খেলা দেখুন বিশ্বকাপে, ঝড় তুলুন চায়ের কাপে! ১১
পর্তুগাল বনাম উত্তর কোরিয়া
উত্তর কোরিয়ার খেলাতে গতোদিন ভালো লাগার মতো কিছু ছিলো না। কিন্তু ম্যান মার্কিংয়ে তাদের দক্ষতা টের পাওয়ার জন্য ব্রাজিল বনাম আইভরি কোস্টের খেলাটি দেখতে হবে। উঃ কোরিয়ার ডিফেন্স ফ্যাবিয়ানোকে সামান্য জায়গা ছেড়ে দেয়নি গোলপোস্টে শট নেয়ার জন্য। কাকা'তো এদিক ওদিক দৌড়েছেন প্রচূর একবারের জন্যও তাকে হুমকী মনে হয় নি। রবিনিয়ো'র ড্রিবল কোরিয়াকে একটু এলোমেলো করতে পেরেছিলো কারণ তিনি বলটাকে বাকী দু'জনের চাইতে শরীরের কাছে রেখে ম্যুভ করেন। ঠিক এই জায়গাতেই মেসি আর রোনালদোর পার্থক্য। মেসির মতো নখের ডগায় বল নিয়ে মনে হয়না পৃথিবীতে আর কোন ফুটবলার সারা মাঠ চষে বেড়াতে পারে। রোনালদোর প্রয়োজন হয় বড় জায়গা। যেকারনে এবার রিয়ালে অনেক আশা নিয়ে যাওয়ার পরেও আশাতীত নৈপূন্য দেখাতে পারেননি তিনি। গার্দিওলার কৌশলি চোখে তার এই খেলার ধরণ ধরা পড়েছে ঠিক।
এবারের বিশ্বকাপে কমবেশি সব দলই ম্যান মার্ক করে খেলছে। এবং তাতে মেসির মার্কার ছাড়া আর প্রায় সকলেই সাফল্যের মুখ দেখেছে। সিমাওয়ের পরিশ্রমি ফুটবল হয়তো রোনালদোকে জায়গা করে দেবে আজ। কিন্তু আমি দিব্যচোখে দেখতে পাচ্ছি রোনালদোর গতিময় দৌড়ের বলগুলো একেরপরেক সীমানা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। তবে রোনালদো যেমানের খেলোয়াড় তাতে এমন সুযোগ তার সামনে আসবে অবিরত। আর উঃ কোরিয়া যেমানের দল তাতে এসব সুযোগের অন্তত একটি যে কাজে লেগে যাবে সে ব্যাপারে আমি নিশ্চিত। পর্তুগাল জিতবার সম্ভাবনাটাই বেশি, তবে উঃ কোরিয়া ইউসেবিও ম্যাজিকের প্রতিশোধটা রোনালদো'র উপর দিয়ে তুলে নিতে পারে কীনা সেটা দেখার প্রত্যাশায় রয়েছি।
চিলি বনাম সুইজারল্যান্ড
এল লোকো শব্দের শাব্দিক অর্থ পাগল লোকটি। বিয়েলসা সম্পর্কে আর্জেন্টাইনদের আসলেও এই ধারণাই রয়েছে। কিন্তু এই পাগলামি এলোমেলো আচরণের নয়। এই পাগলামি শিল্পীর চারিত্রিক বৈশিষ্ঠ্য। আর যেকারনে বিলার্দোর মতো গ্যাট মেরে দলের কোচের আসনে তিনি বসে থাকেননি পরাজয়ের পর। পদত্যাগ করে ফিরে গেছেন রহস্যময়তায়। সেই বিয়েলসার দল চিলির প্রথম খেলায় আমি এতোটাই মুগ্ধ হয়েছি গতোদিন যে একবার চিলিকে সমর্থন করার কথাও ভেবেছিলাম বিশ্বকাপে। কিন্তু তারুণ্যখচিত এ দলটির আরো খানিকটা অভিজ্ঞতা প্রয়োজন বিশ্ব ফুটবলে নাম লেখানোর জন্য। তবে গতোদিন তাদের সেরা স্ট্রাইকার সুয়াজো খেলেনি। আজ সুয়াজোর গোলে নেতিবাচক ফুটবল খেলা সুইজারল্যান্ডকে নাস্তানাবুদ করবে চিলি সে আশা অন্তত রাখতে পারি। অন্যদিকে সুইস ফুটবল দেখলে বিরক্তি ছাড়া আর কিছুর উদ্রেক হয়না। তারা স্পেনের বিরুদ্ধে যেভাবে খেলেছে তাতে মনে হয়েছে এনকুফো নামের একজন স্ট্রাইকার তাদের দলে আছে কেবল মান সম্মান রক্ষার্থেই।
সুইজারল্যান্ডের প্রতিরোধ ভেসে যাক সৌন্দর্য্যের জোয়ারে এ কামনাই করি এখেলার আগে।
স্পেন বনাম হন্ডুরাস
স্পেন দলের এখন খেলার চাইতে অংক কষতে বসাটাই জরুরী বেশি। চিলি যদি সুইজারল্যান্ডের সাথে জিতে যায়, হন্ডুরাস এবং চিলিকে যদি তারা হারাতে পারে তবেই তাদের দ্বিতীয় রাউন্ড স্বাচ্ছন্দময় হবে। নাহলে নিজের খেলা খেলার পাশাপাশি অন্য খেলায় কতো গোল দেয়ানেয়া হলো সেটাও তাদের জন্য প্রয়োজনীয় হয়ে উঠবে। তবে হন্ডুরাসের সাথে স্পেন জিতে যাবে এ ব্যাপারে আমি নিশ্চিত। আজকের খেলায় তোরেস প্রথম থেকেই খেলবে বলে মনে হয়। হন্ডুরাস নেতিবাচক ফুটবলে সুইজারল্যান্ডের চাইতে পিছিয়ে থাকা দলই মনে হয়েছে আমার কাছে। স্পেন জিতবে ২ - ০ গোল ব্যবধানে।
চা কিংবা কফি যেটাতেই চুমুক দিন না কেনো, চোখ রাখুন বিশ্বকাপের পর্দায়।
আজকে স্পেন জিতবে ... এ ছাড়া আর কোন উপায় নেই স্পেন এর
সুপার্ব
কোথায় কি?
উত্তর কোরিয়া সংবাদ সম্মেলন কৈরা আর জীবনেও ফুটবল খেলবেনা বৈলা ঘোষনা দিতে পারে---
পর্তুগাল বনাম উত্তর কোরিয়া!!!!!
পর্তুগাল বনাম উত্তর কোরিয়া ৭-০, আপনার কথা গুলা পড়ছি!!!
আমার তো চিন্তা হইতেছে উত্তর কোরিয়া ফুটবল টিম দেশে ফেরার পরে এয়ারপোর্ট থেকে সরাসরি এদের ফায়ারিং স্কোয়ার্ডে না পাঠাইয়া দেয়...
~
সহমত।
আমিও এইটা নিয়ে খুব চিন্তায় পড়ে গেছি
আশা করি স্পেনও হন্ডুরাসকে ভাসাবে
উত্তর কোরিয়া শুধু হার্ট দিয়ে ফুটবল খেলে, মাথা না ... এইজন্যই ব্রোকেন-হার্ট হওয়ার পর আর তাল সামলাইতে পারেনাই
এশিয় দলগুলোর স্ট্র্যাটেজিকাল সিদ্ধান্ত যদি কোচরা নিয়ে থাকেন তাহলে বুঝতে হবে তারা নিজের দলীয় সামর্থ্য বুঝতে শিখেননি। জাপানের পাগল কোচ তাকেশি ওকাদা বাদে বাকীরা প্রথম খেলায় জমাট রক্ষণভাগ নিয়ে খেলে ভালো ফলাফল পাওয়ার পরের খেলাতেই রক্ষণভাগ ওপেন করে দিয়ে আক্রমণে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর কারণ অনুসন্ধান গেলে দেখা যাবে তারা খেলাটাকে আসলেই মাথা অর্থাৎ বুদ্ধি দিয়ে বিবেচনার প্রয়োজন বোধ করে না। দুই কোরিয়াই একই ধরনের ফুটবল খেলে গোলের পর গোল খেয়েছে শক্তিশালি আক্রমনাত্মক দলের কাছে। এভাবে কৌশল বদলের খেলা যে দলের জন্য খুব ভালো ফলাফল বয়ে আনেনা সেটা এখন প্রমাণিত।
দক্ষিণ কোরিয়া গোলরাশে হারছে আর্জেন্টিনাকে আন্ডারএস্টিমেইট করার কারণে ... সেকেন্ড হাফের শুরুতে তাদের এ্যাটিচিউড দেখে মনে হইছে যে আর্জেন্টিনার ফরোয়ার্ডদের পাত্তা না দিলেও চলবে ... অবশ্য ১৯ নং খেলোয়াড়টা যে ফাঁকা পোস্ট মিস করছিলো ওটা দিয়ে ২-২ হয়ে গেলে খেলার মেজাজ ঘুরে যেতো ... তবে দঃ কোরিয়া কমবেশী সবসময়েই এ্যাটাকিং ফুটবল কেলে
উত্টর কোরিয়া হারছে ম্যাচের মেজাজ হারিয়ে ... দ্বিতীয় গোল খাওয়ার পর তারা যখন বুঝছে যে এই ম্যাচ শেষ, তখন একেবারে দিশেহারা!
বিশ্লেষকতো ধরা
মন্তব্য করুন