আল্লা বাংলাদেশে থাকে (আল্লা ইন দ্যা বাংলাদেশ)
আমার বউ আর মেয়েটা গত বছরের শেষে দেশে গিয়েছিলো ক'দিনের জন্য বেড়াতে, ফিরে এসেছে জানুয়ারীতে। দেশে গিয়ে এয়ারপোর্টের ঝক্কি, ট্রাফিক জ্যাম, জিনিস পত্রের আকাশচুম্বী দাম আর নিরাপত্তার ঝুকির মধ্যে পড়ে বউ আমার আল্লাহকে স্বাভাবিকের চেয়ে একটু বেশীই ডেকেছিলো ।
ট্রাফিক জ্যামে পড়লেও "আল্লাহই মালুম কখন ছাড়বে"।
রিক্সা-সিএনজি-ক্যাবের ভাড়া আর জিনিস পত্রের আকাশচুম্বী দাম দেখে "হায় আল্লাহ, দুই বছরে এই অবস্থা!"
বাইরে থেকে ফিরতে রাত হলে "আল্লাহ ঠিক মত বাসায় যেন পৌছাতে পারি"।
আর এয়ারপোর্টের কাহিনীতো আরও লোমহর্যক। সিংগাপুর এয়ারলাইন্সের এ্যাটেন্ডেট পাসপোর্ট হাতে নিয়ে বলে "আমনের তো বিসা এসপায়ার্ড (এক্সপায়ার্ড)। যেতে পারবেন না।" যেখানে ভিসা লাগানো আছে পাসপোর্টে তদুপরি ভিসা আছে কিনা নাই সেটা দেখার এক্তিয়ার এয়ারলাইন্সের লোকের নাই, ঐটা ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্টের এরিয়া। এই গ্যাড়াকলে মনে হয় বেচারী সবচে বেশী "আল্লাহ আল্লাহ" জপ করছিলো। যাক তার ঝাড়ির কারনে হোক আর সব কিছুর পেছনে আল্লাহর ইশারাতেই হোক নির্দিষ্ট ফ্লাইটেই অষ্ট্রেলিয়ায় আসতে পেরেছিলো তারা।
অষ্ট্রেলিয়ায় এসে আল্লাহ ডাকার ফ্রিকুয়েন্সী স্বাভাবিক ভাবেই কমেছে একটু। । বিপদ কমা, ঝামেলা কম। কিন্তু রোজার মাসে আবার দুইজনে মিলে আল্লাহ করছি আগের চেয়ে বেশী, আর মেয়েকেও একটু আধটু এসবের গুরুত্ব বুঝাচ্ছি। আল্লাহকে ডাকলে কি কি ফযিলত আর ফায়দা হবে সেইটা মেয়ের বোধগম্যতার স্কেলেই বুঝানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু নিজের খেলনা আর কার্টুন ছবিতে মত্ত মেয়েটা এই নিয়ে খুব বেশি আগ্রহ পাচ্ছে না। কিন্তু চেষ্টা চলছে। সেই রকমই এই চেষ্টার ফলশ্রুতিতে আজ মেয়ে ফতোয়া দিলো, "আল্লাহ ইন দ্যা বাংলাদেশ"
তার ইংলিশ আমি বুঝি, এইখানে বুঝলাম "আল্লাহ বাংলাদেশে থাকে।"
বাংলাদেশে গিয়ে মায়ের মুখের সারাদিন "আল্লাহ আল্লাহ" শুনে বেচারী এইটাই বুঝে নিয়েছে।
চিন্তা করে দেখলাম মেয়ে একেবারে ভুল বলে নাই............ আল্লাহর ম্যক্সিমাম টাইমটা মনে হয় ঐ এলাকার জন্যই ব্যয় হয়।
আল্লাহ বাংলাদেশেও নাই
আছে আছে মাইট, আছে। আল্লাহর উপস্থিতি ঐখানেই বেশি।
আমার মেয়েকে এই গিয়ান দান করেন আমার মা জননি। এখন আমার মেয়ে আর তার বনধুরা কে কয়টা দেশের নাম নাম আর রাজধানির নাম জানে তা খেলছে। ভুলে যায় তাই এসে জিগগেস করে আললাহ যে দেশে থাকে সেটার নাম জানি কি?
হাহাহা। পিচ্চিরা ঠিকই বুঝে কৈ আল্লাহ থাকে। কমেন্টে ঝাজা।
ভাই আপনের শিকড় কিন্তু ঐ ঘিন্জি লাল সবুজ দেশেই,আমি আজ ১০ বছর মেলবোর্ন থাকি, মাপ করবেন আমার এখনো বাংলাদেশ এমন লাগে না, কারন ঐ যানজট,ঐ ধূলাবালিতেই গড়া আমার ব্রেনটা ড্রেইন হয়ে অজিদের সেবা করছে, যাই হোক একেক জনের মন মানসিকতা একেক রকম, হয়ত বলবেন তাহলে দেশে কেন চলে যাই না একেবারে,আমি এখন দুনিয়াটাকে গ্লোবাল ভিলেজ মনে করি,আমার ব্রেনটা ড্রেইন করার জন্য ওরা যে রসদ আমাকে দেয় তা চলে যায় আপনার ওই বিপদজনক দেশে.....আর একদম আমার নিজের মতে আপনার লেখাটা পড়ে মনে হয়েছে যে দুই দিনের বৈরাগী ভাতেরে বলে অন্ন......ভাল থাকবেন..।
ওরে বলদ।
আমি তো ডিগ্রী শেষ করে দেশে যাবো, সেই গ্যান্জামের দেশেই। কিন্তু প্রবলেম যা আছে তা অস্বীকার করার কিছু নাই।
মেলবোর্নে ১০ বছর থেকে আপনার আর যা হোক অহংকার হয়েছে ঢের, যদিও অহংকারের কিছু নাই। তাই আমাকে বলছেন দুই দিনের যোগী। আপনে ১০ বছর থেকে াল ফেলছেন মনে হচ্ছে। অতিথী কমেন্ট না করে নিজ নিকে আসেন দিকিনি। ভন্ডামী ছাড়েন।
রাফি ভাই এতো উত্তেজিত হওয়ার কি আছে। কুল ডাউন ম্যান।

আরে যা বলবে নিজ নিকে এসে বলুক, অতিথী নিকে কেন?
আবাল দেশপ্রেমিকের সংখ্যা আশংকাজনক হারে বাড়তেছে।
খাইছে এ দেখি দেশ বিরোধী এবং ধর্মবিরোধী পোস্ট।

আবার জিগায়!
আল্লাহ বাংলাদেশেই থাকে , না হইলে এই দেশ চলে কি করে ?
আল্লাহ বাংলাদেশে থাকে ঠিকই তবে ধনীদের ঘরে। গরীব মানুষের আল্লাহ নাই। গরীবগুলানরে উনি একেবারেই পছন্দ করেন না ।
মন্তব্য করুন