একই প্রশ্নে বিদ্ধ অগণিত নক্ষত্রকণা
একটা তারার আলো
অনেক দুর থেকে ডাকাডাকি করে একদিন
বাড়ি এসে বার্তা দিয়ে গেল।
ভোরসকালে তখন একটু মুক্ত হাওয়ায় মেলে ধরেছিলাম
সারারাতের বাসি মুখ।
চোখ বন্ধ করে নিচ্ছিলাম বাতাসের মিষ্টি গন্ধ।
আর তখনই সেই তারাটা সমন নিয়ে হাজির হলো।
আমার নাকি ডাক পড়েছে!
তারাটা এসেছে আমায় নিতে!
আজব কথা!
কি করে কখন কে আমাকে ডেকে পাঠালো?
এ মকবুল, দেখলি ব্যাপারটা? কেমন করে ডাক দিয়েছে?
এখন কি সব ছেড়েছুড়ে আমায় উঠতে হবে?
এটাও একটা কথা!
পৃথিবীর প্রায় পুরোটাই না দেখা রয়ে গেল তারপর।
তারার উদ্দেশ্যে ছুটতে গিয়ে আর সবার মতো মহাশূন্যে পথও হারিয়ে ফেললাম একদিন। তারপর থেকে তো ভেসেই বেড়াচ্ছি, এ অন্তহীন যাত্রাপথে।
সাড়ে চার বিলিয়ন বছর চলে গেল! ডাইনোসরের পর মানুষ এলো।
আগুনের পর এলো চাকা। ধর্মের পর সমাজ। তারপর টাকা। তারপর মালিকানা।
তারপর যুদ্ধ, যুদ্ধ আর যুদ্ধ
রেনেসাঁ, ষোড়শ, সপ্তদশ, অষ্টাদশ
তারপর চলে গেল আরো দুটি শতক।
সেই তারাটা কেন ডেকেছিল আজও অজানা!
আমিই বা কেন হুট বলতে সে ডাকে সাড়া দিয়ে সব ফেলে ছুট লাগিয়েছিলাম?
তাও অজানা।
আজ দেখি শুধু একই প্রশ্নে বিদ্ধ
অগণিত সহস্রকোটি নক্ষত্রকণা
ভাবতে জানে, বুঝতে পারে,
আমার মতো প্রশ্ন তাদেরও
শুধু উত্তরটা জানা নেই কারো।
---
মন্তব্য করুন