সম্ভ্রম বনাম স্ববিরোধীতার আয়নায় মুখোশের আড়ালে মুখ : প্রসঙ্গ : প্রভা !
বলা হয়ে থাকে-- মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব । মানুষের হৃদয়ভর্তি ভালোবাসা আবার ঘৃণাও । মানুষ প্রেমান্ধ আবার কামান্ধও;--এইসবই জানা কথা । মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব-- তবে, যা বলা হয়না তা হলো, মানুষ সৃষ্টির সেরা ভন্ড জীবও !
গোপনে যা করতে ভালোবাসি, অন্যে তা করতে শুনলেই, জানলেই ছি ছি করি আমরা মানুষ ! একান্ত নিজের জগতে যেটা সঠিক, অন্যের জগতের সে খবরে আঁতকে উঠি, আঁতকে উঠার ভান করি, তা হয়ে যায় বেঠিক, খুবই বেঠিক !
পরকীয়া একটি অশুদ্ধ সম্পর্ক । এই সম্পর্কের কথা শুনলেই অপবিত্র একটা ভাব আমাদের উপর 'সওয়ার' হয়, বিশেষত আমরা যারা নিজেদেরকে শুদ্ধ- বিশুদ্ধ মানুষ হিসাবে, দেখতে বা দেখাতে ভালোবাসি ! সেই 'অশুদ্ধ' সম্পর্কের সুযোগ মিললে অনেক 'বিশুদ্ধ' মানুষই সুযোগটা গ্রহণ করবেন গোপনে, এটা নিশ্চিত করেই বলা যায়, স্বীকার করতে না চায়লেও, মানুষের খুব স্বাভাবিক প্রবণতা এটাই ! কুলবধূ তথা পতিতাদের প্রতি বেশীরভাগ ভদ্রলোকই ঘৃণার ভাব প্রকাশ করে থাকেন, লজ্জার বিষয়, কুলবধূ বা পতিতাদের খদ্দের এর একটা বিরাট অংশ সেইসব সুশীল ভদ্রলোকরাই, এমনকি পতিতাকে পতিত করবার পেছনের ঘটনা হাতড়ে পাওয়া যাবে, কোন না কোন ভদ্রলোকের বদমায়েশীর ইতিহাস !
দু'জন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের সম্পর্ক, সেটি যদি হয় মানব-মানবীর সম্পর্ক, বন্ধুত্বের বাইরে, সেখানে হৃদয়ঘটিত ব্যাপার থাকতে পারে, হৃদয়কে ছাপিয়ে শরীরে গড়াতে পারে সম্পর্ক, কিম্বা শরীরকেও ছাপিয়ে যেতে পারে হৃদয় , এসবই খুব স্বাভাবিক । তেমনি স্বাবাভিক , ভালোবাসার দু'জন মানুষ পরস্পরের কাছে আয়না হয়ে যাওয়া । পরস্পরের কাছে খোলা হয়ে যাওয়া । পরস্পরের শরীরের দাগগুলো, ভাঁজগুলো মুখস্থ হয়ে যাওয়াও খুব স্বাভাবিক । অস্বাভাবিক শুধু, ভালোবাসায়-বিশ্বাসে খুলে দেয়া ভাঁজগুলো, একান্ত আমার জন্য খুলে দেয়া ক্যানভাসটা কখনো, কোন পরিস্থিতিতেই নিলামে তুলে দেবার কথা না থাকলেও, নিলামে তুলে দেই প্রতিশোধ পরায়ণ আমরা মানুষ !
আপনার একসময়কার প্রেয়সী, প্রিয়তমা, প্রেমিকা বা জান (যে নামেই ডাকেন না, কেন) যখন, প্রেমে বা কামে, মমতায় বা প্রণয়ের গভীরতায় আপনার কাছে হয়ে যেতো, নগ্ন দেবী; আপনি সেটাকে উপভোগ করতেন ! আপনারা সেটাকে ভোগ করতেন ! সেই পৃথিবীটা ছিলো আপনাদের দু'জনের , একান্ত দু'জনের, সেই স্মৃতিগুলোও সোনা, রূপা, তামা বা পেতলেরই হোক, একান্ত দু'জনেরইতো !
আপনার প্রেয়সী বা জানটা আপনাকে ছেড়ে চলে গেলে, সেই একান্ত জিনিসগুলো নিলামে তুলবার কথা কি ছিলো ?
ছেড়ে যাবার পর আপনি কি সেগুলো নিলামে তুলবেন ?
আপনার নিজের মন কি বলে, সে উত্তরটা দিন কেবল !
প্রশ্ন আসবে, ছেড়ে যাবার কথা কি ছিলো ?
স্বামী-স্ত্রী বৈবাহিক বন্ধনের মধ্য দিয়ে যে সম্পর্ক শুরু করেন, তা আজীবনের সম্পর্ক হবে, সেই আশা স্বপ্ন ভালোবাসার সূত্র দিয়েই শুরু করেন । আশা স্বপ্ন ভালোবাসা ভেঙ্গে যায়। দু'জন বিপরীতধর্মী মানুষের ভালোলাগা সবসময় একরকম যায়না, মোহ কেটে যায়, মানসিক বুঝাপড়ার জায়গাটাতেও দু'জন মানুষে ফারাক থেকে যায় যোজন, সাত কিম্বা সতের বছর সংসার করেও স্বামী- স্ত্রী আলাদা হয়ে যান, এটাও স্বাভাবিক, স্বীকার করতে না চায়লেও ।
মনের অমিল, মতের অমিল অশান্তি জিইয়ে থাকা সংসার টিকে থাকার চে' , খারাপ সম্পর্কের চে' একদম সম্পর্ক না থাকাটাই শ্রেয়তর সবসময় । তো, স্বামী - স্ত্রী যখন আলাদা হয়ে যাবেন, সাত-সতেরো বছরে জমা হওয়া এতো এতোগুলো রাত এবং দিনের তাদের একান্ত মুহূর্তগুলো, যেগুলোর অনেকগুলো হয়তো ভালোলাগার স্মৃতি ধরে রাখবার জন্য তারা ক্যামেরাবন্ধী করেও রেখেছিলেন, স্ত্রী স্বামীকে ছেড়ে যাবার পর স্বামী কি ক্যামেরাবন্ধী সেই বস্তুগুলো বাজারে তুলবেন ?
আপনি কি তুলতেন ?
ঠিকাছে, পরস্পরের মতামতের ভিত্তিতে সম্পর্ক ছিন্ন হয়নি, আপনার স্ত্রী আপনাকে ছেড়ে গেছেন, অন্যের সঙ্গে ভেগে গেছেন, আপনার এবং স্ত্রীর সেই বস্তুগুলো কি আপনি বাজারে তুলবেন ?
গল্পটা একজন প্রভার না, আমার-আপনার, আমাদের 'জান' বলতে বলতে মুখে ফেণা তুলে ফেলা 'জানেদের'ও হতে পারে ! আমার আপনার প্রিয় বোনের গল্পও হতে পারে এটা, হয় ! সেক্ষেত্রে, আমার আপনার অবস্থান কি হবে ?
প্রভা একজন 'নটি' বলেই কি আমরা ভদ্দরলোক সুশীলরা ঘৃণা উগরে দেই, সবটুকুন ?
আমরা পর্ণো দেখে মৈথুন করে শীর্ষ সুখ নেবার চেষ্টাতে লজ্জিত হইনা, পর্ণো নায়িকা হিসাবে উপস্থাপিত, শরীরটি কিভাবে এরকম উন্মুক্ত হতে পারলো, (যেরকম উন্মুক্ত হয়তো আমাদের প্রেমিকারাও আমাদের সামনে হয়ে থাকেন ) তা ভেবে ভীষণ লজ্জিত হই !
পুরুষতান্ত্রিক সমাজে, পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতায় আমাদের চিন্তাগুলো কতো স্বার্থপর, দুর্বল এবং পরস্পরবিরোধী তা ভেবে লজ্জিত হবার কিছু নেই । জয়তু হে পুরুষ এবং পৌরুষ !
ধিক ! আমাদের এই স্ববিরোধীতাকে ! ধিক ! আমাদের এই ভন্ডামিকে !
সম্ভ্রমের এই বিশাল ঘাটতিতে(!!) ইসলামের কান্ডারী হিসাবে নিজেদের পরিচয় দেয়া জামাতী, ধার্মীক, আস্তিক এবং নাস্তিকরা যেই বিপুল উদ্দিপনায় এক স্রোতে মিশে যেতে পারলেন, আমাদের মুখোশের আড়ালের মুখগুলোর ভন্ডামীর এক নিদারুণ উদাহরণ হয়ে, আমাদের সমাজের একটা প্রতিচ্ছবি হয়েই তা থাকুক !
আমি কেবল পুরুষের একজন হয়ে নিজেকে ধিক্কার দেই ! ধিক ! পুরুষ তোমাকে !
কৈফিয়ত : প্রথমেই দুৎখ প্রকাশ করছি ডুয়েল পোস্টের জন্য । ক্ষমা করবেন ।
এই পোস্টটি নিয়ে দুটা কথা বলা দরকার । পসটর পথম পবর্ এসছল সামুতে,সামুর সেই সময়কার প্রেক্ষাপটের প্রয়োজনীয়তায় । এই লেখাটিও সামুতে প্রভা বিষয়ক আলোচনা-সমালোচনার প্রেক্ষিতে । তবে, আমার মনে হলো, লেখাটি আমরাবন্ধুতেও দেয়া দরকার ।
ডুয়েল পোস্টের জন্য, এরপরও যদি কারো অভিযোগ থাকে, পোস্টটি আমি সরিয়ে নেবো ।
ধন্যবাদ ।
অনেক ধন্যবাদ আরাশি। চমৎকার, বিশ্লেষণাত্বক একটি সমসাময়িক লেখার জন্য। সত্যি করে বলি, পুরুষ হিসেবে মাঝে মাঝে লজ্জায় মাথা হেঁট হয়ে যায়।
আপনার লেখা থেকে ৩টি লাইন তুলে দিচ্ছি :
পুরুষতান্ত্রিক সমাজে, পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতায় আমাদের চিন্তাগুলো কতো স্বার্থপর, দুর্বল এবং পরস্পরবিরোধী তা ভেবে লজ্জিত হবার কিছু নেই । জয়তু হে পুরুষ এবং পৌরুষ !
ধিক ! আমাদের এই স্ববিরোধীতাকে ! ধিক ! আমাদের এই ভন্ডামিকে !
ধন্যবাদ, মেসবাহ য়াযাদ ভাই ।
ব্যাপার্না!! সবাই এখন প্রভাবিত!!!
ফাঁকিবাজী হইলো !
এই বিষয়ে নিজের ভাবনার কথা বলেন ।
নিজের ভাবনা? আমার একটাই কথা। দু'জনের দীর্ঘদিনের ভালোবাসায় যেকোন কারণেই হোক ফাটল ধরতেই পারে, সেটা নিয়ে ছাড়াছাড়িও হতে পারে বার আরো অনেককিছুই হতে পারে। এটা নিয়ে কথা নেই।
ভালোবাসাময় সময়ে তারা দু'জনে ভালোবাসার বহি:প্রকাশ অনেকভাবেই করতে পারে। সেটা যদি শারীরিকভাবেও হয়, সেটাতেও কোন প্রশ্ন নেই।
তবে, কথা যেখানে, সেটা হল, নিজেদের শারীরিকভাবে মিলিত হবার সময়টুকু ভিডিও করে রাখার প্রয়োজনীয়তা কি? দেখে যেটুকু বোঝা যায়, ছেলে বা মেয়ে যেকেউ অন্যের ভালোবাসায় সাড়া দিচ্ছে না, কেননা, সেক্ষেত্রে ঠিক মত ভিডিও করার সচেতনতাটুকু থাকছে না। তাহলে এমন করে মিলিত হবার দরকার কি?
আমার সহজ কথা, নিজের গোপনীয়তাটুকু নিজেদেরই রাখা উচিত।
নিজের গোপনীয়তাটুকু নিজেদেরই রাখা উচিত
এই জায়গাটাতে মেয়েরা কেন যে, এতো নিবুদ্ধিতার পরিচয় দেয়, কে জানে !
অবশ্য মতলববাজ ছেলেরা মেয়েদেরকে প্রভাবিত করে । ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় মেয়েরা ফেঁসে যায় ।
অনেকক্ষেত্রে, মেয়েদের অজান্তেই গোপন দৃশ্য ধারণ করা হয়, এইটাই হচ্ছে, আমাদের পুরুষতান্ত্রিক নোংরামী ।
প্রভার আগের বয়ফ্রেন্ডের নামে মামলা করলে ঐটার কি শাস্তি হওয়ার সম্ভাবনা আছে? প্রভার দিক থেকে হয়তো মান-সম্মান রক্ষার জন্য ব্যাপারটা "বানানো" টাইপের বলে এড়িয়ে যাওয়া হবে; তবে তার বয়ফ্রেন্ড টাইপের এই রকম বদমাইশ দু'চারটাকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না দিলে কিন্তু আর কিছুদিনের মধ্যে এই ইউটিউবে ছেড়ে দেয়ার নতুন ট্রেন্ড চালু হবে।
আপনার পোস্টটায় আপনি "আপনাদের" বলতে হয়তো ব্লগারদের বুঝিয়েছেন; তাদেরকে ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করতে বলেছেন। তবে আপনার এই আহবান কি আমরাবন্ধুর ব্লগারদের বেলা প্রযোজ্য? এখানে তো প্রভার ঘটনা নিয়ে কেউ কোন আগ্রহই প্রকাশ করেনি।
যদ্দুর জানা যায়, প্রভার দিক থেকে ইতোমধ্যে সেটিকে বানানো বলে চালিয়ে দেবার চেষ্টা হয়েছে । আর এরকম বিষয় নিয়ে আইনী লড়াই চালিয়ে যাওয়া আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে কতো যে কঠিন, তা বলার অপেক্ষা রাখেনা । তবে হ্যাঁ, কেউ না কেউ এগিয়ে আসা উচিত, এরকম মানুষদের অবশ্যই শাস্তি হওয়া উচিত ।
"তবে আপনার এই আহবান কি আমরাবন্ধুর ব্লগারদের বেলা প্রযোজ্য? এখানে তো
প্রভার ঘটনা নিয়ে কেউ কোন আগ্রহই প্রকাশ করেনি ।"
এখানে আলোচনা নেই বলেই কেউ আগ্রহ দেখায়নি । তবে এখানকার ব্লগারেরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেননি বা বিষয়টি নিয়ে ভাবেননি তা হয়তো বলা যাবেনা । একটি ব্লগের ব্লগারদের জন্য হলেও, আদতে আলোচনা, মানুষের স্বাভাবিক প্রবণতা নিয়ে, মানসিকতা নিয়ে, তাই সবার জন্যই হয়তো এই আলোচনা প্রযোজ্য, অন্তত এতে করে যদি খানিকটা চিন্তার অবসর মেলে ।
ধন্যবাদ ।
"সম্ভ্রমের এই বিশাল ঘাটতিতে(!!) ইসলামের কান্ডারী হিসাবে নিজেদের পরিচয় দেয়া জামাতী, ধার্মীক, আস্তিক এবং নাস্তিকরা যেই বিপুল উদ্দিপনায় এক স্রোতে মিশে যেতে পারলেন, আমাদের মুখোশের আড়ালের মুখগুলোর ভন্ডামীর এক নিদারুণ উদাহরণ হয়ে, আমাদের সমাজের একটা প্রতিচ্ছবি হয়েই তা থাকুক !" --- vai ata sudhu bangali ra kore na sara world er manus kore .... chele meye uvoyee ... jemon kim kardeshian, paris hilton , blah blah
dhormio (religion)/philosophy er mote nishiddho jiniser proti manusher tremendous attraction ... akii rule khate nisshiddho jinis dekhar khetreo .... so illegal activity na korlei ai dhoroner somossa mone hoy kombe ...
সেটাই ।
ধন্যবাদ, ভাই আপনাকে ।
একপক্ষ বাজে কাজ করলো, সাথজাবে?...অন্যাপক্ষের মনের দারুন অনুভূতিগুলো উবে গেলো?... প্রতিহিংসা দিয়েই কি সব জ্বালা জুড়ায়ে যাবে?... ফালতূ এই মনমানসিকতা
একটা সুন্দর সমসাময়িক লেখার জন্যে ধন্যবাদ...
নিজেদের একান্ত বিষয়গুলো নিজেদের মধ্যে না রাখাটা ভন্ডামী ।
সেটা যে কোন যুক্তিতেই হোক ।
অথচ, একদল মানুষ ওটাকেই সমর্থন করছে ।
সে আগে থেকেই প্রস্তুত ছিলো কি ? নাহলে সব ক্যামেরাবন্দী কি ভেবে করলো ?
-------------------------------
ধন্যবাদ শিপন । গোছানো লেখা , চমৎকার পোস্ট ।
বিষয়টা তাদের প্রণয়কালীন, সম্মতিতেই হয়েছিল বুঝা যায় ।
কিন্তু বাজারে তুলবার কথা নিশ্চয়ই ছিলোনা ।
আপনাকেও ধন্যবাদ ।
আর হ্যাঁ, এই প্রশ্নটা কোন পক্ষই তুললো না, রাজিব নিশ্চয় এই ভিডিওটি তৈরী করেছিলো, অস্ত্র হিসাবেই ।
প্রভা যেটা ধরতে পারেনি তখন, এখন সেই অস্ত্রের ব্যবহার হচ্ছে ।
তীক্ষ্ণ বক্তব্য। ধইন্যা সহকারে প্লাস।
ধন্যবাদ, প্রিয় মীর ।
জ্বীনজির সাথে একমত। বাড়তি কথা একটা বলি। তা হচ্ছে, মেয়েরা ভালবাসার মানুষকে জান-প্রাণসহ সব কিছু দিয়ে ভালবাসুক। কিন্তু একটু বুদ্ধিমতি হোউক।একান্ত গোপন জিনিষ একান্তই নিজেদের। সেসব ক্যামেরা বন্দী করার কোনো প্রয়োজন নেই। এই ফাদে আর কেউ না পরুক।
মাসুম ভাই কোটি টাকা দামী মন্তব্যটা করেছেন। প্লীজ গিভ মী আ বিগ হাগ।
মেয়েরা ভালবাসার মানুষকে জান-প্রাণসহ সব কিছু দিয়ে ভালবাসুক। কিন্তু একটু বুদ্ধিমতি হোউক।
খুবই একমত । তারপরও সমস্যা থেকে যায়, গোপন ক্যামেরায় ধারণকৃত গোপনদৃশ্য যখন বাজারজাত হয়, ভিকটিম মেয়েটি তখন কি পরিমাণ অসহায় আমাদের এই সমাজ ব্যবস্থায়, তা হয়তো, আমাদের অনুভূতির সবটুকু দিয়ে কখনই ধরা যাবে না ।
পুরুষের মানসীকতার বদল ছাড়া মুক্তি নেই । মানসীকতার বদল হবে কখন !
আরাশির বক্তব্যগুলো অসাধারণ লাগলো।প্রতিশোধপরায়ণতার এমন নোংরা খেলাকে শুধু ঘৃণাই করি না, এর একটা উচিত শাস্তি হোক সেটা চাই।
একমত। এই ছেলের বড় ধরণের শাস্তি হওয়া উচিৎ
এসব মানুষের মন থেকে বিশ্বাসের ভিতকে নাড়িয়ে দিবে। বিশ্বাসঘাতকতার এমন নোংরা রূপ আর কেউ না দেখুক।
"বিশ্বাসঘাতকতার এমন নোংরা রূপ আর কেউ না দেখুক।"
শাস্তি হোক আমরা চাই ।মেয়েটিও হয়তো চায় । কিন্তু আমাদের যে আইনী ব্যবস্থা,
এই কাজটি করা খুবই কঠিন । বারবার ভিডিওটি সামনে আসুক, মেয়েটি নিশ্চয়ই চায়বেনা !
সামু সবসময়ই বাজারি ব্লগ।এমনিতে ছাগু -আম্বা বা ইত্যকার নানাবিধ ক্লসিফিকেশনে ভরপুর।এদের মাঝে চলে তীব্র কমেন্ট যুদ্ধ-যা প্রায়শই বিশ্রি কাদাছোড়াছুড়িতে পরিণত হয়।কিন্তু গতকয়েকদিন তো মাশাল্লাহ সব গরু এক ঘাটে অবাক জলপান শুরু করেছে।কত নিচু মানসিকতা হলে ইমেইল এড্রেস দিয়ে দিয়ে এসব জিনিস চাওয়ার আকুতি করা হয়।মানুষের চোখের পর্দা থাকে..।এক শ্রেণীর মানুষের তা থাকেনা তার প্রমাণ এসব মানুষ।জীবনে কত যে কিছু দেখলাম।আগে দেখেছি মানুষ জন্মদিন,বিয়ে এসব ক্যামেরাবন্দী করে রাখত।আজকাল মুক্তবাজারি অর্থনীতির সময়ে কোন সুখের সময়ই বাদ যাচ্ছেনা দেখছি..প্রতিশোধের কি নিষ্ঠুর ধরন-আত্মঘাতি হামলার মত।কিন্তু এসব রোমান্টিক ছেলেদের ই জয়জয়কার আমাদের সমাজে।|(

চরম সময়োপযোগী পোস্টের জন্য কৃতজ্ঞতা রইল শিপন ভাইয়ের লাগিয়া
দুৎখের বিষয়, বাঘে-মহিষে, ছাগলে এবং সিংহে কেবল যে একঘাঁটে জল খেয়েছে, তা নয়, তাড়িয়ে মজা নিয়ে আবার
এই ভিডিওর প্রচারটাকে সমথনও করছে !
মানুষের ওপর বিশ্বাস হারানো পাপ।
অমানুষকে বিশ্বাস করাও পাপ।
বিশ্লেষণ ভালো লেগেছে। ভালো লেগেছে জ্বিনজী আর মাসুমভাইয়ের মন্তব্যও।
মানুষের ওপর বিশ্বাস হারানো পাপ।
অমানুষকে বিশ্বাস করাও পাপ।
ধন্যবাদ নুশেরাপু । ভালো আছেন ?
মানুষ-অমানুষের পৃথিবীতে বেশ ভালো আছি।
নতুন গল্প দেখি না কেন শিপন? ব্যস্ততা খুব?
ব্যস্ততা আছে ।
জীবনচারী ঝামেলাগুলো বেশ সংঘবদ্ধভাবে আমাকে ঘিরে ধরেছে ।
জানি, এই সময়টা কাটিয়ে ওঠতে পারবো , ততোক্ষণ পযর্Aন্ত ভোগান্তি !
ভালো থাকুন ।
লেখাটা পড়ে মাথায় একটাই ভাবনা ঘুরছিল........সবকিছুর মতো বিশ্বাসেরও কি মেয়াদ থাকে? মেয়াদ উত্তীর্ণ হলে বিশ্বাসঘাতক হওয়া যায়?
"সবকিছুর মতো বিশ্বাসেরও কি মেয়াদ থাকে? মেয়াদ উত্তীর্ণ হলে বিশ্বাসঘাতক হওয়া যায়?"
প্রশ্নটা এখানে জ্বলজ্বল করুক । উত্তরটা নিজেদের মতন করে সাজিয়ে নেই ।
ধন্যবাদ , নীড় সন্ধানী ।
ভিডিও দেখে নায়ক নায়িকাকে ঘৃনা প্রকাশ করাটাকে আমি ভন্ডামী বলতে রাজি নই। সমাজ স্বীকৃত হীন যৌন মিলনকে ঘৃনা করা ভন্ডামী নয়। অসামাজিক কাজকে যদি আমরা ঘৃনা না করি তাহলে তো সেটা সামাজিক ভাবে আমরা মেনে নিলাম। আর এতে আমাদের ধর্মীয় বিধিবিধানের তোয়াক্কা করলাম না।
প্রশ্ন আসে প্রভার প্রেমিক ভিডিও প্রকাশ করে ঠিক করেছে কিনা।
না সে তা ঠিক করে নি। তাকে আইনের আওতায় এনে বিচার করা উচিৎ। যদি বিচার করা হয় তাহলেই রাজীবের মত ভন্ড প্রেমিকেরা এই ধরনের অপরাধ করতে সাহস পাবে না। যারা মেয়েদের দূর্বলতার সুযোগে ওদের সর্বস্য লুটে নেয়। আজ এই ফাদে আমার বোনও পড়তে পারতো।
কেউ কাউকে মন দিয়ে ভালবাসলে এমনটা হওয়া উচিৎ না যে " সে আমাকে ফেলে চলে গেলে আমি তাকে খুন করবো বা ওর সর্বনাস করবো" আমি মনে করি প্রকৃত ভালবাসা এমন হয়না। ভালবাসার মানুষ তো মনের মানুষ। সে আমাকে ছেরে চলে গেলেও তাকে ভালবাসি। আর ভালবাসার মানুষকে কখনো কষ্ট দেয়া যায়না।
আসল কথা হলো আমাদের সমাজে বেশীর ভাগ মানুষ ই প্রতিহিংসা পরায়ন। প্রেমিক বা প্রেমিকা চলে গেলে এর চরম শত্রু হয়ে যায়। আর এটাই আমার কাছে ভন্ডামী মনে হয়। আর এই ভন্ডামী শুলু ছেলেদের মধ্যে নয়, মেয়েদের মধ্যেও আছে। তবে ছেলেরা বেশী একটিভ।
আমার কাছে সব চেয়ে অবাক লাগলো যে দেশের শিক্ষিত মেয়েরা এই সব ফাউল পুলাপাইনের পাল্লায় পরে কেমনে? শুধু প্রভার ক্ষেত্রে নয়, আরো অনেক মেয়েদেরকেই দেখেছি এই ধরনের ফাদে পরতে। মেয়েদেরকে আরো সাবধান হতে হবে। মনে রাখতে হবে গোপন জিনিষ গোপন ই ভালো।
কেউ নিজের স্ত্রীর সাথে বন্ধ ঘড়ে মধুর মিলনে গেলে সেটা হয় ভালবাসা আর সেই মিলন ভিডিও করে প্রকাশ করলে তখন হয় বেহাপনা। আমাদের মেয়েদেরকেও এই কথাটা খেয়াল রাখতে হবে,
প্রেমিক প্রেমিকার মধ্যে হয়তো কোন কারনে মতবিরোধ হইতে পারে, তখন যেন কেউ কারো গোপন ভিডিও বা মোবাইল ফোনের সেক্সি কথা বার্তা রেকর্ড করে ক্ষতি না করতে পারে।
ভালো মন্তব্য হইছে, নাজু ।
ধন্যবাদ ।
্কিছুই বলার নেই
কোন কোন ঘটনায় ভাষা হারিয়ে যেতে পারে, তখনই বুঝতে হবে এখনই বেশী করে বলার সময়
মন্তব্য করুন