রুপালী ছায়াপথ (প্রথম পর্ব)
দিনগুলো একেকটা এমনি করেই ফুরিয়ে যায়।
কাজের চাপে পিষ্ট হওয়া একঘেয়ে ক্লান্তিকর বলয় থেকে বেরিয়ে একটু অবসর খোঁজে উদভ্রান্ত মন। তারপর একদিন হঠাৎ অবসর মিলেও যায়। তখন কেবল মনে হয় দূরে কোথাও ঘুরে এলে নেহায়েত মন্দ হয় না!
বসন্তের শেষ বিকেলে অনিরুদ্ধ যখন শ্রীমঙ্গল ষ্টেশনে নামলো ঘড়িতে তখন পাঁচটা বাজে। ততক্ষণে চা বাগানের ফাঁকে ফাঁকে দাঁড়িয়ে থাকা শেডট্রিগুলোর ছায়ারা পূবদিকে হেলে পড়েছে। আর, নতুন গজিয়ে ওঠা কচি চা-পাতাগুলো বিকেলের সোনালী আলোয় ঝলমল করছিলো। পাহাড়ের ঢালে চা বাগানগুলোতে অদ্ভুত আলো ছায়ার খেলাটা জমে উঠেছিল বেশ।
এমন সময় অনিরুদ্ধ ট্রেন থেকে প্রায় ফাঁকা প্লাটফর্মটায় নামলো। পড়ন্ত বিকেলে ছোট্ট ষ্টেশনটায় লোকজনের ভিড়-ভাট্টা তেমন একটা ছিলনা। অচেনা প্লাটফর্মে দাঁড়িয়ে আশেপাশে চোখ বুলিয়ে নেয় একবার। শুরুতেই দেখে নেয়া প্রকৃতির রানী শ্রীমঙ্গলের রূপ। ষ্টেশনে দাঁড়িয়ে অবশ্য এই জায়গার সৌন্দর্য বোঝা সম্ভব নয়, তবুও নতুন জায়গায় এলে শুরু থেকেই একটা আকর্ষণ কাজ করে মনে।
হঠাৎ সেলফোনটা বেজে ওঠে। পকেট থেকে ফোনটা বের করতেই চোখে পড়ে অপরিচিত নম্বরটা।
-হ্যালো!
-অনিরুদ্ধ সাহেব বলছেন?
নারীকন্ঠ শুনে কিছুটা অবাক হয় অনিরুদ্ধ। কিছুক্ষণ চুপ থেকে বলে- হ্যা, অনিরুদ্ধ বলছি। আপনি কে বলছেন?
-আমি বীথি; অঞ্জনদার মামাতো বোন। আপনার জন্য ষ্টেশনে অপেক্ষা করছিলাম।
এবার বিষয়টা পরিষ্কার হয়ে যায়। এ নিশ্চয়ই অঞ্জনের কাজ। ওর স্বভাবটাই এমন। প্রতিটা কাজেই একটা মাস্টারপ্ল্যান থাকবে এবং দিন-ঘণ্টা ধরে সবকিছু একেবারে নিখুঁত হওয়া চাই। নিশ্চয়ই মেয়েটাকে ষ্টেশনে আসতে বাধ্য করেছে। কি দরকার ছিল মেয়েটাকে কষ্ট দেবার? ঠিকানা তো ওর কাছে ছিলই, ও ঠিকই খুঁজে নিতে পারতো।
অনেকদিন পর কক্সবাজারের বাইরে আসার সুযোগ পেল অনিরুদ্ধ। দীর্ঘদিন একটানা কাজ করে হাঁপিয়ে উঠেছিলো। গতকাল যখন কোথাও যাবার কথা ভাবছিলো, ঠিক তখনই হাজির অঞ্জন। অনিরুদ্ধ বেড়াতে যাবে শুনে নিজেই ঠিক করে ফেলে ওর গন্তব্য। ট্রেনের টিকেট কেটে ওর হাতে ধরিয়ে দিয়ে কড়া হুকুম- যা ঘুরে আয়। তোকে কিছুই করতে হবে না, মামার ওখানে সব ব্যবস্থা করা আছে। বিনা বাক্য ব্যয়ে সে আদেশ মেনে নিয়েছিলো ও। জানে, প্রতিবাদ করে কোন লাভ হত না, ও যা করার করবেই।
একসময় অনিরুদ্ধর বন্ধুর অভাব ছিল না। আজ অনেকেই হারিয়ে গেছে জীবন থেকে। ছন্নছাড়া এ জীবনটার সাথে একমাত্র অঞ্জনই জড়িয়ে আছে। অনেকটা ছায়ার মত। অনিরুদ্ধর অগোছালো জীবনে ঝড়ের মত এসে উদয় হয় ঠিক যখন ওর কাউকে প্রয়োজন।
অনিরুদ্ধ পাশ ঘুরতেই দেখতে পায় বীথিকে। ফোনটা তখনও কানের কাছে ধরা। ঘুরে সেদিকে তাকাতেই হাসিমুখে এগিয়ে আসে।
-আমি বীথি। মুখে তখনও অভ্যর্থনার হাসি।
-অনিরুদ্ধ।
অনিরুদ্ধ বীথিকে দেখে। মেয়েটি ছিপছিপে গড়নের। খুব সুন্দরী না হলেও চেহারায় এমন কিছু একটা আছে যা সহজে যে কোন পুরুষকে আকৃষ্ট করবে। বিশেষ করে চোখ দু’টো। আচমকাই যেন ওখানে দৃষ্টিটা আঁটকে যায়!
-দেখুন তো, এই অঞ্জনটার কোন কান্ডজ্ঞান নেই। আপনাকে এভাবে কষ্ট দেবার কোন মানে আছে? আমার কাছে ঠিকানা তো ছিলই।
-না না, এতে কষ্টের কি আছে? আপনি এখানে নতুন, পথঘাট চিনতে তো কিছুটা সময় লাগবে। তাছাড়া, আমার জন্য এটা কোন কষ্ট না। চলুন, যাওয়া যাক।
প্লাটফর্ম থেকে বাইরে এসে একটা রিকশা নেয় ওরা। সূর্যের আলো ততক্ষণে কমে এসেছে। যেতে যেতে টুকটাক কথা হয়। বীথি নিজের কথা বলে। বাবা-মেয়ের ছোট্ট সংসারের কথা। প্রকৃতিকে ভালবেসে বাবা আবাস গেড়েছেন সবুজ মায়াময়ী চা-বাগানের ছায়ায়; বীথির নিজেরও এই পরিবেশের প্রতি আকর্ষণটা প্রবল। মাঝে মাঝে মনে হয় এই সবুজের মাঝেই যদি সারাটা জীবন বাঁচা যেত! সকালে ঘুম ভাঙলে, সন্ধ্যা কিংবা জোছনা রাত্রিতে এখানে জীবনের রঙটা সত্যিই অন্যরকম।
রিকশায় চলার পথে চোখে পড়ে শুভ্র-সফেদ দৃষ্টিনন্দন একটি ভাস্কর্য। চমৎকার একটি দৃশ্য ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ভাস্কর্যটিতে। চা বাগানে একটি তরুণী চা শ্রমিক চা-পাতা তুলছে।
-খুব সুন্দর তো! অনিরুদ্ধ বলে।
-এই ভাস্কর্যটির নাম ‘চা-কন্যা’।
-এটিই তাহলে ‘চা-কন্যা’? নাম শুনেছি।
চা-কন্যা’কে পেছনে ফেলে ওরা এগিয়ে চলে। কিছুক্ষণের মধ্যেই শহরের কোলাহল ছাড়িয়ে যায়। আঁকাবাঁকা পাহাড়ি পথের দু’ধারে সবুজ অরণ্যের মাঝে সারি সারি উঁচু-নিচু টিলা। অল্পক্ষণের মধ্যেই ওরা পৌঁছে যায় গন্তব্যে। তখন দিনের উজ্জ্বল আলো কমে গিয়ে অস্তগামী সন্ধ্যার লালিমা ছড়িয়ে পড়েছে চারপাশে। গাছপালা ঘেরা এই জনপদে যেন ঝুপ করেই রাত নামে।
এখানে রাতের ছবিটা অন্যরকম! দৃষ্টির মায়ায় চা বাগানের বিশালতা অনিরুদ্ধর মনের সীমানা ছাড়িয়ে গিয়েছিলো নিমেষেই। যতদূর চোখ যায় বাগানের মাঝে দাঁড়িয়ে থাকা সেড-ট্রি আর চা-গাছগুলোর ফাঁকে ফাঁকে চাঁদের আলোর লুকোচুরি খেলাটা দারুণ উপভোগ্য লাগছিলো। খোলা বারান্দায় বেতের সোফায় বসে নিজেকে হারিয়ে ফেলেছিলো। এতদিন ভাবত, সাগর পাড়ের জোছনার সাথে আর কিছুর তূলনা হয় না। আজ মনে হচ্ছে, এ এক অন্যরকম সৌন্দর্য। সারাদিনের ট্রেন জার্নির ক্লান্তি শেষে এই অসাধারণ মোম-জোছনায় অবগাহন; রাতে ঘুমটা বেশ আরামের ছিল।
জানালা দিয়ে সূর্যের আলো চোখে পড়তেই ঘুম ভেঙ্গে গেল অনিরুদ্ধর। পর্দাটা সরাতেই ভোরের ঠান্ডা হাওয়ার ঝাপটা লাগে মুখে। চা বাগানে প্রথম সকাল। বাইরে বেরিয়ে আসলো ও। চারিদিকে চোখ জুড়ানো সবুজের মাঝে বাংলোটা চমৎকার। সামনের প্রশস্ত বারান্দায় এসে দাঁড়ায়। খোলা বারান্দায় এসে ব্যাপারটা চোখে পড়ে অনিরুদ্ধর। সবুজ চা গাছগুলোর উপর দিয়ে পাহাড়ী ঢাল বেয়ে ভোরের সূর্যের স্নিগ্ধ আলোটা চুইয়ে নেমে এসেছে বাংলো বাড়িটার উপরে। এখান থেকে বাগানের বহুদূর পর্যন্ত দেখা যায়। কাল সন্ধ্যায় যখন এসেছিলো এখানে, আধো-অন্ধকারে ভাল করে দেখা হয়নি। অনিরুদ্ধ বাংলো থেকে বেরিয়ে কিছুক্ষণ হাঁটে ঘাসে ছাওয়া সবুজ কার্পেটের চত্বরে। বাগানের মধ্য দিয়ে সরু পথ ধরে কিছুদূর গিয়ে বাঁক ঘুরতেই সবুজের স্বর্গরাজ্যে হারিয়ে যায়। ছোট ছোট টিলার গায়েই তৈরি হয়েছে এই বাগান। বিস্ময়কর এক অচেনা জগৎ!
পাহাড়ের ঢাল ছেড়ে কিছুটা দূরে বাগানের মধ্য দিয়ে ছুটে চলা সরু পথটার দিকে চোখ পড়তেই দেখে সে পথ ধরে এদিকেই এগিয়ে আসছেন জামিল সাহেব। অঞ্জনের মামা। তাঁকে দেখে দাঁড়িয়ে পড়ে অনিরুদ্ধ।
সামনে এসে ওর কুশল জিজ্ঞেস করেন জামিল সাহেব।
-কি বাবা, কেমন লাগছে চা বাগানের পরিবেশ?
-অসাধারণ! জায়গাটা খুব সুন্দর।
-কোন কিছুর প্রয়োজন হলে বীথিকে বলো। আমি ব্যস্ত থাকি, হয়ত তোমাকে সময় দিতে পারবো না।
-না না! আপনাকে একদম ভাবতে হবে না, মামা।
-না ভাবলে কি চলে? একমাত্র ভাগ্নের কড়া হুকুম, তোমার যত্নে যেন কোন ত্রুটি না হয়!
অনিরুদ্ধ হাসে।
ফিরে এসে বাংলোর পাশের ফুলের বাগানটির দিকে এগিয়ে যায় অনিরুদ্ধ। ছোট্ট বাগানটিতে নানান জাতের ফুলের সমারোহ, সেখানে যত্নের ছাপ স্পষ্ট। কক্সবাজারে ওর বাগানটিতে ঠিক যেমন করে ও। তবে এই বাগানটি আরও সুন্দর, বেশ গোছানো।
-কখন উঠেছেন?
-ও আপনি! বীথির কন্ঠ শুনে পিছনে ফিরে তাকায় অনিরুদ্ধ। এইতো কিছুক্ষণ।
-রাতে ভাল ঘুম হয়েছে তো?
-হুম, দারুণ! কাল তেমন চোখে পড়েনি, আপনাদের এই জায়গাটা ভীষণ সুন্দর।
-আমাদের কাছে নতুন কিছু না, রোজই দেখি তো!
-এই গাছগুলো কি আপনার লাগানো?
-হুম। নিস্কর্মা মানুষের কাজ আর কি!
অনি স্মিত হাসে।
-তাহলে তো আমিও নিস্কর্মা।
-সে কেমন?
-এই কাজটা করতে আমারও যে ভাল লাগে। আমার ডেরার সামনে ছোট্ট একটি বাগান আছে, যদিও আপনার মত করে যত্ন নিতে পারিনা। আসলে যত্ন ব্যাপারটা মেয়েদের সাথে খুব যায়।
-ছেলেরা বোধহয় যত্ন নিতে জানেনা?
-ঠিক তা না, তবে মেয়েদের মত পারে না।
অনিরুদ্ধর কথা শুনে বীথি হেসে ফেলে। অনিরুদ্ধ ভাবে- শুধু চোখ নয়, মেয়েটার হাসিটাও সুন্দর।
বীথি বলে,
-ঐ পাহাড়ের ওপাশে একটা চমৎকার লেক আছে, লেক পার হলেই আদিবাসীদের গাঁ। আপনাকে ওদিকটা দেখিয়ে আনবো।
-আপনাদের খুব বিরক্ত করছি, তাই না?
-কি যে বলেন! বিরক্ত হওয়ার কিছু নেই, বরং আপনার সৌজন্যে আমারও কিছুটা বেড়ানো হবে। বীথি হেসে জবাব দেয়।
-আজ সারাদিন আমাদের পরিকল্পনা কি?
-আপনি যেভাবে বলবেন তা-ই! মৃদু হেসে বীথি উত্তর দেয়।
-আমি তো এখানে অচেনা পথিক। আপনি যেদিকে পথ দেখাবেন সেদিকেই হাঁটব। অনিরুদ্ধ হেসে জবাব দেয়।
-দিলেন তো আমাকে ফাঁসিয়ে! ঠিক আছে, আজ আমরা লাউয়াছড়া যাব।
-তবে তাই হোক!
পড়ন্ত বিকেল। দু’পাশের আকাশ ছোঁয়া ঘন গাছগাছালি ঘেরা বনপথের নিবিড় মায়ায় পাশাপাশি হেঁটে চলে দু’জন মানব মানবী। একটানা ঝিঁঝিঁপোকা ডাকার শব্দ ভেসে আসে। পাখিদের বিরামহীন ডাকাডাকির সাথে বনমোরগের ডাকও শোনা যায়। গাছের ডালে কাঠবিড়ালীদের অবাধ বিচরণ দৃষ্টি এড়ায় না। এ গাছ থেকে ও গাছে লাফিয়ে ছুটে চলে বানর আর উল্লুকের দল। মাঝে মাঝে ফিরে তাকিয়ে দেখে বিরক্তকারী অনুপ্রবেশকারীদের। এই জঙ্গলে এটা খুবই স্বাভাবিক বিষয়, তবে অনিরুদ্ধ’র জন্য একটা নতুন অভিজ্ঞতা।
অনিরুদ্ধ খেয়াল করে হালকা, পাতলা গড়নের মেয়েটি আচরণে যথেষ্ট অন্তরিক, রুচিশীলও বটে; তবে নিজের চারপাশে যেন একটা কোমল গাম্ভীর্যের দেয়াল তুলে রেখেছে। যা সহজে অতিক্রম করা যায় না। হাঁটতে হাঁটতেই টুকটাক কথা হয়। কদাচিৎ চোখাচোখি। মেয়েটির চোখ দু’টিতে যেন সাগর নীলের স্বচ্ছতা, ওখানে অনায়াসে ডুব দিয়ে থাকা যায় দীর্ঘকাল।
হঠাৎ আনমনা হয়ে যায় অনিরুদ্ধ। চকিতেই আরেকটা ছবি ভেসে আসে মনে। দু’টি গভীর কালো চোখ। যে চোখই অনিরুদ্ধকে আচ্ছন্ন করে রাখে সারাক্ষণ। এর মায়ায় পড়ে আজও থিতু হতে পারল না ও।
-জায়গাটা খুব বেশি নীরব, তাই না?
বীথির কণ্ঠ শুনে ফিরে তাকায় অনিরুদ্ধ।
-হুম। আপনি বুঝি প্রায়ই আসেন এদিকে?
-একা আসা হয়নি কখনও। শ্রীমঙ্গলে কেউ বেড়াতে এলে তাদের সাথেই এসেছি কয়েকবার। তবে যতবার এসেছি ভালোলাগা যেন বেড়েছে একটু একটু করে। আপনার ভাল লাগছে না?
-এত সুন্দর জায়গা আর সেইসাথে এমন একজন সঙ্গী সাথে থাকলে কার না ভাল লাগে বলুন?
বীথি হাসে। -যাক তবুও আপনার কাজে লাগতে পারছি। অঞ্জনদা অন্তত আমাকে দোষ দিতে পারবে না।
-আপনারা সবাই অঞ্জনকে খুব ভালবাসেন, তাই না?
-আসলে আমার কাজিন বলতে এই দু’জনই। অঞ্জনদা আর নীলাপু। নিজের থেকে কখনও ওঁদেরকে আলাদা ভাবতে পারিনা। ওঁরাও তাই। সামনে একটা ঝর্না আছে। অবশ্য এখানকার লোকজন এটাকে ছড়া বলে, তবে আমার কাছে ঝর্নাই। যাবেন?
-যাবো না মানে! যাওয়ার জন্যই তো আসা। কিন্তু কতদূর?
-অনেকটা পথ হাঁটতে হবে।
-আমি ভাবছি আপনার কথা। হাঁটতে কষ্ট হবে না তো?
বীথি হেসে জবাব দেয়- তাহলে চলুন, আমার হাঁটার অভ্যেস আছে।
অনিরুদ্ধ মেয়েটিকে যতই দেখে ততই অবাক হয়। কোন কিছুতেই না নেই তার। যেন অফুরন্ত প্রাণশক্তি!
সুদক্ষ গাইডের মত বীথি এগিয়ে চলে। কিছুক্ষণের মধ্যেই ওরা পৌঁছে যায় ছড়াটার কাছে। সাদা বালির মাঝখানে একটি ক্ষীণ জলের ধারা বয়ে চলেছে। ছড়ার উপরে একটি কাঠের সেতু। দু’জনে সেতুর উপরে দাঁড়ায়। বাগানের গাছপালার মাঝখান দিয়ে এঁকেবেঁকে ছড়াটি বহুদূর চলে গেছে।
-জানেন, গতবার নীলা’পুরা এসেছিল। সিহাব ভাইয়া নিচে নেমে ঠিক এখানেই চোরাবালিতে আটকে গিয়েছিল।
-এখানেও চোরাবালি আছে?
-হুম।
-আপনি কখনও নেমেছেন?
-নাহ! পাগল?
অনিরুদ্ধ হেসে ফেলে। বীথি ঘড়ির দিকে তাকিয়ে বলে,
-এবার আমাদের ফিরতে হবে।
-আনন্দের সময়গুলো যেন খুব দ্রুত ফুরিয়ে যায়, তাই না?
-হুম। বেশিক্ষণ স্থায়ী হলে হয়তো সেই ক্ষণগুলো আর আনন্দময় থাকত না।
-চমৎকার বলেছেন। চলুন যাওয়া যাক।
চলবে....
পিছন ফিরে দেখাঃ
১। একলা চলার পথে
২। একাকীত্বের অবসরে
পড়া শুরু করলাম!
ধন্যবাদ শান্ত।
চমৎকার শুরু। চলুক।
বাউন্ডুলের লেখা কই?
পরের পাতায় হয়তো।
অথবা
পাঠক হারিয়ে হয়তো
মনও হারিয়ে ফেলেছে,
ফিরে আসার।
অনুভূতির মিল আছে।
চলুক
চলবে.।

সাথে থাকার জন্য
মনে হচ্ছিল সমরেশ পড়ছি। খুব সুন্দর।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
মন্তব্য করুন