শীতের সময় কী কেউ প্যারিস যায়?
ট্রেনে করে ইউরোপ ভ্রমনের অভিজ্ঞতা আমার মূলত সিনেমায়। দিলওয়ালা দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে ছবিতে শাহরুখ খান হাত বাড়িয়ে আছে আর ট্রেন ধরতে ছুটছে কাজল। লন্ডন থেকে শুরু হয়ে জুরিখে যেতে যেতে প্রেম। এরচেয়েও বেশি লোভনীয় ছিল জুলি ডিপলি ও ইথান হকের বিফোর সানরাইজ। দুজনের ট্রেনে পরিচয়, তারপর ভিয়েনা এক রাতের জন্য নেমে যাওয়া এবং রাত কাটানো। ছবি হিসেবে অসাধারণ।
সুতীব্র উচ্চাশা, নস্টালজিয়ার আংতক...!
শীতকালে রাত যখন বাড়তে থাকতো, প্রতি ঘন্টার সময় ঘন্টা-ধ্বনির আওয়াজটা ক্রমশই স্পষ্ট হয়ে উঠতো। অনেক দূর থেকে ভেসে আসতো শব্দটা...
পুলওভার
শীত হামা দিতে আসছে গুটি গুটি পায়ে, ছুটির দিনের জমানো কাজের সাথে যোগ হলো নতুন ব্যস্ততা। তুলে রাখা গরম কাপড়গুলো দেখছে রোদ, ভাঙছে বছরের আড়মোড়। নানান কাপড়ের মাঝে সুটকেসের তলায় হালকা বাদামী রঙের কাপড়টার আভাস এক লহমায় মনকে দারুন এক আনন্দের আবেশে ভরিয়ে দিলো।
গাঞ্জা কাহিনী ]]] ১ [[[
গত মাসের ২০ তারিখে স্কুল ফ্রেন্ডদের সবাই কে দাওয়াত করেছিলাম বাসায়। দাওয়াত পাইয়া একদল বন্ধু অগ্রগামী অতিথি হিসাবে আগের দিন রাতেই আইসা হাজির, বাসায় বউ-বাচ্চা ফেইলা
সারা রাত ধরে আড্ডা , কার্ড খেলা আর ধোয়া আর তরলে গলধঃকরন। সেই আড্ডায় হাসতে হাসতে গড়া গড়ি খাওয়ার মত অবস্থা একেক জনের কাহিনী শুইন্যা।
সন্ধান
নিজের সাথে দেখা হয়না অনেক দিন। নিজেকে ছাড়া বেঁচে থাকতে গিয়ে আজ কাল নিঃশ্বাসে অক্সিজেনের ঘাটতি অনুভূত হয়, প্রতিবাদে কামারের দোকানের হাপরের মত ফুঁসে উঠে ফুসফুস জোড়া, হাতুড়ি পেটায় হৃদয় নামক একটা লহুশোধক প্রকোষ্ঠে।
নিঃশব্দ ঘূনপোকা
কলরব, কোলাহলেও মেয়েটা ডুবে যায় একাকীত্বে , অনুভব করে শুধুই শূন্যতা ভিতরে, বাহিরে....সর্বত্র। এই একাকীত্ব বোধ তাকে আষ্টেপৃষ্ঠে ঝড়িয়ে ধরে। নাকি সে নিজেই কখনো একাকীত্বকে আপন করে নেয় তাও সে এখন আর জানে না। মাঝে মাঝে নিজেকে মনে হয় খুব আনেকারা এক হিসাবরক্ষক যে কখনো জীবনের হিসাব মিলাতে পারে না......হিসাব করতে গেলেই গরমিল হয়.....কাটাকুটিতে ভরে যায় খাতাটা।একটা গোলকধাধায় যেন আটকে আছে মনটা। বড্ড এক
কাছের মানুষ দূরের মানুষ
দিনকে দিন যেনো সময় কমে আসছে। কথাটা কি ঠিক? না ঠিক নয়। সময় প্রত্যেকের জন্য সমান চব্বিশ ঘন্টা। আমরা আমাদের পছন্দের কাজ করতে করতে গুরূত্বপূর্ন জিনিসের জন্য সময় বের করতে পারি না। কিন্তু দোষ দেই সময় ব্যাটার ঘাড়ে। বই পড়া একসময় নেশার মতো ছিল। অফিসেও বকা খেয়েছি বই পড়ার জন্য। বাংলা বই পড়তেই বেশি ভালো লাগে। খুব ভালো বিখ্যাত কিংবা আলোচনাকারী বই না হলে ইংরেজী কিংবা ডাচ বই পড়ি না। মাতৃভাষাটাই কাছের মনে হয়।
দিলে চোট দিলিরে শেফালী । পর্ব ((১))
তুমি স্বপনে কইয়াছিলে,
১)শইলের যত্ন নিও,
২)ঠিক মত খাইও,
৩)ঠিক মত ঘুমাইও
৪) আর আমার কথা ইয়াদ কইরো ।
বিশ্বাস করো, তোমার কতা মানতে গিয়া উপ্রেত্তে নিচে আইতে আইতে তোমার কতা আর ইয়াদ থাকেনা।।
==============================
==============================
একদা, পূর্ণিনা নিশিতে চকচইক্কা চান দেইখ্যা তোমারে কইছিলাম , ওই চান্ডারে ফুল বানায়া তোমার খোপায় দিমু ,
নিসঃঙ্গ প্রহর
সবুজ লনটার শেষ দিকে কামিনী গাছটা সাদা ফুলে ভরে আছে; জোস্নার আলোয় ফুলগুলি যেন অপার্থিব সৌন্দর্য ছড়িয়ে দিয়েছে চারিদিকে। দূর থেকে সেই ফুলের সৌরভে মুগ্ধ এক যুবক আনমোনে গুন গুন করে গান গাইছে। নিকষ অন্ধকারে শুধু সিগারেটের লাল আভা মাঝে মাঝে জ্বলে উঠছে। কামিনী ফুলের সৌন্দর্যের সাথে আরো একটি বিষয় যুবককে আবিষ্ট করে আছে। বাতাসের দোলায় সরে যাওয়া পর্দার ফাঁক দিয়ে ঘরটির মৃদু আলোয় কিছুই প্রায় দেখা যা
প্যারানরমাল গল্পঃ আলোকিত দ্বার – (শেষ পর্ব)
লোকটা যেমন অদ্ভুত ভাবে এসেছিলো তেমন অদ্ভুত ভাবেই চলে গেল। হারুন প্রথমে একটু চিন্তিত বোধ করলেও কিছুক্ষনের মধ্যেই ব্যাপারটা মাথা থেকে একদম ঝেড়ে ফেলেছে। তার মাথার উপর এখন অনেকগুলো গুরু দায়িত্ব। ট্রেনের খোলা জানালায় হারুন ভবিষ্যতের ভাবনাগুলো গুছিয়ে নিচ্ছে। ট্রেনের জানালায় ওপাড়ে নিশুতি রাত, নক্ষত্রের আলোয় সমস্ত চরাচর আলো-আধাঁরি খেলায় মেতেছে, ঘুমিয়ে পড়েছে জনজীবন, প্রকৃতি কোন এক অচিনলোকের ধ্যানে মগ্ন। রা
শেষ দিন (গল্প লিখার অপচেষ্টা)
পকেটে টাকা নাই কি যে করি? এদিকে সোহাগ ভাইয়ের কাছে দুদিনের বাঁকি আছে, আজ আবার চাইলে পাওয়ার কোন চান্সই নাই। শালা বাপ্পি আর রাজুর সাথে ক্যাচাল না লাগলে একটা কিছু ব্যাবস্থা করা যেত। মার কাছে চাইলেও পামুনা আর পাওয়ার মত কিছু বাঁকিও তো রাখি নাই।
বাপটা অকালে মারা যাওয়ার পর লেখাপড়ার পাট প্রায় চুকেই যায়। তারপর বাপ্পির সাথ ধরে প্রথম এই স্বাদ পাওয়া তারপর থেকে চলছেই আমার এই অধঃপতন।
লিখতে পারছি না! :(
অনেকদিন ধরেই হাত দিয়ে কোন লেখা বের হচ্ছে না। যদিও মাথাই অনেক কিছুই ঘুরঘুর করতেছে। লিস্ট বানাইলে অনেক বড় একটা ফর্দ হয়ে যাবে। যেমন পিংক ফ্লয়েডের একটা গান নিয়ে লেখা রেডি করছি (মাথার ভিতরে), কিন্তু কী-বোর্ড চাপতে ইচ্ছা করতেছে না। ঈদের পর চট্টগ্রাম গিয়ে এক ইন্টারেস্টিং রিক্সাওয়ালার সাথে আধা-ঘন্টার মত কথা হয়েছিল, সে তার জীবনের মারাত্মক কিছু ঘটনা বলেছিল, সেটাও লেখার ইচ্ছা আছে। কিছু কবিতার লাইন বিড়বিড় করত
পড়া-লেখা-জোকা-ব্লগা বিষয়ক আড্ডাফাইয়িং পোষ্ট
লেখার চাইতে পড়তেই বেশী ভালো লাগে আমার। যা পাই তা-ই গিলি। মজা পেলেই পড়ি। সে চটি হোক আর চেখভ হোক। খুব ছেলেবেলায় বাবার হাত ধরে যখন নিউ মার্কেটের বইয়ের দোকানে ঢুঁ মারতাম, তখন থেকেই এই ঝোঁকটা তৈরী হয়েছে।
সেই যে আমার নানা রংয়ের দিনগুলি..(আপাততঃ শেষ পর্ব)
"তুমি মুনমুন না?"
"না আপু, আমি কুমকুম, মুনমুন আপু দেশের বাইরে"
"তুমি কি কাকলী ?"
"আপু আমি রিমি, কাকলী আপু শশুর বাড়ীতে, ও আজকে আসতে পারছে না, বাচ্চাটার শরীর ভালো না"
কী যে করি....
আজ কয়েকদিন থেকে বেশ ঝামেলায় আছি। দুপুরের পর কম্পুতে বসে কাজ করার সময় এ সমস্যাটা প্রকট হয়ে দেখা দেয়। ইদানীং ব্যাচেলর লাইফ কাটাচ্ছি বলে রাত জেগে টিভি দেখে ঘুমাতে যাই ২/৩ টার পর। সিগারেট পোড়াচ্ছি দ্বিগুন হারে। রাতে বাসায় ফিরে নিজে রান্না করে খাই।