ইউজার লগইন

নাহীদ Hossain'এর ব্লগ

একটি পরাধুনিক গাণিতিক কবিতা

১ বলে আমিই শ্রেষ্ঠ ২ বলে কি তাই
৩ আর ৪ এ হাতাহাতি মূল ভাগটা চাই।

৫ পাড়ে ম্যাঙ্গো আর ৬ বসে ভাবে
৭ এর বাড়িতে কবে দাওয়াতটা পাবে।

৮ ব্যস্ত মেরামত আর জিহবায় দিতে ধার
বাকী সব গোল্লায় যাক ৯ হলেই তার।

১০ খায় রসগোল্লা আর ১২ ঘুমায় ঘোরে
১১ মারে চপেটাঘাত ১৩র কপাল পোড়ে।

১৪ কিন্তু জন্ম কানা জীবন সংশয় তার
১৬ করে বিজয় উল্লাস রুখবার সাধ্য কার।

ভাবছেন ১৫ গায়েব বুঝি তার দেখা নাই ক্যান
সে বেচারা সংসার কষ্টে গুহায় করে ধ্যান।

রইলো যা বাকী সংখ্যা রোদ পোহাতেই ব্যস্ত
ভেবেই খুশী দ্বায়ীত্ব সব শূন্যের (০) র উপর ন্যস্ত।।

মিষ্টি উপাখ্যান

মিষ্টি খেতে বা উপহার হিসেবে পেতে কার না ভাল লাগে। মিষ্টির দোকানের সামনে দাড়ালে এত বাহারি রকমের মিষ্টি দেখা যায় যে দেখতে দেখতেই দিন পার করে দেয়া যায়। মিষ্টির উৎপত্তি কোথায় বা কারা এ সম্পর্কে আমার কোন আইডিয়াই নাই তবে মোঘলদের আমলে যে এর বৈচিত্রের উৎকর্ষ সাধিত হয়েছে তা ইতিহাসেই পাওয়া যায়। মিষ্টি খেতে চাইলে কেউ খাওয়াবেন না বা সামনে এনে দিলে কেঊ খাবেন না এরকম মানুষ পাওয়াও বেশ দুস্কর। তবে এই মিষ্টি সাধের মিষ্টি আজকের আলোচ্য বিষয় নয়। ঠিকই ধরেছেন। সেইরকম মিষ্টি আদান-প্রদানের কিছু কাহিনী বলি যার অবস্থান সাধারনত টেবিলের তলায়, খামের ভিতরে কিংবা মুঠো থেকে মুঠোতে। নিতান্ত ফান করার জন্য নয়। কর্মক্ষেত্রে এ রকম মিষ্টির আবদার হয়তো অনেকেই পেয়েছেন কিংবা দিয়েছেনও।

ফেলে আসা দুরন্ত সময়গুলো

কখনও কি মুছে দেয়া যাবে
সেই সব দিনগুলো......
যখন ছোট ছোট সব স্বপ্নগুলো ঘুরে বেড়াতো বিশাল খেলার মাঠে
বা সদ্য সম্পদে ভরে ওঠা নিষিদ্ধ আম গাছে
কিংবা হাবিজাবি সব খবর আর ঘটনা নিয়ে
মুখর আলোচনায়।।

কখনও কি মুছে দেয়া যাবে
সেই সব দিনগুলো......
যখন খেলার ছলে স্কুল ড্রেস এর উপর নির্মম অত্যাচার
আর পাঠ্য বইয়ের দুর্গম এলাকাগুলো আবিষ্কারের
দুর্দান্ত প্রচেষ্টায় মেতে রইতো
সীমাবদ্ধ ইচ্ছাগুলো।।

কখনও কি মুছে দেয়া যাবে
সেই সব দিনগুলো......
যখন শিক্ষক-ছাত্র একে অপরকে উপাধী দেয়ার হাস্যকর চ্যালেঞ্জ
কিংবা মেয়েদের স্কুলের সামনে বিশেষ কাউকে

ঊৎসর্গ : ভালোবাসা দিবস।

একবার খুব ইচ্ছা হলো প্রকৃতিকে ভালোবাসি
ফুলেরা এসে বলে, আমায় ভালোবাসো
বললাম, ঠিক আছে কিন্তু তোমাদের রুপ-গন্ধ কি পারবে
আমাকে আমরন উদ্দীপ্ত করতে.....
ফুলেরা চুপ্‌সে গেল।

ডালে বসা ছোট্ট পাখিটি তার অদ্ভুত রঙিন
লেজটা নাড়িয়ে বলে, দেখতো আমি কেমন রই
বললাম, ওহে পাখি সত্যি করে বল, তোর ডানায় কি
আমার স্বপ্নগুলোর ভার সইবে......
পাখিটা উড়ে গেল অন্য কোথাও।

মুখে মুখে কথা রটে গেল নদীর কাছে
সে তার শীতল জলের ঝাপটা দিয়ে আমায় বলে, জোর করব না
তবে চাইলে আমার কাছে একবার আসতে পারো
জিজ্ঞেস করলাম, তুমি এত বিশাল কিন্তু তাতে কি তুমি পারবে
আমার সব অনুভুতিগুলোকে ডুবিয়ে বাঁচাতে.....
নদী অন্যদিকে তার বাঁক ঘুরিয়ে নিল।

একখন্ড ঝড়ো বাতাস সেদিক দিয়ে যাচ্ছিল
বলে বসল, আমিতো আজীবন তোমার সাথেই আছি,
আমায় কেন নয়

ধরা খাওয়ার ছড়া

ক্লাসের পড়া অনেক হবে স্কুল পালাই আজকে তবে
খেলাধুলায় না দিলে মন শরীর কি আর সুস্থ রবে
কিন্তু যেদিন মাঠের কাছে
ঘুরেই দেখেন হেডস্যার পিছে ;
মাখিয়ে বেতে আসল ঘৃত
করতে আপনার শেষকৃত্য
পড়ল পিঠে মুড়ির মত মুসলধারে ঝরা .....
হিসেব করে লিখে রাখেন আবার খেলেন ধরা।

শিক্ষা বোধহয় অনেক হলো এস এস সি পাশ কম কি বলো
ফুর্তি করেই লাইফ কাটাবেন কার কি তাতে এসে গেল
হাল ফ্যাশনের পাখা মেলে
ঘুরে বেড়ান কলেজ ফেলে ;
কিন্তু যেদিন গলির মোড়ে
বাপজান আপনার আসলো তেড়ে
ধোলাই হলেন ইচ্ছা মত সাবান পানি ছাড়া ....
হিসেব করে লিখে রাখেন আবার খেলেন ধরা।

ভাবছেন বয়স অনেক হলো বুদ্ধি বলে দৃষ্টি খোল
প্রেম না করলে মান থাকে না যৌবনে যে পড়ল ধুলো
পাড়াতো মেয়ে অনেক আছে
সাহস নিয়ে গেলেন কাছে ;
কিন্তু যেদিন পাড়াতো ভাই
ধরল কলার রক্ষা যে নাই
লাত্থি-গুতা বোনাস পেলেন ভেঙ্গেই দিল দারা ...
হিসেব করে লিখে রাখেন আবার খেলেন ধরা।

Half Romantic না Full Romantic ?

ঘটনা অনেক দিন আগের। বয়স তখন উড়ু উড়ু। বসন্তের বাতাস মাঝে মধ্যেই গায়ে ঝাপটা মারতে চায়। চারদিকে খালি আনন্দ আর আনন্দ। যে দিকেই তাকাই ভাল লাগে খালি কষ্ট কইরা তাকাইতে পারলেই হয়। আর রেগুলার জব এর মধ্যে আড্ডা অন্যতম প্রধান বইলা বিবেচিত বন্ধুমহলে। তো আসল কথা হইল, ভিডিও ক্যাসেটের তখন চরম দিন-বদল চলতাছে আইমিন ক্যাসেট টু সিডি কনভার্শন সবখানে। নতুন নতুন সিডিতে আসা মুভিগুলা চরম হিট আর মার্কেটে খায়ও ভাল। যাই হোক এইরকম এক সন্ধিক্ষনে পুরান অভ্যাস মোতাবেক কয়েকজনে একদিন একত্রিত হইলাম এক দোস্তের বাসায়। আড্ডা দিব, খানা-পিনা হইব, কার্ড খেলব ইত্যাদি ইত্যাদি। খানা-পিনার দ্বায়িত্ব পরম নিশ্চিন্তে খালাম্মার উপর চাপাইয়া দিয়া কার্ড খেলতে বসলাম। এর মধ্যে চা-নাস্তা সাবার। তার উপর গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিও শুরু হইল। ঠান্ডা ঠান্ডা হাওয়া। নাহ্‌ এইরকম আবহাওয়ায় কার্ড খেলা জমতাছে না। কি করা যায় ?

মূল্যহীন বা অমূল্য কথামালা

নখরামীটা ছাড়না এবার
ছাড়না ভূতের দাবী
দেশটা কি আর লুটের মাল
যে লুটেপুটে খাবি ।

পুর্ন থালা ভরছো আবার
করছ বেজায় ছল
অন্ধকারের হয় না যে শেষ
বক্ষে চোখের জল ।

খেলায় খেলায় হেসে হেসে
নিংরে নিলি শ্বাস
হিসাব হলে নেইকো গতি
পড়বে গলায় ফাঁস ।

কাস্তে কুড়াল পায় না কদর
শুধুই জোটে আটি
ভুলিস কেন এরাই সেদিন
ছিনিয়ে আনল মাটি ।

স্বপ্ন এখন শুকনো পাতা
ইচ্ছাগুলোয় হাড়ের ব্যথা

এ কোন বিপাকঃ

খুব বেশি দিন আগের কথা নয়। আমার ভাইয়ের ছেলের (৩ বছর) সহিত শুরু হইতেই আমার সম্পর্ক ও ভালবাসা বেশ প্রবল। আমাকে দেখিলেই কোলে উঠিয়া প্রথম যে প্রশ্নটি করিবে তাহা হইতেছে, আমার জন্য কি আনিয়াছো? সেই দিন কাজে বাহির হইবো বলিয়া রেডি হইয়া যেই না দরজা পর্যন্ত গিয়াছি, অকস্যাৎ সে সামনে পড়িল এবং যথারীতি তাহার ঐ প্রশ্ন। কি করি?

প্রসঙ্গতঃ ফকির লালন শাহ্‌ ও তার রচিত পদ

জাত গেল জাত গেল বলে
একি আজব কারখানা
সত্য কাজে কেউ নয় রাজী
সবই দেখি তানা না না।।

প্রসঙ্গতঃ ফকির লালন শাহ্‌ ও তার রচিত পদ

জাত গেল জাত গেল

নতুন আসলাম......।।

ভাই-বোনেরা, আমি নতুন আসলাম। সবার জন্য লেখকীয় দোয়া রইলো......আর সবার কাছে সাহায্য ও দোয়া কামনা করলাম।