সুখ যখন লেডোয়ার্ড ব্যারাকের পুরু দেয়ালের সঙ্গ
আমার সবকিছু এরকম ধূসর হয়ে যাবে তা জানতাম না আমি। কী করে লেখা যায় এই মলিনতার স্বরূপ আমি তাও জানি না। টেবিল ভরা আমার বই পত্র, ছুঁয়েও দেখিনি গত কয়েকদিনে, অথচ এই ছুটিতে সব পড়ে শেষ করার কথা।
আমার রান্না বান্না কে করে, কে আমার দাঁত মেজে দ্যায়, রুম গুছিয়ে দ্যায় আমি জানি না। আমি ঘড়িটার কাছে পরাজিত হই প্রতি সকালে। আমার সব কিছু ছিন্নভিন্ন।
বিছানা ছাড়া সবচেয়ে কঠিন কাজ এই জীবনে। রোজ দুপুর বেলা আলসেমির চুড়ান্ত রূপ দেখে তারপর বিছানা ছাড়ি। আর আমার রোজ রাতের প্রতিশ্রুতি সকাল সকাল বিছানা ছাড়ার।
এইসব করতে করতে এইভাবে আরও কত বছর বাঁচার আছে আমার? আমার এক কালীন বন্ধু বান্ধবেরা কে কেমন আছে কিছুই জানা হয় না। মাঝে মাঝে এক কালীন প্রেমিকার কথা ভাবি বিছানায় শুয়ে থেকে। সেই যে প্রেমিকাকে খুব ভালোবেসেছিলাম একদা, কেমন আছে এখন সে আর তার প্রেমিক? কেমন আছে ওদের ভালোবাসা? খুব ভালো ওরা। আর আমি সবচেয়ে অসভ্য।
আর সেই শহরটা। যে শহরের প্রতি যারপরনাই বিরক্ত ছিলাম রোজদিন, সেই শহরটা কি আজও আমার মত নোংরা আর অশিক্ষিত রয়ে গেছে? হয়তো ওটাই ছিলো আমার বেঁচে থাকার জন্য সর্বোত্তম। আজ এই বিষণ্ণ শহরে আমার কোনো অস্তিত্ব নেই। এখানে শাহবাগ নেই, বিকেল বেলায় বাসে চড়ে আমি কোথাও যাই না। কারো জন্য অপেক্ষা করি না কোথাও। আমার জন্যও কেউ কোথাও অপেক্ষা করে না।
এখনও আমার জীবন একটা যাচ্ছেতাই রকমের কালো স্রোতে ভেসে যায়, শুধু ভেসে যায়।
ভালো তো...
হ্যাঁ, ধন্যবাদ।
মন্তব্য করুন