আমার শেখ মুজিব
আজকের দিনেই তোমাকে এই পৃথিবী থেকে চলে যেতে হয়েছিল! যেই দেশকে তুমি নিজ হাতে তৈরি করেছ এবং চেয়েছিলে সাজাতে আরো সুন্দর করে, যেই দেশের মানুষকে বেসেছ এতো ভাল, সেই দেশেরই কিছু মানুষ তোমাকে চিরতরে তোমার এই প্রিয় দেশ ছাড়া করেছে!
তোমার অভিশাপেই হয়ত আজকে আমাদের এই অবস্থা! জানি তুমি অভিশাপ তো দুরের কথা, যেখানেই আছো এখনো তোমার এই দেশটাকে সুন্দর করে দেখতে চাও! আমি তোমার এই চাওয়াটা অনুভব করি! তোমাকে আমি দেখিনি, তোমার সময়ে আমার জন্মই হয়নি, তারপরেও তোমাকে অনেক আপন মনে হয় আমার! তোমাকে অনেক ভালবাসি শেখ মুজিব! তোমাকে ভালবাসার জন্য টিভিতে প্রচারিত তোমার ভাষণ গুলোই যথেস্ট! তোমার ছবি গুলোই অনেক!
স্বাধীনতার পরে তুমি তোমার দেশের মানুষ গুলোকে জড়িয়ে যখন তোমাকে কাদতে দেখি, তখনই বুঝে ফেলি তুমি কতটা ভালবাসতে এই বাংলার মানুষ গুলোকে! বুঝতে পারি, কি চেয়েছিলে আসলে তুমি আমাদের জন্য! বুঝতে পারি তুমি আসলে কতটা মহান ছিলে!
তোমার প্রতি ভালবাসা কিভাবে প্রকাশ করব তা আমি জানিনা! জানিনা কিভাবে তোমার কাছে ক্ষমা চাইব, তোমাকে অশ্রদ্ধা করার জন্য! বাসা থেকে বের হয়ে তোমার জন্য যে একটা ফুল কিনে নিবো সেই অবস্থাও তোমার সুকন্যা রাখে নাই! তাই চিন্তা করলাম ব্লগে পোস্ট লিখেই কিছু একটা করি!
এইবার একটু কমপ্লেইন ইদানিং তোমার মাইয়্যা যা শুরু করসে না! আজিব আজিব কাজ কাম করে যাইতেসে! তোমারে উপ্রে তোলার জন্য উঠে পরে লাগসে! যেইভাবে তোমারে নিয়ে ঢাকঢোল পিটানো শুরু করসে তা এখন বিরক্তিকর অবস্থায় চলে যাইতেসে! তোমাকে চেনার জন্য মাসুম ভাই, নজরুল ভাই, আরিফ জেবতিক আর মিশু ভাইয়ের মত কিছু বন্ধু থাকলেই হয়! তাদের লেখা পরলেই হয়! এম্নেই জানা যায়! তোমার মৃত্যু দিবসে "কাদো বাঙ্গালী, কাদো" টাইপের শ্লোগানের কোন প্রয়োজন আছে বলে আমার মনে হয়না! রোজার মাসে গান-বাজনা করে সবার সমস্যা তৈরি করার কোন মানে হয়না! তাও করেই যাচ্ছে!
আমরা ভালো নাই, শেখ মুজিব! নিজের মেয়েরে একটু বুঝাও, তোমারে আর উপ্রে না তুলতে, দেশটার জন্য কিছু করতে! দেশটারে সুন্দর ভাবে গড়ে তুলতে পারলে, তুমি যেমন ভাল অনুভব করবা ঠিক তেমনি দেশের মানুষ গুলো ভাল থাকবে! তোমার পুরো পরিবার কে ধ্বংস করা হয়েছিল, শুধু তোমার এই মেয়েটাই বেঁচে গিয়েছিল এবং আমি ভাবতে চাইযে একটা কারনেই সৃষ্টিকর্তা এই কাজটা করেছেন!
এইবার অফ যাই আমি! ভাল থেকো শেখ মুজিব! ভালবাসায় থাকবে সবসময়!
দশটা লাইক
ধন্যবাদ আপু!
ভাল হইছে আব্বা
শেখ মুজিবুর রহমান এখন আসলে একজন মানুষ থেকে একটা পণ্যে পরিণত হয়েছেন। ৭ মার্চ আর ১৫ আগস্ট- এই পণ্যটা বাজারে সবচে' বেশি চলে। ২৬ মার্চ আর ১৬ ডিসেম্বরেও এর ব্যপক কাটতি। কিন্তু বছরের বাকি ৩৬১ দিন দেশের ৯৮ শতাংশ মানুষের মনেই থাকে না তার নাম-ধাম-কীর্তি-ত্যাগ সবকিছুর ইতিহাস। যাহোক এ অবস্থায় যেটা বেশি দরকার সেটা হচ্ছে ব্যপক হারে তাকে নিয়ে লেখালেখি আর আলোচনা হওয়া। সেই পালে জোর হাওয়া লাগানোর জন্য এরকম লেখা আরো আসা উচিত। আর আরেকটা জিনিস দরকার, কিন্তু সেটা চাইলেও পাওয়া যাবে না। সেই জিনিসটা হচ্ছে যেকোন বাংলাদেশি নাগরিক কর্তৃক শেখ মুজিবের অবনমন ঘটানো বন্ধ করা।
ধন্যবাদ মীর ভাই! আপনার কথা গুলোর সাথে আমার চিন্তা একদম মিলে যায় এবং শেষের কথাটা আসলেই ঠিক বলেছেন! এই কাজটা করা আসলেই জরুরী, তবে সাধারন মানুষকে আর কি দোষ দিবেন বলেন? তার মেয়ে যা শুরু করসে! শেখ মুজিব সবার মনে এমনিতেই থাকবেন, উনাকে জোর করে বসানোর প্রয়োজন পড়বে না কখনো! যাই হউক, মেয়ে যাই করে যাকনা কেনো, আমার আপনার দায়িত্ব আছে শেখ মুজিব কে তার আসল স্থানেই টিকিয়ে রাখার এবং আমরা তা অবশ্যই পারব
লেখা দারুন। কিন্তু যাকে নিয়ে লিখছেন তিনি দারুনদের থেকেও অনেক গুনে দারুন!
ধন্যবাদ শান্ত ভাই চেষ্টা করলাম কিছু একটা লেখার জন্য, কিছুই হয়তো হয়নি তবে শেখ মুজিবকে ভালবাসি!
ভালো বলছেন।আসলেই বঙ্গবন্ধূ যদি দেখতেন উনার মেয়ের কর্মকান্ড!
দেখতেসেন তো অবশ্যই তবে কিছু বলতে পারতেসেন না দেখেই তো এই অবস্থা!
মন্তব্য করুন