খেয়াঘাটে হারানো ডিঙি
১.
জীবনে যে কাজগুলো করা হয় নি এখনো, তার অন্যতম হচ্ছে উত্তরে গিয়ে রাতের আকাশে অরোরা দেখা। উত্তরে বলতে নরওয়ে কিংবা সুইডেনের দিকে। ওখানে গিয়ে পাহাড়ের ঢালে কোন একটা নির্জন কুটিরে বসে, বিটলবণ মেশানো দুই কাপ লেবু চা হাতে গভীর রাতে আকাশে রং-বেরংয়ের আলোর নাচন দেখতে পারলে ভাল লাগতো।
লীনা আপুর বার্থডেতে!
লীনা আপুকে নিয়ে লিখতে আমার সব সময় ভালো লাগে। জানি এখন তিনি এসব পড়ার মুডে নাই। তাও আমার তো লেখাই কাজ। লীনা আপুকে নিয়ে না লিখলে ১৪ ই ডিসেম্বরটা মনে হয় ব্যর্থ গেল।
আমার সাথে লীনাপুর দেখা নাই মেলাদিন। শেষ যেদিন দেখা হয়েছিল তখন তানবীরা আপু ছিল। খুবই মজার এক সন্ধ্যা কেটেছিল আমাদের। আপু আর আমি হোটেল জিন্জিরায় গিয়েছিলাম রিকশায়। আপুর বাইরের খাবারের বিষয় আসয়ই ভালো লাগে না। তবুও আমাদের পাল্লায় পড়ে খেলো। খুব আনন্দ করেছিলাম আমরা। সেদিন চারটা বইও এনেছিলাম। তাও পড়া শেষ। দেয়া হয়নি। বই গুলো এখনও টেবিলে, আবু সয়ীদ আইয়ুব, অমিয়ভূষণ মজুমদার এসব আর কি। কবে যে দেখা হবে আবার কে জানে? আবার কিছু নতুন বই আনা যাবে।
ডিসেম্বরের শহরে..
'আরকেন' এর নতুন সিজন আসছে কয়েক দিন আগে, আগের পর্ব গুলি আবার দেখে নিলাম। এনিমে সম্পর্কে আমার চিন্তা ভাবনা বদলে দেওয়া 'আরকেন', প্রথম সিজনের মত মন্ত্রমুগ্ধ করে দিবে সেই আশাও করি নাই। এখন মনে হইতাছে এই বছরে এর চাইতে দারুন কিছুই দেখা হয় নাই! নিজেকে ভুল প্রমানিত হইতে দেখলেও মাঝে মাঝে বেশ আনন্দ লাগে। এই সিজনেই একটা গান শুনলাম, আশিনিকোর 'পেইন্ট দ্য টাউন ব্লু' ।
শুনতে শুনতে মনে হলো, নীল থেকে নীলে যেতে যেতে মানুষের আসলে কি হয়? অন্ধকার কালোয় হারিয়ে যায় নাকি আবছা হতে হতে হাওয়ায় মিলিয়ে যায়?
কবিতা: অনেক ভাল রেখেছো তুমি আমায়
আমার প্রিয় উপন্যাস কি ছিল জানতে?
লা মিজারেবল।
প্রিয় কবিতা?
হায় চিল।
প্রিয় গান?
চন্দ্রবিন্দুর 'আমার ভিনদেশি তারা'।
হালের ভিনদেশি তারা-টা না কিন্তু।
ওই ভার্সনটা আমার ভাল্লাগে না একটুও।
আমার ভাল লাগে কোনটা জানো?
আমার ভাল লাগে পুরোনো ঢিমেতালের
সেই আসল ভার্সনটা।
খুব একটা হাহাকার আছে ওই ভার্সনটায় জানো? নতুনটায় নেই।
আর আমার সর্বকালের সবচেয়ে প্রিয় মানুষটা
কে ছিল জানতে?
যার কাছে নিজেকে কষে বিলিয়ে দিয়েছিলাম?
যার জন্য সকাল দুপুর সন্ধ্যা এক করেছিলাম?
যাকে ভালবেসে অন্ধ হয়ে গিয়েছিলাম?
সারা পৃথিবীকে একঘরে করে দিয়েছিলাম যার জন্য?
থাক্ সেসব শুনে কাজ নেই।
তুমি বরং বানানো কথা শোনো,
অনেক ভাল রেখেছো তুমি আমায়,
অনেক ভাল।
---
(০৮:০০ অপরাহ্ন, ০৫.০৯ ২০২৪ ইং)
Notes from Driving School
I don't know what went wrong after about 45 minutes of driving today. The first thing I remember now is that I was finding it difficult to switch gear between 5 and 6. Although he said the even numbered gears are on at the back, and the odd numbered gears are on the front. Maybe it's just hard to make it work at high speed. Going from 1 to 2, upto 4 I have almost no issues.
গল্প: তুমি আমার কাছে তুমি যা বলবা তাই (শেষ পর্ব)
বলবো না ভাবলেও; মিসিসিপিকে বলতে হয়েছিল, কি ভাবছিলাম আমি শেষ রাতে। পরদিন সকালে সবার কাছে থেকে বিদায় নিয়ে লামা-টু-চকোরিয়ার বাসে ওঠার পর থেকে প্রশ্ন করা শুরু করেছিল সে। আসলে সে প্রথমে জানতে চেয়েছিল, আগের রাতে কি করেছি, ঘুম কেমন হয়েছে- এসব। সেসব প্রশ্নের উত্তর থেকেই বেরিয়ে এসেছিল যে, আমি সারারাত ঘুমাই নি। তাই শুনে সে জিজ্ঞেস করেছিল, কেন? তখন আমি বলেছিলাম, অনেক চিন্তা মাথায় এসে বাসা বেঁধেছিল গতকাল। তাই ঘুমুতে পারি নি সারারাত। এরপর থেকে 'কি চিন্তা করেছো' জিজ্ঞেস করেই যাচ্ছিল সে একটু পর পর।
There is nowhere I must go, there is nothing I must do
There is nowhere I must go, there is nothing I must do. The pain will be gone. Just be happy that there is life. And there is endless time to live like this, to feel the eyelids softly closing, and the breadth gently falling.
And then there is desire. A desire to sit down in front of a silent lake, or on the sand, where the waves are coming from far far away. To go out camping again, but this time alone. Or maybe with a good friend. Because who knows where it will take me.
There is a river called Main
The place is almost empty. Only one table with a few sitting. We have sat down on the round table in the middle of the restaurant. There is a certain calmness here today, as I sat down with a glass of beer in front of Maria. She works for the public service and part time at this restaurant. She goes in and out of different places and sometimes randomly says, “Hello!”.
নষ্ট ভালোবাসা
নষ্ট ভালবাসা
এ কি বাস্তবতা
নাকি
দুঃস্বপ্নের পাশাখেলা।
কতদিন তোমাকে দেখি না
কতদিন দেখতে পাব না
জানিনা।
আজ ভিন্ন ছাদের নিচে তুমি
পেতেছ তোমার কল্পিত স্বপ্নের
বাস্তব চাদর,
আমিও তথৈবচ।
এমনটি কি হবার কথা ছিল।
মনে পড়ে
সেদিন গুলোর কথা।
অশোক পাপড়ি ভেবে ,
তব
লিপিষ্টক বিহীন রক্তাব অধরের
সুগন্ধে।
ভ্রমরকে হার মানিয়ে তোমাকে
নিষ্পেষণ করার কথা।
ফুলের গন্ধের বিলীনতা
বা সৌন্দর্যের সমাপ্তি
আমি দেখেছি
কিন্তু তোমার ভেজা ঠোটের
রূপ রস গন্ধের কমতি
কি যে বলব,
বেড়েছে বই
কল্পনাতেও ফুরোয় নি।
তাই তো আমার পাগলামো বল
বা তোমার রগে রগে
মম বিচরণের স্মৃতিকাতরতা বল
আজও বেড়েছে বই
কমেনি,
কখনো বাইসাইকেল,
কখনো মটর সাইকেল,
কখনও মার্সিডিসের গতিতে
আবার কখনও হাওয়াই জাহাজ
বা কখনও মহাশুন্য যানের গতিকেও
হাড় মানিয়ে
পাহাড়, নদী, জল
এমনকি কত শত
শিরোনামহীন
শিরোনামহীন (প্রথম পর্ব)
২২/০৭/২০২৩
ক'দিন থেকেই আমার একটা পাহাড় কিনার সাধ,
কিন্তু পাহাড় কে বিক্রি করে কোথায় পাওয়া যায় কিছুই জানা নাই।
পাহাড় কেমন হয়, পাহাড়ের গুনাগুন কি, কোনটা ভালো মানের, কোানটা খারাপ মানের,তার কিছুই জানা নাই।
তবু আমার পাহাড় কেনার সাধ হলো।
আমি আকাশ, বাতাস, নদী সাগর অনেককেই জিজ্ঞেস করলাম, কেউ কিছুই বলতে পারলো না।
পাহাড় কেনার সাধ আমার কখনো পূর্ণ হবে না এই ভেবে,
পাহাড় কেনার ভাবনা থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলাম।
RTR তুর্কি টেলিভিশনে আর্তুগুল সিরিজ দেখছিলাম উর্দু ডাবিং এ।
বাংলা ডাবিং ও আছে কিন্তু ভিডিও ততো ভালো মানের ও ভিজিবল না,তাই উর্দুতেই দেখছিলাম।
হঠাৎ অনুভূত হলো বাতাস বার বার কানের কাছে এসে বাড়ি খাচ্ছে, বুঝলাম কিছু একটা বলবে।
আমার নির্লিপ্ততা দেখে, এবার বেশ জোরে শনশন শব্দে বাড়ি মেরে কানের কাছ দিয়ে বেরিয়ে গেল।
সিরিয়াল দেখা পাওস করে, মনোযোগ দিলাম বাতাসের কথায়।
কোন আকাশে বাস
গীতিকবিতাঃ কোন আকাশে বাস
ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আবুল হোসেন
৮/৭/২০২৩
তুমি কোন আকাশে থাক দয়াল
কোন আকাশে বাস
সেকি সপ্ত আকাশ
সেকি সপ্ত আকাশ।
সেটা কতদুর সেটা কতদুর
জানতে অনেক ইচ্ছা
জানার মনে বড়ই আ--শ।।
কোন আকাশে থাক দয়াল
কোন আকাশে বাস
আমি যখন ডাকি তোমায়
শুনিতে কি পাও?
সেকি তুমি শুনিতে কি পাও??
তব তরে কাঁদি যখন
দেখিতে কি পাও?
তুমি দেখিতে কি পাও??
জানার অনেক ইচ্ছা
জানার মনে বড়ই আ--শ।।
কোন আকাশে থাক দয়াল
কোন আকাশে বাস।।
অত্যাচারীর অত্যাচার
তুমি দেখিতে কি পাও?
সেকি দেখিতে কি পাও??
মজলুমের কান্না তুমি
শুনিতে কি পাও?
সেকি শুনিতে কি পাও??
জানার অনেক ইচ্ছা
জানার মনে বড়ই আ--শ।।
কোন আকাশে থাক দয়াল
কোন আকাশে বাস
মরণরে তুমি শ্যাম সমান
আসসালামু আলাইকুম,
বন্ধুরা আমার লেখা গানগুলো PM SARGAM STUDIO কম্পোজ করছে।অনেকগুলো গান ইতিমধ্যে YouTube এ এসেছে। আমি জানিনা এখান গান আপলোড করার অনুমতি আছে কি না।
আমি চেষ্টা করেও পারিনি। দু'দিন আগে আপলোড হওয়া গানটির লিঙ্ক দিলান নিচে।
গীতিকবিতাঃ মরণরে তুই শ্যাম সমান
ইঞ্জিঃ মোঃ আবুল হোসেন
১২/০৬/২০২৩
যার সাথে হবে সদাবাস
হউক না যতই কালো
মরণরে তুমি শ্যাম সমান
তোমায় বাসি ভালো।
ভালো কিছু ভাবতে গেলে
চোখ করি বন্ধ।
আঁধারেই আলোর সন্ধান মেলে
নয়নতো আলোর পথ বন্ধ।।
যেই কবরে থাকবো আমি
সেও তো অন্ধকার কালো
মরণরে তুমি শ্যাম সমান
তোমায় বাসি ভালো।
ভাবনাহীন নিস্কলুষ মাথায়
কি যে সুখের ঘুম।।
তেমনি কি ঘুম হবে কবরে
নাকি শাস্তি ধুমাধুম।
শুধু শাস্তি হবে মন মানে না
সৃজিলেন যিনি,
অনেক বাসেন ভালো।।
মরণরে তুমি শ্যাম সমান
তোমায় বাসি ভালো
অনেক দিন পর, বন্ধুরা কেমন আছেন?
অনেক দিন পর, বন্ধুরা কেমন আছেন?
অনেক দিন মানে অনেক দিন পর। ২০১৪ সালে শেষ পোস্ট ছিল।
ব্লগটি এখনো আছে, এবং আমার কিছু লেখা, বাহ, বিস্ময় !
ব্লগটিকে এখনো যারা ধরে রেখেছেন, যারা লিখছেন নিয়মিত, তাদের সবার প্রতি অফুরান ভালোবাসা।
আমরা সবাই কালের প্রবাহে হারিয়ে যেতে এসেছি, এই হারিয়ে যাওয়ার মাঝে লেখা হচ্ছে একটি জ্যোতিচিহ্ন, একটি সাড়া...
ফলে, সাড়া দিন প্রিয় বন্ধুরা
সাজি আপুর জন্মদিনে!
সেহেরীর সময় আমি ব্লগ লাইফকে ভীষন মিস করি। তা কি আজকের কথা। এক যুগ কিংবা তারও আগের সব গল্প। তখন পিসি ছিল বাসায় একটা। সেটা আমার ভাইয়ের। সে বসতো। কাজ করতো। আমি অপেক্ষায় থাকতাম তার উঠার। সে ঘুমাতো সেহেরীর আগে। আমি তখনই বসতাম না। সেহেরী তাড়াতাড়ি খেয়েই সামহ্যোয়ার ইনে বসে পড়া। ব্লগ, ইস্নিপ্স, ইয়াহু মেসেঞ্জার আর অনলাইনে পত্রিকা পড়া আর মেইল চেক এসবই ছিল রিচুয়াল। ব্লগ সেহেরীর সময় জমে ক্ষীর। আমরা যারা রাত জেগে আড্ডা মারতে পারতাম কম তাদের জন্য মাহেন্দ্রক্ষণ। কারন তখন ভালো ভালো পোষ্ট আসতো, ধর্ম নিয়ে বাহাস হতো, আড্ডার খোশমেজাজ ও থাকতো। আমি অসংখ্য দিন রাতে অল্প ঘুমিয়ে সেহেরীর পর সারা সকাল জেগে ছিলাম ব্লগের উসিলায়। তখন এত কোয়ালিটি কন্টেন্ট নিয়ে মানুষ ভাবতো না, যার যা মনে আসতো লিখে দিতো। বুঝতে ও বোঝাতে পারলেই হলো। আমাদের অনেকে কবি হয়েছে, গল্পকার হয়েছে, রাজনীতি নিয়ে বুঝতে শিখেছে ব্লগ থেকে। আর সেইসব সেহেরীর
তোমাকে পড়ে না মনে
কবিতা/ তোমাকে পড়ে না মনে
আহসান হাবিব
১৫/২/২০২২
এখন তোমাকে পড়ে না আর মনে
তোমাকে না দেখতে দেখতে
কেমন যেন ঝাপসা হয়ে গেছে
তোমার মুখখানা।
অথচ এই মুখখানাই ছিল
এক সময় পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর মুখ।
এই মুখখানার যিনি মালিক
তাকে ছাড়া বাঁচতে পারব তা
কল্পনাতেও সম্ভব ছিল না।
তুমি যে দিন
বাংলাদেশ ছেড়ে চলে গেলে
তার ক'দিন আগে এসেছিলে
কত কথা হলো, হাসি আনন্দ,
বিশ্বাস কর তোমার দেশে ফেরার আনন্দ
আমাকেও কি ভাবে প্রভাবিত করেছিল।
আমি তোমাকে বলতে পারিনি।
দেশে পৌছার আগ পর্যন্ত প্রতিটি মুহূর্ত
একে অপরের আপডেট যেন লাইভ হচ্ছিল।
হঠাৎ দুূূদিন তুমি কন্টক্ট এর বাইরে।
দুশ্চিন্তায় অবর্ননীয় অবস্থা আমার।
তৃতীয় দিন তোমার ছোট্ট মেসেজ
আংগুল কেটে ফেলেছি
সাথে কাটা আংগুল এবং কান্না কান্না
কটা ছবি।
সেদিন তোমায় অনেক বকেছিলাম
তোমার অসাবধানতার জন্য।
মুখ বুঝে সব বকুনি সহ্য করেছিলে।