আমাদের গল্প গুলো
এমন সময়ে তোমার লিখা তো থাকত ই, প্রায় প্রতি দিন ই কিছু না কিছু লিখতে। আমরা আলোচনা করতাম। সরকার ভুল করছে টেস্ট না করে বা সঠিক পরিসংখ্যান না দিয়ে। এতে সরকার বিপদে পড়বে না পড়বে সাধারন মানুষ। তাঁরা অনির্দিষ্ট কাল ঘরে বসে থাকবে না, সরকারী নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নিলে ই মানুষ বের হয়ে যাবে। ঘরে রাখা যাবে না। যত নিয়ম কানুন ই শিখিয়ে দেন না কেন ২০-৩০% মানুষ এই নিয়ম মেনে চলবে না। যেহেতু তথ্য ই ভুল, মানুষ কনফিডেন্টলি বিপদে পড়বে। তুমি কিছু মেনে নিতে কিছু নতুন যোগ করতে। অনেক পরিসংখ্যান দিতে, যা আমি মনে রাখতে পারি না। আমরা শুধু ই কথা বলতাম। কিন্তু তুমি লিখতে। প্রতিটা লাইন কে আরও অনেক তথ্য সমৃধ্য করে কয়েক পাতা লিখে ফেলতে। এখন সাধারন অসুখ এ ও চিকিৎসা নেয়া যাবে না। এই কথা গুলো বলার মানুষ টা ও নাই। কথা গুলো মাথায় বন্দী হয়ে একটা চাল তৈরি করছে। গলার কাছে এসে আটকে যাচ্ছে। মনে হচ্ছে গলায় কিছু লেগে আছে। বেশি আটকানো ভাব হ
আমি একটি বই লিখব
মেয়েটি তার ফোনের ওয়ালে ছেলেটির সাথে তোলা একটি হাসিমুখের সেলফি দিয়ে রাখে। ফোনটির হোম স্ক্রিনে যতবার সেই মুখটি চোখে পড়ে, ততবার একটি নি:শব্দ দীর্ঘশ্বাস পড়ে। বলতে পারেন এ এক নিরব ভালোবাসা। যতক্ষন বাসায় থাকে স্ক্রিনটি জুড়ে থাকে সেই ভালোবাসা। আর বাসা থেকে বের হলেই আস্তে করে পুরোনো একটি ছবি দিয়ে রাখে। পাছে লোকে কি বলবে । চলুন মেয়েটির একটি নাম দেয়া যাক। ধরে নিলাম মেয়েটির নাম অন্তরা। এই অন্তরা নামের অনেক মহত্ব লেখকের কাছে। আর ছেলেটির নাম সংকল্প।
ফিরে যাওয়া
বিদায়টা সব সময় এক পাক্ষিক ই ছিল। প্রতি বিদায় চুম্বন বিদায় কে দুদোল্যমান করে দিত। তাই হয়তো আবার ও শুরু করা সহজ হয়ে যেত। এবার তোমার এই যে বিদায়, তাকে প্রস্থান বলা ই শ্রেয়। স্পর্শ হীন প্রথম এবং শেষ বিদায় অদেখা রয়ে গেল, নতুন করে শুরু করার সম্ভবনাহিন।
ফিরে গেলে নিজের কাছে
ব্লগার রাসেল পারভেজের সাক্ষাৎকার (প্রসঙ্গ শাহবাগ আন্দোলন)
ব্লগার রাসেল পারভেজ মারা গেলেন ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২০। তার সঙ্গে আমার ২০১৩ সালের নভেম্বর মাসে দীর্ঘ আলাপ হয়। শাহবাগের ওপর গবেষণা কাজ করতে গিয়ে তার একটি দীর্ঘ সাক্ষাৎকার নেওয়ার সুযোগ হয় সেসময়। সেই সাক্ষাৎকারের একটি অংশ প্রকাশ পায় ‘শাহবাগের জনতা’ গ্রন্থে (২০১৫)। সেই অংশটিই পুনপ্রকাশিত করলাম ব্লগে।
তার সাক্ষাৎকারের দ্বিতীয় অংশ অপ্রকাশিত। কথা ছিল দীর্ঘ সময় পর সেটি প্রকাশ করার। অপ্রকাশিত অংশটি নিশ্চয় প্রকাশ করবো কোনো একদিন।
প্রশ্ন: শাহবাগ আন্দোলনটা যে ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারির ৫ তারিখ শুরু হলো,এখানে আপনার যুক্ত হওয়াটা কীভাবে হলো?
বই আলোচনাঃ জাদুকরী ভ্রম
উপন্যাসঃ জাদুকরী ভ্রম
লেখকঃ হামিম কামাল
প্রকাশকঃ চন্দ্রবিন্দু
আমি ব্যক্তিগতভাবে হামিম কামালের লেখার ভক্ত। হামিম কামাল যখন লিখেন তখন সেটাকে কোনোভাবেই সাধারণ লেখার কাতারে আমি ফেলতে পারি না। তার লেখায় সবচেয়ে সুন্দর যে বিষয়টি সেটা হলো, একটা বাক্যজুড়ে থাকে একটা ক্যানভাস। সেই ক্যানভাস শেষ হলে আবার একটা ক্যানভাস। এরকম করে ক্যানভাস জুড়ে বিচরণের সময়টা মাথায় থেকে যায়।
এই জাদুমন্ত্র হামিম কামাল কীভাবে শিখেছেন আমার জানা নেই। তবে এই জাদুতে মুগ্ধ হয়েছিলাম ২০১৮ সালে প্রকাশিত "কারখানার বাঁশি" উপন্যাস পড়ে। এবং দুই বছর পরে বর্তমান বইমেলায় প্রকাশিত "জাদুকরী ভ্রম" নামের নতুন উপন্যাসটিতে হামিম কামাল আবারও সেই লেখার জাদু দেখালেন। যেন নিজের লেখার স্বার্থক একটা নাম, স্বার্থক একটা উপন্যাস "জাদুকরী ভ্রম!"
নিছক গল্প
বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানার মহাপরিচালক অধীনস্ত কর্মচারীদের ডেকে বললেন
"এই যে মহান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জন্মশতবর্ষ, এই উপলক্ষ্যে কি আমাদের কোনো আয়োজন থাকবে না?"
মহাপরিচালক প্রসঙ্গটি উত্থাপনের পূর্বে চিড়িয়াখানার কর্মকর্তা কর্মচারীদের ভেতরে ঠাট্টা-মশকরার বাইরে এই যে বিশাল মাপের আয়োজন- সে বিষয়ে বিন্দুমাত্র মাথাব্যথা ছিলো না। তারা প্রত্যেকেই মহাপরিচালকের কক্ষ থেকে বিশাল চিন্তার বোঝ নিয়ে বের হলেন। প্রত্যেকেই সারাদিন ভাবলেন।
বাঁদরের কলা- গন্ডারের কলা পাতা, জলহস্তির কচুরিপানা, বাঘ-সিংহের বরাদ্দ গোস্তের ভাগ-বাটোয়ারা বিষয়ে উদাসীন থেকে তারা শুধুই ভাবলেন। অভুক্ত সিংহ- বুভুক্ষ বাঘ রক্তচাপহীনতায় মাথা ঘুরে উলটে পরে থাকলো গাছের গুড়ির পাশে। ডাক্তার আসতে পারলেন না। তিনিই সনদ বলে চিড়িয়াখানার সবচেয়ে শিক্ষিত মানুষ। তিনি যদি এই সংকটের সুরাহা করতে না পারেন তাহলে আর কি করতে পারবে?
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস চর্চা
এককেন্দ্রীক স্বৈরতান্ত্রিক গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্মিত একটি সংসদে কণ্ঠভোটে আইন নির্মাণ করে একাডেমিক ফ্রিডম হরণের সুযোগ তৈরী করে রাখা-
হাইকোর্টের রায়কে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে, পরবর্তীতে এই একাডেমিক ফ্রিডম ক্ষুন্ন করা আইনকে হাইকোর্টের কতৃত্ব হ্রাসের ঢালা বানিয়ে ফেলা-
এই শাঁখের কারাতে বেঁচে আছে বাংলাদেশের স্বাধীনতা গবেষণা।
নিরপেক্ষ গবেষকদের সংখ্যাস্বল্পতায় আমাদের মুক্তিযুদ্ধ ইতিহাস চর্চা টিকে আছে বক্তিগত স্মৃতিচর্চার বয়ানে। ব্যক্তিগত স্মৃতিচর্চা অনেক সময় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রনোদিত কৌশলী মিথ্যার চর্চা, অনেক সময় ব্যক্তিগত অক্ষমতা আড়ালের চেষ্টা হিসেবে ক্রমাগত মিথ্যা উৎপাদন করে যাওয়া।
হুমায়ূন কথন
" বইন, আমি আপনারে তিনদিন সময় দিছিলাম। আপনি আপনার স্বামীরে ফিরাইতে পারতেন, ফিরান নাই।
আপনি মাষ্টার সাহেবরে খবর দিতে পারতেন, দেন নাই। আপনি পুলিশের কাছে যাইতে পারতেন, যান নাই।
আপনি আপনার নিজের গায়ে থুতু দেন, আপনার স্বামীর গায়ে থুতু দেন ।
আমি কেউ না, আমি কেউ না ।"
......হুমায়ূন আহমেদ, নাটক : মাটির পিঞ্জিরার মাঝে বন্দী হইয়ারে। নান্দাইলের ইউনুস এর ডায়লগ মাত্রই মাষ্টার সাহেবকে খুন করে আসার পর।
কথার মাঝের কথা
আজকাল আমার কথা কেউই বুঝতে পারছে না। আমি বেশি দুর্ভেদ্য হয়ে গেছি , না বাকি সবাই তা বোঝা দুস্কর। ধরুন আমি মজা করে কোন কথা বললাম, কিন্তু অপরপক্ষ সেটাকে ইনসাল্ট হিসেবে ধরে নিলো। আবার আমি কথার পিঠে উত্তর দেয়ার জন্য কোন সহজ কথা বললাম, সেটার মিনিং ও উল্টা করে ফেলছে লোকজন। এবং গায়ে টেনে নিচ্ছে। বিষয়টা শুধু কেবল একজন মানুষ কেন্দ্রিক ঘটছে তা কিন্তু না। অলমোস্ট সবার সাথেই কম বেশি ঘটে যাচ্ছে। পর পর ঘটনায় এটাই প্রমান হয়, আমার কথাই হয় না। কিন্তু এই কথাই ছিল এক জীবনে আমার সব সম্বল। আমার কথাই আমাকে সবার থেকে আলাদা করতো ছোট বেলা থেকেই। সে অনুযায়ী প্রায়োরিটি ও পেয়েছি সব সময়। সময়ের বিবর্তনের সাথে সাথে আমার কথার ধার কমেছে, একটা সময় এসেছিল, 2005 সাল, নিজেকে বড্ড একা লাগতে লাগলো। কারণ সবার উচ্ছলতা আমাকে আরও নিজের দিকে ঢুকিয়ে নিয়ে গেল। ক্রমশই একা হতে লাগলাম। প্রায় তিন বছরের ও বেশি সময় লেগেছিল, সেই অবস্থা থেকে ফি
বাংলাদেশ উন্নয়ন পরিকল্পনা সম্মেলন ১৯৭৪
১৯৭৪ সালে দাতা দেশগুলোর প্রতিনিধিদের নিয়ে ঢাকায় বাংলাদেশ উন্ননয় পরিকল্পনা বিষয়ে আলোচনার জন্যে আলাদা একটা সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম পরিকল্পনা কমিশনের ডেপুটি চেয়ারম্যান, অর্থনীতিবিদ নুরুল ইসলাম, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য অর্থনীতিবিদ রেহমান সোবহান, অর্থনীতিবিদ আনিসুর রহমান, বাংলাদেশ উন্নয়ন অর্থনীতি গবেষণা ইন্সটিটিউটের পরিচালক অর্থনীতিবিদ স্বদেশ বসু এবং উন্নয়ন গবেষণার সাথে জড়িত অন্যান্য ব্যক্তিরা বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী উন্নয়ন পরিকল্পনা, প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বৈদেশিক ঋণ এবং অনুদানের প্রয়োজনীয়তা, সাম্ভাব্য ঋণ কিংবা অনুদান প্রদানের খাত নিয়ে আলোচনা করেছেন। তারা যে যার নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী কৃষিখাতে বিনিয়োগ, শিল্প অবকাঠামোতে বিনিয়োগ, শিল্পখাতে রাষ্ট্রের মালিকানা এবং সাম্ভাব্য ব্যক্তি মালিকানার প্রশ্নগুলো আলোচনা করেছেন।
স্বপ্নের প্রজাপতিটার জীবন অবসান
মানুেষর মনের কোনে মানুষ আটকে থাকে। যেই মানুষটা আটকে থাকে সে হয়তো বন্দি পাখির মত ছটফট করতে থাকে , কখন তার মুক্তি মিলবে। কিন্তু মুক্তিটা হয় না, হয়তো মুখে বলবে না, কিন্তু প্রতিটি নিশ্বাসের সাথে আটকে থাকবে অনুভুতিটা। যদি কেউ কখনও ভাবে, দূরে যাওয়া মানেই সমাধান। আসলেই কি তাই ? যে দূরে যেতে চায় সে হয়তো ভাবছে, যাক বাঁচা গেল, হাতটা ধরিনি, তাহলে নিশ্চই দূরত্ব বজায় রেখেছি। মন নামের টাইম মেশিনটি তো আর থামে না..
ফেরা হয় না আর..
অপরিচিত গন্ডি তে লিখতে হঠাৎ ইচ্ছা করছে, জানি এখন আর আমরা বন্ধু খুব একটা কেউ ব্যাবহার করে না। প্রায়োরিটি শব্দটি খুব প্রচলিত শব্দ, জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই এই শব্দটি ব্যাবহার হয়। আমি অনেক বছর আগে থেকেই নিজের জীবনের ক্ষেত্রে এটা নিয়ম করে নিয়েছি, যার যতক্ষণ আমাকে প্রয়োজন পড়বে, ততক্ষণ তাঁর জন্য আমি সব করতে পারি। আমার খুব ভালো লাগে যখন কেউ আমাকে বলে আমাকে তাঁর প্রয়োজন। মূল্যহীন মানুষ হিসেবে বেঁচে থাকতে থাকতে ( অথবা নিজেকে মূল্যহীন ভাবতে ভাবতে ) কারো ক্ষুদ্র চাওয়ার অনুভূতি টা অনেক বড় মনে হয়। আমার নিজের মনে হয়, যতক্ষণ আমার জীবন, ততক্ষণ বাকিদের প্রয়োজনেই আমার জীবন। সবাই সব সময় বলতে থাকে, নিজেকে জানো, নিজেকে সময় দাও, আমার সমস্ত জানা কেবলই অন্যদের জন্য। যখন যে কাছে থাকে। যার যখন প্রয়োজন ফুরিয়ে যায়, সে তখন চলে যায়, আর আমি পড়ে থাকি স্মৃতি আঁকড়ে ধরে। অবশ্য লোক দেখানোর জন্য বলি, আমার কিছু যায় আসে না, তবে
বার্ধক্যের প্রেম
বয়স যখন ৩৪, মধ্য যৌবন জীবনটা.. সাম্প্রতিক সময়ে যেটাকে আমি বলি ক্ষয়িষ্ণু যৌবন। এই বয়সে এসে প্রেম টিনেজ অনুভব দেবে সেটা নিশ্চই খুব একটা স্বাভাবিক কিছু না। মানুষের নানা বিষয় আমি ছোট বেলা থেকে লক্ষ করি। তার মধ্যে একটা অন্যতম বিষয় হলো মানুষের হাত পা, আমি নিজেও আমার হাত পা এর ব্যপারে বেশ অপসেস্ট। আমার প্রথম হাতের প্রেম হয়, ২০০২ সালে। অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যার এর হাতের সাথে। কলেজ কর্মসুচিতে তখন, প্রতি সপ্তাহে স্যারের সামনের চেয়ারটি ছিল আমার দখলে, সবাই যখন মুগ্ধ চোখে স্যারের বক্তব্য শুনছে এবং দেখছে. তখন আমি শুধু চেয়ে রইতাম স্যারের মুষ্টিবদ্ধ হাতটির দিকে। কি দৃঢ়তা সেই হাতটিতে..
কখনো বিশ্বাস না হারানোর কারণে
লেখালেখি কমতে কমতে প্রায় শূন্যের পর্যায়ে নেমে এসেছে। গত ডিসেম্বরের পর এই অগাস্ট পর্যন্ত কিছুই লিখিনি। চেষ্টাও করি নি সেভাবে। গত বছর গণপিটুনি খাওয়ার অভিজ্ঞতা লেখার পর আমাকে অনেকে "সবকিছু" না লেখার পরামর্শ দিয়েছে। সেটা একটা কারণ। লেখার ইচ্ছে আগের মতো জাগে না- সেটাও একটা কারণ। সবমিলিয়েই হয়নি আরকি। আজকাল গল্প বলার কত নতুন নতুন মাধ্যম হয়েছে!