বন্ধু হয়ে ওঠার গল্প ১
ভোরের কাগজ ভেঙ্গে যখন প্রথম আলো হয় হয় করছে, সেই ৯৮'র দিকে নওরোজের মুখে খুব শুনতাম ইন্টারনেটের কথা। সে দিনরাত তখন মজে থাকতো কম্পিউটারাইজড কোনো এক জালে। সেখানকার অনেক গল্প শোনাতো, কিন্তু বিষয়টা কীভাবে কী হয় তার সম্পর্কে আমার বিন্দুমাত্র ধারণা ছিলো না।
ইন্টারনেটের উপকারীতা বিষয়ে নওরোজের অনেক অনেক জ্ঞানগর্ভ বক্তৃতার পরে আমি আর মুনীর রানা ভাই তখন এই সিদ্ধান্তেই আসতে পারছিলাম যে এইটা সময়ের বেহুদা অপচয় ছাড়া আর কিছু না।
অবশ্য তার কিছুদিন পরে আমিও ইয়াহুতে একটা একাউন্ট খুললাম। কিন্তু আমারে ইমেইল করার তো কেউ নাই। অনেকদিন পর পর একবার করে চেক করি, দেখি ঢিলি ময়দান খালি :(
এভাবেই কেটে যাচ্ছিলো জীবনটা বেশ। এর মধ্যে রাইসু কবি শুরু করলো কবিসভা নামক কী যেন একটা। কেবল এদিক থেকে সেদিক থেকে শুনি। আদিত্য কবীর প্রতিদিন গল্প শোনান সেখানে এবাদুর রহমানের সঙ্গে মারামারি কাটাকাটি কেমন চলতেছে সেই বিষয়ে। শুনে আগ্রহ হয়। তারপর একদিন রাইসুদা ঢুকায়ে দিলেন কবিসভায়।
সেই থেকে আমার ইন্টারনেট জীবন প্রাত্যহিক হইলো। আমার মেইলব্ক্স আর গরীব নাই, এখানে এখন অনেক মেইল আসে, সেই খুশিতে আমি বাগুমবাগ। আর কবিসভার তর্কগুলা চরম উপভোগ করতে লাগলাম। নিজেও একটা দুইটা তর্কে গলা খাটাইলাম।
তখনো বুঝি নাই আমার জীবনে সর্বনাষটা যে ঘাড়ের উপরে চইলা আসছে।
এরপর একদিন হঠাত্ দেখি একটা মেইল। 'স্টুপিড রন' নামের একজন 'আমরা বন্ধু' নামে কোনো একটা গ্রুপের আমন্ত্রণ জানাইছে। কোনো ছেলে নিজেরে নিজে স্টুপিড বলে পরিচয় দিতেছে, আর সেই নামে অজানা অচেনা আমারে মেইল করছে, ভাবতেই টাশকী খাইলাম আমি। আর এইজন্যই আগ্রহটা হইলো।
আমি ধরে নিলাম এইটা প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি পড়ুয়া ডিজ্যুস পোলাপানের গ্রুপ (যদিও তখন ডিজ্যুস ব্র্যান্ড বাজারে আসে নাই)। আমার আগ্রহ হইলো। কারণ এই জেনারেশনটারে যদি কাছ থেকে দেখতে পারি, খারাপ তো হয় না। এমনিতে আমার মতো আনস্মার্ট লোকজনরে তো এরা বন্ধু বানাইবো না। ইন্টারনেটের মারফতই যদি কিছু জানতে পারি।
কিবোর্ডে একটা টিবি দিয়া ঢুকে গেলাম সর্বনাষের গহ্বরে...
[চলবে]
সর্বনাষ! তারপর?
ধৈর্য্য ধরেন, আসিতেছে
এবিতে আম্মো ঢুকছিলাম মাগার তখন বাংলায় লিখতে পারিনা
হেরপর কুন্সময় যে জীবনের স্রোতে ভাইস্যা গেলাম টেরপাইনাই। জিমেইল আসার পর ইয়াহুরে ছ্যাকা দিলাম। একদিন কি জানি একটা নুটিশ আইলো কিন্তু এবিতে আর ঢুক্তারিনাই। কয় নয়া কইরা রেজিষ্ট্রি করতে।
"রন" পুলাটার জনপ্রিয়তা দেখে হিংসা হৈতো। (পরথমে হেরে কম্পু মনে করছিলাম, সিডিসি টাইপ, পরে বুঝতে পারলাম হেতেই রঞ্জু) একবার দেখি কি জানি একটা হাবিজাবি লিখছে আর পাব্লিক ব্যাপক প্রশংসা করতাছে। মিজাজ চ্রম বিলা হৈছিলো।
চলুক্কক্কক্ক
আপনে ছিলেন এবিতে!
হুম ছিলাম ;)
আমি আপনাকে চিনতে পারসি আগেই
আর খাউরে চিনাইয়েন্না ফিলিজ
চুলকাটার পর আনস্মার্ট হইছেন। আগে দারুন স্মার্ট ছিলেন। বড় চুলে কিন্তু হেভি লাগত আপানারে।
ভবিষ্যতে যাতে মাথায় কিছু অন্তত চুল অবশিষ্ট থাকে, সেজন্য বর্তমান কালের দীঘল চুল বিসর্জন দিতে হইলো। :(
লেখার মাঝখানে বিরতি ভাল্লাগেনা,
বাকিটুক জলদি লিখেন নাজু ভাই
রইন্যারে, জানস তো না, বাকীটুকু পুরাটাই তোরে পঁচানো হবে রে... খাল কেটে কুমীর কেন ডেকে আনতেছিস রে বুকা ছেলে?
কি দরকার বলেন লেখালেখি করার, বাদ দেন!
রনি বধ পর্বটা লেখার পরেই অবসরে যামু ভাবতেছি
এতো ছোট পর্ব কেন? বড় বড় পর্ব হোক।
আসিতেছে, পরের পর্বগুলো সচিত্র হবে... রঙে ঝলমলে
তারাতারি জানান দেন পরের পর্ব !!
আগামী কালকেই পাবেন...
আপ্নের আগামী কাইল, গত কাইল্কা গেছেগা। আপ্নে কই গেলেন?
এত তাড়াতাড়ি চায়ের তেষ্টা পেয়ে গেল কেন?
আমার ইন্টারনেট ভ্রমন শুরু ৯৬ সাল থেকে, তখনো উইন্ডোজের যুগ আসেনি সেরকম। অফলাইনে মেইল করা। আর ডস দিয়ে ইন্টারনেটে ঘোরা যে কি কঠিন ব্যাপার ছিল........বাপরে মনে করতেই শিউরে উঠি এখন। সাদা কালো ইন্টারনেট। তারপর যুগ পাল্টালো উইন্ডোজ ৯৫ নতুন বিপ্লব ঘটালো ইন্টারনেটে। হটমেইল ইয়াহুতে নাম লেখালাম। তবে কিছুদিন পর ফ্রী একাউন্টে মন ভরছিল না দেখে নিজের নামে একটা পপ একাউন্ট আইডির স্বপ্ন দেখতে লাগলাম। ৯৮ তে এসে চার হাজার টাকা দামের একটা পপ একাউন্ট যখন মাগনা পেয়ে গেলাম খাতিরের আইএসপি থেকে, তখন যেন ঈদের খুশী আমার। [ঈদের খুশীর ইমো হবে : ) ]
আমি সারাজীবনই ফ্রিখোর
এতো ছোট পর্ব কেন? বড় বড় পর্ব হোক।
ছোট মানুষ তো, তাই ছোট ছোট পর্ব। বড় হয়ে বড় পর্ব দিবো... ;)
আসিতেছে আগামীকালকেই...
ভাল লাগছে চলুক
চলবে, ধন্যবাদ
তারপর?তারপর কি হলো?তাড়াতাড়ি লিখেন!!!!!!!!!
এই সব সার্ভারের সমস্যার কারণেই তো বিজ্ঞাপন বিরতী দীর্ঘ হয়ে গেলো। আসিতেছে আগামীকাল
এইটুকু পইড়াই মজা পাইছি.........।
তাত্তাড়ি দেন পরের ট।............।।
ভাবছিলাম আজকে দিবো। কিন্তু সার্ভার জটিলতায় দেওয়া গেলো না। আগামীকাল অবশ্যই।
নাজু ভাইয়ের কিপ্টামি আর গেলো না। পর্ব বড় করেন ফিলিজজজজজ

না হইলে আপনেরে পরের পোষ্টে নুরুমানিকের্বামহাত দেখানি হইবেক
সব জায়গায় বাম হাত ঢুকানো অভ্যাস হয়ে গেছে তাই না? নিজে তো একটা পোস্ট দেন না...
ভাইসব হাত পকেটে রাখেন ... শীতে হাত বাইরে রাখা ঠিক্না
হ, হাত আর বাইর করুম না। লেখালেখি বন্ধ...
হাত খুইলা লেইখা যান
ভালো এক্টা লেখা পাইতাছি, মনে হয়। বিজ্ঞাপন বিরতী কম দিয়েন।
ভালো লেখা পড়তে আসছেন যে, টিকিট কাটছেন?
কপ্পে...!!!!!
আমারবন্ধু এখানে আইসাই চিনলাম। আগে দেখি নাইক্কা
এখানেই রচিত হবে এবির ইতিহাস
পরের পর্বের জন্য আমিও বসলাম সীটে পা তুলে
বসে থাকেন, আসিতেছে
আমারবন্ধু তে জয়েনের জন্য ডাকছিলো টুটুলভাই... কেন জানি করা হয় নাই... মিস করছি...
নজরুলভাই... দারুন জায়গায় বিরতি দিছেন..ভালো লাগছে.
. কিন্তু বেশি বিরতি ভালো না..।
গেলে মজা পাইতেন। আমরা দারুণ মজা করতাম। তবে আবার জমবে মেলা
পরের পর্ব দেন জলদি।
আমু তে চ্যাট প্যাচালী নামে একটা সিরিজ লিখছিলাম।
আন্তর্জাল, চ্যাটিং, ব্লগ - আমার জন্য আশীর্বাদ হয়ে এসেছে।
চলুক।
পরের পর্ব ছাড়েন না কেন
মন্তব্য করুন