ইউজার লগইন

মীর'এর ব্লগ

বলতে পারি না কেউ আমরা

দিকে দিকে কত রঙ্গই না ঘটে চলেছে! দেশে স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশের বিরুদ্ধে আবারও খড়্গহস্ত হয়েছে সরকার। রুচির পুলিশেরা মাঠে নেমেছে গণমানুষকে রুচিশীলতার ট্যাবলেট গেলাতে। যারা মাঠে নেমেছে, তারা নিজ নিজ সংস্থা, সংগঠনের উপরের পদে উঠতে কি কি অরুচিকর কাজ করেছে জীবনে, তার হিসেব বেমালুম গাপ করা! আমার আজকের লেখার বিষয়বস্তুও এটা। মানুষে মানুষে বিভেদ এবং তার কারণে সৃষ্ট অনিবার্য পশ্চাৎপদতা।

গল্প: আপনাদের বাড়ি থেকে অরোরা দেখা যায়?

পার্ফমেন্স মার্কেটিং যেমন ডিমান্ডিং, তেমনি হেভিওয়েট একটা জব, যেটা ঘুম ছাড়া দিন-রাত সর্বক্ষণ মাথার ভেতর বন্ধুর মতো সঙ্গ জুগিয়ে চলতে পারে। মানুষের আর বেশি কিছু লাগে না। একটা কোম্পানির চাকুরির বিজ্ঞাপন দেখে ভাবছিল তিষি, কি দারুণ করেই না নিজেদের প্রাত্যহিক জীবনের ছবি আঁকতে পারে তারা!

প্রতিদিন সকালে কোম্পানির ভেতর কফিমেশিন চলে প্রবল গতিতে। এখন সময় এনালাইসিসের। কেপিআই-গুলোর কি অবস্থা? মেটা-ক্যাম্পেইনটা কেমন চলছে? নতুন ল্যান্ডিং পেইজটা কি কনভার্সন আনছে, যেমনটা আশা করা হয়েছিল?

দিনলিপিতে দু'হাজার বাইশ - ৯

ছেলেবেলা থেকে আমার দিনলিপি লেখার অভ্যাস। কিন্তু ছেলেবেলায় একটা বড় সমস্যা ছিল "প্রাইভেসি" নামের। যাই লিখতাম নিজের ডায়েরিতে, বাসায় প্রকাশ হয়ে পড়তো। গোপন কথাবার্তা গোপন থাকতো না মোটেও। অথচ ছেলেবেলার বন্ধু নীলু মামার ছিল সব গোপন কথায় ভরা ডায়েরি। সংখ্যায় অনেক। উনার বাসায় ডায়েরি পড়ার মতো উৎসাহী কেউ ছিল না।

এসেন শহরে মানুষের সংখ্যা অনেক। ছয় লাখের কাছাকাছি। অনাবাদীদের এই দেশে ছয় লাখ একটা শহরের জনসংখ্যা আসলে একটু বেশিই। তাইতো এই শহরটা জনসংখ্যার দিক থেকে জার্মানির নবম বৃহত্তম শহর। নিজের অঙ্গরাজ্যে এর অবস্থান চতুর্থ। উইকিপিডিয়া মাইরি! যারা পরিসংখ্যানের শিক্ষার্থী, তাদের জন্য দৈনিক একটি করে উইকিপিডিয়া আর্টিকেল পড়া বাধ্যতামূলক করে দেয়া যেতে পারে। তাহলে আর আলাদা করে পরিসংখ্যানের রিপোর্ট তৈরি করা শেখা লাগে না।

দিনলিপিতে দু'হাজার বাইশ - ৮

"রক্ত রাঙা গোলাপ রাঙা
রাঙা পায়ের আলতা
আলতার চেয়ে রাঙা কি
জানলে বল না তা"

বাংলা লোকগীতি শুনছিলাম। সেখান থেকে জানতে পারলাম, আলতার চেয়ে রাঙা হয় সোনা বন্ধুর ঠোঁটখানা। আমাদের লোকগীতিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা জীবনের কথাগুলো অনেকাংশেই অভিজ্ঞতালব্ধ বচন। তবে জীবন যেহেতু আমাদের সবারটাই সবার থেকে ভিন্ন, তাই সব সোনাবন্ধুর ঠোঁট লাল হয় না। শিল্পী অবশ্য বুঝিয়েছেন মনের ভেতর কল্পনা করে নেয়া রংয়ের কথা। সে হিসেবেও সবসময় যে সঠিক মিল পাওয়া যায়, সে আশা বাতুলতা। মনে মনে যদি কেউ ঠোঁটের প্রিয় রং কমলা কল্পনা করে নেয়, তখন কি উপায়?

দিনলিপিতে দু'হাজার বাইশ - ৭

বেশিরভাগ সময় আমার জীবন কাটে ঝড়ের গতিতে। সকাল থেকে সন্ধ্যা কোথা দিয়ে পার হয়ে যায় তার কোন হদিস থাকে না। তারপর আবার জীবনের এমন সময় আসে যখন সবকিছু চলে অত্যন্ত ধীরগতিতে। সকাল থেকে দুপুর হতে চায় না, দুপুর হয় তো বিকাল হয় না, কোনমতে একবার বিকাল হতে পারলে তারপর আর কোনকিছুই হয় না। সেসব দিনগুলোর সঙ্গে সবসময় মনের অবস্থার কোন যোগসাজশ থাকে এমন না। অমন ধীরস্থির দিনগুলো মন ভাল থাকলেও আসে, মন খারাপ থাকলেও আসে। জীবনের তাৎক্ষণিক অবস্থার ওপর নির্ভর করে।

তবে এবার মনের অবস্থা নিয়ে অভিযোগ করার মতো কিছু নেই। চলছে সবই। যতোটা চলবে বলে ভেবেছিলাম, তারচেয়ে বেশিই চলছে। সেদিক থেকে আমি খুশি। প্রতিদিন ভোর ছয়টা ৪৫ মিনিটে একটা অ্যালার্ম বেজে ওঠে। তারপর আমার বিছানা ছাড়তে ছাড়তে সাতটা বাজে। কম্বল আর বিছানাটা গুছিয়ে তারপরে ছাড়ি বিছানাটাকে। রাতে যাতে আবার ফিরে ঝুপ করে ওর ভেতর ঢুকে যেতে পারি।

দিনলিপিতে দু'হাজার বাইশ - ৬

সুযোগ থাকলে প্রতিদিন একবার করে লিখতে বসতে সমস্যা কি? সপ্তাহে দুইদিন এবার সুযোগ পাইলাম। এমন সপ্তাহান্ত বারে বারে আসুক।

দিনলিপিতে দু'হাজার বাইশ - ৫

বাসায় ঢুকে ব্যাকপ্যাক নামায় রেখে সরাসরি যে বিছানায় চলে যাই, ব্যাপারটা ঠিক তা নয়। সাধারণত প্রথমে রান্নাঘরে ঢুকে চারপাশটায় একবার চোখ বুলানো হয়। কেন যে কাজটা করা হয় জানি না। যেন ঘরে ঢুকে রান্নাঘরে একবার চোখ বুলিয়ে আমি মস্তিষ্ককে আশ্বস্ত করলাম ঘরে ঢুকেছি।

কাপড় ইত্যাদি পাল্টে তারপর শোবার জায়গাটায় আসি। বিছানাপাতি এখনও পুরোদমে ব্যাবহার করা শুরু করি নি। সামনে সপ্তাহে আলমারি আসবে। যেটা আবার নিজেকে সেট করতে হবে। পার্ট বাই পার্ট। এসব কাজে আমার দক্ষতা চিরকালই প্রশ্নবিদ্ধ। তবে উদ্যম খুঁজে পেলে ঝাপিয়ে পড়তে পারি তেমন কোন সমস্যা ছাড়াই। তবে সমস্যাটা আসলে উদ্যম খুঁজে পাওয়াই। সে ব্যাটার খোঁজ ত্রিভুবনে যারা দিতে পারে তাদের খোঁজ পাওয়াটাই ভীষন দায়।

দিনলিপিতে দু'হাজার বাইশ - ৪

গভীর রাতে ব্লগ লেখার সেই প্রাচীন ব্যামোটি কি আবার ফিরে আসতে পারে না? আমার মনে আছে, কোন এক কালে গভীর রাতে ব্লগ লেখার ব্যামো ছিল। না লিখলে ঘুম আসতো না। হাত নিশপিশ করতো, পানির তৃষ্ণার চেয়ে বেশি ধোঁয়ার তৃষ্ণা পেতো এবং নানান উপসর্গ দেখা দিতো। সেই উজ্জল সময়টা হেলায় হারিয়েছিলাম দেখেশুনেই। এ জীবনে দেখেশুনে আমি যা কিছু হারিয়েছি তার তুলনায়, না বুঝে হারানো সবকিছুর অনুপাতই অনেক কম। কি ভয়ংকর, তাই না? কিন্তু আমার আরও মনে হয়, বেশিরভাগ মানুষের ক্ষেত্রে ব্যাপারগুলো একই রকম।

হাঞ্চ-মতো একটা কিছু আরকি! একটা সামাজিক গবেষণার মানচিত্র আঁকা গেলে অবশ্য হাঞ্চটা টেস্ট করে দেখা যেতো। সেটা তো সম্ভব না। জীবনের বেশিরভাগ জিনিসপত্রই আবার এই কাতারের, "সম্ভব না"।

নতুন শহরে ঢোকার রাতটা অদ্ভুত ছিল

ধরো তোমাকে যদি সাতটা গোলাপ ফুল দিই, তুমি কি করবে? অবাক চোখে তাকিয়ে থাকবে নিশ্চই, তাই না? আধপাগলা লোকটা ক্ষেপলো কিনা ভেবে হয়তো চিন্তাও করবে খানিকটা। জানি তো আমার ভাল থাকা, খারাপ থাকা সবই এখনও তোমাকে চিন্তিত করে। তারপরও কেন যে নিজেকে লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করো সবসময় সেটাই বুঝি না। কি দরকার বলো তো? তারচেয়ে চলো না দুই জনে চলে যাই অনেক দুরে কোথাও। যেখানে খুঁজে পাবে না চেনাজানা কেউ আমাদের। সবাই, আশপাশের সব্বাই যেখানে দুরের মানুষ, সেখানে গিয়ে চলো দেখি, কাছাকাছি থাকা যায় কিনা।

কবিতাঃ কিছু না শুধুই হারিয়ে ফেলা

যদি কোনদিন আর ফিরে আসা দেখতে না পাও
ভেবে নিও ভালবাসা তার সব শক্তি হারিয়ে ফেলেছে।
তা'বলে আবার ভেবো না কিন্তু পুরোনো ভালবাসা
সত্যি ছিল না,
জীবনটা গোলমেলে তাই
এ হিসাব বড় সহজে মেলে না।

ঐ হাত ধরে একদিন সত্যি মিলে ছিল সুখ,
অনেকভাবে ভেঙ্গেচুড়ে দুমড়ে মুচড়ে যাওয়ার পর
শুধু টিপটিপ করেও বেচেঁ ছিল বহুদিন।
দু'টি প্রাণ তাদের আপনাতে অতল গহীনে হারিয়ে কামড়ে ধরেছিল মাটি।
ভেবেছিল এই বুঝি কেউ এগিয়ে আসবে।
কিন্তু হায়! অপরের কাছেই তা চেয়েছিল তারা,
নিজে থেকে কেউ হাত বাড়ায়নি।
অতোখানি বাজে ভাবে কি আর বেচেঁ থাকা যায়?
তাই আমরা পারিনি,
এ তো সহজ এক প্রক্রিয়া মাত্র
বড় কিছু আমরা করে ফেলিনি তো।

ওঠো, সত্যি কিছু হয়নি, শিগ্রি
ভালোর পানে মুখ ঘোরাবে সবকিছু,
বলে দিচ্চি কিন্তু
হাল ছেড়োনি।

---

দিনলিপিতে দু'হাজার বাইশ - ৩

আজকে আমার এই অফিসে শেষ কর্মদিবস। এরপর থেকে ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত কাগজে-কলমে আমি অফিসের কর্মচারী থাকলেও, ছুটিতে থাকবো। তারপর থেকে আর কাগজে-কলমেও আর থাকবো না এখানকার কোথাও।

আজ আমার এ অফিসে কাজ পাওয়ার স্মৃতিটা মনে পড়ছে বারবার। ২০১৮ সালের শুরুর দিকে, জানুয়ারির ২০ তারিখে আমায় জার্মানির ইলমিনাউ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সমাবর্তন দিয়ে দিয়েছিলো। সেদিন মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগ থেকে মাস্টার্স পাশ করে বের হতে পেরে আমার ভালও লাগছিল আবার একটু চিন্তাও হচ্ছিলো। কেননা ঠিক সেদিন থেকেই চালু হয়ে গিয়েছিল ১৮ মাসের একটা ঘড়ি। এ সময়ের ভেতর আমায় "মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশন" সম্পর্কিত কোন একটা চাকুরি জোগাড় করতে হবে নয়তো ব্যাবসা দাঁড় করাতে হবে। নাহলে জার্মানি থেকে পাঠিয়ে ফেরত দেয়া হবে। অন্য কোন লাইনের চাকুরি বা ব্যাবসা হলেও হবে না।

যার জন্য কোনকিছুর সঙ্গে পরামর্শ করতে হয় না

মৌসুম এসে পড়েছে। ঝরা পাতার মৌসুম। বছরের অদ্ভুত সুন্দর একটা সময়। খুব অল্প কয়েকটা দিনের জন্য এ সময়টা আসে। সব গাছের পাতা অল্প কয়েকদিনের জন্য রঙিন হয়ে যায়। পথ চলতে চলতে রঙিন পাতাওয়ালা গাছ দেখতে দেখতে চিরপরিচিত রাস্তাঘাটও খানিকের জন্য অচেনা ঠেকে। তারপর একদিন গাছগুলোকে শুন্য করে দিয়ে সব পাতা ঝরে যায়। পরের বছর আবার পাতায় পাতায় ভরে ওঠার জন্য।

এ সময়টায় করার মতো একটা দারুণ কাজ হচ্ছে ট্রেনে চেপে ঘুরতে যাওয়া। ট্রেনের জানালা দিয়ে রঙিন বাহারি পাতাসমৃদ্ধ গাছগুলো যখন যখন একটা পর একটা পার হয়, তখন সাধারণ ছোটখাটো মানসিক অশান্তির কারণগুলো এমনিতেই ঝরে যায়। তবে খুব বড় যেগুলো, সেগুলো ঝরে না। সেগুলো কখনোই ঝরে না। নিজেদের মতো থেকে যায়। কখনো, হয়তো কোন এক বন্ধ্যা সময়ের বানে, গোপন কুঠুরি থেকে বের হয়ে এসে নিউরণে আঘাত হানে।

দিনলিপিতে দু'হাজার বাইশ - ২

কাটছে সময় কি তার আপন গতিতে? কে জানে তা। আমার তো কখনো মনে হয় সময় যেন কাটছেই না, আবার কখনো মনে হয় এত দ্রুত সবকিছু ঘটছে যেন দেখা ছাড়া আমার দ্বারা আর কিছুই করা হচ্ছে না। তবে এটাও কিন্তু হতে পারে যে, সময় তার নিজের মতো করে সকলের জীবনে ভারসাম্যতা ঠিক করে দেয়। যে কারণে কখনো সেটিকে দ্রুতগতির মনে হয় আবার কখনো মনে হয় মন্থর। আসলে নিজের গতিতে সে আবহসঙ্গীতের মতো চলতেই থাকে পুরোটা সময়।

আজকাল একসঙ্গে নতুন বাসা খোঁজা এবং পুরোনো বাসা হাতবদলের কর্ম সম্পাদনে ব্যস্ত সময় কাটছে। তবে সে ব্যস্ততাটা যে আসলে কি, তা বলা বড় কঠিন। এই যেমন; পুরোনো বাসা কোন মেরামত ছাড়া তাৎক্ষণিকভাবেই নতুন ভাড়াটিয়াকে বুঝিয়ে দেয়া যাবে কিনা, তা দেখতে আসবেন যিনি, তিনি যেন মুগ্ধ হন- সে চেষ্টা চললো তিনটি দিন। সেটা ছিল একটা ব্যস্ততা। কিন্তু আসলেই কি?

দিনলিপিতে দু'হাজার বাইশ - ১

ইয়েন্স গুটোভস্কি নামের এক ব্যাক্তিকে ফেসবুকে পোস্ট দিতে দেখলাম "ভাঙ্গনজনিত কারণে নতুন বাসার প্রয়োজন পড়েছে" লিখে। কারও সন্ধানে ভাড়া পাওয়ার মতো বাসা থাকলে তাকে যেন জানানো হয়।

যে শহরে থাকি সে শহরের বাসিন্দাদের একটা "ফেসবুক পেইজ" রয়েছে। সেখানে বাসিন্দারা নিজেদের মজার ছবি, অভিজ্ঞতা, অভিযোগ ইত্যাদি যেমন প্রকাশ করেন, তেমন ঘরের পুরোনো আসবাবপত্র বিক্রি, ঘর ভাড়া দেয়া ইত্যাদির বিজ্ঞাপনও প্রকাশ করেন। আবার ইয়েন্সের মতো কেউ কেউ ঘর ভাড়া বা আসবাবপত্র ইত্যাদির খোঁজে থাকলে, তারাও সুবিধাটা ব্যাবহার করেন।

কবিতা: ধান্দাবাজির এই শহরে ঘাসফুলেদের ঠাঁই নাই

আজকাল সিনেমা
উপন্যাস, গান
কোথাও ঘাসফুলের
কথা বলা হয় না,
কেউ আর বলে না
শিশিরের বিন্দুতে
ঠিকরে পড়া রোদের কথা।
আজকাল শুধু খুন
ধর্ষণ, দুর্ঘটনা আর
ভাঙনের কথা বলে সবাই
জীবনের অর্থ পাল্টে হয়েছে
যেকোন উপায়ে আপন
প্রাণ বাঁচাই।

পরিবারের অর্থ পাল্টে হয়েছে
আগুনের গোলক,
আর কেউ এই "আজকাল"কে মানতে
না চাইলে, পরিবারই তাকে দেহ-
মনে পিটিয়ে লম্বা করে দেখিয়ে দেয়
কোথাকার কোন বালব্যাটা হে তুই বালক?
দুই, চার, পাশশো কিংবা ক'টা হাজার
টাকাও আজ কথা বলে। আর তুই এসেছিস
হিন্দি চুল তুলে আঠিঁ বানাতে?

আর তো সমাজের অন্যান্য
ইনস্টিটিউশনের কথাগুলো বাদই দিলাম।
বিয়ে নাকি এককালে অমন একটি ইনস্টিটিউশন ছিল
হাহাহা, আজকালের বিয়ে মানে যেকোন ছুতোয়
নির্যাতন আর প্রতারণা।

ধর্ম নাকি একসময় মানুষের ভেতর শান্তির
বাতাস বইয়ে দিতো। অট্টহাসি পায় সে কথাটা
এখন ভাবলে। আজ মেকি বানোয়াট শান্তির আধাঁরে