Tutul
"মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ" শ্লোগান সামনে রেখে গত ১০ দিনে বাংলাদেশে শতাধিক মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে উত্থাপিত প্রশ্নের উত্তরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন "এ পর্যন্ত যত ঘটনা ঘটেছে, তার মধ্যে একটা ঘটনাতেও যদি কেউ দেখাতে পারেন যে কোন নিরীহ ব্যক্তি এর শিকার হয়েছেন, সরকার নিশ্চয়ই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।"
কাগজে মুদ্রিত, অন্তর্জালিক পরিসরে পরিচালিত এবং টেলিভিশনে সম্প্রচারিত সম্পাদকদের সমাবেশের কেউই প্রধানমন্ত্রী এবং বর্তমান সরকারের কর্মকান্ডকে বিন্দুমাত্র বিব্রত করতে আগ্রহী না। আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে জনগণের সামনে নিজেদের ভাবমুর্তি উদ্ধারপরিকল্পনার অংশ হিসেবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপ্রধান চলমান মাদকবিরোধী অভিযান অব্যহত রাখার পক্ষপাতি। নিশ্চিতভাবেই হত্যা তালিকায় আরও নাম যুক্ত হবে। চলমান মাদকবিরোধী অভিযানকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে খুন করছে মানুষ। ভয়-ভীতি দেখিয়ে জমি -বসতভিটা দখলের পরিকল্পনার অংশ হিসেবেও চলমান মাদকবিরোধী অভিযানকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
লেখক যখন কলমের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে, রাষ্ট্র এবং সমাজের ফাঁস কণ্ঠে এঁটে বসে, অসংখ্য বিপন্ন মানুষের গল্প অন্ধকারে হারিয়ে যায়। সামান্য কয়েকটা শব্দের হের-ফেরে অর্থ খুব বেশী বদলে যাবে না- এমন সাধারণ অমার্জনীয় আপোষে লেখার ভাষা এবং ভঙ্গি বদলের সূচনা হলেও রাষ্ট্র ও সামাজিক নৈতিকতার পতনের সাথে অভিধানে লাল, অমোচনীয় কালিতে মুছে দেওয়া শব্দগুলোর পরিমাণ বাড়ে, অনায়াস- স্বাভাবিক শব্দের অভিমুখ কিংবা লক্ষ্য বদলায় এবং শেষ পর্যন্ত অর্থবোধকতা হারানো অস্পষ্ট বিলাপসমষ্টি হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা শব্দতম্ভগুলো অন্তঃসারশূণ্যতার ভারে ভেঙে যায়- লেখকের মৃত্যু ঘটে
মাঝে মাঝে বাংলাদেশের কথা ভাবলে আমার সেই শহরের কথা মনে পরে যে শহরে বিলাপ নিষেধ
রাষ্ট্র-নিয়ন্ত্রিত নিপীড়ন, রাষ্ট্র পরিকল্পিত নিধনের মাঝে জমে থাকা অকালমৃতের স্তুপ ঠেলে শুরু হয় আমাদের প্রতিটা সকাল। প্রতিহিংসাপরায়ন রাষ্ট্রের দক্ষ অস্ত্রোপচারে পোষমানানো ক্ষোভের অস্তিত্বও নেই জনপদে, অনিবার্য বশ্যতা মেনে নেওয়া শিল্পীর মুখে বিতর্কিত উক্তি ঠেসে দিতে পারঙ্গম সম্পাদকের অনুগ্রহভাজন কর্মীরা বিচ্ছিন্ন উচ্চারণে বিপ্লব খুঁজছে।
প্রথম অমার্জনীয় আপোষে বাধ্য হওয়া লেখকের সামনে যাদের আপাতনিরাপত্তা আশংকার আড়াল ছিলো, তারাও সময়ের সাথে আক্রান্ত হয়। বোধ স্পষ্ট
অনুভুতিপ্রবন হয়ে ওঠার এত চমৎকার অনুকরণ করছে মানুষ, ভাবলেই অবাক লাগে এমন মানবিক রাষ্ট্রে, আবেগী নাগরিকদের অবগতি, প্রত্যক্ষ উপস্থিতি, এবং সম্মতিতে রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রিত নিপীড়ণ এবং পরিকল্পিত নিধন অব্যহত আছে।
রাষ্ট্র-নিয়ন্ত্রিত নিপীড়ন, রাষ্ট্র পরিকল্পিত নিধনের মাঝে জমে থাকা অকালমৃতের স্তুপ ঠেলে শুরু হয় আমাদের প্রতিটা সকাল। প্রতিহিংসাপরায়ন রাষ্ট্রের দক্ষ অস্ত্রোপচারে পোষমানানো ক্ষোভের অস্তিত্বও নেই জনপদে, অনিবার্য বশ্যতা মেনে নেওয়া শিল্পীর মুখে বিতর্কিত উক্তি ঠেসে দিতে পারঙ্গম সম্পাদকের অনুগ্রহভাজন কর্মীরা বিচ্ছিন্ন উচ্চারণে বিপ্লব খুঁজছে।
মাঝে মাঝে বাংলাদেশের কথা ভাবলে আমার সেই শহরের কথা মনে পরে যে শহরে বিলাপ নিষেধ। রাষ্ট্রের নিরাপত্তা হেফাজতে আটকে থাকা নিরপরাধ নাগরিকদের যারা এখনও বেঁচে আছে, এবং অন্য সকল নাগরিক যাদের অস্তিত্ব রাষ্ট্র অস্বীকার করেছে- সংবাদপত্রে নিরাপত্তাবাহিনীর বিবৃতি পড়ে এমন প্রতিটি পরিবারের প্রতিটি সদস্যের সকাল শুরু হয়।
রাষ্ট্রের নানাবিধ নিরাপত্তাবাহিনীর দপ্তরের কেরানীর অনিশ্চিত আঙ্গুল দেখে দিনযাপন করা এইসব মানুষদের শোকগ্রস্ত হওয়ার অবসর নেই। নিরাপত্তা হেফাজতে খুন হওয়া নাগরিকের তালিকায় তাদের স্বজনের নাম দেখলে তারা হয়তো শোকগ্রস্ত হবেন না, খানিকটা স্বস্তির শ্বাস ফেলে নিজের জীবনে ফিরে যেতে পারবেন, নির্মম রাষ্ট্রে গুম হওয়া অসংখ্য নাগরিকের সাথে এদের পরিবারও একই নিপীড়নের ভেতর দিয়ে যাচ্ছে।
এমন দীর্ঘস্থায়ী অনিশ্চয়তা অনুভুতিশূণ্য নাগরিক নির্মাণ করে- তাই আনুগত্য প্রমাণের কুটবুদ্ধি এবং শিশ্নপরায়ন অনুভুতির বাইরে অন্য কোনো অনুভুতির অস্তিত্ব এখানে নেই
মানুষ কষ্টে হাসে, অসহায় বিপন্নতায় কিংবা প্রতিরোধে ব্যর্থ হলে অনিবার্য বশ্যতায় হাসে, আতংকে- আশংকায় হাসে, হাসে উপহাসে, উল্লাসে, উচ্ছ্বাসে। এই বধির সময়ে আমাদের হাসিগুলো কখনও চোখের তারা কিংবা হৃদয় ছুঁতে পারে না, ঠোঁটের কোণায় নিরবলম্ব ঝুলে থাকে। আমরা অপেক্ষায় থাকি, একজন শিল্পীর অপেক্ষায় যার শিশুতোষ সারল্য আপোষ জানে না।
লেখক যখন কলমের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে, রাষ্ট্র এবং সমাজের ফাঁস কণ্ঠে এঁটে বসে, অসংখ্য বিপন্ন মানুষের গল্প অন্ধকারে হারিয়ে যায়। সামান্য কয়েকটা শব্দের হের-ফেরে অর্থ খুব বেশী বদলে যাবে না- এমন সাধারণ অমার্জনীয় আপোষে লেখার ভাষা এবং ভঙ্গি বদলের সূচনা হলেও রাষ্ট্র ও সামাজিক নৈতিকতার পতনের সাথে অভিধানে লাল, অমোচনীয় কালিতে মুছে দেওয়া শব্দগুলোর পরিমাণ বাড়ে, অনায়াস- স্বাভাবিক শব্দের অভিমুখ কিংবা লক্ষ্য বদলায় এবং শেষ পর্যন্ত অর্থবোধকতা হারানো অস্পষ্ট বিলাপসমষ্টি হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা শব্দতম্ভগুলো অন্তঃসারশূণ্যতার ভারে ভেঙে যায়- লেখকের মৃত্যু ঘটে
মাঝে মাঝে বাংলাদেশের কথা ভাবলে আমার সেই শহরের কথা মনে পরে যে শহরে বিলাপ নিষেধ
রাষ্ট্র-নিয়ন্ত্রিত নিপীড়ন, রাষ্ট্র পরিকল্পিত নিধনের মাঝে জমে থাকা অকালমৃতের স্তুপ ঠেলে শুরু হয় আমাদের প্রতিটা সকাল। প্রতিহিংসাপরায়ন রাষ্ট্রের দক্ষ অস্ত্রোপচারে পোষমানানো ক্ষোভের অস্তিত্বও নেই জনপদে, অনিবার্য বশ্যতা মেনে নেওয়া শিল্পীর মুখে বিতর্কিত উক্তি ঠেসে দিতে পারঙ্গম সম্পাদকের অনুগ্রহভাজন কর্মীরা বিচ্ছিন্ন উচ্চারণে বিপ্লব খুঁজছে।
প্রথম অমার্জনীয় আপোষে বাধ্য হওয়া লেখকের সামনে যাদের আপাতনিরাপত্তা আশংকার আড়াল ছিলো, তারাও সময়ের সাথে আক্রান্ত হয়। বোধ স্পষ্ট
অনুভুতিপ্রবন হয়ে ওঠার এত চমৎকার অনুকরণ করছে মানুষ, ভাবলেই অবাক লাগে এমন মানবিক রাষ্ট্রে, আবেগী নাগরিকদের অবগতি, প্রত্যক্ষ উপস্থিতি, এবং সম্মতিতে রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রিত নিপীড়ণ এবং পরিকল্পিত নিধন অব্যহত আছে।
রাষ্ট্র-নিয়ন্ত্রিত নিপীড়ন, রাষ্ট্র পরিকল্পিত নিধনের মাঝে জমে থাকা অকালমৃতের স্তুপ ঠেলে শুরু হয় আমাদের প্রতিটা সকাল। প্রতিহিংসাপরায়ন রাষ্ট্রের দক্ষ অস্ত্রোপচারে পোষমানানো ক্ষোভের অস্তিত্বও নেই জনপদে, অনিবার্য বশ্যতা মেনে নেওয়া শিল্পীর মুখে বিতর্কিত উক্তি ঠেসে দিতে পারঙ্গম সম্পাদকের অনুগ্রহভাজন কর্মীরা বিচ্ছিন্ন উচ্চারণে বিপ্লব খুঁজছে।
মাঝে মাঝে বাংলাদেশের কথা ভাবলে আমার সেই শহরের কথা মনে পরে যে শহরে বিলাপ নিষেধ। রাষ্ট্রের নিরাপত্তা হেফাজতে আটকে থাকা নিরপরাধ নাগরিকদের যারা এখনও বেঁচে আছে, এবং অন্য সকল নাগরিক যাদের অস্তিত্ব রাষ্ট্র অস্বীকার করেছে- সংবাদপত্রে নিরাপত্তাবাহিনীর বিবৃতি পড়ে এমন প্রতিটি পরিবারের প্রতিটি সদস্যের সকাল শুরু হয়।
রাষ্ট্রের নানাবিধ নিরাপত্তাবাহিনীর দপ্তরের কেরানীর অনিশ্চিত আঙ্গুল দেখে দিনযাপন করা এইসব মানুষদের শোকগ্রস্ত হওয়ার অবসর নেই। নিরাপত্তা হেফাজতে খুন হওয়া নাগরিকের তালিকায় তাদের স্বজনের নাম দেখলে তারা হয়তো শোকগ্রস্ত হবেন না, খানিকটা স্বস্তির শ্বাস ফেলে নিজের জীবনে ফিরে যেতে পারবেন, নির্মম রাষ্ট্রে গুম হওয়া অসংখ্য নাগরিকের সাথে এদের পরিবারও একই নিপীড়নের ভেতর দিয়ে যাচ্ছে।
এমন দীর্ঘস্থায়ী অনিশ্চয়তা অনুভুতিশূণ্য নাগরিক নির্মাণ করে- তাই আনুগত্য প্রমাণের কুটবুদ্ধি এবং শিশ্নপরায়ন অনুভুতির বাইরে অন্য কোনো অনুভুতির অস্তিত্ব এখানে নেই
মানুষ কষ্টে হাসে, অসহায় বিপন্নতায় কিংবা প্রতিরোধে ব্যর্থ হলে অনিবার্য বশ্যতায় হাসে, আতংকে- আশংকায় হাসে, হাসে উপহাসে, উল্লাসে, উচ্ছ্বাসে। এই বধির সময়ে আমাদের হাসিগুলো কখনও চোখের তারা কিংবা হৃদয় ছুঁতে পারে না, ঠোঁটের কোণায় নিরবলম্ব ঝুলে থাকে। আমরা অপেক্ষায় থাকি, একজন শিল্পীর অপেক্ষায় যার শিশুতোষ সারল্য আপোষ জানে না।
মন্তব্য করুন