চলছে গাড়ি যাত্রাবাড়ি-৬
১.
অনেকদিন কিছু লিখি না অবশ্য লেখা যাকে বলে সেটা আমার দিয়ে হবার কথাও না হবেও না।
কিন্তু কয়েকদিন ধরেই খুব লিখতে ইচ্ছা করছে। তানবীরাপু ব্লগের স্যাতস্যাতে ভাব কাটানোর জন্য প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন সাথে আরো বন্ধুরাও যোগ দিয়েছে।দেখে মনে হচ্ছে মরা ব্লগে প্রাণ ফিরে পেয়েছে।আমি বা দূরে থাকি কীভাবে? কিছু আবোল-তাবোল লিখে ফেলি অনেকটা অনেকটা সেই দিঘী আর শিশিরের কবিতার মতো।
২.
আরেকটা সেমিস্টার শেষ হতে চললো কাল অনেকক্ষণ ভাবছিলাম ছোটবেলাতে ফাইনাল পরীক্ষা শেষ হলে কত কী করার পরিকল্পনা নিতাম তার ইয়াত্তা ছিলো না।ফাইনাল পরীক্ষা শেষ হওয়ার দিনে ফেরার পথে লাট্টু কিনে এনে দেয়ালে ঘষে ঘষে তার আল চোখা করতাম।সারাদিন শুধু খেলা আর খেলা।আম্মার কোন বকাবকি নাই পিঠের উপর দামদুম বসানো নাই।অবশ্য তা যে পিঠের উপর পড়তো না তা না বিশেষ করে বাড়ির পাশে পুকুরে গোসল করতে গিয়ে দেরী করে ফেরা মানেই সেদিন কপালে শনি আছে।আরো কত কী!!!
৩.
কাল থেকে আরেকটা কথা খুব মনে পড়ছে ক্লাস ফাইভের ফাইনাল পরীক্ষার জন্য ধুমছে পড়াশুনা করছি দেশে হরতাল কারফিউ চলছে ছোটদের বেশী দূরে যেতে দিচ্ছে না।খুব ভোরে বিবিসি শোনা হতো বাসায়, এরশাদ বিরোধী আন্দোলন তুঙ্গে।সন্ধ্যার পর কারেন্ট গেলে ''এরশাদের গদিতে আগুন জ্বালো একসাথে'' শ্লোগানে মূখরিত করে ফেলতাম আমাদের গলিটাকে, পরীক্ষার দিন স্কুলে গিয়ে শুনি পরীক্ষা হবে না এরশাদ পদত্যাগ করেছে সেই এরশাদ কাল না কবে যেন বলেছে ‘’ডাঃ মিলন মারা গেছে ক্রস ফায়ারে’’। পাশের দেশেও মন্ত্রীরা চড় থাপ্পড় খেয়ে একাকার আর আমরা দিনে রুটিন করে উনাদের চড় থাপ্পড় খেয়ে যাচ্ছি।
৪.
ইদানিং হুয়ামূন আহমেদের বই খুব পড়ছি।একদিকে ক্লাস চলছে আর ঐদিকে আমি মোবাইলে বই পড়ছি সেদিন পড়লাম ‘’কিছু শৈশব’’ পড়তে পড়তে মনে হচ্ছিলো নিজের শৈশব নিয়েও এইরকম লিখে ফেলবো নাকি? বুঝতেছি না।
ব্লগের পরিচিত সবাই যদি প্রতি সপ্তায় কমপক্ষে একটা এরকম পোষ্ট দেয় তাইলেই হবে,ব্লগ চলবে না একেবারে দৌড়াবে!
আমার ছেলেবেলা বেশ আনন্দে কেটেছে।হালকা ঝাড়ি খাইতাম ব্যাস,মারপিটের বালাই ছিল না খুব একটা। দেখা যাইত; আম্মু আমাকে মারতে গিয়ে নিজে আঙ্গুলে ব্যাথা পেয়ে ফেলসে,তখন আবার আমাকে আঙ্গুল ম্যাসাজ করে দিতে হত!
আসলেই,আজকাল আর পরীক্ষার পরের প্ল্যান করার মজাটা পাওয়াই যায় না।আমি তো মনে আছে এস এস সি আর এইচ এস সি শুরুর আগেই শেষের দিন গোনা শুরু করে দিছিলাম!
পিচ্চিবেলায় পুকুরে গেলেই দুই তিন ঘন্টা নাই হয়ে যেত!আঙ্গুল শুকিয়ে কিসমিসের মত হয়ে যেত,আর চোখ লাল হয়ে দৃশ্যগুলো যখত ঝাপসা ঠেকতো তখন ফিরতাম বাসায়!
আপনেরে দিয়া হবে।লিখে ফেলেন বই।বইমেলায় দেখা হলেই আপনার বই ঐ প্রথম অটোগ্রাফ নিব।শুভকামনা রইল অফুরান।লেখায় থাকেন,ভাল থাকেন।
এই দৃশ্য কল্পনা করলাম আর
==========

১৯৯৯ এর বইমেলাতে গেছি হুমায়ূন আর জাফর ইকবালের বই কিনেছি।এক স্টলে দেখি কবি মহাদেব সাহা বসে আছে আর অটোগ্রাফ দিচ্ছে।আমরা কয়জন হুমায়ুনের বইয়ে উনার অটোগ্রাফ চাইলাম উনি রাগে গজ গজ করতে অটোগ্রাফ দিলেন
বিষণ্ন ভাইজান দামী একটা কথা বলছেন
এই বয়সে দৌড়াদৌড়ি ভালো না লীনাদি

আপনিও কি তিন পোস্টের কোটা পূরণ করতে লেখা দিছেন?
কথা সত্য, সবাই সপ্তাহে একটা করে পোস্ট দিলেই হয় 
বুটা এবিতে মোট পোস্ট দিসি ৩৪টা আর আমারে দেখাও তিন পোস্টের কোটা।মাইরে তক্তা বানায় দিমু
। গুড বয়ের মতো তখন ১২টার সময় ঘুমাবা আর সাড়ে সাতটার সময় উঠবা।
লিখে ফেলো শৈশব নিয়ে।
দেখি

আপনার শৈশব নিয়ে লেখা বইটাই কি সামনের বইমেলায় আসবে নাকি?
আসতেও পারে।

আহা বেশ বেশ। বই তাহলে বই পাচ্ছি।
আগে আপনার বই বের হোক তারপর আমারটা
অনেকদিন পর যাত্রাবাড়ির গাড়িটা চলতে দেখে খুব ভালো লাগলো।
আজকাল আমিও হু.আ. এর বই পড়তেছি। মন খারাপ থাকলে সময় কাটানোর ভালো একটা উপায় এটা।
মন ভাল করার সবচেয়ে ভাল উপায় হু আ ।আমার ইউনি তে মিডিয়াফায়ার বন করে দিছে এই কারনে বই নামাতে পারি না।আর রুমে গিয়ে সময় পাই না।বিপদে আছি

গাড়ি শেষমেষ কোন ঘাটে থামে দেখার অপেক্ষায়
চলে গাড়ি আর আপনে আছেন লঞ্চের হিসাবে খুব খারাপ নাহিদ ভাই।
হা হা হা
) 
অনেকদিন পরে আপনার লেখা পড়লাম ।
২; আপনি কি সারাজীবন পড়াশুনা করবেন?
৩;
ভালো বলছেন ।
২। কপালের খন্ডন কী আর করা!!!
এইবারই শেষ হয়ে যেতো কোর্সওয়ার্ক কিন্তু আমার সুপারম্যানের কল্যানে আরো একটা সেমিস্টার আছে তাইলে পড়া শেষ তারপর খালি গো এষনা।
ঠিক , রেগুলার লেখা দিবা । তোমরাই দেশ ও জাতির ভবিষ্যত
হ লেখা দিমু আর আপনার রেগুলার পড়বেন কারণ আপনারাই তো দেশ ও জাতির উপদেষ্টা

"ইদানিং হুয়ামূন আহমেদের বই খুব পড়ছি।একদিকে ক্লাস চলছে আর ঐদিকে আমি মোবাইলে বই পড়ছি সেদিন পড়লাম ‘’কিছু শৈশব’’ পড়তে পড়তে মনে হচ্ছিলো নিজের শৈশব নিয়েও এইরকম লিখে ফেলবো নাকি? বুঝতেছি না।"
লিখে ফেলো। অপেক্ষায় রইলাম।
খাইছে শরম পাইছি আপা।
ইশকুলে পড়ার সময় পরীক্ষা যেদিন শেষ হত, সেইদিন ছিল ঈদের দিন। এম্নিতে আমার আম্মা পড়াশুনার বিষয়ে বরাবর বাড়াবাড়ি রকমের সিরিয়াস মানুষ। এমন কী এখনো। কিছুদিন পর মাস্টার্স ফাইনাল দিব, তাও শান্তি নাই। এখন আমারো আর কোন প্লান প্রোগ্রাম করা হয় না। উঠতে বসতেই তো পরীক্ষা দিতে হচ্ছে।
আমি প্রতি সপ্তাহে না, প্রতিদিন একটা কোড়ে লেখা দেয়ার ধান্দায় আছি, যদিও বইমেলায় লেখা দেওয়ার আগ্রহ এখনই আমার নাই। কেউ পড়বে না।
হ দেন। দিবেনই তো।
এই তো, লিখতে লিখতেই ঠিক ঠিক ভালো লেখা চলেই আসবে। তা গাড়ি যাত্রাবাড়িতে পৌছাবে কবে? সে দেখি খালি চলতেই আছে তো চলতেই আছে!!
.।.। স্যাতস্যেতে ভাব কাটানির জন্যে তোমার প্রিয় উদ্রাজি কাকারে দরকার! 
মানে কী? এই লেখা ভালো না।
হ ব্লগে স্যাতেস্যাতে ভাব কাটানোর জন্য উদরাজী কাকারে চাই মডু মামা কই উনারে সসম্মানে ফিরায় আনা হোক।
কেনু গাড়ি খালি যাত্রাবাড়ি যায় কেনু? কেনু ঐটা কোনাবাড়ি যায় না???
কোনাবাড়িতে কেউ থাকে নি
্কোনাবাড়ির রাস্তা খারাপ।আড়াই বছর ঐ রাস্তায় গাড়ি চলছে আর খালি জ্যাম তাই রুট চেঞ্জ হয়ছে

ঠ্যালা খাইলে সব বাঙ্গালী গাড়ি লইয়া রুটে নামে নইলে না। তবুও রুট ভর্তি গাড়ির চলাচল দেখে আনন্দ পেলাম।
হু আ'র ইবুকের লিঙ্কটা ফেবুতে দিওতো। আমি পড়ছি এখন তসলিমা নাসরিনের আমি ভালো নেই, তুমি ভালো থেকো প্রিয় দেশ। অফিসে একটু পড়াশোনা করার চেষ্টা আর কি। ভাগ্যিস ই বুক আছে
হ এমন ঠ্যালা দিসেন কাজ কাম চাঙ্গে উঠছে।
ফেবুতে দিবানি লিঙ্ক।
ব্লগের গাড়ি তো দেখি চলতে শুরু করেছে
দারুণ স্মৃতিচারণ।
গাড়ি না চালাইয়া উপায় আছে।গাড়ী বাদ দিয়ে ট্যাক্সিতে উঠবেন দিয়ে ১৫০টাকা ভাড়া না দিয়ে নেমে যাবেন

==================
আপনি যেখানেই লেখেন না কেন আমি কিন্তু খুঁজে খুঁজে ঠিকই পড়ে আসি।আর আপনি যখন বলেন দারুণ স্মৃতিচারণ তখন আসলেই বিনীত হই।
=========================
পুরান লেখাগুলো আবার শুরু করেন নীড়দা।
আপনার লেখাও অনেক মিস করি। দোয়া করেন যেন ফাঁকফোকর বের করে ঢুকতে পারি। তাইলে আড্ডা হবে।
কতদিন পর নীড়'দা
। আবার সেই লেখাগুলো পাবো তো?
কেমন আছেন? আগুনবেড়ার ফাঁকফোকরে ঢুকতে পারলে লেখা শুরু করবো
আগুনবেড়ায় ঢোকার চেষ্টা করুন । নতুন লেখা সত্যি মিস করি ।
হাহাহাহাহা আপনার আগুনবেড়ার রহস্য পরিষ্কার হল তানবীরা'পুর ব্লগে যেয়ে । আমি উলটা ভাবছিলাম
শৈশব যে কবে ছিল সেইটাই তো ভুলে গেছি
আপনার বয়স হয়েছে মাসুম ভাই

এখন আর পরীক্ষার শেষে কোনো প্ল্যানই কাজ করে না
আর কতো
আপনে দেখি টমি মিয়া থেকে মাসুদ রানা হয়ে গেলেন

মন্তব্য করুন