ফেরাল টক: শুন্য
আমাদের গতানুগতিক বিনোদনহীন-বৈচিত্র্যহীন জাতীয় জীবনে মাঝে মাঝে কিছু আন্দোলিত হবার মত ঘটনা ঘটে। ২০০৯ এ ঘটেছিলো পিলখানা হত্যাকান্ড আর এবার অনেক দিন পর "রুমানা মন্জুরকে" নৃশংসভাবে আহত করা। আমি সবসময়ই এসবে বিশালভাবে আন্দোলিত হৈ। রাগে চিড়বিড় করি, কিবোর্ড কাপাই, আর ফুটবলের মত গড়িয়ে একবার "এর" কথা, আরেকবার "ওর" কথা বিশ্বাস করি।
গত কয়েকদিনে এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার উপর ব্লগে-ফেসবুকে-পত্রিকায় যত লেখা পাচ্ছি পড়ছি, আর গড়াচ্ছি। আমার এখনও হাতের লেখার চেয়ে টাইপ করা লেখায় বিশ্বাস বেশি কিনা। তো গত কয়েকদিনে এই তপ্ত ইস্যু আলোচনার সাথে সাথে অগোচরে আরো কিছু ইনফরমেশন পাওয়া যাচ্ছে তার কিছু কিছু গুরুত্বহীন হলেও, কিছু ইনফরমেশন ইস্যুটির ভবিষ্যত যাত্রাপথ কি হবে তার ধারনা দিচ্ছে।
গুরুত্বহীন কিন্তু মজার ইনফরমেশন:
১। রুমানা মন্জুরের অভিযুক্ত স্বামী হাসান সাঈদ সম্বন্ধে জানা যায় যে উনি বুয়েট থেকে পাশ করা ইলেকট্রিক্যাল ইন্জিনিয়ার। এই তথ্যে নিশ্চিতভাবে বুয়েটিয়ানরা সামগ্রিকভাবে আক্রান্তবোধ করেছেন। কেউ কেউ হয়তো টিজও করেছেন। যা হোক অন্য একটি ব্লগে একজন প্রাক্তন বুয়েটিয়ান হাসান সাঈদের মৃত্যু কামনার ফাকে ফাকে এটা জানিয়ে দিতে ভুলেননি যে হাসান সাঈদ বুয়েটে ভর্তি হলেও পাশ করতে পারেন নি। মজার ব্যাপার। যেন বুয়েট থেকে পাশ করে বেরোলে এই ঘটনা সে ঘটাতো না।
চিত্ত প্রশান্তিমূলক গুরুত্বপুর্ন ওইনফরমেশন:
১। সাঈদ সাহেবের ক্যাডেট কলেজের প্রাক্তন বন্ধু বান্ধবরা জানাচ্ছেন যে সাঈদ কিছুটা অপ্রকৃতস্থ ছিলো। নিক নেমও ছিলো "পাগলা"। কেউ কেউ আরও একধাপ এগিয়ে বলছেন সাকাচৌ এর এই লোক উক্ত কলেজের ২য় বড় কলংক। এবং যথাসম্ভব তাকে কলেজ থেকে বের করে দেয়া হয়েছিলো।
২। সাঈদ সাহেব ছোট বেলা থেকে পশুপ্রবৃত্তির বা ম্যানটালী ডিসটার্বড ছিলো। বিড়াল হত্যা করা, পিপিং হোল দিয়ে বাবা-মা দাম্পত্য জীবনের ক্রিয়াকলাপ দেখা ও তা রসিয়ে রসিয়ে বর্ননা করা, ইত্যাদি ইত্যাদি।
এগুলোকে চিত্ত প্রশান্তিমূলক বললাম কারন এসব পড়ে আমরা মনে মনে সাঈদ সাহেবের এমন পাশবিক কাজের একটা সাযৌক্তিক ব্যাখ্যা দাড় করাতে পারবো । "তাইতো, ব্যাটা পশুই তো"। পুরুষদের জন্য এইটা বিশাল প্রশান্তিকর। "সাঈদ তো পাগল, আমিতো ওমন পাগলও না, পশুও না"।
তবে এসব এজন্য এলার্মিং যে আদালতে এইভাবে সাঈদকে পাগল সাব্যস্ত করা গেলে বড়সড় শাস্তি এড়ানো যাবে। সেইটাই হয়তো লক্ষ্য। যদিও বর্তমান বিধান অনুযায়ী "নারী নির্যাতন" ও "হত্যা প্রচেষ্টা"র জন্য সবোর্চ্চ যাবজ্জীবন (সশ্রম) কারাদন্ড পাবে সাঈদ, যা এ ধরনের অপরাধ রোধ করার জন্য যথেষ্ট না।
তবে সবচে ভয় পেয়েছি আরিফ জেবতিক ভাইয়ের ফেসবুকের নোট পড়ে। উনার কথা হচ্ছে বিয়ের ব্যাপারে অল্টারনেটিভ কিছু ভাববার সময় এসেছে। ভাইরে, সমস্যাটা বিয়ের না, মানসিকতার। ছেলে ও মেয়ে উভয়েরই মানসিকতার।
এবার ফেরাল টক:
আমার ল্যাবে এক ইন্দোনেশিয়ান পিএইচডি স্টুডেন্ট ছিলো, মহিলা। তার স্বামী মটর মেকানিক, সাইকেল মেকানিক। দেশে সাইকেলের দোকান আছে, এই রিলেটেড ব্যবসা আছে। আর মহিলার আছে সম্মানজনক সরকারী চাকরী। এটা কি আমাদের দেশে সম্ভব? এককথায় বলা যায়, "না"। মেসেজ যেটা দিতে চাচ্ছি সেটা হলো মেয়েদের নিজের চেয়ে "যোগ্যতর' পাত্র খোজার প্রবনতা।
আমরা পুরুষরা ডমিনেন্ট। তেমন বউ চাই যাকে কন্ট্রোল করতে পারবো। কিন্তু মেয়েরাও তেমন স্বামী চায় যে ক্যারিয়ারে-যোগ্যতায় তার চেয়ে ভালো হবে। প্রেমের বিয়েতে কিছু ব্যতিক্রম দেখা যায়, তবে বুদ্ধিমতী মেয়ে মাত্রই পটেনশিয়াল ছেলে খোজে। আর ছেলের বয়স যেন মেয়ের চেয়ে বেশি হয়, নিদেনপক্ষে সমান হতে পারে, এ চেষ্টা থাকে দুপক্ষেরই।
সো পুরুষের ডমিনেন্সীতো দুপক্ষ থেকেই এপ্রুভড। মেয়েরা তাদের চেয়ে কম যোগ্যতার ও বয়েসের ছেলেদের বিয়ে করার সাহস কি দেখাতে পারবে?
প্রেমের বিয়েতে ব্যতিক্রম কি ভাবে দেখা যায় ভাই? বরং প্রেমের বিয়েতেই এগুলো বেশী ঘটে।
আমি বলতে চেয়েছি প্রেমের বিয়েতে কম যোগ্যতার পাত্রকে বিয়ে করার কিছু ঘটনা ঘটে। এ্যারেন্জড ম্যারেজে না। স্বামী-স্ত্রীর বিবাদ সব বিয়েতেই হয়, কম বেশি।
ছেলেরা পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দরী মেয়েটাকে বিয়ে করতে চায়। বিয়ের ক্ষেত্রে একখানা সুন্দর মুখ নিয়া বিভোর থাকে বলে সংসার করতে গিয়ে তারা হাবুডুবু খায়। গুণের কথা আর যোগ্যতার কথা ভাবতে গিয়ে মেয়েদের সৌন্দর্য ছাড়া আর অন্য কিছু বিবেচনায় আসে না। মানুষের ইনার বিউটির কথা ছেলেরা চেনে না এবং চিনতে চায় না। মেয়েদেরকে তারা আলমারীতে সাজানো একখানা সুন্দর নকশা করা ফ্রেম এর চাইতে বেশি কিছু ভাবতে পারে না। মেয়েদেরকে যেদিন থেকে তারা মানুষ ভাবতে পারবে সেদিন কোন পক্ষেই কোন সমস্যা থাকবে না। (বেশিরভাগ ছেলের কথা বিবেচনায় রেখে কথা টা বললাম, যারা ব্যতিক্রম তারা নিজের দিকে কথা টা টেনে নেবেন না)।
আর মেয়েরা (বেশিরভাগ) যোগ্যতম পুরুষকে জীবনসঙ্গী হিসেবে চায়। সেই যোগ্যতা রূপের নয়-গুণের।
মেয়েরা পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দরী ছেলেটাকে বিয়ে করতে চায়। বিয়ের ক্ষেত্রে একখানা সুন্দর মুখ নিয়া বিভোর থাকে বলে সংসার করতে গিয়ে তারা হাবুডুবু খায়। গুণের কথা আর যোগ্যতার কথা ভাবতে গিয়ে ছেলেদের সৌন্দর্য ছাড়া আর অন্য কিছু বিবেচনায় আসে না। মানুষের ইনার বিউটির কথা মেয়েরা চেনে না এবং চিনতে চায় না। ছেলেদেরকে তারা আলমারীতে সাজানো একখানা সুন্দর নকশা করা ফ্রেম এর চাইতে বেশি কিছু ভাবতে পারে না। ছেলেদেরকে যেদিন থেকে তারা মানুষ ভাবতে পারবে সেদিন কোন পক্ষেই কোন সমস্যা থাকবে না। (বেশিরভাগ মেয়ের কথা বিবেচনায় রেখে কথা টা বললাম, যারা ব্যতিক্রম তারা নিজের দিকে কথা টা টেনে নেবেন না)।
শুধু< শব্ধগুলো বদলে দিলাম, অর্থ তেমন একটা বদলায় না
মেয়েরা পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দরী ছেলেটাকে বিয়ে করতে চায়।
ছেলে রা সুন্দরী হয় নাকি! তাদের ম্যানলি বলে। সুন্দর বলে। হ্যান্ডসাম বলে
সুমন ভাই ফেয়ার ভোট দেন। পুরুষের চেয়ার থেকে নেমে ভোট দেন। আল্লাহ পুরুষদের হেদায়েত করুক
আমি নিরেপক্ষ লীনা আপা। যার যা দোষ সেটাই দিতে চাই। কাউকে দেবতা বানিয়ে পূজা করে তার দোষ ভুলতে চাই না বা কাউকে পশু বলে তার পশুত্বের কারন খোঁজা বাদ দেই না।
ছেলেরাও সুন্দরী হয়
আশে পাশে যখন কোনো পুরুষকে যখন আরেক পুরুষকে জনসম্মুখে চুম্বন করতে দেখি আবেগঘন ভাবে তখন মনে হয় পুরুষও সুন্দরী হয় 
আমি পুরুষ, আমি মানুষ- দুটোই। আল্লাহ মানুষকে হেদায়েত করুক
হ, আল্লাহ সুমন ভাইরে হেদায়েত করুক
মানতে পারলাম না লীনাদি।আসলে অভিযোগ জানালে মেয়েদের দিকেও অনেক অভিযোগ জানানো যাবে।
@লীনা দিলরুবা
শারীরিক সৌন্দর্য্যের ব্যাপারটাতো আসলে কোন যোগ্যতা না। তাই এর আবেদনটাও দীর্ঘ না। সো সেটা কেটে যায় কিছু দিন পরেই, আর এরপর শুরু হয় তুলনা।
মনের কথা বলছেন? ৭ বছর প্রেম করে যে মন চিন্তে পারে নি, বিয়ের পর চিনেছে, সেই মনের ভরসায় সুখী হওয়া যাবে না। মন-টন অবান্তর কথা। একের প্রতি আরেকজন যুক্তিসংগত সম্মান না থাকলে এক পক্ষ আরেক পক্ষকে ডমিনেট করবেই। এখানে করছে পুরুষরা।
সমস্যা হচ্ছে জাতিগত ভাবে আমরা দোষারোপে অভ্যস্ত। এখন যেমন পুরুষের দোষ দেয়া হচ্ছে। আপনি আপনার চেয়ে কম যোগ্যতার কাউকে বিয়ে করার চিন্তা করেছেন?
একজন পুরুষ যখন জানে যে তার ক্যারিয়ার-ক্যালিবার বা যোগ্যতায় মুগ্ধ হয়ে তার চেয়ে কম যোগ্যতার (ক্যারিয়ার-ক্যালিবার অর্থে) একটি মেয়ে বিয়েতে রাজি হচ্ছে বা সম্পর্কে আগ্রহী হচ্ছে তখন অবচেতন মনে শ্রেষ্ঠত্বের বোধ চলেই আসে।
পুরুষ কোন নারীর গর্ভেই জন্মে, তারপরও যদি নারীর প্রতি আপনার উল্লেখিত ধারনা গুলি পোষন করে তবে নারীদের তার দায় নিতে হবে বৈকি।
শারীরিক সৌন্দর্য দেখেই অধিকাংশ ছেলে বিয়ে করে সেইটাই আমি বলেছি আর মেয়েরা বিয়ের ক্ষেত্রে এটিকে মূখ্য হিসেবে দেখে না। আর তাই ধাক্কা খাওয়ার বিষয়টা আসে।
লীনাপা, আমার মনে হয় শারীরিক সৌন্দর্য্যের ব্যাপারটা ইউনিভার্সাল। সবাই সুন্দরের পুজারী, ঘরের বউ সুন্দর হলে বা স্বামী সুর্দশন হলে এক্সট্রা আনন্দ। তবে সুন্দর-অসুন্দর তো আপেক্ষিক, সো সেটা নিয়ে টানাটানিতে কোন ফল আসবে না।
আমার কথা সিম্পল, পুরুষকে ডমিনেন্ট বা যোগ্যতর ধরে নিয়েই যদি জীবন শুরু করেন তবে সে তার ডমিনেন্সী শো করবেই। আর সবাই তো ভালো চেহারা দেখাবে না, দুই একজন সাঈদ হবেই।
কি জানি বাবা। মুই তো হাড়ীর তোলার লাহান, মোর তো তাইলে বিয়াই হোইমুনা!
এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করলে আলোচনা বাড়তেই থাকে, সমাধান দেখিনা
এই প্রশ্ন'টার সমাধান আছে ?
হম, আমিও ধারণা করছি, হাসান সাইদকে পাগল দেখাতে পারলে, তার শাস্তির মাত্রা অনেক কমে যাবে। এম্নিতেও শাস্ত কতদূর পাবে তা নিয়ে যথেষ্ট অনিশ্চয়তা আছে। বাংলাদেশের আইনে যাথেষ্ট সময়পযোগী নয়।
২। নারী victim হলে খহুব কম দিনের আইনি protection পান, সে ক্ষেত্রে সাইদ ছাড়া পেয়ে গেলে আবার রুমানা বা তার সন্তান আবার ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন। তবে রুমানা সুশীল সমাজের একজন, শুধু বাংলাদেশের সর্বস্তরের মানুষ নন, আন্তর্জাতিক সাহায্যও তিনি পাবার যোগ্যতা রাখেন। আশা করছি সাইদ নামক বর্বরটার উপযুক্ত বিচার হবে।
domestic violence বা violence শুধু পুরুষ সঙ্গীরা নারীর উপর করে থাকে, তা কিন্তু নয়। ইদানীং বাংলাদেশের বেশ কিছু চিত্র দেকহে মনে হচ্ছে নারীরাও অনেক বেশী violence এর সাথে জড়িয়ে পড়ষেন, দেশে সামাজিক রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় প্রক্ষাপটে এটা সত্যি unusal. সেটাই প্রচণ্ড ভাবনার বিষয়। নারীর ভেতরের পশুবোধ এভাবে জেগে ওঠাটা কিন্তু সত্যিই বেশ ভয়ের কথা।সব রকম violence কে সব সময় প্রচণ্ড ধিক্কার।
একটা লেখা লিখেছিলাম, সময় পেলে পড়ে দেখতে পারেন। দুটো পর্বই পড়ার অনুরোধ রইলো।
http://tinyurl.com/3mgjsdp
আপনার লেখা গুলো পড়লাম। ভালো লাগলো ডিটেল গুলো পড়ে। থ্যানকস।
সুন্দর একটা সকালে সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা সবাই সুখে থাকুক। কারো ভাগ্য যেনো রুমানা মন্জুরের মত না হয়।
পুরুষরা ডমিনেন্ট-- একথা অস্বীকার করছি না। তাদের ডমিনেন্ট করবার ক্ষমতা সমাজই দিয়েছে। সমাজ একদিনে গঠিত হয়নি যা রাতারাতি বদলানো যাবে। একটি মেয়ে যদি তার সমবয়সি একটি ছেলেকে বিয়ে করতে চায় তবে দেখা যাবে ছেলের গার্জিয়ান সবার আগে নাক কুঁচকে ফেলেছে আর কন্য দায় গ্রস্থ পিতামাতা রাজি বিয়ে যদি হয়ে যায় যাক ঝামেলা চুকলো।
একটা মেয়ে ডমিনেন্ট করবে কয়টা পুরুষতা মেনে নেয়? আমাদের সমাজে একটা কথা তো চালুই আছে --বাড়ির মহিলা যদি মাতব্বর হয় তবে সেই সংসার তো ধ্বংস হবেই।
ছেলেরা সুন্দরী এবং কম বয়সী মেয়ে খুঁজে বিয়ের ক্ষেত্রে। কারনটা খুব নেক্কার জনক। আর যারা শিক্ষিত মেয়ে খোঁজে তাদের কাছে গুনের আগে রূপ বেশী জরুরী কারন বউকে সাজিয়ে রাখতে হবে। তার বড় বড় ডিগ্রী গাল ভরে উচ্চারন করবো কিন্তু তাকে বাইরে কাজ করতে কখনই দেব না।
এই যে দেব না কথাটা অর্থাৎ অনুমতি একটা মেয়েকে দিতে হয় আর ছেলে জন্ম থেকেই পায়। বিয়ের পর মেয়ে পড়াশুনা শেষ করবে এই অনুমতি চায় মেয়ের বাবা মা । কি হাস্য কর সমাজ ব্যাবস্থা। খুব করুনা হয় এই সব মেয়েদের বাবা মার উপরে। তারা জম্ন দেবার সময় খেয়াল করেনা বিয়ে দেবার সময় খেয়াল করে। একটা ছেলেকে বানায় স্বাবলম্বী আর মেয়েকে বানায় পরাশ্রয়ী ।
মেয়েরা যদি নিজে নিজে বিয়ে করে সে ক্ষেত্রে ঝামেলা এবং নিরাপত্তার জন্যই একটি ডমিনেটিং পুরুষ খোঁজ়ে। কারন সে তো স্বাবলম্বী হতে হয় সেটাই যানে না। সে যদি কোন ছেলেকে বিয়ে করতে চায় তবে আগে দেখে তাকে ছেলের পরিবার মেনে নেবে তো। না নিলে আবার ফিরে আসা সম্ভব নয় সমাজের কারনে। এই সমাজ পুরাই মেয়েদের বিপক্ষে। আপনি যদি ওড়না ছাড়া ঘুরেন বাঁকা চোখে দেখবে সবাই। ওড়না পরে ঘুরেন তাতেও দেখবে বাঁকা চোখে আর বোরকা পরে যদি ঘুরেন খারাপ মেয়ে সারাদিন বাইরে ঘুরে কিছুতেই সমাজের শান্তি নেই নিদ্রা নেই।
ছেলেরা সুন্দরী ও কম বয়সী মেয়ে খোজে এটা সত্যি, তবে তা কিন্তু চেন্জ হচ্ছে সিগনিফিকেন্টলী। নিজের আশেপাশের চিত্র দেখেছি যা ২০০৬ পর্যন্ত তাতে অনেকেই এখন এমন সংগীনি চায় যে সমান ভাবে চলতে পারবে, চাকরী করবে......। সমভাবে চলার এই মানসিকতা ধীরে ধীরে সব ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলতে বাধ্য, যখন এগুলো সমাজে অধিকাংশ মানুষ মানতে থাকবে।
এ সমাজ পুরোই মেয়েদের বিপক্ষে এই কথাটা অতি নাটকীয়। সমাজে সবাই নিজ নিজ সুবিধা নিতে চায়, আরেকজনকে দলে-পিষে হলেও। এটা করা হয় নানাভাবে, ধর্মের নামে, এলাকার নামে (কে কোন জেলার), রাজনৈতিক মতবাদের ভিত্তিতে এবং একি ভাবে লিংগ ভেদে। আমাদের সমাজে পুরুষ সুবিধা বেশি নেয় কারন মেয়েরা সব কাজ করতে পারে না, সব জায়গায় যেতে পারেনা--শারীরিক, মানসিক নানা সীমাবদ্ধতার কারনে। নারীত্ব এখানে স্রেফ একটা স্ক্রিনিং ক্রাইটেরিয়া।
মুল কথাটা আপনিও বলেছেন, সাবলম্বী যে হওয়া যায় সেটা মেয়েরা জানে না। এটা কষ্টকর অবশ্যই, তবে এ কষ্টটা না করে ততোধিক কষ্টকর ও নিঃগৃহীত পরগাছা টাইপ পারিবারিক জীবনে মেনে নিতে মেয়েদের আপত্তি নেই। কালচারটা চেন্জ হওয়া দরকার, এবং এই আশা না করাই ভালো যে পুরুষরা আপনাদের সে কাজে হেল্প করবে, এত দিনের রাজত্ব কে হারাবে বলেন?
আর বাবা-মা'র মানসিকতার কথা বলেন? আজ যদি আপনি এটা উপলব্ধী করেন আর নিজের সন্তানদের ক্ষেত্রে তার প্রয়োগ করেন তাহলেই তো চেন্জ হবে। আমার বোন ঠিক করেছে তার মেয়েকে সাবলম্বী করিয়ে তারপর বিয়ে দেবে, হাস্যকর কথা হলো এ'লেভেলে থাকা অবস্থাতেই বিয়ের প্রস্তাব আসছে। আমার বোন কতদিন রেজিস্ট করতে পারে সেটাই প্রশ্ন, আশা করি পারবে। চেন্জটা এভাবেই হবে।
আর মেজরিটি মেয়েরা যখন সাহসী হবে আর পারিবারিক ভাবে এ সাপোর্ট পাবে তখন পুরুষ নারীকে নির্যাতনের আগে ২য়বার ভাববে। আপনার আচরনই ঠিক করবে আপনি কাউকে নির্যাতন করতে দেবেন কি দেবেন না।
সামাজিক নিরাপত্তার নামেও যদি পুরুষকে ডমিনেন্ট ভাবেন, তাহলে সেটাই যথেষ্ট পুরুষকে তার শক্তি সম্বন্ধে অহংকারী হতে। নো ডাউট। সো সমান সমান ভাবেন, পুরুষ দৌড়ের থাকবে, যেমন আমি থাকি।
মেয়েরা তাদের চেয়ে কম যোগ্যতার ও বয়েসের ছেলেদের বিয়ে করার সাহস কি দেখাতে পারবে?
উত্তর পারবে। ছেলেকে সেটা মানতে হবে। ছেলের পরিবার কে মানতে হবে তো ব্যাপারটা। কারনটা আমার উপরের মন্তব্যেই দেয়া আছে। আমার কাছে উদাহরন আছে তবে প্রতিটি প্রমের বিয়ে । সেটেলড ম্যারেজে তা সম্ভব নয়।
দারিদ্রসীমার নীচে বসবাসকারী মেয়েরা যারা বাসাবাড়িতে কাজের মেয়ে হিসাবে থাকে তাদের বাবা মা যখন বিয়ে দিতে নিয়ে আসে তখন বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় ছেলের বয়স মেয়েটার চেয়ে কম।
তাই নাকি? ইন্টারেসটিং, জানতাম না। এখানেও মানসিকতা। পতিদেব মেনে জীবন শুরু করলে দেবতাতো কিছু না কিছু বলি নেবেই।
মন্তব্য করুন