ইউজার লগইন

সাঈদ'এর ব্লগ

স্মৃতিকাতরতা - ০৩

যে দিকে দেখিবেন - সেদিকেই ক্যামেরা । মোবাইলে ক্যামেরা , ডিজিটাল ক্যামেরা, সিসিটিভি'র ক্যামেরা , ওয়েব ক্যাম ইত্যাদি ইত্যাদি ক্যামেরায় সয়লাব । হরদম ছবি তুলিতেছে সবাই। সেই ছবি কত ভাবেই না দেখিতে পাইতেছে সকলে ।

এ যুগের ছোকড়ারা জানেই না আসল ছবি তুলিবার মজা কী। তাহারা হাতের কাছে যাহা কিছু পাক না কেন , খটাস করিয়া ছবি তুলিবে তাহা দিয়া। শুনিয়াছি কেহ কেহ নাকি শৌচাগারের গিয়াও ত্রিশ খানেক ছবি তুলিয়া আসে।

স্মৃতিকাতরতা - ০২

যেদিকেই তাকাইবেন , দেখিবেন গান বাজিতেছে , মুভি চলিতেছে। হউক সে মোবাইলে, ল্যাপটপ কিংবা ডেস্কটপ । ইন্টারনেট হইতে ডাউনলোড করিয়া সকলে চালাইতেছে । আর ডাউনলোড না করিলে সিডি ক্রয় করিয়া গান শুনিবে না হইলে মুভি দেখিবে। এই যুগের ছেলেপুলে সিডি, ডিভিডি এসবের নাম জানিলেও ক্যাসেট/ফিতা ইত্যাদির নাম হয়তো নাও শুনিতে পারে, কিন্তু আমাদের বয়সী কেহ ক্যাসেট বা ফিতা শুনিবে না - তাহা অবিশ্বাস্য । সে অডিও ক্যাসেট হউক কিংবা ভিডিও ক্যাসেট।

আজিকে এই ক্যাসেটের কথা কহিতেই আসিয়াছি। তখন ছিল রেডিওর যুগ। সকলেই শুনিতেন রেডিও। তাহা লইয়া কিছু কথা আগেও কহিয়াছি। বিজ্ঞাপণ তরঙ্গ লইয়া একবার লিখিয়াছিলাম । সে সময় রেডিওর পাশাপাশি চলিতো ক্যাসেট বা টুইন ওয়ান। একখানা বাটন চাপিলে ক্যাসেট ঢুকাইবার চেম্বার খটাস করিয়া খুলিত, তারপর তাহার ভিতরে ক্যাসেট ভরয়া চাপ দিয়া লাগাইয়া প্লে বাটন চাপিতে হইতো।

স্মৃতিকাতরতা - ০১

বয়েস বাড়িবার সাথে সাথে পুরনো স্মৃতি গুলো নড়াচড়া করিতে আরম্ভ করিয়াছে অধিক মাত্রায় । একাকী সময়ে শুধু স্মৃতি হাতড়ে ফিরি । হাতড়াতে হাতড়াতে ভাবিলাম, নাহ , এগুলো ব্লগে লিখিয়া যাই। পরে কেহ পড়িয়া জানিতে পারিবে, নতুন প্রজন্মের ছেলেপুলে বুঝিবে আমরা কিরূপ দিনাতিপাত করিয়াছি।

আজিকে লিখিবো টেলিফোন লইয়া। এ যুগের ছেলে মেয়ে , এমনকি ৩/৪ বছরের শিশু মোবাইল ফোন চিনিয়া যায়। আমার ৪ বছর বয়সী ভগ্নি পুত্র মোবাইল নিয়া গেইম বাহির করিয়া গেইম খেলে, বোনের রিং টোন বদলাইয়া নিজের মন মত করিয়া দেয়। আর গোঁফের রেখা আসিবার আগেই মোবাইল হাতে আসিয়া যায় ছোকড়াদের।

বয়ে চলা জীবন কাব্যের পান্ডুলিপি ১০

অনেকেই ছোট বেলায় অনেক কিছু হতে চায়। সব নামকরা ব্যক্তিগণ দেখা যায় ছোট বেলায় হতে চেয়েছিলেন খেলোয়াড়, বড় হয়ে হলেন বৈজ্ঞানিক । আমি নামকরা কেউ নই তাই এরকম কোন ঝামেলাও নাই। আসলে ছোট বেলায় কী যে হতে চেয়েছিলাম, তাও জানিনা। তবে নেভি অফিসার দের সাদা ড্রেস দেখে ৭ম শ্রেনীতে থাকতে নেভি তে যোগ দেবার ইচ্ছা হয়েছিল একবার। কী ধব ধবে সাদা !!!

কোন ইচ্ছা বা লক্ষ্য না থাকলেও স্কুলে থাকা অবস্থায় খাতা ভরে ফেলতাম আঁকা ঝোকা করে । গ্রাম, নদী, গাছপালা , আকাশ - এগুলোই ছিলো আঁকার বিষয়বস্তু। বরাবরই এই প্রকৃতি আমারে টানে । প্রাণহীন এই ইট কাঠের খাঁচায় দম বন্ধ হয়ে আসে ।

এইস এস সি পরীক্ষার পর চারুকলায় ভর্তির জন্য ভেবেছিলাম । কিন্তু হয়ে উঠেনি। তুমুল স্ট্রাগল করছি, জানিনা সামনে কী - সেই সময়ে বাসা থেকে আপত্তি জানানো হল । বলা হল চারুকলায় পড়লে না খেয়ে মরতে হবে । তাই চারুকলায় পড়ার চিন্তা বাদ দিয়ে ভর্তি হলাম কমার্সে। বি কম। টাকা রোজগারে নামতে হবে । ২০ বছর বয়স থেকেই কামলাগিরি শুরু করলাম।

বিলাসী (২০১৩) - শেষ পর্ব

বিলাসী (২০১৩) - ৪

অবশেষে একদিন আন্দোলনের সহিত মিশিয়া গেলাম। সবাই বলাবলি করিতে লাগিল, হ্যাঁ, ন্যাড়া একজন গুণী লোক বটে। এত দ্রুত আন্দোলনে মিশিয়া যাইতে দেখিয়া সকলে বাহবা দিতে লাগিলো।

শ্লোগানের মাঝে মাঝে চোখাচোখি হইলে বিলাসী একখানা স্মিত হাসি দিতো। আসল কথা হইতেছে আমরা যুদ্ধাপরাধীর বিচারের জন্য একাত্ম হইয়াছি। খাইয়া না খাইয়া দিন-রাত প্রজন্ম চত্বরে পড়িয়া রহিয়াছি।

আমাদের এরূপ অবস্থা যখন চলিতেছে ঐদিকে মৃত্যুঞ্জয়ের খুড়ো গেল গেল সব গেল বলিয়া কলরব করিতেছে। তিনি সমাবেশ ডাকিয়া সকলকে বুঝাইতে লাগিলেন ইহা নাস্তিক দের মিলনমেলা, শাহবাগে সকল প্রকার খারাপ কাজ হইয়া থাকে। ছেলে-মেয়ে একত্রে মিলামিশা করিতেছে, উহারা গাঞ্জা মদ খাইতেছে । এখানে কেহ ধার্মিক নহে। খুড়োর কথায় কেহ কেহ সায় দিয়া কহিলো - তাহা হইলে শাহবাগ বন্ধ করিতে হইবে বৈকি ! । এরূপ তো চলিতে দেয়া যায়না। দেশ জাতি ধর্ম সব উচ্ছন্নে যাইবে। ৪২ বছর আগের বিষয় নিয়া রাস্তা বন্ধ করিয়া এরূপ তো চলিতে পারে না ।

বিলাসী (২০১৩) - ৪

বিলাসী (২০১৩) - ৩

বছর খানেক গত হইয়াছে। ছাগুর উৎপাত সহ্য করিতে না পারিয়া ব্লগিং এ ইস্তফা দিয়া ফেসবুকে ফিরিয়াছি। একদিন ফেসবুকে নানান প্রোফাইল ঘাটিতে ঘাটিতে হঠাৎ দেখি মৃত্যঞ্জয়ের ছবি। শাহবাগে বসিয়া শ্লোগান দিতেছে। কপালে "রাজাকারের ফাঁসি চাই" লেখা কাপড় লাগানো , হাত মুষ্ঠিবদ্ধ। কে বলিবে এ আমাদের সেই মৃত্যুঞ্জয়! ধীর স্থির ছেলে এরই মধ্যেই জাত দিয়া একেবারে পুরাদস্তুর আন্দোলনকারী হইয়া গেছে। তৎক্ষণাৎ তাহাকে ফ্রেন্ড রিকোসেট পাঠাইলাম।

আমিও শুনিয়াছিলাম শাহবাগে একদল ব্লগার রাজাকারের ফাঁসির দাবীতে আন্দোলন শুরু করিয়াছে। আশে পাশে অনেকেই গিয়াছে, তদ্যাপি আমি যাই নাই। কী দরকার বাবা !!! গা বাঁচাইয়া চলিতে পারিলেই তো হইলো। নাম ধাম হইয়াছে, টক শোতে যাইতেছি , এখন এই আন্দোলন করিয়া আবার কী না কী ঝামেলায় পড়িতে হয়। আমি ফেসবুকে বসিয়া বসিয়া আন্দোলনকারী দের স্ট্যাটাস দেখিলেই "সাথে আছি" কমেন্ট করিয়া আমার দায় সারিতেছি।

বিলাসী (২০১৩) - ৩

বিলাসী (২০১৩) - ২

খুড়া বলিয়া বেড়াইতে লাগিলেন, এ যে ঘটিবে, তিনি অনেক আগেই জানিতেন। তিনি শুধু তামাশা দেখিতেছিলেন; কোথাকার জল কোথায় গিয়া মরে! নইলে পর নয়, প্রতিবেশী নয়, আপনার ভাইপো! তিনি কি ফেসবুকে রিপোর্ট করিতে পারিতেন না? তাঁহার কি ব্লগে পোস্ট দেবার ক্ষমতা ছিল না? তবে কেন যে করেন নাই, এখন দেখুক সবাই। কিন্তু আর ত চুপ করিয়া থাকা যায় না! এ যি সুশীল সমাজের নাম ডুবিয়া যায়! আস্তিকদের মুখ পোড়ে !

তখন আমরা সুশীল সকল লোক মিলিয়া যে কাজটা করিলাম, তাহা মনে করিলে আমি আজও লজ্জায় মরিয়া যাই। খুড়া চলিলেন সুশীল-বংশের অভিভাবক হইয়া, আর আমরা দশ-বারোজন সঙ্গে চলিলাম আস্তিকের বদন দগ্ধ না হয় এইজন্য।

মৃত্যুঞ্জয়ের পোড়ো-বাড়িতে গিয়া যখন উপস্থিত হইলাম তখন সবেমাত্র সন্ধ্যা হইয়াছে। মেয়েটি ভাঙ্গা বারান্দায় একধারে ব্লগ লিখিতেছিল, অকস্মাৎ লাঠিসোঁটা হাতে এতগুলি লোককে উঠানের উপর দেখিয়া ভয়ে নীলবর্ণ হইয়া গেল।

বিলাসী (২০১৩) - ২

বিলাসী (২০১৩) - ১

মৃত্যুঞ্জয় আমাকে চিনিতে পারিয়া বলিল, কে, ন্যাড়া?

বলিলাম, হুঁ।

মৃত্যুঞ্জয় কহিল, ব’সো।

মেয়েটা ঘাড় হেঁট করিয়া দাঁড়াইয়া রহিল। মৃত্যুঞ্জয় দুই-চারিটা কথায় যাহা কহিল, তাহার মর্ম এই যে, প্রায় দেড়মাস হইতে চলিল সে শয্যাগত। মধ্যে দশ-পনরো দিন সে অজ্ঞান অচৈতন্য অবস্থায় পড়িয়া ছিল, এই কয়েকদিন হইল সে লোক চিনিতে পারিতেছে এবং যদিচ এখনো সে বিছানা ছাড়িয়া উঠিতে পারে না, কিন্তু আর ভয় নাই।

মৃত্যুঞ্জয় কহিলো - ব্লগে যাহারা সকাল সন্ধ্যা মানবতার কথা বলে, ধর্মের কথা বলে, সুশীল ব্লগার - তাহার কেহই তাহাকে দেখিতে আসে নাই। সেই রোগীকে এই বনের মধ্যে একাকী যে নাস্তিকের মেয়েটি বাঁচাইয়া তুলিবার ভার লইয়াছিল, সে কতবড় গুরুভার! দিনের পর দিন, রাত্রির পর রাত্রি তাহার কত সেবা, কত শুশ্রূষা, কত ধৈর্য, কত রাত-জাগা! সে কত বড় সাহসের কাজ! কিন্তু যে বস্তুটি এই অসাধ্য-সাধন করিয়া তুলিয়াছিল তাহার পরিচয় যদিচ সেদিন পাই-নাই, কিন্তু আর একদিন পাইয়াছিলাম।

বিলাসী (২০১৩) - ১

পাকা ২ ঘন্টা বসিয়া ব্লগ লিখিতে যাই । আমি নই, কয়েকশত জন। যাহাদেরই বাটী কিংবা অফিস এরুপ আইটি পল্লী তে তাহাদের সকলকেই এরুপ করিয়া ব্লগ লিখিতে হয়। ইহাতে লাভের অঙ্কে শেষ পর্যন্ত একেবারে শূন্য না পড়িলেও, যাহা পড়ে, তাহার হিসাব করিবার পক্ষে এই কয়টা কথা চিন্তা করিয়া দেখিলেই যথেষ্ট হইবে যে , সকাল বিকাল ৪ ঘন্টা বসিয়া থাকিয়া ব্লগ লিখিতে হয় তাহাই নহে, ঢেড় বেশী - বারে বারে কানেকশন কাটিয়া যায়, আন্তর্জালের গোলাকার চাকতি ক্রমাগত ঘুরিতে দেখিয়া , মশক দংশন সহিয়া, একনাগাড়ে বসিয়া ব্লগে যাইতে হয় সে দুর্ভাগা বালকদের মা-সরস্বতী খুশি হইয়া বর দিবেন কি, তাহাদের যন্ত্রণা দেখিয়া কোথায় যে তিনি মুখ লুকাইবেন, ভাবিয়া পান না।

তাহার পরে এই কৃতবিদ্য ব্লগারের দল বড় হইয়া একদিন ব্লগেই বসুন, আর ফেসবুকেই যান —তাঁদের চার-ঘন্টা ব্লগিং এর তেজ আত্মপ্রকাশ করিবেই করিবে। কেহ কেহ বলেন শুনিয়াছি, আচ্ছা, যাহাদের লেখার জ্বালা, তাহাদের কথা না হয় নাই ধরিলাম, কিন্তু যাঁদের সে জ্বালা নাই, তেমন সব ভদ্রলোকেই বা কি সুখে ব্লগ ছাড়িয়া পলায়ন করেন? তাঁরা বাস করিতে থাকিলে ত ব্লগিঙের এত দুর্দশা হয় না!

বয়ে চলা জীবন কাব্যের পান্ডুলিপি ৯

দীর্ঘ ১ বছরের উপর হয়ে গেছে। টিভি খুলি না। ভালো লাগেনা। আগে তাও জিওগ্রাফী, ডিসকভারি চ্যানেলে দেখতাম, এখন কিছুই দেখিনা। বাসায় কোন গেস্ট আসলে তার সাথে গিয়ে হয়তো বসি , তখন দেখি। অল্প কিছুক্ষন পরেই বিরক্ত লাগা শুরু হয় । তাই টিভি দেখা হয় না।


এক সময় গান শুনতাম প্রচুর। সারাক্ষন গান, ঘুমাতে গেলে গান। এমনকি গান শুনবো বলে ঘুমাইনি কত রাত। সারারাত ধরে গান শুনে কাটিয়ে দিয়েছি কত বার।

এখন গানও শোনা হয় না । মাঝে মধ্যে হয়তো শুনি । কিন্তু সেটা কালে ভদ্রে , কখনো সখনো।

আগে যখন ব্লগ ছিলো না, মাসুম ভাইকেও চিনতাম না। তখন পেপার থেকে মুভির নাম সংগ্রহ করে , অস্কার পাওয়া ছবির লিস্ট ধরে নিয়ে যেতাম সিডি/ডিভিডি কিনতে। ছুটির দিনগুলোতে একের পর এক গোগ্রাসে গিলতে থাকতাম মুভি।

নতুন কোন মুভি সিনেমা হলে মুক্তি পেলে কোন মিস ছিলো না। শঙ্খনীল কারাগার দেখতে গিয়ে শার্টের বোতাম ছিড়েছিলাম, ধাক্কা ধাক্কি করে গ্যারিসনে টিকেটে কেটে দেখি টিকেটের গায়ে "টুল" সিল মারা।

বয়ে চলা জীবন কাব্যের পান্ডুলিপি - ৮

ব্লগে আসা হয় না নিয়মিত। কমতে কমতে একেবারে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে পোষ্ট দেয়া।

কেন আসা হয় না তাঁর কোন সদুত্তরও নেই। সারাটাদিন ফেসবুকেই থাকা হয় বেশি। ফেসবুকেও করার কিছু থাকেনা , বসে বসে পোষ্ট দেখি, লিঙ্ক শেয়ার দেখি , ছবি দেখি , নোট দেখি আর লাইক দেই। মন চাইলে কমেন্ট।

একরকম জড়তা , অবসাদগ্রস্ততা গ্রাস করছে ধীরে ধীরে। অফিসে আসা যাওয়ার পথে নানা রকম চিন্তা , কতো ভাবনা এসে জড়ো হয় ।ভাবি , ব্লগে একটা পোষ্ট দেই। অফিসে ঢুকলে বা বাসায় ঢুকা মাত্রই কেন জানি উবে যায় কর্পুরের মতন ইচ্ছাটা। লেখা হয়ে উঠেনা। কিংবা হয়তো লেখালেখির যতটুকু শক্তি ছিলো , শেষ হয়ে গিয়েছে। আগেও যে খুব লিখে উল্টায় ফেলতাম, খুব যে ভালো গল্প উপন্যাস লিখতাম - তা নয়। আমি রাইটার নই , তাই বলতেও পারছিনা রাইটার্স ব্লক ।

তবে এখন ঘুরাঘুরি বেড়ে গেছে অনেক। সময় বানিয়ে নিয়েই দৌড় দেই ঢাকার আশে পাশে কিংবা আরেকটু দূরে । সাথে থাকে ক্যামেরা। না , আমি ফটোগ্রাফারও নই। ক্লিক করা আমার শখ। ক্লিক করতেই থাকি ।

পিকনিক !!! পিকনিক !!! পিকনিক !!! আপডেট নিউজ !!!

সুধী,

অত্যন্ত আনন্দের সহিত জানাচ্ছি যে আগামী ১৮-০১-২০১৩ ইং , রোজ শুক্রবার , পিকনিক এর দিন ধার্য্য হয়েছে।

পিকনিকের স্থান হিসাবে এবার মুন্সীগঞ্জ এর স্যার জগদিশ চন্দ্র বসু কমপ্লেক্স মনোনীত করা হয়েছে। ছায়া সুনিবিড়, বিস্তৃত পুকুর সহ মনরোম পরিবেশে সকলে সারাটাদিন হৈ হুল্লোড়, আড্ডাবাজি, ছবি তুলে, গান বাজনা করে , খাওয়া-দাওয়া করে আনন্দে কাটিয়ে দিতে পারবে এই আশা করছি।

আমরা বন্ধু ব্লগ , আমরা বন্ধু ফেসবুক গ্রুপ এবং আমরা বন্ধু ফটোগ্রাফি ক্লাব যৌথ ভাবে পিকনিকের আয়োজন করবে এবার।

পিকনিকের চাঁদাঃ জনপ্রতি ৭০০ টাকা। (সাতশত টাকা মাত্র)

জমা দেবার শেষ তারিখঃ ১১ই জানুয়ারী ২০১৩। (ওয়ান ইলেভেন)

আগামী ১০ই জানুয়ারী, ৭ টায় ছবির হাটে আপনাদের টাকা জমা নেবার জন্য এবং বিস্তারিত আলাপের জন্য আমি, সর্বজনাব টুটুল , সর্বভাই মেসবাহ ভাই সহ অনেকেই উপস্থিত থাকবো । ১০ তারিখ আসতে না পারলে ১১ তারিখ সন্ধ্যার পর মিরপুর এসে জমা দিয়ে যাবেন।

কনফার্ম ব্যাক্তির তালিকা এখানে আপডেট করা হবে।

১। সাঈদ
২। টুটুল
৩। নাজ , ঋহান
৪। আসাদ
৫। জিয়াউদ্দিন
৬। শান্ত

বয়ে চলা জীবন কাব্যের পান্ডুলিপি - ৭

আগে সাপ্তাহিক/মাসিক ম্যাগাজিন বেশ কেনা হতো। নানান বিষয়ে লেখা - উদ্ভট বিষয় থেকে নিয়ে নায়ক - নায়িকার বেডরুমের গল্প পর্যন্ত থাকতো । তবে বছরের শেষ সংখ্যায় থাকতো - আগামী বছরের রাশিফল। পরের বছর কার কেমন যাবে , কোন রাশির বৈশিষ্ট্য কি - এই রাশির বিখ্যাত মানুষের নাম ইত্যাদি। আগ্রহ নিয়ে সেগুলো পড়তাম। তবে আপনি যেই রাশির হোন না কেন পরের বছর আপনার ভালো যাবেই - প্রেম রোমান্স শুভ, চাকরীতে উন্নতি ইত্যাদি ইত্যাদি। এসব ভুয়া কথাবার্তা জানিনা কেন পড়তে ভালো লাগতো। এখনও খারাপ লাগেনা , বিশেষ করে প্রথম আলোর ছুটির দিনের ম্যগাজিনের সাপ্তাহিক রাশিফল।

রাশিফলে যাই থাকুক না কেন , এই বছর কেমন যাবে তা আঁচ করতে পারি নাই গত বছর। গত বছরে তারেক মাসুদ, মিশুক মুনীর মারা গেলে খুব কষ্ট লেগেছিলো। তখনও জানতাম না এই বছর যে যাবার সারি এত দীর্ঘ হবে । সেই কষ্ট এত দীর্ঘ হবে।

কে জানতো ২০১২ তেই চলে যাবে হুমায়ুন ফরিদী, হুমায়ুন আহমেদ, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, সুভাস দত্ত !!! আর গত কালকেই চলে গেলেন পন্ডিত রবিশংকর।

"দেভদাস" - শেষ পর্ব

দেভু আর চন্দ্রার প্রেমের ঝড়ে আকাশ পাতাল উথাল-পাতাল হইতে লাগিলো, মর্ত্যের শুষ্ক বালু উড়িয়া ঘরবাড়ি তলাইয়া গেল। সেই বালুতে মুখ গুঁজিয়া সকলে যেন উটপাখির ন্যায় জীবন যাপন করিতে লাগিলো। তাহা দেখিয়া কোন কোন পত্রিকা উটপাখি নয়, মানুষের জীবন চাই শ্লোগান নিয়া আগাইয়া আসিলো।

তাহাতেও তাহাদের প্রেমের জোয়ার কমিলো না। দেভু আর চন্দ্রা প্রত্যহ সাক্ষাৎ করিতে লাগিলো , চন্দ্রার শপিং জোর কদমে চলিতে লাগিলো , কখনো বা তাঁহার জন্য কখনো বা তাঁহার কাজিনের জন্য কিংবা সাথে আসা কোন বান্ধবীর জন্যে। প্রতিবারই তাহারা শপিং এর পর বাহিরে খাইতে লাগিলো। কখনো বা তাহারা দুই জন কখনো চন্দ্রার কয়েকজন বান্ধবী সহ তাহারা বাহিরে খাইতে লাগিলো। পাশা পাশি তাঁহাদের ডি-জে পার্টিও সমানতালে আগাইতেছিলো । অপরদিকে দেভুর সঞ্চয়কৃত পাউন্ড কমিতে কমিতে তলানিতে আসিয়া ঠেকিলো।

একদিন সকালে দেভু তাঁহার মানিব্যাগ ঘাটিতে ঘাটিতে ভাবিল, এরূপ চলিতে লাগিলে সামনের দিনগুলিতে তাহাকে পাড়ার মোড়ের ভাই ভাই হোটেল এন্ড রস্টুরেন্টে চন্দ্রা কে নিয়া বসিয়া আলু পুরি আর চা খাইতে হইবে।

"দেভদাস" ৬

দেভু নাচিতে নাচিতে সকলের সঙ্গে মিশিয়া গেল । শব্দ বাক্সে গান বাজিতেছে। হিন্দি গান চলিতেছে সেথায়। গানের কথা এইরূপ - একজনের নাম শীলা, সে তাহার যৌবন নিয়ে খুবই উৎফুল্ল। তাহার যৌবন ভিত্তিক গানের সহিত একদল ছেলে মেয়ে উদ্দাম নৃত্য করিতেছে সেই বিশাল বাড়ীতে।

দেভু কতক্ষন ধরিয়া নাচিলো , হুঁশ করিতে পারিলো না। নাচিতে নাচিতে একসময় তাহার তেষ্টা পাইলো। নাচ থামাইয়া এদিক ওদিক করিতে করিতে নাচের আসর হইতে চুপিসারে বাহির হইয়া জল খোঁজ করিতে লাগিলো । একজন কে শুধাইয়া সে সেখানের জলপানের স্থানে পৌছাইলো। এক বোতল শীতল মিনারেল ওয়াটার লইয়া গলায় ঢালিতেই দেখিলো চুনিলাল আসিয়া হাজির। তাহার সহিত এক আকর্ষনীয় তন্বী । চুনিলাল কহিলোঃ

- কি হে , খুব মৌজ করলা দেখলাম। নাচতে নাচতে ঘামায় গ্যাছো মামু।
- এই আর কি। মজা লাগলো। দেশে আইসা ঘরে বসে থেকে থেকে হাত পা এ গিট ধরে গেছিলো। তাই ছুটাইলাম।
- ভালো ভালো। গিট ছুটছে তাইলে ? পরিচিত হও - এ হইলো চন্দ্রা।