উঠতাম। দাঁত ব্রাশ, গোসল ইত্যাদি করে প্রস্তুত হয়ে অফিসে ছুট লাগাতাম। দুপুরে অফিসে খাওয়া। সারাদিন কাজ আর কলিগদের সঙ্গে আড্ডা। সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরার পথে সুপারশপ থেকে রেডিমেড কিছু কিনে নিয়ে আসা। বাসায় এসে সেটা মাইক্রোওয়েভে ঢুকিয়ে তারপর ফ্রেশ হতে যাওয়া। ফ্রেশ হয়ে এসে, কাপড়চোপড় পাল্টে, টিভিতে নেটফ্লিক্স চালিয়ে দিয়ে, ওভেনের খাবারটা সামনে নিয়ে বসে পড়া। রাত ১১টা পর্যন্ত সেভাবেই চলে যেত। তারপর ঘুমুতে যেতাম।
ঘুমের ক্ষেত্রে সাধারণত আমার সমস্যা হতো না। শুধু মাঝে মাঝে কোন রাতে যদি আমার পেন্টুশের কথা মনে পড়ে যেতো, তাহলে আর ঘুম আসতো না। জীবনে একটা সময় ছিল, যখন সবকিছু আমি ওর জন্য করতাম। বড় ভুল ছিল কাজটা। মানুষের কখনোই আরেকজনের জন্য সবকিছু করা উচিত নয়। বেশিরভাগ কাজই মানুষের নিজস্ব। অন্যকারো সেখানে তেমন কিছু করারও নেই। শুধু পাশে থাকা ছাড়া। বিষয়টা বুঝতে গিয়ে পেন্টুশকে হারিয়ে ফেলতে হয়েছে। তারপর আর কেউ ওর মতো কাছাকাছি আসার চেষ্টা করে নি। আমারও একা একা একটি দশক পেরিয়ে আসতে খুব যে সমস্যা হয়েছে তা না। শুধু মাঝে মাঝে কিছু বিনিদ্র রাত্রি কেটেছে হুমায়ুন আজাদের কবিতা আর আহমদ ছফার উপন্যাস পড়ে।
আর মিসিসিপি নামক ঝড়টা জীবনে আসার পর- সব হয়ে গেল উল্টাপাল্টা! আজকাল সকালে উঠে রোবটের মতো দাঁত ব্রাশ করা হয় না আর। তার জায়গা নিয়েছে হালকা ফ্রি-হ্যান্ড এক্সারসাইজ আর ইয়োগা। অফিসে যাওয়া পিছিয়েছে এক ঘন্টা। অফিস থেকে বের হয়েও এখন খুব কমই যাওয়া হয় সুপারশপে। বেশি যাওয়া হয় বাংলা বাজারে। সেখান থেকে বাংলাদেশি সবজি, মাছ ইত্যাদি কিনে এনে হাত পুড়িয়ে রান্নার চেষ্টা করা হয়। ফোনের অপরপ্রান্তে একজন আনাড়ি হাতের সেসব চেষ্টা দেখে কখনো হেসে কুটি কুটি হয়, কখনো রাগ করে- সে এক অপার বিস্ময়ের উৎস। আরেকজন মানুষকে খুশি হতে দেখা যেন মাসশেষে মোটা বেতন অ্যাকাউন্টে ঢোকার চেয়ে আনন্দদায়ক। পার্থক্য একটাই, মাসশেষে মোটা বেতন একবারের বেশি দুইবার ঢোকে না। পছন্দের একটা মানুষ থাকলে, যাকে খুশি করতে ভাল লাগে; তাকে যতবার ইচ্ছা ততবার খুশি করা যায় এক মাসে!
ভাবতে ভাবতে যখন আমাদের বাস ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দশ মিনিটের জন্য থেমেছে, তখন আমার মাথায় দুষ্ট বুদ্ধি খেলে গেল একটা। মিসিসিপিটা তখনও খুব নাক ডেকে ঘুমাচ্ছে। আমার কাঁধে পুরো মাথাটা এলিয়ে দিয়েছে। শাড়ির আঁচলটা কিছুটা সরে গিয়েছে ওর বুকের ওপর থেকে। মাখনের মতো ধবধবে শাদা বুক দু'টো ঘুমন্ত নি:শ্বাসের সঙ্গে ওঠানামা করছে। বেশিক্ষণ তাকিয়ে থাকা গেল না সেদিকে। ঝাকিয়ে ঘুম থেকে তুললাম ওকে। প্রায় ধড়মড় করেই জেগে উঠলো সে। বললাম, আমরা ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নেমে যাচ্ছি। তাড়াতাড়ি ওঠো।
কাঁচা ঘুম ভেঙ্গে এমন একটা ভ্যাবচ্যাকা খাওয়ার মতো সংবাদে মিসিসিপির প্রায় কোন বিকার হলো না। প্রথমে একটু ধড়মড়িয়ে উঠলেও সেটা দ্রুত সামলে নিয়ে উঠে দাঁড়ালো মেয়েটি। আমি আগেই উঠে মাথার ওপর থেকে আমাদের লাগেজ দু'টো নামিয়ে ফেলেছি। সে শাড়ির আঁচল কোমড়ে গুজে জিজ্ঞেস করলো, মধ্যরাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া যে নামছি, কেন সেটা তো বলবা নাকি? ওর চোখের মনিতে উচ্ছ্বাস আর কৌতূহল একসঙ্গে দেখা যাচ্ছিল। আমি বললাম, ফলো মী, নিজেই দেখতে পাবে।
আসলে মাথায় বুদ্ধিটা আসার পরপরই সব খোঁজখবর করে নিয়েছিলাম আমি। তখন ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে কক্সবাজারের বাস ছাড়ছিল খানিক পরপরই। সবগুলো একসঙ্গে ভোরসকালে গিয়ে কক্সবাজার গিয়ে পৌছুঁতে চায়। আমার লক্ষ্য ছিল ওরকম একটা বাসে করে চকরিয়া পর্যন্ত যাওয়া। তারপর নেমে লামার দিকে যাওয়ার গাড়িতে ওঠা।
যাহোক তখন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আমরা ঢাকাগামী বাস থেকে নেমে কক্সবাজারগামী বাসের কাউন্টারগুলোর দিকে এগোলাম। ভাল-খারাপ সবরকম বাসই ছিল আসলে সেই ছোট্ট স্টেশনটিতে। গ্রীন লাইনের কাউন্টারে ঢুকে যখন কক্সবাজারের টিকিট চাইলাম দুইটা, তখন সঙ্গীনি বুঝতে পারলো আমরা কোন গন্তব্যের দিকে অগ্রসর হচ্ছি। যদিও আমি জানতাম, সে পুরো পরিকল্পনাটা ধরতে পারবে না। ঘটেছিলও তাই। নতুন বাসে উঠে মিসিসিপি আমায় বলেছিল, কক্সবাজার গিয়ে কিন্তু সেখানে আমরা থাকবো না। সেন্ট-মার্টিনে চলে যাবো, কেমন?
আমি সায় দেয়ার মতো করে মাথা নাড়ালাম। আমাদের টাঙুয়ার হাওড় ভ্রমণের স্মৃতির অনেকটাই দু'জনের মোবাইলের ক্যামেরায় ধারণ করা ছিল। সেগুলো দেখতে দেখতে আবার ঘুম চলে এলো মিসিসিপির। এবার আমারও ঘুম পেয়ে গিয়েছিল। দু'জনে ঘুমিয়ে পড়লাম। চট্টগ্রাম পর্যন্ত ঘুমিয়েই চলে এলাম।
চট্টগ্রামে ছিল আধাঘন্টার ব্রেক। ফ্রেশ হওয়া, খাওয়া-দাওয়া সবকিছুর জন্য। মাংস আর ডিমভাজি দিয়ে পরোটা খেলাম দু'জন। চট্টগ্রামের বুটের ডাল দিয়ে রান্না করা ঝাল ঝাল মেজবানী মাংসের ঝোলে গরমাগরম খাস্তা-পরোটা ডুবিয়ে খাওয়ার বিরল আনন্দটি অনেকদিন পর উপভোগ করা হলো। আর চাটগাঁর ওদিকে হোটেলের ওরা রান্নায় বেড়ে লঙ্কা দিতে কসুর করে না মোটেও। সোনায় সোহাগা আমার জন্য। ভরপেট নাস্তার পর আমি হোটেল থেকে বের হয়ে মিষ্টি জর্দা আর কাঁচা সুপারি দিয়ে বানানো একটা পান মুখে দিলাম। হোটেলের বাইরে ছোট্ট একটা পানের দোকান ছিল আর সেখানে মহেশখালীর পান পাওয়া যাচ্ছিল।
সকালের নাস্তা শেষে যেহেতু আমাদের দু'জনের শরীর ও মন আবার পুরোপুরি চাঙা হয়ে গিয়েছে, সেহেতু আমরা একে অপরের সঙ্গে পুরোদস্তুর খুনসুটি শুরু করে দিলাম। মিসিসিপিকে আমি জিজ্ঞেস করলাম, অ্যাই মেয়ে, দুই সপ্তাহ পর যখন আমি চলে যাবো, তখন কি হবে?
সে বললো, আবার আমরা অপেক্ষা করবো।
-কিসের?
-আবার তোমার দেশে আসার।
-তুমি যাবে না আমি যে দেশে থাকি, সেই দেশে?
-তা তো জানি না।
-কেন জানো না? আমি যেভাবে চলে এলাম, তুমিও সেভাবে চলে আসবে?
মেয়েটি হাসলো শুধু। অনেকক্ষণ পর বললো, জানি না আমার দ্বারা সেটা কখনও সম্ভব হবে কিনা!
মেয়েটি আসলে কি বোঝাতে চাইলো, তা পুরোপুরি বুঝতে না পারায় আমি খানিকক্ষণ তার দিকে তাকিয়ে রইলাম। এর মধ্যে সে অন্য প্রসঙ্গের অবতারণা ঘটালো। জানতে চাইলো, আচ্ছা তোমার কি সাগর ভাল লাগে?
-হ্যাঁ, অনেক।
-কি ভাল লাগে সাগরের সবচেয়ে বেশি?
-সাগরপাড়ে শুয়ে শুয়ে হালকা পানীয় আর সুরের ধ্বনি সঙ্গে নিয়ে ঢেউয়ের গর্জন শুনতে ভাল লাগে।
-আর সাগরে ভাসতে ভাল লাগে না?
-জীবনে খুব বেশি তো জাহাজে চড়ি নি। হাতে গোণা দু'য়েকবার। সেন্টমার্টিন তো যায়ই নি। কিভাবে জানবো বলোতো?
-আমরা কক্সবাজার থেকে সেন্টমার্টিন তো জাহাজেই যাবো বুদ্ধু। তোমার একটা নতুন অভিজ্ঞতা হবে। তারপর কিন্তু বলবে কেমন লাগে, ঠিক আছে?
-ওহ আচ্ছা। আমি একবার সারাদিন কৃষ্ণসাগরে ভেসে ভেসে তুরস্কের এক দ্বীপ থেকে আরেক দ্বীপে ঘুরেছিলাম।
-ও তাহলে তোমার খানিকটা হয়েছে সাগর দেখা। সমস্যা নাই। এবার বঙ্গোপসাগর দেখো আমার সঙ্গে।
-তাতে আমি পুরোদস্তুর রাজি! তবে এখন দ্যাখো, আমরা চকরিয়া চলে এসেছি। এখানে আমাদের নামতে হবে।
-এখানে? এখানে কেন নামবো?
-এখানে নামবো কারণ আমরা আজ কক্সবাজার যাচ্ছি না। যাচ্ছি বান্দরবান। ওখানে আমার ভাই থাকে। ওদেরকে খবর দিয়ে দিয়েছি যে আমি আসছি। সঙ্গে তুমিও আছো। ওরা বনের ভেতর বাচ্চাদেরকে পাঠিয়ে দিয়েছে। বনমোরগ ধরে নিয়ে আসার জন্য। চলো, এখন বেশিক্ষণ বসে থাকলে বাস ছেড়ে দেবে।
আমার কথায় যে মেয়েটি ভাল রকমের অবাক হয়েছে, তা বোঝা যাচ্ছিল। আমার আজীবনই মানুষকে ছোট ছোট সারপ্রাইজ দিতে ভাল লাগে। আর তা যদি হয় পথের মাঝখানে- তাহলে তো কথাই নেই। সারপ্রাইজে মেয়েটি খুশিও হয়েছিল যা বুঝলাম। হাসি লুকাতে লুকাতে নেমে এসেছিল বাস থেকে।
আমরা চকরিয়া বাসস্ট্যান্ড নেমে প্রথমে রাস্তা পার হয়ে পাহাড়ী এলাকার দিকে যাওয়ার পথ ধরলাম। কিছুটা দূরে ছিল চাঁদের গাড়ির স্ট্যান্ড। আমরা একটা চাঁদের গাড়ি পেয়েও গেলাম। আমি গাড়ির ভেতরেই বসতে চাচ্ছিলাম কিন্তু মিসিসিপির এক কথা, সে নাকি কখনো চাঁদের গাড়ির ছাদে চড়ে নি। তাই তাকে নিয়ে ছাদেই চড়তে হলো। একদম সামনে, একপাশে আমি আরেকপাশে একজন পাহাড়ি দিদি ওকে শক্ত ধরে বসলো।
আমার অবশ্য ভয়-ভয়ই লাগছিল। দোয়া-দরুদ সব ভুল খেয়ে আছি দীর্ঘদিনের অনভ্যস্ততায়। ধর্ম, পরকাল ইত্যাদির ওপর বিশ্বাসও সব চুকেবুকে গেছে বহু আগেই। এখন যেটা আছে, সেটা হচ্ছে মনের ভেতর ছেলেবেলার লালিত সংস্কার। সেই সংস্কারের কারণে বিপদে-আপদে খোদা-তা'লার নাম মুখে আসতে চায় ঠিকই; কিন্তু ওই যে বললাম, দোয়া-দরুদও তো সব ভুলে গিয়েছি। সেদিন তাই চাঁদের গাড়ির ছাদে অসহায়ই বোধ করছিলাম খানিকটা। কিছুক্ষণের জন্য যে মনের ভেতর একটু মেকি সাহস জোগাড় করবো, তারও কোন উপায় ছিল না।
ওদিকে মিসিসিপিকে দেখে বোঝা যাচ্ছিল যে, সে পুরো যাত্রাটা দারুণ উপভোগ করেছে। বিশেষ করে প্রত্যেকবার বিপদজনক পাহাড়ি বাঁকগুলোর সামনে গাড়ি গিয়ে পৌছুঁলেই উত্তজনায় চিৎকার করে উঠছিল সে। আর শক্ত করে জড়িয়ে ধরছিল আমার বাহু। মানে মানে সেই কালযাত্রা যখন শেষ হলো, হাঁফ ছেড়ে যেন বাঁচলাম আমি। আর মেয়েটিকে দেখে মনে হচ্ছিল যাত্রা শেষ না হলেই বুঝি খুশি হতো সে।
বান্দরবানে যে ভাইয়ের কথা বললাম আগে সে মায়ের পেটের ভাই না হলেও, তারচেয়ে বেশি আপন। থাকে লামায়। নাম হ্লা মঙ। লামায় গিয়ে যখন আমাদের চাঁদের গাড়ি থামলো, তখন বেলা প্রায় সাড়ে দশটা গড়িয়ে গেছে। ছোট ছোট পাহাড়ি ছেলে-মেয়েরা নদীতে স্নান সেরে ফিরছিল নদীর পাড় ধরে। আমরা দু'জনও চাঁদের গাড়ি থেকে নেমে সেই মাতামুহুরী নদীর পাড় ধরেই হাঁটা দিয়েছিলাম হ্লা মঙ-দের বাসার দিকে।
পথিমধ্যে মিসিসিপিকে বেশি কিছু বলার সুযোগ হয় নি হ্লা মঙ-এর ব্যাপারে। তবে ওর সঙ্গে পরিচয়ের ঘটনাটা আগে বলেছিলাম। তাই একেবারে বুঝতে অসুবিধা হচ্ছিল না মেয়েটির কোনকিছুই। আর দেশে তো সেও থাকে। এ ধরনের বাঙালি-পাহাড়ি বন্ধুত্ব বা আত্মার টান কখনো দেখে নি- এমনও না। তাই সে-ও খুব ভালই টের পাচ্ছিল যে, আমরা একটা আদিম পাহাড়ি পাড়ায় ঢুকে যাচ্ছি। নাগরিক সভ্যতা যার অনেকটা দূরেই নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছে।
---
মন্তব্য করুন