উৎসর্গ
আমারও কষ্ট আছে,
অনুভূতি আছে, বুঝতে পারি
পৃথিবীর সমস্ত কার্যাবলী, কিন্তু
কেবল বলতে পারিনা, কারণ
আমার সে ক্ষমতা নেই, স্রষ্টা আমাকে
তা দান করেননি, তোমাদের মতো করে
কষ্ঠগুলো, অনুভূতিগুলো ব্যক্ত করবার।
আমার তখন খুব কষ্ট হয়
যখন দেখি, তোমরা সভ্য বলে
দাবী কর, অথচ কাজ কর
অসভ্যের মতো করে, তারপরও দাবী
করো আমরা সভ্য !
আমার খুব লজ্জা হয়, যখন দেখি
সর্বশ্রেষ্ঠ হয়েও জানোয়ারের মতো
জঘন্য আচরণ কর!
তোমাদের এ আচরণ জানোয়ারগণকে
হার মানায়!
আমি কারো
সন্তান, কারো পুত্র কিংবা কন্যা,
কারো জনক কিংবা জননী,
কারো না কারো স্বামী বা স্ত্রী,
কিংবা কারো প্রেমিক-প্রেমিকা।
তবুও স্রষ্টা আমাদের সৃষ্টি করেছেন,
তোমাদের খুশী করবার জন্য।
আমার এই প্রাণের বিনিময়ে হে
সভ্যতা সৃষ্টিকারী, সর্বশ্রেষ্ঠ জীব
তোমার মনের পশুত্বকে যদি কবর দিতে পার,
তবেই আমার এই প্রাণকে উৎসর্গ করা, স্বার্থক হবে।
এমন একটি ব্লগকে অনেক ধন্যবাদ। বহুদিন পর আমার আবার লেখার প্রতি আগ্রহ জন্মাল। তবে এই লেখাটি ১২/০২/২০০৩ইং তারিখের লেখা। নতুন করে এখনও কোন কিছু লিখতে পারিনি। তবে যে আগ্রহটি জন্মিয়েছে তারজন্য আফরোজ আপাসহ এই ব্লগের সকলকে ধন্যবাদ।
ভালো লাগলো কবিতা।
ধন্যবাদ
ধন্যবাদ
''আমারও কষ্ট আছে, অনুভূতি আছে, বুঝতে পারি পৃথিবীর সমস্ত কার্যাবলী, কিন্তু কেবল বলতে পারিনা, কারণ আমার সে ক্ষমতা নেই, স্রষ্টা আমাকে তা দান করেননি, তোমাদের মতো করে কষ্টগুলো, অনুভূতিগুলো ব্যক্ত করবার। আমার তখন খুব কষ্ট হয় যখন দেখি, তোমরা সভ্য বলে দাবী কর, অথচ কাজ কর অসভ্যের মতো করে, তারপরও দাবী করো আমরা সভ্য ! আমার খুব লজ্জা হয়, যখন দেখি সর্বশ্রেষ্ঠ হয়েও জানোয়ারের মতো জঘন্য আচরণ কর! তোমাদের এ আচরণ জানোয়ারগণকে হার মানায়! আমি কারো সন্তান, কারো পুত্র কিংবা কন্যা, কারো জনক কিংবা জননী, কারো না কারো স্বামী বা স্ত্রী, কিংবা কারো প্রেমিক-প্রেমিকা। তবুও স্রষ্টা আমাদের সৃষ্টি করেছেন, তোমাদের খুশী করবার জন্য। আমার এই প্রাণের বিনিময়ে হে সভ্যতা সৃষ্টিকারী, সর্বশ্রেষ্ঠ জীব তোমার মনের পশুত্বকে যদি কবর দিতে পার, তবেই আমার এই প্রাণকে উৎসর্গ করা, স্বার্থক হবে।''
আপনার কবিতাকে গদ্য আকারে সাজালাম, এখন পড়তে আরাম লাগছে। পুরনো লেখা আর অনুভূতি পড়লাম এবার গদ্যে নতুন লেখা আর অনুভূতি নিয়ে নিয়মিত হোন
খারাপ নয়। ভালোই লেগেছে।
এতো কষ্টের পরও বেঁচে থাকা মানুষের ধর্ম। তাইতো গানের কথা- জীবন মানে যন্ত্রণা, নয় ফুলের বিছানা....। শত কষ্টকে জয় করতে পারলেই জীবন আনন্দে ভরে উঠবে।
সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
পুরনো না নতুন জানিনা। তবে লেখাটি বেশ ভাল লাগলো। বিশেষ করে নারীর অব্যক্ত কথা গুলো বেশ সুন্দর করে ফুটে উঠেছে। আশা করি নিয়মিত লিখবেন
ভাইয়া, আপনার জ্ঞাতার্থে বলি, এই কবিতাটি নারীর কোন কথা নয়। প্রতিবছরই ঈদুল আযহা আসে। লক্ষ লক্ষ পশু আত্মহুতি দেয়। সে আমাদের মতো শ্রেষ্টতম জীবদের জন্যে। তাদের অনুভূতিটাই আমি লিখতে চেষ্টা করেছি। জানিনা কতটা হয়েছে। তবে বিশ্লেষণ করার সুযোগ দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।
অসাধারন!
অনেক ধন্যবাদ
সুন্দর !
ধন্যবাদ
সুন্দর...

আমি একটি কবিতা খুজছি, আমার ভার্সিটিতে আবৃত্তি করার জন্য... চমৎকার লাগল... ভাবছি এটাই করে ফেলি... কি বলেন আপ্পি?
যদিও দেরি হয়ে গেছে অবশ্যই আপনি আবৃত্তি করতে পারেন। আমি ভাগ্যবান।
দেরি হলেওতো পারমিশন পেলাম...।
গত দু'তিন ধরেই মনটা খারাপ। এতটাই খারাপ যে, যা ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না। আমার মন খারাপের বিষয়টিও আমি আপনাদের কাছে শেয়ার করতে চাই। আর এই কারণেই তো আপনাদের কাছে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়েছি। আমাদের একটি স্কুল আছে। যা আমরা শুরু করেছিলাম ২০০৬ সালের ৭ জুলাই থেকে। দরিদ্র ও হতদরিত্র শিশুদের পাঠদানের জন্যেই এই স্কুলের যাত্রা। সেটি দুয়ারিপাড়া নামক একটি এলাকা এখনও চলছে। বর্তমানে শিক্ষক ৩ জন। স্কুলটির ব্সিতারিত গল্প পরে আরেকদিন শেয়ার করবো। শুরুতেই আমি আর সোহাগ ছিলাম। তার ভালো নাম সাইফুজ্জামান সোহাগ। আজ শুধু সোহাগের কথায় বলি। সোহাগ সে আমার সন্তান। যদিও আমি তাকে জন্ম দেইনি। কিন্তু পরিচয় থেকে শুরু করে আজও আমার মনের মনি কৌঠায় তার জন্য সন্তানতুল্য স্নেহ রয়ে গেছে। সোহাগের সঙ্গে আমার পরিচয় ঘটে টিএসসিতে। একটি কবিতা সংগঠনে। সেই কবিতা সংগঠনটির নাম ছিল ক'জনা। জানিনা ক'জনা এখন কেমন আছে। কবিতা আবৃত্তি দখলে না আনতে পারলেও সেই সংগঠনটি আমাকে একটি সন্তান উপহার দিয়েছিল। যাকে দেখেছি কত কষ্ট ত্যাগ করে স্কুলটির মঙ্গলের জন্যে কাজ করেছে। নিজের মাসের খরচ বাঁচিয়ে হেঁটে স্কুলটিকে দেখদতে আসতো। আজ দু'বছরও বেশি সে আর আমার সঙ্গে নেই। সে এই পৃথিবীর কোথাও নেই। কোন জায়গাতে নেই। একটি টেলিফোন নম্বরও নেই যাকে আমি পোন করলেই চলে আসবে। সেই যে ১৩ ডিসম্বের ২০০৮ সালে গেল আর তো এলো না। সোহাগ এখন ইশ্বর দর্শনেই আছে। তার বোঝা উচিত যে ভার আমার কাঁধে দিয়ে গেছে সেতো আমি আর বইতে পারছিনা। খুব কষ্ট হচ্ছে। সে পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে চলে যাবার বয়সে আমি তাকে দু'তিন বার স্বপ্নে দেখিছি। এবার দেখলাম। সে আমার খুব কাছে এলো। কিন্তু ছেলেটি আমার সঙ্গে কথা বলছে না। কি আশ্চর্য ও আমার সঙ্গে কথা বলেনি। এও কি মানা যায়। তার রাগের কারণ কেন আমি স্বপ্নধরা পাঠশালা-কে ছেয়ে যেতে চাইছি। কিন্তু জীবন যে বড় নিষ্ঠুর জায়গায়। সেখানে একেবারেই অর্থছাড়া কিভাবে টিকে থাকা যায়। আমি যে হেরে গেছি অর্থ নামক বস্তুটার কাছে। জানিনা ব্নধুরা কি লিখলাম। কি বললাম। সকলে ভালো থাকবেন। আর আমার এই সন্তাটির জন্যে আর্শীরবাদ করবেন যেন সে খুব ভালো থাকে। আর আমি হতভাগ্য দিদিতো রইলামই তারজন্যই। এখন পৃথিবীর যে কোণেই থাকি। আর আমাদের দেখা সেই স্বপ্নের পূরণ হবেই এও আমার বিশ্বাস। হয়তো তার যাত্রাটা দীর্ঘ এই তো এর চেয়ে বেশি কিছু নয়।
মন্তব্য করুন