ইউজার লগইন

নিভৃত স্বপ্নচারী'এর ব্লগ

একটি নতুন ভোরের জন্যে

ekti vorer jonye.jpg
আজ শুধুই এগিয়ে যাবার দিন
স্বপ্নের পথে চলতে হবে-
এসো নবীন, হাতে হাত রেখে হও আগুয়ান
আজ এসেছে ঋণ শোধ করার দিন
বাধা আসবেই, আঘাত হানবেই
জানি, মরণ ছোবল বসাবেই বিষাক্ত নাগীন।

খাবার গন্ধে আসবে ছুটে
সব আনাহারী বুভুক্ষদের দল
ছিড়ে-কুড়ে খেয়ে নিতে সব
একেবারে নিঃশেষ না হওয়া পর্যন্ত-
তারপর, খাবার ফুরোলেই
চলে যাবে সব দৃষ্টির আড়ালে।

সিঁড়ির আরও অনেক উপর থেকে
নেমে আসে ওরা কারা, জান?
ওরা সব শব-
ঝলমলে পোষাকের আড়ালে
এতদিন ঢাকা ছিল ওদের শরীর,
আজ অনেকদিনের ক্ষুধা মেটাতে
ছুটে আসছে সব।
বেঁচে থেকে যারা কিছু পায়নি
আজ আসছে তারা দলে দলে,
এতদিনের সব পাওনা বুঝে নিতে-
লাজ-লজ্জা ভুলে
নিজেদের বিকিয়ে দিয়ে!

এতকিছুর মাঝেও কেউ কেউ পথ দেখায়
কেউ থাকে এগিয়ে
যারা সূর্যের তেজে বলিয়ান,
শত আঘাত, হুঙ্কারও যাদের টলাতে পারে না
ছুটে চলে দীপ্ত পদক্ষেপে-

যারা স্বপ্ন দেখতে জানে,
তারা এগিয়ে চলে, শুধুই সম্মুখ পানে-
দুর্বার সাহস নিয়ে, কাঁধে কাধ রেখে

আলোর পথযাত্রী

সবেমাত্র এইচ এস সি পরীক্ষা শেষ করেছি। অফুরন্ত অবসর। আর ক’দিন পর ভর্তি কোচিং এ ব্যাস্ত হয়ে পড়তে হবে। তাই কোচিং এ ভর্তির আগে কিছুদিন বেড়ানোর উদ্দেশ্যে বাড়িতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। আমার এই বেড়ানোর সাথে বাবা তাঁর কিছু কাজ আমার কাঁধে চাপিয়ে দিলেন। বাবার সেই বিশেষ কাজে আমাকে পটুয়াখালী যেতে হয়েছিল । অনেক দিন পর ওখানে গেলাম ! একটা সময় বাবার চাকুরীর সুবাদে কয়েকটা বছর আমাদের ওখানে থাকতে হয়েছিল। ছোট্ট শহর, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন, ছিমছাম। তখন ছিল, এখন চেহারা বদলে গেছে অনেকটাই। পটুয়াখালীতে আমার অনেক ভালো লাগা স্মৃতি আছে, যেগুলো মনে পড়লে প্রায়শঃই নস্টালজিক হয়ে যাই। মনে আছে শহর ঘেঁসে দক্ষিণ পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া ছোট্ট নদীটা, নামটা ঠিক মনে নেই কিন্তু ভাল লাগা রয়ে গেছে এখনও।

স্মৃতিতে অম্লান – অন্য রকম জোছনা !

Moonlight.jpg

নাগরিক জীবনে নানা ব্যাস্ততার মাঝে ফেলে আসা দিনগুলোর কিছু কিছু স্মৃতি কখনো কখনো মনকে আন্দোলিত করে। আমরা অনেকেই হয়ত এগুলো ভেবে মাঝে মাঝে নস্টালজিক হয়ে যাই।

আমাদের কাজিনদের একটা বড় গ্রুপ ছিল। প্রতি বছরই পরীক্ষা শেষ হলে সাবই মিলে একসাথে গ্রামে বেড়াতে যেতাম। কমপক্ষে পনের দিন গ্রামে থাকা হত, সবাই মিলে বেশ মজা করতাম। ফাইনাল পরীক্ষা শেষ, গ্রামে বেড়াতে গেছি।

একদিন সন্ধ্যার পর আমরা ঠিক করলাম রাতে খেঁজুরের রসের পায়েস খাব। নানাদের খেঁজুর গাছ তখনও কাটা শুরু করেনি, তাই মামাত ভাই শ্যামলকে নিয়ে খেঁজুরের রসের সন্ধানে নেমে পরলাম। ও বলল নদীর ওপাড়ে ওর বন্ধুদের বাড়ি থেকে রস পাওয়া যাবে তবে রাত একটু বেশি না হলে হাঁড়িতে তেমন রস জমে না। আমরা ঠিক করলাম রাত দশটার পরেই যাব, তবুও খেঁজুরের রসের পায়েস খাওয়া চাই।

শিকড় ছেঁড়ার কষ্ট এবং বিপন্ন মানবতা

ভদ্রলোকের নাম ছিল রনবীর গুহ। পেশায় হোমিও ডাক্তার। সবাই বলত রবি ডাক্তার। আমাদের বাড়ির আনতিদূরেই ছিল ওনাদের বাড়ি। ওনার ছেলে স্বপন ডাক্তার ছিল আমার বাবার ছেলেবেলার বন্ধু, তাই ও বাড়িতে যাতায়াতও ছিল অবারিত। ভদ্রলোককে আমি ডাকতাম দাদু।
রবি দাদুর হোমিও ফার্মেসিটি ছিল আমাদের বাজারেই। আমি বাজারে গেলে ওনার ফার্মেসিতে যাওয়া ছিল অবধারিত। ওনার ফার্মেসির দুটি জিনিসের প্রতি আমার আকর্ষণ ছিল প্রবল। প্রথমত ওখানে গেলে উনি মিষ্টি হোমিও ঔষধ (এক ধরনের মিষ্টি ছোট্ট সাদা দানা বিশেষ) খাওয়াতেন যা ছিল আমার অনেক পছন্দের আর ছিল ওনার ফার্মেসির সেলফে রাখা একটা ছোট্ট সাদা পুতুল। আহামরি কিছু না, তুলা দিয়ে তৈরি হাঁটু ভাঁজ করে বসা এক বৃদ্ধ, দেখতে ছিল অনেকটা রবি দাদুর মতই। পুতুলটির মাথাটি একটি স্প্রিং দিয়ে ওটার শরীরের সাথে আটকানো, হাত দিয়ে মাথাটি ছুঁয়ে দিলেই ওটা দুলত। ওখানে গেলে আমি মুগ্ধ হয়ে ওটার দিকে তাকিয়ে থাকতাম।

ফিরে দেখা একাত্তর- ধ্বংস, মৃত্যু আর অন্ধকারের বিভীষিকা!

মোমের আলোয় কি ঢেকে দেয়া যায় সবটুকু অন্ধকার? কিংবা ধুয়ে ফেললেই কি মুছে যায় সব রক্তের দাগ? আঁধারের কোন রঙ নেই। আঁধার যতই গাঢ় হয়ে ওঠে- মনে বাসা বাঁধে ভয়, শঙ্কা, আতঙ্ক। গভীর রাতে হঠাৎ ঘুম ভেঙ্গে জেগে উঠলে ভয়ঙ্কর দুঃস্বপ্নের ছায়ারা তাড়া করে ফেরে। কখনো মন থেকে মুছে ফেলা যায় না, হাজার বাতির আলোক রশ্মিও ঢেকে দিতে পারেনা সেই ভয়াল কালো অন্ধকার। ফ্রেমে বাঁধানো ছবির মত ক্ষণে ক্ষণে চোখের সামনে ভেসে ওঠে। নিশীথের অন্ধকার ভেদ করে ভেসে আসা ভয়ঙ্কর শ্বাপদের রক্ত হিম করা চিৎকারে কেঁপে ওঠে অন্তরাত্মা!

একটি দুঃস্বপ্নের রাত এবং আজকের প্রেক্ষাপট

কোন কোন জাতির ইতিহাসে এমন কিছু সময় থাকে যা হাজার বছরেও হারিয়ে যায় না। একটি জাতি যুগ যুগ ধরে আগলে রাখে সেই গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস। বাঙালি জাতির ইতিহাস তেমনি এক গৌরবগাঁথা, দীর্ঘ নয় মাস ধরে অনেক ত্যাগে রচিত এক মহাকাব্যিক অমরগাঁথা। আমাদের মুক্তিযুদ্ধ। বিশ্ব মানচিত্রে নতুন দেশ হিসেবে নাম লেখাতে গিয়ে হারাতে হয়েছে অনেক তাজা প্রাণ। কেউ কেউ হারিয়েছেন তাঁদের জীবনের আরও মূল্যবান কিছু। এই হারানোর সূচনা হয়েছিল আজ থেকে বিয়াল্লিশ বছর আগের এক রাতে।

একটি রাত। হয়ত কারো কারো জীবনের মধুর রাত কিংবা কোন কোন পরিবারে আপনজনদের নিয়ে আনন্দমুখর রাত! কত স্বপ্ন নিয়েই মানুষ রাতে ঘুমাতে যায়, রাত পোহালেই দেখবে একটি সুন্দর সকা। কিন্তু কখনো কখনো সেই স্বপ্নের রাতই হয়ে ওঠে দুঃস্বপ্নের; বিভীষিকাময়য়। তেমনি একটি রাত- ২৫শে মার্চ, ১৯৭১। আজ থেকে বিয়াল্লিশ বছর আগে বাংলার ইতিহাসের ভয়ঙ্করতম একটি রাত, যা আমাদের কাছে আজও কালোরাত হিসেবে পরিচিত। কি ঘটেছিল সেদিন তা আজ আর কারো অজানা ন।

একাকীত্বের অবসরে

http://sphotos-f.ak.fbcdn.net/hphotos-ak-ash3/c0.0.320.320/p403x403/734150_444369678987711_2076947257_n.jpg

-এক্সকিউজ মি!
-আমাকে বলছেন?
-এখানে তো আর কেউ নেই!
চারিদিকে তাকিয়ে উত্তরদাতা বলে- হ্যাঁ, বলুন কি করতে পারি আপনার জন্য ?
-এটা কি অনিরুদ্ধ সাহেবের বাসা?
লোকটি কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকে অপরিচিত ভদ্রমহিলার দিকে, তারপর বলে- জি, এটাই অনিরুদ্ধ সাহেবের বাসা। আপনি কোত্থেকে এসেছেন?
-চিটাগাং থেকে, ওনাকে একটু ডেকে দিবেন?
-নিশ্চয়ই! বসুন, বাগানের পাশে রাখা চেয়ারটা দেখিয়ে বলল লোকটি, আপনার পরিচয়টা কি জানতে পারি?
-আমি শম্পা
-জি আপনি শম্পা, আমি আসলে অনি’র সাথে আপনার সম্পর্কটা জানতে চাচ্ছিলাম। ভদ্রলোক হেসে জবাব দেয়
-সম্পর্কটা কি জরুরী?
-না, মানে জানতে চাচ্ছিলাম অনিকে ঠিক কতদিন ধরে চেনেন? আপনাকে তো এর আগে কখনো দেখিনি!
-দেখেন, আসলে প্রয়োজনটা ওনার সাথে, কাইন্ডলি ওনাকে ডেকে দিলে ভাল হয়!

স্মৃতিকথা - ৪

হাজার বছর ধরে আমি পথ হাঁটিতেছি পৃথিবীর পথে
সিংহল সমুদ্র থেকে নিশীথের অন্ধকারে মালয় সাগরে
জীবন গিয়েছে চলে, আমাদের কুড়ি কুড়ি বছরের পার
তখন, আবার যদি দেখা হয়ে তোমার আমার!
তখন, মুখোমুখি আমি আর শৈশব, মাঝখানে ব্যবধান-
কুড়ি অথবা ত্রিশ অথবা চল্লিশ...

অস্থির সময়ের ভিড়ে কিছুক্ষণ!

অস্থির সময় আমাদেরকে এক অনিশ্চিত পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে। আমরা প্রত্যেকেই কম বেশী আতঙ্কিত। তবুও জীবন থেমে থাকবে না, হরতাল, জ্বালাও-পোড়াও, মৃত্যু সবকিছু ছাপিয়ে মানুষ এগিয়ে যাবে জীবনের প্রয়োজনে! এতদিনের পরিচিত যাপিত জীবনে এখন যোগ হয়েছে নতুন আকাঙ্খা! অনেকদিন ধরে বয়ে বেড়ানো স্বপ্নের বাস্তবায়ন! জানি এ পথ মোটেও সহজ নয়, তবুও স্বপ্নের হাত ধরে সবাই এগিয়ে চলি আগামীর পথে!

সেই ছোটবেলা থেকেই গানের সাথে বন্ধুত্ব! ভায়োলিন আমার খুব প্রিয় একটি মিউজিক্যাল ইন্সট্রুমেন্ট, কিছুদিন অবশ্য এটা শেখার ভীমরতিতে পেয়ে বসেছিল তবে সময় আর প্রাক্টিসের অভাবে ভাটা পড়েছে সে চেষ্টায়! তবুও মাঝে মাঝে প্রিয় কিছু সুর শুনি, সবার সাথে শেয়ার করতেই লিঙ্কগুলো দিলাম!

ছোট্ট একটি অনুরোধ

চিঠিটা তার পকেটে ছিল,
ছেঁড়া আর রক্তে ভেজা।

সময়কালটা ঠিক মনে নেই, আমার ফেলে আসা বালক বেলার কোন এক সময় প্রথম পড়েছিলাম কবিতাটি। অসম্ভব প্রিয় একটা কবিতা। আর এই লাইন দু’টি সেই সময় থেকেই মনে গেঁথে যায় গভীরভাবে। ছোট দু’টি লাইন কিন্তু কি বিশাল ব্যাপ্তি! লাইন দু’টির কথা ভাবলেই নিমেষেই মনে ভেসে ওঠে কবিতাটি আর সেইসাথে একাত্তরের দৃশ্যপট! ছেলের জন্য মায়ের অধীর প্রতীক্ষা, কবে ফিরবে খোকা!

একাত্তরে অনেক খোকাই আর ফেরেনি! অনেক মা ই চোখের জলে বুক ভাসিয়েছেন বাকীটা জীবন। তারপর, সেই শূন্য বুকেই হয়ত বেশীর ভাগ মা ই চলে গেছেন আজ অন্য ভুবনে। তাদের ত্যাগের বিনিময়ে আজ আমরা এই স্বাধীন বাংলায় বুক ভরে নিঃশ্বাস নিতে পারছি। কিন্তু আমরা তাদের কি দিয়েছি?

যাদের কারণে জাতি হারিয়েছে তাদের সূর্য সন্তানদের, জাতিকে যারা মেধাশূন্য করার নীল নকশায় মেতেছিল, আজ তাদের বিচারের প্রশ্নে অনেক মানুষকেই দেখি দ্বিধান্বিত! খুব খারাপ লাগে, মনে প্রশ্ন জাগে এরা কি এ দেশের মানুষ? দেশের জন্য এদের মনে কি কোন ভালবাসা নেই? কি করে এরা এই ঘৃণ্য পশুদের পক্ষে কথা বলে!

প্রজন্মের যুদ্ধ - গর্জে ওঠা শানিত কণ্ঠস্বর!

p1_0.jpg
সময়ের অভাবে ব্লগে লেখা কমে গেছে অনেক, তার উপর শাহবাগ কিছুটা সময় কেড়ে নেওয়াতে লেখা আরও হয়ে ওঠে না। প্রজন্ম চত্বরের অভিজ্ঞতার কথাগুলো লেখা হয়নি এতদিনেও। লিখতে গেলে মনে হত এ তো সবারই জানা কথা! এই সময়ে সবাই কম বেশী শাহবগের বাসিন্দা, মানুষজন দেখি নিয়মিত লেখে। বেশীর ভাগই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, জামাত শিবির নিষিদ্ধকরন, প্রজন্ম চত্বর নিয়েই লেখা! পড়তে পড়তে মনে হয় আমার না লেখা কথাগুলো তো লোকজন লিখে ফেলেছে, আমি আর কি লিখবো! তবুও আজ মনে হল নিজের কিছু অনুভূতির কথা অন্তত লিখে রাখি।

আরেকটি মুক্তিযুদ্ধ!

http://sphotos-g.ak.fbcdn.net/hphotos-ak-ash3/29027_107059492811941_1138358954_n.jpg

আমরা যারা মুক্তিযুদ্ধ দেখিনি, যাদের মনে মুক্তিযুদ্ধের কোন স্মৃতি নেই, তাদের জন্য শুরু হয়েছে নতুন একটি মুক্তিযুদ্ধ! ৬৯, ৭১, ৯০ এর পর এই ২০১৩ তে আবার এসেছে মুক্তিযুদ্ধ! এই যুদ্ধ দেশকে ধর্মান্ধ সাম্প্রদায়িকতার হাত থেকে মুক্ত করার, গত বিয়াল্লিশ বছর ধরে বয়ে বেড়ানো কলঙ্কের বোঝা থেকে মুক্তির! ত্রিশ লক্ষ শহীদের আত্মাকে শান্তি দিতে আবার ফিরে এসেছে একাত্তর!

আবার এসেছে একাত্তর

১.
জেগেছে জনতা, নিয়েছে দৃপ্ত শপথ
এবার বিচার হবেই হবে- এই ঘৃন্য পশুদের!
আবার এসেছে একাত্তর, এই প্রজন্ম চত্বরে
এবার বিচার হবেই হবে- এই শকুণ-হায়েনাদের!
আর নয় কান্না আর নয় বিলাপ
পড়বে গলায় ফাঁস, নেই যে ওদের মাপ!

২.
এসেছে নতুন দিন, রচিত হয়েছে নতুন ইতিহাস!
রাজপথ আজ তারুন্য নিয়েছে কেড়ে
ঐ দেখ উড়ছে পতাকা, বিজয় নিশ্চিত!

৩.
আমি অপেক্ষায় ছিলাম একটি নতুন দিনের
যেদিন শকুন হায়েনাদের ধারালো নখের আঘাতে
ক্ষত বিক্ষত হবে না আমার মা
যেদিন ওদের তৈরি বলয়ে
শৃঙ্খলিত হবে না আমার বোন!

আমি শকুন হায়েনা মুক্ত মাটিতে নিঃশ্বাস নিতে চাই;
বাংলার মাটিতে এই হায়েনাদের বিচার চাই।
আমি সেই নরপশুদের বিচার চাই
যাদের করণে সন্তানের বুকে
পিতার জন্যে আজও হাহাকার !

আমি আমার সন্তানের জন্যে
শকুন-হায়েনা মুক্ত দেশ চাই।

নিঃশব্দ প্রহর

http://sphotos-a.ak.fbcdn.net/hphotos-ak-prn1/c0.0.320.320/p403x403/164431_410109735747039_1632798298_n.jpg
মাঝরাতে ঘুম ভেঙ্গে যায় কদাচিৎ
গভীর নৈঃশব্দে জেগে থাকি, একাকী !
পাশে ঘুমন্ত চেনা মানুষ, অচেনা লাগে- কখনো;
নিদ্রাহীন স্বপ্নের মাঝে খুঁজে ফিরি নিজেকে
সুখি জীবনের ভিড়ে!

জেগে ওঠে দুঃখ-বেদনা-বিষন্নতা
নিঃশব্দ প্রহর গুনি চাঁদ ডোবা রাতের অচেনা আঁধারে,
বিস্মৃতির অতল হতে ছুটে আসে দুঃস্বপ্নের ঘুণপোকারা
নিশীথের নিস্তব্ধতায়, নির্ঘুম রাতের প্রহরে
রাত জাগা, একা; চেনা-জানা অনেকের মাঝেও!

অদম্য আকর্ষণে অবিরাম ছুটে চলা
আনাদিকালের তরে; এক ঘোর স্বপ্নযাত্রায় !
উদাসী প্রহরে রাত জাগা, হাজারো নক্ষত্রের মত!
গভীর নিশীথে স্বপ্নগুলো বিবর্ণ হয় কখনো,
বুকের ভিতরে জমাটবাধা কষ্টগুলো
গাঢ় নীলাভ হয় শঙ্খনীল বেদনায়!

স্মৃতির আগল খুলে খুঁজে বেড়াই অস্তিত্বের কঙ্কাল,
জোছনা বিহীন আকাশে মেঘের ছায়ার মত জেগে থাকে
ঘুমহীন ক্লান্ত দু’চোখ, অশরীরি অন্ধকারে;

স্বপ্নের শহরঃ নিঃশব্দ প্রহরের কান্না !

শীত বেশ জেঁকে বসেছে এবার, দেশের ইতিহাসে সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড ছুঁয়েছে। এই হাড় কাঁপানো শীতে খোলা আকাশের নিচে বাঁচার জন্য নিরন্তর সংগ্রাম করে চলে কিছু মানুষ। রঙিন কাঁচের আড়ালে ঝলমলে বর্নীল জীবন নয়, বরং শক্ত মাটির উপর কনক্রিটের বিছানাই ওদের সম্বল। পশমি কম্বলের আরামদায়ক উষ্ণতার প্রত্যাশা ওরা করে না, হাড় কাঁপানো তীব্র শীত আর হিম শীতল বাতাসের সাথে প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করে পাতলা পুরাতন কাপড় কিংবা চটের আচ্ছাদনে উষ্ণতা খুঁজে ফিরে এই সব অস্পৃশ্য মানুষ নামের জীব! সীমাহীন শীতের তীব্রতা থেকে বাঁচাতে এদের দিকে দু’হাত বাড়াতে এগিয়ে আসে না কেউ, দেখায় না সামান্য সহানুভূতি! সারা শহর জুড়ে বিভিন্ন খোলা জায়গায়, পার্কে কিংবা বাসস্ট্যান্ডে গেলে দেখা যায় বাস্তব চিত্র। রাতের ঢাকার এই চিত্র বেশীর ভাগ মানুষের কাছেই থেকে যায় অজানা!

শীত রাতের কিছু দৃশ্যঃ
http://sphotos-d.ak.fbcdn.net/hphotos-ak-prn1/65831_397991900292156_1817437533_n.jpg