ইউজার লগইন

দামিনী বনাম সাজিয়া- প্রতিবাদ বনাম ভুলে থাকা

ইচ্ছে ছিল সাংবাদিকতা নিয়ে লেখার। যদিও আমি এমন কোন হ্যাডম হয়ে যাইনি যে সাংবাদিকতার মতো সাংঘাতিক বিষয় নিয়ে আলাপ করব। তারপরও চাইছিলাম- কিছু বিষয় পরিষ্কার করে নেয়ার জন্য।
তার আগেই দিল্লীর "আমানত" ঘটনাটি সামনে চলে এলো। দামিনী নামের তারুণ্য ভরা মেয়েটি অসময়ে চলে গেল কতগুলো নরপশুর কারণে। ঘটনাটা সবার জানা। তারপরও ছোট্ট করে বলে নেই।
গত ১৬ ডিসেম্বর রাতে বাসে করে বাড়ি ফেরত আসার সময় বাসচালক এবং তার পাঁচ সহযোগী ধর্ষক মিলে দামিনী নামের মেয়েটিকে বিভৎসভাবে আক্রমণ করে। সাথে থাকা বন্ধুটিকেও মারতে থাকে। মেয়েটিকে ধর্ষণের পর বন্ধুসহ চলন্ত বাস থেকে ফেলে দেয়া হয়। ভারতে চিকিৎসার পর যখন মেয়েটির অবস্থার অবনতি ঘটে তখন সিঙ্গাপুরে মাউন্ট এলিজাবেথ হসপিটালে তাকে ভর্তি করানো হয়। কিন্তু শারীরিক এবং মানসিকভাবে মারত্মকভাবে শিকার হওয়ার কারণে মেয়েটি অবশেষে শনিবার (২৯ ডিসেম্বর) ভোরে মারা যায়।
দামিনী নামের মেয়েটির কেসটিকে ভারত-সরকার "আমানত" নাম দিয়েছিল। আবার অনেকে তাকে ভারত কন্যা/ ভারত সাহসিকা- ইত্যাদি নাম দিয়েছে। নাম যাই হোক, দামিনীর হত্যাকাণ্ড পুরো ভারতের তরুণ সমাজকে নাড়িয়ে দিয়েছে বলা বাহুল্য। পশ্চিমবঙ্গ থেকে মানালি- সর্বস্তরের সব রাজ্যের সাধারণ মানুষ নেমে এসেছে রাস্তায়। বন্ধ হয়েছে দিল্লীর মেট্রো। প্রতিবাদের ব্যানার হাতে উঠে এসেছে পাড়ার সবচেয়ে লাজুক মেয়েটির হাতেও।
এখন প্রশ্ন উঠতে পারে, এতো কথা লেখার কোন কারণই নেই যেখানে বাংলাদেশী পত্রিকার প্রথম পাতায় পুরো কাহিনী এসেছে সবিস্তরে। আর যেহেতু এদেশের ক্যাবলে ভারতীয় চ্যানেল বেশি চলে- তাই বাসার মা বোন সবাই এই ঘটনা নিয়ে চর্চা করছে। করাটাই স্বাভাবিক। দক্ষিণ এশিয়ায় এখনও সাধারণ মানুষ কতটা নিরাপদ সেটা নিয়ে ভাবার সময় তো এখনই।
আমার প্রশ্ন- দামিনী আজ আমাদের পত্রিকার প্রথম পাতায়, তার ফাঁসী চাচ্ছে ফেসবুকের স্টেটাসধারীরা- আমাদের সাজিয়া আরেফিনকে কি তারা চিনেন?
এবার সাজিয়া আরেফিনের গল্প। সাজিয়া সিলেট মেডিকেল থেকে পাশ করে চাকরি করা শুরু করে ব্রাকের আঞ্চলিক শাখায়। একদিন রাতে (দেখুন- আমার তারিখটাও মনে নেই!) মেয়েটির ঘরে কড়া নাড়ে তারই পরিচিত এক অফিস স্টাফ। দরজা খুলতেই মেয়েটির উপর ঝাপিয়ে পড়ে এবং ধর্ষণের চেষ্টা করে। কোন কারণবশত: ধর্ষণে ব্যর্থ হলে সেই অফিসস্টাফ সাজিয়ার শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।
(আগেই ক্ষমাপ্রার্থী - কারণ এই ঘটনা যেহেতু প্রথম পাতায় অনুপস্থিত তাই মেয়েটির নাম/ চাকরিস্থল জাতীয় তথ্য সবিস্তরে দিতে পারলাম না।)

এবার আসুন দুটো ঘটনার তুলনা করা যাক।
ভারতের দামিনী আর আমাদের সাজিয়া দুজনেই ডাক্তার। দুজনেই তরুনী। দুজনই সাহসী কারণ তারা ক্রমশই আত্মনির্ভরশীল হবার পথে এগিয়ে যাচ্ছিল। এবং দুজনই বিকৃত মানসিকতার লালসার শিকার।
এবার পার্থক্য। আজ দামিনী পরিণত হয়েছে ভারতের প্রতিবাদের কেন্দ্র বিন্দুতে, আর সাজিয়ার কথা আমরা ভুলে বসে আছি। কেন একটি ডাক্তার মেয়ে তার কর্মস্থলে হত্যাকাণ্ডের শিকার হবে? কেনো কর্মস্থলে কেউ নিরাপদ না? কেন কেউ নিরাপদ না রাস্তায়, বাসায় এমনকি শিক্ষালয়েও?
আমি দু:খিত কারণ শুধু মাত্র নারী নিরাপত্তার কথা বলে এখানে বিভেদ টেনে আনতে ব্যক্তিগতভাবে আমি অপারগ। আমার কাছে সবার আগে মানুষ সত্য। আজকে দামিনীর মৃত্যুতে আমি যেমন কষ্ট পেয়েছি, ওর বন্ধুটির কিছু হলেও আমি কষ্ট পাবো। সাজিয়ার মৃত্যুতে যেমন আতঙ্কিত হয়েছি- বিশ্বজিতের মৃত্যুতে একইভাবে হৃদয় ভেঙেছে আমার। একজন মানুষ হিসেবে মানুষের প্রতি সমবেদনা থাকবে সেটাই স্বাভাবিক। তারপর দেখা যাবে তার লিঙ্গ-ধর্ম বা বর্ণ। যারা আগেই এসব নিয়ে মাথা ঘামায় তাদের বিবেক নিয়ে অনেক বড় প্রশ্ন আছে আমার। আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, যারা ভেদাভেদে অপরাধকে আধা সত্য আধা মিথ্যায় পরিণত করে তাদের আমি এড়িয়ে চলি।
আজ যখন দামিনীর মৃত্যু নিয়ে তোলপাড়- তখন আমার পরিচিত অনেকেই মারমা মেয়েটির হত্যাকাণ্ড নিয়ে লিখেছেন। অথচ কিছুদিন আগে (সম্ভবত ৩০ নভেম্বর ২০১২)- তে ঘটে যাওয়া সাজিয়ার মৃত্যু তাদের স্পর্শ করেনি। অথচ বিবেকবান মানুষ হিসেবে সবাইকে স্মরণ করে ভারতের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে প্রতিবাদী হওয়াটাই হয়তো কাম্য ছিল। অথবা বিশ্বজিতের হত্যাকাণ্ড এখানে বড় কারণ হতে পারতো। বিশ্বজিত কেনো আড়ালে চলে যাবে? তাহলে কি মনে দাগ কাটার জন্য সংখ্যালঘু/ সুবিধা বঞ্চিত/ নারী এমন ভাবে ভাগ হবে হবে? কেনো এক ঘটনার আড়ালে আরেক ঘটনা চাপা পড়বে? তাহলে সাংবাদিকতার "ফলোআপ" বিষয়টি থাকার মানে কি?

দামিনীর মৃত্যুর পর থেকে নানা ধরনের ভেদাভেদে ব্যস্ত এদেশের সুশীল সমাজ। যেহেতু এদেশের সুশীল সমাজ সবকিছুতে ধর্ম ক্যাচায় ফেলে- কেউ কেউ হিজাব নিয়ে শুরু করলো। যদিও হিজাবের সাথে ধর্ষণের কোন সম্পর্ক নেই। তথ্যমতে অধিকাংশ নারী স্বামী কর্তৃক ধর্ষিত হয়- সেক্ষেত্রে হিজাবের ভূমিকা কি আমি জানি না। প্রায়ই দেখি বক্তারা "ইসলাম"কে "ধাওয়া" দিতে চান- তারা সবই বোঝেন, শুধু এটা বুঝেন না, ইসলাম দেখতে সেরকমই - যখন তাকে যে ধারণ করে। অতএব ধর্মকে ধাওয়া না দিয়ে ধর্ম ব্যবসায়ীকে ধাওয়া দেন, এখনই সময় ধর্ম ব্যবসায়ীদের সমাজ থেকে ঘাড়ে ধরে বের করে দেয়ার।
আরেক বুদ্ধিজীবি আছেন, যিনি "পুরুষ" সমাজ আর নারী সমাজ নিয়ে বেশ বড় একটা স্টেটাস দিয়ে সো ফার ২০৭টি লাইক পেয়েছেন। 'কেনো পুরুষরা সরি বলবে- সবাই এক না' টাইপ স্টেটাস। ভালো স্টেটাস- কিন্তু খারাপ লাগলো ওনার মতো মানুষের কাছ থেকে ভেদাভেদ টাইপের বক্তব্য পেয়ে। এবং আরো অবাক হলাম সাজিয়ার ব্যাপারে তার কোন উচ্চবাচ্য না দেখে। হতেই পারে! এতো টক শোতে যেতে হয়- দেশের খবর রাখার সময় কই!! আর আমাদের দেশের তরুন সাংবাদিকরা তো এখনও সাকিবের বিয়ের দাওয়াত না পাওয়ার রাগই ঝারতে পারেন নাই- আর নিউজ করবেন কখন!
আরেক লোক নাকী "এমন ধর্ষনের কামনা করছেন বাংলাদেশে যার কারণে এদেশের মানুষ প্রতিবাদী হবে!!" এই ওস্তাদও জানে না, প্রতিবাদি হবার জন্য "সাগর-রুনি, মারমা তরুনী, ফেলানী, সাজিয়া, বিশ্বজিত"সহ একাধিক কারণ এখনই আছে। আর কত মৃত্যু চাই আমাদের! আর তিনি জানেন না কারণ তিনি বাংলাদেশী নিউজ পড়ার সময় হয়তো পান না। তাকে বুঝতে হবে, শুধু মাত্র নারী নয়- কোন মানুষই অস্বাভাবিক মৃত্যুর শিকার হতে পারে না।
অন্যের দিকে তাকিয়ে হা পিত্যেস না করে দেখুন নিজের সাহস আছে কিনা। যদি নিজেদের সাহস না থাকে সাজিয়ারা এভাবেই মারা যাবে আর আমরা সবাই হা করে তাকিয়ে থাকবো অন্য দেশের দিকে। ওরা পারবে আর আমরা দলাদলি করবো নিজেদের মাঝে। মুই কি হনুরে হয়ে লাইকের আশায় দিবো কড়া এক খান স্টেটাস .. ব্যাস দ্বায়িত্ব শেষ।

মাঝে মাঝে ভাবি- আল্লাহ না করুক সাজিয়ার মতো আমাকেও যদি চলে যেতে হয় কেউ আমার কথা মনেও রাখবে না। কারণ আমি সমাজের কেউ না-আমার কোন নিউজভ্যালু নেই...

(সাজিয়ার মৃত্যুর সংবাদ এভাবে এসেছিল-
http://www.prothom-alo.com/detail/date/2012-11-30/news/309658 )

পোস্টটি ২২ জন ব্লগার পছন্দ করেছেন

কাজী রত্না's picture


বইেন, আমরা ভুলে গেছি কি ইয়াসিমন বা বাঁধনেদর কথা। আর জোরপুর্বক ধর্ষন তো একটা শাস্তির বিধান করে, কিন্তু প্রতি মুহুর্তে যে আমরা মেয়েরা স্বপ্নের কারণে ধর্ষনের শিকার হই তার খবর কি কেউ রাখে ? আর শুধু সাজিয়া কেন ? প্রতিদিন পত্রিকার পাতা খুললে কোন না কোন জায়গায় দেখবা, "দুর্বিত্তর হাতে তরুনী লাণ্চিত অথবা ধর্ষিত " কয়জন আমরা কেপে উঠি নিউজটি পড়ে ? ছোট বেলায়, খুব আগ্রহ নিয়ে বানান করে পত্রিকা পড়তাম, আম্মু পড়তে দিত না এ ধরনের নিউজ, বলত এগুলো খারাপ খবর। আজ থার্টি ফাস্ট এ মেয়েরা ঘরের বাহিরে বের হতে পারে না নিরাপত্তার জন্য.. কেন ? ছেলেরা কেন ঝাপিয়ে পড়ে মেয়েদের উপর ? খুব জানতে ইচ্ছা করে, মেয়েদের ও কি কখনও ইচ্ছা করে ছেলেদেরউপর ঝাপিয়ে পড়তে ? রিপু তো সবারই আছে তাই না ?
* হয়তো খুব স্পস্ট হয়ে গেছে কথাগুলো, তবুও লিখতে পেরে ভালো লাগছে.. এতে অনেকে ক্ষেপে উঠতে পারে, আবার আমাকে তসলিমা নাসরিন ও ভাবতে পারেন.. তাদের উদ্দেশ্যে বলছি, নিজেরা একটু ভেবে নিবেন, শাস্তি চাই না আমরা , প্রত্যেকটা মানুষের রিপুর উপর কন্ট্রোল চাই..

রুম্পা's picture


রিপুর উপর কন্ট্রোল রাখতে হলে আগে 'মানুষ" হতে হবে..

এ টি এম কাদের's picture


মানুষ কি আছি আমরা ?

রুম্পা's picture


উত্তর- "না"

টুটুল's picture


অন্যের দিকে তাকিয়ে হা পিত্যেস না করে দেখুন নিজের সাহস আছে কিনা। যদি নিজেদের সাহস না থাকে সাজিয়ারা এভাবেই মারা যাবে আর আমরা সবাই হা করে তাকিয়ে থাকবো অন্য দেশের দিকে। ওরা পারবে আর আমরা দলাদলি করবো নিজেদের মাঝে। মুই কি হনুরে হয়ে লাইকের আশায় দিবো কড়া এক খান স্টেটাস .. ব্যাস দ্বায়িত্ব শেষ।

রুম্পা's picture


এবং, ভাবতেই অবাক লাগে - এসব কড়া স্টেটাস দেয়া অনেকেই চিকিৎসক/ মিডিয়া-ব্যক্তিত্ব এবং সাংবাদিক।

বিষণ্ণ বাউন্ডুলে's picture


ভীতু বাঙালি..ব্লগ, এফবি আর চায়ের কাপে ঝড় তোলা পর্যন্তই আমাদের দৌড়।

সকল মিডিয়ার সাহায্যে দামিনী ‘ফাইটার’ এর সংজ্ঞা হয়ে মারা গেল।
আমাদের মনেও নেই ওই গার্মেন্টসকর্মী মেয়েটার কথা। ধর্ষণ করার পর যাকে জবাই করে জঙ্গলে ফেলে দিয়েছিল কিছু আমানুষ। গায়ে পিঁপড়া উঠে যাওয়ার পরও বেঁচে ছিল মেয়েটা সারারাত, ভোর হবার পর আর পারেনি।

ওই মেয়েটা কি ফাইটার ছিল না?
কয়টা কথা বলেছি আমরা ওকে নিয়ে, কি করেছি বলার মত?!
মেয়েটার নাম টা পর্যন্ত বেমালুম ভুলে বসে আছি কি সুন্দর।

নাকি মেয়েটা গরীব ঘরের গার্মেন্টস কর্মী ছিল বলেই সবাই চুপ? ওর জায়গায় কোন এমপি বা মন্ত্রী কন্যা ধর্ষিত হলে নিশ্চয়ই আমাদের টনক নড়ত!

গরীব আর বড়লোকের ঘরের মেয়েদের সতীত্বের মূল্যের মাঝে নিশ্চয়ই বিশাল কোন পার্থক্য আছে, যা আমার ক্ষুদ্র মস্তিষ্কে ধরে না। অবশ্য গরীব, মধ্যবিত্ত আর বড়লোকের মধ্যে আইনি সহায়তা পাওয়ার সহজলভ্যতার তারতম্য কমবেশি আমাদের সবারই জানা আছে।

যে দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের প্রধানই যখন নারী। সেখানে সমাজের প্রতিটা স্তরে নারীবান্ধব আইনের অভাব কেন এখনও এতটা প্রকট তা আসলেই অদ্ভুত লাগে।

অবশ্য যেখানে প্রকাশ্য খুনিদের আড়াল করতে খোদ রাষ্ট্র এগিয়ে আসে তখন সামান্য ধর্ষণের বিচার চাওয়া তো বাতুলতার সামিল!

আর অন্য কারও বিপদে রক্ষা করতে সাহস দেখাতে এগিয়ে আসবে কে! যেখানে বুয়েটে মাসের পর মাস আন্দোলন করেও থেমে যেতে হয় গুমখুন হয়ে যাওয়ার ভয়ে। লাভের লাভ জমা হয় আরেক দফা সেশনজট!

যে সমাজে মেয়েদের কোন কারনে বিয়ে ভেঙ্গে গেলেও কিছুক্ষেত্রে একঘরে হয়ে যাওয়ার মত অবস্থা হয় সেখানে ধর্ষিত হওয়াটা কখনই মানসিক ভাবে খুন হয়ে যাওয়ার কম নয়।

এভাবে ভেবে দেখলে মাঝে মাঝেই মনে হয়,
খুন আর ধর্ষণের শাস্তি হিসেবে প্রকাশ্যে ফাঁসির একটা বিধান থাকলে মন্দ হত না।

রুম্পা's picture


যাদের মনুষত্যই নেই তাদের সাথে আবার মানবিকতা কেন?
আসলেই প্রকাশ্যে ফাঁসি হোক..

আবীর প্রচ্ছদ's picture


আপু, মনুসত্তের কথা বলতে যেয়ে তুলধুনো হলাম। তাঁদের কথা (ভাদা) ওই মেয়েকে ইন্ডিয়ান না ভেবে শুধু মেয়ে ভাবতে। আমার কথা হল আরে ভাই আগে নিজেদেরকে সামলান, আমি মানি ওটাও অপরাধ কিন্তু আমাদের দেশের চিত্রটা আপনাদের চোখে পরেনা কেন? খুব সাপোর্ট দিচ্ছেন ইন্ডিয়ানদের, দিন ভাল কথা। নিজেদের সাপোর্ট কে দিবে? আমাদের দেশে এমন হাজার হাজার দামিনী মারা যাচ্ছে, তাঁদের আত্মার শান্তির জন্য অন্তত নিজেদের প্রতিরোধ গড়ে তুলুন।

১০

এ টি এম কাদের's picture


আমরাতো সব সময় সেবা দিই, "স্বদেশী ঠাকুর ফেলে বিদেশি কুকুরে " ।

১১

নিভৃত স্বপ্নচারী's picture


নিজেরা একটু ভেবে নিবেন, শাস্তি চাই না আমরা , প্রত্যেকটা মানুষের রিপুর উপর কন্ট্রোল চাই..

অমানুষদের কোন কন্ট্রোল না থাকাই স্বাভাবিক। আইনে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা থাকা জরুরী।

১২

রুম্পা's picture


ফাঁসী....

১৩

রায়েহাত শুভ's picture


এই ঘটনাগুলোয় নিজের পুরুষ পরিচিতিটা নিয়ে ঘেণ্ণা হয়...
কেন আমরা মানুষ হয়ে উঠতে পারি না?
কেন আমরা এতগুলো হাজার বছর ধরে খালি পুরুষ আর নারী হয়েই রয়ে যাই?

১৪

আবীর প্রচ্ছদ's picture


সহমত।

১৫

রুম্পা's picture


কেন আমরা এতগুলো হাজার বছর ধরে খালি পুরুষ আর নারী হয়েই রয়ে যাই?

১৬

আরাফাত শান্ত's picture


আমরা ধর্ষিতার বিচারেই আগে ঝাপিয়ে পড়ি ধর্ষকরাই হারিয়ে যায় মিশে যায় সমাজে এই ভাবেই নতুন নতুন তৈরী হয়!

১৭

রুম্পা's picture


এখন তো মনে হয় কেউ এধরনের নিউজ পড়েও না...না হলে সাজিয়ার কেস কিকরে কাউকে নক করলো না...

১৮

জ্যোতি's picture


কিছুই বলার নেই। আমরা কিছুই করতে পারি না। আমাদের রাগ, ক্ষোভ, আতংক, ঘৃণায় এই জানোয়ারগুলো পুড়ে না। এখন শুধু ভাবি আল্লাহ যেন আমাদের সহায় হোন।

১৯

রুম্পা's picture


Sad

২০

টুটুল's picture


যতদিন আমরা মানুষ হতে না পরবো... এই সমস্যা থেকেই যাবে Sad

২১

রুম্পা's picture


আর মানুষ হতে সাহস লাগে.. এখনকার আমরা মেরুদণ্ডহীণ..সাহস বন্দী মধ্যসাগরে কাঁচের বোতলে.

২২

তানবীরা's picture


ব্যাস শেষ

http://www.prothom-alo.com/detail/date/2013-01-02/news/318177

২৩

আসমা খান's picture


খুব খারাপ লাগছে পড়ে। Sad

২৪

মৃন্ময় মিজান's picture


এই বিষয়ে জোর প্রতিবাদ হওয়া দরকার ছিল। দরকার ছিল অন্তত মানববন্ধন। এই ব্লগের পক্ষ থেকে হলেও। কিন্তু আমরা সব কিছুই হজম করে ফেলি........

২৫

রুম্পা's picture


মানব বন্ধনে অমুক পক্ষ-তমুক পক্ষ খঁোজার কি দরকার? যে কেউ যুক্তিযুক্তভাবে আন্দোলন করলে তাকেই সঙ্গ দেয়া যায়। আমি দিয়েছি, আপনিও আসুন। দেখবেন - হালকা লাগে..

মন্তব্য করুন

(আপনার প্রদান কৃত তথ্য কখনোই প্রকাশ করা হবেনা অথবা অন্য কোন মাধ্যমে শেয়ার করা হবেনা।)
ইমোটিকন
:):D:bigsmile:;):p:O:|:(:~:((8):steve:J):glasses::party::love:
  • Web page addresses and e-mail addresses turn into links automatically.
  • Allowed HTML tags: <a> <em> <strong> <cite> <code> <ul> <ol> <li> <dl> <dt> <dd> <img> <b> <u> <i> <br /> <p> <blockquote>
  • Lines and paragraphs break automatically.
  • Textual smileys will be replaced with graphical ones.

পোস্ট সাজাতে বাড়তি সুবিধাদি - ফর্মেটিং অপশন।

CAPTCHA
This question is for testing whether you are a human visitor and to prevent automated spam submissions.

বন্ধুর কথা

রুম্পা's picture

নিজের সম্পর্কে

আমি তো ভালো মানুষ। বেড়াতে, বই পড়তে আর ঘুমাতে পছন্দ করি। আর অন্তত তিন মাস পর পর একদিন একদম একা থাকতে পছন্দ করি।