প্রকাশিত হল ফুটবল উৎসবে ইপুস্তক : ফুটবলানন্দ
ফুটবল নিয়ে উচ্ছ্বাসে আমাদের কমতি নেই। সেই ছোটবেলা থেকে এখন পর্যন্ত। একটা সময় কেটেছে মোহামেডান আবাহনীর ফুটবল যুদ্ধ নিয়ে। পাড়ায় পাড়ায়/মহল্লায় মহল্লায় মোহামেডান আবাহনীর পতাকায় সয়লাব ছিল। খেলার দিন দল বেঁধে স্টেডিয়ামে খেলা দেখতে যাওয়া। আবার ফেরার পথে আনন্দে মিছল করতে করতে ফেরা অথবা হেরে মন খারাপ করা।
এখনো সেই উচ্ছ্বাসের কোন কমতি নেই। শুধু প্রকাশের ভঙ্গিটা বদলে গেছে। এখন খেলা শুধু টিভি পর্দায় সীমাবদ্ধ নেই, ইন্টারনেটের কল্যানে ব্লগেও লেগেছে বিশ্বকাপ ফুটবলের দোলা।
বাঙালির প্রাণের খেলা ফুটবল। জীবনের পরতে পরতে জড়িয়ে আছে। আর তাই বিশ্বকাপ ফুটবল নিয়ে মাতামাতিটা একেবারে প্রাণের মনে হয়। সারাবিশ্বের ফুটবলের সাথে বাংলাদেশের মানুষ সামিল এই ফুটবলানন্দে। নিজেদের দেশ নেইতো কী হয়েছে? প্রিয় দলতো আছে। আর তাই ঘরে ঘরে ব্রাজিল/আর্জেন্টিনা/ইতালি/ইংল্যান্ড/জার্মান/হল্যান্ডের পতাকায় সায়লাব। প্রায় একমাস জুড়ে ভাসবে এই উচ্ছাসে সকলে। সাথে ব্লগ এবং ব্লাগাররাও।
আমরাবন্ধু ব্লগও এই জোয়ারের বাইরে নয়। ফুটবলের জন্য আলাদা একটা পাতা রাখা হয়েছে। যেখানে আপনি পাবেন খেলার সিডিউল, খেলার ফলাফল, পয়েন্ট টেবিল। আজ যুক্ত হলো ইপুস্তক ফুটবলানন্দ।
ঘোষণাটা আগেই দেয়া ছিল যে, বিশ্বকাপের আসরে আমরা ফুটবল নিয়ে একটা ইপুস্তক বের করবো। আজ সেই ইপুস্তক আপনাদের জন্য উন্মুক্ত করা হলো। প্রকাশিত হলো আমরাবন্ধু ব্লগের বন্ধুদের ফুটবল স্মৃতী সংকলন “ফুটবলানন্দ”।
ইপুস্তক: ফুটবলানন্দ
আমরা বন্ধু ব্লগের বন্ধুদের ফুটবল স্মৃতি সংকলন
প্রথম অন্তর্জাল সংস্করণ:
১৩ জুন ২০১০
প্রকাশক: www.amrabondhu.com
প্রচ্ছদ, অলঙ্করণ ও সমন্বয়: নজরুল ইসলাম
দারুন ... সিম্পলি দারুন একটা কাজ হয়েছে ... লেখা পড়ার সুযোগ পাইনি এখনও ... মুগ্ধ চোখে গেটআপ দেখলাম শুধু ... অনেক ধন্যবাদ নজরুল ...

আমার দেখা সেরা ই-বুক হয়েছে। বন্ধু নজরুলকে সুপার স্পেশাল ধন্যবাদ!! সাথে জড়িত আর সবাইকেও
আমি বই দেখে যারপর নাই হতাশ হয়েছি। মেয়েদের মধ্যে একমাত্র আমি আর ছেলেদের কথাতো বাদই। মডুরামরা পর্যন্ত লেখা দেয় নাই। আন্তরিক ধিক্কার সবাইকে।
দারুন হয়ছে ই-বুকটা বিশেষ করে এর প্রচ্ছদ.।.।.।
নজু ভাইকে অশেষ ধন্যবাদ।
আরে, নজরুল ভাই তো দেখি একটা জিনিয়াস

তারে জাতীয় পুরষ্কার দেওয়া হোক
আরে, নজরুল ভাই তো দেখি একটা জিনিয়াস

তারে জাতীয় পুরষ্কার দেওয়া হোক
ফুটবলাভিজ্ঞতা ছাড়া কোনো বাঙালি নাই বলেই জানি। তাই ইপুস্তকের ঘোষণা দেওনের সময় আমার ধারণা ছিলো প্রচুর লেখা আসবে। আমি হিমশিম খামু।
কিন্তু মানুষ যা ভাবে তা হয় না। দেখি কেউ লেখা দিলো না। আমি সময় বাড়াইলাম পাঁচদিন। তবু কেউ লেখা দেয় না। মনের দুঃখে ইপুস্তক প্রজেক্ট বাদ্দিমু ভাবলাম। কিন্তু টুটুল ভাই কোনো ভাবেই বাদ্দিতে রাজী না। অগত্যা বানাইতে রাজী হইলাম।
কিন্তু ইপুস্তক বিষয়টার সাথে আমি ঠিক পরিচিত না। এটা কেমনে বানায় টানায় কিছু জানি না। ভাবলাম প্রচ্ছদ নিজে না কের ভাঙ্গারে বলি করতে। কিন্তু মুক্ত বয়ান জানাইলো ভাঙ্গা পেন্সিল বিরাট ব্যস্ত। জ্বালানোর সাহস হইলো না। নিজেই একটা বানায়া ফালাইলাম।
ভাবলাম কাজ তো হয়াই গেছে, তাইলে আর চিন্তা কী? এবার লেখাগুলা আর প্রচ্ছদটা আড্ডাবাজ ভাইয়ের কাছে পাঠায়া দেই
সেইমতো একটা হাতে পায়ে ধরা মেইল করলাম আড্ডাদারে। কিন্তু ফিরতি মেইলে জানলাম উনি মহাব্যস্ত। তবু আমারে সহযোগিতা করতে রাজী।
এবার একটু দ্বন্দ্বে পড়লাম। নিশ্চয়ই আমার অনুরোধের ঢেকী গিলতে না পাইরা রাজী হইছেন এই ব্যস্ততার মধ্যেও। কিন্তু আমার কী জ্বালানো উচিত?
কবি বলিলো 'না'। তাই আমি আর জ্বালাইলাম না উনারে।
কিন্তু এখন আমার কী হবে উপায়?
ভাবলাম লোকেনদারে ধরি, মেইল করা হইলো তারে। কিন্তু জানলাম তিনিও মহাব্যস্ত!
তাইলে?
কী আর করা? এইবার নিজেই বইলাম, এম এস ওয়ার্ডে আমি খালি কম্পোজ করতে পারি। আর কিছুই পারি না। গুঁতানো শুরু করলাম। টুটুল ভাইরে মুহূর্মুহু ফোন করতে লাগলাম। তারপর কোনোরকমে একটা জিনিস তৈরি করা গেলো।
লোকেনদা আর আড্ডাদার করা ইবুকগুলার সামনে এইটা নস্যি হইলেও, এইটা কিন্তু সকলের মনে রাখতে হবে। আর কোনো প্রতিযোগি যেহেতু নাই, তাই ইপুস্তক সম্পাদনায় আমি কিন্তু তৃতীয় স্থান অধিকার করিয়াছি
যাহোক, টুটুল ভাইরে পাঠায়া দিলাম ফাইলটা। আমার ধারণা ছিলো 'কী বানাইছেন এইসব? হইছে কিছু"' টাইপ কিছু একটা কয়া এইটা ছুঁঁইড়া ফালায়া দিবো।
গতরাতে পাঠায়া যখন দেখলাম দুপুর পর্যন্ত টুটুল ভাই ইপুস্তকের ব্যাপারে কিছুই কইতেছে না। তখন বুঝলাম ইতোমধ্যে এটা রিসাইকেল বিনে গেছে গা
কিন্তু পরে শুনলাম উনি নাকি আমার মেইল পায়ই নাই
আবার পাঠাইলাম। পাঠাইয়াই আমি ভাগলাম মিটিংয়ে। বিকালে ভয়ে ভয়ে জিগাইলাম, 'বস, ইপুস্তকটা কি রিসাইকেল বিনে পাঠায়া দিছেন?' কয় 'না আপলোড করে দিছি'
এই হইলো গঠনা...
যারা লেখা দিছেন, তাগো ধইন্যা। যারা দেন নাই তাগো অধইন্যা।
টুটুল ভাই, আড্ডাদা আর লোকেদারে জ্বালাইছি, তাগোও ধইন্যা।
আর সবচেয়ে বেশি ধইন্যা পাঠকরে... মারহাবা
অপেক্ষায় থাকলাম প্রতিক্রিয়া জানতে
ব্যাপক দৌড়ের ওপর লেখা,ছাপানো হইসে এটাই বেশি :)।
নজরুল ভাইরে অনেক ধইন্যা
গেটাপ হেভি হৈছে। ইবুকটাও সেইরাম।
এবিতে এত লেখক, কিন্তু এরা লেখা দেয় না ক্যা? নাকি বইমেলার জন্য বাচায়া রাখছে?
নজরুল ভাইরে অনেক ধৈন্যা এমন একটা কাজের জন্য।
মামুন ভাইয়ের ছবিগুলা দেখে মজাক পাইলাম। লেখাগুলা এখনো পড়ি নি। পড়ার জন্য জমিয়ে রেখেছি। ই-পুস্তকের জন্য নজরুল ভাই ও টুটল ভাইকে ধন্যবাদ।
আফসোস হচ্ছে নজরুল ভাইকে কথা দিয়েও না রাখতে পারার কারণে। খুবই লজ্জাবোধ করছি। তবে নজরুল ভাই অধইন্যার উপর দিয়ে পার করে দিয়েছেন। সেজন্য তার প্রতি কৃতজ্ঞ।
ওয়াও, দারুণ হইছে। পুরা সেরাম। দেখে খুব ভালো লাগলো। প্রচ্ছদটা বেশি সুন্দর।
নজরুল ভাইয়ের প্রেম কাহিনী পড়ে তো মুগ্ধ!
মামুন ভাই তো দেখি অরজিনাল ফুটবলার!
নজরুল ভাই আর টুটুল ভাইকে ধইন্যা
আমার লেখাভর্তি ভুল। লাইন অনেকগুলা অগোছালো। মাইনাস।



তবে, বাকি কাজ তো অওছাম..
একলা পুরা কাজ নামায়ে দেওয়ার জন্য নজু ভাইকে বিশাল একটা ধইন্যা।
আমার খেলার ছবি দেখে যারা ভালু পাইছেন তাদের ধইন্যা, নজুরে বলছিলাম একটা সিলেক্ট করতে, দোস্ত সব কয়টায় দিয়ে দিসে। তবে এই সিজন শেষেই আমি বুট তুলে রাখবো, বুড়া হাড়ে আর হয় না। যদিও শৌখিন লীগে খেলি, বড় কিছু না। ইচ্ছা আছে বিদায়ী ম্যাচের ছবি নিয়ে একটা পোস্ট দিব। বেহেশতে গেলেও আমি ফুটবলই খেলতে চামু
দারুণ হইছে। আমার লেখাটা থাকলে অবশ্য ভাল হইতো। (থাকবে কেমনে, লেখাই তো দেই নাই।)
খুব ভাল একটি কাজ হয়েছে নজরুল। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। আমি সময় দিতে পারিনি, তা নিয়ে একটা দুঃখবোধ ছিলো, কিন্তু এখন মনে হয়েছে না দিয়েই ভাল হলো।
অভিনন্দন।
লেখাগুলো এখনো পড়ার সুযোগ হয়নি। পড়বো।
বস আমার তো বইয়ের মলাট দেখেই বই পছন্দ হইছে.। ভেতরে কে কি লিখছে ওইটা পরে দেখা যাবে আমি তো আগে বই ইয়ের মলাট ডাউনলোড দিছি। থুক্কু মলাট সেভ করছি। ধইন্যবাদ নজু ভাই। আমি খেলা দেখতে পছন্দ করি .। কিন্তু খেলার খুব একটা বুঝি না ।তাই লেখা দেই নি।আর কি লিখবো এই ব্যাপারে .।ঘিলুতে কিছুই আসে না। যাক পইড়া লই পরে আবার কমেন্ট করমু। তবে ঝাকাস হইছে মলাট।
পড়লাম বই খানা.।
‚' তারপর? কী বলব-
সেই রাক্ষুশীই আমাকে খেলো''
তার পর-
'' এক সময় ভোর হলো.। আর বালিকা এসে দড়জায় কড়া নেড়ে বললো- দোড় খোল।
আমি দোড় খুলে দেখি সেইজনই আমার সম্মুখে দাঁড়িয়ে, যার জন্য আমি অপেক্ষায় আছি।''
আহারে.। ভুল করেও কেউ আমার নাম্বারে ডায়াল করে কয় না যে রঙ নাম্বারে ভুল করছি।। লাগে না হয় আমিই ফুন দিতাম।
খুব ভাল লাগল বই খানা। মলাট এর মতই ভেতরের লিখা গল্প গুলোও চমতকার। ধন্যবাদ নজরুল ভাই ও লেখক দের।
darun

ই-বুকটি অনেক ভালো লেগেছে।
শুভেচ্ছা।
মন্তব্য করুন